কথা সাহিত্যিক অমর মিত্রের উপন্যাস ‘পুনুরুত্থান’-এর উপর একটি আলোচনা।
রিমি মুৎসুদ্দি
রাষ্ট্রশক্তির উৎস জনগণ। জনগণের কল্যাণেই রাষ্ট্রের যত নিয়মকানুন, আইন-আদালত, থানা-পুলিশ, জজ-ম্যাজিস্ট্রেট-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, আমলাতন্ত্রের ধারক ও বাহক উচ্চ-মধ্য-নিম্ন বিভিন্ন পদের সরকারী কর্মচারী। কল্যাণকামী রাষ্ট্র সর্বদাই সাধারণ মানুষ, গরীব-বড়লোক-আম-আদমি- প্রত্যেককে জাতীয় জীবনের পরিধির কেন্দ্রে দেখতে চাওয়ার দাবী রাখে। আর এই কারণেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা, আইন-কানুন ইত্যাদির মাধ্যমে কল্যাণকামী রাষ্ট্র সেই দাবী পূরণের চেষ্টা করে।
রাষ্ট্রীয় আইন সাধারণ, সৎ, নির্ভীক, আবার বোকা, ভীরু, অসৎ - বিভিন্ন ধরণের মানুষ নির্বিশেষে জনগণের অধিকার বা, বলা ভাল তাঁদের স্বাভাবিক, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত করে। অথচ, সেই সাধারণ মানুষই যখন রাষ্ট্রের দরবারে বিচারের আশায় এসে দাঁড়ায়, রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিভূরা তাঁদের ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতি, পদমর্যাদা, পদোন্নতি- এসবের নিরিখে বিচার করেন বিচারপ্রার্থীর আর্জি। বিচারালয়ের রায় ঘোষণার আগেই বিচার শেষ হয়ে যায়। যে রাষ্ট্রের কাছে তার ভূমিপুত্রেরা বিচারের আশায় আসে সেই রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্রই কণ্ঠরোধ করে তাদের আর্তির! সার্ভ ফর দ্য পিপল- এর প্রকৃত অর্থ কি ক্ষমতাসীনদের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও বিবেকহীনভাবে যন্ত্রবৎ নীল রক্তের আদেশ পালন? শ্রদ্ধেয় কথা সাহিত্যিক অমর মিত্রের উপন্যাস ‘পুনুরুত্থান’-এই প্রশ্নই তুলে ধরেছে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতার কুহকে হারিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের উপাখ্যান ‘পুনুরুত্থান’। পাহাড় টিলায় ঘেরা এক ছোট্ট গঞ্জ ন’পাহাড়ি। এই ন’পাহাড়ির একদিকে দামোদর, বিহারীনাথ পাহাড়। আরেকদিকে শাল, পিয়াল, হরিতকীর বন। দামোদরের তীরে মাটির নীচে কয়লা। ফাগুনের সময় এখানে যেমন পলাশের বনে আগুন লাগে, ঠিক তেমনই বেআইনি কয়লা খাদানের ধসে চাপা পড়ে যাওয়া ন’পাহাড়ি ও তার আশেপাশের গ্রামের বা ভিন রাজ্যের যত গরিবগুরবো শ্রমিকের ও তাদের এই হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার বিচারের দাবী তোলা প্রোটাগনিস্ট চরিত্রের রক্তের ছিটও যেন ন’পাহাড়ির পলাশের বনে লেগে থাকে। এই উপন্যাসের নায়ক ভরত কুইলা। শুধু ভরত কুইলাই নয়, ন’পাহাড়ির সমস্ত খাদানে চাপা পড়ে যাওয়া মৃত মানুষের ভীমাকার পাথরের স্তূপেরাও এই উপন্যাসের নায়ক। এই উপন্যাস কাহিনী নয়, সমস্ত ভারতবর্ষের ন’পাহাড়ের উপাখ্যান। এই উপাখ্যানের একদিকে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতার প্রতিভূ ডিএসপি, নীল রক্তের অনিন্দ্য তালুকদার। আরেকদিকে আছে রাঙামাটির ভরত কুইলা ও কিছু নীরক্ত মানুষেরা, যাদের শরীরি উপস্থিতি না থেকেও তারা রয়ে গেছে এই গোটা আখ্যান জুড়ে। আরো আছে দুর্বল, ভীরু হয়ত বা সৎ অথবা অসৎ প্রোমটি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুবল রায়, ন’পাহাড়ি থানার ওসি গোলকবিহারী কুণ্ডু, সাব ইন্সপেক্টর সুধন্য মাইতি, রাজ্য সিভিল সার্ভিস থেকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে প্রমোশন পাওয়া ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ ঘোষ। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক চরিত্রেরা, যেমন চরিত্রেরা থেকে যায় জীবনের উপাখ্যানে।
উপরে উল্লেখিত চরিত্রেরা শুধুমাত্র উপন্যাসের পাতায় নয়, সারা ভারতবর্ষ বা বলা ভাল সারা পৃথিবী জুড়ে যেখানে শোষিত,বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের অধিকার রাষ্টযন্ত্রের প্রতিভূ আমলাতন্ত্রের কুহকে হারিয়ে যায়, সেখানেই ছড়িয়ে রয়েছে। উপন্যাসের এক প্রধান চরিত্র ভরত কুইলা চেষ্টা করেছিল রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতে বেআইনি কয়লা খাদানে চাপা পড়ে যাওয়া শ্রমিক মৃত্যুর। সাব-সয়েল রাইটকে কলা দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির চোরাচালানকারী বেআইনি কয়লাখাদানের মালিকের বিরুদ্ধে এই শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগের বিচার চাওয়ার বড় বেশী মূল্য দিতে হল এইচ এস পাশ, ন’পাহাড়ির গ্রামে সরকারী অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টায় চালান ফ্রি-ইস্কুলের শিক্ষক ভরত কুইলা ও তাঁর প্রতি নৈতিক সমর্থন জানান, বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন সৎ অথচ ভীরু ন’পাহাড়ি থানার ওসি গোলকবিহারী কুণ্ডুকে। নীল রক্তের প্রতি বিবেকহীন আনুগত্য ও ক্ষমতার পাশে দাঁড়ানোর মূল্য দিতে হয়েছিল প্রোমটি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুবল রায়কেও। নিজেকে আইনি মারপ্যাঁচের বাইরে রেখেও ক্ষমতাবানের অপরাধ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে জেলাশাসক সন্দীপ ঘোষ তাঁর নিজের মেয়ে বুবুন-সম্বিতার কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। ‘দিজ ল্যাণ্ড ইজ ইওর ল্যাণ্ড…অ্যাজ আই ওয়েন্ট ওয়াকিং আপ…হাই ওয়ে… আই স অ্যাবাউট মি এন্ডলেস স্কাইওয়ে… দিস ল্যাণ্ড ইজ মাই ল্যাণ্ড….দিস ল্যাণ্ড ইজ ইওর ল্যাণ্ড’- কম্পিউটারের সাউণ্ড-বক্সে সম্বিতার বাজানো পিট সিগারের এই গান শুনতে শুনতে জেলাশাসক একবার বুঝি ভেবেছিলেন তাঁর অধস্তনকে কিছু পূর্বে নীল রক্তের অপরাধ চাপা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা ভুলে গিয়ে সৎ ভাবে ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট লিখতে বলবেন। না, তিনি পারলেন না তাঁর ভুল সংশোধন করতে। ক্ষমতা ও দুর্নীতির আঁতাতের কাছে হেরে গিয়েছিল সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানবিকগুণ।
এই ক্রমাগত হেরে যাওয়াগুলোর মধ্যেও আশা যোগায় মৃত ভরত কুইলার পুনুরুত্থান। মৃতের ফিরে আসা হোক না যতই অলীক, মিথ! তবু এই ছদ্ম আশ্বাস কোথাও আশা যোগায় পাথরে চাপা পড়ে যাওয়া মৃত মানুষেরা একদিন যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে ফিরে আসবে এই ঘুণ ধরান ক্ষমতাবানদের শাসন ব্যবস্থার ভিত নাড়িয়ে দিতে। আমলাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নিশ্ছিদ্র ঘেরাটোপে অপরাধ করেও বেকসুর খালাস হয়ে যাওয়া নীল রক্তের অপরাধীকেও একদিন ভরত কুইলার ও তার মত পাথর হয়ে যাওয়া মরা মানুষদের মুখোমুখি হতে হবে।
রিমি মুৎসুদ্দি
রাষ্ট্রশক্তির উৎস জনগণ। জনগণের কল্যাণেই রাষ্ট্রের যত নিয়মকানুন, আইন-আদালত, থানা-পুলিশ, জজ-ম্যাজিস্ট্রেট-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, আমলাতন্ত্রের ধারক ও বাহক উচ্চ-মধ্য-নিম্ন বিভিন্ন পদের সরকারী কর্মচারী। কল্যাণকামী রাষ্ট্র সর্বদাই সাধারণ মানুষ, গরীব-বড়লোক-আম-আদমি- প্রত্যেককে জাতীয় জীবনের পরিধির কেন্দ্রে দেখতে চাওয়ার দাবী রাখে। আর এই কারণেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা, আইন-কানুন ইত্যাদির মাধ্যমে কল্যাণকামী রাষ্ট্র সেই দাবী পূরণের চেষ্টা করে।
রাষ্ট্রীয় আইন সাধারণ, সৎ, নির্ভীক, আবার বোকা, ভীরু, অসৎ - বিভিন্ন ধরণের মানুষ নির্বিশেষে জনগণের অধিকার বা, বলা ভাল তাঁদের স্বাভাবিক, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সুনিশ্চিত করে। অথচ, সেই সাধারণ মানুষই যখন রাষ্ট্রের দরবারে বিচারের আশায় এসে দাঁড়ায়, রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিভূরা তাঁদের ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতি, পদমর্যাদা, পদোন্নতি- এসবের নিরিখে বিচার করেন বিচারপ্রার্থীর আর্জি। বিচারালয়ের রায় ঘোষণার আগেই বিচার শেষ হয়ে যায়। যে রাষ্ট্রের কাছে তার ভূমিপুত্রেরা বিচারের আশায় আসে সেই রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্রই কণ্ঠরোধ করে তাদের আর্তির! সার্ভ ফর দ্য পিপল- এর প্রকৃত অর্থ কি ক্ষমতাসীনদের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও বিবেকহীনভাবে যন্ত্রবৎ নীল রক্তের আদেশ পালন? শ্রদ্ধেয় কথা সাহিত্যিক অমর মিত্রের উপন্যাস ‘পুনুরুত্থান’-এই প্রশ্নই তুলে ধরেছে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতার কুহকে হারিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের উপাখ্যান ‘পুনুরুত্থান’। পাহাড় টিলায় ঘেরা এক ছোট্ট গঞ্জ ন’পাহাড়ি। এই ন’পাহাড়ির একদিকে দামোদর, বিহারীনাথ পাহাড়। আরেকদিকে শাল, পিয়াল, হরিতকীর বন। দামোদরের তীরে মাটির নীচে কয়লা। ফাগুনের সময় এখানে যেমন পলাশের বনে আগুন লাগে, ঠিক তেমনই বেআইনি কয়লা খাদানের ধসে চাপা পড়ে যাওয়া ন’পাহাড়ি ও তার আশেপাশের গ্রামের বা ভিন রাজ্যের যত গরিবগুরবো শ্রমিকের ও তাদের এই হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার বিচারের দাবী তোলা প্রোটাগনিস্ট চরিত্রের রক্তের ছিটও যেন ন’পাহাড়ির পলাশের বনে লেগে থাকে। এই উপন্যাসের নায়ক ভরত কুইলা। শুধু ভরত কুইলাই নয়, ন’পাহাড়ির সমস্ত খাদানে চাপা পড়ে যাওয়া মৃত মানুষের ভীমাকার পাথরের স্তূপেরাও এই উপন্যাসের নায়ক। এই উপন্যাস কাহিনী নয়, সমস্ত ভারতবর্ষের ন’পাহাড়ের উপাখ্যান। এই উপাখ্যানের একদিকে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতার প্রতিভূ ডিএসপি, নীল রক্তের অনিন্দ্য তালুকদার। আরেকদিকে আছে রাঙামাটির ভরত কুইলা ও কিছু নীরক্ত মানুষেরা, যাদের শরীরি উপস্থিতি না থেকেও তারা রয়ে গেছে এই গোটা আখ্যান জুড়ে। আরো আছে দুর্বল, ভীরু হয়ত বা সৎ অথবা অসৎ প্রোমটি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুবল রায়, ন’পাহাড়ি থানার ওসি গোলকবিহারী কুণ্ডু, সাব ইন্সপেক্টর সুধন্য মাইতি, রাজ্য সিভিল সার্ভিস থেকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে প্রমোশন পাওয়া ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ ঘোষ। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক চরিত্রেরা, যেমন চরিত্রেরা থেকে যায় জীবনের উপাখ্যানে।
উপরে উল্লেখিত চরিত্রেরা শুধুমাত্র উপন্যাসের পাতায় নয়, সারা ভারতবর্ষ বা বলা ভাল সারা পৃথিবী জুড়ে যেখানে শোষিত,বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের অধিকার রাষ্টযন্ত্রের প্রতিভূ আমলাতন্ত্রের কুহকে হারিয়ে যায়, সেখানেই ছড়িয়ে রয়েছে। উপন্যাসের এক প্রধান চরিত্র ভরত কুইলা চেষ্টা করেছিল রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতে বেআইনি কয়লা খাদানে চাপা পড়ে যাওয়া শ্রমিক মৃত্যুর। সাব-সয়েল রাইটকে কলা দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির চোরাচালানকারী বেআইনি কয়লাখাদানের মালিকের বিরুদ্ধে এই শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগের বিচার চাওয়ার বড় বেশী মূল্য দিতে হল এইচ এস পাশ, ন’পাহাড়ির গ্রামে সরকারী অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টায় চালান ফ্রি-ইস্কুলের শিক্ষক ভরত কুইলা ও তাঁর প্রতি নৈতিক সমর্থন জানান, বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন সৎ অথচ ভীরু ন’পাহাড়ি থানার ওসি গোলকবিহারী কুণ্ডুকে। নীল রক্তের প্রতি বিবেকহীন আনুগত্য ও ক্ষমতার পাশে দাঁড়ানোর মূল্য দিতে হয়েছিল প্রোমটি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুবল রায়কেও। নিজেকে আইনি মারপ্যাঁচের বাইরে রেখেও ক্ষমতাবানের অপরাধ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে জেলাশাসক সন্দীপ ঘোষ তাঁর নিজের মেয়ে বুবুন-সম্বিতার কাছে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। ‘দিজ ল্যাণ্ড ইজ ইওর ল্যাণ্ড…অ্যাজ আই ওয়েন্ট ওয়াকিং আপ…হাই ওয়ে… আই স অ্যাবাউট মি এন্ডলেস স্কাইওয়ে… দিস ল্যাণ্ড ইজ মাই ল্যাণ্ড….দিস ল্যাণ্ড ইজ ইওর ল্যাণ্ড’- কম্পিউটারের সাউণ্ড-বক্সে সম্বিতার বাজানো পিট সিগারের এই গান শুনতে শুনতে জেলাশাসক একবার বুঝি ভেবেছিলেন তাঁর অধস্তনকে কিছু পূর্বে নীল রক্তের অপরাধ চাপা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা ভুলে গিয়ে সৎ ভাবে ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট লিখতে বলবেন। না, তিনি পারলেন না তাঁর ভুল সংশোধন করতে। ক্ষমতা ও দুর্নীতির আঁতাতের কাছে হেরে গিয়েছিল সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানবিকগুণ।
এই ক্রমাগত হেরে যাওয়াগুলোর মধ্যেও আশা যোগায় মৃত ভরত কুইলার পুনুরুত্থান। মৃতের ফিরে আসা হোক না যতই অলীক, মিথ! তবু এই ছদ্ম আশ্বাস কোথাও আশা যোগায় পাথরে চাপা পড়ে যাওয়া মৃত মানুষেরা একদিন যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে ফিরে আসবে এই ঘুণ ধরান ক্ষমতাবানদের শাসন ব্যবস্থার ভিত নাড়িয়ে দিতে। আমলাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নিশ্ছিদ্র ঘেরাটোপে অপরাধ করেও বেকসুর খালাস হয়ে যাওয়া নীল রক্তের অপরাধীকেও একদিন ভরত কুইলার ও তার মত পাথর হয়ে যাওয়া মরা মানুষদের মুখোমুখি হতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ