সেলিনা হোসেনের দাঁড় কাক নিয়ে মোজাফফর হোসেনের আলোচনা

অস্তিত্ববাদী আলোচনা

বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের বর্তমান গল্পটি অস্তিত্ববাদ সাহিত্যতত্ত্ব দ্বারা বিশ্লেষণ করার সুযোগ আছে। গল্পের প্রধান চরিত্র আব্দুল মান্নান সবসময় অস্তিত্বের সংকটে ভোগে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বজুড়ে একটা বড়সড় পরিবর্তন চলে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছুকাল পরেই বাঙালিরা আর একটা যুদ্ধের সাক্ষী হয়-- স্বাধীনতা যুদ্ধ। যুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে মানুষ তাদের স্পিরিচুয়াল জায়গা থেকে সরে এসে নতুন একটা জায়গায় দাঁড়াল-- সেটি হল পণ্যের জগত। বা বস্তুবাদি জগত। নতুন একটা যুদ্ধ শুরু হল, অর্থনীতি এবং নৈতিকতার ভেতর। এখন হয় তুমি বস্তুবাদি জগতের অংশ হও, নয়ত সরে পড়। অর্থাৎ একজন আধুনিক বিশ্বের মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে গেল অর্থনীতির বিষয়টিও। আলোচ্য গল্পে এসে আমরা দেখছি, মূল চরিত্র মান্নান একজন ভূমিহীন কৃষক। এতটা কাল সে পশুর মতো বাচ-বিচারহীন জীবন পালন করে এসেছে। যেহেতু তার ভূমি নেই, সেহেতু তার নিজের পছন্দ বা চাওয়া না-চাওয়া বলে কোনো কিছু থাকতে নেই। কিন্তু তেতাল্লিশ বছর বয়সে এসে মান্নানের সখ হয়েছে জীবনকে অন্যভাবে দেখার। সবচেয়ে বড় কথা সে এখন নিজের মতো করে ভাবতে শুরু করেছে। অর্থাৎ সে অস্তিত্বসচেতন হয়ে উঠেছে। অস্তিত্ববাদের গুরু-দার্শনিক জা পল সাঁৎ বলেছেন, Without involving in the act of choosing, an individual has no essential nature and self identiyঅর্থাৎ, মান্নান এখন নিজের জন্য একটা জীবন নির্বাচন করে সেই পথে পা বাড়িয়েছে। সে এখন হয়ে ওঠা পদ্ধতির ভেতর আছে। অস্তিত্ববাদি দর্শনের ভাষায় যাকে বলে হয়ে ওঠা বা (Becoming)।

গল্পে আমরা দেখেছি, আস্তে আস্তে মান্নান তার চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে আপন চিন্তায় বুঁদ হয়ে থাকে। সে বুঝতে পারে তার অস্তিত্ব বলে আর কিছু থাকছে না। লোকে তার আসল নাম ভুলে যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য, গল্পকথকও বেশিরভাগ সময় মান্নানকে তার নামে নয় ‘লোকটি’ বলে সম্বোধন করেছে। স্ত্রীর কথা মতো মান্নান এখন নিবীর্য। তার মনে হয়, তার করুণ পরিণতিতে তার স্ত্রী তার দিকে তাকিয়ে করুণার হাসি হাসছে। এসব অবস্থা থেকে তিতাল্লিশ বছর পুরনো জীবনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় সে। গল্পকথকের ভাষায়-- ‘পরগাছা জীবনের কষ্ট যাতে লালন করতে না হয় সেজন্যে ও জমি চায়। গতকাল ও রাগে দুঃখে আমগাছের ডাল থেকে পরগাছা উপড়ে ফেলেছে। শেকড়বিহীন জীবন কি একটা জীবন হলো? তিতাল্লিশ বছরের জীবন লোকটার কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ও আবার নিজেকে গড়বে।’


মান্নান এখন কিছু হতে চায়। তার মনে হয়, জমির মালিক হলে সে কিছু একটা হতে পারবে। লোকে তাকে কাউয়া মউন্যা বলে ডাকবে না। স্ত্রী তাকে গণ্য করে কথা বলবে। সমাজে তার একটা পরিচয় তৈরি হবে। এই চিন্তা থেকেই মান্নান মতলবের ডাকে সাড়া দেয়। সে স্ত্রী-সন্তান ছাড়া হয় শুধু নিজেকে নতুন করে গড়তে।


মান্নানকে আমরা বিশ্বসাহিত্যে অস্তিত্বের সংকটে থাকা তিনটি চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। মান্নানের যে সামাজিক অবস্থান তা অনেকটাই সল বেলোর সি দ্য ডে নভেলার উইলহামের সাথে মিলে যায়। মান্নানের মতো উইলহামও সাংসারিক ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যর্থ একজন মানুষ। মান্নানের মতো তাকেও লোকে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন পশুর নামে ডাকে। স্ত্রী নানা কারণে দুর্ব্যবহার করে। উইলহাম নিজের নামটি ভুলে যেতে বসে। সেও শেষপর্যন্ত মান্নানের মতো ঘুরে দাঁড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কাজেই দুটি চরিত্রই অস্তিত্বের একই সংকটে ভোগে। মান্নানের অস্তিত্বমুখী সর্বশেষ যাত্রা সেটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরূপ নভেলা পদ্মা নদীর মাঝির মূল চরিত্র কুবেরের কথা। কুবেরও মান্নানের মতো দলিত শ্রেণির মানুষ। সেও মান্নানের মতো নতুন জীবনের স্বপ্নে স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে হোসেন মিয়ার দেখানো স্বপ্নদ্বীপ ময়নাদ্বীপে পা বাড়ায়। এছাড়াও গল্পের মান্নান চরিত্রের মধ্যে আমরা প্রচ্ছন্নভাবে তলস্তয়ের নভেলা ডেথ অব ইভান ইলিচের মূল চরিত্র ইভান ইলিচের ছাপ খুঁজে পাই। ইভান ইলিচ সমাজের দেখানো পথে সুখি হতে চেয়েছিল। একজন সুখি মানুষের যা যা থাকা প্রয়োজন সবই হয়েছিল তার। কিন্তু একসময় তার মনে হল, আসলে সে যা চেয়েছে সবই সমাজের চাওয়া, নিজের বলে কোনো চাওয়া তার ছিল না। একইভাবে মান্নান যে জীবন-যাপন করেছে এবং যে জীবনের দিকে সে ধাবিত হচ্ছে, দুটোই সমাজের চাওয়া থেকে। মান্নান খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে, সে আসলে কি চায়। সে জমির মালিক হওয়ার ভেতর দিয়ে নিজেও পাওয়ার স্ট্রাকচারের অংশ হতে চেয়েছে। সুতরাং তার এই যাত্রাটা আপাতদৃষ্টিতে অস্তিত্বমুখি মনে হলেও ইভান ইলিচের মতো আসলে সেটা অস্তিত্ববিরোধী।


অস্তিত্ববাদি দার্শনিক আলবেয়ার কামু মানুষের একাকীত্ব ও বেঁচে থাকার অর্থহীনতার প্রতি জোরাপোর করেছেন। এই গল্পের অন্যতম মূল থিম হলো এলিনেশন বা একাকীত্ব। আমরা দেখছি, গল্পের মূল চরিত্র মান্নান একটা সমাজের মধ্যে বাস করেও ভীষণ একা। সে সবসময় নিজেকে একটা বিচ্ছিন্ন লোক হিসেবে কল্পনা করে। সে তার বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে নিতে অন্য একটা জগতে চলে যায়। কিন্তু আলটিমেটলি আমরা দেখছি, তার সেই যাত্রাটাও একটি আবসার্ড বা অযৌক্তিক যাত্রা। সেখানেও মান্নান বিয়ে করে যে জীবন শুরু করতে চলেছে সেটি তার ফেলে আসা জীবনেরই ছায়া মাত্রা। মুক্তি আসলে তার মেলেনি। সে টের পাইনি যে তার জীবনটা সিসিফাসের (কামুর মিথ অব সিসিফাসের মূল চরিত্র) মতো একটা চক্রে বন্দি। মৃত্যু ছাড়া এই চক্র থেকে বের হওয়ার কোনো সমাধান নেই। মান্নানের মৃত্যু ঘটে একটা দুর্ঘটনা বশত। মৃত্যু ছাড়া তার মুক্তি সম্ভবও ছিল না। এভাবে মৃত্যু না ঘটলে অস্তিত্বঅন্বেষণী মান্নান হয়ত একসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতেন। কামু যাকে বলছেন, আলটিমেট সল্যুশন।


মার্কসীয় সমালোচনা

গল্পে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী দলিত-অবহেলিত শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করছে। মান্নান ভূমিহীন কৃষক। অর্থাৎ পুজিবাদি সমাজব্যবস্থার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তার অবস্থান একেবারে নিচে। অন্যের জমিতে খেটে খাওয়ার জন্যে তার নামটাও বদলে যায়। মান্নান বার বার তার অবস্থার পরিবর্তন আনার জন্যে জমির মালিক হতে চায়। কেননা সে বুঝে গেছে, সম্পত্তির মালিকানা ছাড়া পুজিবাদি সমাজব্যবস্থায় তার অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে না। মহাজনের মুখের ওপর কথা বলতে হলে তাকে জমির মালিক হতে হবে। অর্থাৎ সম্পত্তির মালিকানার বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। গল্পে বর্ণিত যে সমাজ ব্যবস্থা সেটি আসলে একটি পূজিবাদি সমাজ ব্যবস্থা। সম্পত্তির মানদ- এখানে মুখ্য মানবিক মানদ- নয়।


নারীবাদি আলোচনা
সেলিনা হোসেন নারীবাদি লেখক। এই গল্পে তিনি সচেতনভাবেই নারীচরিত্রগুলো নির্মাণ করেছেন। আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী অর্থনৈতিক মানদণ্ডে সমাজের একেবারে নিচু স্তরের মানুষ। তাই তাদের সকল অত্যাচার সহ্য করতে হয়। মান্নান যেমন মহাজনের মুখের ওপর কথা বলতে পারে না, তেমনি সায়দাও করিমুদ্দিনের বৌয়ের সঙ্গে তর্ক জড়ানোর সাহস পায় না। অর্থাৎ তারা দুজনেই সমাজের নিগ্রহণ মুখ বুজে সহ্য করে। তবে একটি জায়গায় সায়দা আরও অসহায়। নারী হওয়ার কারণে তাকে বোনাস স্বামীর অত্যাচারও সহ্য করতে হয়। মান্নান পৃথিবীর সবখানেই ফেলনা হলেও স্ত্রীর কাছে সে দোর্দ- প্রতাপশালী পুরুষ। অন্তত সে নিজে তা মনে করে। এজন্য সায়দার থেকে তাকে আলাদা করে কোনো গুণের অধিকারী হতে হয় না। সে পুরুষ, সায়দা নারী। অর্থাৎ এখানে তাদের বায়োলজিক্যাল পরিচয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে সামাজিক পরিচয়। যে কারণে মান্œান অকারণে সায়দার গায়ে হাত তুলে নিজের বলিহারি প্রকাশ করে। সে সবখানে ছোট হতে পারে, কিন্তু বৌয়ের কাছে ছোট হলে তার পুরুষজাত চলে যায় যেন! এজন্যে পনের বছর ধরেই স্ত্রী সায়দাকে পশুর মতো পিটিয়ে আসছে। স্ত্রীর কান্নায় সে সুখ পায়। নিবীর্জ হয়েও সে যে পুরুষ আছে এটা ভেবে আনন্দ পায়। সায়দার মতো একশটা নারীকে কাবু করে রাখতে পারে ভেবে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলে। মেয়েমানুষকে সে সস্তা মনে করে, খোঁয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করে। গল্পের আরেক চরিত্র মতলবও মেয়েদের পশুর সঙ্গে তুলনা করে বলে-- ‘মেয়েমানুষের আবার কথা। গলায় দড়ি দিয়ে যেখানে টানবি সেখানে যাবে।’


হিলট্রাকে ভাল অবস্থান তৈরি হলে স্ত্রী-সন্তানদের সেখানে নিয়ে যাবে বলা কথা দেয় মান্নান। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর নেয় না। উল্টো নিজের হাঁটুর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ের কথা ভাবে। মান্নান সন্তানদের ফেলে দিতে পারলেও সায়দা পারে না। সে সন্তান ও সংসার আগলে রাখে। মতলব নিজের বিধবা বোনের সঙ্গে মান্নানের বিয়ে ঠিক করতে পেরে হাফ ছেড়ে বাঁচে। কেননা বিধবা বোনের বোঝা সে আর বইতে পারছিল না। এভাবেই গল্পে নারীচরিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সেলিনা হোসেন দেখাতে চেয়েছেন, নারীরা সমাজের উঁচু-নিচু সব স্তুরের সমান নিগ্রহনের শিকার হয়।


রিয়েলিজম ও রোমান্টিসিজম

সেলিনা হোসেন মূলত রিয়েলিস্ট বা বাস্তববাদি লেখক। তাঁর ‘মতিজানের মেয়েরা’সহ বেশ কিছু গল্প আছে যেখানে আমরা নিরেট বাস্তবতার ছোঁয়া পাই। তিনি যা দেখেন সেটাই উপস্থাপন করেন। বর্তমান আলোচিত গল্পেও তিনি তা করেছেন। তবে এখানে তিনি খাঁটি বাস্তববাদি বা রিয়েলিস্ট থাকেননি। আব্দুল মান্নান চরিত্রটা নির্মাণে তিনি রোমান্টিসিজমেরও আশ্রয় নিয়েছেন। আব্দুল মান্নানের যে জীবনবোধ ও চিন্তাধারা তা কখনো কখনো বস্তুজগত ছাড়িয়ে স্বপ্নজগতে প্রবেশ করেছে। সে স্বপ্ন ও বাস্তবতার দ্বন্দ্বে প্রতিনিয়ত ভোগে। গল্পে মান্নানের চরিত্র বাদ দিলে গল্পের সমগ্র কাঠামো বা সেটিং এবং বিষয়বস্তু বা সাবজেক্ট ম্যাটার আমরা সম্পূর্ণ বাস্তব। এক্ষেত্রে গল্পকার সেলিনা হোসেন কোনো কল্পনার আশ্রয় নেননি।

এপিফ্যানি

গল্পে এপিফ্যানি বা বোধদয়ের উদাহরণ আছে। প্রধান চরিত্র আব্দুল মান্নান স্বচ্ছ জলে নিজের ছায়া দেখে। নিজেকে তার রাজপুত্রের মতো মনে হয়। সে তখনই প্রতিজ্ঞা করে সে কিছুতেই কাক হবে না। অর্থাৎ, এই সামান্য ঘটনাটা তার বোধের জায়গাটাকে আমুল বদলে দেয়। সে সিদ্ধান্ত নেয়, যে করে হোক সে খালি সেই (হিমসেল্ফ) হবে, অন্যকিছু নয়।

সমাপ্তি

গল্পের সমাপ্তিটা হঠাৎতই হয়েছে। মান্নান বিয়ে করার পরপরই এমন করে শান্তিবাহিনী যে এসে তাদেরসহ গায়ের ঘরবাড়ি সব জ্বালিয়ে দেবে সে সম্পর্কে গল্পের আগে কোথাও কোনো ধারনা দেওয়া হয়নি। এই সমাপ্তিটাকে আমরা টুইস্ট না বলে ডিউক্স এক্স ম্যাসিনা বলতে পারি। টুইস্ট কথাসাহিত্য ও ডিউক্স এক্স ম্যাসিনা নাটকের প্লটবিন্যাসে বহুল ব্যবহৃত হলেও, এক্ষেত্রে এই গল্পের সমাপ্তিতে যা ঘটে সেটা অবশ্যই অপ্রত্যাশিত কিংবা অতিচমকের মতো কিছু নয়। সেলিনা হোসেন গল্পটাকে একমুখে টানতে টানতে হঠাৎ করে যেন পথ না পেয়ে অন্যখানে অন্যমুখে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করালেন। এটি তিনি না করলেও পারতেন। হঠাৎ গল্পটি আরও শিল্পগুণ সম্পন্ন হতো যদি আব্দুল মান্নানের অতিনাটকীয়ভাবে আকষ্মিক মৃত্যু না ঘটে অন্যকিছু ঘটত। গল্পটির সামগ্রিক কাঠামোর সঙ্গে শান্তিবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু গল্পটি শেষ করার জন্যেই যেন শান্তিবাহিনীকে টেনে আনা হয়েছে। এটিকে এই গল্পের প্লটের ক্ষেত্রে এক ধরনের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। যদি গল্পের শেষে দেখানো যেত, মান্নান জমি পেয়ে নতুন জীবনে এসে বুঝতে পারছে, সে আসলে জমি না অন্যকিছু চায়। তার চাওয়াটাকে সে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তাহলে গল্পটি ভিন্ন এক মাত্রায় গিয়ে দাঁড়াত। গল্পটি যত সার্থক ভাবে বিকশিত হয়েছে তত সার্থক ভাবে পূর্ণ হয়নি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ