শাহনাজ মুন্নী
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শাহনাজ মুন্নীর জন্ম 1969 -এ ঢাকায়। সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি পেশায় টেলিভিশন সাংবাদিক। এটিএন বাংলার নিউজ এডিটর। সাংবাদিক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও তিনি মূলত লেখক। এ পর্যন্ত গল্প উপন্যাস গবেষণা মিলিয়ে তার বইয়ের সংখ্যা আঠারোটি। তার স্বভাবে আছে এক ধরণের নির্মোহতা। শিল্পেও তার প্রভাব দেখা যায়। তার গল্পে সবসময়ই একটা গল্প থাকে। চরিত্রগুলো বিকশিত হয় সহজিয়া প্রেরণায়। জবরদস্তি নয়, সহজাত নির্দেশনা ধরেই যেন তার কথাশিল্পের চরিত্রগুলো নিজস্ব পথে পদচারণা করেন। তার কথাশিল্পের ভাষা রসবোধসম্পন্ন, কাব্যসংলগ্ন ও স্বতস্ফূর্ত। মুন্নীর কবিতাও তার ব্যক্তি স্বভাবের মতোই অউচ্চকিত। মৃদুভঙ্গীতে তিনি মোক্ষম বোধটি ব্যক্ত করে ফেলেন। যার অনুরণন থেকে যায় ঢেউ মিলিয়ে যাবার পরও।
গল্পপাঠে শাহনাজ মুন্নী দুই দফায় তাঁর লেখক ভুবনটি লিখে দিয়েছেন। --গল্পপাঠ
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১. গল্প লিখতে শুরু করলেন কেন?
কোন উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করিনি। ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়ার সময় প্রথম যে লেখাটা লিখি, সেটি একটি গল্পই ছিল। কলেজ ম্যাগাজিনে প্রথম যে লেখাটি ছাপানো হয়েছিল তা-ও ছিল গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুরু করি কবিতা রচনা, পাশাপাশি চলে গদ্য চর্চাও। এখন মনে হয়, কবিতায় যা বলতে পারি না, তা বলতেই হয়তো গল্প লিখি। দ্বিতীয়ত, গল্প লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, লিখে ভাল লাগে।
২. শুরুর লেখাগুলি কেমন ছিল?
শুরুর লেখাগুলিতে বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট ছিল। প্লট নির্বাচনে, ভাষা ভঙ্গিতে, মিথ ব্যবহারে, উপস্থাপন ভঙ্গিতে নতুনত্ব আনার চেষ্টা ছিল। এখনো তাই আছে, হয়তো এখন ব্যাপার গুলো আরো পরিণত হয়েছে।
৩. শুরুর লেখাগুলোর বিষয় বা আখ্যানগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো কোন পর্যায়ে আছে? এগুলোর মধ্যে পরিবর্তনের চিনহগুলো বলুন।
নিজের পরিবর্তনগুলো নিজে থেকে সনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ ১৫/২০ বছর আগে যে আন্তরিকতা নিয়ে লিখতাম, যে আবেগ থেকে লিখতাম, এখনো লেখার সময় কম-বেশি সেই আন্তরিকতা আর আবেগ-ই তো অনুভব করি। ৯০ থেকে ২০১৩’ বিশ বছরেরও বেশি সময়, সময়ের সাথে সাথে বাস্তবতা পাল্টেছে, কাগজ-কলমের বদলে কমপিউটরে লিখতে শুরু করেছি, তাও এক যুগ হবে, নিজের পরিবর্তন সম্পর্কে বিব্রত হয়ে তোত্লাতে তোত্লাতে এটুকু বলতে পারি যে, প্রথম বই ‘জ্বিনের কন্যা’ (১৯৯৭)এর গল্পগুলোতে হয়তো কাব্যিক ভাষা ও যাদুময় কল্পনা ব্যবহারের সচেতন চেষ্টা ছিল বেশি। দ্বিতীয় বই- ‘আমি আর আমিন যখন আজিমপুরে থাকতাম’(২০০৩)- এর গল্পগুলো অনেকটাই ইনফরমাল- গদ্যভঙ্গী আরো বেশি কমিউনিকেটিভ হয়ে উঠছিল। আখ্যান বর্ণনাতে একটা আলাপী ভঙ্গী ছিল। গল্পগুলো অনেকটাই বাস্তবতার ভূমিতে দাঁড়িয়ে ডানা মেলেছিল কল্পনার আকাশে। তৃতীয় বই ‘মাটির ট্রানজিষ্টার’ (২০০৬) প্রথম দুটি বইয়ের ধারাবাহিকতাই ধরে রেখেছে। আমার চতুর্থ গল্প গ্রন্থ ‘বাদুর ও ব্র্যান্ডি’ (২০১০) কিংবা পঞ্চম গল্পগ্রন্থ ‘ধূলির শয্যা’(২০১১)-বা পরবর্তী গল্পগ্রন্থ নির্জনতার খাদ্য’(২০১২) -সবগুলোতেই বিষয়ের নতুনত্ব আনার পাশাপাশি আঙ্গিকগত নিরীক্ষা অব্যাহত ছিল। সেইসাথে একটু সারল্য-ও হয়তো এসেছে বর্ণণাভঙ্গীতে।
৪. গল্প লেখার জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছেন? নিলে সেগুলো কেমন?
ঠিক আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তুতি নেই’নি। স্বতস্ফূর্তভাবেই লিখতে শুরু করেছি। ছোটবেলা থেকেই প্রচুর গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ পড়েছি। সেসব নিয়ে ভেবেছি। চিন্তা করেছি। চারপাশটা নিজের মতো করে দেখেছি। তারপর লিখেছি।
৫. আপনার গল্প লেখার কৌশল বা ক্রাফট কি?
সচেতন কোন কৌশল নেই। পৃথক গল্পের জন্য পৃথক কৌশল। কখনো গল্পের প্লট নিয়ে ভেবেছি, তারপর লিখতে বসেছি। কখনো ছোট্ট কোন ঘটনা, বিশেষ কোন পর্যবেক্ষণ, ব্যতিক্রমী কোন সংলাপ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে দেখেছি গল্প দাঁড়িয়ে গেছে। সাধারণতঃ গল্পের শুরুটা নিয়ে বেশি ভাবি, প্রথম লাইনগুলো লিখে ফেলতে পারলে গল্প অনেকটাই এগিয়ে যায় বলে মনে করি।
৬. আখ্যান এবং ম্যজিক প্রসঙ্গে --
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শাহনাজ মুন্নীর জন্ম 1969 -এ ঢাকায়। সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি পেশায় টেলিভিশন সাংবাদিক। এটিএন বাংলার নিউজ এডিটর। সাংবাদিক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও তিনি মূলত লেখক। এ পর্যন্ত গল্প উপন্যাস গবেষণা মিলিয়ে তার বইয়ের সংখ্যা আঠারোটি। তার স্বভাবে আছে এক ধরণের নির্মোহতা। শিল্পেও তার প্রভাব দেখা যায়। তার গল্পে সবসময়ই একটা গল্প থাকে। চরিত্রগুলো বিকশিত হয় সহজিয়া প্রেরণায়। জবরদস্তি নয়, সহজাত নির্দেশনা ধরেই যেন তার কথাশিল্পের চরিত্রগুলো নিজস্ব পথে পদচারণা করেন। তার কথাশিল্পের ভাষা রসবোধসম্পন্ন, কাব্যসংলগ্ন ও স্বতস্ফূর্ত। মুন্নীর কবিতাও তার ব্যক্তি স্বভাবের মতোই অউচ্চকিত। মৃদুভঙ্গীতে তিনি মোক্ষম বোধটি ব্যক্ত করে ফেলেন। যার অনুরণন থেকে যায় ঢেউ মিলিয়ে যাবার পরও।
গল্পপাঠে শাহনাজ মুন্নী দুই দফায় তাঁর লেখক ভুবনটি লিখে দিয়েছেন। --গল্পপাঠ
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১. গল্প লিখতে শুরু করলেন কেন?
কোন উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করিনি। ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়ার সময় প্রথম যে লেখাটা লিখি, সেটি একটি গল্পই ছিল। কলেজ ম্যাগাজিনে প্রথম যে লেখাটি ছাপানো হয়েছিল তা-ও ছিল গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুরু করি কবিতা রচনা, পাশাপাশি চলে গদ্য চর্চাও। এখন মনে হয়, কবিতায় যা বলতে পারি না, তা বলতেই হয়তো গল্প লিখি। দ্বিতীয়ত, গল্প লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, লিখে ভাল লাগে।
২. শুরুর লেখাগুলি কেমন ছিল?
শুরুর লেখাগুলিতে বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট ছিল। প্লট নির্বাচনে, ভাষা ভঙ্গিতে, মিথ ব্যবহারে, উপস্থাপন ভঙ্গিতে নতুনত্ব আনার চেষ্টা ছিল। এখনো তাই আছে, হয়তো এখন ব্যাপার গুলো আরো পরিণত হয়েছে।
৩. শুরুর লেখাগুলোর বিষয় বা আখ্যানগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো কোন পর্যায়ে আছে? এগুলোর মধ্যে পরিবর্তনের চিনহগুলো বলুন।
নিজের পরিবর্তনগুলো নিজে থেকে সনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ ১৫/২০ বছর আগে যে আন্তরিকতা নিয়ে লিখতাম, যে আবেগ থেকে লিখতাম, এখনো লেখার সময় কম-বেশি সেই আন্তরিকতা আর আবেগ-ই তো অনুভব করি। ৯০ থেকে ২০১৩’ বিশ বছরেরও বেশি সময়, সময়ের সাথে সাথে বাস্তবতা পাল্টেছে, কাগজ-কলমের বদলে কমপিউটরে লিখতে শুরু করেছি, তাও এক যুগ হবে, নিজের পরিবর্তন সম্পর্কে বিব্রত হয়ে তোত্লাতে তোত্লাতে এটুকু বলতে পারি যে, প্রথম বই ‘জ্বিনের কন্যা’ (১৯৯৭)এর গল্পগুলোতে হয়তো কাব্যিক ভাষা ও যাদুময় কল্পনা ব্যবহারের সচেতন চেষ্টা ছিল বেশি। দ্বিতীয় বই- ‘আমি আর আমিন যখন আজিমপুরে থাকতাম’(২০০৩)- এর গল্পগুলো অনেকটাই ইনফরমাল- গদ্যভঙ্গী আরো বেশি কমিউনিকেটিভ হয়ে উঠছিল। আখ্যান বর্ণনাতে একটা আলাপী ভঙ্গী ছিল। গল্পগুলো অনেকটাই বাস্তবতার ভূমিতে দাঁড়িয়ে ডানা মেলেছিল কল্পনার আকাশে। তৃতীয় বই ‘মাটির ট্রানজিষ্টার’ (২০০৬) প্রথম দুটি বইয়ের ধারাবাহিকতাই ধরে রেখেছে। আমার চতুর্থ গল্প গ্রন্থ ‘বাদুর ও ব্র্যান্ডি’ (২০১০) কিংবা পঞ্চম গল্পগ্রন্থ ‘ধূলির শয্যা’(২০১১)-বা পরবর্তী গল্পগ্রন্থ নির্জনতার খাদ্য’(২০১২) -সবগুলোতেই বিষয়ের নতুনত্ব আনার পাশাপাশি আঙ্গিকগত নিরীক্ষা অব্যাহত ছিল। সেইসাথে একটু সারল্য-ও হয়তো এসেছে বর্ণণাভঙ্গীতে।
৪. গল্প লেখার জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছেন? নিলে সেগুলো কেমন?
ঠিক আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তুতি নেই’নি। স্বতস্ফূর্তভাবেই লিখতে শুরু করেছি। ছোটবেলা থেকেই প্রচুর গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ পড়েছি। সেসব নিয়ে ভেবেছি। চিন্তা করেছি। চারপাশটা নিজের মতো করে দেখেছি। তারপর লিখেছি।
৫. আপনার গল্প লেখার কৌশল বা ক্রাফট কি?
সচেতন কোন কৌশল নেই। পৃথক গল্পের জন্য পৃথক কৌশল। কখনো গল্পের প্লট নিয়ে ভেবেছি, তারপর লিখতে বসেছি। কখনো ছোট্ট কোন ঘটনা, বিশেষ কোন পর্যবেক্ষণ, ব্যতিক্রমী কোন সংলাপ নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে দেখেছি গল্প দাঁড়িয়ে গেছে। সাধারণতঃ গল্পের শুরুটা নিয়ে বেশি ভাবি, প্রথম লাইনগুলো লিখে ফেলতে পারলে গল্প অনেকটাই এগিয়ে যায় বলে মনে করি।
৬. আখ্যান এবং ম্যজিক প্রসঙ্গে --
আখ্যান বর্ণনা আমার পছন্দ, ছোটবেলা থেকে মা-খালাদের মুখে নানারকম গল্প শুনে বড় হয়েছি, সেইসব গল্পের বর্ণনা ভঙ্গী, নাটকীয়তা আমাকে বরাবরই টেনেছে, ম্যাজিকও আমাদের গ্রাম-বাংলার গল্পগুলোতে আছে, এমনকি ধর্মীয় অলৌকিক গল্পগুলোতেও আমি ম্যাজিক খুঁজে পাই, আর সেসব থেকেই অনুপ্রাণিত হই। তবে জোর করে কোন আখ্যান রচনা বা অপ্রাসঙ্গিক ম্যাজিক ঢুকিয়ে দেয়ার পক্ষে আমি নই। বেশির ভাগ সময় গল্পের প্রয়োজনে ম্যাজিক আসে, ভাষা বদলে যায়, ভাষার প্রয়োজনে গল্প বদলে যায়, আরো কত কিছু যে ঘটে, প্রায়ই গল্পের রাশ ধরে রাখতে পারি না আমি, আমাকে বেকুব বানিয়ে গল্প চলতে থাকে নিজের কায়দায়, সেই চলার পথে সে ম্যাজিক নেয় নাকি আখ্যানেই ডুবে থাকে সেটা তার অর্থাৎ সেই গল্পের ব্যক্তিগত ব্যাপার হয়ে পড়ে।
৭. নিজের গল্পের বিষয়ে নিজের বিবেচনা কি?
ভাল গল্প লেখার চেষ্টা করি। চেষ্টায় কোন ঘাটতি রাখি না। গল্পে সেই চেষ্টার ছাপটা হয়তো থাকে। বাকি বিবেচনা যারা পাঠ করেন তাদের।
৮. আদর্শ গল্পকার কে? কেনো আদর্শ মনে করেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর গল্পের বিচিত্র বিষয় বিন্যাস ও আঙ্গিকের জন্য।
৯. প্রশ্ন : আপনার পড়া লেখকদের গল্পগুলো নিয়ে বলুন। কি শিখেছেন? কিভাবে শিখেছেন? –নিয়েছেন?
পড়ার ক্ষেত্রে আমি সর্বভূক টাইপের। ক্লাসিক সব লেখকের লেখার পাশাপাশি থ্রিলার, রহস্য রোমাঞ্চ, ভুতের গল্প কিছুই বাদ দিইনি। তবে শুধু গল্পকারদের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে কাকে ছেড়ে কার কথা বলি? তারাশংকর, বিভুতিভুষণ বন্দোপধ্যায়, মনোজ বসু, মহাশ্বেতা দেবী, বনফুল, সমরেশ বসু ও মজুমদার, সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ, নরেন্দ্র নাথ মিত্র, সৈয়দ মুজতবা আলী, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ শামসুল হক, আল-মাহমুদ, আবদুল মান্নান সেয়দ, মাহমুদুল হক, এমনকি ফ্রানৎস কাফকা, সমারসেট মম -------- এদের লেখা অনেক গল্প পড়ে বিস্মিত হয়েছি, ভাল লাগায় আচ্ছন্ন হয়েছি। সচেতন ভাবে না নিলেও অবচেতনে এদের অনেকের কৃৎ-কৌশলই হয়তো নিজের মতো করে, নিজের লেখায় আত্মস্থ করেছি। হয়তো শিখেছি লেখার ভঙ্গী, নিয়েছি দেখার রীতি-নীতি।
১০. প্রশ্ন : কয়েকটি গল্প থেকে এই লেখার পেছনের কথাগুলো বলুন।
প্রশ্নটা বুঝিনি, নিজের গল্প লেখার পেছনের কথা? তাহলে সেটা বলতে চাই না। কিভাবে বাজার করলাম, কিভাবে রাধুনীর রান্নাঘরে এসে আগুনের তাপে আর মশলার কারসাজিতে তা বদলে গেলো সেসব সবার সঙ্গে শেয়ার না করলেও চলে।
১১. কার জন্য লেখেন? পাঠকের কথা মাথায় রেখে লিখেন? কেনো পাঠককে মনে রাখেন না?
প্রথমত নিজের জন্যই লিখি, তারপর লিখি পাঠকের জন্য। লেখার সময় পাঠককে মনে রাখি না ঠিক, কিন্তু লেখা শেষ করে সেই তো সমঝ্দার পাঠকের অপেক্ষাতেই থাকি।
১২. এখন কি লিখছেন? আগামীতে কি লিখবেন?
এখন গল্প লিখছি। উপন্যাস লেখারও ইচ্ছা আছে।

শাহনাজ মুন্নীর গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন>>
৭. নিজের গল্পের বিষয়ে নিজের বিবেচনা কি?
ভাল গল্প লেখার চেষ্টা করি। চেষ্টায় কোন ঘাটতি রাখি না। গল্পে সেই চেষ্টার ছাপটা হয়তো থাকে। বাকি বিবেচনা যারা পাঠ করেন তাদের।
৮. আদর্শ গল্পকার কে? কেনো আদর্শ মনে করেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর গল্পের বিচিত্র বিষয় বিন্যাস ও আঙ্গিকের জন্য।
৯. প্রশ্ন : আপনার পড়া লেখকদের গল্পগুলো নিয়ে বলুন। কি শিখেছেন? কিভাবে শিখেছেন? –নিয়েছেন?
পড়ার ক্ষেত্রে আমি সর্বভূক টাইপের। ক্লাসিক সব লেখকের লেখার পাশাপাশি থ্রিলার, রহস্য রোমাঞ্চ, ভুতের গল্প কিছুই বাদ দিইনি। তবে শুধু গল্পকারদের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে কাকে ছেড়ে কার কথা বলি? তারাশংকর, বিভুতিভুষণ বন্দোপধ্যায়, মনোজ বসু, মহাশ্বেতা দেবী, বনফুল, সমরেশ বসু ও মজুমদার, সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ, নরেন্দ্র নাথ মিত্র, সৈয়দ মুজতবা আলী, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ শামসুল হক, আল-মাহমুদ, আবদুল মান্নান সেয়দ, মাহমুদুল হক, এমনকি ফ্রানৎস কাফকা, সমারসেট মম -------- এদের লেখা অনেক গল্প পড়ে বিস্মিত হয়েছি, ভাল লাগায় আচ্ছন্ন হয়েছি। সচেতন ভাবে না নিলেও অবচেতনে এদের অনেকের কৃৎ-কৌশলই হয়তো নিজের মতো করে, নিজের লেখায় আত্মস্থ করেছি। হয়তো শিখেছি লেখার ভঙ্গী, নিয়েছি দেখার রীতি-নীতি।
১০. প্রশ্ন : কয়েকটি গল্প থেকে এই লেখার পেছনের কথাগুলো বলুন।
প্রশ্নটা বুঝিনি, নিজের গল্প লেখার পেছনের কথা? তাহলে সেটা বলতে চাই না। কিভাবে বাজার করলাম, কিভাবে রাধুনীর রান্নাঘরে এসে আগুনের তাপে আর মশলার কারসাজিতে তা বদলে গেলো সেসব সবার সঙ্গে শেয়ার না করলেও চলে।
১১. কার জন্য লেখেন? পাঠকের কথা মাথায় রেখে লিখেন? কেনো পাঠককে মনে রাখেন না?
প্রথমত নিজের জন্যই লিখি, তারপর লিখি পাঠকের জন্য। লেখার সময় পাঠককে মনে রাখি না ঠিক, কিন্তু লেখা শেষ করে সেই তো সমঝ্দার পাঠকের অপেক্ষাতেই থাকি।
১২. এখন কি লিখছেন? আগামীতে কি লিখবেন?

শাহনাজ মুন্নীর গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন>>
0 মন্তব্যসমূহ