নাহার মনিকার গল্প : বাক্স





মনে মনে একটা বাক্স সঙ্গে নিয়ে ঘোরে সামিউল।

শুরুতে বাক্সটা অত ঘন ঘন দরকার হতো না। প্রথম যেদিন দরকার হলো সে তখন ক্লাস এইটে পড়ে। ঝুম বৃষ্টির দিন। স্কুলে আসার ইচ্ছা ছিল না। বড় ভাই হাতে ছাতা ধরিয়ে পাঠিয়েছে। ক্লাসের পড়া করা হয়নি, স্যার পানিপথের যুদ্ধের সাল জানতে চাইলে সামিউল বলে ফেলেছে – উনিশ শ’ বায়ান্ন। ইতিহাস স্যার পড়া না পারলে ক্লাসের বারান্দায় নীলডাউন করিয়ে রাখতো। ক্লাসের দু’একজন ভালো ছাত্র তার উত্তর শুনে হেসেছে, আর ইতিহাস স্যার বেত উঁচিয়ে তাকে বারান্দায় পাঠিয়েছে। স্কুলের মাঠ ভাসিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, বেজার মুখে বারান্দায় গিয়ে হাঁটু ভাঁজ করে বসে বৃষ্টির ছাটের মতই সামিউলের কান্না পাচ্ছিল। হঠাৎ চিকন রূপালী তারের মত বিদ্যুৎ চমকালে ঐ রকম চমকের মতই বাক্সটা তার ভেতর থেকে বেরিয়ে পাশে এসে শান্ত হয়ে বসেছিলো। একটুকরো রংধনুর মত হাসি গজিয়েছিল সামিউলের, মনে আছে। সেই থেকে শুরু। কোথাও কোন বেকায়দায় পড়লে সে তার বাক্সের ডালা খুলে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়ে।ঐ বাক্সে কত কী যে আঁটে, আর কত কী ই যে ঘটে যায়! এক সামিউল বেঞ্চির ওপর দাঁড়িয়ে হাত পেতে কঞ্চির বাড়ি খাচ্ছে, আর অন্য সামিউল বাক্সের ভেতর গুটিশুটি মেরে বসে বইয়ের মলাটে আঁকা কলাবেনী করা মেয়েটার দিকে ভেংচি দিচ্ছে।

তারপর পাড়ার রাস্তায় কত রকম মেরামতি যে হলো এত বছরে! সেসব কিছুর সাক্ষী সামিউল ছিল না। অনেকদিন সে রাস্তার খোয়া ওঠা ইট ধরে একমনে হাঁটেনি। দীর্ঘ বছর হলো সে তার মফস্বল শহর ছেড়ে এসেছে, কিন্তু বাক্সের ভেতর ঢুকলে পরিস্কার দেখতে পায় সে। তবে বাক্সের ভেতরের শহর ঠিক বশ মেনে থাকতে চায় না, মানে যেমনটা সামিউল চায় আর কি। খাল বাকলা ওঠা রাস্তার নিজের বেড়ে ওঠা শহর না, আবার পশ্চিমের দেশ ক্যানাডার খুঁতবিহীন ঝলমলে শহরও না। এই দুইয়ের মাঝামাঝি একটা কিছু। কিন্তু শহরটা কেবল বেড়ে যায়। সীমানায়, মানুষে। থেকে থেকে অচেনা মানুষের দেখা পায় সামিউল, অচেনা শব্দ শুনতে পায়।

এক ছুটির দিনের অলস দুপুরে, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে যখন সাদা বরফের স্তুপকে প্রকৃতির প্রহরী আর নিজেকে গৃহবন্দী মনে হয়, তখন তার বৌ’কে বিষয়টা বলতে নিয়েছিল। বীথি তখন ঘরের মেঝেতে তার কানের দুল বানানোর সরঞ্জাম নিয়ে বসা। সামিউল সোফায়। সে তার কথা আধা মনোযোগ দিয়ে শুনে ঠোঁট ব্যাঁকা করে হেসেছিল। কোনও কৌতুহল দেখায়নি।

তারপর থেকে সে বীথির সামনে বাক্সটার প্রসঙ্গ আনে না। শহরের কথা বলার তো প্রশ্নই আসে না।

এমন না যে ভালো করে বিস্তারিত বললে বীথি শুনতো বা বুঝতো না। কিন্তু সামিউল এমনই। আর বলবে না, বরং সে বাসা খালি হওয়ার অপেক্ষা করে।

সকালবেলায় পুরো বাসাটা সামিউলের একার।

দেরী করে ঘুম থেকে উঠলেও হয়, কিন্তু বীথির ফোনে এলার্ম বাজার আগেই তার চোখের পাতা নড়া শুরু করে। জানালার সরু ফাঁক দিয়ে মিহি হাওয়া ঢোকে। আধখোলা চোখের পাতার মধ্য দিয়ে যেন বাতাসের রংটাও দেখা যায়, ফিকে নীল। সঙ্গে সঙ্গে বেখাপ্পাভাবে মনে পড়ে যায় বাড়ি ফেরার সময় লঞ্চের ভেঁপু, লঞ্চের পেছনদিকে উত্থিত স্রোতের শতভাগ হয়ে যাওয়া পতনমুখী তুমুল স্রোত। সামিউলের তখন কানও খাড়া হয়ে যায়। দূরের ডাক কসরৎ করে কাছে টানার চেষ্টা করে। পাশ থেকে বীথির উঠে যাওয়া তখন আর টের পায় না। পানির আওয়াজ, ভেপুর শব্দ সবকিছুই একেক সময় মনে হয়ে বাস্তব, বরং বেশী স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হয় বীথি’র বাজতে থাকা এলার্ম। বীথি যখন মোবাইল ফোনে সময় দেখতে চায়, যেন এলার্ম সময়ের আগেও বেজে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, হাত লম্বা করে মাথার কাছে পর্দ্দা একটু সরিয়ে দেয়। তারপর ধড়মড় করে উঠে পড়ে, তৈরী হতে হতে ঘরের মধ্যে হুলুস্থুল করে বের হয়ে যায়। তখনও ঘাপ্টি মেরে পরে থাকা সামিউলের কাছে সব কিছু স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। দরজা বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়বার চোখ খুললেই জেদী সূর্যের আলো তার চোখে গোঁজ হয়ে বসে পড়ে। আলো খুবই সাময়িক, সামিউলের নিজের জেদের মত। কমে আসবে আস্তে আস্তে। তার পতঙ্গপন্থী জেদ জন্ম নেয় যেন কোন অনিশ্চিত আগুনে ঝাঁপ দিয়ে নিঃশেষ হবার জন্য। আরো পরিস্কার করে ভাবলে আতশবাজির উপমা খুঁজে পায় সে। বিপুল আয়োজন করে আকাশে ঊড্ডীন হয়েই মিলিয়ে যায়। পার্থক্য শুধু সামিউলের জেদ কোন আলোর ঝলকানিও দেয় না।

এ সময় তার বাক্স দরকার হয় না, একা অবস্থায় পুরো ঘর, ঠিক করে বললে পুরো বাসাটাই একটা বাক্স। এ বাক্সে বরং একান্ত শহরটাকে গুজে গুজে ভরা যায়। তবু একসময় সে বিছানা ছাড়ে, বাথরুমের চৌকোনা কুঠুরীটায় ঢুকে প্রচুর গরম পানি দিয়ে গোসল করে। বীথি বাসায় ফিরবে সেই বিকেলে। এর মধ্যে গিজারের পানি আবার গরম হয়ে যাবে। তার মনে হয় গরম পানি গায়ে ঢাললে শরীরের আর মাথার ভেতরের সব শৈত্যভাব দূর হয়ে আবার তরতাজা হবে সেই আগের মত, তার আগের চাকরীর মত, না কি আরো আগে শৈশবের দিনগুলির মত।

মাথা মুছতে মুছতে আয়নার সামনে নিজেকে খুঁটিয়ে দেখে সামিউল। কপালের দু’পাশে শাদা চুলের আভাস। রং করলেও দু’সপ্তাহ পরে আবার তারা নিজ গরজে দেখা দেয়। রং করার কথা ভুলে সামিউল নিজের ভাবগম্ভীর চেহারা দেখতে পেলে নিজেই নিজেকে আপনি সম্বোধন করতে শুরু করে। আয়নায় কথোপকথন চালায়, ইন্টারভিউ বোর্ডে চাকরীপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ।

কি নাম?

-স্যার, নিখিল

-‘নিখিল কি?’ হাতের ফাইলে বায়োডাটায় চোখ রেখে সামিউল জানতে চায়।

-নিখিল সাহা স্যার।

-সাহা কিভাবে লেখেন, এস এ এইচ এ, না কি এস এইচ এ এস এ? একেকজন একেক বানান লেখে, কোন তফাৎ আছে, অর্থের দিক থেকে?

নিখিলের ফর্শা মুখ, চোখের তারার পাশে অতিরিক্ত সাদা। এইচ এস সি পরীক্ষার পর আর পড়া না শেষ করা নিখিলের আকাশী রং শার্ট তার সামনে বসে ঘামতে থাকে। বায়িং হাউসের সুপারভাইজারের পদবীর বানান বিষয়ক কৌলিনত্ব কত গুরুত্ব রাখে বুঝে উঠতে পারে না সম্ভবত।

সামিউল হাতের বায়োডাটা একপাশে রেখে পাশের সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে ইশারায় নিখিলকে দরজা দেখায়। আশা, আশংকা এবং অবিশ্বাস দিয়ে চোখের তারার চারপাশে একটা আলোছায়া তৈরী করতে করতে নিখিল উঠে নিষ্ক্রান্ত হয়।

একটা রম্বস আলো জানলা গলে মেঝেতে আলসে ভঙ্গিতে গড়ায়। অকারণে বিজ বিজ করা কফিমেশিনের আওয়াজ পায় সামিউল। বাসায় তো ঐ বস্তু নেই। তারা ইন্সট্যান্ট কফি খায়। চা খেতে হলে মাইক্রোওয়েভ অভেনে কাপের পানিতে টি ব্যাগ ডুবিয়ে বানিয়ে নেয়। তাহলে কি অভেনটা চলছে! না কি ফ্রিজটা নষ্ট হয়ে গেল? এখানে কি ফ্রিজ নষ্ট হয়? কি করে মানুষ তখন? আশংকা আর অবিশ্বাস নিয়ে এ ঘর ও ঘর করে সামিউল। হঠাৎ ধা করে তার নিজস্ব শহরটা সামনে চলে আসে। তাদের বাড়ির উঠানে ধূনকর লেপের তুলা ধূনে চলেছে, ধূনের শব্দের সুরে ময়লাটে তুলোর স্তুপ শুভ্রতা পাচ্ছে, আর সামিউল পৌষের নরম রোদে বারান্দায় বসে গালে হাত দিয়ে দেখছে। বড় হয়ে কি ধূনকর হতে চেয়েছিল সে? বাড়ি বাড়ি গিয়ে উষ্ণতা বিলি করা যার কাজ!

আজকের ইন্টারভিউটা ইন্টারনাল সিলেকশনের। এই কোম্পানিতে জেনারেল ওয়ার্কার হিসেবে ওয়্যারহাউসে চাকরিটা নিতে মন খুত খুত করলেও সপ্তায় পঁয়ত্রিশ ঘণ্টা কাজের গ্যারান্টি বড় আকর্ষণ ছিল। বিকেল তিনটা থেকে রাত এগারোটার শিফট বরাদ্দ হওয়ায় মন একরকম খুশীও ছিল। সকাল বেলায় ফাঁকা বাড়ি, দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা- বাড়তি বোনাসের মত। ওয়্যারহাউস বলতে তাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর মত রাজ্যের কাপড়ের বান্ডিল না, অফিসের খাতাপত্র, কলম পেন্সিল এবং গ্রীস্মকালের ঘাস কাটা আর সুইমিং পুল ব্যাবস্থাপনার জিনিসপত্র বাদ দিলে মূলত শীতকাল সামলানোর আয়োজন দিয়ে বোঝাই বিরাট গুদামঘর। রাস্তায় ছিটানোর জন্য লবনের ভারী বস্তা ফোর্কলিফটে তুলতে শুরুর দিকে শারিরীক এবং মানসিক দুই অর্থেই জেরবার হলেও এখন সামিউলের খারাপ লাগে না। বরং শরীর চর্চার বাড়তি টাকাটা বেঁচে যায়।

কাজে আসা যাওয়ার পথে, ঢোকার মুখে রিসেপশনে তাদের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে সে বেশ কয়েকবার দেখেছে। তার দিকে এগিয়ে এসে একবার আলাপও করে গেছে ভদ্রমহিলা। এবার সে তো আর বাইরের কেউ না, ভেতরের একজন কর্মী হিসেবে আভ্যন্তরীণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সে অনলাইনে দরখাস্ত পাঠিয়েছে। তাকে ডাকা হবে এ ব্যাপারে সামিউল একশ ভাগ নিশ্চিত। ই-মেইল পেয়ে তাই তার অত আশ্চর্য লাগেনি। খালি বাসায়ও তাই খুশী মনে বাক্সের ভেতরে ঢুকে প্রিয় শহরটায় গিয়ে বেশ ফুরফুরে মন নিয়ে শিষ বাজিয়ে গান গেয়েছে। গানগাওয়া বা শিষ বাজানো ঐ শহরে না গেলে ভালো পারে না সামিউল।

-‘এর আগে এ ধরনের কাজ আর কোথায় করেছেন?’ বায়োডাটা সামনের খোলা ফাইলটায়। তিনজন কর্মকর্তার সামনে নিজের নার্ভাস মুখটা টের পায় সামিউল।

-‘ইয়েস, আগের অভিজ্ঞতা এখানের না, ঢাকায়, আই মিন বাংলাদেশ। আই ওয়াজ চিফ অব হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট ইন এ গার্মেণ্টস ফ্যাক্টরী’। এসবই লেখা আছে তার কারিক্যুলাম ভিট্যে’তে। ফ্যাক্টরী বড় না কি ছোট, মালিক বীথির ফুপা’র ভাই না কি অচেনা কেউ, কে অত খুঁজতে যাচ্ছে?

তিনজন একটু মুখ চাওয়াচাওয়ি করে কি? এদের মুখ গম্ভীর না, বরং বেশ হাসি ঝুলে আছে ঠোঁটের চারপাশে। নাকি সামিউলের মনের ভুল! নিজেরা নিয়োগ দেবার সময় যেভাবে গাম্ভীর্য ঝুলিয়ে রাখতে অভ্যাস করেছিল। তবে এরা নিশ্চয়ই দৃষ্টি বিনিময় করেছে, এমন মনের ভুল তার হবে কেন? এদের ফ্যাকাশে ঠোঁটের হাসি! ফ্যাকাশে ঠোঁট? না, এদের দু’জন গাঢ় লিপষ্টিক পরে আছে। একটু বয়স হলে এদেশে মহিলারা অন এভারেজ সাজগোজ শুরু করে, সামিউল দেখেছে। আজকাল দেশেও তো তাই। সকাল বেলায় ফেসবুক খুললেই বাংলাদেশ চোখের সামনে চলে আসে। পুরো বাংলাদেশ! নাহ, নিশ্চিত হতে পারে না সামিউল। দেশের আনাচে কানাচে’র খবরাখবর আসে বটে, কিন্তু সব কি আসে? তার চাচাতো ভাইয়ের জোয়ান ছেলেটা যে কচি বউ আর একরত্তি একটা মেয়ে রেখে বাসের আগুনে পুড়ে মরে গেল, তাদের খবর সে পায়নি তো! এখন এতদিন পরে কেন যেন তাদের খবরাখবর পেতে ইচ্ছে করে। খবর পাওয়া যে খুব কঠিন কিছু তা না। নিজের বাড়িতে কাউকে ফোন করে ওদের সংবাদ জানতে চাওয়া যায়। ওদেরও নিশ্চয়ই ফোন আছে। আজকাল হতদরিদ্র মানুষেরও একটা মোবাইল ফোন আছে। কিন্তু সামিউল গা করে না। এই যে ওদের খবর জানতে ইচ্ছে করে, বুকের ভেতর এটা পুষে রাখতে ভালো লাগে তার। মনটা উদাস হয়, ভ্রু কিছুটা কুচকে থাকে। এইটুকুই কেন জানি উপভোগ করে সে। গান শুনতে শুনতে, রান্না করতে করতে, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে সুড়ুৎ করে বাক্সের ভেতর ঢুকে নিজের শহরটায় টহল দিয়ে ফিরে আসা,- এর বেশী কি চাই আর?

তার ল্যাপটপ থেকে যখন রামকুমার টপ্পায় সুর চড়ায়-

মানে মানে প্রাণে প্রাণে যদি রে প্রাণ বেঁচে থাকি

দেখবো কত দেখলাম কত আরো কত আছে বাকী-

গান শুনতে শুনতে শার্ট ইস্ত্রি করতে নেয় সামিউল। এর মধ্যে তার কফি তেষ্টা পায়। সে ইন্সট্যান্ট কফি বানায় মাইক্রোওয়েভ আভেনে। চিনি দিয়ে নাড়ে। চুমুক দেয়, স্বাদ কম। হঠাৎ কাপড়পোড়া গন্ধ নাকে লাগে। সাদা শার্টের কাফলিংকের ওপর ভুল করে ফেলে যাওয়া গরম ইস্ত্রী নিজের মাপের ছাপ রেখে দিয়েছে। পোড়া শার্ট ঝাড়তে ঝাড়তে কফিতেও চুমুক দিয়ে ফেলে সামিউল। প্রিয় শার্ট ফেলে দিতে হবে। এখানে কে করবে সেলাই, রিফু?

চোখ বন্ধ করে সামিউল। বাক্স থেকে শহরটা বের করে সেখানে ঢুকে যাওয়ার মোক্ষম সময় এখন। যেখানে পাওয়া যায় সেলাই কারিগর, ধুনকর। সারাই করা যায় ছেড়া জুতো। রিফ্যু করা যায় ছেঁড়াখোড়া সময়।

চোখ বন্ধ করে সামিউল। তার চারপাশে কালো বোরকার মত অন্ধকার নামছে। আর হ্যা, মাথার ভেতরে একান্ত শহরটা স্পষ্ট হচ্ছে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ