সাজেদা হক
অনেক সময় গল্পে এক বা একাধিক চিঠি বা পত্র যোগ করলেই সেটি পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠে। গল্পে এমন পত্র-যোগ আগেও হয়েছে, এখনো হয়। হয়তো ভবিষ্যতেও হবে। কথা সাহিত্যিক হিসেবে গল্পে বা সাহিত্যে এমন পত্র-যোগ কখনও প্রয়োজনে, কখনওবা তথ্য সংযুক্তির কৌশল হিসেবে আবার কখনওবা গল্পের মোড় হিসেবে যোগ হয়েছে পত্র। গল্পে পত্র কখনও হাতিয়ার, কখনও পরাজয়ের কারণ, কখনোবা মিলনের একমাত্র সুত্র। সুতরাং গল্পে পত্রের চাহিদা আগেও ছিলো, আছে থাকবে। আজকের এই প্রতিবেদনটি গল্পে পত্র যোগের সেকাল-একাল নিয়ে।
অতীত কথা কয়। সে কথা অন্য অনেকের চেয়ে ভিন্ন। হোক সে আবেগের বসে কিংবা সচেতনভাবেই। কখনও কখনও পাঠকরা বুঝতেই পারেন না যে, কেনো একটি গল্পে বা কথাসাহিত্যে চিঠি বা পত্র যুক্ত করেন লেখকরা? উদাহরন হিসেবে নিচে একটি চিঠি যুক্ত করা হলো। এটি ১৮১৪ সালের ম্যান্সফিল্ড পার্কে লেখা লেডি বার্টরাম এর একটি চিঠি। জেন অস্টিনের বিখ্যাত একটি সাহিত্যের একটি অংশ পাঠদের জন্য তুলে ধরা হলো :
লেখার অভ্যাস বার্টম্যানের বহুপুরোনো। অভ্যাসবশতই অনেকটা এলোমেলোভাবেই লেডি বার্টম্যান লিখছেন; তার অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কথা, চাকরি হওয়ার কথা। কিভাবে দায়িত্বশীল হয়ে উঠছেন সেসব কথা। শখ, স্বভাব, ফ্যাশনসহ সাধারণ সব বিষয়ই লিখে রাথেন তিনি। লিখতে বাদ দেন না ভাইঝি’র কথা। ডাক্তার গ্রান্ট এর সব হারানোর কথা, সকালে তাকে ফোন দেয়ার কথা, সব সব। কিছুই লিখতে বাদ দেন না লেডী বার্টম্যান।
পাঠক, এই ডায়েরী পড়ে কি ভাববে বলুন তো? হ্যা, ঠিক ধরেছেন। এই লেখাই পরিচয় করিয়ে দেবে লেডী বার্টম্যান চরিত্রটিকে। তার ধ্যান-ধারণা, স্বভাব, এমনটি অন্যের সাথে সম্পর্ক কি- তাও এই লেখাতেই বোঝা যাবে। পাঠক বুঝতে শিখবেন, আসলেই এমনই লেডী বার্টম্যান। এমনকি এইরকম ডায়েরি লেখার অভ্যাস কিংবা পত্র লেখার মাধ্যমে আমরা ইতিহাসকে, অতীতকে, কখনো কখনো ভবিষ্যত স্বপ্নকেও বন্দী করতে পারি। সেসব অতীত, ইতিহাস কিংবা স্বপ্নে আপ্লুত হতে পারেন আপনার আগামীর পাঠক। কালের বিবর্তনে আপনি হয়ে উঠতে পারেন স্মরনীয়, বরণীয়। অনেক সাহিত্যেই ২০০ বছরের পুরোনো ইতিহাসকে, অতীতকে পত্র হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে!
এই লেখায় যেভাবে ১৮০০ শতককে নিজের ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেডী বার্টম্যান। অষ্টাদশ শতকের সমস্যা, সামাজিক প্রেক্ষাপট, মূল্যবোধ, সামাজিকতা, সম্পর্ক একটি মাধ্যম দ্বারা (চিঠি আকারে) প্রকাশ করেছিন তিনি। হয়তো এটাই কাল থেকে কালে যুক্ত থাকার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম ছিলো সেই শতকে।
চিঠি লেখার মাধ্যমেই রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা, দর্শন, ইতিহাস, উপদেশ সবই উপস্থাপনের একটা কৌশল হতে পারে গল্পে পত্রযোগ। এসবই সময়কে, কালের বিবর্তনকে ধরে রাখে অপন মহিমায়। সপ্তদশ শতকের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক স্যামুয়েল রিচার্ডসন তার তিনটি উপন্যাসে যুক্ত করেছেন পত্র, যা এখনো পাঠকপ্রিয়।
পত্র শৈলীর একটি বড় সুবিধা হলো চরিত্রের চিন্তাকে সহজেই পাঠকবোধ্য করে তোলা। চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিনিধিত্ব করার একটি কৌশল হিসেবে পত্র শৈলী যুক্ত হতে পারে। চিঠির সম্বোধন, বিশ্লেষণ, কিংবা দর্শন, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও লেখক হিসেবে আপনি পত্রশৈলীর মাধমে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এতো বেশি হয় যে, একজন অন্যজনকে শ্রেনীতে বিভক্ত করতো কেবল তাদের পোশাক দিয়ে। পোশাকই মানুষের পরিচয় হয়ে উঠেছিলো।এখানে শেখ সাদীর কথা বলা যেতে পারে। যিনি শুরুতে সাধারণ পোষাক পরে গেলে রাজ দরবার থেকে বিতাড়িত হন। পরে সেই শেখ সাদীই যখন ভালো আর আড়ম্বরপূর্ণ, ঝলমলে পোশাক পরিধান করে রাজসভায় উপস্থিত ন, তখন সেই শেখ সাদী সমাদৃত হন। হয়ে উঠেন রাজার নয়নমনি। এমন অনেক সময়কেই তুলে ধরার জন্য লেখক হিসেবে আপনি আপনার গল্পে সাহায্য নিতে পারেন পত্রের।
আস্থা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে যুক্ত হতে পারে পত্র। ভালোবাসা, কিংবা বিচ্ছেদের জন্য বেছে নিতে পারেন পত্র মাধ্যম। যা চরিত্রটি সরাসরি বলতে পারছে না, বা বলা কঠিন হচ্ছে-এমন জটিল সমস্যার সমাধানও করে দিতে পারে পত্র শৈলী।
নারী ও চিঠি :
চিঠি লেখকের চরিত্র হিসেবে সাধারণ পাঠক নারীকেই বেশি পছন্দ করেন। কারণ বেশিরভাগ সময়ই নারী চরিত্রটি প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রকাশ করতে পারে না, প্রতিশোধ নিতে পারে না। মুখ ফুটে বলতে পারে না নিজের চাওয়া-পাওয়ার কথা, ভাব-ভালোবাসার কথা, হিংসা-বিদ্বেষের কথা। তাই এমন একটি চরিত্রকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে সাহিত্যে যোগ করতে পারেন পত্র।
যেনো নারীর ইচ্ছেগুলোই কালো অক্ষরে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা যায়। কথনও ধর্মের দোহাই দিয়ে, কখনও পরচর্চার মাধ্যম হিসেবেও পত্রকে গল্পে যোগ করা যেতে পারে। অষ্টাদশ শতকে কথাসাহিত্যে পত্র যোগের প্রচলন বেশ প্রশংসিত হয়েছিলো। বলা যায়, পত্র শৈলী ছাড়া সাহিত্য যেনো কল্পনাই করতে পারতেন না সাহিত্যিকরা। সতী নারীরবীরত্ব গাথা, বীরাঙ্গনাদের কাহিনী, কিংবা পুরোহিতের বয়ানে নারীকে অভিশপ্ত করার কল্পকাহিনী সংযুক্তে পত্র যোগ করতে পারেন সাহিত্যিকরা।
ত্যাগের বাহন হিসেবে পত্র যোগ
কোনো কিছুকে বিসর্জন দিতে স্বরণাপন্ন হওয়া যায় পত্রের। একটি পত্রের মাধ্যমে প্রিয কোন বস্তুকে ত্যাগ করার ইচ্ছা জানাতে পারেন যে কোনো চরিত্র। প্রিয় চাওয়া-আকাংখার ত্যাগ করার ঘোষণা দিতে পারেন চরিত্রের মাধ্যমে। এমন বহু পুরোনো প্রেমাখ্যান হিরা-রাঞ্ঝা, লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাত কাহিনীতে আমরা এমন অনেক ত্যাগের বিবরন পেয়েছি পত্রের মাধ্যমে। তাই কথা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পত্র যোগ একটি অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার।
বুদ্ধিমান লেখক হিসেবে আপনি আপনার গল্পে, সাহিত্যে প্রতকেও সংযুক্ত করতে পারেন সাবলীলভাবে। মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে যোগ করতে পারেন পত্র শৈলী। পাঠককে চিনিয়ে দিতে পারেন আপনার জাত। কোন অংশেই কম নন আপনি, না হয় এটাও জানুক আপনার ভক্তরা। আমি তো অন্তত তাই বলবো, আপনি কি বলেন?
অনেক সময় গল্পে এক বা একাধিক চিঠি বা পত্র যোগ করলেই সেটি পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠে। গল্পে এমন পত্র-যোগ আগেও হয়েছে, এখনো হয়। হয়তো ভবিষ্যতেও হবে। কথা সাহিত্যিক হিসেবে গল্পে বা সাহিত্যে এমন পত্র-যোগ কখনও প্রয়োজনে, কখনওবা তথ্য সংযুক্তির কৌশল হিসেবে আবার কখনওবা গল্পের মোড় হিসেবে যোগ হয়েছে পত্র। গল্পে পত্র কখনও হাতিয়ার, কখনও পরাজয়ের কারণ, কখনোবা মিলনের একমাত্র সুত্র। সুতরাং গল্পে পত্রের চাহিদা আগেও ছিলো, আছে থাকবে। আজকের এই প্রতিবেদনটি গল্পে পত্র যোগের সেকাল-একাল নিয়ে।
অতীত কথা কয়। সে কথা অন্য অনেকের চেয়ে ভিন্ন। হোক সে আবেগের বসে কিংবা সচেতনভাবেই। কখনও কখনও পাঠকরা বুঝতেই পারেন না যে, কেনো একটি গল্পে বা কথাসাহিত্যে চিঠি বা পত্র যুক্ত করেন লেখকরা? উদাহরন হিসেবে নিচে একটি চিঠি যুক্ত করা হলো। এটি ১৮১৪ সালের ম্যান্সফিল্ড পার্কে লেখা লেডি বার্টরাম এর একটি চিঠি। জেন অস্টিনের বিখ্যাত একটি সাহিত্যের একটি অংশ পাঠদের জন্য তুলে ধরা হলো :
লেখার অভ্যাস বার্টম্যানের বহুপুরোনো। অভ্যাসবশতই অনেকটা এলোমেলোভাবেই লেডি বার্টম্যান লিখছেন; তার অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কথা, চাকরি হওয়ার কথা। কিভাবে দায়িত্বশীল হয়ে উঠছেন সেসব কথা। শখ, স্বভাব, ফ্যাশনসহ সাধারণ সব বিষয়ই লিখে রাথেন তিনি। লিখতে বাদ দেন না ভাইঝি’র কথা। ডাক্তার গ্রান্ট এর সব হারানোর কথা, সকালে তাকে ফোন দেয়ার কথা, সব সব। কিছুই লিখতে বাদ দেন না লেডী বার্টম্যান।
পাঠক, এই ডায়েরী পড়ে কি ভাববে বলুন তো? হ্যা, ঠিক ধরেছেন। এই লেখাই পরিচয় করিয়ে দেবে লেডী বার্টম্যান চরিত্রটিকে। তার ধ্যান-ধারণা, স্বভাব, এমনটি অন্যের সাথে সম্পর্ক কি- তাও এই লেখাতেই বোঝা যাবে। পাঠক বুঝতে শিখবেন, আসলেই এমনই লেডী বার্টম্যান। এমনকি এইরকম ডায়েরি লেখার অভ্যাস কিংবা পত্র লেখার মাধ্যমে আমরা ইতিহাসকে, অতীতকে, কখনো কখনো ভবিষ্যত স্বপ্নকেও বন্দী করতে পারি। সেসব অতীত, ইতিহাস কিংবা স্বপ্নে আপ্লুত হতে পারেন আপনার আগামীর পাঠক। কালের বিবর্তনে আপনি হয়ে উঠতে পারেন স্মরনীয়, বরণীয়। অনেক সাহিত্যেই ২০০ বছরের পুরোনো ইতিহাসকে, অতীতকে পত্র হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে!
এই লেখায় যেভাবে ১৮০০ শতককে নিজের ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেডী বার্টম্যান। অষ্টাদশ শতকের সমস্যা, সামাজিক প্রেক্ষাপট, মূল্যবোধ, সামাজিকতা, সম্পর্ক একটি মাধ্যম দ্বারা (চিঠি আকারে) প্রকাশ করেছিন তিনি। হয়তো এটাই কাল থেকে কালে যুক্ত থাকার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম ছিলো সেই শতকে।
চিঠি লেখার মাধ্যমেই রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা, দর্শন, ইতিহাস, উপদেশ সবই উপস্থাপনের একটা কৌশল হতে পারে গল্পে পত্রযোগ। এসবই সময়কে, কালের বিবর্তনকে ধরে রাখে অপন মহিমায়। সপ্তদশ শতকের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক স্যামুয়েল রিচার্ডসন তার তিনটি উপন্যাসে যুক্ত করেছেন পত্র, যা এখনো পাঠকপ্রিয়।
পত্র শৈলীর একটি বড় সুবিধা হলো চরিত্রের চিন্তাকে সহজেই পাঠকবোধ্য করে তোলা। চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিনিধিত্ব করার একটি কৌশল হিসেবে পত্র শৈলী যুক্ত হতে পারে। চিঠির সম্বোধন, বিশ্লেষণ, কিংবা দর্শন, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও লেখক হিসেবে আপনি পত্রশৈলীর মাধমে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এতো বেশি হয় যে, একজন অন্যজনকে শ্রেনীতে বিভক্ত করতো কেবল তাদের পোশাক দিয়ে। পোশাকই মানুষের পরিচয় হয়ে উঠেছিলো।এখানে শেখ সাদীর কথা বলা যেতে পারে। যিনি শুরুতে সাধারণ পোষাক পরে গেলে রাজ দরবার থেকে বিতাড়িত হন। পরে সেই শেখ সাদীই যখন ভালো আর আড়ম্বরপূর্ণ, ঝলমলে পোশাক পরিধান করে রাজসভায় উপস্থিত ন, তখন সেই শেখ সাদী সমাদৃত হন। হয়ে উঠেন রাজার নয়নমনি। এমন অনেক সময়কেই তুলে ধরার জন্য লেখক হিসেবে আপনি আপনার গল্পে সাহায্য নিতে পারেন পত্রের।
আস্থা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে যুক্ত হতে পারে পত্র। ভালোবাসা, কিংবা বিচ্ছেদের জন্য বেছে নিতে পারেন পত্র মাধ্যম। যা চরিত্রটি সরাসরি বলতে পারছে না, বা বলা কঠিন হচ্ছে-এমন জটিল সমস্যার সমাধানও করে দিতে পারে পত্র শৈলী।
নারী ও চিঠি :
চিঠি লেখকের চরিত্র হিসেবে সাধারণ পাঠক নারীকেই বেশি পছন্দ করেন। কারণ বেশিরভাগ সময়ই নারী চরিত্রটি প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রকাশ করতে পারে না, প্রতিশোধ নিতে পারে না। মুখ ফুটে বলতে পারে না নিজের চাওয়া-পাওয়ার কথা, ভাব-ভালোবাসার কথা, হিংসা-বিদ্বেষের কথা। তাই এমন একটি চরিত্রকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে সাহিত্যে যোগ করতে পারেন পত্র।
যেনো নারীর ইচ্ছেগুলোই কালো অক্ষরে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা যায়। কথনও ধর্মের দোহাই দিয়ে, কখনও পরচর্চার মাধ্যম হিসেবেও পত্রকে গল্পে যোগ করা যেতে পারে। অষ্টাদশ শতকে কথাসাহিত্যে পত্র যোগের প্রচলন বেশ প্রশংসিত হয়েছিলো। বলা যায়, পত্র শৈলী ছাড়া সাহিত্য যেনো কল্পনাই করতে পারতেন না সাহিত্যিকরা। সতী নারীরবীরত্ব গাথা, বীরাঙ্গনাদের কাহিনী, কিংবা পুরোহিতের বয়ানে নারীকে অভিশপ্ত করার কল্পকাহিনী সংযুক্তে পত্র যোগ করতে পারেন সাহিত্যিকরা।
ত্যাগের বাহন হিসেবে পত্র যোগ
কোনো কিছুকে বিসর্জন দিতে স্বরণাপন্ন হওয়া যায় পত্রের। একটি পত্রের মাধ্যমে প্রিয কোন বস্তুকে ত্যাগ করার ইচ্ছা জানাতে পারেন যে কোনো চরিত্র। প্রিয় চাওয়া-আকাংখার ত্যাগ করার ঘোষণা দিতে পারেন চরিত্রের মাধ্যমে। এমন বহু পুরোনো প্রেমাখ্যান হিরা-রাঞ্ঝা, লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাত কাহিনীতে আমরা এমন অনেক ত্যাগের বিবরন পেয়েছি পত্রের মাধ্যমে। তাই কথা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পত্র যোগ একটি অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার।
বুদ্ধিমান লেখক হিসেবে আপনি আপনার গল্পে, সাহিত্যে প্রতকেও সংযুক্ত করতে পারেন সাবলীলভাবে। মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়ে যোগ করতে পারেন পত্র শৈলী। পাঠককে চিনিয়ে দিতে পারেন আপনার জাত। কোন অংশেই কম নন আপনি, না হয় এটাও জানুক আপনার ভক্তরা। আমি তো অন্তত তাই বলবো, আপনি কি বলেন?
বিদেশী লেখার অনুসৃতি-----------------------------
লেখক পরিচিতি
সাজেদা হক
সাংবাদিক। লেখক।
সাজেদা হক
সাংবাদিক। লেখক।
ঢাকা।
0 মন্তব্যসমূহ