নভেরা হোসেন কবি, গল্পকার ও ব্লগার। তাঁর প্রকাশিত উপন্যাস--পেন্ডুলাম ও শিশুর দোলনা। কবিতার বই--আর কারনেশন ফুটল থরে থরে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
গল্পপাঠ ১. গল্প লিখতে শুরু করলেন কেন?
গল্পপাঠ ২. শুরুর লেখাগুলো কেমন ছিল?
নভেরা হোসেন : ছোটবেলার জানা যে ঘটনাগুলো আমাকে হন্ট করতো অথবা ভুলতে পারতাম না যে অভিজ্ঞতা সে সবই লেখার বিষয় হয়ে ওঠে। তা ছাড়া এক ধরনের নিরাসক্তির অনুভুতিও চলে আসে লেখায়।
গল্পপাঠ ৩. গল্প লেখার জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছেন? নিলে সেগুলো কেমন?
নভেরা হোসেন : ফরলাম অর্থে নয় তবে ছোটবেলা থেকে গল্প উপন্যাস কবিতা পড়তে পড়তে ভেতরে ভেতরে একটা সংবেদনশীল আর পর্যবেক্ষক মন তৈরি হয়ে গিয়েছিল হয়তো অবচেতন মনে। সেই আমিই লিখিয়ে নেয় অন্য আমিকে দিয়ে। তবে প্রথম দিকে বেশ কিছু গল্পের খসড়া তৈরি করেছিলাম যা এখনও খসড়া হয়েই আছে। পুরানো কাগজ-পত্র ঘাটতে গেলে সেসব চোখে পড়লে অবাক লাগে। অনেক লেখার সূত্র, একটু ডিটেইল লিখে রাখতাম যা পড়ে কাজে লাগত আবার অনেক কিছুই রয়ে গেছে সিম্বলিক যে কোড আর ভাঙা হয়নি, হারিয়ে গেছে চিরদিনের মতো।
গল্পপাঠ ৪. আপনার গল্পলেখার কৌশল বা ক্রাফট কি?
নভেরা হোসেন : লেখার কৌশল মাথায় রেখে লেখা হয় না। তবে লেখার একটা বা বহু কৌশল অবচেতনভাবে মাথায় কাজ করে নিশ্চয়ই কারণ মানুষ তার চেনা হাতিয়ার দিয়েই শিকার করতে পারে, অচেনা যন্ত্র দিয়ে তেমন কিছুই করতে পারবে না সে। আমার নিজস্বতাই হয়তো আমার লেখার ক্রাফট আর পাঠক বা ক্রিটিকরা তা নিয়ে কথা বলতে পারবেন।
গল্পপাঠ ৫. আপনার নিজের গল্প বিষয়ে আপনার নিজের বিবেচনা কি কি?
নভেরা হোসেন : বিবেচনা কিছুই না শুধু তা সাহিত্য হয়ে উঠছে কীনা এটাই বিবেচ্য।
গল্পপাঠ ৬. আপনার আদর্শ গল্পকার কে কে? কেনো তাঁদেরকে আদর্শ মনে করেন?
নভেরা হোসেন : আমার জীবনে আদর্শর ধারনা নাই। আমি মনে করি না একজন লেখকের জন্য তা জরুরি। লেখার ক্ষেত্রেও না অন্য ক্ষেত্রেও না। না এটা বলে বিশেষ কিছু বোঝাতে চাচ্ছি না শুধু বলতে চাচ্ছি প্রত্যেকে আলাদা তার নিজের মতো, একজন গল্প লেখকও তাই। সেভাবেই সে বেড়ে উঠুক, সৃষ্টি করুক নিজের একান্ত ক্রাফট। হ্যাঁ এটা অবশ্যই সত্যি সে লেখক যাদেরকের পাঠ করেছে, যাদের লেখা তার ভাল লাগে, যে লেখকের কাছ থেকে সে মনের খোরাক পায় তারা উপস্থিত থাকে তার লেখায়, এমনকী যে লেখকদের সে অবজ্ঞা করেছে তাদের অনেকের ক্রাফট চলে আসতে পারে গল্প লেখকের লেখায়। তবে আমার ভাল লাগে রবীন্দ্রনাথ, কাফকা, সমারসেট মম, ভৈকম মোহাম্মদ বশীর আরও অনেকের গল্প।
গল্পপাঠ ৭. কার জন্য গল্প লেখেন? আপনি কি পাঠকের কথা মাথায় রেখে লেখেন? লিখলে কেনো লেখেন? আর যদি পাঠকের কথা মনে না রেখে লেখেন তাহলে কেনো পাঠককে মনে রাখেন না লেখার সময়ে?
নভেরা হোসেন : লেখা কার জন্য লিখি জানি না, তবে কোনো একজন পাঠক বা অনেক পাঠক তা পড়লে লেখাটি তার নিজেকে বাঁচাতে পারে। লেখার সময় লেখক এসব ভেবে খুব কমই লেখেন। লেখার নিজস্ব একটা প্রাণ আছে সে লেখকের লেখায় বেঁচে উঠতে শুরু করে। পাঠককে লেখার সময় মনে রাখাটা বিশুদ্ধ সাহিত্যের ক্ষেত্রে সম্ভব না সচেতনভাবে তবে সাব-কনসাস মাইন্ড পাঠকের সাথে কমুনিকেট করে...
গল্পপাঠ ৮. এখন কি লিখছেন?
নভেরা হোসেন : কয়েকটা গল্প একসাথে শুরু করেছি...
গল্পপাঠ ৯. আগামী কি লিখবেন?
নভেরা হোসেন : উপন্যাস লেখার ইচ্ছে আছে।
0 মন্তব্যসমূহ