অমর মিত্রের গল্প: কুয়াশাবাড়ি



এ এক আজব দেশ। সবই উলটো। কতদিন বাদে রাস্তার দূরত্ব মাইলে দেখতে পাচ্ছে অজিতেশ। ওজন পাউন্ডে, আউন্সে। সের পোয়া ছটাক কাচ্চা অবশ্য নেই। সে তো ছিল দেশীয়। এখানে ব্রিটিশ সিস্টেম। ব্রিটেনের দ্বারা শাসিত তার দেশে এই সিস্টেমই ছিল। তার জন্ম স্বাধীনতার পরে। কিন্তু এখনো পাউরুটি কিনতে কেউ কেউ এক পাউন্ড হাফ পাউন্ড কোয়ার্টার পাউন্ড চায় দোকানির কাছে। ২৫শে ডিসেম্বরে কেক কিনতেও তাই। পাঁচশো গ্রাম কেককে এক পাউন্ড বললে বিলিতি হয়।

তার দেশে সব এখন মেট্রিক পদ্ধতিতে চলে। ডেসি সেন্টি মিলি----ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে অজিতেশের, দেশে শান্তি মিলিবে। এদেশে আছে সেই যুগের পদ্ধতি। গজ ফুট মাইল। পাউন্ড, আউন্স, গ্যালন। বাম দিকে বসে গাড়ি চালাতে হয়। আলোর সুইচ উপরে তুললে জ্বলে। সমস্ত পৃথিবী যেভাবে চলে এদেশ তার বিপরীত। একটা মহাদেশের মতো দেশ। লম্বা লম্বা মস্ত দেহের মানুষ। শাদা এবং কালো। অজিতেশ দ্যাখে সসম্ভ্রমে। ভয় ভয় করে। সে পাঁচ ফুট দুই, এদেশে ছ-ফুট, সাড়ে ছ-ফুট মানুষ তো পথে ঘাটে। সাতফুটও দেখেছে অজিতেশ। এদেশের এক জায়গায় শীত প্রবল আর এক জায়গায় নাকি গরম পড়ে গেল প্রায়। চৈত্রের অর্ধেক পার হয়ে গেছে তার দেশে। এদেশে এখনো শীত। আবার বরফ পড়েছে নিউইয়র্কে। অজিতেশ এসেছিলেন এক উৎসবে। অ্যান আরবর সেই শহরের নাম। সেখান থেকে ৭৫০ মাইল ড্রাইভ করে মেয়ে জামাই তাঁকে নিয়ে এসেছে অ্যান উত্তর ক্যারোলাইনার এক শহরে। শারলট সিটি। মাঝখানে পার হয়ে এসেছে তুষারে ঢাকা ভারজিনিয়ার ব্লু রিজ মাউন্টেন। হাই উইন্ড এরিয়া। ফগি এরিয়া। তিনি নাম দিয়েছেন বাতাসবাড়ি কুয়াশাবাড়ি। সঙ্গে চার বছরের দৌহিত্রী ঝিলমিল। পথে হরিণকে দেখেছেন। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে অবাক হয়ে হাইওয়ে দেখছে। পার হতে গেলে চাপা পড়বে। আশ্চর্য এক দেশ। পাহাড় জঙ্গল নদী, সব নতুন করে নাম পেয়েছে। রেড ইন্ডিয়ান উপজাতিরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাদের পাহাড় তাদের জঙ্গল ভিনদেশিরা নিয়েছে। তাঁর দৌহিত্রীকে বাংলা শেখাবেন পণ করে এসেছেন অজিতেশ। মেয়ে জামাই বলে সে বাংলা শিখবে না বাবা। মাতৃভাষা। 

ঝিলমিল ঝিলমিল, এইটা কী বই ?
ফানি বুক দাদান, দিস ইজ আ বাংলা বুক।
হাসিখুশি, যোগীন্দ্রনাথ সরকার। 
নো, ফানি বুক দাদান। 
তাই, তাহলে আমি কথা বলব না।
চার বছরের ঝিলমিল বলল, ওক্কে, হাসিকুশি--হাসসি কুসসি দাদান। 
বাংলা বোঝে সে, কিন্তু বলে না। ইংরেজির ফুলকি ঝরছে সব সময়। কথা শেষ করে ওক্কেএ ? কচি মুখে শুনতে ভালো, কিন্তু বড় হয়ে কী দাঁড়াবে ? ইংলিশ আর স্প্যানিশ কিংবা ফ্রেঞ্চ বা মেক্সিকান ভাষা শিখবে। বাঙালির মাতৃভাষা শিখবে না। তাহলে সে কী হয়ে বড় হবে ? 
ঝিলমিল বলছে, দাদান দাদান, রিড মাই ফানি বুক, হারাডন।
হারাধনের দশটি ছেলে তার খুব মনে ছুঁয়েছে। রিড দাদান রিড।
হারাধনের দশটি ছেলের একটি করে কমে যায় আর ঝিলমিল গুনে দ্যাখে কজন থাকল। বলছে আই ডোন্ট স্পিক বাংলা, আই স্পিক ইংলিশ। শুনে তার মা ছুটে আসে, এই তুই বাংলা না বললে তোর দাদান কথা বলবে না।
দাদান দাদান, তাই ? কচি মুখ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। 
হ্যাঁ তাই।
মুখ গম্ভীর করে বসে থাকে চার বছরের শিশু। তারপর খিলখিল করে আচমকা হেসে ওঠে, বলে, আই ক্যান স্পিক বাংলা, দাদান দাদান, আই অ্যাম স্পিকিং বাংলা, হাসসি খুশশি, হাসিকুশি ইজ মায় বুক, আই লাভ মায় বুক হাসিকুশি। 
হ্যাঁ, তোর বই হাসিখুশি, বল, হারাধনের দশটি ছেলে ঘোরে পাড়াময়।
তুমি বলো।
একটি কোথায় হারিয়ে গেল রইল বাকি নয়।
দাদান দাদান, লেট মি কাউন্ট...। ঝিলমিল গুনতে আরম্ভ করল। কচি কচি আঙুল দিয়ে হারাধনের ছেলেগুলিকে গুনতে থাকে। দশটি থেকে একটি হারিয়ে গিয়ে নয়টি রয়েছে। নয়টি ছেলে কাটতে গেল কাঠ। দাদান দাদান, ওয়ান কাট ইন টু পিসেস। কাতলে তো অক্ত হয় দাদান। হ্যাঁ, রক্ত হয় ঝিলমিলসোনা। দাদান, ওয়ান ডে, আই স অক্ত, ব্লাড, হিউজ ব্লাড, ব্লাড রিভার। 
রক্তের নদী, আহা, কোথায় দেখলে ঝিলমিল ?
ফিক করে হেসে দিল ঝিলমিল, আমি ডেকিনি দাদান, মাম টোল্ড মি।
এই আমি কবে তোকে রক্তের নদীর কথা বললাম রে। ঝিলমিলের মা চন্দনা কিচেন থেকে বলে উঠল।
নো মামা, বাবা টোল্ড মি।
চন্দনা বলল, তাহলে বাবাকে ফোন করি। 
ঝিলমিল বলল, না, টিভিতে দেকেচি।
উফ, দেখেছ বাবা দেখেছ। চন্দনা বলে ওঠে, শুধু বানায়, সারাদিন বানিয়ে যাচ্ছে। 
হয়তো দেখেছে, এই যে কমাস আগে ইস্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ল একটি ছেলে, পরপর গুলি। হাইস্কুলের ছেলে মেয়ে রক্তাক্ত হয়ে সাতজন ঢলে পড়ল। চন্দনা বলল, খুব ভয় করে বাবা, এখানে শাদারা ভিতরে ভিতরে দেখতে পারে না কালোকে, আর কালোরা দেখতে পারে না এশিয়ানদের, তাদের কাজ এশিয়ানরা কেড়ে নিয়েছে মনে করে। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে ভয় করে, বলছিল সুতপা, আমার বন্ধু, বোস্টনে থাকে। 
অজিতেশ চুপ করে শোনেন। কী বলবেন ? পৃথিবী এখন আর নিজস্ব গন্ডীর ভিতরে আবদ্ধ নেই। একে বলে ভুবনায়ন। এই পৃথিবী ভুবনগ্রাম। কিন্তু মানুষের মনের ভিতরে ভুবনায়ন হয়নি। সেই কবে, তিনি তাঁর বাল্যকালে পড়েছিলেন হ্যারিয়েট বিচের স্টো- লিখিত ‘ আঙ্কল টম’স কেবিন ‘--টম কাকার কুটীর। ক্রীতদাস প্রথা, আর কালোর প্রতি শাদার ঘৃণার কাহিনি, এত বছরেও তার সবটা যায়নি। নিজের দেশে কাজের অভাব, অন্য দেশে ছুটছে মানুষ। সেই দেশের মানুষ ভাবছে তাদের অন্ন কাড়তে এসেছে এরা। কিন্তু সবটাই এমন নয়। মানুষ কেমন হাসে এদেশে। শাদা এবং কালো, চেনা অচেনা ভেদ নেই, হাই, গুড মর্নিং, হাউ আর ইউ ? 

ঝিলমিল বলল, হারাডন পড়, দাদান রিড ফানি বুক। ধরা পড়ে গিয়ে প্রসঙ্গ নিজেই বদলে দিল শিশু। 
ফানি বুক নামটি ঝিলমিলেরই বলা। ফানি, আনন্দের নাকি কৌতুকের ? কৌতুক নির্মল না কি তার ভিতরে বিদ্রুপ লুকিয়ে আছে। ঝিলমিলের কাছে আনন্দের। বাংলা বাংলা, আই কান্ট স্পিক বাংলা, হি হি হি।
অমন বলতে নেই সোনা। 
দাদান, রিড দিস ফানি বুক, এইট সান অফ হারাডন, আই অ্যাম কাউন্টিং, ওয়ান, টু, থ্রি…...। ঝিলমিল গুনে গুনে বলল, রিমেইনিং এইট, দাদান পড়, দিস ইজ মায় ফানি বুক।
না, এইটা হাসিখুশি।
ইয়েস দাদান, হাসি অ্যান্ড খুশি। দুই আঙুল তুলে ঝিলমিল দেখাল দুই। তারপর কী হলো দাদান ?
তারপর হারাধনের সাতটি ছেলে বসল খেতে ভাত। একটি পেট ফেটে মলো রইল বাকি সাত। পেট ফেটে মরে গেল। ঝিলমিল বলল, আমার পেট আছে দাদান।
আছে তো।
আই স, আই স, পেট ফেটে মলে গেল। 
কোথায় দেখলে ? জিজ্ঞেস করল অজিতেশ। 
ঝিলমিল চুপ করে থাকে। তারপর বলে, ইন মায় সিটি।
কোন শহর, কোন সিটি, এই শারলট সিটি ? জিজ্ঞেস করে অজিতেশ।
মাথানাড়ে ঝিলমিল, বলল, নো দাদান।
তাহলে কি সেই অ্যান আরবর, যেখান থেকে নিয়ে এলে আমাকে ? 
উফ, দ্যাট টকিং প্রোগ্রাম, বোরিং প্রোগ্রাম।
হা হা করে হাসে অজিতেশ। টকিং প্রোগ্রামই বটে। সেমিনার। শিল্প-সাহিত্যের কচকচি। কিন্তু শহরটা কত শান্ত। কেউ যেন কথা বলে না। নিঝুম হয়ে পড়ে থাকে যেন সমস্ত দিন। গাড়ি চলছে নিঃশব্দে, পথে মানুষ নেই প্রায়। বাড়িগুলির সামনে বরফের স্তূপ। যেন বিগ অ্যালিগেটর। হোয়াইট অ্যালিগেটর। ঝিলমিলকে তিনি তাই বলেছিলেন। ঝিলমিল বলেছিল, ইয়া, আই হ্যাভ সিন অ্যালিগেটর ইন আ অ্যাকুরিয়ম। 
হ্যাঁ, একমাস আগে ওরা আটলান্টা গিয়েছিল জর্জিয়া সিটির অ্যাকুরিয়ম দেখতে। সেখানে শাদা কুমির কিংবা গোধিকা দেখেছিল ঝিলমিল। সেই শহর কি ঝিলমিলের শহর। কিন্তু না। তাহলে কি কলকাতা ? কোওওলকাতা----ইওর সিটি দাদান।
আচ্ছা, তোমার শহর কোনটা ? জিজ্ঞেস করে অজিতেশ।
ঝিলমিল প্রসঙ্গ ঘুরোতে অস্তাদ, বলল, হারাডন পড়। 
হারাধনের সাতটি ছেলে গেল জলাশয়, একটি সেথা ডুবে মলো, রইলো বাকি ছয়। ছয় গোনে ঝিলমিল। ওয়ান টু থ্রি...। জল দেখে ঝিলমিল চুপ করে থাকে, তারপর জিজ্ঞেস করে, হি ডাজ নট নো সুইমিং, ও দাদান ? 
অজিতেশ বলল, না, জানত না।

স্যাড ! মুখ গম্ভীর করে বসে থাকে ঝিলমিল। অজিতেশও চুপ করে থাকলেন। যোগীন্দ্রনাথ সরকারের এই ছড়া তিনি কি পড়েননি। মুখস্ত আছে সব। এত প্রশ্ন কি করেছিলেন কাউকে ? বই বগলে তিনিও এঘর ওঘর করেছেন কত, তা মনে আছে। খুব ছেলেবেলার কথা মনে আছে অজিতেশের। এই ছড়া বিয়োগের। হারাধনের দশটি ছেলের একটি করে বিযুক্ত হয়। সংখ্যা কমতে থাকে। আর একটি ছড়া আছে যোগের। মামাদের পুকুরেতে আছে এক রুই...। মামাদের বাড়ির পশু মাছ আর মানুষ মিলে দশজন হওয়ার কথা। এই দেশের উপজাতিরা বিযুক্ত হতে হতে শূন্য, আর ভিনদেশিরা যুক্ত হতে হতে দশ। দশটির কথাও শোনাতে হয়েছে তাকে, কিন্তু হারাধনের দশ পুত্রই আকর্ষণ করেছে বেশি। কেমন করে একটি একটি করে কমে যায় হারাধনের দশ ছেলে। ঝিলমিল শুনছে আর গুনছে। আবার গুনে বেরিয়েও যাচ্ছে ঘর থেকে। তার খেলনাপাতির রাজ্য থেকে। ইস্টারের এক সপ্তাহ ছুটি। ছুটি পড়ার দিন অজিতেশ গিয়েছিলেন। নানা রঙের শিশুরা সব খেলছে। শাদা, কালো, বাদামি, এশিয়ান, ইউরোপিয়ান, আমেরিকান...। টিচাররা হাসছে আদর করছে। বাচ্চারা ইস্টারের গিফট পাচ্ছে। সেদিন ফানি বুক নিয়ে যাবে বলেছিল ঝিলমিল। কিন্তু শেষ অবধি নিয়ে যেতে পারেনি। এখানে সব কিছু খুব নিয়মে চলে। ঘড়ি ধরে চলে। যন্ত্রের মতো চলে জীবন। ইস্কুলে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা জানে না চন্দনা। বই সরিয়ে রেখেছিল। দাদান দাদান, রিড এগেইন।
পড়ছে অজিতেশ। না পড়ে উপায় নেই। হারাধনের পাঁচ ছেলে থেকে চার। চার থেকে তিন--দুই--এক। হারাধনের একটি ছেলে কাঁদে ভেউ ভেউ। মনের দুঃখে বনে গেল রইলো না আর কেউ। দাদান দাদান, নো ওয়ান ইজ লেফট ? 
অজিতেশ চুপ করে আছেন। দশটি ছেলের কেউ রইলো না। ঝিলমিল চুপ। তারপর বলল, দে ওয়েন্ট টু মায় সিটি।
হারাধনের ছেলেরা ?
ইয়েস দাদান, হারাডনের ছেলে। 
কোথায় গেল তারা ?
টু মায় সিটি। 
তোমার সিটি কোথায় ? 
এখানে আচে দাদান, আই নো মায় সিটি, হারাডনের ছেলেরা ওয়েন্ট দেয়ার। 
তোমার সিটি এখানে কোথায় , কী নাম সিটির ? অজিতেশ জিজ্ঞেস করেন। 
মায় সিটি ইজ ঐশানী সিটি। ঝিলমিল বলল, নো ওয়ান লস্ট দাদান, আই টুক দেম টু মায় সিটি। 
অবাক হয়ে গেছে দৌহিত্রীকে দেখছে অজিতেশ। ঐশানী হলো ঝিলমিলের স্কুলের নাম। তার নামে ঐশানী সিটি। সে আবার কোন শহর ?
মায় সিটি দাদান। ঝিলমিল কচি গলায় বলে। 
সেই সিটি কোথায় ? অজিতেশ জিজ্ঞেস করে। 
ঝিলমিল চুপ করে ভাবতে থাকে। তারপর বলল, এনিহোয়ার দাদান।
এনিহ্যোয়ার মানে ? 
চন্দনা কিচেন থেকে বলল, ঐটা ওর শহর বাবা, ও বলে ঐশানী সিটি।

আহা। তাঁর দৌহিত্রী বাদামি বর্ণের। কৃষ্ণকলি বলা যায়। সে তার একটা শহর বানিয়ে নিয়ে হারাধনের দশটি ছেলে, আর সব হারিয়ে যাওয়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে গেছে। অজিতেশের মনে পড়ল উপজাতিদের কথা। আটলান্টিক পার হয়ে এল ভিনদেশিরা। তারা নিশ্চিহ্ন করে দিল হারাধনের দশটি ছেলেকে। মনে পড়ল সাগর পেরিয়ে যারা এসেছে, প্রবাল, সুভাষ, অনীক, সুমন...তাঁর সব বাল্যবন্ধুর কথা। তাদের ঠিকানা এই দেশ। মনে পড়ল, অমলেন্দু, বিমলেন্দু, কমলেন্দুর কথা, তাদের সন্তানেরা এই পরবাসে। তিনি জানেন না কে কোথায়, কোন পরবাসে। ভার্জিনিয়ার তুষারাবৃত পাহাড়তলীর নির্জন একটি কুটীরে একা কিংবা নিউইয়রকের জনারণ্যে ? ঝিলমিল বলছে ঐশানী নগরে। হারাধনের দশটি ছেলে আছে ঐশানী নগরে। সবাইকে ঐশানী নগরে নিয়ে যেতে যেতে সে বড় হয়ে যাবে। ঐশানী নগর সেই বাতাস বাড়ি পেরিয়ে কুয়াশাবাড়িতে বুঝি। অজিতেশের মনে হতে লাগল, কতটা পথ নিবিড় কুয়াশায় ঢাকা। সেইখানে, সেইখানে রয়েছে বুঝি ঝিলমিলের শহর। সেখানে তাঁর দেশ নেই, তাঁর ভাষা নেই। হাসি খুশি নেই। 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ