জীবন ও মৃত্যু যার জাদু বাস্তবতাই

জীবন ও মৃত্যু যার জাদু বাস্তবতাই
আনিসুল হক
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসকে নিয়ে তারই ঢঙে একটা বর্ণনা লিখেছিলেন সালমান রুশদী। ১৯৮২ সালে। লন্ডন রিভিউ অব বুকস-এ। রুশদীর বর্ণনাটা অনেকটা এই রকম-ছাপাখানা আবিষ্কৃত হওয়ার পরে একটা ভূতে-পাওয়া ছাপাখানা থেকে অবিরত বই বেরুতে লাগল। মাছির চেয়েও দ্রুতগতিতে বংশবিস্তার করছে সেই বই। ছেয়ে যাচ্ছে ফুটপাত, রাস্তা, শহর, তারপর গল্পগুলো ছুটে চলেছে নদীর দিকে। সবাইকে সেই বই পড়তেই হচ্ছে। যদি কেউ অন্ধ হয়, তাহলেও তার মুক্তি নেই। কারণ চারদিকে সেই গল্প বলাবলি হচ্ছে। চারদিকে শুধু বই আর বই, কাহিনী আর কাহিনী, সেই কাহিনী মিশে যাচ্ছে সমুদ্রেরও জলে।

রুশদী বলছেন, এই রকমের একটা ঘটনাই ঘটিয়ে থাকেন মার্কেস। তার বই যখন বেরোয়, তখন সেই খবরটাও দৈনিক পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয়। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’ বিক্রি হয়েছিল ৪০ লাখ কপি। 

মনে রাখতে হবে, তখনও মার্কেস নোবেল পুরস্কার পাননি। রুশদী ওই প্রবন্ধেই লিখেছেন, হয়তো মার্কেসকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হবে না, কারণ তিনি বাম, ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে তার ওঠাবসা। তারপর যখন মার্কেস ১৯৮২ সালেই নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেলেন, তখন তার বই কত কত মিলিয়ন কপি সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় বৈধ ও অবৈধভাবে অনূদিত হয়ে বিক্রি হতে লাগল, তার হিসাব কে রাখবে।

আমরা জানি, ক্যাস্ত্রোর বন্ধু ছিলেন মার্কেস, আবার এও জানি, ক্লিনটনও তার ভক্ত। যেমন তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামাও। ডান থেকে বাম, পপ গায়িকা শাকিরা থেকে বাঙালি চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেন। তার অনুরাগীদের বিস্তৃতিটা দেখুন। কে এই লোক, কোন কলম্বিয়ায় তার জন্ম, কোন মেক্সিকোতে তার বাস, আর কোথায় বাংলাদেশ? তাহলে বাংলাদেশে প্রথম আলোর মতো কাগজের প্রথম পাতায় কেন তার মৃত্যুর খবর? সারা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ কেন তার জন্য কাঁদছে।

ক্যানসার ছিল মার্কেসের। দুইবারের ক্যানসার-সারভাইভর তিনি। ক’দিন আগে তিনি হাসপাতালে নীত হলেন, সেইটাও বিশাল খবর। তারপর তিনি ফিরে গেলেন বাসভবনে, আমার ফেসবুকের পাতায় আমার বন্ধুরা লিখলেন, স্যার, আজকের দিনের সুখবরটা আপনার সঙ্গে শেয়ার করছি, মার্কেস সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তার মৃত্যুর পরে সাধারণ পাঠক আমাকে ফেসবুকে লিখেছেন, স্যার, খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে, মার্কেসের মৃত্যুসংবাদ শুনে, আপনি একটা কিছু লিখুন। সত্যি সত্যি, রুশদী মার্কেসকে নিয়ে যে জাদুবাস্তবতাময় বিবরণ লিখেছিলেন সেই ১৯৮২-তেই, তাই ঘটতে দেখছি এখন, পৃথিবীজুড়ে, এই বাংলাদেশে। 

আমাদের লেখকবন্ধু মাহবুব মোর্শেদ মার্কেসের মৃত্যুর পরে ফেসবুকে লিখেছেন, যায়যায়দিন পত্রিকায় তার কাজ করার সময়ের অভিজ্ঞতা। শফিক রেহমান তাঁকে ডেকে বলেছিলেন, এই কাগজে আর এন ট্যাগোর আর কে এন ইসলামকে নিয়ে কিছু ছাপা হবে না। আর এন ট্যাগোর আর কে এ ইসলাম কে, বুঝেছ তো? ছাপা হবে না, কারণ এসব কেউ পড়ে না। আর ছাপা হবে না মার্কেসকে নিয়ে কিছু। কারণ তোমরা যারা আজিজ সুপার মার্কেটে ঘোরাফেরা করো, তাদের ফ্যাশন হলো মার্কেস। তোমরা মার্কেস পড়েছো কিনা আমার সন্দেহ আছে। তাকে নিয়ে কোনো কিছু ছাপা হবে না।

আমি মাহবুব মোর্শেদকে (বা রুশদীকেও) সরাসরি উদ্ধৃত করছি না, স্মৃতি থেকে লিখছি, ভাষা এদিক-ওদিক হবে, কিন্তু মূল কথাটা একই থাকবে। কিন্তু শফিক রেহমানের এই উক্তির মধ্যে একটা ভালো সূত্র আমরা পাব। তা হলো, বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম আর মার্কেসের নাম একই অনুচ্ছেদে পড়তে হয়। তবে অনেকেই মার্কেস পড়েনি। কিন্তু তার নাম নেয়াটা ফ্যাশন। এইখানে আমি বলে রাখি, আমরা রবীন্দ্রনাথও পড়ি না, নজরুল ইসলামও পড়ি না, আমরা কিছুই পড়ি না। নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটাই বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ পড়েনি, পড়লে এর তাৎপর্য অনুধাবন করেনি। যদি বাংলাদেশের মানুষ বিদ্রোহী কবিতার মর্ম উপলব্ধি করত, তাহলে তারা চিরদিনের মতো বদলে যেত, বাংলাদেশের বহু দুঃখকষ্টের অবসান আপনাপনিই ঘটে যেত। 

কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল ইসলাম না পড়লেও বাংলাদেশে তাদের অগ্রাহ্য করা যায় না। এরা আমাদের ভাষার সঙ্গে, বাগধারার সঙ্গে, চিন্তা ও স্বপ্নের সঙ্গে বাতাসের মতো মিশে আছেন, কাজেই কেউ যদি কোনোদিন রবীন্দ্রনাথের কোনো লাইন না পড়ে থাকেন, তিনি নিজের অজান্তেই রবীন্দ্রনাথ দ্বারা স্পৃষ্ট হয়ে আছেন। নজরুল দ্বারা প্রাণিত হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের অস্তিত্বেরই অংশ। এই দুই নামের সঙ্গে একটু বিরতি দিয়ে যখন মার্কেসের নাম আসে, তখন বিস্মিত হতে হয়। রুশদীর কল্পনাই হয়তো ঠিক, মার্কেসের কাহিনী মিশে গেছে সমুদ্রের জলে, বাতাসে, আকাশের মেঘে। আমাদের কাছেও চলে এসেছেন মার্কেস। একজন লেখকের শক্তি কি বিপুল বিস্তারিত হতে পারে, মার্কেস মৃত্যু দিয়ে তা দেখিয়ে দিলেন। যাকে বলে জাদু বাস্তবতা, মার্কেস বলেছেন, তা লাতিন আমেরিকার নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের ঘটে যাওয়া ঘটনাই বলি, আপনাদের কাছে তাকে জাদুবাস্তব বলে মনে হয়। তিনি বলেছেন, তাদের ওখানে যখন রেললাইন বানানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তখন বলা হলো, লোহা আমদানি করতে খরচ বেশি পড়ে যাবে, সোনা দিয়ে রেললাইন বানানো যায় কিনা। তিনি বলছেন, ওখানে মুরগির পেটে সোনার দানা পাওয়া যেত।

সরলা এরেন্দিরায় তিনি দেখিয়েছেন, উলিসিস যখন প্রেমে পড়ে, সে হাত দেয়া মাত্রই সব কাচের জিনিস রঙ পাল্টে ফেলে। তখন তার মা বললেন, মেয়েটা কে? তুই নিশ্চয়ই প্রেমে পড়েছিস। প্রেমে পড়লেই কেবল এই রকম ঘটতে পারে।

মার্কেস বলছেন, প্রেমের উথালপাথাল ব্যাপারটা নিয়ে এত কথা লেখা হয়েছে যে, ব্যাপারটা বোঝাতে আমি নতুন আর কী করতে পারি। তাই এই রকম লিখলাম। কাচের কোনো জিনিসে প্রেমে-পড়া তরুণটির হাত পড়া মাত্রই তা রঙ পাল্টে ফেলছে। 

তেমনি আমরা দেখি, সরলা এরেন্দিরাতেই, এরেন্দিরার দাদিকে যখন উলিসিস খুন করবে বলে ছুরি চালাচ্ছে, তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক আর সেই রক্তের রঙ সবুজ। কিংবা তার ছোটগল্পে বিশাল ডানাওয়ালা এক বুড়ো থুত্থুরে এসে পড়ে থাকে ডাঙায়, জনপদের মানুষ তাকে ধরে এনে রেখে দেয় মুরগির খোঁয়াড়ে, তাকে দেখার জন্য ভিড় জমে গেলে টিকিট কাটারও ব্যবস্থা করা হয়। এইসব ঘটনা বাস্তবে ঘটে না। কিন্তু আমরা এক মহাদেশে বসে আরেক মহাদেশের বাস্তবতা হয়তো বুঝতেই পারি না। 

যেমন বাংলাদেশের বাস্তবতা কি আমরা বোঝাতে পারব ইউরোপীয়দের, কিংবা আমেরিকানদের? এখানে সোনারগাঁও হোটেলের বিপরীতেই কারওয়ানবাজারে গাছের ওপরে ঘর বানিয়ে থাকে একজন রিকশাওয়ালা, ঝড়ে-বৃষ্টিতে ওটাই তার বাড়ি, মশাই তার একমাত্র সমস্যা। এখানে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে কেউ জুতাপরা বন্ধ করে দেয়, দশকের পর দশক খালি পায়ে থাকে। আমার জেঠাইমা আমাকে গল্প বলতেন, আমার মনে আছে, গোবিন্দগঞ্জের অজপাড়াগাঁয়ে সত্তরের দশকের দিকে, আমি ভাত খাচ্ছি রান্নাঘরের মেঝেতে পিঁড়িতে বসে, সামনে কাসার থালা, জেঠাইমা বলছেন, বাবা কী বলব, সেদিন তো ওই বাড়ির মেয়ে রূপালীকে ধরে নিয়ে গেল ওরা, তুলে রেখে দিল তেঁতুলগাছের মগডালে, ওই চিকন ডালে কেউ থাকতে পারে না, ওখানে কোনো মানুষ চড়তে পারে না, বুঝছ তো ব্যাপারটা... আমি স্বচক্ষে দেখেছি, খলিফা সাহেবের ছোটমেয়েকে জিনে ধরেছে, ওঝা এসেছে, হুজুর একটা সাদা থালায় মুরগির রক্ত ভেজানো পালকের কলম দিয়ে লিখলেন নানা মন্ত্র, তারপর মেয়েটিকে জিগ্যেস করলেন, তুমি কেন ওকে ধরেছ, বাড়ির মেয়ে, জিনের গলায় বলছে, ও কেন আমার গায়ে পাড়া দিয়েছিল...

গার্সিয়া মার্কেসের একটা গল্প আমি দুইবার অনুবাদ করে গদ্যকার্টুনে ছেপেছি। ওয়ান অব দিজ ডেজ। একজন দাঁতের ডাক্তারের গল্প। তিনি একজন মেয়রের দাঁত তুলেছিলেন এনেসথেসিয়া ব্যবহার না করার জন্য। তারপর বলেছিলেন, আমাদের শহরে যে মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে, এটা হলো তার প্রতিশোধ। আমাদের শহরও তো এখন গুমেরই শহর। মার্কেসের বই আছে, নিউজ অব আ কিডন্যাপিং। আমরাও আমাদের গুমের খবর দিয়ে বই করতে পারব।

গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’ এর কথা আমাদের মনে পড়বেই। মাকান্দো নামের জনপদটিতে হঠাৎ অনিদ্রা দেখা দিল। ওই জনপদের প্রতিষ্ঠাতা হোসে আর্কাদিও বুয়েন্দিয়া বলেন, ‘কখনও আর যদি না ঘুমোয় তো খুবই ভালো হয়। জীবনের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে।’

কিন্তু যেটা হলো, ওই জনপদের সবাই অনিদ্রার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যেতে লাগল। সবকিছুর নাম ও ব্যবহার তারা ভুলে যাচ্ছে। তা ঠেকাতে তারা জিনিসপাতির গায়ে নাম ও তাদের ব্যবহার লিখে রাখতে শুরু করল। যেমন গরুর গায়ে তারা লিখে রাখল, ‘এটা হলো গরু। যাতে সে দুধ উৎপাদন করতে পারে, সেজন্য রোজ সকালে তাকে অবশ্যই দোহাতে হবে। আর সেই দুধ অবশ্যই জ্বাল দিতে হবে, যাতে করে কফির সঙ্গে মিশিয়ে কফি ও দুধ বানানো যায়।’ আমাদের দেশেও আমরা এই রকম ঘুমের মধ্যে দিয়ে আর বিস্মৃতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি না কি? 


মার্কেসের সাহিত্যের মূল বিষয় প্রেম, পরিবার আর একনায়ক। সারা পৃথিবীর মানুষ ভালোবাসাকে ভালোবাসে। মার্কেসের পাত্রপাত্রীরা প্রেমে পড়ে। তুমুল সেই প্রেম। লাভ ইন দি টাইম অব কলেরায় যেমন প্রেমের জন্য পাগলামি, দয়িতাকে চিঠি লেখা, তার বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার বর্ণনা পাব, তেমনি অসংখ্য প্রেমের চিঠির কথা পাব ক্রনিকল অব এ ডেথ ফোরটোল্ড-এও। অফ লাভ এন্ড আদার ডেমনসও প্রেমেরই গল্প, যেমন তার গল্প মৃত্যুই ধ্রুব প্রেমের পরপারে-তে দেখব বুড়ো সিনেটরকে প্রেমে পড়তে, এমনকি নির্বাচনী প্রচারাভিযানে গিয়েও থামে না তার প্রেমাভিসার।

কিন্তু তার প্রায় সব গল্পই ফাঁদের গল্প। অফ লাভ এন্ড আদার ডেমনসে নায়িকাকে কুকুরে কামড়েছে, তার সঙ্গে আর যাদের কামড়েছে, তারা সবাই মারা গেছে। এখন কী হবে? ক্রনিকল অব এ ডেথ ফোরটোল্ডস এ সান্তিয়াগোকে মারা হবে, এটা সবাই জানে, শুধু সে ছাড়া। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মার্কেস তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি কাফকার মেটামরফসিসের প্রথম লাইন পড়ে চমকে উঠেছিলেন, যেখানে গ্রেগর সামসা সকাল বেলা উঠে দেখে সে একটা পোকায় পরিণত হয়েছে। মার্কেসের লেখায় অস্তিত্ববাদ খুব প্রবলভাবে আছে। কিন্তু তারপরেও তিনি অস্তিত্ববাদী নন। তিনি আশাবাদী। যদিও তার চরিত্ররা মহাদেশীয় ফাঁদ, কিংবা নিয়তির ফাঁদের বাইরে বেরোতে পারে না, যেমন পারবে না ‘আমি শুধু টেলিফোনটি ব্যবহার করতে এসেছিলাম’-এর হতভাগিনী নারীটি। তবুও তিনি ঘোষণা করেন জীবনেরই জয়গান। তার সাক্ষাৎকারে যেটা আমরা অনেকবার পড়েছি। তিনি বলেন, আমি আমার বিপ্লবী লেখক বন্ধুদের বলি, সবচেয়ে বড় বিপ্লবী কাজ হলো নিজের লেখাটা সুন্দর করে লেখা।

নোবেল পুরস্কার ভাষণে মার্কেস যা বলেছেন, তার কোনো তুলনা হয় না। উইলিয়াম ফকনারকে উদ্ধৃত করে নোবেল পুরস্কার ভাষণে মার্কেস বলেছিলেন, ‘মানুষের অবসান মেনে নিতে আমি অস্বীকার করি।’ তিনি বলেছেন, ‘সমস্ত দমনপীড়ন, নির্যাতন, লুটতরাজ, আত্মবিক্রয় সত্ত্বেও আমাদের উত্তর হচ্ছে-জীবন। না বন্যা, না মহামারী, না বুভুক্ষা, না প্রলয়ঝড়, এমনকী শতাব্দীর পর শতাব্দীজুড়ে চিরকাল বয়ে চলা যুদ্ধবিগ্রহেও মৃত্যুর ওপর জীবনের নাছোড় প্রাধান্যকে হ্রাস করে দিতে পারেনি। ’

জীবনের এই জয়গান, মানুষের বিজয়ের গান তিনি গেয়ে গেছেন তার নিজস্ব ভাষায়, নিজস্ব ধরনে। 

তার অনুরণন বেজেছে এই সুদূরের দেশেও। তাঁর মৃত্যুতে সারা পৃথিবীতে যে শোকের বন্যা বইছে, তাও যেন জাদু বাস্তবতাই।  
- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/feature-friday/2014/04/25/68455#sthash.2pSk8wln.dpuf

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ