জীবন কুণ্ডু একজন শান্ত শিষ্ট ভদ্রলোক । পত্নি নিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পাননি । কারন বিয়ে থা করেন নি । একা মানুষ চিরকাল রাজত্ব করেছেন আটশ বর্গ ফুটের ফ্ল্যাটে । পাড়ায় পুজো পালিতে নির্বিবাদে চাঁদা দিয়েছেন । তা বলে বারোয়ারি খিঁচুরি খেতে যাননি । লোকটা কখনও কারোর পাকা ধানে মই দেয় নি। অফিস আর ঘর করেছে । অফিসেও বিয়ে , অন্নপ্রাশনে গিফট কেনার জন্য তার ভাগের টাকা হিসাব না কষেই দিয়েছেন । কিন্তু নিমন্ত্রন রক্ষা করেন নি । তাকে কেউ কোন দিন প্রশ্ন করেনি – ভাই তুমি এতো আনসোশ্যাল কেন ?
না কারোর ঠিক আনসোশ্যাল মনে হয়নি । কারন বিনা প্রতিবাদে লোকটা প্রতিবার টাকা বার করে দিয়েছে । ফ্ল্যাট মেন্টেনান্সে বরাদ্দ টাকার পরিমান কুড়ি বছরে যথেষ্ট বেড়েছে । সবাই খিচ খিচ করলেও জীবন কুণ্ডু নির্বিবাদে মাসের প্রথমেই টাকা দিয়েছে ।
সেই মানুষ কে দুদিন পর পাওয়া গেল লেকের জলে । অনেকে বললেন অবসাদ থেকে আত্মহত্যা । অনেকে বললেন খুন । যদিও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যা লেখা হয়েছে । যাক এসব তো নিছক ঝামেলার কেস । এখানে কার্য কারন খোঁজারও দরকার নেই । কার কি গেল এলো ? রিটায়ার করতে আর ছমাস বাকি ছিল ।নিজেই রান্না করে খেতেন ।নিজের ঘর নিজেই পরিষ্কার করতেন । ঘরে কোনো কাজের লোক কখনও দরকার লাগেনি ।
জীবনবাবুর মৃত্যুর পর তার প্রফিডেন্ট ফান্ড তাছাড়া জমান কিছু টাকা ব্যাঙ্কেই জমা রয়েছে ।দাবিদার নেই তো কেউ । আটশ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটও দীর্ঘদিন বন্ধ পরে রইল ।সেটারও কোনো দাবিদার নেই ।কিন্তু ঘটনাটা ঘটল প্রায় ছমাস পর ।
মৃত্যুর পর বয়েসটা কি কমে যায় ! বুঝতে পারলেন না জীবনবাবু । কিন্তু শরীরটা বেশ ঝরঝরে লাগছে । ফ্ল্যাটে কোনো লোক অবজেকসন করল না । দরজা খুলে নির্দ্বিধায় তিনি ঢুকে পড়লেন ধুলো ময়লার ভিতর।চারিদিকে ঝুল জমেছে ।আগে হলে পঞ্চাশটা হাঁচতেন । কিন্তু এখন সেসব সমস্যা হল না । ঘরের আরশোলা , ইঁদুররাও তার উপস্থিতি টের পেলেন না ।তিনিও স্প্রে নিয়ে তাদের পিছনে ধাওয়া করলেন না । বেডরুমের ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে কয়েকবার দোল খেলেন ।জীবিত অবস্থায় এই ফ্ল্যাটের কারোর সঙ্গে কোন সখ্যতা গড়ে ওঠেনি তার । কজন কেই বা চেনেন ?
মনে পড়ল চারতলার প্রভাত রায়ের কথা ।ব্যাঙ্কে চাকরী করতেন । বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল । একাই থাকেন । ছেলে বউ বিদেশে থাকেন ।বউ মারা গেছেন দশবছর হবে । এতদিনে নিশ্চই রিটায়ারও করে গেছেন ।ওনাকে মনে পড়ার বিশেষ কারন হল, বছর পাঁচ আগে জ্বরে পড়েছিলেন জীবনবাবু ।তখন এই প্রভাত রায় ডাক্তার ডেকে , ওষুধ খাইয়ে সুস্থ করেছিলেন । কিন্তু অকৃতজ্ঞ জীবনবাবু তা মনে রাখেন নি । একটু দেখে এলেই হয় এখন , কেমন আছেন !মৃত্যুর পর একটু যেন চক্ষুলজ্জাও হয়েছে।
এই ফ্ল্যাটে আছেন প্রায় কুড়ি বছর কিন্তু কখনও কারোর সঙ্গে তেমন আলাপ হয়নি ।আজ সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় উপরের সিঁড়িটাও কেমন অচেনা লাগছিল । আগে এটা ছিল বারো ঘর লোকের একটা ভাঙাচোরা বাড়ি । মালিক ওঠাতে পারেনি ।প্রমোটার টাকা দিয়ে উঠিয়েছে ।অনেকেই টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে । জীবনবাবুর মতো আরো দুঘর ভাড়াটিয়ার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না । এখানেই ফ্ল্যাট পেয়েছে । তাতে ক্যাশ টাকার অঙ্কটা একটু কমেছে । অবশ্য পরে ওই দুঘর ভাড়াটিয়ার মধ্যে সনতবাবুর বউ মারা যাওয়ার পর মেয়ের কাছে চলে যান । আর নির্মলকাকু মারা যাওয়ার পর ছেলে ফ্ল্যাট বেঁচে দিয়েছে । এখন আর কাউকেই চেনেন না জীবনবাবু ।
দরজার নেম প্লেটে লেখা প্রভাত রায় । নীচে কেতকী রায় । তার নীচে প্রকাশ রায় । কেতকী রায়কে বার কয়েক দেখেছিলেন জীবনবাবু ।আর প্রকাশ নিশ্চই ওনার ছেলে ।প্রভাত রায় নিজে এসে নেমন্তন্ন করেছিলেন কিন্তু বিয়েতে যাওয়া হয়নি ।ছেলেও তো এখানে থাকে না ।বলেছিলেন কোথায় যেন থাকে । কিন্তু জায়গার নামটা কিছুতেই মনে করতে পারলেন না ।মনে মনে হাসলেন মানুষ চলে যায় তার নামটা শুধু নেমপ্লেটে রয়ে যায় ।
কলিংবেল বাজাবার আগেই দরজা খুলে গেল । সামনে প্রভাত রায় দাঁড়িয়ে আছেন । মাথার সাদা চুলে পাটপাট করে আঁচড়ানো । সাদা ধুতি সঙ্গে সাদা ফতুয়া , দেখতে বেশ লাগছে ।
- কি হল দাঁড়িয়ে থাকলেন কেন ?ভিতরে আসবেন না ?
জীবন বাবু একটু অবাক হলেন – আপনি আমায় দেখতে পাচ্ছেন ?
না পাওয়ার কি আছে ?
জীবনবাবু ঢোক গিললেন । সত্যিটা না বলাই ভালো । তাহলে জীবিত আর মৃত লোকের সাক্ষাতটা খুব একটা সুখকর হবে না । আর তিনি বাবার কাছে শুনেছিলেন যে একেকজন মানুষ মৃত ব্যক্তিদের দেখতে পায় ।তাদের আলাদা শক্তি থাকে ।
ড্রয়িং রুমে একটা টিমটিমে আলো । ঘরটা আগোছালই বলা চলে ।
- আপনি কখনো আমার ঘরে আসেন নি । তাই না ? ছেলের বিয়েতেও কী এসেছিলেন ?
- না । আমার আসা হয়নি । আসলে আমি তেমন মিশতে ......
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই ঝপ করে যে প্রশ্নটা করলেন প্রভাত রায় । তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না জীবনবাবু ।
- জীবনবাবু আপনি এমন ভাবে মরতে গেলেন কেন ?
না , কোনোদিন কাউকে কোনো কাজের জন্য কৈফিয়ত দিতে হয়নি । আর আজ মরার পর জবাব দিতে হবে , কেন মরলেন ?- আমার ইচ্ছে তাই । কিন্তু আপনি সব জেনেও আমাকে দেখে ভয় পেলেন না ?
- এমা ভয় পাবো কেন ? ও বুঝেছি , বলে হা হা করে হাসতে লাগলেন । ওই যে ছোটবেলায় গল্প পড়েছিলাম । মামদো ভূত , জামদো ভূত , এসে ঘাড় মটকাতো ! এতো বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝেছি ভূত খুব একটা ক্ষতিকর কিছু নয় । কিন্তু মানুষ অনেক বেশি ক্ষতিকর । তাকে আপনি খাইয়ে , দাইয়ে বড় করবেন । হামাগুরি থেকে হাঁটা শেখাবেন । কিন্তু সে যখন নিজের পায়ে একটু ভালো করে দাঁড়িয়ে যাবে। সে কিন্তু আপনাকে হাতটা বাড়িয়ে দেবে না । আপনি যেটা করেছেন সেটা আপনার ডিউটি । কিন্তু তার কোন ডিউটি থাকবে না । সে তখন পাখা মেলে উড়ে যাবে তার সিকিওর ভবিষ্যতের জন্য ।
জীবনবাবু বুঝলেন প্রভাত রায় তার ছেলের কথাই বলছেন । - আপনার ছেলে আর আসে না ?
স্মিত হাসলেন প্রভাত রায় - চা খাবেন ?
জীবনবাবুর তেমন চায়ের নেশা নেই । তবু না করতে পারলেন না । প্রভাত রায় রান্না ঘরের দিকে চলে গেলেন । জীবনবাবু দেওয়ালের কাছে এসে ফ্রেমে বাঁধানো ছবিগুলো ভালো করে লক্ষ্য করতে লাগলেন। অনেক কম বয়েসে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি । মনে হচ্ছে কাশ্মীর নয়ত শিমলা । সারা জীবনে কোথাও না ঘুরলে প্রচুর ভ্রমন কাহিনী , ম্যাগাজিন পরে মানস ভ্রমন করেছেন জীবনবাবু ।
সারা দেওয়াল জুড়ে শুধু ছবি । ছোটবেলা থেকে বড়বেলা , ছেলের সঙ্গে অনেক ছবি প্রভাত রায়ের। ছেলের মুখের আদল মায়ের মতোই ।
- কি দেখছেন ?
- মাতৃমুখী ছেলের জীবন খুব সুখী হয় ।
- সুখী তো । ছেলে বৌমা দুজনেই চাকরী করে । উইকেন্ডে ঘুরতে যায় ।আসলে ওদের উইকেন্ডেই দেখা হয় ।সময় পেলে সোশ্যাল ওয়ার্ক করে । ওরা নতুন একটা মানুষের জন্ম দিয়ে পৃথিবীর বোঝা বাড়াতে চায় না ।রবি ঠাকুরের গানটা গেয়ে উঠলেন – এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম /প্রেম মেলে না / শুধু সুখ চলে যায় ।
জীবনবাবু , ওই যে বাঁ দিক ঘেঁষা যে ছবিটা , ওটা গোয়াতে । তখন পুনেতে ম্যানেজমেন্ট পড়ছে । জেদ করে নিয়ে গেল ।গোয়াতে গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে যেতে হয় বলুন ! আমার ছেলেটা একদম পাগল ছিল ।বাপ বেটায় মিলে বীচে বসে বিয়ার খেলাম, মেয়ে দেখলাম । বলতে বলতে হেসে লুটিয়ে পড়ছিলেন ।
তারপর তো বিদেশেই চলে গেল । বিয়ের সময়ের কিছু ছবি আছে । মধ্যে এসেছে দু এক বার । দশ বছরে আর তার সময় হয়নি ।ওর মা যখন মারা গেল। পিস হিভেনে দুদিন বডি রেখেছিলাম । পরে শুনলাম আসতে পারবে না । আমিই দাহ করি । খুব ভালো বাসতাম কেতকীকে । ঘুমের মধ্যে হার্টফেল । পাশেই শুয়ে ছিল । আমি টের পাইনি ।
দুবার নাক টানলেন প্রভাতবাবু । আচ্ছা জীবনবাবু আপনি এমন বিশ্রি ভাবে মরতে গেলেন কেন ? জানেন ওই লেকের ধারে দাঁড়িয়ে অনেকে হিসি করে । ইস হিসির জলে ডুবে মরা !
এবার জীবনবাবুর একটু রাগ হল – মরার সময় অতো খেয়াল থাকে না । ঘরের মধ্যে কোনোদিন যদি হার্ট অ্যাটাক করে বসে থাকতাম । সাতদিন পর যখন গন্ধ বেরত । পাড়া পড়শি দরজা ভেঙে একটা ইঁদুরে, পোকায় খাওয়া লাশ বের করত । ভালো লাগত ? তার চেয়ে এভাবেই হিল্লে হওয়া ভালো ।
- কোথায় হিল্লে হল বলুন তো ? শুনেছি এখনও পচছে । কেউ নিতে আসেনি তো । কেউ নেই আপনার ?
জীবনবাবু চোখ বুজলেন – সত্যি কেউ নেই আমার । আপনার তবু ছেলে আছে । ছুটে আসবে ।
- সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে । তাছাড়া ফ্ল্যাটের লোক আগে জানুক তবে তো । কেউ কি খোঁজ নেয় ? ওই যে বললেন আগে পচা গন্ধ বেরোক । পুলিশ আসুক দরজা ভাঙ্গা হোক ।
- মানে ? আপনিও কী ?
- না , না আপনার মতো নয় । নর্মাল ভাবে । বার্ধক্যে ব্লকেজ হয়েছিল , তারপর হার্ট ফেল । শুনুন সবটা গল্প আমার জানা । কিন্তু সময়ের আগে আমি কখনই কিছু করিনি ।শক্তি থাকতে বেরিয়েছি । নিজের কাজ নিজে করেছি । আপনার মতো পালিয়ে যাইনি । আপনার তো রিটায়রমেন্টে বাকী ছিল এখনও ? ইস সব টাকাগুলো সরকারের খাতে । কেন টাকা পয়সাগুলো পাওয়ার পর কোথাও দান , ধ্যান করে মরতে পারলেন না ! কতো মানুষ বাঁচার জন্য কি ভীষণ পরিশ্রম করে । দুবেলা খেতে পায়না । আর আপনার মতো মৃত্যু চিন্তা কেবল বিলাসিতা ।নিজের ইচ্ছেতে মরেছেন বেশ করেছেন । কার বাপের কি গেল ? এই সামনে যে অনাথ আশ্রমটা একদিন সেখানে গিয়ে ওদের একটু মিষ্টি খাওয়াতে পারতেন তো ! ধুর মশাই আপনি একটা সেলফিশ লোক।
জীবনবাবু রীতিমত ধমক খেয়ে চুপ করে থাকলেন । এমন বকা তো কখনও খাননি ।- প্রভাতবাবু আপনি এমন হুট করে মরে গিয়ে কী কী করলেন শুনি ?
- আমার যা আছে সব ওই অনাথ আশ্রম আর বৃদ্ধাশ্রমে দানপত্র করে রেখে গেলাম ।আমার ছেলের যথেষ্ট আছে । তার দরকার লাগবে বলে মনে হয় না । কিন্তু দরকারে না লাগলেও মানুষ কখনও কি ঐশ্বর্য ছাড়তে পারে ?
- কিছু মনে করবেন না , একটা প্রশ্ন করছি প্রভাতবাবু । সারা জীবনে নিজে কী শান্তি পেলেন ?
- এতো বড় প্রশ্ন । শান্তি কিসে ? সেটা কী আমরা বুঝতে পারি । জানেন তো ভেবেছিলাম সংসার ছেড়ে সন্যাস জীবন নেবো । কিন্তু পারিনি । আসলে মায়া ।আপনি কী শান্তি পেয়েছেন ?কোন মায়ার জন্য আবার ফিরে এসেছেন ! মায়া বড় বিচিত্র । তাই তো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে গেলাম । যদি ছেলে আসে !
- আমার কোনো টান নেই সংসারে । বিয়ে থা করিনি । কেউ আমার অপেক্ষায় নেই । আমিও কারো অপেক্ষায় নেই ।
- কিন্তু জীবনবাবু আপনি একজন ভীতু মানুষ ।বলে খ্যাক খ্যাক করে হাসলেন । নইলে ওই হিসুতে ডুবে।
- ওটা লেক । আর আমি ভীতু নই । তাহলে মরতে পারতাম না ।
- ছাড়ুন মশাই । ওয়ান টাইম সাহস ! কিসের সাহস । পালানোকে সাহস বলে না । বেঁচে থেকে সাহস দেখাতেন তো বুঝতাম ।এই আপনাদের মতো লোকগুলোকে বর্ডারে পাঠানো উচিৎ ।সিয়াচেনের মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে বুঝতেন ।ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়াই করবেন নাকি শত্রুর সঙ্গে ।প্রতিদিন শুনি বর্ডারে শহীদ হচ্ছে ।পরিবারগুলো কেউ বাবা , দাদা , স্বামী হারাচ্ছে । উফ টিভি খুললে দেখা যায়না তাদের কান্না ।
একটু থেমে বললেন - জীবনবাবু আপনি কী কোনোদিন বেঁচে ছিলেন ?
- মানে ?
- পার্কে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেয়েছেন ?
- না
- কোনো মেয়েকে চুমু খেয়েছেন ?
- ইস , না । এসবকেই কী বাঁচা বলে ?
- রাতভোর বোতল খেয়ে মাতলামি করেছেন?
- আমি ভদ্রলোক।
প্রভাতবাবু হা হা করে জোরে হেসে উঠলেন-আমি করেছি।কলেজবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় মাতলামিও করেছি।জীবনবাবু আপনি একদিনের জন্য কাউকে ভালোবেসেছেন ?
কোনো উত্তর এলো না । - জীবনবাবু শুধু কী খাওয়া , হাগা আর অফিস করাকে বাঁচা বলে?
জীবনবাবু চুপ করে বসে আছেন । চোখ থেকে টপটপ করে জল পড়ছে । আমার কী খুব বড় একটা ভুল হয়ে গেল ? আমার খুব বাঁচতে ইচ্ছে করছে ।
0 মন্তব্যসমূহ