একুশ তাপাদার : গল্পের মধ্যে অহেতুক কথাবার্তা থাকলে মন্দ লাগে


একুশ তাপাদার সিলেটের মানুষ। ব্লগার। নিজের গল্পভাবনাটি লিখে পাঠিয়েছেন। তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে একজন মনোযোগী পাঠকের চিত্রটি ফুটে উঠেছে। 
-------------------------------------------------------------------

গল্পপাঠ. ১. আপনি শুরুতে কি পড়তেন?
একুশ তাপাদার. ১. একদম ছোটবেলায় কমিকস বই পড়েছি , কিশোরবেলায় গোয়েন্দা গল্প ভীষণ ভালো লাগত। শার্লক হোমস পড়তাম তবে মগ্ন হয়ে পড়তাম সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার সব গল্প ।
কমিকস বইগুলো পেয়েছিলাম কোন এক সহপাঠির কাছ থেকে । আজ আর নাম মনে নেই, তখন অনেক সহপাঠি বন্ধুই কমিকস পড়ত । ফেলুদা আর শার্লক হোমসের বই কিনেছিলাম ট্রেন স্টেশনে । সম্ভবত সিলেট থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। সেবা প্রকাশনি বা মাসুদ রানার কোন বই আমার পড়া হয়নি। বন্ধুরা কেউ কেউ পড়ত।


গল্পপাঠ.২. এর মধ্যে গল্প কখন পড়া শুরু করলেন?
একুশ তাপাদার. ২. কলেজ জীবন থেকেই মূলত সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জন্মেছে, পড়াও শুরু হয়েছে। কবিতা, উপন্যাসের প্রতি গল্পের মতই সমান আকর্ষন আছে বলে আমি মনে করি। আমি নিজেই কবিতার একজন বিশেষ অনুরাগি । প্রবন্ধ, ইতিহাস , বিজ্ঞান , দর্শনের আকর্ষন অবশ্য মগজের পুষ্টি বাড়ানোর তাগিদ থেকে । প্রবন্ধের ক্ষেত্রে যেমন হুমায়ুন আজাদের আমি ভীষন ভক্ত। হুমায়ুন আজাদ আমাকে অনেক দিয়েছেন । তাঁর কবিতাও আমার ভালো লেগেছে । আর গল্পের মধ্যে আলাদা যে ব্যাপার আছে তা হল- গল্প যেন কবিতা আর উপন্যাসের মধ্যে সংযোগ সেতু। কবিতার মোহবিষ্টতা আর উপন্যাসের বিবৃতি সব যেন একসাথে মিশে গিয়ে ছোটগল্পের মধ্যে অন্যন্য হয়ে উঠে । প্রতিটি নতুন গল্প একেকটি নতুন চিন্তার জায়গা তৈরি করে দেয়। আমি তেমনটিই দেখি।

গল্পপাঠ.৩. গল্প কেনো পড়েন?
একুশ তাপাদার. ৩. আসলে মনে হয় সব মানুষই যেকোন গল্প শুনতে পছন্দ করে । সেই জায়গা থেকেই মূলত একটা আগ্রহ , একটা কৌতহলের তাড়নাবোধ জড়িত হয়ে যায় । আর এরসাথে যদি পাঠাভ্যাস যুক্ত হয় তাহলে পড়ার ব্যাপারটাও দাঁড়িয়ে যায়।

গল্পপাঠ.৪. কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি আছে। কিন্তু মানুষ এর মধ্যে গল্প সব মানুষ শুনতে পছন্দ করে কেনো? গল্পের মধ্যে কি এমন আছে যা অন্য সব কিছুর চেয়ে মানুষকে বেশি আকর্ষণ করে? গল্পের মধ্যে কি কৌতুহল জাগে যা তাড়না করায় পাঠককে? আসলে গল্পের মধ্যে আপনি কি দেখতে চান?
একুশ তাপাদার. ৪. আমার মনে হয় গল্পের মতই কবিতা , উপন্যাসের প্রতিও মানুষের সমান আগ্রহ। মাঝে মাঝে মনে হয় কবিতা আর উপন্যাসের কম্পিনেশন হচ্ছে ছোটগল্প। কবিতার মোহবিষ্টতা আর উপন্যাসের বিবৃত বয়ান মিশে গল্প হয়ে যায় । গল্পের মধ্যে বিস্তর ইতিবৃত্ত খুজ সহজে উঠে আসে বলে মানুষের কৌতুহল জাগতে পারে। প্রতিটি নতুন গল্পের মধ্যে আমি নতুন নতুন চিন্তা খুঁজে পাই।

গল্পপাঠ. ৫. জীবনে প্রথম কোন গল্পটি আপনাকে বেশী স্পর্শ করেছিল? কেনো করেছিল?
একুশ তাপাদার. ৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি গল্পটি আমাকে খুবই স্পর্শ করেছিল কিশোর বয়সে। ফটিক চরিত্রটির মাঝে অজান্তেই নিজেকে বসিয়ে একধরনের গভীর দুঃখবোধের আক্রান্ত হবার কারনেই বেশি স্পর্শ করেছিল । গল্পটির মানবিক ব্যাপ্তি আসলে কিশোরমনকে গ্রাস করতে ম্যাজিকের মত কাজ করেছিল বোধহয় ।
গল্পপাঠ. ৬.পরে যখন ধীরে ধীরে কৈশোর ছেড়ে গেলেন তখনো কি ফটিককে মনে পড়ে? কিভাবে মনে পড়ে? এখন যদি আবার ফটিক গল্পটি পড়েন তাহলে কি ছেলেবেলার মত ফটিককে ভালো লাগায়?
একুশ তাপাদার. ৬. ফটিককে সবসময়ই মনে পড়ে। এখন গল্পটি আমার মাথার ভেতর সতেজই আছে ।

গল্পপাঠ. ৭. গল্প পড়তেন কিভাবে? কোন কোন সময়ে? কোন কোন পরিবেশে? পরিবারের কেউ বা বন্ধু বা শিক্ষক কি কেউ গল্প পড়তে উৎসাহিত করেছেন? একটি গল্প কিভাবে পড়তে হয়--সেটা কি কেউ কখনো আপনাকে দেখিয়ে দিয়েছেন?
একুশ তাপাদার. ৭. অবসরের চেয়ে কাজের সময়েই কেন জানি পড়তে মন চায় বেশি। বই পড়ার জন্য নিজের শোবার ঘর আর নির্জনতা প্রিয় আমার। পাঠাভাস্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আসলে ওইভাবে কোনদিন কেউ তেমন প্রভাবিত করেনি। তবে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা আগ্রহ জন্মানোর কাজ করেছে।

গল্পপাঠ.৮. দৈনিকের সাহিত্য পাতায় কি ধরনের বিষয় থাকে যা আপনার আগ্রহ জন্মায়? এক্ষেত্রে কোন কোন সাহিত্যপাতা উল্লেখযোগ্য মনে করে করেন? আপনি কি মনে করেন দৈনিকের সাহিত্য পাতা সৎ সাহিত্য সৃষ্টিতে বড় অবদান রাখছে? উল্লেখযোগ্য কোনো লেখক তৈরীতে অবদান রাখতে পারছে? বাংলাদেশের লিটিল ম্যাগাজিনগুলোর অবদান কি? তারা কি দৈনিকের সাথে পেরে উঠছে না? বাংলাদেশ কবিতা প্রধান দেশ। গল্পের ক্ষেত্রে কি এই সব পত্র-পত্রিকা বিশেষ কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে?
একুশ তাপাদার. ৮. ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ভোরের কাগজ, প্রথমআলো এইসব পত্রিকার সাহিত্য পাতা হাতের কাছে পেতাম। একধরনের আগ্রহ জন্মেছে । অনেক লেখকের নাম জানতে পারেছি । তেমন কোন লেখক তৈরি করতে কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে পুরনো লেখকদেরই নতুন পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে ।

গল্পপাঠ. ৯. পড়ে কোনো গল্প ভালো লাগলে কি রকম অনুভূতি হয়? আপনার কি কখনো মনে হয়েছে গল্পের কোনো চরিত্র আপনার নিজের মত। বা চরিত্রটি আপনার মধ্যে চলে এসেছে। কিছুদিন তার মত করে চলাফেরা করতে শুরু করেছেন?
একুশ তাপাদার. ৯. কোন গল্প মনে দাগ কাটলে একধরনের আনন্দ অনুভব করি। তৃপ্তিবোধ হয় । মনে হয় কিছু পেলাম , মনে হয় জীবনের এইসব কিছুই সুন্দর । আগেই বলেছি ফটিক চরিত্রটিতে কিশোর বেলায় নিজেকে বসিয়ে একধরনের দুঃখ পেতে ভাল লাগত । গল্পের কোন চরিত্রের মধ্যে ঢুকে বাস্তবে কোনদিন চলাফেরা করিনি। কিন্তু গল্প , উপন্যাসে অনেক চরিত্রই মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে- যেমন- ইলিয়াসের রঞ্জু, মানিকের কুবের মাঝি, শশি ডাক্তার , শাহাদুজ্জামানের শফিক । মাঝে মাঝে এমনও মনে হয় এইসব চরিত্রেরা এই পৃথিবীতে বাস্তবেও হয়ত বিচরণ করত ।

গল্পপাঠ. ১০.আপনি হুমায়ূন আহমেদের নাম নিলেন না। তার তো অনেক চরিত্র আছে। অনেকেই হিমুর মত চলতে চায়। এ ক্ষেত্রে আপনার মতামতটি কি?
একুশ তাপাদার. ১০. হুমায়ুন আহমেদের লেখা আমি পড়েছি, হিমু , মিসির আলীর অনেকগুলো বই পড়েছি। তবে অন্য অনেকের মত হুমায়ুনের লেখা পড়ে আমি পাঠক হইনি তাই হয়ত তাঁর নাম নিতে চাইছিলাম না । আমি হুমায়ুনকে অশ্রদ্ধা করতে চাইনা , আমি তাঁর মতো লেখক হতে পারব না সেই কেলিভার আমার নেই। তবে সত্যি কথা বলতে হুমায়ুনের হিমুর কোন বইই এর স্মরণযোগ্য হয়ে উঠছে না । হিমু থেকে মিসির আলী বিষয়ক বইগুলো অনেক বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়েছে । নন্দিত নরকের কাহিনী মনে করা যায় । তাঁর বই যখন পড়তাম তখন মজা লাগত , কিন্তু পড়ার পর আর সেই বই কোন ভাবনায় ফেলত না । কঠিন কোন বই পড়ার পর রিফ্রেশেরমেন্টের জন্য হুমায়ুনের বইগুলো একধরনের পজেটিভ ভূমিকা পালত করত বটে । ইলিয়াসের রঞ্জু, মানিকের কুবের মাঝি, শশি ডাক্তার , শাহাদুজ্জামানের শফিক--এদেরকে কেনো ভালো লাগে।  
রঞ্জু তাঁর নিজের মধ্যে আলাদা জগত তৈরে করে , এই ব্যাপারটা একটা আকর্ষণ তৈরি করেছিল। কুবের মাঝিকে আমার সত্যিকারের এক নির্ভেজাল প্রেমিক মনে হয়েছে । শশি ডাক্তার জীবনের নানান রঙ্গকে মিলনায়তনে নাটক দেখার মত করে উপভোগ করেছে বলে মনে হয়েছে। শশি ডাক্তার জীবনের আদর্শ দর্শক , যে নাটক চলাকালীন সময়ে নিজের মোবাইল ফোনটা সাইলেন্ট রেখেছিল । শফিক এযুগের মানুষ । শফিক শহুরে ও গ্রামীন ধারনা সমৃদ্ধ , রাজনীতি সচেতন । তাঁর সাথে রিলেট করা যায় খুব সহজে। শফিকের দেখার ভঙ্গি অন্যন্য। শফিক বেশি কথা বলেনা আবার অনেক কিছু বলেও দেয়। তাই ভাল লেগেছে ।

গল্পপাঠ. ১১. একটি গল্পের কি কি বিষয় আপনাকে টানে? অর্থাৎ একটি ভালো গল্প হয়ে উঠতে হলে গল্পের মধ্যে কি কি বিষয় থাকা দরকার বলে মনে করেন?
একুশ তাপাদার. ১১. এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আমার পক্ষে কঠিন । কারণ আমি নেহাতই একজন পাঠক। কি কি গুন থাকলে কোন গল্প ভাল হয় মন্দ হয় এইগুলা বিচার করার সক্ষমতা আমার নেই । সহজ সাবলিল ভাষায় যদি কোন গল্পের জীবনবোধে আমি রিলেট করতে পারি তাহলে সেটাই আমাকে টানে বেশি। কোন গল্প দুর্বোধ্য হয়ে উঠলে তাঁর ভেতরে প্রবেশ করার আগ্রহ পাই না হয়ত সেটা আমার নিজেরই অক্ষমতার জন্য। কাজেই গল্পে ভাল মন্দ বিচার করার আমি কেউ না । আমার কাছে যা ভালো লাগবে তাই যে শ্রেষ্ঠ এমনটাও নয়।

গল্পপাঠ. ১২.আপনার এই ভালো লাগাটার ধরনগুলো একটু বিস্তারিত করুন। যেমন আপনি বলছেন-- ক. সহজ সাবলিল ভাষা খ. জীবনবোধ যা আপনাকে রিলেট করে। এই সহজ সাবলিল ভাষা বিষয়ে একটু বলুন। ধরুন রবীন্দ্রনাথের ভাষা আর মানিকের ভাষা : এক্টা কবির ভাষা। আরেকটি গল্পকারের ভাষা। কিন্তু দুজনেই গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পাঠককে ভাষার দেওয়াল ভেদ করার মত কষ্ট করতে হয় না। কিন্তু আবার ইলিয়াসে দেখুন--সেখানে কিন্তু ভাষার একটা প্রখরতা আছে। যে কেউ সহজে ঢুকতে পারে না। এক্টু মন তৈরী করে নিতে হয়। এই ঘটনাটি কমলকুমারে বেশি।
একুশ তাপাদার. ১২. সহজ সাবলিল ভাষা বলতে আমি বুঝি গল্পকে অহেতুক জটিল করার প্রবণতা কম থাকা। ইলিয়াসের লেখায় অহেতুক জটিল করার প্রবণতা নেই। তাঁর গল্প জটিলতা সহজবোধ্য করার প্রবণতা আছে বলে মনে হয়েছে । এই যে পাঠকের মনে হওয়া । এই মনে হওয়াটার মধ্যে লেখকের কোন মুন্সিয়ানা থাকতে পারে । আমি লেখক নই। হলে আর ভাল করে বলতে পারতাম ।

গল্পপাঠ. ১৩. সে রকম গল্প কোন কোন গল্পকারের মধ্যে পেয়েছেন? কিছু গল্পের নাম বলুন।
একুশ তাপাদার. ১৩. মানিকের উপন্যাসের ভীষণ রকম ভক্ত আমি । আমার মনে হয় তিনিই বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক । এছাড়াও তাঁর ছোট গল্পও ভালো লাগে । প্রাগনৈতিহাসিকের কথাই ধরুন । এছাড়া রবীন্দ্রনাথের প্রায় সব ছোটগল্প । আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসের দোজখের ওম, দুধভাতে উৎপাত, 'ফেরারী, খোঁয়ারি। হাসান আজিজুল হকের আত্মজা ও একটি করবী গাছ , শাহাদুজ্জামানের গল্প, অগল্প না গল্প সমগ্রের সব লেখাই ভীষণ রকম ভালো লেগেছে । এছাড়া আরও অনেক লেখকের অনেক গল্পের নাম বলা যায় । তালিকা দীর্ঘ । এখন যা মাথায় এলো তাই বললাম ।

গল্পপাঠ. ১৪. এখানে আপনি হুমায়ূনের নাম বলেননি। ইমদাদুল হক মিলনের নাম বলেননি। এরা তো অনেক গল্প লিখেছেন। এদের গল্প কেনো আপনাকে ভক্ত করে নেয়নি।ঈদের গল্পের সমস্যা কি বলে মনে করেন? শাহাদুজ্জামানের গল্প আপনার পছন্দ--কিন্তু শহিদুল জহীরের কোনো নাম নিলেন না? এর ব্যাখ্যা কি আপনার?
একুশ তাপাদার ১৪. হুমায়ুনের বই পড়েছি, মিলনের কোন কিছুই আমাকে টানে নি। আর কিছু গল্পের নাম বলতে ভুলে গেছি। যা খুব নাড়া দিয়েছিল- যেমনঃ- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর একটি তুলসী গাছের কাহিনী , আবু ইসহাকের জোঁক , শওকত ওসমানের মৌন নয়, হাসান হাফিজুর রহমানের আরো দুটি মৃত্যু। মনে পড়ে একটি তুলসী গাছের কাহিনী পড়ে আমি কেঁদেছিলাম , যেমন করে কেঁদেছিলাম বিভুতিভুষনের অপরাজিত উপন্যাস পড়ে । পথের পাঁচালী থেকেও অপরাজিত আমাকে বেশি নাড়া দিয়েছিল ।

গল্পপাঠ. ১৫. কি কি কারণে কোনো গল্প মন্দ হয়ে ওঠে? এ রকম কি ঘটনা ঘটেছে যে এক সময় মনে হয়েছিল গল্পটি ভালো--পরে তা মন্দ লেগেছে?
একুশ তাপাদার. ১৫. আমি আগেই বলেছি গল্পের ভাল মন্দ বিচার করে ট্যাগ দেয়ার মতো সক্ষমতা আমার নেই। আমার যা মন্দ লাগে সেটা যে আসলেই মন্দ এমন নাও হতে পারে। এমন কোন গল্পের কথা মাথায় আসছে না যে আগে ভালো লেগেছে এখন মন্দ লাগে।

গল্পপাঠ. ১৬. কি কি হলে মন্দ লাগে গল্প? যেমন ধরুন গল্পের গল্পের কিছু কম্পনেন্ট-- ক. বিষয়বস্তু বা থিম। খ. কাহিনীকাঠামো বা প্লট গ. চরিত্রনির্মাণ ঘ. দ্বন্দ conflict ঙ. উৎকণ্ঠা suapense চ. সংঘাত climax ছ. শেষ বা পরিণতি আরো কিছু থাকতে পারে। আপনি কি এই বিষয়গুলো খেয়াল করেন গল্পে সচেতনভাবে?
একুশ তাপাদার. ১৬. এইগুলা খুব সচেতনভাবে যে ঘেঁটে ঘেঁটে দেখি তেমনটি নয় । পড়তে পড়তে নানান বিষয় এমনিতে এসে যায় । গল্পের মধ্যে অহেতুক কথাবার্তা থাকলে মন্দ লাগে । আবার খুব জটিল করে গল্প বলার ভঙ্গিও পছন্দ করতে পারিনা ।

গল্পপাঠ. ১৭. এ সময়ের কোন কোন গল্পকারের গল্প আপনি পড়েছেন বা পড়েন? সেগুলো কেমন লাগে? ভালো লাগলে কেনো ভালো লাগে? মন্দ লাগলে কেনো মন্দ লাগে? কারণগুলো বিস্তারিত লিখুন।
একুশ তাপাদার. ১৭. এক সময়ে শাহাদুজ্জামানের সব লেখাই আমার ভীষণ ভালো লাগছে। তাঁর লেখায় সহজবোধ্যতার পাশাপাশি গভীর জীবনবোধ পেয়েছি । তাঁর লেখা আমার কাছে রাজনৈতিক সচেতনও মনে হয়েছে ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ