রীতিবিরুদ্ধ গল্প পদ্ধতি


সাজেদা হক

আপনি কি কখনও এমন গল্প বা উপন্যাস লেখার চিন্তা করেছেন, যা বহুবার, বার বার বলা হয়েছে! নতুন করে বলার তেমন কিছুই নাই, এমন মনে হচ্ছে আপনার?কিংবা নতুন করে বলার কোনো পদ্ধতি বা পথই খুজে পাচ্ছেন না আপনি? এর মানে আপনি প্রচলিত গল্প বলার বা লেখার মুড হারিয়ে ফেলেছেন। নতুন কিছু, ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চাইছেন! তাহলে আপনার জন্যই নীচে এমন কিছু রীতিবিরুদ্ধ গল্প বা উপন্যাস তৈরির কৌশল সন্নিবেশিত করা হলো। মিলিয়ে দেখতে পারেন, পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন!



১. ছবি
ছবি, একসাথে অনেক কথা বলে! বলা যায় অসম্পূর্ণতা পূর্ণতা এনে দিতে পারে একটি ছবি। মূহুর্তেই বদলে দিতে পারে কাহিনীর মোড়। পাঠকের সামনে মুহুর্ত তুলে ধরতে পারে, তুলে ধরতে পারে ব্যক্তি, স্থান, বা চিন্তা-ধারণাকেও। যা আপনি সহজে বলছেন না বা বলতে চাইছেন না। কিন্তু ছবি আপনার চরিত্রের প্রকৃতি ও পর্যবেক্ষকের কাজ করতে পারে। কাজ করতে পারে চরিত্রের আবেগ বা অনুভূতি হিসেবেও। চরিত্রের কাব্যিক উপস্থাপনার জন্য কখনও কখনও ছবির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। সাধারণত একটি ঐতিহ্যবাহী চক্রান্ত নিয়ে লেখা কথাসাহিত্যের বেলাতেও ছবির ব্যবহার করা যেতে পারে। সংঘাত অথবা সমাধানের জন্যও লেখক অস্ত্র হিসেবে পাঠকের সামনে ছবি নিয়ে হাজির হতে পারে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি আপনার কথা সাহিত্যে যোগ করতে পারেন ভিন্নমাত্রা।


২. খন্ডিত জীবন
ছবির মতোই কথাসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ বা টুলস হলো মানুষের খন্ডিত জীবন। ফালি ফালি করে উপস্থাপিত জীবন কাহিনীর প্রতি মানুষের আজন্ম আগ্রহ। পাঠকের এ আগ্রহকেও পুজি করে তৈরি করতে পারেন পছন্দের গল্পের প্লট। অসম্পূর্ণ পাওয়া, সাধারন-বিশেষ মূহুর্ত, চিন্তার ভিন্নতা, দৃশ্যকল্পের ভিন্নতা সবই যোগ করতে পারেন আপনার উপন্যাসে। অনেকটা সাংবাদিকতার মতো, অনুসন্ধিচ্ছু মনকে কাজে লাগাতে পারেন নিজ উপন্যাস বা কথাসাহিত্যকে নতুনভাবে উপস্থাপনের জন্য।


৩. তালিকা
গল্প লেখার অনেক উপায় বা পদ্ধতি থাকে। কিন্তু সাধারনত, আমরা একটি গল্পকে কখনো দৃশ্যে, কখনো ঘটনার বর্ননা, বা মুল গল্পের চিন্তাকেই তালিকাভূক্ত করি। কিন্তু কখনই খুটিনাটি বিষয়গুলোর তালিকা তৈরি করি না। কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেমন ধরেন আপনি মোটা দাগে চিন্তা করেছেন যে একটি বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে উপন্যাস লিখবেন। আপনি তালিকা করেছেন চরিত্র, চরিত্রের চিন্তা কিংবা কোথায়, কখন, কিভাবে, পরিনতি কি হলো এইসবের। কখনও ভেবে দেখেছেন ডিভোর্সের কত ধরণের কারণ হতে পারে? সম্পর্কের কত ধরণ হতে পারে, মানসিক কত রকমের দ্বন্দ হতে পারে, পারে না। লিখে ফেলুন না কারণগুলো!! পেলেন ব্যতিক্রম কিছু! এবার প্রয়োজনমতো যোগ করুন আপনার উপন্যাসে। চিন্তা করুন তো একটি শিশুকে যদি আপনি সিরিয়াল কিলার হিসেবে দেখিয়ে একটা গল্প দাড় করাতে পারেন, তাহলে সেটি কেমন হবে?

কি ককি কারণে একটি শিশু খুন করতে পারে? আবার কেবল একটিই খুন নয়, বার বার খুন করে, খুনের নেশাই পেয়ে বসতে পারে তাকে...ভেবেছেন এভাবে? তালিকাটা করুন না, দেখবেন পেয়েই যাবেন ভিন্নভাবে উপস্থাপনের বাহারি গল্প।


৪. পত্রগল্প
গল্পে বা কথা সাহিত্যে ইমেল, টুইট, ভয়েস মেইল, বা যোগাযোগের অন্যান্য সমসাময়িক পদ্ধতি ব্যবহার করুন। কারণ অনেক সময় গল্পে এক বা একাধিক চিঠি বা পত্র যোগ করলেই সেটি পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠে। গল্পে এমন পত্র-যোগ আগেও হয়েছে, এখনো হয়। হয়তো ভবিষ্যতেও হবে। কথা সাহিত্যিক হিসেবে গল্পে বা সাহিত্যে এমন পত্র-যোগ কখনও প্রয়োজনে, কখনওবা তথ্য সংযুক্তির কৌশল হিসেবে আবার কখনওবা গল্পের মোড় হিসেবে যোগ হয়েছে পত্র। গল্পে পত্র কখনও হাতিয়ার, কখনও পরাজয়ের কারণ, কখনোবা মিলনের একমাত্র সুত্র। সুতরাং গল্পে পত্রের চাহিদা আগেও ছিলো, আছে থাকবে।

অতীত কথা কয়। সে কথা অন্য অনেকের চেয়ে ভিন্ন। হোক সে আবেগের বসে কিংবা সচেতনভাবেই।

চিঠি লেখার মাধ্যমেই রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা, দর্শন, ইতিহাস, উপদেশ সবই উপস্থাপনের একটা কৌশল হতে পারে গল্পে পত্রযোগ। এসবই সময়কে, কালের বিবর্তনকে ধরে রাখে অপন মহিমায়। সপ্তদশ শতকের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক স্যামুয়েল রিচার্ডসন তার তিনটি উপন্যাসে যুক্ত করেছেন পত্র, যা এখনো পাঠকপ্রিয়।

পত্র শৈলীর একটি বড় সুবিধা হলো চরিত্রের চিন্তাকে সহজেই পাঠকবোধ্য করে তোলা। চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিনিধিত্ব করার একটি কৌশল হিসেবে পত্র শৈলী যুক্ত হতে পারে। চিঠির সম্বোধন, বিশ্লেষন, কিংবা দর্শন, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও লেখক হিসেবে আপনি পত্রশৈলীর মাধমে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। আস্থা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে যুক্ত হতে পারে পত্র। ভালোবাসা, কিংবা বিচ্ছেদের জন্য বেছে নিতে পারেন পত্র মাধ্যম। যা চরিত্রটি সরাসরি বলতে পারছে না, বা বলা কঠিন হচ্ছে-এমন জটিল সমস্যার সমাধানও করে দিতে পারে পত্র শৈলী।


৫. সংলাপ নির্ভর
গল্পকে বা সাহিত্যকে সংলাপ নির্ভর করুন। ধরেন দুইটি চরিত্র কথা বলছে, কোন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের এক পর্যায়ে তারা চুক্তি করছে। হারলে এই হবে, জিতলে এই হবে। এমন ঘটনায় পাঠক একটি পক্ষ নেবে। পক্ষ নেয়ার কারণেই সে আপনার লেখা গল্পে নিজেকেই একটি চরিত্র হিসেবে ভাবতে থাকবে। আপনি হয়ে উঠবেন তার প্রিয়ভাজন। একইভাবে সংঘর্ষেও পক্ষ তৈরি করুন, মতামতে ভিন্নতা দিয়ে সংলাপ যোগ করুন। দেখবেন আপনার গল্পের কথা সবার মুখে মুখে ফিরছে। চক্রান্ত, দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ এমনকি প্রেম-মিলন-বিরহ সবক্ষেত্রেই সংলাপের ব্যবহার করুন।শুধু সংলাপই নয়, সংলাপের মাধ্যমে চরিত্রগুলোকে আরো জটিল, আরো রহস্যময় করে তুলুন। কারণ, সাহিত্যে সংলাপ যোগ একটি অত্যান্ত আকর্ষক সংমিশ্রণ।


৬. নিজ বলয়
ছোটবেলা থেকেই যাদের গল্প উপন্যাস পড়ে বড় হয়েছেন, বুঝতে লিখেছেন তাদের মতো করে আপনি লিখলে চলবে কেন? তাই নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করুন। লেখার ধরণ, গল্পের প্লট, চরিত্র, চিন্তা, সংলাপ, ছবি, স্টাইলে সব কিছুতেই নিজস্বতার ছাপ রাখুন। আর এ জন্য আপনার থাকা দরকার নিজস্ব একটি ইনডেক্স তৈরি করুন। প্রয়োজনীয় সব নাম্বার এক জায়গায় রাখুন, জোগাড় করুন। যেসব আইডিয়া মাথায় আসছে, তা টুক করে লিখে ফেলুন। তবে সব আইডিয়াগুলো এক জায়গাতেই লেখার চেষ্টা করুন, যাতে পরবর্তীতে আপনার চিন্তার জন্য সহায়ক হয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে তো আবার জড়ো করার ঝামেলা। তাই শুরুতেই গুছিয়ে নিয়ে বসুন।


৭. কল্পকাহিনী লিখুন
সক্রিয়,সচেতনভাবেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষক কিছু লেখার জন্য মনোযোগী হোন। পরাবাস্তবতা কিংবা কল্পকাহিনী মানুষের ভীষন পছন্দ। চেষ্টা করে দেখেন লিখতে পারেন কি না? কালে কালে এমন অনেক কল্পকাহিনী মানুষকে আন্দোলিত করেছে, করছে এবং করবে। এর প্রয়োজনীয়তা কখনই ফুরাবে না। তাই অতি সতর্কতার সাথে, সচেতনভাবেই এমন কল্পকাহিনী দিয়েও মেটাতে পারেন আপনার লেখা-লেখির খায়েশ।


৮. মধ্যম পুরুষ
অনেক কল্পকাহিনী লেখা হয়েছে মধ্যম পুরুষে। মধ্যম পুরুষে লেখা কল্পকাহিনী জনপ্রিয় হয়েছে বেশ। উদাহরণ হিসেবে আমেরিকান একটি সিনেমার কথা বলা যেতে পারে, ছবিটির নাম ফাইট ক্লাব। সে ছবির নায়ক আমেরিকার কিছু নিয়ম পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে যান। সে ছবির একটি ডায়ালগ হলো, ‘তুমি বিশেষ কেউ নও, তুমি সুন্দরও নও, কিংবা তুষার কণার মতো শুভ্রও নও। কিন্তু তুমি তাদের চেয়ে কোন অংশেই কম নও।‌’

এই বাক্যটি অনেক কাল মানুষ মনে রেখেছে। এখনও ব্যবহার করেন অনেকেই

তেমনি আর একটি সুপরিচিত ডায়ালগের উদাহরণ ‘বড় শহরের উজ্জ্বল আলো’ ‌যা এখনো সম্মোহিত করে পাঠককে।


৯. অস্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ
সবাই যা ভাবে তা আপনি ভেবে কথাসাহিত্য যোগ করলে চলবে কেন? তাই আপনার ভাবনা্ হবে অন্যরকম। অস্বাভাবিক রকমের সমাধানে পটু হবেন আপনি। যেমন ধরেন, কেন কেবল মানুষ কি ভাবে তাই নিয়ে একটি উপন্যাস লিখে ফেলবেন, একটি বৃক্ষ, প্রানী কি ভাবে তার চিন্তার জগত থেকে, দৃষ্টিকোণ থেকেও থেকে তো একটি উপন্যাস দাড় করানো যেতে পারে। কি পারে না? লাঞ্চেন গল্পের কথা মনে আছে আপনাদের কিংবা দ্য ওল্ড ম্যান ওন্ড দ্য সি অথবা বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট। চিন্তার-ভেরিয়েশনটা দেখুন। আপনার মাথায় নতুন চিন্তা উকি দিচ্ছে, তাই না? আমি নিশ্চিত।


১০. সাহিত্যের দৈর্ঘ্য
ছোট গল্পের দৈর্ঘ্যৈর একটা সীমাবদ্ধতা আছে বৈকি। গল্পভেদে দৈর্ঘ্যের তারতম্যও হয় বটে। তবে ছোট গল্পগুলো সাধারণত একহাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। অনেক প্রকাশনাতেই আরো কম দৈর্ঘ্যের গল্প আশা করেন। তারা পাচশ থেকে একহাজার শব্দের মধ্যেই একটি ছোট গল্প দাড় করিয়ে দিতে বলেন। আবার এই দৈর্ঘ্য কখনও কখনও একশ থেকে পাচশও হতে পারে। আবার কেবল ১০০ শব্দেও একটি গল্প দাড় করাতে হতে পারে। মনে করুণ ছোটদের জন্য লেখা গল্পগুলো। ঠুকুমার ঝুলি কিংবা বিরাট দৈত্যের গল্পের কথা। মনে পড়েছে? না পড়লে এখনি একটা কিনে আনুন। দেখবেন কত কম শব্দে একটি চমতকার গল্প দাড় করানো যায়।

সবচেয়ে ছোট গল্প লেখা হয়েছিল ছয় শব্দে। গল্পের নাম হ্যামিংওয়ে স্টোরি।

একথাও ঠিক যে, এতো অল্প শব্দে সংঘাত, সংঘর্ষ, চ্যালেঞ্জ, রহস্য, বিপ্লব, সমাধান শেষে একটি সাহিত্য লিখে ফেলাটা আসলেই কঠিন কাজ। কিন্তু এটাও যে সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তাতে কি সহজ কাজ তো আপনার জন্য নয়। আপনি যে লেখক, কঠিনেরে ভালোবেসেই তো আজকেই এই আপনি!!


১১. রশোমন
রশোমন। জাপানিজ পরিচালক আকিরা কুরুসাওয়ার বিখ্যাত একটি ছবির নাম। ১৯৫০ সালে এটি নির্মান করেন সেভেন সামুরাই খ্যাত এ পরিচালক। মূলত একই ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের দৃষ্টিকোণের উপর ভিত্তি করেই ছবিটি নির্মাণ করেছেন আকিরা। রশোমনে এক ডাকাত, জাপানী ফৌজি অফিসার, তার স্ত্রী এবং এক কাঠুরিয়ার স্বীকারোক্তিমুলক ছবি।

একটি সম্ভাব্য ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডকে ঘিরেই ছবির কাহিনী আবর্তিত। ছবিটি দেখেছেন? না দেখে থাকলে সংগ্রহ করে দেখে নিতে পারেন এক পলক। গল্প উপস্থাপনার নতুনতর কৌশল এটি। আপনি পেয়ে যাবেন আপনার নতুন গল্পের নয়া প্লট।

১২. অবিশ্বস্ত চরিত্র নির্মাণ
এটা ঠিক বিশ্বাস হবে কি না জানি না, তবে আমার মনে হয় সাহিত্যে এমন এক বা একাধিক চরিত্র থাকতেই পারেন, যার বক্তব্যের কোন বিশ্বস্ততা থাকবে না। আর এই চরিত্রটিই আপনার গল্পে টুইস্টের কাজ করতে পারে। কুটনি টাইপের চরিত্র, অবিশ্বাসী। যা বলে, তা সে নিজেই বিশ্বাস করে না। আবার যা করে, তা নিজেই বিশ্বাস করে না। কৌতুক চরিত্র নয়, বিশ্বাসীও কেউ না.. কিন্তু গল্পের জন্য অপরিহার্য। ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে এই চরিত্রটি আপনার কথাসাহিত্যকে নিয়ে যেতে পারে অন্য এক উচ্চতায়।

১৩. বিপরীত দিনপঞ্জি
গল্পের খুব টান টান উত্তেজনার সময়, হুট করেই সমাধান না করে দিয়ে, একটু ঘুরিয়ে আনুন পাঠককে। আবার শুরু থেকে ভাবতে শুরু করতে পাঠককে বাধ্য করুন। কল্পিত সমস্যার সমাধানবের করে আনুন আপনার গল্প শুরুর প্রথম দিককার কোন একটি ভালো মোড় থেকে। অর্থাত বিপরীত দিক থেকে হাটা শুরু করুন। পাঠকের জন্য দুর্ভেদ্য হয়ে উঠুন। স্মৃতি হারিয়ে দিন চরিত্রের, কিংবা কোমায় নিয়ে যান। আরো জটিল কোন ক্লাইমেক্স তৈরি করুন। দেখবেন কিভাবে ভক্তের পারদ দরদরিয়ে বেড়ে উঠে!!

১৪. পাদটিকা
পাদটীকা মূলত একটি সাংবাদিকতার পদ্ধতি। কিন্তু অনেক সাহিত্যিকই গল্প শেষে পাদটিকা ব্যবহার করেন। এর ভালো উদাহরণ হলেন ডেভিড ফস্টার। তিনি তার প্রায় গল্পেই পাদটিকা ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক নয়। আপনার সিদ্ধান্তটা আপনিই নিন।

১৫. চরম সচেতনতা
গল্পের সমাপ্তি টানার ক্ষেত্রে চরম সতকর্তা অবলম্বন করুন। যে আঙ্গিকে, যে চিন্তা-চেতনার উপর ভর করে আপনার প্রধান চরিত্র এতক্ষণ পাঠকের হৃদয়ে আসন গেড়েছেন, সমাপ্তিতে এসে যেনো কোনোভাবেই তার খেই না হারিয়ে যায়। সুতরাং সাধু, সাবধান। 


উপসংহার
গল্পের শেষে একটি উপসংহার যোগ করতে পারে। কোন চিন্তা থেকে আপনি এই সমাধান করলেন তা পাঠকের সাথে শেয়ার করতে পারেন। পাঠকের সাথে লেখকের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সাহিত্যের শেষে উপসংহার দিতে পারেন। এতে আপনার চিন্তার উতস যেমন শেয়ার করার সুযোগ থাকছে, তেমনি থাকছে আখ্যানের পটভূমি, চরিত্রের বিশ্লেষনসহ নানাদিক নিয়ে আলোচনা শেয়ারিং এর সুযোগ। চাইলে কাজে লাগাতে পারেন। সিদ্ধান্ত আপনার!




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ