চৈত্রের গল্প

ভূমিকথা--

চৈত্রের গল্পে প্রকাশিত হল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম , আবুবকর সিদ্দিক, রওশন জামিল, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, আনোয়ার শাহাদাত, বিপুল দাস, নাহার মনিকা, কুলদা রায়ের গল্প। বিপুল দাস লিখেছেন প্রস্তাবিত উপন্যাসের প্রথম অংশ। রওশন জামিল লিখেছেন বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে।

প্রবন্ধ লিখেছেন ইমতিয়ার শামীম। হাসান আজিজুল হকের একটি সাক্ষাৎকার, প্রয়াত কথাশিল্পী সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখালেখি বিষয়ে লিখেছেন হামীম কামরুল হক এবং আবদুশ শাকুরের বিষয়ে স্মরণ করেছেন মুহিত হাসান দিগন্ত। প্রচ্ছদের ছবিটি এঁকেছেন মঈন চৌধুরী। তিনি কবি ও প্রবন্ধকার।


বাজ
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

আয়াজের বাবা যখন পা রাখেন আটিরচরে, যমুনা খুব দয়ালু ছিল বড় এই চরটার প্রতি। প্রতি বছরএর আয়তন বাড়ত; চরের মানুষ কিছু ধান, কলাই বাদাম ফলিয়ে গরু চরিয়ে বেশ চালিয়ে দিত দিনকাল। রাজাপুর থেকে নৌকায় ঘণ্টাখানেক লাগত আটিরচরে পৌঁছাতে। তারপরও ব্যবসায়ীরা দলবেঁধে আসত।
(পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন)



আবুবকর সিদ্দিক
হ্যাঁ দাদু! তোমাকে চিঠি লিখেছিল মাওদাদু, তাই না?
- আরে দূর! সব কাগজঅলাদের গুলপট্টি। খবর আর পায় না তো খুঁজে!
- এই দ্যাখো! তুমি কিন্তু স্লিপ কেটে যাচ্ছো দাদু। আচ্ছা এবারে হলপ করে বলো তো,চারুদাদুর সঙ্গে তোমার কী কথা হয়েছিল? জোতদারদের গলা কাটতে অর্ডার দিয়েছিল তো?

রওশন জামিল

ব্যাপারটা শেষমেশ এমন দাঁড়াবে স্বপ্নেও ভাবেনি শেরিফ জেফ টমসন। অনুভূতিহীন একটা স্রোত পা থেকে শিরদাঁড়া বেয়ে শুঁয়োপোকার মত উঠে গেল মাথায়। মুখ মড়ার মতো, দৃষ্টি অসীমে। আন্ট পলির কোনো কথাই তখন কানে পৌঁছুচ্ছে না। বাইরে অঝোর বৃষ্টি, শব্দ করে পড়ছে ঘরের ছাদে, উঠোনে, যেন অনেকগুলো ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের আওয়াজ ভেসে আসছে। (পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন

বৃদ্ধাশ্রমে এক যুবতী


স্বপ্নময় চক্রবর্তী
এক বৃদ্ধাশ্রমের একটি ঘর। বৃদ্ধাশ্রমটি মফঃস্বলে। একটি ঘরে একা থাকেন সরস্বতী। বসন্ত কাল। সরস্বতী বারান্দায়। সরস্বতী একা।

সরস্বতী – ও পলাশ ও শিমূল আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে
জানি না জানি না আমার এ মন কেন রাঙালে...। (পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন

সরোজিনী কদমবিবির গামছা কবর

আনোয়ার শাহাদাত


‘দক্ষিণা’ বলে অপবাদ কি গালি খাওয়া গাঁও-গেরাম অঞ্চলের লোক, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের কাদা-পানি প্যাঁকে খাওয়া পা দু’খানার ঘায়ের দুর্গন্ধের সাথে ভাদ্র মাসের ভ্যাপসা গরমের কষালো ঘামের যোগ বমি উদ্গীরণতুল্য দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী লোকটি যে কিনা এখন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক আবসার হাসানের সামনে এবং যার কাহিনী কোনো না কোনোভাবে শুরু হয় আমেরিকা থেকে।

চিং চুং


বিপুল দাস

সেবার শীতে সে প্রথম ‘পাবলিসিটি’ শব্দটি শুনেছিল। গতবারের তুলনায় এবার শীত বেশি পড়বে – অনেকের মুখেই সে শুনতে পাচ্ছিল। সে লক্ষ করেছিল ভোরবেলা আর সন্ধেবেলা পুকুরের জল থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করেছে। রঘুমামার জন্য তারকজ্যাঠার দোকানে দেশলাই কিনতে গিয়ে সে দেখেছিল একটা দুটো শ্যামাপোকা উড়তে শুরু করেছে। ক’দিন ধরেই ভোরের দিকে মনে হচ্ছে একটা পাতলা কাঁথা হলে বেশ হয়। পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন


সংযোগে ছায়া

নাহার মনিকা

রক্তক্ষরণ দেখলে শরীরে আতংকের কাঁপন শুরু হয় ইমনের। অভ্যন্তরের কোটি কোটি শ্বেত-লৌহ কনিকার প্রবাহমান ধারা সামান্য বেরিয়ে গেলেই অহেতুক এক ভয়ের বিশাল মুখগহবরে ছোট্ট তৃণখন্ড হ’য়ে ঢুকে পড়তে তার বেশীক্ষণ লাগে না। নিজের রক্ত দেখে কয়েক মূহুর্তের সংজ্ঞালোপ তার আগেও হয়েছে। সেজন্যে হয়তো বাপের বিচলিত ভাব কম। জং ধরা পেরেকের এমন আধা ইঞ্চি প্রবিষ্ট হবার ক্ষমতা, তাও আবার পায়ের গোড়ালীর কাছে রগ বরাবর!  (পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন

পরী রানীর সন্ধ্যা


কুলদা রায়

বাড়িটির নাম চিলেকোঠা। চারিদিকে বাগান। মাঝখানে ছোটো বাংলো ধরনেরটিনের ঘর। কোনো চিলেকোঠা নেই এই ঘরটিতে। মধ্য পাড়ার প্রবীণ মোক্তার অসিতবরণ সরকার মফস্বলের ইতিহাস নামে একটি রচনায় লিখেছেন—এইএলাকায় গ্রেগরী চিলম্যান নামে এক ইংরেজ এসেছিলেন ১৮০৩ সালে। শুরুকরেছিলেন নীলচাষ। এই নীলচাষের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে একটি মাঠের নাম আজও জারী আছে।
 (পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন

গল্পের আলোচনা
দেশ যখন সামাজিক প্রত্যয়

ইমতিয়ার শামীম

সাহিত্যে স্বাধীন দেশের আবাহন আমরা শুনেছিলাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বরে সেই আবাহন আর কণ্ঠস্বরের মধ্যে দিয়ে বাঙালির কথাসাহিত্যও সুস্পষ্ট এক আদল পেয়েছিল। তার আগেও গদ্য ছিল, কিন্তু সেই গদ্যে ছিল না বাঙালির সামাজিক-অসামাজিক জীবনের স্বাদ ও গড়ন ছিল না নিরীক্ষণ ছিল না যাকে এখন বলি ‘বিটুয়িন দ্য লাইনস সেসবের অস্তিত্ব।

(পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন
হাসান আজিজুল হক বাংলাদেশের সাহিত্যরুচির প্রেক্ষাপটে এক বিস্ময়কর চরিত্র। শুধু গল্পচর্চা করেও যে দেশের অন্যতম প্রধান লেখকে পরিণত হওয়া যায়, তিনি তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য, আত্মজা ও একটি করবী গাছ, জীবন ঘষে আগুন, নামহীন গোত্রহীন, আগুন পাখি প্রভৃতি। (পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন

বইপাঠ
বিমল কর তাঁকে বলতেন ‘সিরাজ সাহেব’ আর শীর্ষেন্দু বলতেন, ‘এই যে বাংলার শেষ নবাব’। সিরাজের বাড়ি মুর্শিদাবাদ, তারওপর নামে সিরাজ শব্দটি আছে বলেই বোধকরি শীর্ষেন্দু এমনটা বলতেন। পিতা সৈয়দ আবদুর রহমান ফেরদৌস, অত্যন্ত পণ্ডিত মানুষ ছিলেন, ছিলেন গান্ধীবাদী, যোগ দিয়েছিলেন অসহযোগ আন্দোলনে; মা একসময় কবিতা ও গল্প লিখতেন। সিরাজের একসময় ছন্নছাড়া স্বভাবটি পুরোদমে বাজায় ছিল। তারপর জীবনজীবিকার টানে কলকাতা বসবাস শুরু করেন, কিন্তু তাঁর গল্প-উপন্যাসের বেশিরভাগ গ্রামের পটভূমিতে লেখা। (পুরোটা পড়তে ক্লিক করুন
স্মরণ
আবদুশ শাকুর

মুহিত হাসান দিগন্ত

আবদুশ শাকুর চলে গেলেন, বড্ড আগেই। অনেক কিছু দেবার বাকি ছিল, বলার বাকি ছিল তাঁর। তাঁকে নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি বা উপলদ্ধি এখানে সাজাবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
 (পুরোটা পড়ার জন্য ক্লিক করুন)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ