মোমিনুল আজম - অনুগল্প নিয়ে অনুনিবন্ধ

ছোটগল্প বা সর্ট ষ্টোরির আরেক রুপ মাইক্রোফিকশন, বাংলায় অনুগল্প। উপন্যাস যদি হয় টেষ্ট ক্রিকেট ছোটগল্প তাহলে ওয়ান ডে এবং অনুগল্প টি২০ আরও ছোট করলে সিক্স এ সাইড। অনুগল্পের শব্দ সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত আছে তবে একটি গল্পের শব্দসংখ্যা কত তার চেয়ে কত কম শব্দে একটি সুন্দর গল্প বলা হলো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে এক হাজার বা তার নীচের শব্দসংখার কোন গল্পকে অনুগল্প বলা হলেও সারা বিশ্বের লিখিত মানসম্পন্ন অনুগল্পের শব্দসংখ্যা তিনশত বা তার কম। আমেরিকার মাইক্রোফিকশন মানডে ম্যাগাজিনের সম্পাদক গেইল টাওয়েল তার মাইক্রোফিকশনের শব্দসংখ্যা এক শতের বেশি বাড়াতে রাজী নন। 


শব্দের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে গল্প কাটছাট না করে গল্প বলার দক্ষতার উপর অনুগল্পের মান নির্ভর করে। এক্ষেত্রে লেখকরা গল্প বলার চেয়ে পাঠককে গল্পটি একঝলক দেখিয়ে দেন। এতে পাঠকের ভাবনার জগৎ প্রসারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ছোটগল্পকার লিডিয়া ডেভিস ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার গ্রহণকালে তিনি বলেন, “আসলে আমি যখন পুস্তের লেখা অনুবাদ করি, তখন আমি ভাবছিলাম, একটি ছোটগল্প কত ছোট হতে পারে। এবং কত অল্প কথায় গল্পটি বলা যেতে পারে। 

বাংলা সাহিত্যে অনেক আগে থেকেই অনুগল্প লেখা হচ্ছে। বনফুলের লেখা অনেক গল্পই অনুগল্পের পর্যায়ভূক্ত। নবীন প্রবীন অনেকেই এখন অনুগল্প লিখছেন এবং এগুলো ছাপা হচ্ছে প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়াতে। 

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে মানুষ সময় স্বল্পতায় ভুগছে, এর মাঝেও তারা শিল্প সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে চাইবে। তখন হয়তো জনপ্রিয় হবে কবিতা ও অনুগল্প।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. বাহ, সুন্দর তো... বিষয়টি সম্পর্কে আগে কোন ধারণা ছিলনা। অনুগল্প নিয়ে অনুনিবন্ধটি লেখার ক্ষেত্রেও মুন্সিআনার উপস্থিতি বিদ্যমান।

    উত্তরমুছুন