গল্পপাঠ।। আষাঢ়-শ্রাবণ।। ১৪২৬।। জুলাই-আগস্ট।। ২০১৯।।। সংখ্যা-৬৮

গল্পপাঠ ওয়েব ম্যাগাজিন প্রতি দুই মাস পরপর বের হচ্ছে। উদ্দেশ্য সেরা গল্প পড়া ও লেখার দিকে লেখক-পাঠকদের ঠেলে দেওয়া। সেজন্য বাংলা ভাষার চিরায়ত গল্পের পুনঃপ্রকাশ করা হয়। প্রবীণ ও নবীন গল্পকারদের সেরা লেখা, লেখা নিয়ে তাদের ভাবনা, গল্প বিষয়ক শৈলী নিয়ে আলোচনার আয়োজন থাকে। বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্যের চলমান ধারার সঙ্গ যোগ না ঘটলে সেরা লেখক-পাঠক হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য গল্পপাঠ অনেকদিন ধরেই একটি অনুবাদ টিম গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে। এই টিম হাল আমলের বিশ্বসাহিত্যের গল্প অনুবাদ করছেন। 
এ সংখ্যায় এক ঝাঁক জাদুবাস্তববাদী গল্পের অনুবাদ প্রকাশ করা হলো।
এই গল্পগুলো গভীরভাবে পড়বেন হে প্রিয় লেখক-পাঠক।

হারিয়ে যাওয়া গল্প
কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র এ সংখ্যার জন্য তিনটি হারিয়ে যাওয়া গল্প সংগ্রহ করে দিয়েছেন।  তিনটি গল্পই আখ্যান ও শৈলীর দিক থেকে অসামান্য।
    
শৈবাল মিত্র'র গল্প : খয়ের খাঁর ইন্তেকাল
অবনী ধর 'এর গল্প : ভাতের জন্য শ্বশুরবাড়ি
ব্রজমাধব ভট্টাচার্য'এর গল্প : ‘কোভ অ্যান্ড জন’-এর রৌহন আলি

বাংলা রসসাহিত্যের স্রষ্টা বলা হয় ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়। তার লেখায় জাদুবাস্তববাদী গল্পের উপাদান রয়েছে।  ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম। মারা যান ১৯১৯ সালে। তাঁর রচিত বইগুলির মধ্যে কঙ্কাবতীভূত ও মানুষফোকলা দিগম্বরডমরু চরিত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ডমরু চরিত থেকে একটি অংশ প্রকাশ করা হলো। 
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়'এর গল্প : কুম্ভীর-বিভ্রাট

জাদুবাস্তববাদী গল্প
জাদু যেমন নিমিষে একটি অবস্থা থেকে আরেকটি অবস্থায় রূপ নেওয়ার মতো ঘটনা, যা চমকে দেয়, অবাক করে। জাদুবাস্তববাদী (ম্যাজিক রিয়ালিস্ট) লেখকের লেখায় উপস্থাপিত ঘটনাটা ঘটবে জাদুর মতো, ঘটবে মুহূর্তের ভেতরে, কিন্তু সেটি যারা দেখবেন বা অনুভব করবেন, তারা সেখানে থেকে এমন কিছু পেয়ে যাবেন, যাতে বোঝা যাবে ঘটনা যে-কারণে ঘটছে-- তার মূলে আছে কোনো একটা গভীর সত্য, যা সম্পর্কে আর প্রশ্ন করা চলে না, বরং সেটি চরম একটি বাস্তবতা। ফলে জাদুবাস্তববাদের কথা বললেই এই সহজ ব্যাপারটির দিকে খেয়াল রাখা দরকার।
জাদু বাস্তবতা ক্রমাগত বিভ্রম সৃষ্টি করে বাস্তবের অবস্থান নিয়ে: আমরা কল্পনাকে খুব শক্তিশালী দেখি, মুহূর্তকে শক্তিশালী দেখি,-- এবং এই মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে মানুষের পদচারণাকে তার একটি ক্রমবিলয়মান পৃথিবীতে টিকে থাকার উপায় হিসেবে দেখি। মানুষ এই সাহিত্যে তার অস্তিত্বকে ঘষা কাচের ভেতর দিয়ে দেখে, অথবা একটি তুর্কি আয়নায় প্রতিফলিত হতে দেখে এবং এই জীবনের অস্বচ্ছ অথবা বাঁকাচোরা চেহারা তাকে যুগপৎ চিন্তিত এবং কৌতুকাক্রান্ত করে। ওই মানুষ যখন এইভাবে আকৃতি/ সঙ্গতি বদলে যাওয়া বস্তুকে দেখে হাসে, অথবা বিস্মিতভাবে নিজের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চায়, তখন বস্তুর প্রেক্ষাপট, তার সময়, ইতিহাস বা দেশের বিস্তৃত পেছনভূমিটি অবধারিতভাবে উঠে আসে।
মূল স্প্যানিস ভাষা থেকে জয়া চৌধুরীর অনুবাদে পাঁচটি লাতিন জাদুবাস্তববাদী গল্প
--------------------------------------------------------------------------

মহাকাব্যিক উপন্যাসের স্রষ্টা অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু গল্পও লিখেছেন। সলিল চৌধুরীকে আমরা প্রখ্যাত সুরকার হিসেবে জানি। কিন্তু তিনি গান, কবিতা লেখায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। লিখেছেন উপন্যাস ও গল্প। উপন্যাস ও গল্পেও তার দক্ষতা উল্লেখ্যোগ্য। রমাপদ চৌধুরী খুব বেশি লেখেননি। কিন্তু তাঁর গল্প ও হেনরির ঘরানার। আবদুল মান্নান সৈয়দ বাংলা পরাবাস্তব কবিতা লেখার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য। তার গদ্য ও আখ্যান কবিতার মতোই আলোকোজ্জ্বল। সৈয়দ শামসুল হক সাহিত্যের সব শাখাতেই লিখেছেন। কিন্তু তিনি পঠিত হন কম। মাটিলগ্ন লেখক আফসার আমেদের প্রান্তিক গল্প উপন্যাস বহুকাল পঠিত হবে। পড়ুন প্রয়াত পাঁচ বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিকের গল্প।

এমদাদ রহমানের আয়োজন
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের সাক্ষাৎকার :




অনুবাদক : সমর সেন
--------------
অনুবাদ : অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
ইউরি ভাসিলিয়েভিচ বুইদা একজন রাশিয়ান গল্পকার, উপন্যাসিক। জন্ম ১৯৫৪ তে, রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য - দ্য জিরো ট্রেইন, দ্য প্রাশিয়ান ব্রাইড, মোর অ্যান্ড মোর অ্যাঞ্জেল্‌স অ্যান্ড দ্য সামুরাই'স ড্রিম। বুইদা'র 'দ্য জিরো ট্রেইন' উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালে রাশিয়ান বুকার প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়েছিলো। তার গল্পসসংগ্রহ '' দ্য প্রাশিয়ান ব্রাইড" গ্রন্থের জন্য পেয়েছেন অ্যাপোলন গ্রিগোরিয়েভ পুরষ্কার।
--------------




শ্রীলংকা--
রমেশ গুনেসেকেরা'এর গল্প : 
সড়কশব 
--------------------
অনুবাদ : আলম খোরশেদ
আনসার উদ্দিন'এর গল্প

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সিনেমা
এই সিনেমায় রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটক ব্যবহার করা হয়েছে।
korczak
Release date: April 12, 1991 (New York)
Director: Andrzej Wajda
Screenplay: Agnieszka Holland
Awards: German Film Award for Best Cinematography
মণীন্দ্র গুপ্ত'র আত্মজীবনী :
অক্ষয় মালবেরি--১
“অক্ষয় মালবেরী” র জাদু লুকিয়ে আছে প্রাক-স্বাধীনতা গ্রাম বাংলা ও বাঙালীর ক্রমশ পরিবর্তিত সমাজজীবনের সুস্বাদু পট অঙ্কনে । বইটিতে লেখকের জন্ম থেকে তাঁর কোলকাতায় এসে প্রায় ২২ বছর বয়স অবধি জীবনকাহিনী বর্ণিত । গ্রামবাংলার বহু হারিয়ে যাওয়া অতীত সংস্কৃতি যেমন ভাদ্র-সংক্রান্তিতে নদীতে বাইচ খেলা, নবান্ন উৎসবে নতুন চালবাটা দিয়ে বানানো নবান্ন পান করা, দূর্গাপুজোর ভাসান, শৈশবে হাতে-খড়ি- পড়তে পড়তে আপনার চার কামরার ফ্ল্যাট হয়তো পুব-দক্ষিণ খোলা বারদুয়ারী বিশাল বসতবাটি হয়ে যাবে । যেখানে দিনের শেষে দাওয়ায় বসে চিড়ে-নারকোল কোরা খেতে বসলে নারকেলপাতার ফাঁক দিয়ে নেমে আসা চাঁদের আলো নারকোল কোরায় মাখা হয়ে যায় ।

গল্পপাঠে নতুন গল্পকার

মার্গারেট মিচেলের ধারাবাহিক উপন্যাস
যেদিন গেছে ভেসে
চতুর্দশ পর্ব
অনুবাদ : উৎপল দাশগুপ্তর


গৌতম মিত্রর খেরোখাতা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ