নৃপেন্দ্র নাথ সরকার
আজকাল ধর্মের বড় বাড় বেড়েছে। রাজনীতিতে ইসলামের বিরাট ভূমিকা। প্রতিপক্ষকে আঘাত করার মোক্ষম অস্ত্র হল - ওরা দেশ থেকে ইসলাম উঠিয়ে দিতে চায়। সেজন্য পাক্কা মুসলমান প্রমান করতে না পারলে রাজনীতির মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মত চলুক, আর ধর্ম থাকুক মানুষের অন্তরে। এই নীতি ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবার নয় বলেই মনে হয়। কিন্তু ছিল একদিন। আমি আমার নিজের জীবনেই দেখেছি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে আত্মিক বন্ধন।
আমার নিজ এবং পাশের গ্রামগুলোতে দেখেছি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে অসাধারণ একাত্মতা এবং সখ্যতা। হিন্দু কি মুসলমান কোন ভেদ আমাদের নজরে কখনও পড়েনি। প্রায় ষাট বছর আগের একটি দৃশ্য দিবালোকের মত উজ্জল হয়ে আছে আমার স্মৃতিতে এখনও। ধূতি পড়া জগদীশ রায় পাঁচ মাইল দূরে এক মুসলমান প্রধান গাঁয়ে ফুটবল খেলার মধ্য মাঠে ঢুকে গেলেন সেই গাঁয়েরই এক খেলোয়ারকে ছাতা দিয়ে মারতে। কারণ খেলোয়ারটি আমাদের ইয়াছিন আলীর পায়ে বে-আইনিভাবে আঘাত করেছিল। আর একটি ছোট্ট ঘটনা। রাতে অমর রায়ের বাড়ীতে বাৎসরিক নাটকের মহড়া করতাম। কাল বৈশাখীর ঝড় উঠল। অমরের মা ভগবানকে ডাকতে শুরু করল। আলতাফকে বলল আল্লাহকে ডাকতে এবং আযান দিতে। ঝড় একসময় থামল। কিন্তু আল্লাহ নাকি ভগবান ঝড় থামাল এটা নিয়ে অনেক মস্করা করেছি আলতাফের সাথে। সোনার খাঁচার সেই দিনগুলি আর রইল না। সুফী সাধক, বাউল আর কীর্তন সমাহারে শান্তিপূর্ণ জীবন ছিল এই বাংলায়। এটা এখন অনেকটাই ইতিহাস।
নদী-মাতৃক বাংলাদেশে নদীও ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে। এতসব হাহাকারের পরেও অহংকার করার মত অনেক কিছুই ঘটেছে দেশে। অতীতের মহামারী, রোগ-ব্যাধি, খরা-আকাল আর নাই। আধ-পেটা বা না খেয়ে কেউ থাকে না এখন।
কলকাতার অনুষ্টুপের ১৪২০ সালের বর্ষা সংখ্যায় কুলদা রায়ে্র "সুবোল সখার বিয়ে-বৃত্তান্ত" প্রকাশিত হয়েছে। কুলদা রায় ইতিমধ্যে তাঁর নিজস্ব লেখার একটা স্টাইল গড়ে তুলেছেন। যারা গল্প পড়েন তারা গল্পের কয়েকটি লাইন পড়েই কুলদাকে চিনে ফেলতে পারেন। ছোট ছোট বাক্য সমন্বয়ে তিনি ছোট ছোট ঘটনার এমন নিঁখুত বর্ণনা করেন যেন প্রতিটি একটি করে ভিডিও ক্লিপ। ভিডিও ক্লিপগুলো সমাহারে এক একটি নাটক বা সিনেমা দেখছি যেন। ঘন বুনোটে এটা একটা বিস্তারিত গল্প। এই গল্পের ভিতর দিয়ে আমি আমার শৈশবকে খুঁজে পাই। আমি দেখি আমার গ্রামের হিন্দু-মুসলমানের সদ্ভাব-একাত্মতা। আমি দেখতে পাই আরজ তুলাকে সকাল বেলা পিতলের ছোট কলসীতে করে হিন্দু বাড়ীতে দুধ বিক্রি করতে। বাড়ী ফেরার পথে প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায় বসে আড্ডা দিতেন আরজ তুলা। ফিরতেন বেলা পড়লে। তখন হিন্দু দেব-দেবী আর রসুলুল্লাহ একই মাঠে হা-ডু-ডু খেলত। আরজ তুলার ছেলের নাম গোপাল – কৃষ্ণের আর এক নাম। গোপাল এখনও জীবিত। হিন্দুরা দেশে এখন উচ্ছিষ্ট। কিন্তু বিপদে-আপদে গোপালই প্রথম এগিয়ে আসে।
কৃষ্ণ ভক্ত দীননাথের ছেলে সুবোলের মোহন মিয়ার রেশনের দোকানে কাজ করে চেকনাই খুলেছে। মোহন মিয়াই সুবোলের বিয়ের বড় গার্জেন। বর সুবোলকে অন্য নৌকায় কনের বাড়ীতে নিয়ে যাবে কিছুটা বিলম্বে। ফকির মুন্সীর মাইজা পোলা রহিম ফকীর ছোট ভাই সুদামার সাথে একই নৌকায় যাচ্ছে ভাই সুবোলের বিয়েতে। রহিম ফকীর সুদামার বাল্যসখা। রহিম ফকির শ্রীকৃষ্ণ সাজে। পালাগানে সুদামা কৃষ্ণ সখা সুদামাই থাকে। সুদামা রাধার বিরহের খবর নিয়ে দ্বারকায় কৃষ্ণের কাছে যায়।
অভাব-অনটন বাংলার নিত্য সহচর। বরযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল এক কুড়ি। কিন্তু হয়ে গেছে সোয়া দুই কুড়ি। বরযাত্রীদের পেট খালি। বিয়ে বাড়ী পৌছুতে পারলেই লোভনীয় খাবার – বিলা মাছ, দীঘা ধানের ভাত, সাক্কর কোরা চাইলের পায়েশ। কেউবা কল্পনায় খেতে থাকে পুটি মাছ আর জালি কুমড়ার ঘ্যাট। কনে টুনিলতার বাবা অনন্ত মিস্ত্রির খাবারের ব্যবস্থা করার ক্ষমতা নাই। কিন্তু বরযাত্রী যারা আসবে তাদেরকে আগে খাবার দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। এতসব ভেবে টুনিলতা জলে ডুবেছে। কিন্তু বরযাত্রী আসছে, বিয়ে তো দিতে হবে। তাই ছোট বোন পুনিলতাকেই বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে অনন্ত মিস্ত্রি। কিন্তু আসল বর যে তখনও পৌছেনি সেখবর কন্যা পক্ষ জানে না। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেল যুদ্ধংদেহি গন্ডগোল। বরপক্ষ অভূক্ত। যারা যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে তাদের পেটেও দানাপানি নেই। বরপক্কের কেউ খরের গাদার পেছনে না খেয়ে ঘাপতি মেরে লুকিয়ে আছে। গল্পে অনেক গুলো চরিত্র আছে। কিন্তু কোন চরিত্রই বাদ দেওয়ার নয়। সব চরিত্রগুলো মিলে আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ-ষাট বছর আগের বাংলার একটি দৃশ্য জীবন্ত উঠে এসেছে এই গল্পে। সিনেমার কোন প্রযোজক বা পরিচালকের হাতে পড়লে দুর্দান্ত একটি সিনেমা হতে পারে এই গল্পটা নিয়ে।
গল্প বা কবিতা পড়া আমি অনেক কাল আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ বিরতির পর হুমায়ূন আহমদের গল্পের বই পড়ে পুলকিত হয়েছি। ভাল লাগত। “তিথির নীল তোয়ালে” আমি এক বসায় পড়ে ফেলেছি। এর আগে গল্প পড়ার বয়সেই এমন কাজটি আমি করতে পারিনি। এখন আমি ফেসবুকে যেয়ে প্রথমেই খুঁজি কুলদার “নোট-সাহিত্য”। এগুলো দৈর্ঘ্যে মাত্র এক প্যারা কি দু প্যারা। কিন্তু এর মধ্যে আমি অনেক রসের খোজ পাই। অনেককেই পেতে দেখি। কুলদার লেখা পড়তে পেরে অনেককেই কৃতার্থ হতে দেখি। সোনার হাতে সোনার লেখা।
আজকাল ধর্মের বড় বাড় বেড়েছে। রাজনীতিতে ইসলামের বিরাট ভূমিকা। প্রতিপক্ষকে আঘাত করার মোক্ষম অস্ত্র হল - ওরা দেশ থেকে ইসলাম উঠিয়ে দিতে চায়। সেজন্য পাক্কা মুসলমান প্রমান করতে না পারলে রাজনীতির মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মত চলুক, আর ধর্ম থাকুক মানুষের অন্তরে। এই নীতি ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হবার নয় বলেই মনে হয়। কিন্তু ছিল একদিন। আমি আমার নিজের জীবনেই দেখেছি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে আত্মিক বন্ধন।
আমার নিজ এবং পাশের গ্রামগুলোতে দেখেছি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে অসাধারণ একাত্মতা এবং সখ্যতা। হিন্দু কি মুসলমান কোন ভেদ আমাদের নজরে কখনও পড়েনি। প্রায় ষাট বছর আগের একটি দৃশ্য দিবালোকের মত উজ্জল হয়ে আছে আমার স্মৃতিতে এখনও। ধূতি পড়া জগদীশ রায় পাঁচ মাইল দূরে এক মুসলমান প্রধান গাঁয়ে ফুটবল খেলার মধ্য মাঠে ঢুকে গেলেন সেই গাঁয়েরই এক খেলোয়ারকে ছাতা দিয়ে মারতে। কারণ খেলোয়ারটি আমাদের ইয়াছিন আলীর পায়ে বে-আইনিভাবে আঘাত করেছিল। আর একটি ছোট্ট ঘটনা। রাতে অমর রায়ের বাড়ীতে বাৎসরিক নাটকের মহড়া করতাম। কাল বৈশাখীর ঝড় উঠল। অমরের মা ভগবানকে ডাকতে শুরু করল। আলতাফকে বলল আল্লাহকে ডাকতে এবং আযান দিতে। ঝড় একসময় থামল। কিন্তু আল্লাহ নাকি ভগবান ঝড় থামাল এটা নিয়ে অনেক মস্করা করেছি আলতাফের সাথে। সোনার খাঁচার সেই দিনগুলি আর রইল না। সুফী সাধক, বাউল আর কীর্তন সমাহারে শান্তিপূর্ণ জীবন ছিল এই বাংলায়। এটা এখন অনেকটাই ইতিহাস।
নদী-মাতৃক বাংলাদেশে নদীও ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে। এতসব হাহাকারের পরেও অহংকার করার মত অনেক কিছুই ঘটেছে দেশে। অতীতের মহামারী, রোগ-ব্যাধি, খরা-আকাল আর নাই। আধ-পেটা বা না খেয়ে কেউ থাকে না এখন।
কলকাতার অনুষ্টুপের ১৪২০ সালের বর্ষা সংখ্যায় কুলদা রায়ে্র "সুবোল সখার বিয়ে-বৃত্তান্ত" প্রকাশিত হয়েছে। কুলদা রায় ইতিমধ্যে তাঁর নিজস্ব লেখার একটা স্টাইল গড়ে তুলেছেন। যারা গল্প পড়েন তারা গল্পের কয়েকটি লাইন পড়েই কুলদাকে চিনে ফেলতে পারেন। ছোট ছোট বাক্য সমন্বয়ে তিনি ছোট ছোট ঘটনার এমন নিঁখুত বর্ণনা করেন যেন প্রতিটি একটি করে ভিডিও ক্লিপ। ভিডিও ক্লিপগুলো সমাহারে এক একটি নাটক বা সিনেমা দেখছি যেন। ঘন বুনোটে এটা একটা বিস্তারিত গল্প। এই গল্পের ভিতর দিয়ে আমি আমার শৈশবকে খুঁজে পাই। আমি দেখি আমার গ্রামের হিন্দু-মুসলমানের সদ্ভাব-একাত্মতা। আমি দেখতে পাই আরজ তুলাকে সকাল বেলা পিতলের ছোট কলসীতে করে হিন্দু বাড়ীতে দুধ বিক্রি করতে। বাড়ী ফেরার পথে প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায় বসে আড্ডা দিতেন আরজ তুলা। ফিরতেন বেলা পড়লে। তখন হিন্দু দেব-দেবী আর রসুলুল্লাহ একই মাঠে হা-ডু-ডু খেলত। আরজ তুলার ছেলের নাম গোপাল – কৃষ্ণের আর এক নাম। গোপাল এখনও জীবিত। হিন্দুরা দেশে এখন উচ্ছিষ্ট। কিন্তু বিপদে-আপদে গোপালই প্রথম এগিয়ে আসে।
কৃষ্ণ ভক্ত দীননাথের ছেলে সুবোলের মোহন মিয়ার রেশনের দোকানে কাজ করে চেকনাই খুলেছে। মোহন মিয়াই সুবোলের বিয়ের বড় গার্জেন। বর সুবোলকে অন্য নৌকায় কনের বাড়ীতে নিয়ে যাবে কিছুটা বিলম্বে। ফকির মুন্সীর মাইজা পোলা রহিম ফকীর ছোট ভাই সুদামার সাথে একই নৌকায় যাচ্ছে ভাই সুবোলের বিয়েতে। রহিম ফকীর সুদামার বাল্যসখা। রহিম ফকির শ্রীকৃষ্ণ সাজে। পালাগানে সুদামা কৃষ্ণ সখা সুদামাই থাকে। সুদামা রাধার বিরহের খবর নিয়ে দ্বারকায় কৃষ্ণের কাছে যায়।
অভাব-অনটন বাংলার নিত্য সহচর। বরযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল এক কুড়ি। কিন্তু হয়ে গেছে সোয়া দুই কুড়ি। বরযাত্রীদের পেট খালি। বিয়ে বাড়ী পৌছুতে পারলেই লোভনীয় খাবার – বিলা মাছ, দীঘা ধানের ভাত, সাক্কর কোরা চাইলের পায়েশ। কেউবা কল্পনায় খেতে থাকে পুটি মাছ আর জালি কুমড়ার ঘ্যাট। কনে টুনিলতার বাবা অনন্ত মিস্ত্রির খাবারের ব্যবস্থা করার ক্ষমতা নাই। কিন্তু বরযাত্রী যারা আসবে তাদেরকে আগে খাবার দিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। এতসব ভেবে টুনিলতা জলে ডুবেছে। কিন্তু বরযাত্রী আসছে, বিয়ে তো দিতে হবে। তাই ছোট বোন পুনিলতাকেই বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে অনন্ত মিস্ত্রি। কিন্তু আসল বর যে তখনও পৌছেনি সেখবর কন্যা পক্ষ জানে না। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেল যুদ্ধংদেহি গন্ডগোল। বরপক্ষ অভূক্ত। যারা যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে তাদের পেটেও দানাপানি নেই। বরপক্কের কেউ খরের গাদার পেছনে না খেয়ে ঘাপতি মেরে লুকিয়ে আছে। গল্পে অনেক গুলো চরিত্র আছে। কিন্তু কোন চরিত্রই বাদ দেওয়ার নয়। সব চরিত্রগুলো মিলে আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ-ষাট বছর আগের বাংলার একটি দৃশ্য জীবন্ত উঠে এসেছে এই গল্পে। সিনেমার কোন প্রযোজক বা পরিচালকের হাতে পড়লে দুর্দান্ত একটি সিনেমা হতে পারে এই গল্পটা নিয়ে।
গল্প বা কবিতা পড়া আমি অনেক কাল আগেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ বিরতির পর হুমায়ূন আহমদের গল্পের বই পড়ে পুলকিত হয়েছি। ভাল লাগত। “তিথির নীল তোয়ালে” আমি এক বসায় পড়ে ফেলেছি। এর আগে গল্প পড়ার বয়সেই এমন কাজটি আমি করতে পারিনি। এখন আমি ফেসবুকে যেয়ে প্রথমেই খুঁজি কুলদার “নোট-সাহিত্য”। এগুলো দৈর্ঘ্যে মাত্র এক প্যারা কি দু প্যারা। কিন্তু এর মধ্যে আমি অনেক রসের খোজ পাই। অনেককেই পেতে দেখি। কুলদার লেখা পড়তে পেরে অনেককেই কৃতার্থ হতে দেখি। সোনার হাতে সোনার লেখা।
ডঃ নৃপেন্দ্র নাথ সরকার
বর্তমানে টেক্সাসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা এবং ডিগ্রী মূল্যায়ন ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। মাঝে কিছুদিন জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তির্জাতিক গবেষক হিসেবে কাজ করেন।
বর্তমানে টেক্সাসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা এবং ডিগ্রী মূল্যায়ন ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। মাঝে কিছুদিন জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তির্জাতিক গবেষক হিসেবে কাজ করেন।
ব্লগার। অনুবাদক। লেখক।
0 মন্তব্যসমূহ