গল্পের প্লটের আদ্যোপান্ত

সাজেদা হক

যদি একজন লেখক লেখেন, ‌‘রাজা মারা যাোয়ার পর রানীো মরে গেলো’-এখানে গল্পের কোনো প্লট নেই। যদি লেখক লেখেন, রাজা মরে গেলেন, সেই দু:খে রানীও মৃতপ্রায়’-এতে গল্পের একটা রেশ রয়ে যায়। পাঠক সহানূভূতিশীল হয়ে উঠতে পারেন রানীর প্রতি। আগ্রহীও হয়ে উঠতে পারেন, রানীর কি হলো এ জানার জন্য। সুতরাং একটা গল্প তো তৈরি হতেই পারে।

গল্পের প্লট হল গল্পে সংঘটিত ঘটনার সিকুয়েন্স বা ক্রমপঞ্জিকা। এই ঘটনাগুলো কেন ঘটছে সেটা জানা যায় প্লট থেকে। পাঠককে চরিত্রের গভীরে টেনে নিয়ে প্লট। চরিত্রগুলো কি করছে --কোন কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা করতে ইচ্ছে করছে সেটা বুঝতে সাহায্য করে। গল্পের প্লটের মধ্যে দিয়েই গল্পের উপাদানগুলো বসে।
একটি গল্পের উপাদানকে সাজানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় প্লটের গঠন। গল্পের প্রয়োজন অনুসারে একজন লেখক তার প্লট নির্ধারণ করেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে রহস্যের কথা। গল্পের একদম শুরুতে শুরু হওয়া জটলার ইতি টানা হয় গল্পের শেষপ্রান্তে এসে। যেমনটা আমরা ঘটতে দেখি, ফেলুদা, মাসুদ রানাসহ সব ধরণের গোয়েন্দাকাহিনী নির্ভর গল্পগুলোতে।

বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক উইরিয়াম ফকনারের আলোচিত, ‘এ রোজ ফর এমিলি’-তেও পাঠক গল্পের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে বুঝতে পারেন কী জীবনটাই না যাপন করেছেন এমিলি। সেই যাপিত জীবনে কত কষ্ট, কান্না, দু:খ-বেদনা ভরা ছিলো। এমিলি যাপিত জীবনের বর্ণনাই তো ‌রোজ ফর এমিলি’ বইটিকে এতো অসাধারণ করে তুলেছে, তাই না?
বর্নণাভেদে প্লটকে চার ভাগে ভাগ করেছেন সাহিত্যবোদ্ধারা। তাদের মতে প্লট হয়:

১. এক্সপোজিশন: কাহিনীকে বোঝার জন্য একটু অতিরিক্ত ব্যাখ্যা বা বর্ননা আশা করেন পাঠক।

২. কমপ্লিকেশন: জটিলতা। গল্পের বা কথা সাহিত্যের চালিকাশক্তিও বলতে পারেন।

৩.ক্লাইমেক্স: দ্বন্দ্ব-সংঘাত। এটিও কথা সাহিত্যের প্রাণ, মূল উপাদান। পাঠক আন্ত:দ্বন্দ্ব বা সংঘাতের বর্ণনার সময় নিজেকে গুলিয়ে ফেলেন। কারণ এটি বাস্তব একটি উপাদান, যা গল্পটিকে আরো জীবন্ত, আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।

৪.রি-সল্যুশন: সমাধান বা পরিণতি। বিপদ তো আসবেই। কিন্তু পাঠক মুখিয়ে থাকেন এটা জানতে যে, আপনি উদ্ভুত সমস্যার সমাধান কিভাবে করলেন? এটাও পাঠকের জন্য আগ্রহের একটি বিষয়।

সবসময় একই ফর্মুলা বা নিয়ম কাজ করবে এমনটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।এতোটা সরলও নয় কথাসাহিত্য। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, আর্নেস্ট হ্যামিংটনের কালজয়ী উপন্যাস ‘দ্য শর্ট হ্যাপি লাইফ অব ফ্রান্সিস ম্যাকম্বার’-এর কথা। যেখানে অতীতের এ্যাকশন ছড়িয়ে ছিলো বর্তমান পর্যন্ত।

এই যে সময়ের পরিবর্তন, এ থেকেই বুঝতে পারি যে, কি হল, কিভাবে এ্যাকশন ছড়িয়ে পড়ল, কেন এই এ্যাকশন অতীত থেকে বর্তমানে এলো। আর এই অতীত-বর্তমানের মেলবন্ধনও বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে পাঠক। আসলে এমন পরিস্থিতিই আমাদের গল্পের মূলকথা বা সারমর্ম বুঝতে সাহায্য করে। তাই একটি ভালো গল্পে প্লটের সবগুলো উপাদান বিদ্যমান থাকে।

একবার ভাবুন, আরজ আলী মাতুব্বর কেন এখনো আমাদের ভাবিয়ে তোলে, আমাদের মন-মগজকে আন্দোলিত করে? আমাদের আবেগ, অনুভূতি নিয়ে এখনো খেলা করে লালাসালু, চিলেকোঠার সেপাই, নহণ্যতে, আরিয়ারা ফাল্লাচির হাত বাড়িয়ে দাও এর মতো কথা সাহিত্যগৃলো।


প্লট কি?

ধরেন আপনার গল্পটি শুরু করলেন এভাবে, অলস দুপুর, ছুটির দিন, ভাবছেন বন্ধুকে নিয়ে ছবি দেখতে যাবেন। কিন্তু হঠাৎ শুরু হলো বৃষ্টি। কি করবেন?আপনারা আটকে গেলেন ঘরেই। আপনার প্রধান চরিত্র ঠিক এই মুহুর্তটিকেও ব্যবহার করতে পারে। হ্যা, তারা সবাই মিলে পরিকল্পনা করতে পারে। কোথায় যাবে, কোন মুভি দেখবে, এসব বসে বসে প্লান করে, সময়টাকে ব্যবহার করতে পারে। এই যে অনাকাঙ্খিত একটি পরিস্থিতি, এর মধ্যেও আপনি আপনার গল্পকে এগিয়ে নিতে পারছেন, এর নাম প্লটিং। প্লটকে গল্পের ভীত বলতে পারেন। গল্পের উপকরণ, উপাদান, গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ যে নামেই ডাকেন না কেন প্লটের উপরই আসলে গল্পের কাঠামো তৈরি হয়। এটাকে ফ্রেমওয়ার্কও বলে। প্লটেই যোগ হয় গল্পের বর্ননা। গল্প এগিয়ে যায়, যেতেই থাকে। একসময় শেষ হয়। শুধু গল্পই নয়, প্লটের উপর নির্ভর করে এগিয়ে যায় সব ধরনের লেখা, এমনকি নাটক, সিনেমা, টিভি শো ও প্রতিবেদন।

প্লট ছাড়া চরিত্রের কিছুই করার থাকে না। অনেকেই প্লটকে ঘটনার ধারাবাহিক বর্ণনা ভেবে বসেন। আসলে প্লটের নিদ্রির্ষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা বা সীমাবদ্ধতাও নেই


প্লটের গঠন:

মূলত গল্প পড়ানোর চাইতে গল্প বলার অভ্যাসটা দীর্ঘদিনের। তাই প্লটের শুরু থাকে, মধ্যভাগ থাকে এবং শেষ থাকবে। গল্পের প্রধান চরিত্রের সঙ্গে সঙ্গে প্লট তার কাজ শুরু করবে। সে যেভাবে ঘটনার পর ঘটনায় জড়িয়ে যায়, সেসব ঘটনা থেকে নিস্তার পায়, বিস্তার করে- এসবই প্লটের অন্তর্ভূক্ত। এক বা একাধিক চরিত্রের উত্থান-পতন-ঘুরে দাঁড়ানো সবই প্লটের মধ্যেই আবর্তিত হয়।

প্লট একাই চলতে শুরু করে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় একটি ঘটনা। সেই ঘটনার সমাধানের জন্য যুক্ত হয় আরেকটি ঘটনা। এভাবেই সমস্যা-সমাধান-সমস্যা এই আবর্তেই ঘুরতে থাকে প্লট। ঘরতে থাকেন অন্য অর্থে আপনি ও আপনার পাঠকও।


সিনেমার প্লট

হলিউড সিনেমার প্লট সাধারণত ৩ ধরণের হয়। চিত্রনাট্য আবর্তিত হয়: প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা, বিচ্ছেদ এবং ফিরে পেতে লড়াই ও বিজয়। হলিউড, বলিউড এমনকি ঢালিউডের ছবির কাহিনীও একইভাবে আবর্তিত হয়।

উদাহরণ হিসেবে হলিউডের একটি ছবির বর্ণনা দেয়া যেতে পারে: ছবির নাম ‘৬ ডে’স সেভেন নাইট’। হ্যারিশন ফোর্ড ও এ্যানি হ্যাচ অভিনীত ছবিটির পরিচালক ইভান রেইটম্যান। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন মিশেল ব্রাউলিং। ১৯৯৮ সালের ১২ জুন ছবিটি মুক্তি পায়। ছবির দৈর্ঘ্য ৯৮ মিনিট।

ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে নিউইয়র্কের এক সাংবাদিক রবিন মনরোকে ঘিরে। রবিন ফ্যাশন ম্যাগাজিন, ডজল’ এ কাজ করেন। অবকাশ যাপনের জন্য বয়ফ্রেন্ড ফ্রান্কের সঙ্গে দক্ষিণ মহাসাগরের ম্যাকাটা দ্বীপে যান। সেখানে একই সময়ে বেড়াতে এসেছিলেন আরেক হবু দম্পতি কুইন হ্যারিস ও আঞ্জেলিকা।

চিত্রনাট্যের শুরুতেই দেখানো হয় উভয় দম্পতি একে অপরের সঙ্গে বেশ ভালোই আছেন। কিন্তু এ্ক দুর্ঘটনায় পড়ে আটকে যান রবিন মনরো ও কু্ইন হ্যারিস। তারা এক সঙ্গে সময় কাটান সিক্স ডেজ এন্ড সেভেন নাইট। এই সময়কালীন নানান চড়াই-উতরাই শেষে দেখা যায় যে, অন্যের বাগদত্তা হওয়া স্বত্ত্বেও প্রেমে পড়েছেন তারা। যেহেতু দুজন অন্যের বাগদত্ত্বা, তাই সামাজিক শৃংখল ভেঙ্গে কেউই আসতে চাইছিল না। তাই দুজনেই এই প্রেমকে সাময়িক ভুল মনে করে চলে যেতে চাইলো যে যার পথে। কিন্তু চিত্রনাট্যের শেষ পরিণতি হয় অন্যভাবে। সব রীতি-নীতি ভুলে একে অপরকেই জড়িয়ে ধরেন তারা। রবিন তো বলেই বসেন, জীবনটাকে জটিল না বানালেই কি নয়? এই যে দেখা-প্রেম-বিচ্ছেদ-মিলন আবর্ত-এটাই হলিউড সিনেমার সাধারণ প্লট।


প্লটের ধরণ:

প্লটের ধরণেও ভিন্নতা আছে। আছে গঠনের প্রকারভেদ। আসুন, সেসব সম্পর্কে কিছুটা জানি।

১. এক্সপোজিশন (শুরু): প্রত্যেকটা গল্পের শুরু থাকে। যেখানে গল্পের চরিত্রগুলোর সঙ্গে পাঠকের পরিচয় হয়, বিস্তৃতি ঘটে। অনেক গল্পে এখান থেকেই সমস্যা শুরু হয়। পাঠক এমন গল্পে আকৃষ্ট না হয়ে বরং বিরক্তই হন। সুতরাং গল্পের শুরুটা হতে হবে অত্যান্ত আকর্ষণীয়। আর এজন্য চাই চরিত্রের যথাযথ বর্ণনা। বৈশিষ্ট্যের এমন কিছু দিক শুরুতেই তুলে ধরা চাই যা, পরবর্তী ঘটন-অঘটনের ইঙ্গিত দিতে পারে।

২. রাইজিং এ্যাকশন (সংঘাতের মূল বিষয়ের সঙ্গে পরিচয়) : চরিত্রের বর্ণনা যোগ করার সময়ই ঠিক কোন বিষয়টা নিয়ে গ্রুপটি এগুতে পারে তার একাধিক ইঙ্গিত দিন। ইঙ্গিতের প্রধান চরিত্র যে ধরনের সমস্যা বা সংঘাত বা দ্বন্দের মধ্যে পড়তে পারে। সেটা হতে পারে ভয়। কিংবা মানসিক সীমাবদ্ধ হতে পারে তার লোভ-আকাঙ্খা না পাওয়ার বেদনা--এমন আরো অনেক কিছু। এমনকি তার গায়ের রং একটি দ্বন্দ্ব তৈরির ইঙ্গিত হতে পারে। চরিত্রের এই যে বৈশিষ্ট্য এই বৈশিষ্টগুলোর যেকোন দিয়েই কিন্তু আপনি আপনার গল্পের একটা দারুণ শুরু করলেন। পাঠক যুক্ত হল আর ভাবতে লাগল। দেখি তো ‘নায়ক কি ধরনের বিপদে পড়ে”? এই যে, আগ্রহ তৈরি করলেন পাঠকের মনে--এটা ভীষণ জরুরী একটা কাজ।

৩. ক্লাইমেক্স (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ) : এবার আবার ইঙ্গিত নয়। সরাসরি বিপদেই ফেলে দিন আপনার গল্পের প্রধান চরিত্রকে। শুধু প্রধান নয়, যে কোন চরিত্রকে এমন কাজ করান যা চরিত্রটি করতে ভয় পায়। তাকে তাই করতে বাধ্য করুন। যদি সে পানিকে ভয় পায় তাহলে তাকে পানিতেই ফেলে দিন। যদি সে অন্য কোন একটি চরিত্রকে গোটা গল্প জুড়েই“এড়িয়ে যাবে’’ ভেবেছিল। আপনি তার সে ভাবনায় ছেদ ঘটান, তাকে নিয়ে আসুন সেই অনিচ্ছাকৃত লোকটির সামনে। আপনার নায়ককে চারিদিকে শত্রু ঘিরে ধরুক এবং আপনি এমন একটি প্লট লিখে ফেলুন যা দেখে মনে এই বিশ্বাস জন্মাবে যে, এই রে, এখান থেকে বুঝি আর রেরুনো গেলো না।”

৪. ফলিং এ্যাকশন (সমাধানের দিকে এগোন) : নায়কের এই যে চরম পরিণতিমূলক অবস্থা, এখান থেকে তাকে বের করে নিয়ে আসতে নতুন কিছু সমাধান দিন। গতানুগতিক সমাধানে পাঠকের মন ভরবে কেন? সে চায় আপনার গল্প পড়তে, আর এই পড়ার মধ্যে দিয়েই নতুন কিছু শিখতেও চায় পাঠক। তাই তো গল্প পড়েন তারা। সুতরাং মহাসংকটময় মুহুর্তে আপনার প্রধান চরিত্রের পরিত্রাণের উপায় কি সেটা অত্যন্ত দক্ষতা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে আপনাকে সরল-স্বাভাবিক অথচ ব্যতিক্রম একটি সমাধান চায় পাঠক।

৫. রিসল্যুশন (শেষ) : এবার শেষ পরিণতি। আপনার গল্পটি ফুরানোর সময়। আপনার চরিত্রটিকে একটি স্থিরতা দিন। শান্ত, সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করুন। সুখ ছড়িয়ে দিন প্রত্যেকটি চরিত্রের মধ্যে। তাহলে দেখবেন, সেই সুখের পরশ“ কালো অক্ষর ভেদ করে ছুঁয়ে গেছে আপনার পাঠকের অন্তরও। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। উহু ভাববেন না, দু:খ দিয়ে শেষ করতে পারবেন না- এটা বলছি না কিন্তু। ইতি তো দুধরনেরই হবে। ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক, তাই না? হোক না, ইতি নেই তো।

কিভাবে প্লট সাজাবেনঃ

এই অংশটি কেবল তাদের জন্য যারা ভেবে পাচ্ছেন না যে, কিভাবে একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটি যুক্ত করবেন বা- নতুন একটি দৃশ্যে চলে যাবেন। তারা যা করতে পারেনঃ-

1. একটি শারীরিক কাজ দিনঃ এক স্থান থেকে একটি জিনিস নিয়ে অন্য স্থানে যেতে পারে আপনার যে কোন চরিত্র। ধরেন একজন খুনী শুধুই খুন করে বেড়াচ্ছে। নতুন কিছু যোগ করতে চাইছেন। কিন্তু কি করবেন ভাবছেন। চিন্তা কি? পুলিশে ধরিয়ে দিন। প্লটের তো পরিবর্তন হল। যুক্ত হল নতুন কিছু চরিত্রও। তাই না? বলা তো যায় না, পুলিশ স্টেশন থেকেও নতুন মোড় পেতে পারে আপনার গল্প।

2. সিদ্ধান্ত নিতে দিন : সাধারণ চরিত্রগুলো তার বাবার মতো স্বপ্ন দেখতে চায়। তেমনি হতেও চায়। আপনি তাকে স্বতন্ত্র বানাতে পারেন। আলাদা, অন্যরকম স্বপ্ন দেখতে পারেন, যা সত্যিই ব্যতিক্রম।

3. সম্পর্ক তৈরি করুনঃ সম্পর্ক নতুন মোড় নিতে সাহায্য করে। এই সুযোগটা নিন। যাকে দেখলে সে বিরক্ত হয়। তাকেই সামনে নিয়ে আসুন বার বার। বলা তো যায় না, হয়তো তার সঙ্গেই প্রেম হয়ে গেল? কি হতে পারে না?

4. স্বার্থপর চরিত্র যোগঃ এবার স্বার্থপর কিছু যোগ করুন যে নিজের ছাড়া কোন কিছুই বোঝেননা। বুঝতে চায় না। স্বার্থপর যাকে বলে।

5. পরিস্থিতি তৈরি করুনঃ পাঠককে যুক্ত করতে এমন অনাকাঙ্খিত কিছু পরিস্থিতি তৈরি করুন। যাতে করে পাঠক আপনার প্রধান চরিত্রের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে। সে যেনো তার পক্ষ নেয়। নায়ক যে পরিস্থিতির শিকার, সে যে এটা ইচ্ছাকৃত করেনি-- এটা ভাবতে সাহায্য করুন।

6. চরিত্রে চরিত্রে দ্বন্দ্ব :চরিত্রে চরিত্রে দ্বন্দ্ব তৈরি করুন। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ভূল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করুন।

7. পারিপার্শ্বিকতার দ্বন্দ- যখন চরিত্রটি অন্তর্দ্বন্দ্বে মগ্ন, ঠিক তখনই প্রাকৃতিক দুর্যোগও যোগ করতে পারেন। এতে আপনার গল্পে ভিন্নমাত্রা যোগ হবে।

৮. চরিত্রের নিজের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বন্দ্ব তৈরি করুন। চরিত্রের নিজের মনের সঙ্গে নিজের দ্বন্দ্ব তৈরি করুন। মন আর মগজের যুদ্ধ চলুক কিছুক্ষণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ