যে বইটি বের হবে : নীহারুল ইসলামের ছোট গল্পের সংকলন

‘বাবরনামা’
(মোট ৩০টি গল্পের সংকলন)
নী হা রু ল ই স লা ম


গল্পগুলোর নাম : প্রকাশ কাল : পত্রিকার নাম


রট – অক্টোবর ২০০৪ - তারারা (ভাঙড়, দক্ষিণ ২৪ পরগণা)
বৃষ্টিভেজা পায়রা – অক্টোবর ২০০৪ - সাংস্কৃতিক সমসময় (বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগণা)
ময়নাতদন্ত – শারদীয় ২০০৪ - মান্দাস (মান্দাস, কলকাতা)
রজনি – শারদীয় ১৪১১ - লখনউ মুখপত্র (লখনউ, উত্তরপ্রদেশ)

বুড়ো স্বপ্ন ও মিতাদি – অক্টোবর ২০০৪ - জলসিড়ি (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ)
পাপীবৃক্ষ – চৈত্র ১৪১১ - কথাসাহিত্য (কলকাতা)
বাবরনামা – জানুয়ারি ২০০৫ - মান্দাস (কলকাতা)
চক্রবুহ্য – জানুয়ারি ২০০৫ - সমিধ (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ)
মামাবাড়ি – এপ্রিল ২০০৫ - প্রবাক (নশিপুর, মুর্শিদাবাদ)
বেঁচে থাকা – এপ্রিল ২০০৫ - সাংস্কৃতিক সমসময়য় (বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগণা)
জীবনমাঝি – শারদীয় ২০০৫ - সময় (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ)
হৃদয়ের অসুখ – অগ্রহায়ণ ১৪১২ - কথাসাহিত্য (কলকাতা)
সাক্ষী পূর্ণিমার চাঁদ – এল আই সি’র মুখপত্র - অক্টোবর ২০০৫ (জিয়াগঞ্জ শাখা, মুর্শিদাবাদ)
নয়াদিগম্বর – শারদীয় ১৪১২ - লখনউ মুখপত্র (লখনউ, উত্তরপ্রদেশ)
মুনিরের শৈশবের শীতকাল – বৈশাখ ১৪১৩ - ধ্রুবজ্যোতি (কলকাতা)
ইনকিলাব – ২৩ জানুয়ারি ২০০৬ - ঝড় (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ)
সিদ্ধিলাভ – শারদীয় ১৪১৩- লখনউ মুখপত্র (লখনউ, উত্তরপ্রদেশ)
মানসিক – নভেম্বর ২০০৬ - পত্রপাঠ (কলকাতা)
বার ভুলে যাওয়া মানুষ – নভেম্বর ২০০৬ - বুলবুল (কলকাতা)
অসময়ের কোকিল – মার্চ ২০০৭ - প্রদর্শিকা (ধুলাউড়ি, মুর্শিদাবাদ)
চাঁদবানুর মুক্তি – ২২ অক্টোবর - ঝড় (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ)
কাকের গল্প, মায়েরও – গ্রীষ্ম ১৪১৪ - নবমানব (নলহাটি, বীরভূম)
বুড়োরা বেশ্যাবাড়ি যাচ্ছে – জুলাই ২০০৭ - পত্রপাঠ (কলকাতা)
মিসড্‌কল – জুলাই ২০০৭ - প্রসাদ (কলকাতা)
আইনুদ্দিচাচার হজ – শরৎ ১৪১৪ - নবমানব (নলহাটি, বীরভূম)
লিকুইড ড্যামেজ – জুলাই ২০০৭ - জলসিড়ি (বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ)
বসিরুদ্দির কান্না – এপ্রিল ২০০৮ - গল্পচক্র (কলকাতা)
খোকলা – জুন ২০০৮ - প্রকাশকাল (হালিশহর, উত্তর ২৪ পরগণা)
পাগলের সংখ্যাবৃদ্ধি – শারদীয় ১৪১৫ - পত্রপাঠ (কলকাতা)
মোদাশ্বের মিঞার মুসিবত – শ্রাবণ ১৪১৬ - দিনের শেষে (পাটনা, বিহার)

শারদীয় ২০০৪ থেকে শারদীয় ২০০৮ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে লেখা এই গল্পগুলো একেবারে আমার খুব কাছের মানুষদের নিয়ে লেখা। যে-কারণে অধিকাংশ গল্পের চরিত্রগুলো গল্পে আসল নামে বিরাজ করছে। দু-একটি গল্প ছাড়া প্রায় সব গল্পের পটভূমি সাগরদিঘী ও লালগোলা। আমার মাতৃভূমি-পিতৃভূমি। আসলে জন্ম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত আমার কেটেছিল মাতুলালয় সাগরদিঘীতে। সেখান থেকে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে চলে আসি পদ্মা-তীরবর্তী পিতৃভূমি লালগোলার মৃদাদপুর গ্রামে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সেখানেই। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত গঞ্জশহর লালগোলায়। এই তিন জায়গায় বসবাসের ফলে আমার যে অভিজ্ঞতা কিংবা খোঁজ তা থেকেই এই গল্পগুলোর জন্ম। শুধু এই গল্পগুলো কেন, এখন পর্যন্ত লেখা-না লেখা সব গল্পের জন্ম আমার ওই অভিজ্ঞতা কিংবা খোঁজ থেকে। যখন যেখানকার অভাববোধ করেছি-যাদের অভাববোধ করেছি তখন সেই জায়গা-সেই জায়গার মানুষদের কাছে ফিরে গেছি গল্প লেখার অছিলায়। আর লিখে গেছি একের পর এক গল্প। যে পত্রিকা যখন লেখা চেয়েছে, তৎক্ষণাৎ চোখ বন্ধ করে পাঠিয়ে দিয়েছি। ছোট পত্রিকা-বড় পত্রিকা’র প্রভেদ করিনি। পত্রিকার সম্পাদকেরাও সম্মানের সঙ্গে আগ্রহ নিয়ে আমার লেখা ছেপেছেন। আমার লেখার প্রশংসাও জুটেছে। পাঠকের ভালবাসা পেয়েছি। অস্বীকার করার উপায় নেই আজকে আমার যে পরিচয়, ওই সময় ঝড়ের গতিতে লেখা এইসব গল্পগুলোর জন্য। এবং আজও ওই একই ভাবে লিখে যাই (ঝড়ের গতিতে অবশ্যই নয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেখার গতিও কমেছে ইদানিং)। যদিও সম্পাদকেরা চাইলেও গল্প পাঠিয়ে দিই তৎক্ষণাৎ। আগ্রহ নিয়ে তাঁরা আমার গল্প ছাপেন। পাঠকেরা মোবাইল-ফেস্‌বুকে মতামত জানান। আমার ভাল লাগে। পরবর্তী লেখার প্রেরণা পাই। আমার আজকের অভিজ্ঞতা কিংবা খোঁজ আগামীকালের গল্প হয়।

তবে আগের গল্পগুলোর সঙ্গে এই গ্রন্থের গল্পগুলোর কিংবা এই গল্পগুলোর সঙ্গে পরের গল্পগুলোর পার্থক্য আছে কিনা আমি কখনও যাচাই করে দেখার সময় পাইনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্প বলার ভঙ্গি পাল্টেছে নিশ্চয়। নতুনত্ব অবশ্যই থাকার কথা। না হলে এতদিন গল্প লিখে চলেছি কী করে? গল্প আলোচকরা এ-ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। তবে আমি এটুকু বলতে পারি এই গ্রন্থের সবক’টি গল্প হালকা চালে বলা। এই গ্রন্থের গল্পগুলো সম্পর্কে এর বেশী কিছু বলছি না পাঠকেরা যাতে কৌতুহল না হারান!

‘বাবরনামা’ গ্রন্থটি প্রকাশ করছে বহরমপুরের ‘আকাশ পাবলিশার্স’। বহরমপুরের তরুণ চিত্রশিল্পী কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত’র আঁকা প্রচ্ছদ। এই গ্রন্থটি প্রকাশে আগ্রহ দেখিয়েছেন আকাশ পাবলিশার্সের কর্ণধার শ্রী অভিজিৎ রায়। এমনিতেই তিনি আমার গল্পের অনুরাগী। তাছাড়া ‘আকাশ’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। নিজে কবিতা-গল্প লেখেন। তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাই গ্রন্থটি প্রকাশের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য! আগামী সেপ্টম্বরের শেষ সপ্তাহে গ্রন্থটি প্রকাশ পাবে। অপেক্ষায় রয়েছি ...



নীহারুল ইসলাম

‘সাগরভিলা’ লালগোলা, মুর্শিদাবাদ, ৭৪২১৪৮ পঃ বঃ, ভারতবর্ষ।
 জন্ম- ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭, মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার হরহরি গ্রামে (মাতুলালয়)। 
শিক্ষা- স্নাতক (কলা বিভাগ), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পেশা- শিক্ষা সম্প্রসারক। 
সখ- ভ্রমণ। বিনোদন- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শ্রবণ। 
রৌরব, দেশ সহ বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে লেখেন নববই দশক থেকে। 
প্রকাশিত গল্পগ্রন্থঃ 

পঞ্চব্যাধের শিকার পর্ব (১৯৯৬),  জেনা (২০০০),  আগুনদৃষ্টি ও কালোবিড়াল (২০০৪), ট্যাকের মাঠে, মাধবী অপেরা (২০০৮), মজনু হবার রূপকথা (২০১২)। 
দু’টি নভেলা--,  জনম দৌড় (২০১২), উপন্যাস।
 ২০০০ থেকে ‘খোঁজ’ নামে একটি অনিয়মিত সাহিত্য সাময়িকী’র সম্পাদনা। 
পুরস্কার : 
লালগোলা ‘সংস্কৃতি সংঘ’ (১৯৯৫)এবং শিলিগুড়ি ‘উত্তরবঙ্গ নাট্য জগৎ’ কর্তৃক ছোটগল্পকার হিসাবে সংবর্ধিত
 (২০০৩)। সাহিত্য আকাদেমি’র ট্রাভেল গ্রান্ট পেয়ে জুনিয়র লেখক হিসাবে কেরালা ভ্রমণ (২০০৪)। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক “ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার” প্রাপ্তি (২০১০)। ‘ট্যাকের মাঠে মাধবী অপেরা’ গল্পগ্রন্থটির জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত “সোমেন চন্দ স্মারক পুরস্কার” প্রাপ্তি (২০১০)। ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি সম্মান “উত্তর বাংলা পদক” প্রাপ্তি (২০১১)। রুদ্রকাল সম্মান (২০১৩) প্রাপ্তি। 
niharulislam@yahoo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ