আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প নিয়ে আলাপ-- অন্য ঘরে অন্য স্বর: গল্পে অলৌকিক অন্তর্যাত্রা ইশরাত তানিয়া

জীবনপাত্রে অনুভূতি কখনো এক সুতা পরিমান বাকি থাকে। কখনো বা তলানিতে রয়ে যাওয়া কয়েক ফোঁটা অনুভূতি আর্দ্রতা শুকিয়ে পাতলা সরের মতো লেগে থাকে। কারো অনুভূতি আবার বোধের সবটুকু যাপন করে কানায় কানায় জীবনপাত্র ভরে দিয়ে উছলে পড়ে। প্রদীপ এই সর্বশেষ শ্রেণিভুক্ত। যার বাস্তবতা পরাবাস্তবে লীন হয়ে অধিকতর বাস্তব হয়ে ওঠে। একদা দেশত্যাগে অনিচ্ছুক সত্য রায়ের ছেলে প্রদীপ রায় কলকাতায় স্থায়ী।
নারায়ণগঞ্জে পিসীমার বাড়িতে এক দিনের জন্য তার আগমন ঘটে। সেখানে কাটানো কয়েকটি প্রহর, পিসীমার স্মৃতিচারণ আর প্রদীপের তীব্র অনুভূতির অপূর্ব বয়ানে জারিত হয়ে ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ আখ্যানটি রচিত হয়েছে। বাংলা কথা সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম স্বপ্নচারী ব্যক্তিত্ব আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এক রাত্রির সমস্ত সুষমা, অসামান্য ডিটেইলস্‌ এবং দৃশ্যজগতের বিরাজমান উপাদানের সাথে সৃষ্ট দৈহিক ও মনস্তাত্ত্বিক তরঙ্গ ব্যবহার করে গল্পটিকে পূর্ণ-বৃত্তে রূপায়ন করেছেন।    
নারায়ণগঞ্জ বেড়াতে এসেছে প্রদীপ। বয়স আনুমানিক আটাশ/ ঊনত্রিশ। আড়তে পিসতুতো দাদা ননীর সঙ্গে দেখা করে প্রদীপ পিসীর বাড়ী আসে। পুরনো আর নতুন দালানের মাঝখানে উঠোন নিয়ে বাড়ী। দুপুররোদে টিউবওয়েলের জলে স্নান করে ভাত খেতে বসে প্রদীপ। আট-দশ পদের ব্যঞ্জন দেখে অবাক হয় সে, ভাবে- বাঙালরা এখনো এতো খায়! রাতের খাবার শেষ করে ননীদা ব্যবসা-বানিজ্যের হাল হকিকত নিয়ে প্রদীপের সাথে কথা বলে। সম্মেলন-সমাবেশের নামে চাঁদাবাজির উৎপাতে ব্যবসা করা কঠিন। সকালবেলা দুজন ছোকরাকে প্রদীপ আড়তে দেখেছে। তারা চাঁদা নিতেই ননীর কাছে এসেছিল। বৌদির আক্ষেপ- অন্যান্য আত্মীয়দের মতো ইন্ডিয়ায় না গিয়ে ননী কেন এখানে ঘর বাড়ী বানিয়ে বসে রইল। তাদের বড় মেয়ে ইন্দিরা ম্যাট্রিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে কিন্তু বখাটে ছেলেদের ভয়ে কলেজে যেতে পারে না। 
যুদ্ধোত্তর কালে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারের অনিরাপত্তাজনিত সংকট গল্পটিকে সমসাময়িক আখ্যানের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। ভারতে দিদির বাড়িতে থেকে ইন্দিরার কলেজে পড়ার কথা ভেবেছিল ননী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেনো সেই ভাবনার বাস্তবায়ন হলো না সে প্রসঙ্গে লেখক গল্পে নীরব থেকেছেন।  ননী এবং তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক এবং সাংসারিক আলাপচারিতার মাধ্যমে পাঠক একাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতির সাথে সম্যক পরিচিতি লাভ করেছে।     
রাতে প্রদীপের শোয়ার ব্যবস্থা হলো পুরনো দালানে। পিসতুতো ভাই অমিতের ঘরে। আমিত ঢাকা গেছে ক্রিকেট খেলতে। এখানে তিনটে ঘর। পিসীমা আর অমিতের ঘরের মাঝখানে ভাঁড়ার ঘর। ফর্সা চাদর, নতুন কাচা মশারি তবু ঘুম আসে না প্রদীপের। চাঁদ ওঠা ঠাণ্ডা হাওয়া ঢোকে মশারির ভেতরে। মৃত বাবাকে মনে পড়ে প্রদীপের। গলায় ক্যান্সার নিয়েও যে বাড়ি-ঘর- দেশ ছেড়ে যেতে চায়নি। একা একা থাকলেই  রুগ্ন গলায় তার বাবা কীর্তন গাইতো সন্ধেবেলায়। প্রদীপের মেজদা এসে এই পিসীমাকে ধরেই বাবাকে রাজী করিয়ে কলকাতা নিয়ে গিয়েছিলো। সে সময় সারা দিনরাত হাসপাতালে বাবার সাথে জুড়ে থাকতো প্রদীপ। বাবার মৃত্যুর পর সেই খরা স্মৃতিতে তার বুক আড়ষ্ট হয়ে যায়।  
 হঠাৎ শিরদাঁড়ার নিচে ভোঁতা কিছু খোঁচা দেয়। পাতলা একটা বই। নাম ‘জলভরা তালশাঁস’। জানালা দিয়ে আসা আলোয় নীল রঙের আর্ট পেপারের ওপর ভেসে ওঠে হলুদ গোলাপী রঙের স্বল্প বসনার ছবি। তার সর্বাঙ্গে কামবোধের ছোট ছোট ইট পাটকেল ছিটকে পড়ে। বইটি পড়ার জন্য আলো দরকার। কিন্তু আলো জ্বালবার জন্য খাট থেকে নিচে না নেমে সে বরং লেপটাকেই জড়িয়ে নেয়। ঘাড়ের ওপর লেপের ফাঁক দিয়ে সরু শীতের মতো ঠাণ্ডা ঢোকে। ওমে-হিমে প্রদীপের চোখ বুজে আসে। এসব প্রাসঙ্গিক ঘটনাকে গল্পের উপক্রমণিকা বলা যেতে পারে। গল্প শীর্ষবিন্দুর দিকে এগিয়ে যায় যখন শীতকালের জুড়িয়ে যাওয়া পদ্মানদীতে কোন চরের কুলগাছ থেকে ঝরে পড়ে আধপাকা কুল। সেই শব্দে চোখ মেললে প্রদীপ পিসীমার মৃদুস্বরে গাইতে থাকা গান শুনতে পায়- ‘আমা পানে চাও, ফিরিয়া দাঁড়াও, নয়ন ভরিয়া দেখি।’ প্রদীপ পদ্মার জলে বাতাবিনেবুর খোসার মতো দুলে ওঠে। ঘর ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। পিসীমা দরজা খুলে বেরিয়ে এসে প্রদীপকে ঘরে ডেকে নেয়। সে ঘরে আছে ধূপধুনো ও কর্পূরের গন্ধ, কাঠের সিংহাসনে শালগ্রামশিলা আর ছোট মঞ্চে পস্পরের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকা অষ্টধাতুর রাধাকৃষ্ণ। 
প্রদীপের পায়ের তলায় সর্ষে। ব্যবসার কাজের নাম করেই সে দিল্লী-আগ্রা- শিলং-ডিব্রুগড় এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়। রাত পোহালেই সে আগরতলার দিকে ছুটবে। তার পরিব্রাজক জীবন নিয়ে পিসীমা ভাবিত হয়। গল্পের এ স্তরে পিসীমা গুনগুন গান করে গান গায়। কখনো প্রয়াত ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করে- তার ভাই সত্য রায় কেমন ছিল। সংসারটি কিভাবে আগলে রেখেছিল তাদের বাবার মৃত্যুর পর। মৃত বোনের মেয়ের দায়িত্ব নিয়েছে সত্য রায়। বিধবা বোন ও বাচ্চাদের সাদরে ঘরে ফিরিয়ে এনেছে। সাবিত্রি অর্থাৎ পিসীমা তার দাদার কাছে মাতৃক্রোড়ের স্বাদ পেয়েছে। এমন কি সে বিধবা হলে পরে সত্য রায় মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। দাদার কথা বলতে গিয়ে চোখ থেকে জল গড়ায় পিসীমার।  
পিসীমার কথা শুনে শুনে প্রদীপের ঘোর লাগে। পিসীমা ভাঁড়ার ঘরের দিকে যায় প্রদীপের জন্য মুড়ি আনতে। এদিকে প্রদীপের চোখে তার নিজের অজান্তেই স্বপ্নের পাতলা পরত কাজলের মতো জমে থাকে। রাধাকৃষ্ণের পরস্পর মুগ্ধ তৎপরতায়  প্রদীপ ঘরের ছাদ, দেয়াল, মেঝে বিসর্জন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পিসীমার ডাকে সে বাস্তব জগতে ফিরে আসে। ভাঁড়ার ঘরের তালা খুলতে পিসীমাকে সাহায্য করে।  সেখান থেকে মুড়ি, ঘি, স্টোভ নিয়ে এসে বারান্দায় মুড়ি ভাজতে বসে পিসীমা। নিজের ঘর থেকে এলুমিনিয়ামের কড়াই আনে। সে একচোট বকা দেয় তার ছেলে ননীকে। কারণ ননী কুয়ো বুজিয়ে নতুন দালান তুলেছে। 
গল্পের বাকি চরিত্ররা ঘুমিয়ে আছে। ছোট ছোট ঘটনা মঞ্চায়িত হচ্ছে। শরীরে ধূপ ও শশার মিলিত গন্ধ আর চুলে লুকোনো চন্দনের বাসি সুবাস নিয়ে মঞ্চের একক অভিনেত্রী পিসীমা। প্রদীপ নেপথ্যে নাটক প্রত্যক্ষ করছে। পিসীমার মনে পড়ে স্বর্ণের একজোড়া ‘মকরমুইখা’ বালার কথা। তেঁতুল দিয়ে মাজার সময় যে বালা কুয়োর জলে পড়ে গিয়েছিল। সেখানেও একমাত্র পরিত্রাতা ছিল তার দাদা। আংটা দড়ি নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপিয়ে পড়ে সে বালা তুলে আনে দাদা। বাবার প্রত্যাশিত প্রহারের হাত থেকে সাবিত্রি পিসীমা বেঁচে গিয়েছিল দাদার জন্যই।    
পিসীমার মুড়ি লালচে হয়ে আসে। চারিদিক নিরব। এমন কি রাধাকৃষ্ণ, শালগ্রামশিলাও চুপচাপ। দেয়ালের উঁচু তাকে ফ্রেমের কাঁচের সাথে সেঁটে থাকা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মুড়ি ভাজা দেখছে। তাঁর গা ঘেঁষে তাকের ওপর বসে থাকা নেংটি ইঁদুর মুড়িভাজার সুগন্ধে ছটফট করে। পিসীমা গুনগুনায়, ‘যদি গোকূলচন্দ্র ব্রজে না এলো, সখী গো।’ পরমহংসদেবের পোষা ইঁদুর মাঠ পেরিয়ে যায়। ইঁদুরের সাথে প্রদীপও। মুড়ি ভাজা শেষ করে পিসীমা আরেক প্রস্থ বকা দেয় পুত্রবধূকে কারণ বিকেলে মুড়ি ভাজতে গিয়ে সে মুড়ি পুড়িয়ে ফেলেছিল। রূপোর রেকাবীতে প্রদীপকে মুড়ি ঢেলে দেয় পিসীমা। বহু আগে তার দাঁত পড়ে যাওয়ায় পিসীমা মুড়ি খেতে পারে না। 
পিসীমা প্রদীপের মুড়ি খাওয়া দেখে। প্রদীপকে লক্ষ্য করে বলে- ‘তুই এমুন সাধুর মতো থাকস ক্যামনে প্রদীপ?’ প্রদীপ মুড়ি খাওয়া বন্ধ করে পিসীমার দিকে তাকায়। প্রায় চেতনা বিলুপ্ত প্রদীপের সামনে পিসীমার মুখ গলে গড়িয়ে পড়তে থাকে। রাধাকৃষ্ণ যুবক-যুবতীর মতো দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। শালগ্রামশিলা সিংহাসনে চেপে উড়ে যায়। পরমহংসদেব বেরিয়ে পড়েন পোষা ইঁদুর নিয়ে। আবিষ্ট হয়ে সে দেখে তরল পিসীমা ধোঁয়াচ্ছন্ন কেশরাশি এলিয়ে শূন্যতায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। মুড়ি খেয়ে প্রদীপের জিভ শুকনো। জলশূণ্য গলায় সে ‘মা’ বলে চিৎকার করে ওঠে। পিসীমা চমকে ওঠে- ‘ডরাইলি?’ ফের ঘরের দেয়াল ফিরে আসে। দেয়ালের ওপর ছাদ। মেঝের জায়গায় মেঝে।  
পিসীমার ফর্শা কোঁচকানো গাল বেয়ে নোনা জল গড়ায়। পিসীমা প্রদীপকে বলে- ‘তর ভঙ্গি আছে প্রদীপ… তর ভক্তি আছে।’ পিসীমা জানায় তার ঠাকুরদা সাধুদের সাথে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। হরিনাম জপতে জপতে পুরীতে গিয়ে তিনি দেহ রাখেন। প্রদীপ তার ঘোরগ্রস্ততাকে ঘুমের ঝোঁক বলে এড়িয়ে যেতে চায়। পিসীমা তীব্র আগ্রহ নিয়ে জানতে চায় প্রদীপ স্বপ্নে কী দেখলো। কিন্তু প্রদীপ কিছু বলে না। তার মনে হয় সে কিছুই দেখেনি। তাই কিছু বলারও নেই। 
কাহিনীর অবসানে গল্পটি এখানেই থেমে যেতে পারত। কিন্তু গল্প ফুরায় না। রাত প্রায় ভোর হয়ে আসে। গল্পের অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি ঘটে পিসীমাকে ঘরে পাঠিয়ে প্রদীপ যখন অমিতের ঘরে ফিরে মশারির চার দেয়ালের ভেতর ঢুকে পড়ে। বালিশের পাশে সেই ‘জলভরা তালশাঁস’। আত্মরতির কথা ভাবে প্রদীপ। কিন্তু কুঁকড়ে থাকা ঠাণ্ডা শিশ্ন মরা বিছের মতো তার হাতে ঠেকে। তার সমস্ত শরীর ঘিনঘিন-ছিনছিন করে ওঠে।  হাতটা এনে মাথার কাছে রেখে দেয় সে। উদাসীন সাধকের মতোই তার এ অবদমন। যেন অন্য ঘরে অন্য কোনো স্বর তাকে নিবৃত করে। সিদ্ধার্থের মতো গৃহত্যাগী হতে বলে। পিসীমার গুঞ্জন বারান্দা দিয়ে এসে এ ঘরেও উঁকি দেয়- ‘পাগলা, মনটারে তুই বাঁধ।’ এ গান তোলপাড় তোলার আগেই প্রদীপ খাটে বসে জানালা বন্ধ করে দেয়। মধ্যরাতের এসব অভিজ্ঞতা জারিত হয় অন্ধকারে। প্রদীপের অন্তরলোকে বৈরাগ্য ছায়াছাপ ফেলে যায়। নিজের পরিচিত শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতে থিতিয়ে পড়ে প্রদীপ। নির্লিপ্ততায় আচ্ছন্ন হয় সে। গল্প পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়। 
মর্মভেদী উপলব্ধি এবং সত্যনিষ্ঠ গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ইলিয়াসের গল্প শাণিত হয়ে ওঠে। ইলিয়াসের গল্পের বাস্তবতায় স্বপ্নচারিতা একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। অতিপ্রাকৃত আবহ তাঁর গল্পের স্বাভাবিক প্রবণতা। কিন্তু স্বপ্নচারিতায় মূল গল্প অবহেলিত হয় না বরং সামগ্রিক রূপে আবির্ভূত হয়। ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ গল্পের নামটি যেমন কাব্যিক তেমনি কাব্যের ব্যঞ্জনা এর প্রতিটি স্তরে। এ গল্পের আরেককটি স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ্যনীয়। সেটি হলো এখানে দেশভাগের কথা এসেছে এবং গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রদীপ কলকাতায় স্থায়ী অথচ গল্পটির বিষয়বস্তু দেশভাগ নয়। বাংলা সাহিত্যে এমন গল্প বিরল যেখানে দেশভাগের প্রসঙ্গ অন্তঃসলিলা নদীর জলের মতো গল্পের নিচে, লোকচক্ষুর আড়ালে বয়ে গেছে।   
সাহিত্যের শান্ত রসের ধারায় গল্পটি প্রবাহিত। পুরো গল্পটি পড়তে পড়তে পাঠকের মনে হবে সে ভেসে যাচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক স্রোতে। দিশাহীন, দিকনির্দেশনাহীন। অথচ পাঠক স্রোত থেকে উঠে আসতে পারে না। একটি রাতের ম্লান আলোয় ইলিয়াসের পাঠক পরাবাস্তবতায় ভ্রমণরত থাকে।       



..............................
লেখক পরিচিতি
ইশরাত তানিয়ার জন্ম ৬ নভেম্বর, ১৯৮০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। বর্তমানে পিএইচডি করছেন। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। কবি। গল্পকার। মানবিক সম্পর্ক, নৈরাশ্য, স্বপ্ন, প্রকৃতি, প্রেম, অতীন্দ্রিয়তা বিষয়ে তাঁর উপলব্ধি এবং ভাবনা কেন্দ্র করে তাঁর সাহিত্যকর্ম আবর্তিত হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. খুবই কাব্যিক বিশ্লেষণ, এভাবে যদি ইলিয়াসের পব গল্প বিশ্লেষণ করতেন খুবই ভালো হত।

    উত্তরমুছুন