আমোস তুতুওলার গল্প : লেডি গোবরেপোকার বায়োডাটা

অনুবাদ: মোয়াজ্জেম আজিম
কয়েশ বছর আগের কথা। ইয়ানরিবো নামক এক তরুণী বাস করতো এক শহরে। সে ছিলো খুবই ক্ষমতা ও সম্পদশালী বাপের মেয়ে। তার বাবার ছিলো অগাধ ধন-সম্পদ আর গরু ছাগল। তার মাও ছিলো সেই রকম ধনী। দোলনা থেকেই তার রূপের খ্যাতি শুরু। প্রতিবেশীরা এই স্বর্গীয় সুন্দর বাচ্ছাটাকে একটু কোলে নেয়ার জন্যে সবসময় থাকতো উন্মুখ । শহরে সে ছিলো সবচেয়ে সুন্দর বাচ্ছা। বয়সের সাথে তার রূপগুন যেন পাল্লাদিয়ে বাড়তে থাকলো। সে সবচেয়ে বড় শিল্পীও হয়েছিলো, তার স্বর্ণালী সুরের ঝংকারে মানুষ মাতোয়ারা হয়ে নাচতো বেহুশ হওয়ার আগ পর্যন্ত। সে ছিলো এমন নর্তকী, যে নাচ শহরবাসী আগে কখনও দেখেনি।


ইয়ানরিবোর রূপের যাদু দেখা মাত্র চম্বুকের মত টানতো শহরের সকল যুবককে। ছেঁড়া তেনা কী গাছের পাতা সব পোশাকেই মনে হতো রূপের রাণী। তার রূপ তাকে দিয়েছিলো খ্যাতি আর শ্রদ্ধার সর্বোত্তম আসন। শহরবাসী প্রায়শই বলতো ইয়ানরিবোর রূপ শহরের গর্ব। সে ছিল সদা হাস্যময়ী, রূপসী। তার সাথে যোগ হয়েছিলো মহীয়সী নারীর সকল গুন। সে ধনী গরীব সবাইকে সমান শ্রদ্ধার চোখে দেখতো আর ভালবাসতো প্রাণ উজার করে।

সময় যাচ্ছিলো সুন্দর। ইয়ানরিবো আটারই পা রাখলো যে বছর সে বছরই চুক্তি ভঙ্গ করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো তাদের শহর অন্য এক শহরের সাথে । সে কি যুদ্ধ, ভয়ঙ্কর। সেই শহরও খুব একটা দূরে না, নাম ছিলো এবাটান। এবাটানের রাজার ছিলো অনেক সৈন্য আর তাদের রাজার ছিলো খুবই কম।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার দিনকয়েকের মধ্যেই এবাটনের সৈন্যরা ইয়ানরিবোর শহর থেকে মাত্র দু’মাইল দূরে এসে তাবু ফেললো। ইয়ানরিবোর রাজা বুঝতে পারলো যুদ্ধ করে তারা জয়ী হবে না এই সামান্য কয়টা সৈন্য নিয়ে, যদি না অন্য কোন পথ বাতলানো যায়। রাজা এবং তাঁর সভাসদ মিটিং করে পরামর্শ করতে গেল তাদের প্রভূর সাথে। কিভাবে বিনাযুদ্ধে রক্তপাত না ঘটিয়ে পরাস্ত করা যায় শত্রুদের। প্রভূ রাজাকে বললেন, সত্যিকারের সদকা দিতে হবে এবং তা রেখে আসতে হবে শত্রু শিবিরে, যা দেখে ভয়ে পালাবে শত্রুসৈন্য। প্রভু আশ্বস্ত করে বললেন, যদি তোমাদের সদকা প্রমান করে সত্যিকারের ত্যাগ এবং যদি স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রেখে আসতে পারো শত্রুদের আস্তানায়; তবে তারা খুব শীঘ্রি পালাবে।

যদিও সদকার উপাদান ও আয়োজনের রীতি ছিলো খুবই অদ্ভূদ বৈচিত্র্যময় ও ভয়ঙ্কর তথাপি রাজা ও তাঁর সভাসদ সকলের প্রাণপন চেষ্টায় তা যোগার হলো অল্প সময়ের মধ্যেই। ভোগের অনেক রকম উপাদানের মধ্যে ছিলো একটা বিশাল গোবরে পোকা, সেটাকে রাখা হলো বিশাল একটা মটকায়। ভাল করে আটকে দেয়া হলো মটকার মুখ। কিন্তু রাজা আর সভাসদরা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলো না কে নিয়ে যাবে এই বিশাল সদকার বহর? কে পারবে রেখে আসতে শত্রুশিবিরে? তাঁদের মনে হলো আবারো প্রভুর সাথে পরামর্শ করার কথা। তিনি নিশ্চয় সঠিক ব্যক্তির খোঁজ দিতে পারবে। রাজা আরাবো প্রভুর দ্বারস্থ হলেন। প্রভু বললেন, এই শহরের সবচেয়ে সুন্দরী কুমারী কন্যা যে কখনও পুরুষের স্পর্শ পায়নি সেই পারবে এই সদকা পৌঁছে দিতে। প্রভু আরো বললেন, বহনকারীকে অবশ্যই তা মাথায় করে নিয়ে যেতে হবে এবং রেখে আসতে হবে শত্রুশিবিরের ভিতর। প্রভু জোর দিয়ে আরো বললেন, যদি বহনকারী সদকার বহর শিবির পর্যন্ত না নিয়ে চালাকী করে মধ্য পথে বনের মধ্যে ফেলে দিয়ে ফিরে আসে এবং রাজাকে আশ্বস্ত করে যে সে তার কাজ ঠিক মতই করেছে। তবে সে নিমেষেই মানুষ থেকে গোবরে পোকায় রূপান্তরিত হবে এবং হামাগুড়ি দিয়ে গহীন বনে টুকে যাবে।

আদিও ইয়ানরিবোর পিতা, রাজা ও সভাসদ সবাই ঈশ্বরের এই আদেশ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায়। কে করবে এই প্রস্তাব আদিও কে? কে বাধঁবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা? কারোরই সাহস নাই আদিও কে এই প্রস্তাব করার। রাজা আদিও ছাড়া সবার চোখে চোখ রাখে কিন্তু কেউ টু শব্দটি করে না। সবাই এক পলকের পর মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে। আদিওর চোখ মুখ আগুনের মত রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। কারণ সে জানে তাঁর মেয়েই এই তল্লাটে সবচেয়ে সুন্দরী। তাঁর মেয়েকেই ঈশ্বর পছন্দ করেছেন সদকা বহনের জন্যে। কিন্তু না রাজা না সভাসদ কেহই কোন শব্দ করতে পারছিলো না। সবাই শুধু শোক ও দুঃখে ঘনঘন মাথা নাড়ছিলো। হঠাৎ সভাসদদের মধ্যে একজন প্রস্তাব করে, রাজার তো অনেক ক্রীতদাস আছে, ঈশ্বর হয়তো তাদের একজন কে পছন্দ করবে। হ্যাঁ ঠিক বলেছেন সবাই একসাথে চিৎকার করে উঠেন। আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়। সঠিক সময়ে মনে করেছেন সঠিক কাজটির কথা। চলুন দেরি না করে এখনই ঈশ্বরের কাছে জেনে আসি তিনি আমার ক্রীতদাসদের কাউকে পছন্দ করবেন কিনা। সাথে সাথে রাজা ও সভাসদ হুড়মুড় করে রওয়ানা হলো ঈশ্বরের বাড়ি। তাঁরা ঈশ্বরের কাছে জানতে চাইলো কোন ক্রীতদাস ইয়ানবিরোর পরিবর্তে এই কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে কিনা।

ঈশ্বরের স্পষ্ট জবাব ‘না’

এই মাটিতে জন্মানো সবচেয়ে সুন্দরী কুমারীই কেবল এই কাজ সুসম্পন্ন করতে পারবে, অন্য কেউ নয়।

সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ফিরে আসে। তাঁরা বুঝতে পারে সামনের অমানিশা এবং কেউ কাউকে শুভরাত্রী না জনিয়ে গুমরো মুখে স্থান ত্যাগ করে। সবাই বাড়ি ফিরে আসে। এমনকি আদিও বাড়ি ফিরে আসে আর সবার মতই।

কিন্তু বিষয়টি বেশীক্ষণ কারো পক্ষেই ভুলে থাকা সম্ভব না, এ যেন তুষের আগুন হয়ে জ্বলছে সবার মনে। মধ্যরাতে সভাসদ আবার বসলো গোপন মিটিংএ। রাজা ও সভাসদ নানা ভাবে চিন্তা করে দেখলো কিভাবে আদিও কে রাজি করানো যায় তাঁর মেয়েকে সমর্পণে। রাজা ভয়ার্ত কন্ঠে বললো, আমার সাহসে কুলাবে না আদিও কে বলতে। একজন সিনিয়র মন্ত্রী দৃঢ়কন্ঠে বললেন, আমি বলবো আদিওকে যদি রাজা আমাকে সাপোর্ট করেন। এক মূহুর্ত দেরি না করে রাজা ঘোষনা করলেন, অবশ্যই আমি তোমাকে সাপোর্ট করবো যদি তুমি আদিও কে বলতে পারো। তখন রাজা একজন সিপাহীকে পাঠালেন আদিও কে এক্ষুনি বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্যে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিপাহী আদিও সহ ফেরৎ আসলো।

আদিও কুর্নিশ করে নিজ আসনে বসলেন। বলুন মহারাজ আমাকে কেন ডেকেছেন। সে রাজা ও সভাসদদের দিকে করুণ ও বিস্ফারিত চোখে তাকাচ্ছিলেন। সিনিয়র মন্ত্রী কম্পিত কন্ঠে শুরু করলেন, তুমি জান যে আমরা আমাদের রাজ্যে সুন্দরী কুমারী খুঁজে পাওয়া নিয়ে মহা সমস্যায় আছি। তুমি এও জান যে তো-মা-র তো- তো- মার ক- ন্যা ইয়-ইয়ানরিবো সবচেয়ে সুন্দরী এ শহরে। আমাদের তুমি রক্ষা কর আদিও। আমরা খুবই কৃতজ্ঞ হবো যদি তুমি তোমার কন্যা ইয়ানরিবো কে সমর্পণ কর আমাদের সদকা বহনের জন্যে। মন্ত্রী মহোদয় ভয়ে তোতলাতে তোতলাতে ও কাঁপতে কাঁপতে মেঝেতে পড়ে হামাগুড়ি দিতে থাকলেন।

আদিও অসম্ভব রেগে মন্ত্রীর দিকে ছুটে গেলেন এবং ভয়ঙ্কর রকম গর্জে উঠলেন, কে তোমাকে পাঠিয়েছে আমাকে এ কথা বলতে?

রা-রা-রাজা! রাজা আমাকে ব-বলেছে তোমাকে এ-এ- ক-কথা বলতে। রাজা ও মন্ত্রী দু’জনেই মাটি তাফরায়ে আহাজারি করতে শুরু করলেন। রাজা তখন মেকি রাগ দেখিয়ে বললেন, আমার সামনে তুমি আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলছো তুমি একজন সিনিয়র মন্ত্রী হয়ে। মন্ত্রী আরো রেগে গিয়ে রাজাকে বললেন, তুমিইতো আমাকে এমত নির্দেশ দিলে। রাজা ভয়ে চিৎকার করে নিজের বুকে চাপর মারছেন আর বলছেন, না আমি নয়, আমি নয়।

আদিও সবই বুঝতে পারলেন এবং গর্জন করে বললেন, আহ: বন্দ কর তোমাদের ওজুর আপত্তি। রাজা একথা তোমাকে বলুক আর না বলুক। আমি রাজি হব আমার মেয়েকে সমর্পণ করতে যদি রাজা ও সভাসদ তাঁদের একটি করে মেয়ে সমর্পণ করে। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয় আমি কখনই আমার ইয়ানকে সমর্পণ করবো না।

রাজা ও সভাসদ সবাই একসাথে হায়হায় করে উঠলো এবং অসম্মতিতে মাথা নাড়াতে থাকলো।

আদিওর রাজা ও সভাসদদের মনোভাব বুঝতে বাকী রইলো না। সে প্রচন্ড রাগে গর্জে উঠলো তোমরা সব কুমন্ত্রনাকারী ভয়ঙ্কর ভিলেন। একসাথে রাজা ও সভাসদ হায়হায় রবে আর্তনাদ করে উঠলো, সবার মাথা লজ্জায় ও ভয়ে নুয়ে বুকে গিয়ে ঠেকলো। আদিও যত দ্রুত সম্ভব এই স্থান ত্যাগ করলো।

সভাসদদের ভিতর থেকে রাজা আস্তে করে মাথা তুলে বললো, কিন্তু এখন আমরা কি করবো? কি হবে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ? আদিও কিছুতেই ইয়ানকে সমর্পণে রাজি হবে না। রাজার একথা শুনে সভাসদ মাথা তুলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকায়। সিনিয়রদের একজন আস্তে করে শামুকের মত মুখ খোলে। আমরা কিছুতেই আদিওর মাইন্ড চেন্জ করতে পারবো না। আমাদের অন্য পথ ধরতে হবে। আমার প্রস্তাব এই মধ্য রাতে রাজার সৈন্যরা ইয়ানরিবোকে কিডন্যাপ করে নিয়ে আসুক। যতি আমরা তাতে সফল হই তবে তাকে ভোর হওয়ার আগেই জোর করে সদকা সহ পাঠানো হবে শত্রু শিবিরে।

ও ইয়েস! সবাই লাফিয়ে উঠে। তোমার প্রস্তাব মিলিয়ন ডলারের চাইতে দামি। রাজা ও সভাসদ এই জটিল সমস্যার সহজ সমাধান পেয়ে খুশিতে ডগমগ করতে থাকে।

একটু ও দেরি না করে রাজা তাঁর সবচেয়ে শক্তিশালী বীর সৈন্যদের পাঠিয়ে দিলেন ইয়ানরিবোকে কিডন্যাপ করে নিয়ে আসতে। এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই সৈন্যরা ইয়ানরিবোকে হাত পা বাঁধা আবস্থায় পিতৃগৃহ থেকে দরবারে এনে হাজির করলো।

রাজা কালবিলম্ব না করে অতিদ্রুততায় ইয়ানকে সজ্জিত করলো জমকালো পোশাকে, পরানো হলো অতি মূল্যবান সাগরের তল থেকে খুঁজে আনা পাথর থেকে তৈরী গহনা, হার ও বাজুবান্ধ। সুন্দরী ইয়ানরিবোকে এখন আরো অনেক বেশী সুন্দর লাগছে।

ভোর হওয়ার আগেই তাঁরা সুন্দর করে সাজানো সদকার পাত্রটি ইয়ানের মাথায় তুলে দিলো। তারপর তাঁরা তাকে অতি সাবধানে হাত ধরে ধরে নিয়ে গেল শহরের শেষ মাথায়। যখন দেখলো যে রাস্তাই এখন তাকে নিয়ে যাবে শত্রু শিবিরে তখন তাঁরা ফিরে আসতে গিয়েও আরো একটু এগিয়ে গেলো যেন সে পালিয়ে শহরে চলে আসতে না পারে। তারপর তাঁরা তার চোখের বাঁধন খুলে দিলো, কিন্তু মুখের বাঁধন রেখে দিলো যেন সে কথা বলতে না পারে। ইয়ানরিবোকে নির্দেশ দেয়া হলো সদকা বহন করে নিয়ে যেতে এবং তা শত্রু শিবিরে পৌঁছে দিতে। রাজা ও তাঁর সভাসদ ভোরের আলো ফুটার আগেই ফিরে এলো দরবারে।

কিন্তু যখনই ইয়ানরিবো দেখলো যে রাজা ও সভাসদ প্রাসাদে ফিরে গেছে সে কালবিলম্ব না করে সদকা পাত্রটি বনের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বাবা মায়ের কাছে ফিরে আসতে গেলো। দুর্ভাগ্য তার। পাত্রটি মাঠির মধ্যে পড়ার সাথে সাথে ইয়ানরিবো রূপান্তরিত হলো একটা বড় গোবরে পোকায়। এবং নির্দ্ধিধায় সে পাত্র থেকে বেরিয়ে আসা গোবরে পোকার সাথে বনের দিকে রওয়ানা দিলো। সেই রাত থেকে সুন্দরী ইয়ানরিবো হয়েছিল লেডি গোবরে পোকা।

সকালে যখন ইয়ানরিবোর পিতামাতা আত্মিয়স্বজন জানতে পারলো যে রাজা ও সভাসদ জোর পূর্বক ইয়ানকে বাধ্য করেছিলো সদগা সহ শত্রু শিবিরে যেতে এবং এর পরিনতিই ইয়ানকে গোবরে পোকায় রূপান্তরিত করেছে। তখন ইয়ানের বাবা ও তার জ্ঞাতিগোষ্টি সভাসদ ও মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সম্মানিত মন্ত্রীগন ও বিশিষ্ঠ সভাসদ তার প্রতিবাদে রাজার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ সারা দেশে। ধ্বংস হয় গোটা শহর।

যদিও ইয়ানরিবো রূপান্তরিত হয়েছিলো গোবরে পোকায় কিন্তু তার সৈান্দর্য ধ্বংস করেছিলো একটি আস্ত শহর চিরদিনের জন্য।


লেখক পরিচিতি: The Palm-Wine Drinkard (1946, Published 1952) তাড়িখোর’র লেখক আমস তুতুওলা (Amos Tutuola) (জুন ১৯২০-জুন ১৯৯৭) বাঙলাদেশের পাঠকের কাছে পরিচিত বহুদিন আগেই। এই গল্পটি তাঁর “The Village Witch Doctor and Other Stories (1990) বই থেকে নেয়া। গল্পটির নাম A Short Biography of Yanribo, Tortoise's Wife by Amos Tutuola। নাইজেরিয়ান এই লেখক রূপকথার আদলে আধুনিক গল্প লিখে সারা দুনিয়াই হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। বহু ভাষায় তাঁর লেখা অনূদিত হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ