সোমেন চন্দের ইঁদুর গল্প নিয়ে : জয়দীপ দে --লেখায় কৈশোরের আবেগের আতিশয্য হয়ত রয়েছে

গল্পপাঠ :  সোমেন চন্দের ইঁদুর গল্পটি পড়েছেন?
জয়দীপ দে : জি।

গল্পপাঠ : . পড়লে কখন পড়েছেন? 
জয়দীপ দে : বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে।


গল্পপাঠ : . কার মাধ্যমে বা কিভাবে গল্পটি পেয়েছিলেন?

জয়দীপ দে : বাম ধারার ছাত্র সংগঠন করার সূত্রে।

গল্পপাঠ :  গল্পটি পড়ার পরে আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া কি ছিল?

জয়দীপ দে : কিছুক্ষণ স্তব্ধ ছিলাম। তার পর নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। ইস্পাতের পাভেলকে যেন খুজেঁ পেলাম পুরনো ঢাকায় ফুলবাড়ির আশেপাশে; আর মনের ভেতরে আরেক পাভেল উকিঁ দিলো। (প্রসঙ্গত বাবা তখন রেলে কাজ করতেন)

গল্পপাঠ :  এই সময়ে গল্পটি বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি।

জয়দীপ দে : জীবনের আলোছায়ার দিকগুলো সরল গদ্যের চারকোল ঘষেঁ ঘষেঁ দারুণভাবে মূর্ত করেছেন, যা তার আগের কোন গল্পকারের লেখনিতে এমন তিব্র হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তার এই প্রকাশভঙ্গি আজো সমকালীন। এখনকার লেখকদেরও তা আলোড়িত করে। হুমায়ুন আহমেদ তো অকপটে সেই ঋণ স্বীকার করে গেছেন।

তবে অনেক বছর পর পুনর্পাঠের পর মনে হলো লেখায় কৈশোরের আবেগের আতিশয্য হয়ত রয়েছে। নরম মাটিতে গাথা বীজ যেমন দ্রুত বেড়ে উঠে, কিশোর হৃদয়ে নতুন কোন মতবাদ সেভাবে মেলে ওঠে। সেই নব-পাললিক মন নিয়ে লেখা গল্পটি লেখক হয়ত পুনর্লিখনের সুযোগ পেলে আরো নির্মেদ করে গড়ে তুলতেন ।

লেখক পরিচিতি
জয়দীপ দে :
গল্পকার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ