হাসান হাবিব
ছোট গল্পে রবীন্দ্রধারাকে আদর্শ হিসাবে মানলেও এ ধারার বাইরে হাতেগোনা কিছু কাজ হয়েছে। তবে সেটি গল্প এবং 'কিছু বানিয়ে বলা' থেকে অনুভূতি ও উন্মুক্তভাব এখন উপযুক্তভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিশ্বায়ন ও পাশ্চাত্যের প্রভাবে পাঠকও নিদ্রিত রূপ ভাঙতে সাগ্রহী। আর এসব প্রচেষ্টার সাথে জড়িত আমরা পাঠককে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই বর্তমানে ইংল্যান্ডের সুইনডনে বসবাসকারী বিশিষ্ট গল্পকার ও ঔপন্যাসিক কামাল রাহমান এবং তাঁর গল্পগ্রন্থ 'স্টোনহেঞ্জ'-এর সাথে।
'স্টোনহেঞ্জ'। ছায়া। প্রজন্মের ছায়া এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি নাড়ির টান, একটি শেকড়ের টান অনুভব করলাম তাঁর গল্পগ্রন্থ স্টোনহেঞ্জ পড়ে। এই গল্পগ্রন্থের প্রথমে 'জানালায় সবুজ মেঘ' নামে একটি প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের দিকচিহ্ন হারিয়ে যাওয়া বাস্তবতা এবং একটি অর্থহীন ওয়াইল্ড প্লামের 'বুনো' প্রজাতিটার হারিয়ে যাওয়ার নীরব কান্না কতটা স্মৃতিমুখর হয় তা আমরা অশ্রুসিক্ত হয়েই দেখলাম। এ গল্পে একটি ব্রিটিশ পরিবারের পাঁচ প্রজন্মের একটি যৌক্তিক সেতু নির্মাণে ভিন দেশী অর্থাৎ ব্রিটিশ-ভারতীয় (সময়টা ব্রিটিশ-ভারতীয় হওয়ায় দিনাজপুর উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশী বললাম না) একটি নারীকে জীবনসঙ্গী করায় (ব্রিটিশ) সেই 'বুনো' ছায়াটি বেঁচে যায় 'স্টিলিদের খামার' সাইন বোর্ডের মধ্য দিয়ে। কিন্তু গল্পের বিভিন্ন চরিত্রে একই প্রজন্মের দু'জনের মধ্যে ঐতিহ্যের সংঘাাতও অনিবার্য হয়; সেটি মার্ক ও রিচার্ডের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে বোঝা যায়। তবুও সেটি বাস্তবতা। কারণ 'আহ্, কি শান্তি এখানটায়, কাঁচা ঘাসের গন্ধে বুক ভরে যায়, খামার জীবনের ছিঁটেফোঁটা আনন্দও কি আছে অক্সফোর্ডের নগর সভ্যতার ভেতর, অথচ কী নিয়তি মানুষের, ওটাই মেনে নিতে হয়!'
গল্পকার কামাল রাহমানের গল্প শিল্পিত উপস্থাপনায় শুধু ভিন্ন স্বাদই বহন করে না_ বরং তার দুঃসাহসী ভাবনা সমাজ সভ্যতার দেয়াল ভেঙে দেয়। তিনি বইয়ের দ্বিতীয় গল্প 'কয়েদি'তে একটি বিড়ম্বিত চরিত্র কয়েদি চিত্র শিল্পীর (রাইটার্স বস্নকের সাহিত্যিকও বটে) যে দুঃসাহসী ভাবনাকে এমন চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন_ তা সত্যিই আমাদের প্রচলিত ভাষার অন্যসব গল্প থেকে অনেক অনেক দূরে। উইল্টশায়ার কারাগারে যে 'কয়েদি'র জীবন ঘিরে 'কিশোরী মডেল' মেয়েটি 'নগ্ন হতে ও শরীরের বিভিন্ন ভঙ্গি আনতে দ্বিধা করে না' সেই এক সময় 'শিল্পী'র জীবনে এনে দেয় 'উইল্টশায়ার কারাগার'। তবু শিল্পীরও তো জীবন_ 'কল্পনা থেকেও কি ছবি আঁকতে পারে না একজন শিল্পী? অনেক দেবদেবীর নগ্ন ছবি আঁকা হয়েছে, ওদের কি নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন ঐসব শিল্পীরা?' আবার পাশ্চাত্যের যান্ত্রিক জীবনগুলো সত্যিই হিউম্যান-র্যাপ জড়িয়ে থাকে?
'তুষার' নামক গল্পে কামাল রাহমান মুয়িন ও জাস্টিনা দু'টি চরিত্রে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামই শুধু তুলে ধরেননি_ তিনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন, যে দেশের মানুষ নিত্য ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত সেখানে জিম, সওনা, স্টিমবাথ, ড্রেসিং, মেনিকিওর, পেডিকিওরগুলো কীভাবে শুধু বাণিজ্যিকই হয়। জাস্টিনা দেহ-অপসারিণী ছিলেন না_ হয়ে যান। তবু 'লতাপাতার ছাপ দেয়া ফ্লানেলের সুন্দর একটা রাত পোশাকে বাচ্চা মেয়ের মতো নির্মলা দেখায়' তাকে। বইয়ের মূল গল্প 'স্টোনহেঞ্জ'। এটিকে বইয়ের শিরোনাম করা হয়েছে। ভারতীয় ও পাশ্চাত্য পারিবারিক মূল্যবোধের সাংঘর্ষিক জীবনের বক্ররেখায় ধূসরিত ও অন্তরিতের গল্প এটি। যেভাবে স্টোনহেঞ্জ নির্মিত হয়েছিলো দেড় হাজার বছর ধরে; তবুও যেন তার উত্তরপুরুষেরা পূর্ণরূপ শেষ করে যেতে পারেননি। একটি রহস্যের ধাঁধা রেখে। তেমনি মানুষের জটিল জীবনে 'কখনো কখনো হৃদয় পাথর হয় স্ফুলিঙ্গ হয়, পাষাণ হয়, অন্তর্গত বিষাদে কাঁদে' যুগ যুগ ধরে যেন তার বহতা নদী। স্টোনহেঞ্জের মতো ন্যান্সিকে ঘিরে যে জীবন। এছাড়া 'চোর' গল্পে স্কটল্যান্ড প্রবাসী রসুমিয়া দেশে ফিরে গ্রামের উন্নয়নে মনোনিবেশ করে ঘটনাক্রমে চোর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে একদিকে যেমন সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা অন্যদিকে সমাজ রন্ধ্রে মানবিক ব্যর্থতার দ্বার উন্মচিত হয়; যা গল্পকার কামাল রাহমান অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। কামাল রাহমান গল্প সাজাতেই যে দুরন্ত ও সাবলীল তা নয়, তাঁর উপস্থাপন ভঙ্গিতে এক ধরনের কাব্যিক রস বোধ ও সাহিত্যিক টান আমরা লক্ষ্য করি। যেমন তাঁর কয়েকটি বাক্য আওড়ালেই দেখুন, 'বিপরীত দিক থেকে আসা বাতাসের স্বর ফিসফিসে, ঘনিষ্ঠ শরীরলগ্ন মানুষের। ঘোলাটে মেঘের ধূসর দেয়াল কিছুটা হালকা হয়ে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে শেষবারের মতো আজকের এই এলোমেলো দিনটাতে।' এটি বইয়ের 'ছিনতাই' নামক গল্প থেকে নেওয়া।
বইয়ের শেষ গল্প 'পা-া'। এটি একটি ধূসর পরিণতির প্রেমের গল্প। একদিকে গল্পের মূূল চরিত্র সৌরভের বেকারত্ব অন্যদিকে তার প্রেমিকা ঋতুর নারী জীবনের 'ভারানত' বধূ হওয়া। দু'টি জীবনের দু'দিকে বেঁকে যাওয়ার গল্প।
সব শেষে একটা বিষয় নিয়ে না বললে নয়, কামাল রাহমানের প্রতিটা গল্পে '...গ্রীষ্মের ঘন-নীল...', 'সুন্দর এক রুপালি সকালে...', 'শীতের সব তীব্রতা নিয়ে নভেম্বর...', 'গ্রীষ্মের সকাল', 'আষাঢ় ও শ্রাবণের ভরা...', 'মধ্য বসন্তের এক বিকেলে...', 'পুরো ঋতু...' ইত্যাদি ঋতু ও প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মেজাজকে সুন্দরভাবে তুলে আনা হয়েছে। এটি প্রকৃতি পিপাসু পশ্চিমাদের গল্প ও উপন্যাসে যত্রতত্র ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
বইটিতে মোট ৭টি গল্প স্থান পেয়েছে। বইটির প্রকাশক 'ধ্রুবপদ'। বইয়ের সুন্দর প্রচ্ছদ এঁকেছেন সঞ্জয় দে রিপন। আশা করি, 'স্টোনহেঞ্জ' পাঠককে একটি পরিণত আনন্দ এনে দিতে যথেষ্ট।
স্টোনহেঞ্জ কামাল রাহমান প্রকাশক : ধ্রুবপদ প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ প্রচ্ছদ: সঞ্জয় দে রিপন পৃষ্ঠা : ৫৬ মূল্য : ১১৫ টাকা।
ছোট গল্পে রবীন্দ্রধারাকে আদর্শ হিসাবে মানলেও এ ধারার বাইরে হাতেগোনা কিছু কাজ হয়েছে। তবে সেটি গল্প এবং 'কিছু বানিয়ে বলা' থেকে অনুভূতি ও উন্মুক্তভাব এখন উপযুক্তভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিশ্বায়ন ও পাশ্চাত্যের প্রভাবে পাঠকও নিদ্রিত রূপ ভাঙতে সাগ্রহী। আর এসব প্রচেষ্টার সাথে জড়িত আমরা পাঠককে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই বর্তমানে ইংল্যান্ডের সুইনডনে বসবাসকারী বিশিষ্ট গল্পকার ও ঔপন্যাসিক কামাল রাহমান এবং তাঁর গল্পগ্রন্থ 'স্টোনহেঞ্জ'-এর সাথে।
'স্টোনহেঞ্জ'। ছায়া। প্রজন্মের ছায়া এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি নাড়ির টান, একটি শেকড়ের টান অনুভব করলাম তাঁর গল্পগ্রন্থ স্টোনহেঞ্জ পড়ে। এই গল্পগ্রন্থের প্রথমে 'জানালায় সবুজ মেঘ' নামে একটি প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের দিকচিহ্ন হারিয়ে যাওয়া বাস্তবতা এবং একটি অর্থহীন ওয়াইল্ড প্লামের 'বুনো' প্রজাতিটার হারিয়ে যাওয়ার নীরব কান্না কতটা স্মৃতিমুখর হয় তা আমরা অশ্রুসিক্ত হয়েই দেখলাম। এ গল্পে একটি ব্রিটিশ পরিবারের পাঁচ প্রজন্মের একটি যৌক্তিক সেতু নির্মাণে ভিন দেশী অর্থাৎ ব্রিটিশ-ভারতীয় (সময়টা ব্রিটিশ-ভারতীয় হওয়ায় দিনাজপুর উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশী বললাম না) একটি নারীকে জীবনসঙ্গী করায় (ব্রিটিশ) সেই 'বুনো' ছায়াটি বেঁচে যায় 'স্টিলিদের খামার' সাইন বোর্ডের মধ্য দিয়ে। কিন্তু গল্পের বিভিন্ন চরিত্রে একই প্রজন্মের দু'জনের মধ্যে ঐতিহ্যের সংঘাাতও অনিবার্য হয়; সেটি মার্ক ও রিচার্ডের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে বোঝা যায়। তবুও সেটি বাস্তবতা। কারণ 'আহ্, কি শান্তি এখানটায়, কাঁচা ঘাসের গন্ধে বুক ভরে যায়, খামার জীবনের ছিঁটেফোঁটা আনন্দও কি আছে অক্সফোর্ডের নগর সভ্যতার ভেতর, অথচ কী নিয়তি মানুষের, ওটাই মেনে নিতে হয়!'
গল্পকার কামাল রাহমানের গল্প শিল্পিত উপস্থাপনায় শুধু ভিন্ন স্বাদই বহন করে না_ বরং তার দুঃসাহসী ভাবনা সমাজ সভ্যতার দেয়াল ভেঙে দেয়। তিনি বইয়ের দ্বিতীয় গল্প 'কয়েদি'তে একটি বিড়ম্বিত চরিত্র কয়েদি চিত্র শিল্পীর (রাইটার্স বস্নকের সাহিত্যিকও বটে) যে দুঃসাহসী ভাবনাকে এমন চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন_ তা সত্যিই আমাদের প্রচলিত ভাষার অন্যসব গল্প থেকে অনেক অনেক দূরে। উইল্টশায়ার কারাগারে যে 'কয়েদি'র জীবন ঘিরে 'কিশোরী মডেল' মেয়েটি 'নগ্ন হতে ও শরীরের বিভিন্ন ভঙ্গি আনতে দ্বিধা করে না' সেই এক সময় 'শিল্পী'র জীবনে এনে দেয় 'উইল্টশায়ার কারাগার'। তবু শিল্পীরও তো জীবন_ 'কল্পনা থেকেও কি ছবি আঁকতে পারে না একজন শিল্পী? অনেক দেবদেবীর নগ্ন ছবি আঁকা হয়েছে, ওদের কি নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন ঐসব শিল্পীরা?' আবার পাশ্চাত্যের যান্ত্রিক জীবনগুলো সত্যিই হিউম্যান-র্যাপ জড়িয়ে থাকে?
'তুষার' নামক গল্পে কামাল রাহমান মুয়িন ও জাস্টিনা দু'টি চরিত্রে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামই শুধু তুলে ধরেননি_ তিনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন, যে দেশের মানুষ নিত্য ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত সেখানে জিম, সওনা, স্টিমবাথ, ড্রেসিং, মেনিকিওর, পেডিকিওরগুলো কীভাবে শুধু বাণিজ্যিকই হয়। জাস্টিনা দেহ-অপসারিণী ছিলেন না_ হয়ে যান। তবু 'লতাপাতার ছাপ দেয়া ফ্লানেলের সুন্দর একটা রাত পোশাকে বাচ্চা মেয়ের মতো নির্মলা দেখায়' তাকে। বইয়ের মূল গল্প 'স্টোনহেঞ্জ'। এটিকে বইয়ের শিরোনাম করা হয়েছে। ভারতীয় ও পাশ্চাত্য পারিবারিক মূল্যবোধের সাংঘর্ষিক জীবনের বক্ররেখায় ধূসরিত ও অন্তরিতের গল্প এটি। যেভাবে স্টোনহেঞ্জ নির্মিত হয়েছিলো দেড় হাজার বছর ধরে; তবুও যেন তার উত্তরপুরুষেরা পূর্ণরূপ শেষ করে যেতে পারেননি। একটি রহস্যের ধাঁধা রেখে। তেমনি মানুষের জটিল জীবনে 'কখনো কখনো হৃদয় পাথর হয় স্ফুলিঙ্গ হয়, পাষাণ হয়, অন্তর্গত বিষাদে কাঁদে' যুগ যুগ ধরে যেন তার বহতা নদী। স্টোনহেঞ্জের মতো ন্যান্সিকে ঘিরে যে জীবন। এছাড়া 'চোর' গল্পে স্কটল্যান্ড প্রবাসী রসুমিয়া দেশে ফিরে গ্রামের উন্নয়নে মনোনিবেশ করে ঘটনাক্রমে চোর উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে একদিকে যেমন সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা অন্যদিকে সমাজ রন্ধ্রে মানবিক ব্যর্থতার দ্বার উন্মচিত হয়; যা গল্পকার কামাল রাহমান অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। কামাল রাহমান গল্প সাজাতেই যে দুরন্ত ও সাবলীল তা নয়, তাঁর উপস্থাপন ভঙ্গিতে এক ধরনের কাব্যিক রস বোধ ও সাহিত্যিক টান আমরা লক্ষ্য করি। যেমন তাঁর কয়েকটি বাক্য আওড়ালেই দেখুন, 'বিপরীত দিক থেকে আসা বাতাসের স্বর ফিসফিসে, ঘনিষ্ঠ শরীরলগ্ন মানুষের। ঘোলাটে মেঘের ধূসর দেয়াল কিছুটা হালকা হয়ে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে শেষবারের মতো আজকের এই এলোমেলো দিনটাতে।' এটি বইয়ের 'ছিনতাই' নামক গল্প থেকে নেওয়া।
বইয়ের শেষ গল্প 'পা-া'। এটি একটি ধূসর পরিণতির প্রেমের গল্প। একদিকে গল্পের মূূল চরিত্র সৌরভের বেকারত্ব অন্যদিকে তার প্রেমিকা ঋতুর নারী জীবনের 'ভারানত' বধূ হওয়া। দু'টি জীবনের দু'দিকে বেঁকে যাওয়ার গল্প।
সব শেষে একটা বিষয় নিয়ে না বললে নয়, কামাল রাহমানের প্রতিটা গল্পে '...গ্রীষ্মের ঘন-নীল...', 'সুন্দর এক রুপালি সকালে...', 'শীতের সব তীব্রতা নিয়ে নভেম্বর...', 'গ্রীষ্মের সকাল', 'আষাঢ় ও শ্রাবণের ভরা...', 'মধ্য বসন্তের এক বিকেলে...', 'পুরো ঋতু...' ইত্যাদি ঋতু ও প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মেজাজকে সুন্দরভাবে তুলে আনা হয়েছে। এটি প্রকৃতি পিপাসু পশ্চিমাদের গল্প ও উপন্যাসে যত্রতত্র ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
বইটিতে মোট ৭টি গল্প স্থান পেয়েছে। বইটির প্রকাশক 'ধ্রুবপদ'। বইয়ের সুন্দর প্রচ্ছদ এঁকেছেন সঞ্জয় দে রিপন। আশা করি, 'স্টোনহেঞ্জ' পাঠককে একটি পরিণত আনন্দ এনে দিতে যথেষ্ট।
স্টোনহেঞ্জ কামাল রাহমান প্রকাশক : ধ্রুবপদ প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ প্রচ্ছদ: সঞ্জয় দে রিপন পৃষ্ঠা : ৫৬ মূল্য : ১১৫ টাকা।
0 মন্তব্যসমূহ