“Only the solitary seek the truth, and they break with all those who don’t love it sufficiently"
বহুদিন চাই-ল্যাটে তে আসা হয়নি।
হেমন্ত এসে গেছে। নোবেল প্রাপ্তির মরশুম চলছে। ভারতীয় উপমহাদেশের অর্থনীতির নোবেল হাতছাড়া হল। পেলেন না রঘুরাম রাজন।
কারা পেলেন, কারা পেলেন না, কাদের পাওয়া উচিত ছিল খুবই- এরই বহুবিধ বয়ান।
তাতে সমাজ পরিপূর্ণ প্লুরালিস্টিক আবেগ রসে- রাগ, ক্ষোভ , আদর, ঘৃণা, লবি সাফল্য এই সব।
যেমন নোবেল না পাওয়ার আফসোস, পেয়ে নিঃস্পৃহ থাকার ঊর্ধ্ব-স্তোক, তেমনই আবার রাজনীতির ঘেরাটোপে নোবেল পেয়েও গ্রহণ না করতে পারার প্রত্যাখ্যানের বীতশোক। রয়েছে চাপ সৃষ্টি করে নোবেল ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করার ঘটনাও।
যেমন ঘটেছিল ১9৫৮' র সাহিত্য-নোবেল টি'র ঘোষণায়। প্রাপক মনোনীত হয়েছিলেন- বরিস পাস্তেরনাক। ডক্টর জিভাগো উপন্যাসের জন্যে।
বাধ্য হয়েছিলেন ফিরিয়ে দিতে।
গত কুড়ি বছর ধরে কাজ-খসড়া করে পাস্তেরনাক নির্মান করেছেন এই ডক্টর জিভাগো কে।
লিখতে শুরু করেন চল্লিশের মাঝামাঝি।
সাল ১৯৪৫।
কয়েক গোছা শাদা না-ব্যবহৃত কাগজ এক বন্ধু সূত্রে উত্তরাধিকার পেয়েছেন পাস্তেরনাক। তার জর্জিয়ান এই কবি-বন্ধু কে চূড়ান্ত অত্যাচার এর পর হত্যা করা হয়েছে গত মাসে। গুলাগের কুখ্যাত ঘেরাটোপে। তার সদ্য বিধবা তরুণীটি এসে হাতে তুলে দিলেন এই বল্কল-গুচ্ছ পাস্তেরনাকের হাতে। যাতে অক্ষর লিখে উঠতে পারেননি কবি, তাকে পাস্তেরনাকের হাতে তুলে দেবেন। তিনি গ্রহণ করবেন এতে আখর ভরার ভার। বন্ধুর স্টাডি থেকে পাওয়া সেই কাগজ-গোছা নিয়ে এসে বসেছেন লেখার টেবিলে পাস্তেরনাক। জানালার পাশে। বাইরে নিঃশব্দ তুষারপাত।
শাদা-কালোর কন্ট্রাস্টের ম্রিয়মান আলো। হাড়কাঁপানো শীতের বিকেলে ঘরের ভেতর আগুণ জ্বালিয়ে নিলেন পাস্তেরনাক। কোটের হাতা-খানা গুটিয়ে নিলেন অল্প। চওড়া কব্জি তুলে উঠিয়ে নিলেন কলম। দোয়াতে ডোবালেন বেশ কয়েকবার।
শাদা কাগজে আখর আঁকছেন পাস্তেরনাক। যতবার আঁকেন, কালো অক্ষরগুলি লাল হয়ে ওঠে। কাগজের দিস্তা গুলি মৃত বন্ধুর শবদেহের মতই শাদা। বন্ধুর নীরক্ত শাদা শুষ্ক ঠোঁট দুটি অল্প হাঁ হয়ে থাকা মধ্যবর্তী রেখা থেকেই এখন আখর আনবেন তিনি।
এর ওপর এখন লিখবেন পাস্তেরনাক। উঠে আসছে প্রথম বাক্য বন্ধ, অক্ষরমালা, শব্দগুচ্ছ।
তিনি লিখছেন-
“They walked and walked and sang ‘Memory Eternal.’ and whenever they stopped, the singing seemed to be carried on by their feet, the horses, the gusts of wind.”
সাল ১৯৫৬। লেখা শেষ হোল। উপন্যাস এর অলিন্দ গুলি ভরে উঠল বিপ্লবের অন্ধকার গর্ত-গুলির উন্মোচনে।
পাস্তেরনাক ব্যর্থ হলেন কমিউনিস্ট পার্টির স্তুতি-বন্দনে।
পাস্তেরনাক উপলব্ধি করলেন, জর্জ অরওয়েল এর মত - no writer with "any honesty or talent" can write political propaganda.
অতএব পারলেন না পাস্তেরনাক ও। নিবদ্ধ করে ফেল্লেন- সত্যাসত্য। জননী ইভের সদাসদ জ্ঞান-বৃক্ষের উন্মোচন তার রক্তস্রোত বেয়ে। যার ফলাফল হতে পারে যেকোনো এক্সিকিউশন থেকে মৃত্যু-শীতল সাইবেরিয়ার গুলাগ পর্যন্ত। কি ভাবে আলো দেখাবেন পৃথিবীর এই সদ্য প্রসূত ' ডক্টর জিভাগো' কে । জানা ছিল আগেই। গোপনে পাঠিয়ে দিলেন এক ইতালীয় প্রকাশকের কাছে। স্মাগ্ল করলেন বলা যেতে পারে। ঠিক যেভাবে এই দশকেরও গোড়ায় চলচিত্র বানিয়ে স্মাগ্ল করে দেন ইরানের নজরবন্দী পরিচালক জাফর পানাহী। সারা বিশ্বের কাছে এনে দেন তথ্য-সত্য, তেমন সান্ধ্য রেটরিকে না খেলেও। একটি ঘরের অন্দরে বসে সাদামাটা ক্যামেরা টিকে মাত্র সম্বল করে। ছবি কি এইভাবে নির্মাণ করা যায় ? ক্যামেরা ও ন্যুনতম প্রয়োজনীয় কাঁচা মাল ছাড়া? তাও তা ছবি হয়ে ওঠে। যদিও পানাহী তাকে বলবেন - দিস ইস নট আ ফিল্ম। এই নামেই ছবিটি নির্মাণ করেছেন তিনি। জুতোর তলায় চিপ্স ভরে পাঠিয়ে দিলেন দেশের বাইরে। সারা পৃথিবী জুড়ে মানুষ দেখলেন পানাহীর সেই অত্যাশ্চর্য মানবিক বয়ান- যা তার ভাষায়- 'আসলে কোন ছবি নয়' !
সাংস্কৃতিক-ইঞ্জিনীয়ারিং ক্ষেত্রে স্ত্যালিন এর প্রধান অবলম্বন ছিল প্রোপাগ্যান্ডা। স্ত্যালিন সাহিত্য'কে এই কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
একিভাবেই তাদের মরণ-শত্রু সি-আই-এ ও। কিন্তু জিভাগো'র ক্ষেত্রে সাহিত্য সি- আই- এ' র এই মডেলের কাছে উপকৃত হল । শত্রুর না-স্তুতি, ব্যর্থ প্রোপাগ্যান্ডা'র রেটরিক 'আমাদের জন্য লাভজনক' এই মডেলে সি-আই-এ চালু করে দিলো কাজ।
ছাপা হতে থাকল শত শত ডক্টর জিভাগো। মার্কিন দেশে। হয়ে উঠল গেরস্থালীর কোণের, বৈঠকখানার, লাইব্রেরির, স্টাডি-ঘরের এক আবশ্যক বই-নাম।
শীতল-যুদ্ধের জমানায় প্ররোচনা নির্মাণ করতে সি.আই.এ যেমন শতাধিক কাজের কমিশন দিয়েছিল। তেমনই শতাধিক প্রোপাগ্যান্ডা নির্মিত হয়েছে সোভিয়েত-জমানায় পার্টির ইডিওলজি''র স্তুতি করে।
যেমন সি-আই-এ কে মিলিটারি মেটাফর ব্যবহার করতে দেখি - “the most important weapon of strategic propaganda.”
অর্থাৎ শিল্পী ও শিল্পের এন্তেকাল আবাহন।
পাস্তেরনাকের উপন্যাস শেষ হাওয়ার পর-পরই কেজিবি তার 'রীতি' অনুযায়ী তার " যোগ্যতা' বিচার করল। বিচারে প্রত্যাখ্যাত হলে কে-জি-বি তার এন্তেকাল দাগাল এই বলে যে বইটি আদ্যন্ত এক “malicious libel.”
আমেরিকান নিজস্ব প্রোপাগ্যান্ডা'র আরেকটি "আর্লি-ফর্ম" হোল আমেরিকা ভূখণ্ডে বসবাসকারী মুল-বাসীদের জীবন-ইতিহাস বিকৃত করণের রচনা-উপাদান। যেমন এই উপাদানটি। 'A Narrative of the Captivity and Restoration of Mrs. Mary Rowlandson'। এটি একটি সহজ গদ্যে লেখা ন্যারেটিভ। কিভাবে নেটিভ আমেরকানরা গরীব ক্রিশ্চান রমণীদের অপহরণ করে বর্বর অত্যাচার চালায়, তাই হোল এ রচনাটির বিষয়। খুব সহজেই এই বই ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান দের মধ্যে বিবমিষা ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল।
এই প্রসঙ্গে ওয়াল্ট ডিজনি ও মনে এসে যাচ্ছেন। আসছেন যখন, লিখে ফেলাই যাক।
কোল্ড-ওয়ার চলাকালীন সময়ে মার্কিন-জাতিকে মজারু জীবজন্তু উপহার দেওয়া ছাড়াও শীতল-যুদ্ধের সময় যুদ্ধ-সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন ডিজনি সাহেব অত্যন্ত সুচারু ভাবে। এই সেই ওয়াল্ট ডিজনি, যিনি বিশ্বযুদ্ধের বছর গুলিতে অ্যান্টি-নাৎসি, যুদ্ধ-বিরোধী অ্যানিমেশন বানিয়েছেন। তিনিই ফলাও করে ১৯৫৬ তে ছাপিয়ে ফেল্লেন বর্নিল এক কমিক্স এর বই। নাম দিলেন- আমাদের বন্ধু- অ্যাটম।
১৫৬ পাতার 'গর্জাস' এই বইয়ের পাতায় পাতায় অ্যাটম এর ধ্বংসাত্মক দিকটি নস্যাৎ করে, সে যে আসলে অতি প্রয়োজনীয় বিষম-বস্তু- এইকথা দশ-মুখে ছাপা হল। বাইশ জন আঁকার শিল্পী কে নিযুক্ত করা হল এই বই কে যথা সম্ভব আকর্ষণীয় করে তুলতে। কাজ হল।
গড় মার্কিন-মানসে বিশ্বাস জন্মাল- অ্যাটমই আমেরিকার ভবিষ্যৎ।
''The atom is our future. It is a subject everyone wants to understand, and so we long had plans to tell the story of the atom.''
এই হোল প্রোপ্যাগান্ডা'র সাংস্কৃতিক ইঞ্জিনীয়ারিং। এর কাজ অভিমত-নির্মানের এর অভিমুখটিকে ( যাকে অধ্যাপক চমস্কি' বলবেন ম্যানুফাকচারিং কন্সেন্ট ) কেবলই ঘুরিয়ে দেওয়া।
আবহাওয়া দপ্তর ভুল খবর দেন। কিন্তু হাওয়া-মোরগের বাতাস-সম্পর্ক জারী থাকে।
যেমন এই বাংলা তেও।
বাংলায়, বাংলা-ভাষায় প্রথম 'উপন্যাস' নির্মিত হল-প্রোপাগ্যান্ডার অভীপ্সায়। ১৮৫৬ সালে। করুণা আর ফুলমণির'র বিবরণ। বাহ্যিক ভাবে নির্দোষ ধর্মের কথা পাড়া গেলো বাঙালী সমাজ-মানুষের জীবন কথনের -এর কায়দায়। আর এ জিনিশ ঘটছে নারীর কলমে। তাও বিদেশিনী। হানা ক্যাথরিন মুলেন্স। এক ইউরোপীয় পাদ্রীর সন্তান। চুঁচুড়ায় জন্ম। ১৮২১ সালে। বাঙালী পরিচারকদের কাছ থেকে শিশুসুলভ ভাষা-শিক্ষার দক্ষতায় সহজেই শিখে ফেলছেন বাংলা দেশের ভাষা, কথ্য ও লিখন দুই। ১৮৫৬ তে নিজেই লিখে ফেললেন বাংলায়। এক ধর্ম পুস্তক। উপন্যাসের আকারে।
ধর্মের সুষমা প্রচারের জন্য মিশনারি'র বাংলা বাইবেল এর পাশাপাশি বাঙালীকে প্রভাবিত করতে প্রয়োজন হচ্ছিল লোক্যাল রেফারেন্সের। সহজ সরল গদ্যের। লোক্যাল চরিত্র ও আঞ্চলিক কাহিনীর জোগান এর।
করুণা আর ফুলমণির'র বিবরণ, বাংলায় উপন্যাসের ধাঁচাটি কে নির্মাণের চেষ্টা করল। যদিও চরিত্র, প্লট-নির্মাণ, মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণের সাহিত্যিক গুণ থেকে উপন্যসপম গ্রন্থটি পিছিয়ে থাকল।
যদি না ১৮২৫ সালে লেখা ভবানী চরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নববাবুবিলাস' বাংলায় লেখা প্রথম উপন্যাস না হয়ে থাকে। হতে পারছেনা তার সীমিত শব্দসংখ্যার পরিসরের জন্যে। অনেকেই বলছেন এটি একটি বড় গল্প বলা যেতে পারে। এবং কিছুটা বিচ্ছিন্ন ও বটে।
পাঠক যাতে বেশী প্রশ্ন না করতে পারেন তাই ফিকশনের ঢঙে পরিবেশনা। লেখক-টেখক না- সরাসরি গল্প। আর তার প্যাঁচ-পয়জারে আসলি লেখকের মৃত্যু-রচনা। আসলি কলমেরও।
প্রপাগ্যান্ডিস্ট সফল হয়ে ওঠেন যে যে কারণে তার মধ্যে একটি কারণ- আমরা আমাদের নিজেদের সম্পর্কে অজ্ঞাত। এখানেই বোধহয় রেটরিক ঢুকে পড়েন। আমি কিভাবে ভাষা পড়ব নাকি ভাষা আমাকে পড়বে ?
তা নিয়ে হোমো-সেপিয়েন্স এর মস্তিষ্কে সংখ্যাতীত বয়ানের চালাচালি হয়।
এই নিয়ে চমস্কির ভাষ্য হল- “it is the responsibility of intellectuals to speak the truth and to expose lies. Even Stalin proclaimed his love for democracy. We do not learn about the nature of systems of power by listening to their rhetoric" .
রেটরিক যদি হয়- 'আর্ট অফ টেলিং ট্রুথ' । প্রোপাগান্ডা তাকে ব্যবহার করে কি করে ? একই ভাবে। প্রোপাগ্যান্ডা তাকে দিয়ে তার মত করে আদ্ধেক পৃথিবী লিখিয়ে নেয়। কিন্তু অনন্ত থেকে অর্ধেক পৃথিবী কেন, পুরো পৃথিবী লিখিয়ে নিলেও তো প্রায় অনন্ত'ই অবশিষ্ট থাকেন। ভাবেন, শব্দ-জ্ঞানী।
ষ্টেট-সিস্টেম তাকে প্রোপাগ্যান্ডা, পাল্টা- প্রোপাগ্যান্ডায় ডুবিয়ে রঙ ধরাতে থাকে।
মাও লিখলেন দ্য লিটল রেড বুক। নাৎসি জমানায় লেনী রিফেনস্তাল বানিয়ে তুললেন দ্য ট্রাইয়াম্ফ অফ উইল। শুধু মাত্র প্রপ্যাগ্যান্ডার স্বার্থে। সারা বিশ্বের সিনেমার ইতিহাসে সিনে-ভাষার টেক্সট বই হয়ে থেকে গেল চলচ্ছবিটি । থাকবে, যতদিন সিনেমা থাকবে। এভাবেই শিল্পের অন্দরে ঢুঁসিয়ে দেওয়া প্রোপাগ্যান্ডা'র গা বেয়ে মধ্যে মধ্যে উপ্সে ওঠে শিল্পের সনাতনী ভেপার।
******
হেমন্তের পড়ন্ত আলোয় ক্লান্ত হয়ে আসা মোম-প্রিয় বিকেলটি নাজুক প্রশ্ন তোলে।
কেন লেখেন লেখক ? কি লেখেন ?
হতে পারে নাবোকভের সেই গহীন দৃষ্টি সন্ধানে-
“Between the wolf in the tall grass and the wolf in the tall story there is a shimmering go-between. That go-between, that prism, is the art of literature.” —
এই সেই- 'মধ্যে যাওয়া'। এলাকা চিহ্নিত করা। সেই প্রিজম। সেই মধ্যবর্তী এলাকা। তারই খোঁজ।
******
বালির ওপর বিছিয়ে আছে মেডিটেরানিয়ানের ঝকঝকে রোদ ।
সুতীব্র নীল ভূমধ্যসাগর। তার তীর লাগোয়া শাদা চুন-পাথরে গাঁথা একটি কুটির।
তার কান ঘেঁষে বসে আছেন সোক্রাতেস ও ফেদ্রুস।
একটি দিনের সমাপন। সূর্যাস্ত দেখবেন। তাই অপেক্ষায়মান প্রবীণ এই জ্ঞান-উপাসক।
গোলাকার গলন্ত জ্যোতিষ্কের দিকে তাকিয়ে থেকে সোক্রাতেস বলে উঠলেন-
সোক্রাতেসঃ আমার ধারণা ফেদ্রুস, রেটরিকের শিল্প ও ওষধি বিদ্যার শিল্প আসলে একই মুদ্রার ভিন্ন পিঠ, এছাড়া কিছু নয়।
সমুদ্রে অপসৃয়মাণ আলোর দিকে উদাসীন তাকিয়ে আছেন ফেদ্রুস। আধো স্বরে বললেনঃ কেন বলছেন একথা?
সোক্রাতেসঃ রেটরিক বা মেডিসিন উভয়ের ক্ষেত্রেই মুল কাজটি হল একইরকম। ভেবেছ তা? সে হল দেহ কেন্দ্রিক। তারই প্রকৃতি বা ব্যবহারিক অন্বেষণ। মেডিসিন শরীরের অন্য অঙ্গ গুলির প্রকৃতি অন্বেষণ করে আর রেটরিক করে শরীরের চিন্তা অঙ্গের প্রকৃতিটি।
দু'এর ক্ষেত্রেই এই জ্ঞান সংগ্রহ করার জন্যে প্রয়োজন সুচিন্তিত বিশেষ পরিশ্রম। সেই শ্রম- যা একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী বা শব্দ-জ্ঞানী মানুষ নিছক বক্তৃতা বা পাব্লিক প্রদর্শনী তে ব্যবহার করতে পারেন না। ধ্যানের মত নিভৃতে যেভাবে শল্যকাজ বা চিকিৎসা সম্পাদন করতে হয়। সেভাবেই নিভৃতে রেটরিক ও প্রয়োগ করতে হয়। তবেই তার কাজ সমাধা হয়।
চোখে পড়ল- পাস্তেরনাক লিখছেন।
“It’s not true that people only value the novel because of politics. That’s a lie. They read it because they love it.”
আপাত মামুলি এক বাক্যবন্ধ। নেহাত-ই।
5 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ লেখাটি। পড়তে পেয়ে আনন্দ হল। অশেষ ধন্যবাদ লেখক অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আর গল্পপাঠের প্রতি কৃতজ্ঞতা!
উত্তরমুছুনঅসাধারন সহজ ভাবে লেখা সর্বসাধারনের পড়ার জন্য পাঠাবার অনুমতি চাই। ভালো লিখুন। আমরা তো পারি নি। আপনাদের ওপর ই ভরসা।
উত্তরমুছুননিশ্চয়ই শেয়ার করুন। অনেক ধন্যবাদ।
মুছুনঅনেক ধন্যবাদ লুতফুন নাহার লতা ! আমি আপনার গুণগ্রাহী।
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ jnani ... পাঠকই ভরসা...।
উত্তরমুছুন