বিদ্যুৎলেখা ঘোষ
এভাবেই তো ছিল, আজও আছে সবুজ চিরহরিৎ যেমন থাকে। এমনই খুশির বাধন খোলা সিগন্যাল, যুক্তি ভাসান উল্লাসে। কখন সে ফেসবুকে বাতিওয়ালার কাজ নিলো, জানি না। এও তো জানা ছিল না যে এই ব্রাহ্ম অনুপল ঝরে পড়ছে যত আষাঢ় তারপর শ্রাবণ তার সমঝোতার রং সবুজ। আমরা তাকে নিরাকার অব্যয় সাদা বলে জেনে এসেছি এতকাল। এই তরল হিরের কণা যে নাকি আসলেই কিছু বর্ষা রুমঝুম। তার সাত রং থেকে কেবল সবুজে বেশি বেশি করে রাঙিয়ে দিয়ে যায় সাদা নরম কোরক। তারপর একটু একটু করে জাগে সবুজাভ উদ্ভাস। জানি, ঠিক এমন করে যুগ যুগ ধরে জমা হতে হতে উপচে পড়ে সবুজ ঋণ । তার সব অরবিট শেয়ার করে বৃষ্টি হয়ে যায় রক্তশূন্য এক অস্তিত্ব। প্রবল ঝড়ের আওয়াজ বুকের ভিতর। হাওয়া বইছে না, বায়ুশুন্য চারিদিকে কেবল হা হা তৃষ্ণা পাগল প্রেত। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে ওঠে কেমন করে জানতে দেয়নি সে। কেন হয় তার এত শ্বাসকষ্ট ! ঘুণাক্ষর জানে না।
এ দারুণ সময়ে সে আর যাইহোক কাঁদতে পারে না। মুখ কই ওর ! চোখ ও কি আছে ! অশ্রু আর ঘামে যেন কত আউন্স নুনের তফাত ? কেউ কি জেনেছে কেমন করে কাঁদে সে ? নাকি চোখ নেই বলে কান্না থাকে না। একটানা সুর বুঝি কান্না ডুবিয়ে নেয় ! লবণহ্রদের যত লেখমালা মুছে গেলে কে হবে সেই লুপ্ত ইতিহাসের উদ্গাতা ? সে কি কখনও লিখে রাখবে কোথাও নিশ্চিত সুকল্পিত সুরক্ষায় আছে পরাগরেণু যা ধুয়ে গেলে নেমে আসবে অনাকাঙিক্ষত ট্র্যাজেডি। গাছেদের পোস্টমডার্নিজম লিপিবদ্ধ থাকে যে পাতায় , সেই পাতা উল্টোলে পড়া যায় মোনোগ্যামি । একনিষ্ঠ প্রেমিক তা কেবল পড়তে পারে। এই বিশেষ আকর্ষণ খুঁজে পায় বলে হয়তো ওর নাম হয়ে গেছে বিজ্ঞানী। দেখেছি তো এই ঝরঝর পরাগে বহু ফুল মানুষের মতো জবজবে ভিজে ওঠে। সবাইকে ভিজিয়ে দেবার এ কেমন মোনোপলি ! এমনি করে নুনের তফাৎ মুছে গিয়ে ওর মুখ হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে শ্বাসকষ্ট লাঘব করে দেবার পাফ । ঝরে গিয়েছে যাচ্ছে যাবে অবশিষ্ট লোহিত কণার আগামী হীন চরিত্র আকস্মিক ।
ডি.আর.এম চৌপদীর ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে এরকম ভিজে ওঠা রাতগুলোয় ট্রান্সটোমারের দেখা হয়ে যায়। স্মারক হিসেবে অনেকেই ছোট নালার পাশে ভোরবেলায় খুঁজে পায় ইউরেকা দেহ। শরীর ঢেকে দেয় রাস্তা ধুয়ে দিতে আসা প্রৌঢ় চমনলালের লজ্জাকর্ষণ। এধার ওধার খুঁজে খুঁজে থুপিয়ে পড়ে থাকা খাকি শার্ট প্যান্ট চমনলালই আবিষ্কার করে যত্ন করে পরিয়ে দেয়। ট্রান্সটোমারকে চমনলাল চেনে না। কিন্তু এরকম ঘটনায় ও বুঝতে পারে , ' টেরাফিক পোলিস বাবুকে সাথ মুলাকাৎ করনে টেনেসফারমার সাহাব আয়ে থে '। ট্রাফিক পুলিশ শিবেন্দু চমনলালের কাছে তার বন্ধু যে সাহেব এবং নিজের শিক্ষক না হতে পারার গল্প শুনিয়েছিল। সেও এরকমই মেদুর শ্রাবণের কোন দিন হবে। এ আরেক হেরে যাওয়া বিষণ্ণতায় ডুবে থাকা খাকি মানুষের গল্প। ওর কাছেই যেন একটানা বেজে চলেছে।যা থেকে একটু একটু শুনতে পায় চমনলালও । ভোরবেলা শিবেনের উলঙ্গ শরীরে জামাকাপড় পরিয়ে দেওয়ার সময়। না , শিবেন কখনও চিরহরিৎ হয়ে উঠতে পারেননি । যেমন পারেনি কোনো শ্রাবণ । একটা হেরে যাওয়া ঠিক ওদের অনুত্তীর্ণ রেখে দেয় রঙ মেশানোর খেলায়। এপিফেনি কোথাও ঘটে গেলও চমনলাল জানবে না। তবু গাইতে ভালোবাসে গলা ছেড়ে - বাদরি মে কাজরী সুহানা..ঝুলা ঝুল আয়ে সাঁবরিয়া...।
যে কথা এখনো কারো বলা হয়ে ওঠে নি , অথচ চৌপর দিনভর বুকে ভিতরে বসে মাঝির মাল্লার লাব ডুপ । কলেজ সোশ্যালে যার চোখে বার বার চোখ । তখন থেকে রুগ্নতা। কিছুতেই গোল্ডেন টাইম আসে না। সায়েন্স ল্যাব নয়তো ক্যান্টিনে অথবা বাস্কেট কোর্টে কখনোই কি একলা হবে না সে ? যার জন্য শ্বাসকষ্ট রক্তহীনতা দিন দিন। তার কোথাও তো কোনো হেলদোল নেই। বরং চলনে কথা বলায় থিরবিজুরি আরও ঝলক দিয়ে যায়। ঋণ বাড়তে বাড়তে সন্দিহান ইনফ্লেশান। কি হতে পারে যদি জোর করে রুদ্ধ বুকের আগল খুলে কথাগুলো হুড়মুড় করে নেমে তুমুল ভিজিয়ে দিতে চায় ! সে কি এমন বৃষ্টি ভেজেনি কখনো ? কিংবা আগেই ভিজে এত ঝুপ্পুস হয়ে আছে যে তার ভ্রুক্ষেপই নেই। এতসব সাত সতেরোর মধ্যে কখন বাস্কেটবল নিতে গিয়ে হাতে হাত লেগে উষ্ণতায় মজবুত জোড়। বল গড়িয়ে গিয়ে কোথায় । সমস্তটা কাভার্ড কোর্টে বৃষ্টি নামে..ওরা সবুজ থেকে আরও সবুজ..চিরহরিৎ...এই সবুজ অরবিটে এলে তবে তো মন খোলা যায়...
এভাবেই তো ছিল, আজও আছে সবুজ চিরহরিৎ যেমন থাকে। এমনই খুশির বাধন খোলা সিগন্যাল, যুক্তি ভাসান উল্লাসে। কখন সে ফেসবুকে বাতিওয়ালার কাজ নিলো, জানি না। এও তো জানা ছিল না যে এই ব্রাহ্ম অনুপল ঝরে পড়ছে যত আষাঢ় তারপর শ্রাবণ তার সমঝোতার রং সবুজ। আমরা তাকে নিরাকার অব্যয় সাদা বলে জেনে এসেছি এতকাল। এই তরল হিরের কণা যে নাকি আসলেই কিছু বর্ষা রুমঝুম। তার সাত রং থেকে কেবল সবুজে বেশি বেশি করে রাঙিয়ে দিয়ে যায় সাদা নরম কোরক। তারপর একটু একটু করে জাগে সবুজাভ উদ্ভাস। জানি, ঠিক এমন করে যুগ যুগ ধরে জমা হতে হতে উপচে পড়ে সবুজ ঋণ । তার সব অরবিট শেয়ার করে বৃষ্টি হয়ে যায় রক্তশূন্য এক অস্তিত্ব। প্রবল ঝড়ের আওয়াজ বুকের ভিতর। হাওয়া বইছে না, বায়ুশুন্য চারিদিকে কেবল হা হা তৃষ্ণা পাগল প্রেত। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে ওঠে কেমন করে জানতে দেয়নি সে। কেন হয় তার এত শ্বাসকষ্ট ! ঘুণাক্ষর জানে না।
এ দারুণ সময়ে সে আর যাইহোক কাঁদতে পারে না। মুখ কই ওর ! চোখ ও কি আছে ! অশ্রু আর ঘামে যেন কত আউন্স নুনের তফাত ? কেউ কি জেনেছে কেমন করে কাঁদে সে ? নাকি চোখ নেই বলে কান্না থাকে না। একটানা সুর বুঝি কান্না ডুবিয়ে নেয় ! লবণহ্রদের যত লেখমালা মুছে গেলে কে হবে সেই লুপ্ত ইতিহাসের উদ্গাতা ? সে কি কখনও লিখে রাখবে কোথাও নিশ্চিত সুকল্পিত সুরক্ষায় আছে পরাগরেণু যা ধুয়ে গেলে নেমে আসবে অনাকাঙিক্ষত ট্র্যাজেডি। গাছেদের পোস্টমডার্নিজম লিপিবদ্ধ থাকে যে পাতায় , সেই পাতা উল্টোলে পড়া যায় মোনোগ্যামি । একনিষ্ঠ প্রেমিক তা কেবল পড়তে পারে। এই বিশেষ আকর্ষণ খুঁজে পায় বলে হয়তো ওর নাম হয়ে গেছে বিজ্ঞানী। দেখেছি তো এই ঝরঝর পরাগে বহু ফুল মানুষের মতো জবজবে ভিজে ওঠে। সবাইকে ভিজিয়ে দেবার এ কেমন মোনোপলি ! এমনি করে নুনের তফাৎ মুছে গিয়ে ওর মুখ হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে শ্বাসকষ্ট লাঘব করে দেবার পাফ । ঝরে গিয়েছে যাচ্ছে যাবে অবশিষ্ট লোহিত কণার আগামী হীন চরিত্র আকস্মিক ।
ডি.আর.এম চৌপদীর ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে এরকম ভিজে ওঠা রাতগুলোয় ট্রান্সটোমারের দেখা হয়ে যায়। স্মারক হিসেবে অনেকেই ছোট নালার পাশে ভোরবেলায় খুঁজে পায় ইউরেকা দেহ। শরীর ঢেকে দেয় রাস্তা ধুয়ে দিতে আসা প্রৌঢ় চমনলালের লজ্জাকর্ষণ। এধার ওধার খুঁজে খুঁজে থুপিয়ে পড়ে থাকা খাকি শার্ট প্যান্ট চমনলালই আবিষ্কার করে যত্ন করে পরিয়ে দেয়। ট্রান্সটোমারকে চমনলাল চেনে না। কিন্তু এরকম ঘটনায় ও বুঝতে পারে , ' টেরাফিক পোলিস বাবুকে সাথ মুলাকাৎ করনে টেনেসফারমার সাহাব আয়ে থে '। ট্রাফিক পুলিশ শিবেন্দু চমনলালের কাছে তার বন্ধু যে সাহেব এবং নিজের শিক্ষক না হতে পারার গল্প শুনিয়েছিল। সেও এরকমই মেদুর শ্রাবণের কোন দিন হবে। এ আরেক হেরে যাওয়া বিষণ্ণতায় ডুবে থাকা খাকি মানুষের গল্প। ওর কাছেই যেন একটানা বেজে চলেছে।যা থেকে একটু একটু শুনতে পায় চমনলালও । ভোরবেলা শিবেনের উলঙ্গ শরীরে জামাকাপড় পরিয়ে দেওয়ার সময়। না , শিবেন কখনও চিরহরিৎ হয়ে উঠতে পারেননি । যেমন পারেনি কোনো শ্রাবণ । একটা হেরে যাওয়া ঠিক ওদের অনুত্তীর্ণ রেখে দেয় রঙ মেশানোর খেলায়। এপিফেনি কোথাও ঘটে গেলও চমনলাল জানবে না। তবু গাইতে ভালোবাসে গলা ছেড়ে - বাদরি মে কাজরী সুহানা..ঝুলা ঝুল আয়ে সাঁবরিয়া...।
যে কথা এখনো কারো বলা হয়ে ওঠে নি , অথচ চৌপর দিনভর বুকে ভিতরে বসে মাঝির মাল্লার লাব ডুপ । কলেজ সোশ্যালে যার চোখে বার বার চোখ । তখন থেকে রুগ্নতা। কিছুতেই গোল্ডেন টাইম আসে না। সায়েন্স ল্যাব নয়তো ক্যান্টিনে অথবা বাস্কেট কোর্টে কখনোই কি একলা হবে না সে ? যার জন্য শ্বাসকষ্ট রক্তহীনতা দিন দিন। তার কোথাও তো কোনো হেলদোল নেই। বরং চলনে কথা বলায় থিরবিজুরি আরও ঝলক দিয়ে যায়। ঋণ বাড়তে বাড়তে সন্দিহান ইনফ্লেশান। কি হতে পারে যদি জোর করে রুদ্ধ বুকের আগল খুলে কথাগুলো হুড়মুড় করে নেমে তুমুল ভিজিয়ে দিতে চায় ! সে কি এমন বৃষ্টি ভেজেনি কখনো ? কিংবা আগেই ভিজে এত ঝুপ্পুস হয়ে আছে যে তার ভ্রুক্ষেপই নেই। এতসব সাত সতেরোর মধ্যে কখন বাস্কেটবল নিতে গিয়ে হাতে হাত লেগে উষ্ণতায় মজবুত জোড়। বল গড়িয়ে গিয়ে কোথায় । সমস্তটা কাভার্ড কোর্টে বৃষ্টি নামে..ওরা সবুজ থেকে আরও সবুজ..চিরহরিৎ...এই সবুজ অরবিটে এলে তবে তো মন খোলা যায়...
0 মন্তব্যসমূহ