লেখালেখিটা করা যায় না, বরং হয়ে ওঠে

অনিন্দ্য আসিফ
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
তরুণ গল্পকার অনিন্দ্য গল্পের মধ্যেই থাকেন। তার গল্পের মানুষেরা মানুষের মতো হাঁটে। মাছেরা মাছেদের মত উসক করে। গাছেরা গাছ হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে থাকে অবাক হয়ে চেয়ে দেখে--একজন লোক বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন। তার কাছে কিছু তরুণ এসেছে। তাঁকে ঘিরে বলতে চাইছে আপনি কি পুরস্কারটি নেবেন?
বুড়ো লোকটির দিকে তাকিয়ে থাকা এই তরুণটিই আনিন্দ্য। গ্রাম থেকে এসেছেন। সরল। মায়াময়। প্রাণজ। এখনো তার গল্পের নদী নদীর মতো বাজে। পাঠক তাকিয়ে থাকেন--অনিন্দ্যও পুরস্কারের দিকে নয়--প্রকৃত গল্পের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন।
অনিন্দ্য দুদফায় গল্পপাঠের কাছে লেখক ভুবন লিখে কথা বলেছেন।--গল্পপা
-----------------------------------------------------------------------------------------------------

. গল্প লিখতে শুরু করলেন কেন?
অধিকাংশ লেখকের শুরুটা স্কুল জীবন থেকে আমার শুরু অনার্সে ভর্তি হবার পর শুরুতে শুধু কবিতাই লিখতাম বলা যায় অনেকটা শখের বশে হঠাৎ গল্পে প্রবেশ শখটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে

২. কবিতা এবং গল্প লেখার কৌশল তো ভীন্ন। দুটোই একই সঙ্গে চর্চা করতে কি কোনো ধরণের সমস্যা বোধ করেছেন?
তা ঠিক। দুটো ভিন্নতর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। তবে দুটো ব্যাপারই মাথায় থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদিও গল্পে অধিক মনোযোগী হওয়ায় আপাতত আমার কবিতা হয়ে উঠছে না।

৩. শুরুর লেখাগুলো কেমন ছিল?
আমার প্রথম প্রকাশিত গল্পের নামশূন্যতা কাঁচা হাতের আবেগী লেখা হঠাৎ একদিন বাড়ি ছাড়ার আগে বন্ধুবর কবি সাংবাদিক মাজহার মান্নার কাছে অন্য ১৬টি গল্পের সাথে এটাও রেখে এসেছিলাম এগুলোর কোনোটাই আর আমার সংগ্রহে নাই

৪. সে সময়ে আপনার গল্পের বিষয়বস্তু-আখ্যান কি ধরনের হত। সেগুলো কাদেরকে পড়াতেন। তাদের প্রতিক্রিয়া কি ধরনের হত। কে কিভাবে উৎসাহ দিতেন।
প্রেক্ষাপট হতো নানান ধরনের। তবে তখন ইমদাদুল হক মিলন পড়তাম। তখন আমার সংগ্রহে থাকা তাঁর একটা বই সম্ভবত প্রেমের গল্প সংকলন অথবা এমন-ই কিছু একটা হবে। তো সেই বই-এ খুব মনযোগ দিতাম। যেমন শুরুতে মনযোগ দিতাম রবীন্দ্রনাথে। তবে রবীন্দ্রনাথের বদলে সম্ভবত মিলনের একটা প্রভাব আমার লেখায় আসতে লাগল। ফলে দেখা যেত-কী আমার অধিকাংশ গল্পে ছেলে-মেয়ের প্রেমটা প্রধান হয়ে উঠত এবং ভাষা ও শব্দ ব্যবহারে অদক্ষ হওয়ায় গল্পগুলো সংলাপনির্ভর নাটক-সিনেমার মতো হয়ে উঠত। তারপর এক সময় এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে পড়তে পারলাম অথবা চেষ্টা করতে থাকলাম। এটা সম্ভবত সৈয়দ শামসুল হক পড়ার পর। তবে শুরুতে গল্পের ব্যাপারে কারও তেমন উৎসাহ পাইনি। যে উৎসাহটা পেতাম কবিতার ব্যাপারে। উৎসাহ পেতে শুরু করলাম দৈনিক জনকণ্ঠে আমার ঝলসানো দুপুরে প্রকাশিত হবার পর। সেটা সম্ভবত ২০০৬-এর দিকে। যদিও আর কখনও কোনও জাতীয় দৈনিকে লেখা দিইনি। তো তার পরের ব্যাপারটা মুদ্রার উল্টোপিঠের মতো। মানে যারা কবিতার ব্যাপারে উৎসাহ দিত তারাই আমাকে গল্পকার বলতে থাকল। হা হা হা

৫. গল্প লেখার জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছেন? নিলে সেগুলো কেমন?
আমার ধারণা প্রস্তুতি নিয়ে কখনও মহৎ সৃষ্টি হয় না আমারও সে-ভাবে গল্প লেখার প্রস্তুতি নেয়া হয় না

৬. এখানে প্রস্তুতি বলতে গল্প লেখার কৌশল আয়ত্ত্ব করার কথা বলা হয়েছে। যেমন গান গাইতে চাইলে গানের নিয়ম-কানুন চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। গানের সুর তাল লয় রাগ ইত্যাদি বিষয়গুলি জানাবোঝা ও নিরন্তর চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো ছাড়া কখনো মহৎ গায়কী অর্জন করা সম্ভব হয় না। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তাই। গল্পের বেলায় এ ধরনের প্রস্তুতির কথাও বলা হয়েছে। এগুলো একটু বিস্তারিত বলুন।
আমার মনে হয় লেখালেখিটা করা যায় না, বরং হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে আমি প্রতিভা বিশ্বাস করি। নইলে সব বাংলা অধ্যাপক ভালো লেখক হয়ে উঠতেন। অথবা তরুণ লেখক প্রকল্পের মতো আনাচে কানাচে কোচিং সেন্টার গজিয়ে উঠত। এটা নিতান্তই প্রতিভাসংযোগে নিবিড় চর্চার বিষয়। লিখতে লিখতে আর পড়তে পড়তে একটা আপাত অদৃশ্য প্রস্তুতি আমার ভেতর গড়ে উঠেছে। এখন একটা প্রেক্ষাপটের প্রয়োজন হয়। এই প্রস্তুতির আকার আকৃতির ব্যাখ্যা আমি দিতে পারছি না। হা হা হা

৭. আপনার গল্পলেখার কৌশল বা ক্রাফট কি?
সব বিষয়ে আমার দারুণ আগ্রহ একটা থিম মাথায় রেখে শব্দ-বাক্যের ভাঙচুর খেলা খেলি শেষমেশ দেখা যায় শুরুর থিমটা গল্পে আর তেমন থাকে না

৮. এ ক্ষেত্রে আপনি শুধু শব্দের ভাংচুরের কথা বলেছেন। কিন্তু তার আখ্যান, উপাখ্যান, চরিত্র নির্মাণ, কনফ্লিকশন বা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি, টেনশন তৈরী, একটি সারথক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এ বিষয়গুলি গল্পের ট্রাডিশনাল ক্রাফট। এ বিষয়গুলি আপনি কিভাবে আপনার গল্পে প্রয়োগ করেন।
আপনি যে ট্রাডিশনাল ক্রাফট-এর কথা বললেন আসলে লেখার শুরুতে আমি অতোটা মাথায় রাখি না। অটোম্যাটিক্যালি ব্যাপারগুলো ঘটে যায়। দেখা গেল লেখার ভেতর আচমকা একটা চরিত্র এসে গেল যার কথা একটু আগেও ভাবিনি। অথবা হঠাৎ একটা চরিত্র অদৃশ্য হয়ে গেল আর তাতে অনভিপ্রেত একটা টেনশন, ফ্লিকশন এসে গেল এই আর কি। তাছাড়া আমার গল্পের একটা বিশেষ দিক হচ্ছে উপমা ব্যবহার। এটা আমার জন্য একটা স্বস্তিদায়ক আর আরামপ্রদ বিষয়। সবক্ষেত্রে হয়তো যথাযথ হয় না কিন্তু উপমা ব্যবহারে আমাকে খুব ভাবতে হয় না। বলতে গেলে লেখার মাঝেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে।

৯. আপনার নিজের গল্প বিষয়ে আপনার নিজের বিবেচনা কি কি?
যতোক্ষণ নিজের কাছে ভালো না লাগে ততোক্ষণ গল্প লেখা শেষ হয়েছে বলে মনে করতে পারি না

১০. এই ভালোলাগার শর্তগুলো কি ধরনের? অর্থাৎ গল্পটি কি কি শর্ত পূরণ হলে আপনার ভালো লাগে।
ঐ যে বললাম আমি অতোটা ট্রাডিশনাল ক্রাফট মাথায় নিয়ে লেখা শুরু করি না। ব্যাপারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে যায়। তবে শেষ হয়ে গেলে পূনর্বার পেছন ফিরে তাকাই। তখন ক্রাফটগুলোকে বিশ্লেষণ করি। প্রয়োজনে ব্যাপক ভাঙচুর করি। যখন মনে হয় সেগুলো গল্পের চিত্রপটে যথাযথ চিত্রিত হয়েছে তখন স্বস্তিনুভব করি। অবশ্য কোনও লেখক-ই তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির ব্যাপারেও সম্পূর্ণ তুষ্ট নন।

১১. আপনার আর্দশ গল্পকার কে কে? কেনো তাঁদেরকে আর্দশ মনে করেন?
শুরুতে রবীন্দ্রনাথ খুব ভালো লাগতো সবশেষে শহিদুল জহিরকে মনে হলো তিনি গল্প লেখার ভেতরে গল্প বলার এক অভিনবত্ব এনেছেন কিন্তু যাঁর গল্প পড়ার পর আমার সতেরোটি গল্পের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি তিনি সৈয়দ শামসুল হক

১২. একটু বিস্তারিত বলেন
রবীন্দ্রনাথের কোন গল্পগুলো আপনার ভালো লাগত। কি কি কারণে গল্পগুলো ভালো লাগত। আবার শহিদুল জহিরের গল্পগুলোর কোন কোন বিশেষত্ব আপনাকে টেনেছে। সেগুলো আপনার ভেতরে কি ধরণের প্রভাব সৃষ্টি করেছে? এবং সৈয়দ শামসুল হকের গল্পের ভুবনে কি এমন যাদু আছে যে আপনি আপনার লেখা ১৭ টি গল্প বাতিল করে দিতে বাধ্য হলেন?
আমরা বাঙালিরা খুব ছোট বেলাতেই অন্তত দুজন কবি-র কথা এভাবে জেনে আসি যে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমার জানাটাও এভাবেই। তবে আমার ক্ষেত্রে এখানে একটা প্রযোজ্য কথা হলো যে আমার ফ্যামিলি কিন্তু বেশ কনজারভেটিভ। আমার দাদা তার মান্নত রক্ষা করতে গিয়ে আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। তো মাদ্রাসায় হয় কি ওখানে রবীন্দ্রনাথের বিষোদগার আর নজরুলের গুণগান হয়। কিন্তু কেন জানি রবীন্দ্রনাথের প্রতি এই তাচ্ছিল্যটা আমি নিতে পারতাম না। মনে হতো তিনি যখন বিশ্বকবি তবে তার বিরুদ্ধে অতো অভিযোগ থাকবে কেন? তারপর যখন কলেজে ভর্তি হলাম এবং লেখালেখির সাথে যুক্ত হলাম তখন কিন্তু মাথার ভেতর রবীন্দ্র, নজরুল একটা হিউজ ফ্যাক্ট। যেহেতু নজরুল গল্পে তেমন পদচারণা করেননি সেহেতু রবীন্দ্রনাথ-ই পাঠ করতে লাগলাম। খুব মনযোগ দিয়ে। এবং তখন কখনও কখনও নিজেকে আমি গল্পের কোনও এক চরিত্র অথবা সেই সময়ের মাঝে ডুবে যেতাম। এমনকি এখনও মাঝে মাঝে চন্দ্রালোকে যখন আমাদের পুরনো ভাঙা পুকুরঘাটে যাই তখন চট করে কেন জানি মনে হয়, এই হল রবীন্দ্রামল। হা হা হা

আর শহীদুল জহিরের ব্যাপারটা ভিন্ন। আমি যখন পারাপার গ্রন্থপাঠ করি তখন পারাপার গল্পে এসে তাঁকে ভালো লাগতে শুরু করে। কিন্তু এই গ্রন্থে শক্তিমান গল্পকার হিসেবে শহীদুল জহিরকে পাওয়া যায় না। কেবল তাঁর আগমন ধ্বনি পাওয়া যায়। কিন্তু ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প গ্রন্থে প্রবেশ মাত্রই পাই এক অন্য শহীদুল জহিরকে। যেখানে আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই, কাঠুরে ও দাঁড়কাক, ডুমুরখেকো মানুষ  প্রভৃতি গল্পপরম্পরায় তিনি ভাষা ব্যবহার আর বর্ণনায় আমার ভেতর এক অদ্ভুত যাদু আর মায়াজাল তৈরি করেন। বিষয় বৈচিত্র্য আর গল্প বলার এই নিজস্বতা আমাকে মোহাবিষ্ট করেছে। আর সৈয়দ শামসুল হক তাঁর প্রথম চুম্বন,  ফিরে আসে , নেপেন দারোগার দায়ভার এবং আরও প্রভৃতি গল্পে সমাজ-রাষ্ট্রচিন্তা, প্রেম-যৌনতা আরও ভেঙে বললে তাঁর বিষয় বৈচিত্র্যতো বটেই, ভাষা আর শব্দ ব্যবহারে সাহসিকতা আর স্বাধীনচেতা মনোভাব আমাকে দারুণ আকৃষ্ট করেছে।

১৩. কার জন্য গল্প লেখেন? আপনি কি পাঠকের কথা মাথায় রেখে লেখেন? লিখলে কেনো লেখেন? আর  যদি পাঠকের কথা মনে না রেখে লেখেন তাহলে কেনো পাঠককে মনে রাখেন না লেখার সময়ে?

প্রথমত নিজের জন্য গল্প লিখি যখন একটা থিম মাথায় ঘুরপাক খায় আর  প্রথম লাইনটা শুরু করি তখন সেটা আমার ভেতর দারুণ প্রেসার ক্রিয়েট করে নিস্তার পেতেই তখন গল্পটা শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লাগি পাঠকের কথা তেমনভাবে মাথায় রাখি না আমি অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি যারা আমার মতোই একটা সময় হুমায়ূন আহমেদে মজে ছিলেন পরবর্তীতে আর  হুমায়ূন আহমেদ ছুঁয়ে দেখেননি অর্থাৎ পাঠ পাঠকের কিন্তু বিবর্তন ঘটে মানে দাঁড়ালো কোনও সৃষ্টি- সর্বজনগ্রাহ্য বা সর্বজনীন নয় তাই পাঠকের কথা মাথায় রেখে আমি লিখি না অথবা লেখা হয়ে উঠে না

১৪. হুমায়ুন আহমদকে এক সময়ে ভালো লাগত
কিন্তু পরবর্তি সময়ে হুমায়ূনকে পরিত্যাগ করলেন। কি কি কারণে বা অভিযোগে হুমায়ূনকে পরিত্যাগ করলেনএকটু বিস্তারিতভাবে বলুন।
হুমায়ূন আহমেদ কিছু বিষয় বৈচিত্র্য এনেছেন যেমন- মিসির আলী, হিমু, শুভ্র ইত্যাদি। সবই ঠিকাছে। কিন্তু তাঁর ছোট গল্পে বা উপন্যাসে ভাষা বা শব্দ-বাক্য ব্যবহারে তেমন বৈচিত্র্য কি চোখে পড়ে? হুমায়ূন আহমেদ এক শ্রেণীর পাঠকের জন্য উপাদেয় হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় বোদ্ধা পাঠক তথা লেখক আরও বর্ণনায় গেলে তরুণ লেখকদের জন্য ক্ষতিকারক। যেহেতু নন্দিত নরকের  পর তেমন মানের লেখা স্পষ্ট চোখে পড়ে না। কিন্তু এটাও ঠিক যে বইবিমুখ একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে তাঁর লেখা বইয়ের ভেতর তিনি আটকে রেখেছেন। হয়তো জনপ্রিয়তাই তাঁকে একই স্টাইলে ধরে রেখেছে।

১৫. এখন কি লিখছেন?
আপাতত গল্পই লিখছি

১৬. কি  গল্প লিখছেন? এ গল্পের বিষয়ে একটু বলুন। আপনার আগের গল্পের সঙ্গে কি এই লেখার কোনো নতুনত্ব থাকবে কি?
হ্যাঁ, এটা একটা অন্য গল্প। অন্যরকমও হওয়ার কথা। প্রেক্ষাপট অবশ্য আমাদের জানা ব্যাপারগুলোর মধ্যেই। আমার ন্যাংটা কালের বন্ধু রূপন। হিন্দু সম্প্রদায়ের। সম্প্রতি সে এক নিচু জাতের মেয়েকে বিয়ে করার ফলে এলাকায় তাদের সম্প্রদায় তাকে সহ তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে। তাকে প্রধান চরিত্র করেই গল্পের বর্ণনা।

১৭. আগামী কি লিখবেন?
নাটক নির্মাতাদের স্বপ্ন থাকে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার আমারও তাই মানে উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আছে

১৮. এই উপন্যাসের বিষয়ভাবনা কি করেছেন? সেটা কি বিষয়, কী চরিত্র, কোন ভাষা ভঙ্গীতে লিখবেন
কিছু কি ভেবেছেন?

বিষয়ভাবনা করেছি। কিন্তু আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের ব্যাপার এখানে আছে। একজন দুরন্ত কিশোর কীভাবে চালে-কূটচালে পাবলিক প্রসিকিউটর হয়ে উঠল এবং কীভাবে সুশীল সমাজের মধ্যমণি হয়ে উঠল এই নিয়ে উপন্যাসের গতিপথ হওয়ার কথা। সম্ভবত নির্মাণাধীন গল্পটা শেষ করে উপন্যাসের কাজ শুরু করব।


অনিন্দ্য আসিফের গল্প পড়ুন : আশুদার খোঁজে

লেখক পরিচিতি
অনিন্দ্য আসিফ
জন্ম ১৯৮১।
কিশোরগঞ্জে বেড়ে ওঠা।
গল্পকার।
                

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ