কল্লোল লাহিড়ী গল্পকার। টেলিভিশন প্রযোজক, পরিচালক। ধারাবাহিক নাটক লেখক।
গল্পপাঠ : ১.
২০১৫ সালে কি কি গল্প লিখতে চেয়েছিলেন? লেখালেখির কি কোনো পরিকল্পনা করেছিলেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ১)
ঠিক পরিকল্পনা করে লেখা হয় না আমার। অনেক কাজের সাথে লেখাটাও আমার একটা কাজ। মূলত কাজের সূত্র ধরে লেখা আসে। তবে ব্যক্তিগত ব্লগে মনের ভালোলাগা লেখাগুলো। তাৎক্ষণিক লেখাগুলো লিখতে ভালোবাসি। এবং সেগুলো পরিকল্পনা ছাড়াই। কারণ পরিকল্পনা ছাড়াই ঘটনা গুলো জীবনে আছড়ে এসে পড়ে।
তবে অনেকদিন ধরে মন একটা লেখা বুনে চলেছে। এক না হওয়া অপরাধীকে নিয়ে। অপরাধের উপন্যাস। নিজের খুব কাছের এক বন্ধুর মৃত্যু। তাকে নিয়ে আমার ব্লগেও একটা ছোট্ট স্মৃতিচারণা আছে ছোট্ট অমিতাভ মন্টু শিরোনামে।
তবে অনেকদিন ধরে মন একটা লেখা বুনে চলেছে। এক না হওয়া অপরাধীকে নিয়ে। অপরাধের উপন্যাস। নিজের খুব কাছের এক বন্ধুর মৃত্যু। তাকে নিয়ে আমার ব্লগেও একটা ছোট্ট স্মৃতিচারণা আছে ছোট্ট অমিতাভ মন্টু শিরোনামে।
গল্পপাঠ : ২.
কি কি লিখেছেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ২)
মূলত টেলিভিশন ও ফিল্মের জন্য লেখালেখি। আমি খুব উপভোগ করি এই লেখালেখির কাজটা। কারণ প্রচন্ড একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এবং ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলে কাজের প্রচন্ড চাপ। যেগুলো আমাকে আমার নিদারুণ কিছু অতীত থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে।
গল্পপাঠ : ৩.
যা লিখতে চেয়েছিলেন সেগুলো কি লিখতে পেরেছিলেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ৩)
যা লিখতে চেয়েছিলাম তা লেখা হয়নি। তবে আমি খুশি আমার 'গোরা নকশাল' নিয়ে। এই লেখাটা আমাকে অনেকের কাছে পরিচিত করিয়েছে। আর আমাকে কোথাও শিখিয়েছে আসলে সময় ফিরিয়ে দেয় সব কিছু। তবে গোরা কাকুকে কিছু ফিরিয়ে দিতে পারিনি আমরা কিছু। অন্তত লেখাটা থাকলো। নামটা থাকলো। আর থাকলো এক অতি যত্নের শৈশব।
গল্পপাঠ : ৪.
যেভাবে লিখতে চেয়েছিলেন সেভাবে কি লেখাগুলো লিখতে পেরেছেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ৪)
যেভাবে লিখতে চেয়েছিলাম সেগুলো লিখতে পারিনি। কারণ অন্যান্য কাজের চাপ। ছোটদের একটা নাটক খুব তাড়াতাড়ি ওদের সাথেই বসে নির্মাণ করতে হয়েছিল। সেটা এখানে এখন বেশ মঞ্চ সফল। আমারও প্রথম নাটকের সাথে কাজ। ওখানে আরো সময় দেওয়া উচিত।
তবে প্রসঙ্গান্তরে বলি একটা লেখা লিখতে চাই সেটা আমি কোনোদিন লিখতে পারবো না। সেই ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, এবং পড়াশুনো আমার নেই। সেটা হল একাত্তরের দিনলিপি নিয়ে একটা ঘন্টা তিনেকের নাটক। যা মঞ্চস্থ হবে সেই সময়টাকে ধরে। এক মা আর তার হারিয়ে যাওয়া সময়। আমি জানি না বাংলাদেশে এটা নিয়ে কেউ কাজ করছেন কিনা।
তবে প্রসঙ্গান্তরে বলি একটা লেখা লিখতে চাই সেটা আমি কোনোদিন লিখতে পারবো না। সেই ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, এবং পড়াশুনো আমার নেই। সেটা হল একাত্তরের দিনলিপি নিয়ে একটা ঘন্টা তিনেকের নাটক। যা মঞ্চস্থ হবে সেই সময়টাকে ধরে। এক মা আর তার হারিয়ে যাওয়া সময়। আমি জানি না বাংলাদেশে এটা নিয়ে কেউ কাজ করছেন কিনা।
গল্পপাঠ : ৫.
২০১৬ সালে আপনার লেখালেখির পরিকল্পনা কি? কি কি লিখবেন বলে মনে করছেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ৫)
২০১৬ তে আমার একটা বড় সময় চলে যাচ্ছে মহানায়ক উত্তমকুমারের ওপর একটা সিরিজ আসছে। একটা টেলিভিশন চ্যানেলে। সেটার চিত্রনাট্য ও গবেষণার কাজে অনেকটা সময় চলে গেছে আরো যাবে। সেটাতেই ডুবে আছে। আমার এক ছাত্র এবং আমার এক বন্ধু তারা নিজেদের ছবি নির্মাণে আমাকে চায়। আর নিজের জন্য কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। বন্ধুকে নিয়ে উপন্যাসটা শুরু করার ইচ্ছা আছে। এছাড়া অনেকদিন ধরে একজন প্রকাশক আমার ফিল্মের ওপর লেখা গুলো নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু সেটা আর জড়ো করে গোছানো হয়ে উঠছে না।
একটা বড় সময় আমার কেটে যায় ছাত্রদের লেখা, বন্ধুদের লেখা পড়ে,। কারণ তারাও তাদের লেখার ফিডব্যাক চায়। সেটাও একটা অন্য লেখার জগৎ নির্মাণ করে।
একটা বড় সময় আমার কেটে যায় ছাত্রদের লেখা, বন্ধুদের লেখা পড়ে,। কারণ তারাও তাদের লেখার ফিডব্যাক চায়। সেটাও একটা অন্য লেখার জগৎ নির্মাণ করে।
গল্পপাঠ : ৬.
কিভাবে লিখবেন? লেখার জন্য আপনি কি ধরনের প্রস্তুতি নেবেন বলে মনে করছেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ৬)
লেখার জন্য প্রস্তুতি বলতে বেশ ভালো পড়াশুনো। অনেক ছবি দেখা। নাটক দেখা। বন্ধুদের সাথে আড্ডা। আর যে জায়গা গুলোতে পর্যটকরা যায় না সেগুলোতে ঘুরে বেড়ানো। আমি এমনিতে বেশ কুঁড়ে। কিন্তু আমার চারপাশের মানুষজন প্রচন্ড শিক্ষিত এবং তারা প্রচন্ড উদ্যমী। সম্প্রতি আমার এক অধ্যাপক বন্ধু গাড়ি কিনেছে এবং চালানো শিখে নিয়েছে এই ভেবে যে আমরা হুটহাট বেড়িয়ে পড়বো। চলে যাবো কোনো এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যেটা আগে আমাকে আগে প্রায়ই যেতে হতো শ্যুটিং এর জন্য। অনেক জায়গা ঘুরলে, অনেক মানুষের সাথে মিশলে লেখার উপাদান আসে। যার জন্য আমার বড় মনকেমনের লেখক। বড় প্রিয় সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ।
গল্পপাঠ : ৭.
আগামী লেখাগুলোর মধ্যে কি কোনো পরিবর্তন আনার কথা ভাবছেন? কী ধরনের পরিবর্তন আনতে বলে মনে করেন?
কল্লোল লাহিড়ী : ৭)
লেখার আঙ্গিক নিয়ে আমায় ভাবায়। কিন্তু আমি স্বতস্ফূর্ততায় বিশ্বাসী। লেখার বিষয় তৈরী করে দেয় আমাকে কিভাবে লিখবো। কেমন লিখবো। তবে যেটা বলতে পারি যে পরিমাণ সময় লেখার জন্য দেওয়া উচিত সেটা দিতে পারি না। মন উড়ু উড়ু করে। ইশ...যদি বাউন্ডুলে হয়ে ঘুরে বেড়াতে পারতাম। আমার লেখা গুলো তাহলে উড়ুক্কু হয়ে যেত। ভালো থাকবেন। অনেক শুভেচ্ছা নতুন বছরের।
0 মন্তব্যসমূহ