আমার প্রিয় লেখক স্বকৃত নোমান বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ঔপন্যাসিক। দু-বছর ধরে তিনি লিখেছেন ‘কালকেউটের সুখ’ নামের একটি উপন্যাস। সম্প্রতি উপন্যাসটি লেখা শেষ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সঙ্কট এ উপন্যাসের বিষয়। উপন্যাসটি এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে।
নোমান লিখেছেন সুন্দর বন এলাকার একটি গ্রামের কাহিনী। কাহিনীর প্রধান চরিত্র হিন্দু মৌয়াল পরিবারের মানুষ। যারা মধু সংগ্রহ করে তাদেরকে মৌয়াল বলে। এরা সবদিক থেকেই ব্রাত্যজন।
পাকিস্তানপর্ব থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দাঙ্গার শিকার হচ্ছে। নীরবে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ধর্মান্তরিত হয়ে পূর্বপুরুষের ভিটার থাকার শেষ চেষ্টা করছে। তাতেও রেহাই নেই। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীর উৎপীড়নে হচ্ছে উন্মূল। দেশটি একটি একমুখী অন্ধকারের দিকে যাত্রা করেছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশে কেউ মুখ খোলেন না। লিখতে চান না।
নোমান সাহসী মানুষ। তিনি থোড়াই পরোয়া করেন কোনো ভয়-ভীতি বা প্রচলিত কনভেনশনের প্রতি। তিনি লিখেছেন এই ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক নিপীড়ণের একটি অন্ধকার রূপচিত্রময় আখ্যান। নাম দিয়েছেন কাল কেউটের সুখ। নোমানের যে কোনো লেখাই বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। কারণ নোমানের বিশ্বাসের জায়গাটি স্বচ্ছ যা আমাদের দেশের দেশের লেখকদের মধ্যে ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। ঐতিহাসিক জাতিঘৃণা বিষয়টিকে তিনি ঘৃণা করেন। মানুষকে তিনি মানুষ হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত। এটাই নোমানের শক্তি।
নোমানের সঙ্গে এই উপন্যাসটি নিয়ে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছিল। নোমান আমাকে বলেছেন--
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কটি জেলা আমরা ভ্রমণ করলাম সেবার।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সুন্দরবন দেখতে যাব, সাতক্ষীরার শ্যামনগর। তার আগে যাত্রাবিরতি করলাম খুলনার ডুমুরিয়ায় নীলিমাদের বাড়িতে, যিনি স্থানীয় একটি ইউনিয়ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে শাহানের আগে থেকে যোগাযোগ, কারণ তিনিও অল্পবিস্তর লেখালেখি করেন। তাঁর কন্যা তন্নী লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত।
সেদিন দুপুরে আমরা নীলিমা খালর বাড়িতে খেলাম। বেশ ভালোই আপ্যায়ন করলেন। আলাপের এক পর্যায়ে জানতে পারি সম্প্রদায়গতভাবে নীলিমা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী, যাঁদের সুন্নি মুসলমানরা ‘কাদিয়ানি’বলে থাকে, যাঁরা পাকিস্তানের তাত্ত্বিক (সুন্নী মুসলমানদের দৃষ্টিতে যিনি বিতর্কিত, কাফের) গোলাম আহমদ কাদিয়ানির তত্ত্বের অনুসারী। অপরদিকে নীলিমার মা হিন্দু ধর্মের অনুসারী। কিন্তু মা-মেয়ে একই বাড়িতেই থাকেন। মা পুজা-অর্চনা করেন, মেয়ে নামাজ পড়েন। দুজনের দুই ধর্ম পালনে কোনো সমস্যা হয় না। জানতে পারি, নীলিমার প্রয়াত বাবা হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিলেন এবং নীলিমার আরো দুই বোন মুসলমান। এক বোন ও এক ভাই ধর্মান্তরিত হননি, তারা যথারীতি হিন্দু ধর্মের অনুসারী। নীলিমার বাবাবাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার সুন্দরবন ঘেঁষা যতীন্দ্রনগর গ্রামে, যেখানে আমাদের যাবার কথা।
ব্যাপারটা আমাকে খানিকটা বিস্মিত করল। বিশেষ করে নীলিমা ও তাঁর মায়ের যৌথ বসবাসের ব্যাপারটা। কারণ আমি যে জায়গায় যে পরিবেশে যে পরিবারে বড় হয়েছি সেখানে হিন্দু-মুসলমান একত্রে একই বাড়িতে বসবাস প্রায় অকল্পনীয়, অসম্ভব। খুনোখুনি হয়ে যাবে। নীলিমাদের পারিবারিক কাহিনি শুনে আমার মধ্যে একটা উপন্যাসের বীজ বপিত হয় তখনই। আমার মধ্যে একটা ঘোর সৃষ্টি হয়। সিদ্ধান্ত নেই আজই যতীন্দ্রনগর চলে যাব। আমার মনে হয়েছিল আমি একটা প্লট পেয়ে গেছি। এটাকে ধরতে হবে। আজই। হারিয়ে যাবার আগেই। কিন্তু নীলিমা ও তাঁর কন্যা তন্নীর সঙ্গে শাহান আড্ডায় এতটাই ডুবে গিয়েছিলেন যে আমার বারবার তাগাদা সত্বেও তিনি ওই বাসা থেকে বেরুচ্ছিলেন না। আমি তো অস্থির। এক পর্যায়ে শাহানের সঙ্গে রাগারাগিও করি। শাহান আমার ওই ঘোর, ওই অস্থিরতা হয়ত বুঝতে পারছিলেন না। না বোঝারই কথা। কে জানে, হয়ত বুঝেছিলেন।
যাই হোক, পড়ন্ত বিকেলে আমরা যতীন্দ্রনগরের উদ্দেশে যাত্রা করি। নীলিমার ছোট বোন দীপালি ও ভাতিজি নীলাঞ্জনার নামের সঙ্গে আমি পরিচিতি, তাঁরা ইতোপূর্বে আমার লেখাজোখা পড়েছেন, অল্পবিস্তর লেখালেখি তাঁরাও করেন। তখন আমি সংবাদ ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক’-এর সহসম্পাদক। ডাকযোগে তাঁরা ‘সাপ্তাহিক’-এর ‘ডাকবন্ধু’বিভাগে নানা বিষয়ে লেখা পাঠাতেন, আমি সেগুলো যত্নসহ ছাপতাম। কারণ তাদের লেখা ছিল ভালো। লেখালেখির সুবাদে তাঁদের সঙ্গে সাহাবুদ্দিনের আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক। তাঁরা যতীন্দ্রনগরেই থাকেন। তাঁদের বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত প্রায় বারোটা বেজে গেল।
পরদিন একটা ডিঙা নৌকা নিয়ে দিপালি, নীলাঞ্জনা, মোহন ও শাহানসহ সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকি। আমি নৌকার গলুইতে বসা। দীপালি খালা বলছিলেন, ‘এদিকটায় হামেশা বাঘ আসে।’ওই ‘হামেশা’শব্দটি আমাকে এমনভাবে প্রভাবিত করল, পুরো উপন্যাসের কাহিনিটা যেন ওই শব্দটার মধ্যেই লুকায়িত ছিল। মনে মনে ঠিক করি উপন্যাসটির নাম হবে ‘হামেশা’; যদিও পরে এই নাম আর থাকেনি।
কুলদা রায় : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। নির্যাতনকারীদের প্রথম পছন্দ হিন্দু এবং কাদিয়ানী। এদের পক্ষে কথা বলাটাও বিপজ্জনক। ভারতের দালাল-মুরতাদ ইত্যাদি অভিধা জোটে। অথবা নির্বাসন। আপনি এই হিন্দু, কাদিয়ানীদের চরিত্র করে লেখার সাহস করলেন কীভাবে?
স্বকৃত নোমান : সাহসটা তো আমাকে দিয়েছে শিল্প। আমি প্রথমে যাচাই করে দেখেছি হিন্দু বা কাদিয়নী নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঠিক শিল্পীতভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব কিনা। যখন উপলব্ধি করতে পারলাম যে সম্ভব, তখনই আমি লিখতে শুরু করি। প্রকৃত শিল্পী তো কোনো কিছুকে ডরায় না। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী যদি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসবে না। সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো সাহস আমার আছে। এই সাহস আমি অর্জন করেছি নিরন্তর পাঠের মধ্য দিয়ে। নিশ্চয়ই পাঠ আমাকে সাহসী করে তুলেছে। দালাল বললে আমার কী যায় আসে। মুরতাদ হলেই বা অসুবিধা কী? ওসব আমি থোড়াই কেয়ার করি।
স্বকৃত নোমানের কাল কেউটের সুখ বইটি বইমেলা থেকে কিনে পড়ুন।
নোমান লিখেছেন সুন্দর বন এলাকার একটি গ্রামের কাহিনী। কাহিনীর প্রধান চরিত্র হিন্দু মৌয়াল পরিবারের মানুষ। যারা মধু সংগ্রহ করে তাদেরকে মৌয়াল বলে। এরা সবদিক থেকেই ব্রাত্যজন।
পাকিস্তানপর্ব থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দাঙ্গার শিকার হচ্ছে। নীরবে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ধর্মান্তরিত হয়ে পূর্বপুরুষের ভিটার থাকার শেষ চেষ্টা করছে। তাতেও রেহাই নেই। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীর উৎপীড়নে হচ্ছে উন্মূল। দেশটি একটি একমুখী অন্ধকারের দিকে যাত্রা করেছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশে কেউ মুখ খোলেন না। লিখতে চান না।
নোমান সাহসী মানুষ। তিনি থোড়াই পরোয়া করেন কোনো ভয়-ভীতি বা প্রচলিত কনভেনশনের প্রতি। তিনি লিখেছেন এই ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক নিপীড়ণের একটি অন্ধকার রূপচিত্রময় আখ্যান। নাম দিয়েছেন কাল কেউটের সুখ। নোমানের যে কোনো লেখাই বিশ্বাসযোগ্যতা পায়। কারণ নোমানের বিশ্বাসের জায়গাটি স্বচ্ছ যা আমাদের দেশের দেশের লেখকদের মধ্যে ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। ঐতিহাসিক জাতিঘৃণা বিষয়টিকে তিনি ঘৃণা করেন। মানুষকে তিনি মানুষ হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত। এটাই নোমানের শক্তি।
নোমানের সঙ্গে এই উপন্যাসটি নিয়ে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছিল। নোমান আমাকে বলেছেন--
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কটি জেলা আমরা ভ্রমণ করলাম সেবার।
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সুন্দরবন দেখতে যাব, সাতক্ষীরার শ্যামনগর। তার আগে যাত্রাবিরতি করলাম খুলনার ডুমুরিয়ায় নীলিমাদের বাড়িতে, যিনি স্থানীয় একটি ইউনিয়ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে শাহানের আগে থেকে যোগাযোগ, কারণ তিনিও অল্পবিস্তর লেখালেখি করেন। তাঁর কন্যা তন্নী লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত।
সেদিন দুপুরে আমরা নীলিমা খালর বাড়িতে খেলাম। বেশ ভালোই আপ্যায়ন করলেন। আলাপের এক পর্যায়ে জানতে পারি সম্প্রদায়গতভাবে নীলিমা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী, যাঁদের সুন্নি মুসলমানরা ‘কাদিয়ানি’বলে থাকে, যাঁরা পাকিস্তানের তাত্ত্বিক (সুন্নী মুসলমানদের দৃষ্টিতে যিনি বিতর্কিত, কাফের) গোলাম আহমদ কাদিয়ানির তত্ত্বের অনুসারী। অপরদিকে নীলিমার মা হিন্দু ধর্মের অনুসারী। কিন্তু মা-মেয়ে একই বাড়িতেই থাকেন। মা পুজা-অর্চনা করেন, মেয়ে নামাজ পড়েন। দুজনের দুই ধর্ম পালনে কোনো সমস্যা হয় না। জানতে পারি, নীলিমার প্রয়াত বাবা হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছিলেন এবং নীলিমার আরো দুই বোন মুসলমান। এক বোন ও এক ভাই ধর্মান্তরিত হননি, তারা যথারীতি হিন্দু ধর্মের অনুসারী। নীলিমার বাবাবাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার সুন্দরবন ঘেঁষা যতীন্দ্রনগর গ্রামে, যেখানে আমাদের যাবার কথা।
ব্যাপারটা আমাকে খানিকটা বিস্মিত করল। বিশেষ করে নীলিমা ও তাঁর মায়ের যৌথ বসবাসের ব্যাপারটা। কারণ আমি যে জায়গায় যে পরিবেশে যে পরিবারে বড় হয়েছি সেখানে হিন্দু-মুসলমান একত্রে একই বাড়িতে বসবাস প্রায় অকল্পনীয়, অসম্ভব। খুনোখুনি হয়ে যাবে। নীলিমাদের পারিবারিক কাহিনি শুনে আমার মধ্যে একটা উপন্যাসের বীজ বপিত হয় তখনই। আমার মধ্যে একটা ঘোর সৃষ্টি হয়। সিদ্ধান্ত নেই আজই যতীন্দ্রনগর চলে যাব। আমার মনে হয়েছিল আমি একটা প্লট পেয়ে গেছি। এটাকে ধরতে হবে। আজই। হারিয়ে যাবার আগেই। কিন্তু নীলিমা ও তাঁর কন্যা তন্নীর সঙ্গে শাহান আড্ডায় এতটাই ডুবে গিয়েছিলেন যে আমার বারবার তাগাদা সত্বেও তিনি ওই বাসা থেকে বেরুচ্ছিলেন না। আমি তো অস্থির। এক পর্যায়ে শাহানের সঙ্গে রাগারাগিও করি। শাহান আমার ওই ঘোর, ওই অস্থিরতা হয়ত বুঝতে পারছিলেন না। না বোঝারই কথা। কে জানে, হয়ত বুঝেছিলেন।
যাই হোক, পড়ন্ত বিকেলে আমরা যতীন্দ্রনগরের উদ্দেশে যাত্রা করি। নীলিমার ছোট বোন দীপালি ও ভাতিজি নীলাঞ্জনার নামের সঙ্গে আমি পরিচিতি, তাঁরা ইতোপূর্বে আমার লেখাজোখা পড়েছেন, অল্পবিস্তর লেখালেখি তাঁরাও করেন। তখন আমি সংবাদ ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক’-এর সহসম্পাদক। ডাকযোগে তাঁরা ‘সাপ্তাহিক’-এর ‘ডাকবন্ধু’বিভাগে নানা বিষয়ে লেখা পাঠাতেন, আমি সেগুলো যত্নসহ ছাপতাম। কারণ তাদের লেখা ছিল ভালো। লেখালেখির সুবাদে তাঁদের সঙ্গে সাহাবুদ্দিনের আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক। তাঁরা যতীন্দ্রনগরেই থাকেন। তাঁদের বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত প্রায় বারোটা বেজে গেল।
পরদিন একটা ডিঙা নৌকা নিয়ে দিপালি, নীলাঞ্জনা, মোহন ও শাহানসহ সুন্দরবনের ভেতরে ঢুকি। আমি নৌকার গলুইতে বসা। দীপালি খালা বলছিলেন, ‘এদিকটায় হামেশা বাঘ আসে।’ওই ‘হামেশা’শব্দটি আমাকে এমনভাবে প্রভাবিত করল, পুরো উপন্যাসের কাহিনিটা যেন ওই শব্দটার মধ্যেই লুকায়িত ছিল। মনে মনে ঠিক করি উপন্যাসটির নাম হবে ‘হামেশা’; যদিও পরে এই নাম আর থাকেনি।
কুলদা রায় : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। নির্যাতনকারীদের প্রথম পছন্দ হিন্দু এবং কাদিয়ানী। এদের পক্ষে কথা বলাটাও বিপজ্জনক। ভারতের দালাল-মুরতাদ ইত্যাদি অভিধা জোটে। অথবা নির্বাসন। আপনি এই হিন্দু, কাদিয়ানীদের চরিত্র করে লেখার সাহস করলেন কীভাবে?
স্বকৃত নোমান : সাহসটা তো আমাকে দিয়েছে শিল্প। আমি প্রথমে যাচাই করে দেখেছি হিন্দু বা কাদিয়নী নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঠিক শিল্পীতভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব কিনা। যখন উপলব্ধি করতে পারলাম যে সম্ভব, তখনই আমি লিখতে শুরু করি। প্রকৃত শিল্পী তো কোনো কিছুকে ডরায় না। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী যদি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসবে না। সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো সাহস আমার আছে। এই সাহস আমি অর্জন করেছি নিরন্তর পাঠের মধ্য দিয়ে। নিশ্চয়ই পাঠ আমাকে সাহসী করে তুলেছে। দালাল বললে আমার কী যায় আসে। মুরতাদ হলেই বা অসুবিধা কী? ওসব আমি থোড়াই কেয়ার করি।
স্বকৃত নোমানের কাল কেউটের সুখ বইটি বইমেলা থেকে কিনে পড়ুন।
0 মন্তব্যসমূহ