
অমর মিত্র'র বই
নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি
শ্রীরামচন্দ্র গ্লাস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে শ্রীরাম আবাসনের বিজ্ঞপ্তি। বন্ধ কাচকলের শ্রমিক বৈরাগী মন্ডল বিজ্ঞপ্তি দেখেছিল প্রথম। সে ভাবত কাচকল বন্ধ হয়ে আছে বটে, কিন্তু খুলবে নিশ্চয়। কবে খুলবে তার খোঁজে কলকাতার আলিপুরে মালিকের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিল সে। গিয়ে ফিরে এসেছিল। সে এখনো ঘুমের ঘোরে শেষ রাতে কারখানার সাইরেন শুনতে পায়। কারখানার প্রাচীরের ভিতরে ছিল যে নিম গাছ, তার ফুলের গন্ধ টের পায় চৈত্র সন্ধ্যায়। সবই ঠিক আছে, শুধু বড় বড় তালা খুললে হয়। আবাসনের কাজ আরম্ভের আগে বকেয়া পাওনা মেটাতে এসেছিল ক্তৃপক্ষ। নিরীহ শ্রমিক বৈরাগী বুঝতে পেরেছিল না খুলে টাকা দিয়ে দেওয়া মানে কারখানা আর খুলবে না। সেই রাতে পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু পরে বলে বৈরাগীকে তোলেইনি। এই উপন্যাস সেই সত্য অনুসন্ধানের এক হৃদয় বিদারক বৃত্তান্ত।
নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি
প্রকাশক : গুরুচণ্ডা৯ র ২৯৩ স্টলে।
কোলকাতা বইমেলা।
..........................................................................................................................................................
সূর্যাস্তের দেশে
সূর্যাস্তের পথে
ট্রাভেলগ
লেখক গিয়েছিলেন দূর পশ্চিমে। আমেরিকায়। সূর্যাস্তের দেশে। গিয়ে উত্তর থেকে পুবে, পুব থেকে পশ্চিমে ঘুরেছেন। দেখেছেন তুষারাচ্ছন্ন ব্লু রিজ পর্বতমালা, তুষারে ছেয়ে আছে গ্রাম, বনভূমি। সন্ধ্যা হয়ে আসে প্রায়। মনে পড়ে যায় রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা, মাইলস টু গো...। লেখক সেই পথে শুনেছেন জন ডেনভারের গান। কান্ট্রি রোড, টেক মি হোম। লেখক ওই গানে তাঁর ফেলে আসা গ্রাম খুঁজেছেন। উত্তরের মিশিগান থেকে উত্তর ক্যারোলাইনা, সেখান থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে লস এঞ্জেলেস, যোশুয়া বৃক্ষের জাতীয় উদ্যানের মরু পাহাড়ে গিয়ে যেন খুঁজে পেয়েছেন চল্লিশ বছর আগের হারানো ঘোড়াটিকে। হারানো মানুষটিকে। সেখান থেকে নিউ ইয়র্কের পথে পথে। সমগ্র যাত্রায় তাঁর সঙ্গে থাকে এক অলৌকিক মার্কিন দম্পতি, যাঁরা সূর্যাস্তের পথেই হেঁটেছেন। উপন্যাসিকের কলমে এই ভ্রমণ কাহিনি এক আনন্দ বিষাদের জীবনোপাখ্যান হয়ে উঠেছে।
সূর্যাস্তের দেশে, সূর্যাস্তের পথে
প্রচ্ছদ : দেবাশিস সাহা
প্রকাশক : দে'জ পাবলিশিং, কোলকাতা।
দাম : ২৫০ টাকা
..............................................................................................................................................
..............................................................................................................................................

কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র'র অনেক সাক্ষাৎকার নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে অমর মিত্রের ব্যক্তিজীবন ও লেখক জীবন, লেখার শৈলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। প্রকৃত অর্থে এই সাক্ষাৎগুলো গেল পঞ্চাশ বছরের বাংলা কথাআহিত্যেরই ইতিহাস হয়ে উঠেছে।
এ সময়ের একজন লেখক ও পাঠকের জন্য এই বইটি পাঠ অতি গুরুত্বপূর্ণ।
অমর মিত্রের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ
অমর মিত্রের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ
সম্পাদনা
বিকাশ রায়
বিদ্যূৎ মণ্ডল। প্রকাশক-
বিকাশ রায়
বিদ্যূৎ মণ্ডল। প্রকাশক-

এমদাদ রহমান'এর ভাষান্তর ও সম্পাদনা
নৈঃশব্দ্যের সংলাপ
বিশ্বসাহিত্যের ২২জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকারে সমৃদ্ধ এই বইটিতে যে অজস্র মণিমুক্তো ছড়িয়ে আছে সেগুলিকে কুড়িয়ে নিলে হয়তো জীবনের অনেককিছুই অন্যভাবে দেখা সম্ভব। এমদাদ রহমান, সাহিত্য আলোচক ও সফল গল্পকার, বছরের পর বছর শ্রমের একাগ্রতায় এই সাক্ষাৎকারগুলির যথার্থ অনুবাদ করেছেন। অপার কৌতূহল, উদ্যম, মেধা, ও অধ্যবসায় ব্যতীত কাজটির সফলতা সম্ভব ছিল না। তাঁর ভাষান্তরের মধ্যে তিনি যেন বহু গভীর প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন - যাঁরা বিশ্বমানের কাহিনী সৃষ্টি করেন কী তাড়নায় তাঁদের এই সৃষ্টি, কী অনুপ্রেরণায় তাঁদের এই চালনা। ফিকশন লেখার আর্ট শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের জন্য নয়, কালোত্তীর্ণ সাহিত্যে অনুরক্ত পাঠকের জন্যও এই সাক্ষাৎকারগুলি বহ দিগন্তের উন্মোচন করতে পারে, এমদাদ রহমান সেই দিগন্তরেখা দেখারই আহ্বান জানিয়েছেন এই বইটিতে।
সূচিপত্র
সাক্ষাৎকার--
১. এলিস মুনরো, ২.সালমান রুশদি, ৩.ঝুম্পা লাহিড়ী, ৪. ইতালো কালভিনো, ৫. ওরহান পামুক, ৬.হোসে সারামাগো, ৭. গুন্টার গ্রাস৮, ৮. হুলিও কোর্তাসার, ৯. হান ক্যাঙ, ১০. উমবের্তো একো, ১১. জয় হার্জো, ১২. মারিও বার্গাস ইয়োসা, ১৩. আইজাক বাশেভিস সিঙ্গার, ১৪. গোলি তারাঘি, ১৫. আলবের কামু, ১৬. উইলিয়াম ফকনার, ১৭, হাইনরিখ ব্যোল, ১৮. অ্যামি তান, ১৯. কার্লোস ফুয়েন্তেস, ২০. কাজুও ইশিগুরো।
২ প্রতিভাস
হারুকি মুরাকামি--
ক-আলাপ : জন ফ্রিম্যানের সঙ্গে (কীভাবে একজন ঔপন্যাসিককে পাঠ করবেন)
খ- বক্তৃতা : বার্কলি ইনস্টিটিউট, ১৯৯২ (ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বক্তৃতা)
গ- কথা : রোনাল্ড ক্যাল্টসের সঙ্গে (সাক্ষাৎকারমূলক প্রতিবেদন)
ঘ-আলোচনাচক্র : দ্য গার্ডিয়ান বুক ক্লাব (এডিনবরা আন্তর্জাতিক বই উৎসবে 'দ্য গার্ডিয়ান বুক ক্লাব'-এর আয়োজন নিয়ে মার্থা বাসেল)
৩ বৈঠক
ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা-লুইস বোগেরিয়া : অদম্য দুই শিল্পী-সত্তার বৈঠক
(দুষ্প্রাপ্য লেখা)
নৈঃশব্দ্যের সংলাপ
বিশ্বসাহিত্যের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার
ভাষান্তর ও সম্পাদনা
এমদাদ রহমান
প্রকাশক, চৈতন্য।

ইকবাল তাজওলীর গল্পের বই
শরীরের কান্না এবং পনেরো ফোঁটা অশ্রু
বইতে মোট ১৬টি গল্প রয়েছে । এর মধ্যে দেশভাগ এবং দেশভাগ পরবর্তী ক্ষত নিয়ে মোট ০৬টি গল্প। সিলেট অঞ্চলের মা-মাটি- মানুষ নিয়ে লেখা হয়েছে এই গল্পগুলো।
শরীরের কান্না এবং পনের ফোটা অশ্রু
ইকবাল তাজওলী
প্রচ্ছদ: এন্টনি ফিরিঙ্গি
প্রকাশক: নাগরী
বারুতখানা , সিলেট- ৩১০০ ,বাংলাদেশ ।


কৃষ্ণগহ্বরের স্মৃতিফলকেরা
প্রকাশক : সৃষ্টিসুখ

জয়ন্ত দে'র গল্পের বই
ভালোবাসার গল্প
প্রকাশক ঃ সোপান, কোলকাতা।

জয়দীব দে'র গল্পের বই
গহন পথে
স্কুলে যেতে যেতে বাবা বারবার বলছিল, ‘বাবু ভালা করিয়া পড়বায়। মাস্টারনি তারার কথা হুনবায়। তোমারে ফার্স্ট অয়া লাগব। দুই নম্বরোর কুনু দাম নাই দুনিয়াত’।
সেই থেকে কেবল ফার্স্ট হওয়ার যুদ্ধ। কখনো নিয়মের ভেতরে, কখনো বা বাইরে। একসময় সুজন ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ে রেল লাইনে। যে শিক্ষা মানুষকে বিকশিত করার কথা, সেই শিক্ষা হচ্ছে মৃত্যুর কারণ। এভাবে প্রতিবছর কত প্রাণ ঝরে যায় তার কোন হিসাব নেই কোথাও। এ মৃত্যুযাত্রার সুলুক সন্ধানে শিক্ষার গহন পথে এবারের যাত্রা।
৩০ হাজার শব্দের এই উপন্যাসে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সংকট এবং সম্ভাবনার দিকে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রবাসে বাংলাদেশী তরুণরা কি কঠিন সংগ্রামের মধ্যে টিকে আছে তারও বর্ণনা মিলবে এখানে।
বইয়ের নাম : গহন পথে
জয়দীপ দে
প্রকাশক : দেশ পাবলিকেশন্স
প্রচ্ছদ : রাজীব দত্ত
প্রকাশকাল : গ্রন্থমেলা ২০১৯

দীপেন ভট্টাচার্যের গল্পের বই
নিস্তার মোল্লার মহাভারত
দ্যু প্রকাশন, ঢাকা ২০১৯


নাহার মনিকার নতুন উপন্যাস
মন্থকূপ

‘মন্থকূপ’ উপন্যাস লিখতে শুরু করেছিলাম ২০১৭’তে। প্রায় সত্তর ভাগ লেখার পর বিরতি দিয়েছিলাম। কিন্তু মাথায় এর ঘোর বয়ে বেড়িয়েছি। অসম্পূর্ণ এ লেখার সঙ্গে আমি এবং এর চরিত্র ফোয়ারা, নিলয়, সায়রা, জামিল, পরাণ অথবা ময়না একসঙ্গে হেঁটেছি বেশ কিছুদিন। আমার তৃতীয় গল্পের বই ‘দখলের দৌড়’ এর পান্ডুলিপি তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় (গল্পের বইটি ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারী’র বইমেলায় আসছে) উপন্যাস শেষ করার তাগিদ কিছুটা পিছিয়ে গেল।
গত অক্টোবর মাসে তানিম কবির যখন তার প্রকাশনা বৈভব এর জন্য উপন্যাস চাইলো, আমার চরিত্রদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরী হলো। তারা মহা উৎসাহে আমার প্রতিদিনের লাঞ্চ আওয়ার এবং সন্ধ্যেবেলা, শনি রোববারের দুপুর-বিকেলগুলি দখল করে নিলো। গতি প্রকৃতিতে কিছু রদবদল করতে হলেও তারপর দ্রুতই শেষ করতে পারলাম আমার নতুন উপন্যাস।
লেখা শেষ হবার পরিতৃপ্তি একরকম আর সে লেখা যখন পাঠকের কাছে পৌছে যায় তার আনন্দ নিঃসন্দেহে তুরীয়। ‘মন্থকূপ’ আগে কোন পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়নি। ফলে একেবারে মলাটবন্দী হয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য আসছে ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারী’র বইমেলায়!
মন্থকূপ



পাপড়ি রহমানের
নির্বাচিত গল্প
সাতটি গল্পগ্রন্থ থেকে বাছাই ১৫ টি গল্প নিয়ে এবারে প্রকাশিত হচ্ছে পাপড়ি রহমানের নির্বাচিত গল্পগ্রন্থ। একেবারেই পৃথক দৃষ্টিকোণ থেকে গল্পকে দেখার অনন্য ক্ষমতা তাঁর গল্পকে স্বকীয়তা প্রদান করে। সমকালীন বাস্তবতার আলো-আঁধার,নিয়েই তার শাণিত কলমে নির্মিত হয় এক একটি অমোঘ গল্প। তিনি ঘটনাচক্রে নারী। নারীর আশা-আকাঙ্ক্ষা-স্পর্ধা-আত্মমর্যাদা তাঁর কলমে মূর্ত হয়ে উঠলেও,তিনি পক্ষপাত দুষ্ট হন না। লিঙ্গ পরিচয় অনিবার্য।কিন্তু একমাত্র বিচার্য নয়। তাঁর গল্পে বিষয় বৈচিত্রের সাথেই ফাঁক ফোকরে ঢুকে পড়ে জাদুবাস্তবতা-পরাবাস্তবতার মেঘ-কুয়াশা। ফলে এক অত্যাশ্চর্য কলমের হাত ধরে পাঠক সওয়ারি হন এক অদ্ভুত কথন জার্নির। আর সেই কারণেই এই সর্ব-রসসাহিত্য সমন্বিত কথন শিল্পীর পনেরোটি নির্বাচিত গল্প সংকলন প্রকাশে উদ্যোগী ঐহিক। অখণ্ড বাংলার এপারে বসবাসকারী বাংলা ভাষার পাঠকের কাছে অপরিচয়ের দূরত্ব মুছতে তাই ঐহিক প্রকাশ করছে এই কলকাতা বইমেলায়।
নির্বাচিত গল্প
পাপড়ি_রহমান
প্রচ্ছদঃনির্ঝর নৈঃশব্দ্য
প্রকাশক : ঐহিক, কোলকাতা।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী গুলজার বহু ভাষাবিদ । তিনি মূলত: হিন্দি, উর্দু এবং পাঞ্জাবি ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় লেখালেখি করেন । সাবলীল ভাষা, শব্দের নিপুণ ব্যবহার, কাহিনী বিন্যাস, জটিল অনুভূতির সহজিয়া প্রকাশ এবং উপস্থাপনা ছোটগল্পকে করে তুলেছে অনন্য, অসাধারণ । বাক্যের বুনন, শব্দের সঠিক ব্যবহার এবং পাঠককে সম্মোহিত করে রাখার অলৌকিক দক্ষতার জন্য অনেকে তাঁকে ‘শব্দের মোজার্ট’ খেতাব দিয়েছেন । এছাড়া কাব্যিক ভাষায় চরিত্র চিত্রণের, বিশেষ করে শব্দ প্রয়োগের, জন্য তাঁকে ‘মাষ্টার ওয়ার্ডস্মীথ’ বা ‘শব্দ-কারিগর’ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় । ইংরেজিতে অনূদিত তাঁর গল্প নিয়ে ‘রাভি পার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ (১৯৯৭) এবং ‘হাফ এ রুপি স্টোরিজ’ (২০১৩) শিরোনামে দুটি ছোটগল্প সংকলন রয়েছে । এ দুটি গ্রন্থ থেকে বাছাই করে মোট ষোলটি গল্প সন্নিবেশিত করা হয়েছে এই সংকলনে ।

ফজল হাসান অনুদিত বই
গুলজারের নির্বাচিত ছোট গল্প
প্রকাশিত দিব্য প্রকাশ
..............................................................................................................................................
আফ্রিকার শ্রেষ্ঠ গল্প
ভূমিকা ও অনুবাদ : ফজল হাসান
প্রচ্ছদ : কাব্য কারিম
মূল্য : ২৭৫ টাকা
প্রকাশক : ইত্যাদি।
‘অ্যাক্রস্ দ্য কন্টিনেন্ট: আফ্রিকার শ্রেষ্ঠ গল্প’ সংকলনে আফ্রিকা মহাদেশের সতেরটি দেশের তেইশজন লেখক/লেখিকার ছাব্বিশটি গল্প দু’টো আলাদা পর্বে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ।
প্রথম পর্বে রয়েছেন নোবেল, ম্যান বুকার এবং ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার বিজয়ী তিন দেশের ছ’জন লেখক/লেখিকা । তাঁরা হলেন নোবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক নাইজেরিয়ার ওলে সয়িঙ্কা, মিশরের নাগিব মাহফুজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নাডিন গর্ডিমার ও জে এম কোয়েৎজি এবং ম্যান বুকার ও ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার বিজয়ী নাইজেরিয়ার চিনুয়া আচেবে এবং বেন ওকরি । অন্যদিকে দ্বিতীয় পর্বের তালিকায় আছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের অ্যালেন মাবানকো, ঘানার আমা আতা আইদু, কেনিয়ার এনগুগি ওয়া থিয়ংও’ও, লিবিয়ার হিশাম মাতার, মোজাম্বিকের মিয়া কুতো, সোমালিয়ার নুরুদ্দিন ফারাহ, সুদানের তায়েব সালিহ, নামিবিয়ার মিলি জাফতা, জিম্বাবুইয়ের ইভন ভেরা সহ সতেরজন লেখক/লেখিকা । ‘অ্যাক্রস্ দ্য কন্টিনেন্ট: আফ্রিকার শ্রেষ্ঠ গল্প’ সংকলনের প্রতিটি গল্পের শুরুতে রয়েছে গল্পকারের সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং তাঁদের সাহিত্য কর্মের পরিচয়, যা গল্পকার সম্পর্কে উৎসুক পাঠকের মনে সামান্য ধারণা দিতে সক্ষম হবে । গল্পের শেষে রয়েছে গল্পসূত্র । এছাড়া সংকলনের ভূমিকায় রয়েছে আফ্রিকার সাহিত্যের উৎস থেকে উত্তরণ এবং আফ্রিকা মহাদেশের চারজন নোবেল বিজয়ী লেখকের ব্যক্তি জীবন, সাহিত্য ভাবনা এবং উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।

মাহবুব লীলেনের বই--
--------------------------------------------
অভাজনের মহাভারত
কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের জন্মকাহিনী পরিচিত হলেও আজ পর্যন্ত কোথাও তাঁর কোনো মৃত্যুর বিবরণ নেই। যেন নিজের শুরু করা গল্পের বিবর্তন বয়ানের জন্য এখনো বর্তমান তিনি…
মহাভারত বড়ো অদ্ভুত এক চলন্ত বর্তমানের গল্প। এখানে বিজয়ীরা বীর নয়; পরাজিতরা বীর্যহীনও নয়। এখানে ভীতরা বিজয়ী হয়ে কাঁদে; সাহসীরা পরাজিত হয়ে হাসে; যেন ঘটনার আরো কিছু বাকি আছে; যা দ্বৈপায়নই বলবেন অন্য কোনো সময়; অন্য কোনোভাবে…
ফলে দ্বৈপায়নের নামেই যুগে যুগে নতুন করে মহাভারত রচিত হতে থাকে। প্রথম বাংলা মহাভারত রচিত হয়েছিল আজ থেকে তিনশো বছর আগে চট্টগ্রামে। আর বাংলা মহাভারতের সাম্প্রতিকতম সংযোজন অভাজনের মহাভারত; মৌখিক বাংলায় মহাভারতের অলৌকিকতাবিহীন আখ্যান…
অভাজনের মহাভারত
মাহবুব লীলেন
বাতিঘর সংস্করণ: ফেব্রুয়ারি ২০১৯
প্রথম প্রকাশ: শুদ্ধস্বর, ফেব্রুয়ারি ২০১৫
প্রকাশক: বাতিঘর
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন, ১৭ ময়মনসিংহ রোড, বাংলা মোটর, ঢাকা
মূল্য: ৬০০ টাকা
প্রচ্ছদ: সব্যসাচী হাজরা।

মোজাফফর হোসেনের নতুন বই--
বাংলা সাহিত্যের নানাদিক
প্রবন্ধের সংকলন
বাংলাদেশের সমালোচনা সাহিত্যে তরুণ প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও অনুবাদক মোজাফ্ফর হোসেন ইতোমধ্যে স্বকীয়তার ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বিশ্বসাহিত্যের সর্বাধুনিক ধারা ও প্রবণতার সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যকে পাঠ ও বিশ্লেষণ করে যাচ্ছেন। তুলনা ও প্রতিতুলনার ভেতর দিয়ে একজন লেখক বা একটি গ্রন্থকে উপস্থাপন করেন; ফলে পাঠক সাহিত্যের বিচিত্র প্রসঙ্গ সম্পর্কে জানতে পারেন। গ্রন্থভুক্ত প্রবন্ধগুলো প্রকাশিত হয়েছে ‘কালি ও কলম’, ‘উত্তরাধিকার’, ‘শব্দঘর’ ও ‘দৈনিক প্রথম আলো’-সহ দেশের মানসচেতন পত্র-পত্রিকাতে। এখানে মোজাফ্ফর বাংলা সাহিত্যের বিচিত্র বিষয় নিয়ে যেমন লিখেছেন, তেমন আলো ফেলেছেন অনালোচিত নানা অধ্যায়ে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি-গবেষণা হয়েছে। মোজাফ্ফর বইয়ের শুরুতে ‘রবীন্দ্রনাথ’ পাঠককে নতুন কিছু বিষয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ‘বিশ্বে রবীন্দ্রচর্চা: গ্রহণ ও বর্জন’ শিরোনামে চমৎকার একটি গদ্য আছে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পৃথক পৃথক গদ্যে ডেরেক ওয়ালকোট, মারজরি কিনান রলিংস ও বব ডিলানের তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। নারীমুক্তির প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রজীবনে মৃত্যু নিয়ে আলাদা দুটি গদ্য আছে।
‘উপন্যাস’ অংশে সৈয়দ শামসুল হক, সেলিনা হোসেন, দিলারা হাশেম, ইমদাদুল হক মিলন ও আনিসুল হকের উপন্যাস ধরে আলোচনা করা হয়েছে। শিশুসাহিত্য নিয়ে বাংলাদেশে খুব বেশি লেখাজোখা হয় না। ‘শিশুসাহিত্য’ অংশে প্রাবন্ধিক বাংলাদেশের কয়েকজন খ্যাতিমান লেখক, যাঁরা মূলত বড়দের লেখক হিসেবে পরিচিত, তাঁদের শিশুসাহিত্যের প্রকৃতি ও প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। হাসান আজিজুল হক, শওকত আলী, মাহমুদুল হক ও সেলিনা হোসেনের শিশুসাহিত্য নিয়ে এই অংশে চারটি গদ্য আছে।
‘অন্যান্য’ শিরোনামে বইয়ের শেষ অংশে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী এবং হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিকথা নিয়ে দুটি গদ্য আছে। বাংলাদেশের ছোটকাগজ চর্চার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট এবং অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশীদ সম্পাদিত ‘নিউ ভ্যালুজ’ পত্রিকা নিয়ে বিশদাকারে আলোচনা করা হয়েছে দুটি গদ্যে। এই অংশে উল্লেখযোগ্য সংযোজন হলো ‘ভাষার ব্যবহার ও গালি’ এবং ‘বিশ্বখ্যাত লেখকদের বিচিত্র অভ্যাস ও রসাত্মক কাহিনি’ শীর্ষক গদ্যদুটি।
বাংলা সাহিত্যের নানাদিক
মোজাফফর হোসেন
প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
পৃষ্ঠা: ১৭৬, মূল্য: ৩২০টাকা
প্রকাশক: গ্রন্থ কুটির

ম্যারিনা নাসরীনের গল্পের বই
জন্মভিটে

জন্মের পর মা সন্তানের নাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সত্য কিন্তু মায়ের গর্ভের গভীরে গ্রথিত থেকে যায় এক অদৃশ্য শেকড়। সে হিসেবে মায়ের গর্ভ মানুষের জন্মভিটেও বটে। সময় বা পরিস্থিতি সন্তানকে এই জন্মভিটে থেকে কখনো কখনো উন্মূল করে, উচ্ছেদ ঘটায় । ‘জন্মভিটে’ গল্পগ্রন্থের নাম গল্পটি সেই শেকড় উচ্ছেদের কাহিনী। সাপে কাটার কিছুক্ষণ পর সফেদ আলী নিজেকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলো। নিজের লাশকে এভাবে ফেলে যাবার ইচ্ছা হলো না তার। সে অদূরে তেঁতুল গাছের নীচে অপেক্ষা করতে থাকে। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও সফেদ আলী স্পষ্ট দেখতে পায় হাজার হাজার পোকামাকড় সারি ধরে তার নাক কানের গহ্বরের দিকে ছুটে যাচ্ছে। ‘সফেদ আলীর মৃত্যু সংক্রান্ত জটিলতা’ গল্পটি সামাজিক কুসংস্কারের নিরিখে লেখা মৃত্যু বিষয়ক কাহিনী। খিলক্ষেত ওভার ব্রিজের নীচে সমরের সাথে লোকটির প্রথম দেখা হয়েছিল। অবিকল সমরের মত দেখতে। লোকটি সমরের বাবা ধীরাজ। তারা অন্ধকার রাতে পাশাপাশি হাঁটে। এই শহরে আঁধারে হাঁটা লোকের সংখ্যা বাড়ছে। তারা কেউ কাউকে চেনেনা। কেউ কারো সাথে কথাও বলেনা। ট্রেন লাইনের পাশে নিঃশব্দে বসে থাকে আর অপেক্ষা করে, আরো নতুন কেউ আসছে- জীবনে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার ব্যাখ্যা হয়না ‘একটি আপাত সমাপ্ত গল্প’ নামের গল্পটি সেই ব্যাখ্যাতীত ঘটনার।
গল্প মানেই জীবন বা জীবন সংশ্লিষ্ট বাস্তব পরাবাস্তবের আখ্যান । সাধারণের অথবা অসাধারণের। চেনা বা অচেনার। এইসব নানা প্রেক্ষাপটে রচিত দশটি ছোট গল্প নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ম্যারিনা নাসরীনের গল্পগ্রন্থ ‘জন্মভিটে’ । এটি ম্যারিনা নাসরীনের অষ্টম গ্রন্থ এবং গল্পগ্রন্থ হিসেবে পঞ্চম।
জন্মভিটে
ম্যারিনা নাসরীন
প্রকাশক- কথাপ্রকাশ প্রকাশনী ।
প্যাভিলিয়ন -১৫ ।

রিমি মুৎসুদ্দি'র গল্পের বই
দময়ন্তীর জার্ণাল
প্রকাশক : সৃষ্টিসুখ, কোলকাতা।
তরুণ গল্পকারদের মধ্যে পরিচিত নাম রিমি। ইতিমধ্যে একাধিক পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখালিখির সঙ্গে পাঠক পরিচিত।
এই সংকলনে গল্পের অন্তরালে রিমি বাজিয়ে নিয়েছেন তাঁর বেঁচে থাকার সময়কে। একদিকে এক সাংবাদিকের চোখ দিয়ে দেখা পৃথিবী, সে পৃথিবীর জোচ্চুরি-নিষ্ঠুরতা-অমানবিকতা যেমন আমাদের সামনে উঠে আসছে, তেমনই এও তো সত্যি, এতদসত্ত্বেও মানুষের জীবন ক্রমাগত ঘুরে চলেছে মহাকালের ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায়। সেখানে থেমে থাকা বলে কিছু নেই। ফলে এই বিরাট পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া কত অহরহ ঘটনা আমাদের আবিষ্ট করে, চমকিত করে,আমাদের বিস্ময় জাগায়। তার কিছু বা লৌকিক, কিছু মনে হয় অলৌকিক। অথবা এই যে এত অমানবিকতা নিয়েও মানবিকতার ফুলের সন্ধানে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা, তাও যেন আখেরে এক জাদু বাস্তবতা। সব মিলিয়ে, জীবন এমনই। তা একরৈখিক, একমাত্রিক কখনোই নয়। বহুবর্ণ জীবনই তো কিসসার জন্ম দেয়। গল্পকার তা ধারণ করেন, তাঁর সংবেদন-পর্যবেক্ষণে। আর আয়না করে পাঠিয়ে দেন বাকি পৃথিবীর উদ্দেশে। সেখানে সময়ের ছায়া পড়ে, মানুষের মুখের। আবার হয়তো বা লাশেরও। ফলত এ এক অনিবার্য আবিষ্কারের নেশা। এ এক অ্যাডভেঞ্চার।
রিমি মুৎসুদ্দির গল্প সংকলন 'দময়ন্তীর জার্নাল' সেই অ্যাডভেঞ্চারের নেশাটি যে ধরাতে পারবে, এ সাক্ষ্য শুরুর ক-টি লাইনই বহন করছে। বাস্তবতার চোখে চোখ রেখে বাকিটা চিনে নিতে আশা করি পাঠক পিছপা হবেন না।
প্রি-অর্ডার এখানে
প্রচ্ছদ - রোহণ কুদ্দুস

রুমা মোদকের ৩য় গল্পগ্রন্থ 'গোল' ২০১৮ এর শেষদিনে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি মেলায় এনেছে জেব্রাক্রসিং প্রকাশন। সেই অর্থে বইটি এবছরের জন্য নতুনই বটে।১৫ টি ছোটগল্পের সংকলন গোল।গল্পগুলি হলো,ভালো থেকো ফুল,গোল,দুঃখভুক মৃত্যুময় দিন,দুঃখভুক স্বপ্নময় দিন,১৯৭৫,একটি সন্ধ্যা যেভাবে রাত হয়,এইসব প্রেম মোহ,মামা ফকিরের কেরামতি,সে,সাত বোন চম্পা,ধুতরার বিষ,হরিপদ কেরানির মেটামরফোসিস, বৈধতা অবৈধতার চোরাবালি এবং প্যাণ্ডোরার বাক্স।
১৫ টি গল্প বিষয় এবং চরিত্র নির্বাচনে ভিন্ন। গল্পগুলোতে আমরা সমাজের বহুমাত্রিক শ্রেণি পেশা ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যময় মানুষ ও তাদের বিপন্ন জীবনের সন্ধান পাই। সন্ধান পাই তাদের অবিরাম লড়াই আর অস্থির সময় ও বিক্ষুব্ধ সমকালের উত্তাপে ঝলসে যাওয়া, ক্ষয়ে যাওয়া আবার ঘুরে দাঁড়ানো জীবনের সন্ধান।
গল্পগুলি এই দেশ-মাটি-শেকড়ের অতলে ডুব দিয়ে তুলে আনা সেইসব মানুষের গল্প, যারা প্রতিদিন আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায়।সমকালীন সমাজ ও বাস্তবতা গল্পগুলির আবশ্যিক অনুষঙ্গ। গল্পগুলির বীজ পুঁতে রাখা এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মাটিতেই।
বাংলা একাডেমি একুশে বইমেলায় গল্পগ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে জেব্রাক্রসিং প্রকাশনার ৩৩২ নং স্টলে। প্রচ্ছদ করেছেন কাব্য করিম। মূল্য ২৫০ টাকা।পশ্চিমবঙ্গে বইটির প্রকাশক ধ্যানবিন্দু প্রকাশন।

শিমুল মাহমুদের নতুন উপন্যাস
সুইসাইড নোট
বর্তমান রচনার উদ্দেশ্য, রেবেকা সুলতানার উপলব্ধিগত অভিজ্ঞতার সাথে অর্থাৎ দলিতরেখায় অবস্থানরত রমণীজীবনের সংকট, প্রতিবাদ ও দীর্ঘশ্বাসের সাথে পুরুষ-নিয়ন্ত্রিত সমাজ-কাঠামোর অনুভবগত (চেতনাগত?) যোগাযোগরেখা অনুসন্ধান।
নারীজীবনের দৈনন্দিন লড়াই যা আমাদের চোখের সামনে বিবিধ সংবেদনশীল অনুষঙ্গে সংগঠিত হয়; নারীজীবনের এহেন সংকটলব্ধ প্রাত্যহিক লড়াইজাত অনুভবের সাথে চিন্তক-জনের মানস-যোগাযোগ তৈরির লক্ষ্যে আমি ভদ্রমহিলার ডায়রি উপস্থাপন করার যৌক্তিকতা নিয়ে ভেবেছি এবং সঙ্গত কারণেই ভদ্রমহিলার পরিচয় গোপন রেখে সমন্বয়কর্মী হিসাবে এখানে এক টুকরো খণ্ডিত অনুভবচিত্র বিনির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সুইসাইড নোট
শিমুল মাহমুদ
উপন্যাস
প্রচ্ছদ : আল নোমান
প্রকাশক : নাগরী, সিলেট
প্রকাশকাল : ফেব্রয়ারি ২০১৯
পৃষ্ঠা : ১২০
মূল্য : ২৬০ টাকা / ২৬০ রুপি / ১০ ডলার

সাঈদ আজাদের উপন্যাস :
অগ্নিপ্রভাত
মূল্য : ২৬০ টাকা / ২৬০ রুপি / ১০ ডলার

সাঈদ আজাদের উপন্যাস :
অগ্নিপ্রভাত
মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মূলত গ্রামের সাধারণ মানুষ। ত্যাগ স্বীকার করেছেন বাংলার বিত্তহীন, বিদ্যাহীন, অন্নহীন, জৌলুশহীন মানুষেরা। যাদেরকে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি। ভুলে গেছি তাদের যথার্থ এবং প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতেও। রক্তাক্ত সে সময়টাতে কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, ছাত্র, মাঝি- সকলে মিলে তাদের বুকের রক্ত ঢেলে তৈরি করেছিলো পতাকার লাল রং। অগ্নিপ্রভাত মূলত সেসব সাধারণ মানুষেরই আখ্যান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত সেসব নারীরা আজও তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পাননি। বেশিরভাগ নারীই পরিবার, সমাজ, গ্রামের মানুষের কাছে গলগ্রহ হয়ে বেঁচে আছেন। সমাজের ভয়ে নিজের পরিচয় লুকিয়ে নতুন পরিচয়ে কোন রকমে টিকে আছেন। হয়তো তাদের মধ্যে ভাগ্যবতী অল্প কজন নারী পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবন পেয়েছেন। স্বামী, সন্তান নিয়ে স্বাভাবিক সংসার করছেন। কিন্তু অধিকাংশের কপালেই জুটেছে লাঞ্ছনা, নিন্দা, অপমান। এমনকি বেশ্যা অপবাদ!
অগ্নিপ্রভাতে সেসব নারীদের কথা বলতে চেয়েছি আমি।
প্রকাশক
অন্যপ্রকাশ
ঢাকা।
বাংলা একাডেমির বইমেলার ২০ নং প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে।

অগ্নিপ্রভাতে সেসব নারীদের কথা বলতে চেয়েছি আমি।
প্রকাশক
অন্যপ্রকাশ
ঢাকা।
বাংলা একাডেমির বইমেলার ২০ নং প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে।


প্যান্ডোরার বাক্স
প্রকাশক : ক্যাফে টেবিল, কোলকাতা।
.......................................................................
অন্ধকার,ফ্যান্টাসি,আর আছে বাস্তবের মাটিকে ভয় ,চমক, নির্মমতায় মুড়ে দিতে হরেক মালের দোকান...! সামান্য জমে থাকা জল কতটা ভয় দেখাতে পারে !! ধরুন দশটি মার্বেলগুলি ? বা মিসেস কণা দত্ত ? ব্যাগ হাতে সেই মহিলাটি ? বা...বা...ভয় পাবেন না।!! বইএর পাতা উলটে যাচ্ছে...খুলে যাচ্ছে প্যান্ডোরার বাক্স...আর ঠিক আপনার বুকের ভেতর থেকে কেউ ফিসফিস করে উঠেছে- ইতনা সান্নাটা কিঁউ ভাই...!!!

সাগুফতা শারমীন তানিয়া'র বই
পাখিসব
‘পাখিসব’ পরবাসী মানুষকে নিয়ে লেখা, পরিযায়ী পাখিদের গল্পমালা। তিনটি নভেলা এসেছে এক মলাটে, একটিমাত্র গ্রন্থিযোগ হতে পারে প্রবাসজীবন, কিন্তু সেটি মূলসুর নয়। উপবেশনার্থে পাখিরা ফিরে এসেছে, তারপরে আবার দিয়েছে উড়াল, যার যার সময়ে, নিজ নিজ আকাশে। সোমার ঘুমের আড়ালে সুনেহ্রার জাগৃতি, প্রতুলের হাঁয়ের ভেতর বিশ্বরূপদর্শন, ওস্তাদ জমীরুদ্দিন খাঁ সাহেবের খুঁজে ফেরা যৌবনের হঠাৎ পাওয়া সন্ধিপ্রকাশ রাগ, রীনার ফাটা প্লাস্টিকের বাসনকোসন হয়ে থাকা সংসার, আশ্রয় খুঁজে ফেরা জ্যোতিষ্ক কিংবা পট্টশিষ্য, এইসব কিছুই বিসর্পিল গতি নিয়েছে এই নভেলাত্রয়ে। জলবিষুবে যেমন শাদা দিন আর কালো রাত দৈর্ঘ্যে সমান, উপন্যাসিকাগুলিতে তেমন সমান হয়ে এসেছে শঠতা আর সরলতার মাত্রা, প্রেমের সাথে মিশেছে নিরতিশয় বিতৃষ্ণা, ত্যাজ্য আবার হয়ে উঠেছে বরেণ্য- প্রার্থনীয়। গোপনীয়তার মালিকানা বদল হয়েছে, গুলিয়ে গেছে সীমানা, বারবার। মানবচরিত একরেখ নয়, তার বর্ণবিচিত্রাকে লেখক তুলে আনতে গিয়ে নিজেই তাঁর চরিত্র বনে যান, নিজের গভীর বিস্ময়ের দৃষ্টিটুকু চশমার পরকলার মতো পরিয়ে দেন পাঠকের চোখে, পাঠক পরিণত হন সমবেত দর্শকে। কাদের যেন গবাদিপশুর মতো সরল মন চাই, স্মৃতির তিক্ত শাকে মুখ দিলে অসুখ করবে, তবুও পাচনকাঠির ঘায়েও ফেরানো যায় না তাদের উন্মুখ হৃদয়। কারা যেন ঘুমের ভেতর পুরাতন নামে সাড়া দিয়ে ফ্যালে, নিদ্রায় সে ফিরে যায় আপন পরিচয়ে। কারা যেন প্রতিপাদস্থানের মতো দূরত্বে খুঁজে পায় মিতা, অথচ মিতালির বাকল ঝরিয়ে উঠে আসে হঠকারিতার দানো। সেই পাখিসব করে রব।
পাখিসব
সাগুফতা শারমীন তানিয়া
প্রকাশক: বাতিঘর
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন, ১৭ ময়মনসিংহ রোড, বাংলা মোটর, ঢাকা
প্রচ্ছদ: সব্যসাচী হাজরা।

সাদিয়া সুলতানার গল্পের বই
ঘুমঘরের সুখ-অসুখ

সাদিক হোসেনের নভেলা
মোন্দেলা
প্রকাশক : অভিযান, কলকাতা।


ঘুমঘরের সুখ-অসুখ
প্রকাশক : চৈতন্য, বাংলাদেশ।
পৃথিবী এক আশ্চর্য ঘুমঘর। এই ঘুমঘরের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙাতে মহাপুরুষের প্রয়োজন হয়, আবার তাদের ঘুম ভেঙে গেলে চাপাতি ঝকমকায়। যাবতীয় পাপ আর ঘৃণার বিস্তারেও এখানে মানুষ কিংবা অমানুষ জেগে জেগে ঘুমায়। আবার কেউ হয়তো অনন্ত ঘুমকালের ঘেরাটোপে ঘুমিয়েই মরে। জাগরণের ঘুম ভীষণ দামী। যে ঘুমে মানুষ ক্রমাগত নির্বিষ থাকার মন্ত্রপাঠ করে, জগতের তাবৎ সাহসী যোদ্ধারা হাতের অস্ত্র নামিয়ে রাখে। ঘোরগ্রস্ত পোষাপাখি পথ খুঁজে না পেয়ে পুরনো খাঁচায় ফিরে আসে। আর চোখে ঠুলি পরে যে যার মতো ভ্রম-বিভ্রমের গোলকে পাক খায়। বাকি যারা মৃতবৎ ঘুমায়, তাদের চোখের তারায় ফোটা অজস্র আশাফুল ভোরের আলো দেখার আগেই শুকিয়ে যায়। সেই শুকনো ফুলের মর্মরে সুখ-অসুখের গল্পগুলো এক ও অভিন্ন।
অমর একুশে বইমেলা ২০১৯ এ প্রকাশিতব্য সাদিয়া সুলতানা'র গল্পগ্রন্থ 'ঘুমঘরের সুখ-অসুখ' বইটিতে থাকছে সেই সুখ-অসুখের গল্পগুলো।
‘ঘুমঘরের সুখ-অসুখ’ গল্পগ্রন্থে তিরু তোর জন্য, ভদ্রলোক, সমুদ্রডাকিনী, মৃত্তিকা মানুষ, মেহেরুন ও অনন্ত ঘুমকাল, শব্দবাজি, আগন্তুক, মিতালি, হারিয়ে যাওয়ার আগে, আশার মতো মিথ্যে নেই, জল কিংবা পানি শিরোনামে মোট ১১ টি গল্প সংকলিত হয়েছে। প্রকাশনী: চৈতন্য প্রকাশনী প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান।
প্রাপ্তিস্থান: বইটি ফেব্রুয়ারিতে বইমেলার প্রথমদিন থেকেই চৈতন্য প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে।
প্রকাশকের ই-মেইল অ্যাড্রেস rajibchowdhury92@gmail.com, ফোন নং 017 1828 4859, অনলাইন পরিবেশক rokomari.com, বইয়ে মুদ্রিত মূল্য ২৫০ টাকা (বইমেলায় ২৫% কমিশনে পাওয়া যাবে)।

সেলিম জাহানের আত্মজৈবনিক বই
স্বল্প কথার গল্প
জীবনে চলার পথে দেখা হয়ে যায় কত মানুষের, যাওয়া হয় কত জায়গায়, ঘটে যায় কত ঘটনা। সে সব থেকেই গড়ে ওঠে টুকরো টুকরো স্মৃতিকণা - সুখস্মৃতির ও বেদনার স্মৃতির। সেই সঙ্গে আশেপাশের ঘটনাকে নিয়ে গড় ওঠে বৈচিত্র্যময় চিন্তা-চেতনা। সব সময়ে সে সব স্মৃতিকণা আর চিন্তা-চেতনা দৃশ্যমান হয় না, তারা লুকিয়ে থাকে আমাদের পরানের গহিনে। তাদের তুলে আনতে হয় সেই অতল গহীন থেকে।
তেমনটাই করেছেন ড: সেলিম জাহান তার নবতম গ্রন্হ ‘পরানের অতল গহিনে’। আন্তর্জাতিক বলয়ে কাজ করার সুবাদে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশে-বিদেশে। দেখেছেন নানান মানুষ, গিয়েছেন নতুন জায়গায়, দেখেছেন নানান ঘটনা। সে সব স্মৃতি আর চেতনা তিনি বিধৃত করেছেন বইয়ে এক স্বাদু ও আকর্ষনীয় ভাষা ও ভঙ্গিতে।সে সঙ্গে উঠে এসেছে বহু খ্যাতনামা প্রয়াত ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা-তর্পণ। কিছু অনু-লেখায় এক চৌম্বকীয় বাঁধুনিতে তিনি তুলে ধরেছেন ছোট ছোট বিষয়।
গতবছরের বইমেলায় বেরিয়েছিল ড: সেলিম জাহানের পাঠক-নন্দিত বই ‘বেলা-অবেলার কথা’। বহু সুধীজন বইটি নিয়ে আলাচনা করেছেন। তার থেকে বাছাই করা কিছু লেখা সংযোজিত হয়েছে গ্রন্হের ‘পরিশিষ্ট’ অংশে।
বিষয়বস্তু, ভঙ্গি আর ভাষার কারনে এ গ্রন্হ দাবী করে সুগভীর অভিনিবেশ এবং সেটা প্রদত্ত হলেই এক হৃদয় ছোঁয়ালআলোড়নের সৃষ্টি হয়। এ গ্রন্হকৃত প্রতিটি রচনা সেই আলোড়নেরই দ্যোতক।
প্রকাশক : প্রথমা, ঢাকা।

সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বইপত্র
হাম্বা
আমরা পন্ডিতদের সম্মান করি, আঁতেলদের ভয় পাই, পুলিশকে স্যার বলি, ঝাঁকড়াচুলো ব্যান্ডবাদক আর ক্যাটখুকিদের ফাটবাজি দেখে কুঁকড়ে যাই। আমরা লেখালিখি বলতে মাস্টারের নোটবই বুঝি, আইন বলতে পুলিশের ধাতানি। আমরা উড়ালপুলকে উন্নয়ন বলি, মার্কসবাদকে প্রগতি। আঁতলামি বলতে গোদার বুঝি আর (সুইট ইংলিশে) হাউ-আর-ইউ-ডুয়িং বলাকে স্মার্টনেস। আমাদের যাপন মানে চর্বিত চর্বণ। জীবন মানে মেগা-সিরিয়াল। পরিশীলন মানে গরু রচনা।
এই পরিশীলন নামক গরু রচনার বিরুদ্ধে গরুদের এক নিজস্ব বিদ্রোহের বুলি হল হাম্বা। হাম্বা একই সঙ্গে নিপীড়িতজনের দীর্ঘশ্বাস এবং হৃদয়হীন জগতের হৃদয়। একই সঙ্গে অভব্যতা ও আকাটপনা। হাম্বা বিদ্রোহের এক গোপন কোড। আত্মাহীন অবস্থার আত্মা, জনতার আফিম। গরু রচনা আমাদের ভবিতব্য হলেও হাম্বাই আমাদের ভিত্তি। হাম্বা সর্বশক্তিমান, কারণ ইহা হাম্বা।
..............................................................................................................................................
..............................................................................................................................................
মহেঞ্জোদারো
"সময়টাই ভুলভাল। স্বাধীনতা সংগ্রাম, হাংরি, ভিয়েতনাম, নকশালবাড়ি, পথের পাঁচালি, বার্লিন ওয়াল, তিয়েন-আন-মেন স্কোয়্যার, এমনকি ইন্টারনেট অব্দি সব শেষ। এখন শুধু খুঁটে খাওয়া। পেডিগ্রি ছাড়া আর কিছু হবার নেই। আমি সেখানেও গোল্লা। থাকি কেষ্টপুরে। ফিল্ম ইনস্টিউটের গণ্ডি মাড়াইনি, জেএনইউ চোখে দেখিনি, ইপিডাব্লু আমার কোনো প্রবন্ধ ছাপেনি। বন্ধুবান্ধবরাই পাত্তা দেয়না তো বাইরের লোক। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একবার এক ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম। আর পাঁচ বছর বয়সে একবার জ্যোতি বসুর কোলে বসে ছবি তুলেছিলাম। ব্যস। পেডিগ্রি বলতে এই। কিন্তু সে ছবির নিচেও লিখে না দিলে আমাকে আমি বলে চেনা যাবে না।"
..............................................................................................................................................
বন্দরের সান্ধ্যভাষা
ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের থাবার বাইরে, পশ্চিমের সর্বব্যাপী মসৃণ ক্ষমতার ডিসকোর্সের বাইরে, কিছু খুঁত থেকেই যায়। পশ্চিম থেকে পুবে, বন্দর থেকে বন্দরে, মসৃণ চলাচলের মধ্যে থেকে যায় এক ধূসর ও বিস্তীর্ণ জলরাশি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বন্দর-শহর জুড়ে শোনা যায় পাখিদের আর্তনাদ। এই সেই সান্ধ্যভাষা, যার প্রত্নতাত্বিক খননে পাওয়া যেতে পারে চিকচিকে অভ্র ও মেটেরঙ তামা, দ্বীপান্তরের বেদনা, শিল্পবিপ্লবের রহস্য। এই বইটি সেই সম্ভাব্য খননেরই উপক্রমণিকা।
সৈকত ভাল লেখেন, কী খারাপ লেখেন, তা আমার ভাবার এক্তিয়ারে পড়েনা। এ তো আর 'চুপ, আদালত জারি আছে'র মতো ব্যাপার নয়। এখানে গণেশ পাইনের 'আততায়ী'র মুখ আলো-অন্ধকার ফাঁসিয়ে মাঝে মাঝে জেগে ওঠে। পিটার স্যাফারের নাটকে সতেরো বছরের অ্যালান কেন পাঁচটি ঘোড়াকে অন্ধ করে দিয়েছিল? ড. ডিমার্ট কোনোদিন কি তা জানতে পারবে? আমরা জানতে পারব?
'দিনগুলি রাতগুলি' চোরাস্রোতে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কোথায়? সেই হদিশ জানা থাকলে এ লেখা তো আর উপন্যাস হতনা। মিথ্যার চেয়েও সত্যের বড় বিপজ্জনক শত্রু আত্মবিশ্বাস। সৈকতের উপন্যাস এই আত্মবিশ্বাসের প্রতিস্পর্ধী সত্যের হিরণ্ময় মুখ।"
-- এই বইয়ের ভূমিকায় লিখেছিলেন, রবিশঙ্কর বল

স্বকৃত নোমানের উপন্যাস --
মায়ামুকুট’

সাংবাদিকের অনুসন্ধানে একদিন বেরিয়ে আসে মুলুকের জীবিত থাকার প্রমাণ। অবশেষে সে গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে মুলুক আবার পালিয়ে যায় আদালত চত্বর থেকে। আশ্রয় নেয় উদারপন্থী প্রয়াত এক বাউলের মাজারে। উদার, বহুত্ববাদী ও সংগীতসাধক বাউল আর সাধু-সন্ন্যাসীদের সংস্পর্শে থেকে বদলে যায় মুলুক। দীক্ষা নেয় মরমীবাদের। যাকে গ্রেপ্তার করাটা গোটা পুলিশ বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, একদিন সেই মুলুক আত্মসমর্পণ করে থানায়। কিন্তু সে আদৌ মুলুক কি না নিশ্চিত হতে পারে না পুলিশ। তৈরি হয় নতুন জটিলতা। পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আটষট্টিটি মামলায় এক শ তেতাল্লিশ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। পৃথিবীর সর্বোচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুলুক হয়ে ওঠে কারাগারের প্রধান জল্লাদ। একাত্তরের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের খুনি এবং জঙ্গিসহ কার্যকর করে তেত্রিশজন কুখ্যাত গণশত্রুর ফাঁসি। মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। তাকে ঘিরে তৈরি হয় নানা মিথ। তার জীবনকথা নিয়ে গাথা রচনা করেন সংগীতসাধক ভুবন সাধু। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ, শাপলায় হেফাজতের উত্থান, ২০১৩ পরবর্তী জঙ্গিদের ভয়াবহ সব হামলাসহ বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক ঘটনাকে ধারণকারী প্রায় তিন শ পৃষ্ঠার উপন্যাস ‘মায়ামুকুট’। উপন্যাসের চরিত্র হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চ সংশ্লিষ্ট অনেকে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মুলুক আর কেউ নয়, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহজাহান, যিনি জল্লাদ শাহজাহান নামে পরিচিত। তিনি দেশের প্রধান জল্লাদ। বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। ২০১৩ সালের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে জল্লাদ শাহজাহানকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনটি পড়ে ‘মায়ামুকুট’ উপন্যাসটির আইডিয়া পান স্বকৃত নোমান। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশর্ট ই-মেইলের ড্রাফটবক্সে রেখে দিয়েছিলেন এমন ভাবনা থেকে যে, কোনোদিন হয়ত কাজে লাগবে, কোনোদিন হয়ত শাহজাহানকে নিয়ে একটা উপন্যাস লিখতে পারবেন।
জল্লাদ শাহজাহানের বৈচিত্র্যময় জীবন উপন্যাসটির কাহিনিসূত্র মাত্র। শেষ পর্যন্ত উপন্যাসের কাহিনি সর্বাংশে শাহজাহানের বাস্তব জীবন সম্ভূত থাকেনি। শাহজাহান হয়ে উঠেছে লেখকের একটি কল্পিত চরিত্র। সেই চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের শাহজাহান জল্লাদের জীবনের মিল খোঁজার কোনো অবকাশ নেই।
উপন্যাসটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোমিন উদ্দীন খালেদ। দাম রাখা হয়েছে ৪ শ টাকা। বইমেলার শুরু থেকেই অন্যপ্রকাশের স্টলে উপন্যাসটি পাওয়া যাবে।
‘মায়ামুকুট’
স্বকৃত নোমান
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ


স্বপ্না মিত্র'র গল্পের বই :
এমন যদি সত্যি হত
পাশের বাড়ি, দূরের শহর, জীবনের অভিজ্ঞতা, স্মৃতির মণিকোঠা থেকে অনেক গল্প লিখেছি। সেই সব পরিচিত ছক থেকে বেরিয়ে একটা উপন্যাস লেখার দুঃসাহস করে ফেললাম। আমার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘এমন যদি সত্যি হত’ 2019-এর বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, বইটি কী বিষয়ে? সেই প্রশ্নের উত্তরে বইটির ব্লার্ব তুলে দিলাম এখানে--
“ব্যস্ত শহর থেকে অনেক দূরে, এক ছোট্ট জনপদের কাহিনী ‘এমন যদি সত্যি হত’।
এই কাহিনীর প্রেক্ষাপট অ্যামেরিকা হয়েও ঠিক অ্যামেরিকা নয়, এ হল হ্যাভস এন্ড হ্যাভনটস-দের গল্প, যা বিশ্বব্যাপী বর্তমান... “
“ যেদিকে চোখ যায় শুধু ধুধু মাঠ, এবড়ো খেবড়ো জমি, ছড়ানো ছেটানো ঝোপঝাড়, নিঃসঙ্গ গাছের সারি। দূর দিয়ে চলে গেছে বড় বড় টিলার মত একাধিক পাহাড়িয়া। পাহাড়িয়ার বুক চিরে নেমে এসেছে সরু সরু অজস্র ঝরনা...
এই নিরালা প্রান্তরে সাদা এবং কালো মানুষদের জন্য প্রকৃতি সমানভাবে আলো বাতাস জল দিলেও, প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিনের জীবনে তারা পৃথক হয়ে বেঁচে থাকে।...
এই পৃথকীকরণ অতিক্রম করে তাদের এক হয়ে যাওয়ার বিচিত্র কাহিনী ‘এমন যদি সত্যি হত’ “
বইটির প্রকাশক ও প্রচ্ছদ দে’জ পাবলিশিং।

স্মৃতি ভদ্রের নতুন বই
অলোকপুরীর ডাক

'জল জ্যোৎস্না' গল্পটির ভাষায় আছে মাটিমাখা গন্ধ। ডিঙ্গিনৌকা বেয়ে বিলের পানি কেটে এগোনো গল্পটির বুকের ভিতর রয়েছে বৃষ্টিভভেজা গন্ধের আকুলতা।'মাটির মায়া' গল্পটি বীরাঙ্গনা হাস্নাবানুর লাল-সবুজ পতাকা জয়ের গল্প। 'জলরং ছবি' গল্পটি একটি অটিস্টিক শিশু আর তার মায়ের যুদ্ধ নিয়ে রচিত। এভাবেই গল্পকার স্মৃতি ভদ্রে'র ' অলোকপুরীর ডাক' বইটি হয়ে ওঠে দেশ, সমাজ বা সময়ের একটি বাঙময় পটচিত্র।
জীবনের নকশীকাঁথায় থাকে হরেক রকম গল্প, হরেক রঙের বুনন। সেই হরেক রঙকে নিজের লেখায় বর্ণে বর্ণে ধারণ করতে লেখকের প্রচেষ্টা ছিল অবিরত। মানব সম্পর্কের নিঁখুত আঁকিয়ে হতে লেখকের চেষ্টা ছিল প্রাণান্তকর। আর এরসাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের আভা ঠিকঠাক অক্ষরে আনতে বদ্ধপরিকর। তাই এই বইয়ের গল্পগুলির অক্ষরে অক্ষরে লেখকের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, চিরায়ত মানব সম্পর্কের রূপের সাথে প্রকৃতির রূপের বিভিন্নতা এসেছে একসাথে। গল্পগুচ্ছের কোনো গল্পের বিষয় হয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধ আবার কখনো একাকী বীরাঙ্গনার জীবন। কোনো গল্পে জীবন একান্ত নিজের চাওয়ার প্রাধান্যে ধূসর রঙের ছলছাপ আবার কোনো গল্প অটিজমকে জয় করতে চাওয়া এক যোদ্ধা মায়ের গল্প। কোনোটা নিমফুলের শুভ্রতা আর শুভ্রাংশুর রূপালী মায়া জীবনে জড়াতে আকুল এক মেয়ের গল্প। প্রতিটা গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে আছে আটপৌরে জীবন ছাপিয়ে অন্য এক আলোকিত ভুবনের প্রতি এগিয়ে যাবার অনড় সংকল্প। সেই অলোকপুরীর ডাক, যা চরিত্রগুলোকে যুগিয়ে গেছে জীবন জয়ের মন্ত্র, শিখিয়ে গেছে মুহূর্তই জীবন আর জীবন মুহূর্তের এক অসম্পাদিত রূপ।
অলোকপুরীর ডাক
স্মৃতি ভদ্র
প্রকাশনী : জাগৃতি প্রকাশনী
মূল্য: ২০০ টাকা
প্রকাশকাল: ২০১৮ বইমেলা
প্রাপ্তিস্থান: দীপনপুর
অনলাইন পরিবেশক: রকমারি.কম
..............................................................................................................................................
..............................................................................................................................................
স্মৃতি ভদ্রের দ্বিতীয় বই
অন্তর্গত নিষাদ ও পায়রা রঙের মেঘ

জীবন কিছুটা মুক্তগদ্যের মতো-সুরময় শব্দের গাঁথুনীতে এক তন্ময় যাত্রা। পথে কখনো বুনো মর্নিংগ্লোরি আবার কখনো হলুদ ভৃঙ্গরাজ। কখনো অনতিশরতের উজ্জল কমলা রঙের বিকেল,আবার কখনো হেঁয়ালী ধুসরের বাড়ন্ত সকাল। জীবনের এই আনন্দযজ্ঞেও খুব নিভৃতে বেজে চলে বেহাগের সুর। নৈ:শব্দ্যের নিনাদ। সুষমামন্ডিত সেই নৈ:শব্দ্য সবসময় প্রতিধ্বনিময়, অনুভবে গতিময়, শাব্দিক আলোড়নে আন্দোলিতময়। সেই প্রতিধ্বনিত শব্দগুলো ইঙ্গিতে ইশারায় গল্প বলে যায়-অন্তঃপুরের গল্প, ত্রিমাত্রিক জগতের গল্প। নির্জন দুপুর বা প্রায়ান্ধকার সন্ধ্যায় সে সব গল্প আয়েশি আসর জমায়। শোনায় মানবজীবনের অস্তিত্ব, জানায় মানব-অস্তিত্বের সৌন্দর্য। এর সঙ্গে সঙ্গে মানব-অস্তিত্বের অন্ধকারময়তার সাথেও পরিচয় করিয়ে দেয় সযতনে। সেই অন্ধকারের সঙ্গে যুঝেই প্রতিটি মানব জনম সন্ধান পায় এক আলোকিত আকাশের। মানবজীবনের সেই অন্ধকারময়তা অন্তর্নিহিত নিষাদ, অন্তর্গত নিষাদ আলোয় পরিশুদ্ধ হয়। পায়রা রঙের মেঘ হয়ে ডানা মেলে আকাশে।
সাড়ে ছয় ফর্মার বইটি মেলায় পাওয়া যাবে পেন্সিল পাবলিকেশনস-এর স্টলে।
অন্তর্গত নিষাদ ও পায়রা রঙের মেঘ
স্মৃতি ভদ্র
স্মৃতি ভদ্র
প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ
প্রকাশনী : পেন্সিল পাবলিকেশনস
মূল্য: ২৪০ টাকা

হামিরউদ্দিন মিদ্যার গল্পের বই
আজরাইলের ডাক
প্রকাশক : সৃষ্টিসুখ, কোলকাতা।

নাগরিকতার শর্তগুলো তিনি খুব আলগোছে ভেঙে ভেঙে দিয়ে এগোতে থাকেন। শুধু ধুলোকাদার গন্ধ বা ভাষাতেই নয়, তাঁর গল্প তাই সঠিক অর্থেই নিরাবরণ জীবনকে জড়িয়ে ধরতে চায়, চায় নিরলংকার, পালিশহীন, নগ্ন জীবন আর তার সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে। এই আশ্লেষ পাঠককে ভাবায়, অস্থির করে। সেটাই হামিরউদ্দিনের বৈশিষ্ট্য, সিগনেচার। তরুণ বয়সেই তিনি তাঁর সাহিত্যচর্চার অভিমুখটি চিহ্নিত করতে পেরেছেন বা বেছে নিয়েছেন সচেতনতাতেই। তাঁর মতো প্রতিশ্রুতিমান তরুণ লেখকের প্রথম গল্প বই প্রকাশ করতে পেরে সৃষ্টিসুখ আনন্দিত। আসছে হামিরউদ্দিন মিদ্যার ‘আজরাইলের ডাক’। প্রিয় পাঠক, এ ডাক হামিরউদ্দিনের গল্পের হাতছানির মতোই এড়ানো যায় না।
সকলেই ভালো লেখেক
উত্তরমুছুন