কবিতায় সব কথা বলা যায় না...তাই এই গদ্য-এর আশ্রয় ।

কৌশিক বাজারী


১. গল্প লিখতে শুরু করলেন কেন?

কবিতায় অনেক গহন কথা বলা হয় । আবার সেখানে অনেক হয়ে ওঠা থাকে, অনেক নির্মান বিনির্মানের ফাঁক থাকে । সেই ফাঁক পূরণের ব্যাপার থাকে ।  এবং কবিতা শেষ অবধি একটা আলো-আঁধারি জগৎ।  রহস্যের মায়াতাঁবু থাকে সেখানে। এবং সে পথেই গহনে পৌঁছনোর একটা প্রচেষ্টা থাকে... । তবু শেষ পর্যন্ত কবিতায় সব কথা বলা যায় না বোধহয় । অনেক সাধারণ , হেটো, মেঠো, সংসারের হাড়ি কুড়ির কথা থাকে আমাদের ভেতর, সেগুলো সব কবিতায় ধরে না । কবিতা তাদের গ্রহন করেনা । তারা বারবার আধারের আবেদন জানায় । তাই এই গদ্য-এর আশ্রয় । গল্প বললে গল্প ।

 ২. শুরুর লেখাগুলো কেমন ছিল? 

দ্বিতীয় প্রশ্নটা আমার পক্ষে থমকাবার মতো ! শুরুর লেখা কেমন ছিল এ প্রশ্নটা আমার জন্য নয় নিশ্চয়। কারন গুছিয়ে গল্প লিখেছি মোট চার খানা । এই কয়েক মাসের ভেতর । আর একটা ধারাবাহিক আখ্যান চলছে লেখা । তবে ছোটো ছোটো গদ্য আগেও লিখেছি । সেগুলো নিয়ে তখন একটা চটি বইও করেছিলাম, বিষ শতকীয় গদ্যাবলী, না বানান ভুল নয়, ওটা সত্যিই বিষ

৩. গল্প লেখার জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছেন? নিলে সেগুলো কেমন

প্রস্তুতি মানে কি সঠিক বুঝতে পারছি না । ছোটো বেলায় যখন ইন্দ্রজাল কমিকস্ পড়তাম, টিনটিন পড়তাম, বা বাঁটুল তখন যা ভাবতাম সব ঐরকম ছবিতে গল্প , একদিন অংক খাতার পিছনে ছবিতে গল্প বানাতে গিয়ে দেখি একটা চরিত্র দ্বিতীয় বার আঁকার সময় অন্য রকম হয়ে যায়, কিছুতেই পিছন থেকে তাকে এঁকে বোঝাতে পারি না , সে এক কেলেংকারি...তারপর যখন গোগোল বা ফেলুদা পড়ছি, তখন একবার রহস্য গল্প লেখার চেষ্টা করলাম, শেষে দেখি খুনি কে, নিজেই খুঁজে পাই না... এই রকম প্রস্তুতি আর কি !

৪. আপনার গল্পলেখার কৌশল বা ক্রাফট কি?
৫. আপনার নিজের গল্প বিষয়ে আপনার নিজের বিবেচনা কি কি

৪. ও ৫. - ফল্গু বসুর একটা কবিতার লাইন আছে ; থ বনে গেলাম প্রশ্ন শুনে, কেননা সে / আমার কাছেই আমার খবর জানতে চাইছে ।....

৬. আপনার আদর্শ গল্পকার কে কে? কেন তাঁদেরকে আদর্শ মনে করেন 

আদর্শ না কি ঠিক জানিনা । ছোটোবেলায় খুব গল্পের বই-এর পোকা ছিলাম তো, যা পেতাম সব গিলতাম, পরে একটু বড় হয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ে রুচিটা পাল্টে গেল । তখনো তো রবীন্দ্রনাথ পড়িনি, বিভূতিভূষণ পড়িনি পরে সেসব পড়ে আবার পাল্টে গেলাম, এভাবে আদর্শ বা ভাল লাগা পাল্টে পাল্টে গেল বারবার...তারপর কুখ্যাত শারদীয়া পল্প পড়ে আবার একবার মতাদর্শ পাল্টে গেল... এখন আবার অন্য রকম...

৭. কার জন্য গল্প লেখেন? আপনি কি পাঠকের কথা মাথায় রেখে লেখেন? লিখলে কেন লেখেন? আর যদি পাঠকের কথা মনে না রেখে লেখেন তাহলে কেন পাঠককে মনে রাখেন না লেখার সময়ে?

মাইরি বলছি, পাঠকের জন্যিই গল্প লিখেছি চার খানা । কিন্তু পাঠক কৈ ! মানে এখনো তো সে ভাবে কিছু প্রকাশ হয়নি আমার লেখা ! তবে এটাও সত্যি , যখন লিখি, তখন কারো কথা মাথায় থাকে না...

 ৮. এখন কি লিখছেন ? 
এখন মাথা ফাঁকা যাচ্ছে কিছুদিন...

 ৯. আগামী কি লিখবেন ?
ভবিষ্যতের কথাও বলতে পারি না...



লেখক পরিচিতি
কৌশিক বাজারী
জন্ম ১৯৭৪ সালে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে। এতাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থ “নাচে জন্ম নাচে মৃত্যু”(অনলাইন পড়ার ঠিকানাঃ http://khata-kobitar.blogspot.in/2012/09/blog-post_15.html ) । ‘মিরুজিন’ নামক সাহিত্য পত্রের সম্পাদক। মূলতঃ কবি হিসাবে পরিচিত হলেও অনন্য গদ্যশিল্পী। ইমেইলঃ koushik.bazari@gmail.com . ধারাবাহিক উপন্যাসঃ ফেরিওয়ালার ডায়েরি ।
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. "একটা চটি বইও করেছিলাম, “বিষ শতকীয় গদ্যাবলী’, না বানান ভুল নয়, ওটা সত্যিই ‘বিষ’ । "

    moja pelam....

    উত্তরমুছুন