সাজেদা হক
একটি ভালো কাহিনীর ধারণা হচ্ছে এক জিনিস, আর কাহিনীতে চক্রান্ত তৈরি করে পাঠকপ্রয়িতা পাওয়া আরেক জিনিস। কোন গল্পই পূর্ণতা পায় না ততক্ষণ, যতক্ষণ না সেটাই যুক্ত হয় অতিরিক্ত মাধ্যাকর্ষণ এবং চক্রান্ত। তাই গল্পে একটি সফল চক্রান্ত তৈরি করাটাও একটা শিল্পই বটে।
একটি চক্রান্ত আসলে কি? আর এ চক্রান্ত থেকে আমরা কি পাই?
মূলত চক্রান্ত্রের কারণেই একটি উপন্যাস, গল্প বা আখ্যান নেয় একটি অপ্রত্যাশিত মোড়। অন্য কথায় গল্পে কখনও গতি সঞ্চার করে এই চক্রান্ত, কখনও আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে, কখনওবা পাঠককের মনোজগতে প্রবেশ করে পাঠককেই পরিচালিত-প্রভাবিত করে একটি সফল চক্রান্ত। কখনো কখনও এক বা একাধিক সফল চক্রান্তই কাহিনী, উপন্যাস বা গল্পে যোগ করে ভিন্নমাত্রা, যা পাঠককে আটকে রাখে।
আসলে পাঠককে তার ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীতে সঞ্চালিত করতে সাহায্য করে এই চক্রান্ত শিল্প। গল্পে বা কাহিনীকে করে তোলে ছন্দময়। অনেক পাঠকই কিছু নির্দিষ্ট উপায়ে সমস্যার সমাধান ঘটাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। কিন্তু একটি সফল চক্রান্ত পারে পাঠকের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে। গল্পটিক পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে, কখনও কখনও কাহিনীকে উপভোগ্য করে তুলতে আবার কখনও কখনও পাঠকের চিন্তার জগতকে আন্দোলিত করে তোলে একটি সফল চক্রান্ত কৌশল! পাঠকের তৈর হওয়া এই আগ্রহই তাকে নিয়ে যাবে আপনার লেখা বইয়ের প্রথম পৃষ্টা থেকে শুরু করে শেষ পৃষ্টা অবদি।
কিছু কিছু লেখক তার গল্পে বা কাহিনীতে সূক্ষ্ম ইঙ্গিত এবং প্রতীকের মাধ্যমে তার পাঠককে এই চক্রান্তের পুর্বাভাস দিয়ে থাকেন। যা তার পাঠকক সচেতন করে দেয়, এবং যেকোনো কিছুর জন্য তার পাঠককে প্রস্তুত করে। সেটা হতে পারে কোনো চরিত্র, হতে পারে স্থান কিংবা কোনা ঘটনা।
তারা কি প্রয়োজনীয়?
গল্প এগিয়ে নেয়ার জন্য অবশ্যই একটি চক্রান্তের প্রয়োজন পড়েই। আপনি যে কোনো উপন্যাস পড়ুন, কিংবা কোনো কিছুর বিবরণ পড়ুন না কেনো, তার একটা ইংগিত আপনি পুর্বেই পেয়ে থাকবেন? হয়তো সে ইংগিত অনেক বড় আকারে ছিলো না, বা অনেক ছোট একটি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক আপনাকে পুর্বেই বলার চেষ্টা করেছেন। যার বিস্তারিত আপনি গল্পের বা কাহিনীর অন্য একটি অংশে মিল খুজে পেলেনে। মোটকথা হচ্ছে গল্পে বা উপন্যাসে অবশ্যই এক বা একাধিক চক্রান্ত থাকবে এবং সে চক্রান্তের পুর্বাভাসও পাবেন তার পাঠকরা।
প্রত্যেক লেখকের লেখার ধরণ ভিন্ন।একজনের লেখার থেকে অন্যজনের লেখার গভীরতাও আলাদা। প্রত্যেক লেখকই স্বতন্ত্র। প্রত্যেকেই তার লেখায় নিজস্ব ঢংয়ে যোগ করেন নতুন নতুন চক্রান্ত কৌশল। একজন লেখক হিসেবে আপনাকে হতে হবে সুক্ষ, কৌশলী। ধারণ করার ক্ষমতা রাখতে হবে অনেক। কিভাবে অন্য একটি কথাসাহিত্য কালোতীর্ণ করে, কিসে, কাহিনীর কোন চক্রান্তটি পাঠক হৃদয়কে আপ্লুত করছে তা খেয়াল করতে হবে। সময়মতো তা নিজের গল্পে ব্যবহারও করতে হবে নিজের মতো করেই। আর আপনার এই তীক্ষ্ণ, সুক্ষ, স্বকীয়তাটাই আপনার কাহিনীকে করে তুলবে অনন্য।
একাধিক চক্রান্তের পরিকল্পনা আছে?
অনেক উপন্যাস শেষ হয়েছে কেবল একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিংবা একটি চক্রান্তেই শেষ হয়েছে কোনো কোনো গল্প বা কাহিনী। আবার কোনো কোনো গল্প বা কাহিনীকে কালজয়ী করে তুলেছে একাধিক চক্রান্ত। এটা নির্ভর করে আপনার লেখার স্টাইলের উপর। পাঠক যেমন আপনার ধরণ জানেন, তারা আপনার ভাষা বুঝতে পারেন। তেমনি আপনিও আপনার পাঠকের ধরণের কথা বিবেচনা করে, তাদের চাহিদা কিংবা চিন্তায় নতুনত্ব যোগ করতে আপনার কাহিনী, উপন্যাস কিংবা গল্পে যোগ করতে পারেন একাধিক চক্রান্ত।
কাহিনীর ধরণ বুঝে, গল্পের প্রয়োজন বুঝে, চরিত্র্রের গভীরতা বুঝে যোগ করতে পারেন টুইস্ট। গল্পে বা উপন্যাসে বা কাহিনীতে টুইস্ট যোগ করার নিদ্রিষ্ট কোনো নিয়ম বা বিধান নেই। লেখক তার প্রয়োজন মতো সময়ে গল্পের যে কোন চরিত্রে বা স্থান হতে চক্রান্ত শুরু করতে পারেন। এটা সম্পুর্ন লেখকের স্বাধীনতা।
কিভাবে তৈরি করবেন?
চক্রান্ত সব সময় প্রাসংগিক হবে তা না।চক্রান্ত বা twists হতে হবে যৌক্তিক, যা পাঠককে আগ্রহী করবে এবং আপনার মূল গল্পের সাথে যুক্ত করবে। আপনি পাঠককে আপনার ইচ্ছেমতো কোনো চরিত্র বা স্থানে চক্রান্তের ইংগিত দিতে পারেন।
কিন্তু গল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রান্ত বা twists যোগ করার চেষ্টা করুন। আসলে সেটাই হবে গল্পের বা কাহিনীর লজিক্যাল বা যুক্তিসঙগত উপসংহার। যার মধ্যদিয়ে একটি গল্প এগিয়ে যাবে প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক পরিণতির দিকে। যেমন একটি নায়কের চরিত্র এমনভাবে তেরি করুন, যে নায়ক খুন করলেও পাঠক তা মেনে নেবে। এটাই আপনার প্রতিভা। গল্পে বা উপন্যাসে কিংবা কাহিনীতে এমন কিছু খলনায়ক বা স্মৃতি রাখুন কিংবা গোপন কিছু তথ্য রাখুন যা প্রকাশের মাধ্যমে আপনি গল্পে ছন্দ আনতে পারেন, গতি পায় আপনার চরিত্রগুলো আর পাঠকের আগ্রহের পারদ বাড়তেই থাকে। সে কেবলই আপনার চক্রান্তের বেড়াজাল ভাংতে ছুটে যাবে বইয়ের এ টু জেড পর্যন্ত।
গল্পের শুরুতে চক্রান্তের শুরু, দ্বিতীয়ার্ধে একটু উম্মোচন বা খোলাশা এবং শেষার্ধে অবশ্যই চক্রান্ত উম্মুক্ত করবেন, স্বাভাবিক নিয়ম এটাই। ব্যতিক্রম জানতে পড়তে পারেন অন্য সেরাদের বই, গল্প কিংবা উপন্যাস। সেসব থেকেই আহরণ করতে পারেন কিভাবে তারা টুইস্ট তৈরি করেছে এবং তিনি টুইস্টের সমাধান কিভাবে করেছেন।
ড্যান ব্রাউন এর দ্য ভিঞ্চি কোড’ গল্প জুড়েই পাঠক খেয়াল করবেন অসংখ্য কার্যকর চক্রান্ত বা twists ব্যবহার করা হয়েছে। সেটাও পড়ে দেখতে পারেন।
এছাড়াও পড়তে পারেন রবার্ট Ludlum এর সফল চক্রান্তের শ্রেষ্ট উদাহরণ সিরিজ বোর্ন, যা অ্যাকশন, সাসপেন্স আর নাটকীয়তায় ভরপুর।
সর্বশেষে একটেই কথা দরকারী তা হলো, ভালো চক্রান্ত তৈরি আসলেই একটি শিল্প, আর এ শিল্পটির বার বার ব্যবহার বা চর্চা এই শিল্পকে করে তোলে আরো নিখুত, আরো শৈল্পিক। সুতরাং অধ্যাবসয়ের কোনো বিকল্প নেই। তা হোক জীবনে, হোক পড়াশুনায় কিংবা হোক লেখনীতে!
লেখক পরিচিতি
সাজেদা হক
সাংবাদিক। লেখক।
একটি ভালো কাহিনীর ধারণা হচ্ছে এক জিনিস, আর কাহিনীতে চক্রান্ত তৈরি করে পাঠকপ্রয়িতা পাওয়া আরেক জিনিস। কোন গল্পই পূর্ণতা পায় না ততক্ষণ, যতক্ষণ না সেটাই যুক্ত হয় অতিরিক্ত মাধ্যাকর্ষণ এবং চক্রান্ত। তাই গল্পে একটি সফল চক্রান্ত তৈরি করাটাও একটা শিল্পই বটে।
একটি চক্রান্ত আসলে কি? আর এ চক্রান্ত থেকে আমরা কি পাই?
মূলত চক্রান্ত্রের কারণেই একটি উপন্যাস, গল্প বা আখ্যান নেয় একটি অপ্রত্যাশিত মোড়। অন্য কথায় গল্পে কখনও গতি সঞ্চার করে এই চক্রান্ত, কখনও আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে, কখনওবা পাঠককের মনোজগতে প্রবেশ করে পাঠককেই পরিচালিত-প্রভাবিত করে একটি সফল চক্রান্ত। কখনো কখনও এক বা একাধিক সফল চক্রান্তই কাহিনী, উপন্যাস বা গল্পে যোগ করে ভিন্নমাত্রা, যা পাঠককে আটকে রাখে।
আসলে পাঠককে তার ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীতে সঞ্চালিত করতে সাহায্য করে এই চক্রান্ত শিল্প। গল্পে বা কাহিনীকে করে তোলে ছন্দময়। অনেক পাঠকই কিছু নির্দিষ্ট উপায়ে সমস্যার সমাধান ঘটাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। কিন্তু একটি সফল চক্রান্ত পারে পাঠকের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে। গল্পটিক পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে, কখনও কখনও কাহিনীকে উপভোগ্য করে তুলতে আবার কখনও কখনও পাঠকের চিন্তার জগতকে আন্দোলিত করে তোলে একটি সফল চক্রান্ত কৌশল! পাঠকের তৈর হওয়া এই আগ্রহই তাকে নিয়ে যাবে আপনার লেখা বইয়ের প্রথম পৃষ্টা থেকে শুরু করে শেষ পৃষ্টা অবদি।
কিছু কিছু লেখক তার গল্পে বা কাহিনীতে সূক্ষ্ম ইঙ্গিত এবং প্রতীকের মাধ্যমে তার পাঠককে এই চক্রান্তের পুর্বাভাস দিয়ে থাকেন। যা তার পাঠকক সচেতন করে দেয়, এবং যেকোনো কিছুর জন্য তার পাঠককে প্রস্তুত করে। সেটা হতে পারে কোনো চরিত্র, হতে পারে স্থান কিংবা কোনা ঘটনা।
তারা কি প্রয়োজনীয়?
গল্প এগিয়ে নেয়ার জন্য অবশ্যই একটি চক্রান্তের প্রয়োজন পড়েই। আপনি যে কোনো উপন্যাস পড়ুন, কিংবা কোনো কিছুর বিবরণ পড়ুন না কেনো, তার একটা ইংগিত আপনি পুর্বেই পেয়ে থাকবেন? হয়তো সে ইংগিত অনেক বড় আকারে ছিলো না, বা অনেক ছোট একটি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক আপনাকে পুর্বেই বলার চেষ্টা করেছেন। যার বিস্তারিত আপনি গল্পের বা কাহিনীর অন্য একটি অংশে মিল খুজে পেলেনে। মোটকথা হচ্ছে গল্পে বা উপন্যাসে অবশ্যই এক বা একাধিক চক্রান্ত থাকবে এবং সে চক্রান্তের পুর্বাভাসও পাবেন তার পাঠকরা।
প্রত্যেক লেখকের লেখার ধরণ ভিন্ন।একজনের লেখার থেকে অন্যজনের লেখার গভীরতাও আলাদা। প্রত্যেক লেখকই স্বতন্ত্র। প্রত্যেকেই তার লেখায় নিজস্ব ঢংয়ে যোগ করেন নতুন নতুন চক্রান্ত কৌশল। একজন লেখক হিসেবে আপনাকে হতে হবে সুক্ষ, কৌশলী। ধারণ করার ক্ষমতা রাখতে হবে অনেক। কিভাবে অন্য একটি কথাসাহিত্য কালোতীর্ণ করে, কিসে, কাহিনীর কোন চক্রান্তটি পাঠক হৃদয়কে আপ্লুত করছে তা খেয়াল করতে হবে। সময়মতো তা নিজের গল্পে ব্যবহারও করতে হবে নিজের মতো করেই। আর আপনার এই তীক্ষ্ণ, সুক্ষ, স্বকীয়তাটাই আপনার কাহিনীকে করে তুলবে অনন্য।
একাধিক চক্রান্তের পরিকল্পনা আছে?
অনেক উপন্যাস শেষ হয়েছে কেবল একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিংবা একটি চক্রান্তেই শেষ হয়েছে কোনো কোনো গল্প বা কাহিনী। আবার কোনো কোনো গল্প বা কাহিনীকে কালজয়ী করে তুলেছে একাধিক চক্রান্ত। এটা নির্ভর করে আপনার লেখার স্টাইলের উপর। পাঠক যেমন আপনার ধরণ জানেন, তারা আপনার ভাষা বুঝতে পারেন। তেমনি আপনিও আপনার পাঠকের ধরণের কথা বিবেচনা করে, তাদের চাহিদা কিংবা চিন্তায় নতুনত্ব যোগ করতে আপনার কাহিনী, উপন্যাস কিংবা গল্পে যোগ করতে পারেন একাধিক চক্রান্ত।
কাহিনীর ধরণ বুঝে, গল্পের প্রয়োজন বুঝে, চরিত্র্রের গভীরতা বুঝে যোগ করতে পারেন টুইস্ট। গল্পে বা উপন্যাসে বা কাহিনীতে টুইস্ট যোগ করার নিদ্রিষ্ট কোনো নিয়ম বা বিধান নেই। লেখক তার প্রয়োজন মতো সময়ে গল্পের যে কোন চরিত্রে বা স্থান হতে চক্রান্ত শুরু করতে পারেন। এটা সম্পুর্ন লেখকের স্বাধীনতা।
কিভাবে তৈরি করবেন?
চক্রান্ত সব সময় প্রাসংগিক হবে তা না।চক্রান্ত বা twists হতে হবে যৌক্তিক, যা পাঠককে আগ্রহী করবে এবং আপনার মূল গল্পের সাথে যুক্ত করবে। আপনি পাঠককে আপনার ইচ্ছেমতো কোনো চরিত্র বা স্থানে চক্রান্তের ইংগিত দিতে পারেন।
কিন্তু গল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রান্ত বা twists যোগ করার চেষ্টা করুন। আসলে সেটাই হবে গল্পের বা কাহিনীর লজিক্যাল বা যুক্তিসঙগত উপসংহার। যার মধ্যদিয়ে একটি গল্প এগিয়ে যাবে প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক পরিণতির দিকে। যেমন একটি নায়কের চরিত্র এমনভাবে তেরি করুন, যে নায়ক খুন করলেও পাঠক তা মেনে নেবে। এটাই আপনার প্রতিভা। গল্পে বা উপন্যাসে কিংবা কাহিনীতে এমন কিছু খলনায়ক বা স্মৃতি রাখুন কিংবা গোপন কিছু তথ্য রাখুন যা প্রকাশের মাধ্যমে আপনি গল্পে ছন্দ আনতে পারেন, গতি পায় আপনার চরিত্রগুলো আর পাঠকের আগ্রহের পারদ বাড়তেই থাকে। সে কেবলই আপনার চক্রান্তের বেড়াজাল ভাংতে ছুটে যাবে বইয়ের এ টু জেড পর্যন্ত।
গল্পের শুরুতে চক্রান্তের শুরু, দ্বিতীয়ার্ধে একটু উম্মোচন বা খোলাশা এবং শেষার্ধে অবশ্যই চক্রান্ত উম্মুক্ত করবেন, স্বাভাবিক নিয়ম এটাই। ব্যতিক্রম জানতে পড়তে পারেন অন্য সেরাদের বই, গল্প কিংবা উপন্যাস। সেসব থেকেই আহরণ করতে পারেন কিভাবে তারা টুইস্ট তৈরি করেছে এবং তিনি টুইস্টের সমাধান কিভাবে করেছেন।
ড্যান ব্রাউন এর দ্য ভিঞ্চি কোড’ গল্প জুড়েই পাঠক খেয়াল করবেন অসংখ্য কার্যকর চক্রান্ত বা twists ব্যবহার করা হয়েছে। সেটাও পড়ে দেখতে পারেন।
এছাড়াও পড়তে পারেন রবার্ট Ludlum এর সফল চক্রান্তের শ্রেষ্ট উদাহরণ সিরিজ বোর্ন, যা অ্যাকশন, সাসপেন্স আর নাটকীয়তায় ভরপুর।
সর্বশেষে একটেই কথা দরকারী তা হলো, ভালো চক্রান্ত তৈরি আসলেই একটি শিল্প, আর এ শিল্পটির বার বার ব্যবহার বা চর্চা এই শিল্পকে করে তোলে আরো নিখুত, আরো শৈল্পিক। সুতরাং অধ্যাবসয়ের কোনো বিকল্প নেই। তা হোক জীবনে, হোক পড়াশুনায় কিংবা হোক লেখনীতে!
লেখক পরিচিতি
সাজেদা হক
সাংবাদিক। লেখক।
ঢাকা।
1 মন্তব্যসমূহ
বিষয়বস্তুটি নি:সন্দেহে চমৎকার। ব্যাখ্যায় ও রয়েছে শিল্পীত চক্রান্ত। চারটি শিরোনামেই বাংলা সাহিত্য থেকে উদাহরণ দিলে মন্দ হতো না। ভবিষ্যতে তা করার অনুরোধ রইল।
উত্তরমুছুন