সাজেদা হক
ছোট গল্পের শুরুটা মূলত দাবা খেলার মতো। শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকমতো আরম্ভ করতে পারলে খেলা অনেকক্ষণ চলবে এবং দক্ষ দাবাড়ু সে খেলায় জিতবেই। দাবায় শুধু প্রথম চালটাই নয়, সবগুলো গুটি ভেবেচিন্তে খেলতে হয়। তাহলে জয় সুনিশ্চিত। কারণ দাবার সব গুটি একভাবে চলে না। কোনো গুটি সোজা চলে, তো কোনটা কোনাকুনি, কোনটা আবার শুধুই সামনে, আবার কোনটা সবদিকেই। ঠিকমতো চাল দিতে না পারলে, দাবা খেলায় আপনিই নাই হয়ে যেতে পারেন।
একইভাবে কথাসাহিত্য লেখাও সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে প্রথম বাক্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও প্রথম অনুচ্ছেদটিও। একটা ভালো আরম্ভ’ পাঠককে গল্পের শেষ পাতা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এটা সাধারণ কথা সাহিত্যকে পাঠকপ্রিয় করে তুলতে একটা ভালো শুরুর গুরুত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শুরুতেই একটা ইঙ্গিত থাকে যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।
কিন্তু ছোট গল্পের ক্ষেত্রে শুরুটাই হয় ভিন্নভাবে। এক্ষেত্রে প্রথম বাক্য বা প্রথম অনুচ্ছেদেই গল্পের সম্পুর্ণ তথ্য থাকে বা থাকতে পারে। অনেক ছোট গল্পই একটি মাত্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। কখনও তা একটি মাত্র নীতি, বা একটি মাত্র ধারণা বা একটি মাত্র অনুভূতিকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে। একই আবর্তে বার বার ঘুরপাক খায়। তাই কথাসাহিত্যের চাইতে ছোট গল্পের আরম্ভের পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন।
সবাই একভাবে লেখা শুরু করে না। প্রত্যেকের শুরু করার ধরন আলাদা। বিখ্যাত লেখকদের ছোট গল্প লেখা শুরুর ধরন বিশ্লেষণ করে সাতটি কৌশলকে আগ্রহী লেখকদের জন্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে:
১. দৃশ্যকল্প:
দৃশ্যের কল্পনা করা। শুরুতেই একটি স্বাপ্নিক দৃশ্য কল্পনা এবং তার বর্ণনা দিয়ে ছোট গল্পের আরম্ভ করা। শুরুতেই চরিত্র বা ঘটনার প্রাথমিক ধারণা দেয়া বা যা নিয়ে গল্পের সৃষ্টি তা প্রথমেই পাঠককে জানিয়ে দেয়া। এটা জানানোর জন্যই দৃশ্যকল্প যোগ করা। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সেই দৃশ্যকল্পের বর্ননাও দেয়া। একইসঙ্গে পাঠককে জানিয়ে দেয়া যে, ঠিক কি নিয়ে আবর্তিত হতে যাচ্ছে আপনার ছোট গল্প। সাধারণত এটাই সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ছোট গল্প আরম্ভ কৌশল।দ্বিতীয় বা তৃতীয় অনুচ্ছেদেও ওই একই চরিত্রের একটু বেশি বিশ্লেষণ পাঠককে আপনার গল্পের পটভূমি বুঝতে সহায়তা করবে।
২.সংঘর্ষ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত:
ছোট গল্পের শুরু যদি সংঘর্ষ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত দিয়ে হয়, তাও কি মন্দ হয়? না, বরং ভালোই। কারণ পাঠক শুরুতেই বুঝতে পারবে যে আপনার প্রধান চরিত্র এক বা একাধিক সংঘাতে জর্জরিত, সে সংঘাত থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছে সে। ধরেন, আপনি লিখতে শুরু করলেন অনেকটা এভাবে, ‘আমাদের নভোযানটি যখন বুধ গ্রহের খুব কাছাকছি পৌছতে যাচ্ছে, ঠিক এই সময়ে নভোযানের তেল ট্যাঙ্কে ফাটল দেখা দিলো।‘—এতে করে পাঠক খুব সহজেই আপনার ছোটগল্পের মুলপর্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যাবেন। পাশাপাশি প্রধান চরিত্র, পরিস্থিতি, স্থান, সময় এবং সংঘর্ষের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটবে। পাঠক সহজেই অনুমান করতে পারবেন যে, কোন ধরনের বিপদে পড়েছেন আপনার চরিত্র।–এমনটা আসলে ঝুঁকি নিয়ে শুরু করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এমন নাটকীয়তাকে অত্যন্ত সাদরে গ্রহণ করেছেন পাঠকরা। কারণ এই যে নাটকীয়তা-- এতে দ্রুত আকর্ষিত হন পাঠক। উদ্বোধনী অণুচ্ছেদ দিয়েই আপনি গল্পটার গোটা কাহিনীর লাগাম টেনে ধরতে পারেন, তাও শুরুতেই।
৩.রহস্য:
শুরুতেই বলে রাখি, এটা কাজ করবেই এমন প্রতিশ্রুতি দেয়া কঠিন। তারপরও চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। রহস্য দিয়েও শুরু করতে পারেন।কারণ সাধারণ পাঠক রহস্য উম্মোচন করতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। পাঠকের এই স্বভাবজাত ভালোবাসাটাকে কাজে লাগিয়ে আপনার ছোট গল্প শুরুই হতে পারে কাউকে হত্য করার মধ্য দিয়ে। আর এই হত্যা রহস্যের জট খুলতেই তৈরি হতে পারে আপনার ছোটগল্পের নতুন একটি প্লট।
৪. তৃতীয় পুরুষে উক্তি যোগ
সরাসরি তৃতীয় পুরুষ হিসেবে পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে গল্পের সুত্র ধরিয়ে দিতে পারেন। পাঠককে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সহায়ক হিসেবে প্রারম্ভেই দিয়ে দিতে পারেন। আপনি শুরুতেই পাঠককে এভাবে বলতে পারেন: এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমার সময় লেগেছে ছয় মাসেরও বেশি সময়। তাই এখানে যা কিছুর উল্লেখ আছে তা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর গবেষণার মিশেল মাত্র।– এভাবে শুরু করলে পাঠক সহজেই আপনার গল্প এবং গল্পের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে একাত্ব হয়ে উঠতে পারেন, আবার নাও পারেন। চান্স ফিফটি ফিফটি।
৫. উত্তম পুরুষে বর্ণনা
আগেরটার মতোই সুযোগ নিতে পারেন। আপনি আপনার গল্পে শুরুটা উত্তম পুরুষে করতে পারেন। এখানে আপনি নিজেই একটা গদবাধা রচনার মতো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে যাবেন। এটাও এক ধরনের আরম্ভ কেৌশল। পাঠকের সঙ্গে সরাসরি যোগ স্থাপনের এই কৌশল বহু পুরোনো, পরীক্ষীত এবং জনপ্রিয়।
৬. বানীর ব্যবহার
সবে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ কিংবা, সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়- এমন হাজারো বানী আছে—যা দিয়েও আপনি আপনার ছোটগল্পের আরম্ভ করতে পারেন। এই কৌশলটা সাধারণত সাংবাদিকরা বেশি ব্যবহার করেন। বিশিষ্টজনদের বানী দিয়ে ছোট গল্পের শুরু করার রীতিটাও বেশ পুরোনো। অনেকক্ষেত্রেই তা কাজে লেগেছে। কিন্তু ফিকশনের ক্ষেত্রেও যে এটা প্রযোজ্য হবে তা ভেবে বসা উচিত হবে না। তবে ছোট গল্পের ক্ষেত্রে এটা বেশ কার্যকর। অতি অল্প সময়ে অল্প বাক্যে পাঠককে গল্পের সারাংশ জানিয়ে দেয়ার উত্তম পন্থা এটি।
৭. ধাঁধাঁ।
গোলক ধাঁধাঁ শব্দটা শুনেছেন নিশ্চয়ই। এটি সাধারণ পাঠকের অন্যতম আকর্ষণের বিষয়। পাঠক ধাঁধাঁ পছন্দ করেন। ধাঁধাঁর জট খোলার জন্য সময় ব্যয় করতেও পছন্দ করেন। পাঠকের এই স্বভাবসুলভ আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে শুরুতেই একটি ধাঁধাঁ দিয়ে দিতে পারেন। এটা আসলেই একটি কৌশলী উপস্থাপনা হবে। একই সংগে পাঠকের আগ্রহ আর লেখকের মুন্সিয়ানা-দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ এখানে।
ছোট গল্পের শুরুটা মূলত দাবা খেলার মতো। শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকমতো আরম্ভ করতে পারলে খেলা অনেকক্ষণ চলবে এবং দক্ষ দাবাড়ু সে খেলায় জিতবেই। দাবায় শুধু প্রথম চালটাই নয়, সবগুলো গুটি ভেবেচিন্তে খেলতে হয়। তাহলে জয় সুনিশ্চিত। কারণ দাবার সব গুটি একভাবে চলে না। কোনো গুটি সোজা চলে, তো কোনটা কোনাকুনি, কোনটা আবার শুধুই সামনে, আবার কোনটা সবদিকেই। ঠিকমতো চাল দিতে না পারলে, দাবা খেলায় আপনিই নাই হয়ে যেতে পারেন।
একইভাবে কথাসাহিত্য লেখাও সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে প্রথম বাক্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও প্রথম অনুচ্ছেদটিও। একটা ভালো আরম্ভ’ পাঠককে গল্পের শেষ পাতা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এটা সাধারণ কথা সাহিত্যকে পাঠকপ্রিয় করে তুলতে একটা ভালো শুরুর গুরুত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শুরুতেই একটা ইঙ্গিত থাকে যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।
কিন্তু ছোট গল্পের ক্ষেত্রে শুরুটাই হয় ভিন্নভাবে। এক্ষেত্রে প্রথম বাক্য বা প্রথম অনুচ্ছেদেই গল্পের সম্পুর্ণ তথ্য থাকে বা থাকতে পারে। অনেক ছোট গল্পই একটি মাত্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। কখনও তা একটি মাত্র নীতি, বা একটি মাত্র ধারণা বা একটি মাত্র অনুভূতিকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে। একই আবর্তে বার বার ঘুরপাক খায়। তাই কথাসাহিত্যের চাইতে ছোট গল্পের আরম্ভের পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন।
সবাই একভাবে লেখা শুরু করে না। প্রত্যেকের শুরু করার ধরন আলাদা। বিখ্যাত লেখকদের ছোট গল্প লেখা শুরুর ধরন বিশ্লেষণ করে সাতটি কৌশলকে আগ্রহী লেখকদের জন্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে:
১. দৃশ্যকল্প:
দৃশ্যের কল্পনা করা। শুরুতেই একটি স্বাপ্নিক দৃশ্য কল্পনা এবং তার বর্ণনা দিয়ে ছোট গল্পের আরম্ভ করা। শুরুতেই চরিত্র বা ঘটনার প্রাথমিক ধারণা দেয়া বা যা নিয়ে গল্পের সৃষ্টি তা প্রথমেই পাঠককে জানিয়ে দেয়া। এটা জানানোর জন্যই দৃশ্যকল্প যোগ করা। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সেই দৃশ্যকল্পের বর্ননাও দেয়া। একইসঙ্গে পাঠককে জানিয়ে দেয়া যে, ঠিক কি নিয়ে আবর্তিত হতে যাচ্ছে আপনার ছোট গল্প। সাধারণত এটাই সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ছোট গল্প আরম্ভ কৌশল।দ্বিতীয় বা তৃতীয় অনুচ্ছেদেও ওই একই চরিত্রের একটু বেশি বিশ্লেষণ পাঠককে আপনার গল্পের পটভূমি বুঝতে সহায়তা করবে।
২.সংঘর্ষ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত:
ছোট গল্পের শুরু যদি সংঘর্ষ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত দিয়ে হয়, তাও কি মন্দ হয়? না, বরং ভালোই। কারণ পাঠক শুরুতেই বুঝতে পারবে যে আপনার প্রধান চরিত্র এক বা একাধিক সংঘাতে জর্জরিত, সে সংঘাত থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছে সে। ধরেন, আপনি লিখতে শুরু করলেন অনেকটা এভাবে, ‘আমাদের নভোযানটি যখন বুধ গ্রহের খুব কাছাকছি পৌছতে যাচ্ছে, ঠিক এই সময়ে নভোযানের তেল ট্যাঙ্কে ফাটল দেখা দিলো।‘—এতে করে পাঠক খুব সহজেই আপনার ছোটগল্পের মুলপর্বের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যাবেন। পাশাপাশি প্রধান চরিত্র, পরিস্থিতি, স্থান, সময় এবং সংঘর্ষের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটবে। পাঠক সহজেই অনুমান করতে পারবেন যে, কোন ধরনের বিপদে পড়েছেন আপনার চরিত্র।–এমনটা আসলে ঝুঁকি নিয়ে শুরু করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এমন নাটকীয়তাকে অত্যন্ত সাদরে গ্রহণ করেছেন পাঠকরা। কারণ এই যে নাটকীয়তা-- এতে দ্রুত আকর্ষিত হন পাঠক। উদ্বোধনী অণুচ্ছেদ দিয়েই আপনি গল্পটার গোটা কাহিনীর লাগাম টেনে ধরতে পারেন, তাও শুরুতেই।
৩.রহস্য:
শুরুতেই বলে রাখি, এটা কাজ করবেই এমন প্রতিশ্রুতি দেয়া কঠিন। তারপরও চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। রহস্য দিয়েও শুরু করতে পারেন।কারণ সাধারণ পাঠক রহস্য উম্মোচন করতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। পাঠকের এই স্বভাবজাত ভালোবাসাটাকে কাজে লাগিয়ে আপনার ছোট গল্প শুরুই হতে পারে কাউকে হত্য করার মধ্য দিয়ে। আর এই হত্যা রহস্যের জট খুলতেই তৈরি হতে পারে আপনার ছোটগল্পের নতুন একটি প্লট।
৪. তৃতীয় পুরুষে উক্তি যোগ
সরাসরি তৃতীয় পুরুষ হিসেবে পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে গল্পের সুত্র ধরিয়ে দিতে পারেন। পাঠককে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সহায়ক হিসেবে প্রারম্ভেই দিয়ে দিতে পারেন। আপনি শুরুতেই পাঠককে এভাবে বলতে পারেন: এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমার সময় লেগেছে ছয় মাসেরও বেশি সময়। তাই এখানে যা কিছুর উল্লেখ আছে তা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর গবেষণার মিশেল মাত্র।– এভাবে শুরু করলে পাঠক সহজেই আপনার গল্প এবং গল্পের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা এবং অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে একাত্ব হয়ে উঠতে পারেন, আবার নাও পারেন। চান্স ফিফটি ফিফটি।
৫. উত্তম পুরুষে বর্ণনা
আগেরটার মতোই সুযোগ নিতে পারেন। আপনি আপনার গল্পে শুরুটা উত্তম পুরুষে করতে পারেন। এখানে আপনি নিজেই একটা গদবাধা রচনার মতো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে যাবেন। এটাও এক ধরনের আরম্ভ কেৌশল। পাঠকের সঙ্গে সরাসরি যোগ স্থাপনের এই কৌশল বহু পুরোনো, পরীক্ষীত এবং জনপ্রিয়।
৬. বানীর ব্যবহার
সবে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ কিংবা, সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়- এমন হাজারো বানী আছে—যা দিয়েও আপনি আপনার ছোটগল্পের আরম্ভ করতে পারেন। এই কৌশলটা সাধারণত সাংবাদিকরা বেশি ব্যবহার করেন। বিশিষ্টজনদের বানী দিয়ে ছোট গল্পের শুরু করার রীতিটাও বেশ পুরোনো। অনেকক্ষেত্রেই তা কাজে লেগেছে। কিন্তু ফিকশনের ক্ষেত্রেও যে এটা প্রযোজ্য হবে তা ভেবে বসা উচিত হবে না। তবে ছোট গল্পের ক্ষেত্রে এটা বেশ কার্যকর। অতি অল্প সময়ে অল্প বাক্যে পাঠককে গল্পের সারাংশ জানিয়ে দেয়ার উত্তম পন্থা এটি।
৭. ধাঁধাঁ।
গোলক ধাঁধাঁ শব্দটা শুনেছেন নিশ্চয়ই। এটি সাধারণ পাঠকের অন্যতম আকর্ষণের বিষয়। পাঠক ধাঁধাঁ পছন্দ করেন। ধাঁধাঁর জট খোলার জন্য সময় ব্যয় করতেও পছন্দ করেন। পাঠকের এই স্বভাবসুলভ আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে শুরুতেই একটি ধাঁধাঁ দিয়ে দিতে পারেন। এটা আসলেই একটি কৌশলী উপস্থাপনা হবে। একই সংগে পাঠকের আগ্রহ আর লেখকের মুন্সিয়ানা-দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ এখানে।
7 মন্তব্যসমূহ
লেখাটি পড়ে খুব উপকারে আসবে । খুব খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ লেখককে ।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনগল্প লেখার সত্যিই কি কোনও ব্যকরণ হয়? বা বাঁধাধরা গত? আমি সেটা ঠিক মানি না। গল্পের চলন এবং চিত্রকল্প এই দুটোকেই খুব যত্নশীল হয়ে লালন করতে হয়। বাকিটা দেখার অভ্যেস। বোধ। মনন। এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন বা কনফ্লিক্ট গুলোকে প্রতিষ্ঠা করার দৃষ্টিভঙ্গি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি সব গল্পকারের মধ্যেই একজন কবি স্বত্তা থাকা উচিত।
উত্তরমুছুনসুন্দর হয়েছে ....
উত্তরমুছুনলিখতে গেলে কিন্তু নিয়ম কানুন কিন্তু কলম মানে না। তবে পাঠকের জন্যই তো লেখা। পাঠক কিভাবে ধরে রাখা যায় তা জানতে কাজে লাগবে লেখাটি। ধন্যবাদ, সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য।
উত্তরমুছুনবেশ
উত্তরমুছুন