উম্মে মুসলিমা'র গল্প : নলিতে

মানিক মুণ্ডা বিকেলে চুলে টেরি কেটে ইস্ত্রিকরা হাফশার্ট গায়ে সাইকেলের হ্যান্ডেলে তার প্রিয় ফিলিপস রেডিও ঝুলিয়ে অকারণে মেইন রোড এপার ওপার করতো। আমরাও তখন আমাদের বাসা সংলগ্ন বাবার অফিসের সামনে কুমির কুমির খেলা নিয়ে মেতে উঠতাম। দারোগার দুই মহাপাজি বিচ্ছু ছেলে টুকুল আর মুকুল মানিককে বাবুগিরি করতে দেখে ‘মানিক মেথর, মানিক মেথর’ বলে ক্ষেপাতো। পোস্টমাস্টারের মেয়ে বিনুও ওদের সাথে তাল মেলাতো। কেবল আমি আর আমার ছোটবোন মিলু খুব লজ্জা পেতাম। কারণ মানিক মুন্ডা প্রতি সপ্তাহে আমাদের সবার বাসার পায়খানা পরিস্কার করতো। প্রথম প্রথম একদিন স্যান্ডো গেঞ্জি আর হাফপ্যান্ট পরে বালতি আর ঝাঁটা হাতে মানিক আমাদের বাসার বাইরে দাঁড়িয়েছিল। একটু কাচুমাচু।
আমি জানালা দিয়ে তাকাতেই সে বললো--

‘বড়বাবু কী আছেন? আজ মাল ফেলব বটে’

আমি ছুটে গিয়ে জোরে জোরে বাবাকে বললাম--

‘বাবা, বাবা, মানিক মেথর এসেছে, পায়খানা সাফ করবে’

বাবা ক্ষুণ্ন হলো। নিজের ঠোঁটে তর্জনী ছুঁয়ে ফিসফিস করে বললো--

‘ছি! মা, কোন কাজই ছোট না। ওর নাম মানিক মুণ্ডা। ওকে মানিকদা বলে ডাকবে। ললিতাকে দিদি বলো না? তোমনিই’।


তাই টুকুল মুকুল যখন বিকেলে ফিটফাট ফুলবাবু মানিককে ‘মানিক মেথর’ বলে রাগাতো তখন মানিক সত্যিই ক্ষেপে গিয়ে সাইকেল নিয়ে তেড়ে আসতো। মাল তোলার সময় সে মেথর, তখন সবাই তা বলতেই পারে। কিন্তু সে তার কাজ সেরে খোলা জায়গায় বসানো মেথরপল্লীর একমাত্র টিউবওয়েলের ইটের ওপর বসে সুগন্ধী সাবান মেখে স্নান করতো। ঘরে ফিরে দেয়ালে ঝুলানো আয়নার সামনে অনেকক্ষণ ধরে ঘন কালো কোকড়া চুলে চিরুনি দিত আর নিজে নিজে কথা বলতো--

‘আমার মতো কয়টা মরদ তু এ মেথরপাড়ায় পাবি নলিতে? তুর কিসের এত অংকার?’

ললিতা হয়ে মানিকই জবাব দিত--

‘কিসের আবার? রূপের বটে’

‘আমার চেহারাটা কি থাড়কেলাছ? এমুন চোখ, এমুন বুকের ছাতি, এমুন বনদেওতার মতন চুল’ বলে সাবানে ঘষা ঝাঁকড়া চুল চিরুনি চালিয়ে চালিয়ে আরও ফুলিয়ে তোলে।

‘খালি চুল থাকলেই হবেক লাইরে মানিক, ট্যাকা আছে? ছোনা আছে? মালা শাড়ি দিতি পারবিক?’

‘ক্যানে আমার ফিলিপস রেডিও আছে, একখান ঘর আছে। লগদও আছে বটে’

‘তা-ও তো তু মানিক মেথর’

‘তু তো আর রাজকইন্যে লোস্’

‘আমাকে রাজরাণি করতি চায় কোতো বাবু’

‘নলিতে! এই মানিক তুর মরদ। তু লিশ্চয় আমার’।


ললিতা বাবুদের অফিসঘর ধোয়ামোছা করে। বাবুরা অফিসে ঢোকার আগেই ললিতা বগলে ঝাড়– কোমরে ঝাড়ন গুজে চলে আসে। টানটান করে বাঁধা পাকা তালের মতো হাতখোঁপায় কোনদিন রজনীগন্ধা, কোনদিন গাঁদা, কোনদিন বা শাদা হাঁসের পালক। প্রায় হাঁটু অব্দি তোলা শাড়ির নিচে দুটো সুডৌল পা। যেন বেড়ে ওঠা সুপুষ্ট দুটো মেহগিনি গাছ। ও যখন সেই পায়ে ভর করে পেছন ফিরে অফিসের আলমারির উপরের তাক মুছতো তখন তার নিতম্ব আর সরু কোমরকে মনে হতো ভরা কলস। যারা তার সৌন্দর্যমুগ্ধ ছিল তারা অফিসসময়ের আগে এসেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেত আর আড়চোখে ললিতার দেহবল্লরীর শোভা উপভোগ করতো। সে যখন ঘর মুছতো তখন আমার বাবার অফিসের কেরানি বেলাল চাচা ওর সামনে দাঁড়িয়ে নির্দেশ দিত--

‘টেবিলের নিচে আর একবার হাত ঘুরিয়ে আন ললিতে, দেখছিস না এখনও ধুলো রয়েছে’

‘আর কত ঘইষবোগো কেরানিবাবু, কয়লা ধুলে ময়লা যাবেক?’

কী উদ্দেশ্যে এ কথা বলে ললিতা তা নিয়ে কেরানিবাবুর মাথাব্যথা নেই। সে শুধু বলে-- ‘আর একটু’। নিচু হয়ে মেঝে মোছার সময় ললিতার সমর্থ স্তনের উদ্ভিন্ন ওঠানামা দেখার আরও একটু লোভ সামলানো বেলাল কেরানির পক্ষে খুব কঠিন যে!

রোজ কাজ সেরে যাওয়ার পথে ললিতা আবুল দোকানির টঙে চা খায়। সাথে একটা পেল্লাই টোস্ট। দোকানের সামনের বেঞ্চিতে না বসে দুটো ইট পেতে রাখা আছে ওর জন্যেই সেখানে দুু’হাঁটু উঁচু করে বসে। মানিক বা অন্য মুণ্ডারা এলেও ওখানে বসে চা খায়। কাঁচের ছোট ছোট ঝকঝকে গ্লাস কাঠের ট্রের ওপর সাজানো। কিন্তু আবুল দোকানি মুণ্ডা জাতের জন্য মাটির ভাঁড় রাখে। ওরা চা খেয়ে দোকানের পেছনে ছুঁড়ে ফেলে। কোনদিন দোকানি ললিতার সাথে মস্করা করে--

‘কোঁচড়ে করে বাড়ি নিয়ে যা। কাল আবার নিয়ে আসিস। ভাঁড় কিনতে পয়সা লাগে না?’

‘আমরা মাঙনা খাই বটে? কুনুদিন ভাঁড়ডা তো ভরেও দাও না দোকানি’

‘তোর ভাঁড় তো এমনিই ভরা। বাবুরা তোকে কত খাতির করে’

‘তুমিও করো না কেনে’

‘হু, মানিক আমার দোকানে গু ছিটিয়ে দিক আর কি’।

‘মানিককে খুব ডরাও যে!’

বলে খিলখিল করে হেসে গড়িয়ে পড়ে ললিতা। ওর খোঁপার ফুল খসে পড়ে। মুখে হাত দিয়ে হাসি আটকানোর সময় বেজে ওঠে ওর গোছা গোছা রেশমি চুড়ি। কোনটা চুড়ির শব্দ আর কোনটা হাসির দোকানি ঠাওর করতে পারে না। দুলে ওঠে ললিত লবঙ্গলতিকা। পুরুষের শরীরে জাগে শিহরণ।


একদিন বিকেলে হলুদ-লালে একটা নতুন ছাপা শাড়ি পরে, খোঁপায় গাঁদা গুঁজে ললিতা ঘরের দুয়ারে শিকল তুলে বের হচ্ছিল। ধোয়া-কাচা একমাত্র হাফশার্ট পরে মানিক সাইকেল দাঁড় করালো ওর ঘরের পাশে।

‘ই বেলা কুথাকে যাছ নলিতে?’

‘তু কি আমার ঘরের মরদ, তুকে বুলবো কেনে?’

‘ছিনিমার টিকিট আনছি দুটো। সেকেন শোতে যাই চল’

‘কেরানিবাবু এই শাড়ি দিছে। বাবুর সঙ্গে ছিনিমা দেখতি যাচ্ছি’--বলে মানিকের অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে বিজয়িনীর হাসি হাসে ললিতা। কোথায় কেরানিবাবু আর কোথায় মানিক মেথর! দপ দপ করে পা ফেলে এগিয়ে যায় ললিতা। শাড়িটা কেরানিবাবু দিলেও দিতে পারে কিন্তু ললিতা কেরানিবাবুর সাথে সিনেমা দেখতে যাচ্ছে--এটা মানিক কখনই বিশ্বাস করে না। মানিকের বুকে ঈর্ষার আগুন জ্বালাতেই ললিতার এহেন আচরণ--মানিক তা বোঝে বা বুঝতে চায়। সাইকেল টেনে নিয়ে ললিতার পাশে হাটঁতে হাঁটতে মানিক বলে--

‘ওই বাবুর বাচ্চাগুলানকে বিছছাস যাস না নলিতে। ওরা আমাদের ঘিন্না করে’

‘তুকে করে। তু মাল ঘাঁটিস’

পরিস্কার কাপড় পরে গলায় পাউডারের ছিটে দিয়ে বিকেলে বেড়াতে বেরোনো মানিককে মেথর ডাকলে মানিকের চাঁদি তেতে ওঠে। ও খপ করে লোহার মতো হাতে ললিতার হাত চেপে ধরে--

‘এএএ আমি মানিক মুণ্ডা, এই মানিক মুণ্ডা তুকে ভালোবাছে। তুকে একদিন ই কথা মানতেই হবেক নলিতে!’

‘উ কথা লিয়ে স্বপ্পন দেখ। আমি যাই’।


মানিক সেদিন ললিতার আগেই সাইকেলে জোর প্যাডেল দিয়ে সিনেমা হলের অদূরে এক ঘুপচি দোকানে গিয়ে বসে থাকে। সন্ধ্যের শো শুরু হয়ে শেষ হলো, সেকেন্ড শো-ও শেষ হলো রাত বারোটায়। ললিতা বা কেরানিবাবুর কাউকেই ঢুকতে বেরুতে দেখল না মানিক। সে নিশ্চিন্তে সাইকেলে উঠলো। এ নিশ্চয় ললিতার ছল। তাকে রাগাতেই ভালোবাসে ললিতা। শুনশান রাস্তায় কেবল তার সাইকেলের চাকা আর বাতাসের ধাক্কার শাই শাই ধ্বনি। বুক পকেট থেকে টিকিট দু’টো তুলে নিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিল। ললিতা ছাড়া সে একা একা কোনদিন সিনেমা দেখবে না। সোনার নাকফুল আর মালা শাড়ি কিনতে বড়জোর আর ছ’মাস লাগবে। বাজারে নতুন ধরনের প্লাস্টিকের স্যান্ডেল এসেছে। বাবুদের মেয়েরা প’রে বিকেলে খেলা করে। ভারি সুন্দর লাগে মানিকের। ওটাও একজোড়া কিনবে ললিতার জন্য। খালি পায়ে বউ ঘরে তুলবে না মানিক। ওর বুকে এসে লাগে সুখের বাতাস। গান গায়--

‘হামে তুমছে পেয়ার কিতনা
এ হাম নাহি জানতে
মাগার জি নাহি সাকতে তুমহারা বিনা’

সেদিন সকালে আমার মা বললো যে আজ ললিতা অফিস পরিস্কার করতে এলে আমি যেন তাকে বাসায় ডেকে আনি। আজ বাসা একটু ধোয়ামোছা করা লাগবে। বেলাল চাচা বিয়ে করেছে ক’দিন হলো। নতুন বউকে দাওয়াত করা হয়েছে। মা রান্নাবান্না করছে। নতুন বউ আসবে শুনে আমি তো মহাখুশি। এক ছুটে বাবার অফিসে গিয়ে দেখি ললিতা বালতি আর ঝাড়ু পাশে রেখে বারান্দায় দু’হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে বসে আছে। পিয়ন এসে অফিসের দরজা খোলেনি তখনও। ওর চুল উস্কো। খোঁপায় কোন ফুল নেই। পায়ের গোড়ালি ঘিরে নেই আলতার রেখা। মুখের মধ্যে পান কিন্তু ঠোঁট শাদা। মুখটা মলিন। রোজকার মতো দেখা হতেই সালাম না দিয়ে কেমন উদভ্রান্তের মতো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

‘ললিতাদিদি, মা তোমাকে ডেকেছে’

‘কেনে গো দিদিমনি?’

‘আজ যে বেলাল চাচা নতুন বউ নিয়ে আসবে। বাসাটা একটু ধুয়েমুছে দিতে বলেছে মা’।

ললিতা খানিক ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকে ‘থুহ’ করে মুখের পান ছুঁড়ে ফেলে দিল বারান্দার নিচে। ও যেন কারো গায়ে থুতু ছিটালো এরকম মনে হলো আমার। কড়া গলায় বললো--

‘আপিসের কাম সেরে যাবখন বোলেন গিয়ে মাকে’।


আমার বন্ধুদের ডেকে নিয়ে এলাম বউ দেখাতে। ফরশা, ছোটখাট, স্বাস্থ্যবতী বউ বেলাল চাচার। আমাদের সাথে বসে লুডো খেললো। সবার সাথে মা আমার বন্ধুদেরও খাওয়ালো। ললিতাকেও বলেছিল খেয়ে যেতে। কিন্তু সে শরীর খারাপের কথা বলে বাসা ঝাড়পোছ করেই চলে গিয়েছিল। মা বলে দিয়েছিল--

‘মানিকের সাথে দেখা হলে ওকে বিকেলে একটু আসতে বলিস ললিতা। ছেলেটাকে একটু খাইয়ে দেব’

‘আজ্ঞে’-- বলে অমন যামিনী রায়ের আঁকা শরীরে একটা হিল্লোল না তুলেও কাঠের মত সোজা হেঁটে বেরিয়ে গিয়েছিল ললিতা।

বেলাল চাচা বিকেলের নাস্তা সেরে বউ নিয়ে চলে যাবে। বাবা একটা ঝকমকে শাড়ি কিনে এনেছে বউটার জন্য। বিকেল গড়িয়ে গেলে মানিক এলো ফুলবাবু হয়ে। আজ যেন সে আরও পরিপাটি। বেলাল কেরানির বিয়ে হয়েছে দেখে খুশিতে ডগোমগো। এবার ললিতা তাকে ছাড়া আর কোথায় যায় সে দেখবে। মা তাকে খেতে বললে সে অতি বিনয়ের সাথে বললো-

‘খেমা কইরবেন মা। আমি রেতের বেলা ভাত খাইনাকো’। মা জানতো মুণ্ডারা নিজেদের জাত ছাড়া অন্য কারো বাড়িতে খেতে চায় না। তবুও ছেলেটাকে বড় ভালো লাগে বলে বললো--

‘তো বেশ তো একটু মিষ্টি খাও’

‘আজ্ঞে মা’--বলে মানিক পকেট থেকে রুমাল বের করে দু’হাতে মেলে ধরলো। মা বাটিতে করে শুকনো মিষ্টি নিয়ে এলো। মা যত রুমালের কাছাকছি বাটি আনে মানিক তত রুমাল নিচে নামায়। যেন তাদের ছোঁয়ায় বাবুরা অসম্মানিত না হয়।

আমাদের বাসার প্রায়োন্ধকার গলি দিয়ে মানিক বেরিয়ে যেতেই বেলাল চাচাও পরপরই বউ নিয়ে বেরিয়ে গেল। বউকে রিকশায় বসিয়ে খানিক দূরের সেই আবছা আলোছায়ায় বেলাল মানিকের হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বললো--

‘মানিক, তোদের জন্য আমার সামান্য উপহার। তুই দু’চারদিনের মধ্যেই ললিতাকে বিয়ে করিস। ও খুব ভালো মেয়ে। তোরা সুখি হবি’।

বলে বেলাল এক মুহূর্ত দেরি না করে রিকশায় উঠলে যানটি দ্রুতই অন্তর্হিত হলো। মানিক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে একহাতে রুমালে বাধা মিষ্টির পুটলি আরেক হাতে উপহারের প্যাকেট নিয়ে নিজের সাইকেলের কাছে সরে এলো। ও কীভাবে সাইকেল চালাবে? ওর যে সারা শরীর কাঁপছে।


****

সাতদিন পর বিকেলে নিজের সাইকেলে নতুন বউকে সামনে বসিয়ে মানিক এলো আমাদের বাসায়। আমরা সেদিনও বাসার বাইরে কুমির কুমির খেলছিলাম। আমি আর মিলু ওদের দেখেই এক ছুটে বাসার মধ্যে। মিলু উত্তেজিত কণ্ঠে মাকে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো--

‘মা, মা, মানিকদা আর ললিতাদি এসেছে। ওদের বিয়ে হয়ে গেছে। ললিতাদিকে কী সুন্দর লাগছে!’

বলতে বলতেই ওরা ঢুকে মাটিতে গড় হয়ে মাকে প্রণাম করলো। ললিতা উঠে দাঁড়াতেই মা দেখলো ললিতার নাকে চিকচিক করছে সোনার নাকফুল। পায়ে প্লাস্টিকের গোলাপী স্যান্ডেল। আর পায়ের গোছা থেকে অনেকখানি উঁচু করে পরা নতুন লাল ঝলমলে মালা শাড়ি। মা বিস্মিত চোখে দেখলো বেলালের বউয়ের জন্য বাবার কেনা অবিকল সেই শাড়ি পরে ললিতা নতমুখী। বিষণ্ন।



লেখক পরিচিতি
উম্মে মুসলিমা
আলমডাঙ্গা। কুষ্টিয়া।
পড়াশুনা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা : সরকারি চাকরি।
কবি। গল্পকার। 
গল্পগ্রন্থ : আকো আছে। আলো নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. মানিকের জন্য হিংসে হতেই পারে আমার, কজন পারে মানিকের মতো! অনেক শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় প্রিয় লেখক উম্মে মুসলিমা আপা। অফুরান শুভকামনা।

    উত্তরমুছুন