সাজেদা হক
একটি ঐতিহ্যগত সাহিত্যে সাধারণত আমরা কি দেখতে পাই? নাটকীয়তা, ধারাবাহিকতা, সংঘর্ষ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত? তাই নয় কি? বর্তমানের অনেক লেখকই সাহিত্যের চিরাচরিত এই কাঠামো ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছেন, আসছেন।
এই যে গতানুগতিকতার বাইরে এসে গল্পের প্লট তৈরি করছেন যে লেখকরা তারা কিন্তু সমাদৃত হচ্ছেন ভীষণভাবে। আসলেই তাই! পাঠকও পরিবর্তন চায়। যদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে করতে পারেন তাহলে পাঠক লেখকরে যেকোন ধরণের সাহিত্য কর্মকে সাধুবাদ জানান। ভক্ত হয়ে উঠেন ভিন্নতার। নতুনত্বের আস্বাদ গ্রহণের জন্য উম্মুখ হয়ে থাকেন। তাই আপনার সাহিত্যকেও করে তুলুন, অনন্য, অসাধারণ। আর এটা করতেই কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে পারেন, যে বিষয়গুলো আপনাকে প্রত্যেকটা বিষয়কেই ভিন্ন আঙ্গিকে পরিস্থিতি উপস্থাপনার কৌশল মনে করিয়ে দেবে।
চরিত্রে জটিলতা
আগে সহজ-সরল পন্ডিত মশাইয়ের গল্প এখনও মনে করি আমরা। কিন্তু তার চাইতেও বেশি মনে রাখী নবাব সিরাজুদৌলার মীরজাফরকে। কেন? কারণ তার চারিত্রিক জটিলতা! প্রত্যেকটা চরিত্রেরই সৌন্দর্য আছে, প্রয়োজনীয়তাও আছে, কিন্তু জটিল চরিত্রগুলো সাহিত্যকে গতি দেয়। চরিত্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ত্বাত্ত্বিক বিশ্লেষনের চেয়ে বেশি আকর্ষক, মনোরম।
ভিন্ন দৃষ্টিকোণ
একই ঘটনার একেক জনের কাছে একেক রকম মনে হতে পারে। অন্তত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তো তাই বলে। সেই অভিজ্ঞতাকেই না হয় আপনার সাহিত্যে ব্যবহার করেন। যেমন ধরেন, কোথাও আগুন লাগলো! আগুন ধরার ঘটনাটা দেখলো ৩ জন। এই তিন জনের ভাবা কি এক হবে? তিনজনই কি একই কাজ একসাথে করবে? ভেবে উত্তর দিন? নাকি তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা ও কাজ করবে। তাদের এই ভাবনার ভিন্নতাকেই তুলে আনুন না আপনার সাহিত্যে। দেখুনতো অন্যরকম কিছু একটা দাড়ায় কিনা? এর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলো জাপানিজ পরিচালক আকিরা কুরুসাওয়ার বিশ্বখ্যাত ছবি ‘রশোমন’ দেখতে পারেন।
রহস্যময়তা
গল্প বা সাহিত্য মানেই কিছু চরিত্রের বৈশিষ্ট, বিদ্বেষ, সংঘাত আর সংযোগের ঘটনাগুলো একত্রিত করা নয়। বরং একই সাথে চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বর্ননা, ব্যাখ্যার ভিন্নতা, চিন্তার গভীরতা, উপস্থাপনায় ভিন্নতা, ব্যতিক্রমী ভাবনার সংমিশ্রনও বটে। তাই যতটা সম্ভব রহস্যময়তা জুড়ে থাক আপনার সাহিত্যে। আর সেই রহস্য উম্মোচনে উম্মুখ হয়ে থাকুক আপনার ভক্তরা। উদাহরণ তো সর্বকালের সেরা ’সেবা প্রকাশনী’র মাসুদ রানা সিরিজ কিংবা ওয়েস্টার্নের কথা বলাই যায়। বলা যেতে পারে শার্লক হোমস কিংবা জেমস বন্ডের মতো জনপ্রিয় রহস্যপন্যাসগুলোর কথাও।
বহুমুখী বর্ণনা
একটি চরিত্রের বহুমুখী বর্ণনা দিতে পারেন। সবার সামনে একরকম, আবার নিজের কাছে একরকম। প্রবাদ আছে না,
দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথা,
ভিড়িয়া বসে কাছে,
কথা দিয়ে কথা নেয়,
প্রাণ বধে শেষে।
ঠিক তেমনি আপনার কথাসাহিত্যেও একটি সৃজনশীল সুতা যোগ করুন। যে সুতাটি আপনার সাহিত্যকে শিল্পে পরিণত করবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? অন্তত চেষ্টা তো করে দেখুন, শুরু করেই দেখুন না। কি হয়। আমি নিশ্চিত, যা ভাবছেন তার চাইতেও ভালো কিছু লিখে ফেলবেন আপনি।
একটি ঐতিহ্যগত সাহিত্যে সাধারণত আমরা কি দেখতে পাই? নাটকীয়তা, ধারাবাহিকতা, সংঘর্ষ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত? তাই নয় কি? বর্তমানের অনেক লেখকই সাহিত্যের চিরাচরিত এই কাঠামো ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছেন, আসছেন।
এই যে গতানুগতিকতার বাইরে এসে গল্পের প্লট তৈরি করছেন যে লেখকরা তারা কিন্তু সমাদৃত হচ্ছেন ভীষণভাবে। আসলেই তাই! পাঠকও পরিবর্তন চায়। যদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে করতে পারেন তাহলে পাঠক লেখকরে যেকোন ধরণের সাহিত্য কর্মকে সাধুবাদ জানান। ভক্ত হয়ে উঠেন ভিন্নতার। নতুনত্বের আস্বাদ গ্রহণের জন্য উম্মুখ হয়ে থাকেন। তাই আপনার সাহিত্যকেও করে তুলুন, অনন্য, অসাধারণ। আর এটা করতেই কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে পারেন, যে বিষয়গুলো আপনাকে প্রত্যেকটা বিষয়কেই ভিন্ন আঙ্গিকে পরিস্থিতি উপস্থাপনার কৌশল মনে করিয়ে দেবে।
চরিত্রে জটিলতা
আগে সহজ-সরল পন্ডিত মশাইয়ের গল্প এখনও মনে করি আমরা। কিন্তু তার চাইতেও বেশি মনে রাখী নবাব সিরাজুদৌলার মীরজাফরকে। কেন? কারণ তার চারিত্রিক জটিলতা! প্রত্যেকটা চরিত্রেরই সৌন্দর্য আছে, প্রয়োজনীয়তাও আছে, কিন্তু জটিল চরিত্রগুলো সাহিত্যকে গতি দেয়। চরিত্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ত্বাত্ত্বিক বিশ্লেষনের চেয়ে বেশি আকর্ষক, মনোরম।
ভিন্ন দৃষ্টিকোণ
একই ঘটনার একেক জনের কাছে একেক রকম মনে হতে পারে। অন্তত বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তো তাই বলে। সেই অভিজ্ঞতাকেই না হয় আপনার সাহিত্যে ব্যবহার করেন। যেমন ধরেন, কোথাও আগুন লাগলো! আগুন ধরার ঘটনাটা দেখলো ৩ জন। এই তিন জনের ভাবা কি এক হবে? তিনজনই কি একই কাজ একসাথে করবে? ভেবে উত্তর দিন? নাকি তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা ও কাজ করবে। তাদের এই ভাবনার ভিন্নতাকেই তুলে আনুন না আপনার সাহিত্যে। দেখুনতো অন্যরকম কিছু একটা দাড়ায় কিনা? এর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলো জাপানিজ পরিচালক আকিরা কুরুসাওয়ার বিশ্বখ্যাত ছবি ‘রশোমন’ দেখতে পারেন।
রহস্যময়তা
গল্প বা সাহিত্য মানেই কিছু চরিত্রের বৈশিষ্ট, বিদ্বেষ, সংঘাত আর সংযোগের ঘটনাগুলো একত্রিত করা নয়। বরং একই সাথে চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বর্ননা, ব্যাখ্যার ভিন্নতা, চিন্তার গভীরতা, উপস্থাপনায় ভিন্নতা, ব্যতিক্রমী ভাবনার সংমিশ্রনও বটে। তাই যতটা সম্ভব রহস্যময়তা জুড়ে থাক আপনার সাহিত্যে। আর সেই রহস্য উম্মোচনে উম্মুখ হয়ে থাকুক আপনার ভক্তরা। উদাহরণ তো সর্বকালের সেরা ’সেবা প্রকাশনী’র মাসুদ রানা সিরিজ কিংবা ওয়েস্টার্নের কথা বলাই যায়। বলা যেতে পারে শার্লক হোমস কিংবা জেমস বন্ডের মতো জনপ্রিয় রহস্যপন্যাসগুলোর কথাও।
বহুমুখী বর্ণনা
একটি চরিত্রের বহুমুখী বর্ণনা দিতে পারেন। সবার সামনে একরকম, আবার নিজের কাছে একরকম। প্রবাদ আছে না,
দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথা,
ভিড়িয়া বসে কাছে,
কথা দিয়ে কথা নেয়,
প্রাণ বধে শেষে।
ঠিক তেমনি আপনার কথাসাহিত্যেও একটি সৃজনশীল সুতা যোগ করুন। যে সুতাটি আপনার সাহিত্যকে শিল্পে পরিণত করবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? অন্তত চেষ্টা তো করে দেখুন, শুরু করেই দেখুন না। কি হয়। আমি নিশ্চিত, যা ভাবছেন তার চাইতেও ভালো কিছু লিখে ফেলবেন আপনি।
0 মন্তব্যসমূহ