এগারো মাস জাহাজের বাংকারে কয়লা ঠেলেছি
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
আমার প্রথম উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ‘উল্টোরথ’ পত্রিকায়। উপন্যাসটি প্রকাশিত হলে কিছু অর্থ লাভের আশা। নিদারুণ আর্থিক অনটন থেকে কিছুটা মুক্তি ঘটবে। আমরা তখন দেশভাগ-পরবর্তী সময়ে বহরমপুরে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছি। বহরমপুরের কাছে কাশিমবাজারে রাজার পরিত্যক্ত কিছু জমি কিনে আমার বাবা-কাকারা থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন। যজমানি করে সংসার চালাচ্ছেন। আমি তখন সদ্য ম্যাট্রিক পাশ করেছি। আমার স্বভাব ছিল, বাড়িতে অর্ধাহার, অনাহার বেড়ে গেলে কোথাও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। এক বার বোম্বাই হাওয়া হয়ে গেলাম। এক বার নেহরুর সঙ্গে দেখা করার জন্য এলাহাবাদ, এক বার দিল্লি। তবে দুর্ভাগ্য কি সৌভাগ্য জানি না, কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। বোম্বাইতে তিলক ব্রিজের নীচে শুয়ে থাকতাম। এই ভাবেই কাটছিল আমার ছন্নছাড়া জীবন।
এরই মধ্যে কাজ জুটে গেল মালবাহী জাহাজে। খিদিরপুর ডক থেকে ‘এস এস সিওল ব্যাংক’-এ কোলবয় হিসেবে আমার সমুদ্রযাত্রা। কলম্বো থেকে ডারবান, সেখান থেকে বুয়েনস আইরেস, কার্ডিফ, নিউজিল্যান্ড-এর বিভিন্ন দ্বীপে আমাদের জাহাজ পাটের গাঁট, সালফার ফসফেট ইত্যাদি বহন করে নিয়ে যেত। বছরখানেক জাহাজে কাজ করেছি— একটাই সফর। টানা এগারো মাস জাহাজের ইঞ্জিন রুমের বাংকারে কয়লা ঠেলেছি। নাবিকের নিঃসঙ্গ জীবন, সমুদ্রের অনন্ত জলরাশি, বাড়ি ফেরার আকুতি তখন সেই কিশোর মনে কী রেখাপাত করেছিল জানি না, তবে পরবর্তী কালে এই সমুদ্র যাত্রার ওপর ভিত্তি করেই আমার প্রথম উপন্যাস রচনা।
তখন অবশ্য একেবারেই ভাবিনি লেখক হব। আমার বহরমপুরের বন্ধুরা ছিল একেবারে সাহিত্যপাগল। কলকাতা থেকে যখন বহরমপুরের বাড়িতে ফিরতাম, তখন কখনও স্কোয়ার ফিল্ডের এক কোণে, কখনও গোরাবাজারে সাধনবাবুর ঘড়ির দোকানেও হবু লেখক-কবিদের আড্ডা বসত। এঁদের মধ্যেই এক জন ছিলেন আমার বন্ধু প্রশান্তকান্তি সেনগুপ্ত। সে সেই কবে থেকে কলকাতায় যাওয়া-আসা করে ‘দীপালি’ কাগজে একটি কবিতা ছাপিয়েছে। সেই উপলক্ষে আমরা চাঁদা তুলে শিঙাড়া-মিষ্টি খেয়েছিলাম। বন্ধুদের মধ্যে আমার দারিদ্র একটু বেশি মাত্রায়— আমার চাঁদা গোপনে আমার আর এক বন্ধু মুকুলই দিয়েছিল। সঙ্গে শর্ত ছিল, প্রশান্তের হবু কাগজের জন্যও একটি গল্প লিখে দিতে হবে। এগারো মাসের সমুদ্র যাত্রায় প্রায় গোটা পৃথিবী ঘোরা হয়ে গিয়েছে। আমি গল্প লিখতে না পারলে কে লিখবে?
শর্ত রক্ষার্থে গল্প লেখা। অথচ কী করে গল্প লিখতে হয়, তা-ই জানি না। রাতে ঘুম আসে না। রিফিউজি হয়ে এ দেশে আসার পর আমার গায়ের সর্বত্র রিফিউজি তকমা লেপটে আছে। কেমন হীনম্মন্যতায় ভুগতাম। এক জন রিফিউজি তরুণের গল্প লেখার দুঃসাহসও শোভা পায় কি না, জানি না। অবশেষে বন্ধুদের নিরন্তর তাগাদায় লিখে ফেললাম, আমার প্রথম গল্প ‘কার্ডিফের রাজপথ’।
বহরমপুর শহরে তখন ‘উত্তরকাল’, ‘অবসর’, আরও সব মাসিক, ত্রৈমাসিক কাগজ প্রকাশিত হত। আমার প্রথম গল্প ‘কার্ডিফের রাজপথ’ সম্ভবত ‘অবসর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই বছরই ‘বাদশা মিঞা’ বলেও একটি গল্প ‘অবসর’ পত্রিকায় ছাপা হয়। দুটো গল্পই পাঠকের যথেষ্ট দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই সময়ই আরও একটি গল্প প্রকাশিত হয় ‘জলসা’ কাগজে। ‘অমৃত’ সাপ্তাহিকে সে বছরই গল্প লেখার আমন্ত্রণ পাই।
বন্ধুদের উৎসাহ তখন দেখে কে! ঠিক সেই সময়ই ‘উল্টোরথ’ পত্রিকা নবীন সাহিত্যিকদের জন্য ‘মানিক স্মৃতি পুরস্কার’-এর কথা ঘোষণা করে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্যই লেখা হল আমার প্রথম উপন্যাস ‘সমুদ্র মানুষ’। জাহাজে কাজ করার অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশল আমার কল্পনা। পরে শুনেছিলাম, পত্রিকার দফতরে সেই প্রতিযোগিতার জন্য নাকি জমা পড়েছিল হাজারখানেক পাণ্ডুলিপি। তার মধ্যে থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য চারশো পাণ্ডুলিপি বেছে নেওয়া হয়। আমারটিও তার মধ্যেই ছিল। নির্বাচকদের মধ্যে ছিলেন সম্ভবত বিমল মিত্র, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, লীলা মজুমদার। আর কে কে এখন ঠিক আর মনে করতে পারছি না। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল যথাক্রমে পাঁচশো টাকা, আড়াইশো টাকা এবং একশো পঁচিশ টাকা। আমি তৃতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হই। মতি নন্দী পান প্রথম পুরস্কার ‘ধুলো বালি মাটি’-র জন্য। পূর্ণেন্দু পত্রী দ্বিতীয় পুরস্কার।
লেখক হিসেবে আদৌ তখন চিহ্নিত হইনি। কিন্তু মতি নন্দী তখনই যথেষ্ট সম্মানিত লেখক। লেখক মহলেও তাঁর তখন যথেষ্ট পরিচিতি। কলকাতা শহরে এসে এটা সবিশেষ টের পাই। কলকাতায় সেই সময় আমার আত্মীয়স্বজন বলতে এক কাকা গোয়াবাগানের কাছে মনমোহন বসু স্ট্রিটে থাকতেন। কলকাতায় এলে তাঁরই বাসায় উঠতাম। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় সাপ্লি পাওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সাপ্লি পরীক্ষার সিট পড়ায় কাকার বাসাতেই উঠতে হত। কলকাতা-বহরমপুর যাওয়া-আসা ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে একা একা শহরের রাস্তায় বের হতে সাহস হত না। ট্রামে-বাসে উঠতে সাহস হত না। পরবর্তী কালে এই মতিই আমাকে কলকাতার ট্রামে-বাসে চড়া শিখিয়েছিলেন। বাসের রড বাঁ-হাতে না ধরে ডান হাতে ধরতে হবে, এই বিদ্যেটি তাঁর কাছ থেকেই শেখা। কাজেই কলকাতায় এলে মতি নন্দীর খোঁজে তাঁর বাড়িতে যেতেই হত। মতিই প্রথম, সাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর পাইকপাড়ার বাসায় নিয়ে যান।
যাই হোক, আমার প্রথম উপন্যাসটিকে নিয়ে বই বের করেন ‘মিত্রালয়’ প্রকাশনার গৌরীশংকর ভট্টাচার্য। সালটা সম্ভবত ১৯৬২। গৌরীশংকরবাবু নিজেও সে কালের এক বিখ্যাত লেখক। তাঁর ‘ইস্পাতের স্বাক্ষর’ বইখানি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আমার প্রথম বইটি প্রথমে বাইশশো কপি ছাপা হয়। সমস্ত বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। খুব প্রশংসা পেয়েছিলাম। কিছু কিছু পরিচিতিও তৈরি হতে শুরু করে। মাঝেমধ্যেই গল্প লেখার আমন্ত্রণ পেতে থাকি। এ ভাবেই শুরু হয় আমার লেখক জীবন।
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
আমার প্রথম উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ‘উল্টোরথ’ পত্রিকায়। উপন্যাসটি প্রকাশিত হলে কিছু অর্থ লাভের আশা। নিদারুণ আর্থিক অনটন থেকে কিছুটা মুক্তি ঘটবে। আমরা তখন দেশভাগ-পরবর্তী সময়ে বহরমপুরে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছি। বহরমপুরের কাছে কাশিমবাজারে রাজার পরিত্যক্ত কিছু জমি কিনে আমার বাবা-কাকারা থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন। যজমানি করে সংসার চালাচ্ছেন। আমি তখন সদ্য ম্যাট্রিক পাশ করেছি। আমার স্বভাব ছিল, বাড়িতে অর্ধাহার, অনাহার বেড়ে গেলে কোথাও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। এক বার বোম্বাই হাওয়া হয়ে গেলাম। এক বার নেহরুর সঙ্গে দেখা করার জন্য এলাহাবাদ, এক বার দিল্লি। তবে দুর্ভাগ্য কি সৌভাগ্য জানি না, কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। বোম্বাইতে তিলক ব্রিজের নীচে শুয়ে থাকতাম। এই ভাবেই কাটছিল আমার ছন্নছাড়া জীবন।
এরই মধ্যে কাজ জুটে গেল মালবাহী জাহাজে। খিদিরপুর ডক থেকে ‘এস এস সিওল ব্যাংক’-এ কোলবয় হিসেবে আমার সমুদ্রযাত্রা। কলম্বো থেকে ডারবান, সেখান থেকে বুয়েনস আইরেস, কার্ডিফ, নিউজিল্যান্ড-এর বিভিন্ন দ্বীপে আমাদের জাহাজ পাটের গাঁট, সালফার ফসফেট ইত্যাদি বহন করে নিয়ে যেত। বছরখানেক জাহাজে কাজ করেছি— একটাই সফর। টানা এগারো মাস জাহাজের ইঞ্জিন রুমের বাংকারে কয়লা ঠেলেছি। নাবিকের নিঃসঙ্গ জীবন, সমুদ্রের অনন্ত জলরাশি, বাড়ি ফেরার আকুতি তখন সেই কিশোর মনে কী রেখাপাত করেছিল জানি না, তবে পরবর্তী কালে এই সমুদ্র যাত্রার ওপর ভিত্তি করেই আমার প্রথম উপন্যাস রচনা।
তখন অবশ্য একেবারেই ভাবিনি লেখক হব। আমার বহরমপুরের বন্ধুরা ছিল একেবারে সাহিত্যপাগল। কলকাতা থেকে যখন বহরমপুরের বাড়িতে ফিরতাম, তখন কখনও স্কোয়ার ফিল্ডের এক কোণে, কখনও গোরাবাজারে সাধনবাবুর ঘড়ির দোকানেও হবু লেখক-কবিদের আড্ডা বসত। এঁদের মধ্যেই এক জন ছিলেন আমার বন্ধু প্রশান্তকান্তি সেনগুপ্ত। সে সেই কবে থেকে কলকাতায় যাওয়া-আসা করে ‘দীপালি’ কাগজে একটি কবিতা ছাপিয়েছে। সেই উপলক্ষে আমরা চাঁদা তুলে শিঙাড়া-মিষ্টি খেয়েছিলাম। বন্ধুদের মধ্যে আমার দারিদ্র একটু বেশি মাত্রায়— আমার চাঁদা গোপনে আমার আর এক বন্ধু মুকুলই দিয়েছিল। সঙ্গে শর্ত ছিল, প্রশান্তের হবু কাগজের জন্যও একটি গল্প লিখে দিতে হবে। এগারো মাসের সমুদ্র যাত্রায় প্রায় গোটা পৃথিবী ঘোরা হয়ে গিয়েছে। আমি গল্প লিখতে না পারলে কে লিখবে?
শর্ত রক্ষার্থে গল্প লেখা। অথচ কী করে গল্প লিখতে হয়, তা-ই জানি না। রাতে ঘুম আসে না। রিফিউজি হয়ে এ দেশে আসার পর আমার গায়ের সর্বত্র রিফিউজি তকমা লেপটে আছে। কেমন হীনম্মন্যতায় ভুগতাম। এক জন রিফিউজি তরুণের গল্প লেখার দুঃসাহসও শোভা পায় কি না, জানি না। অবশেষে বন্ধুদের নিরন্তর তাগাদায় লিখে ফেললাম, আমার প্রথম গল্প ‘কার্ডিফের রাজপথ’।
বহরমপুর শহরে তখন ‘উত্তরকাল’, ‘অবসর’, আরও সব মাসিক, ত্রৈমাসিক কাগজ প্রকাশিত হত। আমার প্রথম গল্প ‘কার্ডিফের রাজপথ’ সম্ভবত ‘অবসর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই বছরই ‘বাদশা মিঞা’ বলেও একটি গল্প ‘অবসর’ পত্রিকায় ছাপা হয়। দুটো গল্পই পাঠকের যথেষ্ট দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই সময়ই আরও একটি গল্প প্রকাশিত হয় ‘জলসা’ কাগজে। ‘অমৃত’ সাপ্তাহিকে সে বছরই গল্প লেখার আমন্ত্রণ পাই।
বন্ধুদের উৎসাহ তখন দেখে কে! ঠিক সেই সময়ই ‘উল্টোরথ’ পত্রিকা নবীন সাহিত্যিকদের জন্য ‘মানিক স্মৃতি পুরস্কার’-এর কথা ঘোষণা করে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্যই লেখা হল আমার প্রথম উপন্যাস ‘সমুদ্র মানুষ’। জাহাজে কাজ করার অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশল আমার কল্পনা। পরে শুনেছিলাম, পত্রিকার দফতরে সেই প্রতিযোগিতার জন্য নাকি জমা পড়েছিল হাজারখানেক পাণ্ডুলিপি। তার মধ্যে থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য চারশো পাণ্ডুলিপি বেছে নেওয়া হয়। আমারটিও তার মধ্যেই ছিল। নির্বাচকদের মধ্যে ছিলেন সম্ভবত বিমল মিত্র, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, লীলা মজুমদার। আর কে কে এখন ঠিক আর মনে করতে পারছি না। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল যথাক্রমে পাঁচশো টাকা, আড়াইশো টাকা এবং একশো পঁচিশ টাকা। আমি তৃতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হই। মতি নন্দী পান প্রথম পুরস্কার ‘ধুলো বালি মাটি’-র জন্য। পূর্ণেন্দু পত্রী দ্বিতীয় পুরস্কার।
লেখক হিসেবে আদৌ তখন চিহ্নিত হইনি। কিন্তু মতি নন্দী তখনই যথেষ্ট সম্মানিত লেখক। লেখক মহলেও তাঁর তখন যথেষ্ট পরিচিতি। কলকাতা শহরে এসে এটা সবিশেষ টের পাই। কলকাতায় সেই সময় আমার আত্মীয়স্বজন বলতে এক কাকা গোয়াবাগানের কাছে মনমোহন বসু স্ট্রিটে থাকতেন। কলকাতায় এলে তাঁরই বাসায় উঠতাম। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় সাপ্লি পাওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সাপ্লি পরীক্ষার সিট পড়ায় কাকার বাসাতেই উঠতে হত। কলকাতা-বহরমপুর যাওয়া-আসা ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে একা একা শহরের রাস্তায় বের হতে সাহস হত না। ট্রামে-বাসে উঠতে সাহস হত না। পরবর্তী কালে এই মতিই আমাকে কলকাতার ট্রামে-বাসে চড়া শিখিয়েছিলেন। বাসের রড বাঁ-হাতে না ধরে ডান হাতে ধরতে হবে, এই বিদ্যেটি তাঁর কাছ থেকেই শেখা। কাজেই কলকাতায় এলে মতি নন্দীর খোঁজে তাঁর বাড়িতে যেতেই হত। মতিই প্রথম, সাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর পাইকপাড়ার বাসায় নিয়ে যান।
যাই হোক, আমার প্রথম উপন্যাসটিকে নিয়ে বই বের করেন ‘মিত্রালয়’ প্রকাশনার গৌরীশংকর ভট্টাচার্য। সালটা সম্ভবত ১৯৬২। গৌরীশংকরবাবু নিজেও সে কালের এক বিখ্যাত লেখক। তাঁর ‘ইস্পাতের স্বাক্ষর’ বইখানি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আমার প্রথম বইটি প্রথমে বাইশশো কপি ছাপা হয়। সমস্ত বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। খুব প্রশংসা পেয়েছিলাম। কিছু কিছু পরিচিতিও তৈরি হতে শুরু করে। মাঝেমধ্যেই গল্প লেখার আমন্ত্রণ পেতে থাকি। এ ভাবেই শুরু হয় আমার লেখক জীবন।
0 মন্তব্যসমূহ