অনুবাদ : বিকাশ গণ চৌধুরী
১.------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রোমান
সাম্রাজ্যের
পতন
বাতাস যে জোরে বইতে শুরু করেছে তা আমি রোববারের বিকেলে প্রথম খেয়াল করলাম। আরো যথাযথভাবে বলতে গেলে বিকেল সাতটা বেজে দু মিনিটে।
সেই সময়, প্রত্যেক রোববারের মতোই – রোববারের বিকেলবেলায় আমি ঠিক যা করি, তাই – রান্না করার টেবিলটায় বসে বসে এই নির্দোষ কিছু গান শুনতে শুনতে আমার ডায়রিতে সারা সপ্তাহের দিনলিপি লিখছিলাম। সপ্তাহভর কবে কী ঘটলো তা কোথাও একটা টুকে রেখে তারপর রোববারে সেগুলো ডায়রিতে লিখে রাখা আমার বরাবরের অভ্যাস।
সবে তিনদিনের লেখা লিখে মঙ্গলবারেরটা শেষ করতে করতে খেয়াল করলাম যে ঝোড়ো বাতাস আমার জানালায় ঝাপ্টা মারছে। ওমনি আমি ডায়রিতে লেখবার জন্য টুকে রাখা কাগজের টুকরোগুলোকে বাক্সে পুরে, কলমে খাপ লাগিয়ে বারান্দায় গিয়ে আমার জামাকাপড় তুলতে লাগলাম; ওগুলো পরপর সারিবাঁধা অবস্থায় প্রচন্ডভাবে ধূমকেতুর লেজের মতো ঝাপটাচ্ছিল, আর বারান্দার সেই পরিসরে ছড়িয়ে দিচ্ছিল ওদের ঝট্পটানির একটা খসখসে আর্তনাদ।
সকালে বারান্দায় কাপড়গুলো মেলবার সময় আমি বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারিনি, মনে হচ্ছে শুন্য থেকে বাতাস এই দমক জোগাড় করেছে, সকালে – দশটা বেজে আঠারো মিনিটে বাতাসের কোন শব্দ ছিল না, এমনকি কোন ফিস্ফাসও না। এব্যাপারে আমার স্মৃতি ব্লাস্ট ফার্নেসের ঢাকনার মতো আঁটো, সেখান দিয়ে কিছুই বেরিয়ে যাবার উপায় নেই। কারণ এক সেকেন্ডের জন্য হলেও আমি ভেবেছিলাম : এরকম প্রশান্ত একটা দিনে কাপড় আটকাবার জন্য কোন ক্লিপের দরকার নেই।
কোথাও কোন বাতাস বইছিল না, দিন ছিল নিবাত,নিষ্কম্প।
তাড়াতাড়ি জামাকাপড়গুলো তুলে আমি ফ্ল্যাটের জানালাগুলো বন্ধ করতে লাগলাম; সবকটা জানালা বন্ধ হয়ে যাবার পর আর বাতাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম না। বাইরে, শব্দের অনুপস্থিতিতে, গাছগুলো – বেশিরভাগই হিমালয়ী সিডার আর ঘোড়াবাদাম – চুলকানিতে জর্জরিত খেঁকুরে কুকুরের মতো গা ঝাঁকাচ্ছিল। আর চোখের আড়ালে গুপ্তচরদের চতুর চাউনির মতো আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছিল মেঘ, যখন কিনা একটা ফ্ল্যাটের বারান্দায় টাঙ্গানো কয়েকটা সার্ট পাগলের মতো জড়াজড়ি করে পরিতক্ত্য অনাথদের মতো প্লাস্টিকের দড়ি আঁকড়ে প্রাণপণে ঝুলছিল।
এ সত্যিই এক ঝঞ্ঝাবাত্যা, আমি ভাবছিলাম।
যদিও কাগজ খুলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আমি কোন ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাষ খুঁজে পাই নি। বৃষ্টির সম্ভাবনা লেখা ছিল ০%। রোমান সাম্রাজ্যের তুরীয় অবস্থার মতো শান্তিময় একটা রোববারের বিকেল হবার কথা।
আমি একটা ছোট্ট, ধরো একটা বড়োর ৩০%, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, কাগজটা মুড়ে রেখে, আলমারির তাকে জামাকাপড় গুছিয়ে রাখলাম; তারপর প্রায়দিনই শুনি এরকম কিছু সাদামাটা গান-বাজনা শুনতে শুনতে কফি বানিয়ে, সেই ধোঁয়া ওঠা কাপ সামনে রেখে ডায়রি নিয়ে বসলাম।
বৃহস্পতিবার আমি আমার বান্ধবীর সঙ্গে শুয়েছিলাম। সঙ্গম করার সময় ও চোখে একটা পট্টি বেঁধে রাখতে ভালোবাসে। এজন্য ও সবসময় ওর হাতব্যাগে একটা কাপড়ের ফালি নিয়ে ঘোরে।
সত্যি বলছি এটা আমার ভাবনা নয়, তবে এভাবে পট্টিবাঁধা অবস্থায় ওকে দারুণ দুষ্টু-মিষ্টি লাগে বলে আমি ওটা করতে ওকে বারণ করতে পারি না। আর সবার ওপরে আমরা তো মানুষ, আমাদের প্রত্যেকেরই তো আলাদা কিছু একটা থাকে, তাই না।
এ নিয়ে ডায়রিতে বৃহস্পতিবারে লেখাটায় চমৎকার করে লিখলাম। ৮০% তথ্য, আর ২০% ছোট ছোট মন্তব্য, আমার ডায়রি লেখার পদ্ধতি।
শুক্রবার, হঠাৎই এক বন্ধুর সঙ্গে গিঞ্জা বুকস্টোরে দেখা হল। বেশ বদমাশদের মতো করে টাই পরা। একটা লাইনটানা কাগজে অনেক অনেক টেলিফোন নাম্বার – এটুকু লিখেছি, তখনই ফোনটা এল।
২------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভারতীয়
জাগরণ
১৮৮১
ঘড়িতে তখন দু’টো বেজে ছত্রিশ মিনিট, ফোনটা বাজলো, মনে হয় ফোনটা ওর – আমার বান্ধবীর, ওর চোখে পট্টি বাঁধার ব্যাপারে, ওই ব্যাপারটাই – কিংবা আমি ওরকমই ভাবছিলাম। যাইহোক, ও আগামী রোববার আসার কথা ভাবছে, আর আসার আগে সবসময়ই ও ফোন করে আসে, রাতের খাবারের জন্য দোকান থেকে সব কিনে নিয়ে আসে; আমরা ঐ সন্ধেয় সবজি দিয়ে ঝিনুকের গরম গরম ঝোল খাবো ঠিক করলাম।
যাইহোক ঘড়িতে তখন দু’টো ছত্রিশ, ফোনটা বাজল। টেলিফোনটার পাশেই আমার অ্যালার্ম-ঘড়িটা থাকে, তাই সর্বদা ফোন ধরবার সময় আমি সময় দেখতে পাই, ফোন ধরার একেবারে ঠিক ঠিক সময়টা মনে করতে পারি।
ফোনের রিসিভারটা তুলেই আমি শুনতে পেলাম ক্ষ্যাপা বাতাস বইবার শব্দ, একটা রাগী শোঁওশোঁওওওওওও, যেন ১৮৮১-র যুদ্ধে যাবার জন্য ভারতীয়রা ফুঁসছে, ফোনে বয়ে আসতে লাগল তাদের বাড়ি-ঘরদোর জ্বালিয়ে দেবার আওয়াজ, টেলিগ্রাফের লাইন কেটে দেবার শব্দ, যেন প্রচন্ড শব্দে ক্যান্ডিক বার্গেনের গান হচ্ছে।
“হ্যালো ?” বলার চেষ্টা করলাম, কিন্তু আমার নিঃসঙ্গ একক স্বর ইতিহাসের সব দাঙ্গার হৈ-হৈ’য়ে শব্দে আটকে যেতে লাগল।
“হ্যালো ? “হ্যালো ?” জোরে চিৎকার করে উঠলাম, না আবারও আমার স্বর কোথাও পৌঁছল না।
কান খাড়া করে আমি কোনক্রমে সেই বাতাসের শব্দের ভিতর এক হালকা স্বর শুনতে পেলাম, মনে হল কোন মহিলার কন্ঠস্বর, অথবা আবারও আমি হয়তো অন্যকিছুই শুনছিলাম। যাইহোক, হাওয়ার গতি এত প্রচন্ড ছিল যে কী শুনছিলাম তা ঠিক করে বলাই যাবে না, তবে আমার মনে হচ্ছিল অনেক অনেকগুলো মোষ যেন রাগে ধূলো ওড়াচ্ছে।
একটা কথাও বলতে পারলাম না, রিসিভারটা কানে লাগিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার কানে লেগে রইল প্রচন্ড জোরালো সব শব্দ। আমার মনে হচ্ছিল ওগুলো আমার কান ছেড়ে আর কখনও যাবে না। কিন্তু তারপর পনের কি বিশ সেকেন্ড পর টেলিফোনটা কেটে গেল। মনে হল যেন একটা জীবন্ত কিছুকে আচমকা ভেঙে কেউ বন্দী করে নিল, পরে রইল বিরাট শুন্যতাভরা এক নিঃস্তব্ধতা, উষ্ণতাহীন, রঙ-জ্বলা বিবর্ণ অন্তর্বাসের মতো।
৩---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
হিটলারের
পোল্যান্ড
আক্রমণ
এরকমটাই ঠিক হতো। আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলা গেল।আর ডায়রি লিখতে লিখতে ভাবছিলাম এই ঘটনাটা লিখেই লেখা শেষ করলে ভালো।
শনিবার, হিটলারের সাঁজোয়াবাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণ করল। ওয়ারশ’র ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বোমারু বিমান –
না, এটা সত্যি নয়। এরকমটা ঘটে নি। হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেছিল ১৯৩৯-এর ১লা সেপ্টেম্বর। গতকাল নয়। গতকাল রাতের খাওয়া শেষে আমি সিনেমা দেখতে গিয়ে সোফিস্ চয়েস-এ মেরিল স্ট্রিপকে দেখলাম।
ছবিতে মেরিল স্ট্রিপ ডাস্টিন হফ্ম্যানকে ডিভোর্স দিল, কিন্তু তারপর যেই একটা যাত্রীবাহী ট্রেনে তার সঙ্গে দেখা হল এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের, যে পার্টটা করছিল রবার্ট ডি নিরো, তার সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেল। মোটের ওপর একটা মিষ্টি ভালো ছবি।
আমার পাশেই বসেছিল কলেজপড়ুয়া এক জুটি, ওরা সিনেমার সারাটা সময় পরস্পরের পেটে হাত ছুঁইয়ে রেখেছিল। আর আপনার কলেজপড়ুয়াদের পেট, ব্যাপারটা মোটেও খারাপ নয়। আমার জন্যও, একসময় আমারও ওরকম হাত রাখার একটা কলেজপড়ুয়া পেট ছিল।
৪------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আর
ক্ষ্যাপা
বাতাসের
রাজত্ব
ডায়রিতে আগের সপ্তাহের লেখাগুলো লিখে গানের রেকর্ডের তাকের সামনে বসে সেই ঝোড়ো বিকেলে বসে বসে শোনার জন্য রেকর্ড বাছতে লাগলাম। শোস্ত্রকোভিচের একটা চেলো কনচার্তো আর স্লাই অ্যান্ড ফ্যামিলি স্টোন-এর একটা গানের অ্যালবাম বাছলাম, বাছাইগুলো সেই ঝোড়ো ক্ষ্যাপা বাতাসের সঙ্গে মানানসই হবে বলেই মনে হল; রেকর্ডদুটো একটার পর আরেকটা শুনতে লাগলাম।
প্রত্যেক মুহূর্তে কিছু না কিছু এসে জানালায় আছড়াতে লাগলো। জড়িবুটির তৈরি কূহকী স্পর্শমণির মতো একটা সাদা চাদর উড়ে এল। এল পায়ুসঙ্গমে উদ্যত শিড়দাঁড়া দোমড়ানো একটা লোকের মতো একটা লম্বা লগ্বগে টিনের টুকরো।
শোস্ত্রকোভিচের বাজনা শুনতে শুনতে যখন বাইরের এইসব দৃশ্য দেখছিলাম তখন আবার টেলিফোনটা বেজে উঠল। টেলিফোনের পাশের অ্যালার্ম-ঘড়িতে তখন ৩:৪৮।
আমি বোয়িং ৭৪৭-এর এঞ্জিনের গর্জন শুনতে পাবো ভেবে রিসিভারটা তুললাম, কিন্তু না, কোন বাতাসের শব্দ শুনতে পেলাম না।
মেয়েলি গলার একটা “হ্যালো”।
আমিও বললাম, “হ্যালো”।
“ আমি ঝিনুকের ঝোলের জিনিসপত্র কিনতে যাব ভাবছি, ঠিক আছে ?”, আমার বান্ধবী একটা কালো কাপড়ের পট্টি আর ঝিনুক-ঝোলের সব উপকরণ নিয়ে আসছে।
“দারুণ, কিন্তু – ”
“তোমার কাছে একতা ক্যাসেরোল হবে তো ?”
“তা হবে, কিন্তু কী ব্যাপার ? সেই হাওয়ার আওয়াজ তো আর শুনতে পাচ্ছি না।”
“আরে, হাওয়া তো থেমে গেছে। এখানে এই নাকানোয় তিনটে পঁচিশে ঝড় কমে গেছে। তাই আমার মনে হয় না তোমাদের ওখানেও আর বেশিক্ষণ হবে।”
“তাই হবে হয়তো,” এই বলে টেলিফোনটা রেখে আমি ওপরের তাকের পাট খুলে ক্যাসেরোতা নামিয়ে সিঙ্কে ধুয়ে রাখলাম।
যেমনটা ও বলেছিল তেমনটাই হল, ঠিক ৪:০৫-এ হাওয়া থেমে গেল। জানালাগুলো খু্লে দিয়ে আমি বাইরে তাকালাম। সরাসরি ঠিক নিচে, একটা কুকুর একমনে মাটি শুঁকে চলেছে। পনের কি বিশ মিনিট ধরে ও কাজটা করে চলল। আমি কল্পনাও করতে পারলাম না কিসের তাড়নায় ও এটা করে চলেছে।
এটা ছাড়া, ঝড়ের আগে পৃথিবীটার যেমন ছিরিছাঁদ ছিল তাই রইল, আর যেভাবে সব কাজকর্ম হচ্ছি্ল তাই আবার শুরু হল। হিমালয়ী সিডার আর ঘোড়াবাদামের গাছগুলো খোলা জমির ওপর এমন নিস্পৃহভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন দম বেরিয়ে যাবার মতো কোন কিছুই হয় নি। জামাকাপড়গুলো প্ল্যাস্টিকের দড়িতে ল্যাতপ্যাত করে ঝুলছে।টেলিফোনের
পোস্টগুলোর মাথায় একটা দুটো কাক বসে পাখা ঝাড়ছে, ক্রেডিটকার্ডের মতো তাদের ঠোঁটগুলো ঝকঝক করছে।
এসব যখন চলছে তারই মধ্যে আমার বান্ধবী এসে পড়ে রান্নার তোড়জোড় শুরু করে দিল। রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে ও ঝিনুক পরিষ্কার করে, ঝড়ের বেগে চিনে-বাঁধাকপি,তোফু এইসব কুঁচোতে লাগল, হালকা আঁচে সুরুয়া ফোটাতে বসাল।
আমি অকে জিজ্ঞেস করলাম – ও কি ২:৩৬ -এ ফোন করেছিল।
“হ্যাঁ, করেছিলাম তো,” ছাঁকনিতে ভাত ছাঁকতে ছঁকতে ও বলল।
আমি বললাম,“আমি তো কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না”।
প্রকৃতপ্রস্তাবে ও বলেছিল, “হ্যাঁ, ঠিক, ঠিক, তখন প্রচন্ড জোরে বাতাস বইছিল”।
খাবো বলে ফ্রিজ থেকে একটা বিয়ার নিয়ে আমি টেবিলের ধারে এসে বসলাম।
“কিন্তু, আসলে, হঠাৎ করে কেন এমন উন্মত্ত ক্ষ্যাপা হাওয়া, তারপর আবার আগের মতো, কিছুই না ?”
নখ দিয়ে চিংড়িমাছের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে আমার দিকে পিছন ফিরে ও বলল, “হাওয়ার ব্যাপারে এতো এতো কথা আছে যা আমরা জানি না, যেমনটা কিনা জানি না পুরনো ইতিহাসের ব্যাপারেও, অথবা ধর ক্যান্সারের ব্যাপারে কিংবা ধর সমুদ্রতল কিংবা মহাকাশ কিংবা যৌনতা।
“হুম্ম,”এটা কোন উত্তরই নয়। যাইহোক, এব্যাপারে ওর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টাকে নিয়ে এগবার আর কোন রাস্তা আছে বলে তো মনে হয় না; তাই কথা না বাড়িয়ে আমি বসে বসে ঝিনুকের ঝোলের অগ্রগতি দেখতে লাগলাম।
“কি, আমি কি তোমার পেটে হাত রাখতে পারি ?”
“পরে, পরে।”
তাই আমি ঠিক করলাম যতক্ষণ না ঝিনুকের ঝোল তৈরি হয় ততক্ষণ আমি আজকের দিনের ঘটনাগুলোর ব্যাপারে ছোট করে নোট লিখে রাখি যাতে করে পরের সপ্তাহে আমি সেগুলো নিয়ে ডায়রিতে লিখতে পারি। এই রইল সেইসব নোট :
• রোমান সাম্রাজ্যের পতন
• ভারতীয় জাগরণ ১৮৮১
• হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ
ঠিক এইটুকুই, আর এ থেকেই আগামী সপ্তাহে আমি আজ কী ঘটেছিল তা লিখে ফেলতে পারবো। ঠিকঠাক বললে আমার এই অতিযত্নের সূক্ষ পদ্ধতি অবলম্বন করি বলেই আমি গত বাইশ বছর ধরে একটি দিনেরও কথা বাদ না দিয়ে ডাইরি লিখে যেতে পেরেছি; রেখেছি প্রত্যেকটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার বিবরণ, আমার নিজস্ব কায়দায়। বাতাস বয়ে যাক আর না যাক, আমি এভাবেই বাঁচি।
4 মন্তব্যসমূহ
ব্রিলিয়ান্ট গল্প।
উত্তরমুছুনবিকাশ গণ চৌধুরীর এই অনুবাদটি আগেই প্রকাশিত হয়েছে মনকলম পত্রিকার জুন সংখ্যায়
উত্তরমুছুনগল্পপাঠ যে কোনো ভালো গল্পই প্রকাশ বা পূনঃপ্রকাশ করে। এই লেখাটি লেখক গল্পপাঠএ প্রকাশের জন্য দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনদারুন সাইট
উত্তরমুছুন