আমি কীভাবে লিখতে শুরু করেছিলাম

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস

অনুবাদ: হামীম কামরুল হক


[এ-লেখাটি মার্কেসের প্রবন্ধ ও বক্তৃতামালার সংকলন ‘আই’অ্যাম নট হেয়ার টু গিভ অ্যা স্পিচ’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। মূল রচনার নাম ‘হাউ আই বিগান টু রাইট’। মূল স্প্যানিশ থেকে রচনাটি ইংরেজি অনুবাদ করেছেন এডিথ গ্রসম্যান।]

সবার আগে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের সামনে বসে বসে কথা বলবার জন্য, কিন্তু সত্য হলো এই যে, যদি আমি দাঁড়িয়ে বলি, আমি যা অবস্থা তাতে দুম করে মাথাঘুরে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। আমি সবসময় চিন্তা করি আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ পাঁচমিনিট আমি কাটিয়েছিলাম এরোপ্লেনের ভেতরে, কুড়ি থেকে ত্রিশজন লোকের সামনে, ঠিক এখনকার মতো নয়, দুশো বন্ধুবান্ধবের সামনে, সেটা আমার কপালে ছিল। সৌভাগবশত, যেটা ঘটেছিল তা-ই আমাকে আমার সাহিত্য নিয়ে কিছু কথা বলবার সাহস জুগিয়েছে, যেসময়টা থেকে আমি লেখক হওয়ার চিন্তা করেছিলাম, ঠিক একইভাবে আমি এই-যে মঞ্চে উঠেছি: আমাকে তখনও বাধ্য করাই হয়েছিল। আমি স্বীকার করি এই সমাবেশে না-হাজির হওয়ার জন্য আমি সবরকমের উছিলা বানানোর চেষ্টা করেছিলাম: আমি অসুস্থ হতে চেষ্টা করেছি, আমি চেষ্টা করেছি যাতে আমার নিউমোনিয়া হোক, আমি নাপিতের কাছে গেছি, এই আশা নিয়ে যদি কোনো একভাবে অসাবধানে আমার কণ্ঠনালীটা চিরে যাক, এবং চূড়ান্তভাবে, এটা আমি ঘটাতে চেষ্টা করেছি যে আমি এখানে আসবো কোনোরকমের জ্যাকেট ও টাই ছাড়া যাতে লোকজন আমাকে এমন একটা সিরিয়াস সম্মেলনে যাতে ঢুকতে না দেয়, কিন্তু আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি এখন ভেনেজুয়েলাতে আছি, যেখানে আপনি হাতকাটা শার্টপরেও যেতে পারেন যেকোনো জায়গায়। ফলে যা হলো: এখন আমি এখানে, এবং আমি জানি না কোথা থেকে শুরু করা যেতে পারে। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে পারি, উদাহরণ হিসেবে, আমি কীভাবে লিখতে শুরু করেছিলাম।

আমার লেখক হওয়ার কোনো কারণই ছিল না, কিন্তু ছাত্র অবস্থায় এদুয়ার্দো জালামিয়া বোর্দা, বোগাটার পত্রিকা ‘এল এক্সপেক্তাদোরে’র সাহিত্য পাতার সম্পাদক, ছোট্ট একটা লেখা লিখলেন যাতে তিনি বললেন যে, তরুণ প্রজন্মের ভেতর থেকে তিনি কোনো সম্ভবনাই দেখতে পারছেন না. যাতে কোনো নতুন গল্পলেখক, একজন নতুন ঔপন্যাসিক হাজির হবেন, কোনোখানে এর কোনো চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না। এবং তিনি এই বলে বিষয়টির ইতি টানলেন যে, তাকে প্রায়ই এই দুর্নামের ভাগীদার হতে হয় যে, তার পত্রিকায় কেবলই খ্যাতিমান প্রবীণ লেখক ছাড়া আর কারো লেখা ছাপানো হয় না, তরুণদের কোনো স্থানই এতে নেই, যেখানে সত্য হলো এই যে, তিনি মনে করেন, তরুণরা কেউ আর লেখালেখির ভেতরে নেই।

তখন এই-যে ঢালাও মন্তব্য করা হলো আমার প্রজন্ম সম্পর্কে, তাতে আমার এমন একটা অনুভূতি হলো যে আমাকে এমন একটা গল্প লিখতে হবে ¯্রফে ওই এদুয়ার্দো জালামিয়া বোর্দার মুখটা বন্ধ করার জন্য, যিনি আমার দারুণ এক বন্ধু এখন, নিদেনপক্ষে, মানে, পরে, আমার দারুণ এক বন্ধু হয়ে উঠবেন। আমি লিখতে বসলাম, একটা গল্প লিখলাম, এবং সেটি এল এক্সপেক্তাদোরে পাঠিয়ে দিলাম। আমার জন্য দ্বিতীয় যে-ধাক্কাটি অপেক্ষা করছিল—এর পরের রোববারে যখন আমি ওই খবরের কাগজটা খুললাম এবং দেখলাম, সেখানে পুরো পাতা জুড়ে আমার গল্পটা ছাপানো হয়েছে— সঙ্গে একটা ছোট্ট নোট দেওয়া আছে— যাতে বলা হয়েছে এদুয়ার্দো জালামিয়া বোর্দা স্বীকার করে নিলেন যে, তিনি ভুল বলেছিলেন, কারণ নিশ্চিতভাবেই ‘সেই গল্প কলাম্বিয়ার এক মহাপ্রতিভার আর্বিভাবকে দেখিয়ে দিয়েছে’, বা এইসব কথার সঙ্গে আরো কিছু কথাবার্তা।

ওই সময়ে আমি রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়লাম। এবং আমি নিজেকে বললাম: হায় এ কী সর্বনাশ আমি করেছি!এখন আমি কী করব যাতে এদুয়ার্দো জালামিয়া বোর্দা আর কিছু বলতে না পারেন?’ লিখে যেতে হবে— এই ছিল উত্তর। আমি সব সময় গল্প লেখার বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়তাম: আমাকে তাই বাধ্য হয়ে কোনো গল্প লেখার আগেই সেটা ভেবে নিতে হতো।

এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি আপনাদের বলতে পারি এমন কিছু কথা যা আমি এখন পরখ করে নিতে পারি, বিশেষ করে আমার পাঁচটা বই প্রকাশিত হওয়া পর: লেখকের কাজই সম্ভবত একমাত্র কাজ যে কাজ যত আপনি করবেন, ততই এটা আপনার জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠতে থাকবে। যত সহজভাবে সেই সে বিকালে আমি এক বসায় গল্পটা লিখে উঠতে পেরেছিলাম, তার সঙ্গে তুলনা চলে না, পরে আমাকে প্রতিটি পৃষ্ঠা লেখার জন্য কতটাই না মূল্য দিতে হয়েছে। 

আমার কাজের পদ্ধতি, এটা বরাবরই একই ধারায়ই সংগতিপূর্ণভাবে চলেছে যা নিয়ে আমি আপনাদের সমানে কথা বলছি। আমি কখনো জানতে পারি না যে আমাকে কতটুকু লিখতে হবে এবং কী নিয়ে আমি লিখতে পারি। আমার প্রত্যাশা থাকে আমি কিছু একটা চিন্তা করব, এবং যখন আমার মধ্যে কোনো একটা আইডিয়ার জন্ম হবে তখনই কেবল সেটা লেখার জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হতে পারে, এবং এটা নিয়ে আমি মনে ভেতরে অবিরাম নাড়াচাড়া করতে থাকি এবং চাই যে এটা পেঁকে উঠুক। যখন এটা শেষ হলো (এবং মাঝে মাঝে অনেকটা বছর চলে গেছে, যেমনটা ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিচ্যুড’-এর বেলায় ঘটেছিল, যেটা নিয়ে আমি উনিশ বছর চিন্তা করে আসছিলাম)--আমি আবারো বলছি, যখন এ-কাজটা (মনের ভেতরে লেখাটার নাড়াচাড়া ও পাঁকিয়ে তোলার কাজটা) শেষ হয়--তখনই আমি এটা লিখতে শুরু করি, এবং তখন শুরু হয় সবচেয়ে কঠিন আরেকটা কাজ শুরু করা, এই সময়টাই আমার সবচেয়ে একঘেঁয়ে লাগে। কারণ আমার কাছে সবচেয়ে উপভোগ্য হলো ওই গল্পটা নিয়ে মনের ভেতরে নাড়াচাড়া করার সময়টা, বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা, উল্টেপাল্টে দেখা, ফলে যখন ওই লিখতে বসার সময়টা আসে এবং লিখতে শুরু করি, এটা আমার ততটা উৎসুক করে না, ন্যূনতমভাবে বলা যায় এটা আমাকে বিপুলভাবে আগ্রহী করে তোলে না, যেমন আমাকে মাতিয়ে রাখে লেখা শুরু করার আগের আইডিয়া নিয়ে বার বার নাড়াচাড়া করার ঘটনাগুলি।

আমি আপনাদের বলতে চলেছি, যেমন, যে-আইডিয়া নিয়ে বছরের পর বছর পার করে আমি বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি আমার মনের ভেতর, এবং আমি খেয়াল করেছি যে, আমি এখন এর একটা ছাঁচ গড়িয়ে নিই কেবল। আমি আপনাদের বলতে পারি কারণ এতে কোনো সন্দেহ নেই যে যখন আমাকে এটা লিখতে হবে, কিন্তু জানি না সেটা কখন লিখতে হবে, আপনি দেখবেন এটা তখন একেবারেই বদলে গেছে এবং খেয়াল করা যেতে পারে যে ব্যাপারটা আসলে কী করে বিবর্তিত হয়। কল্পনা করুন তো একটা ছোট্ট গ্রামে এক বৃদ্ধ মহিলা থাকে যার দুটো সন্তান আছে, সতেরো বছরের একটি ছেলে আর চৌদ্দ বছর বয়স হয়নি এমন একটা মেয়ে। এক মহিলা তার সন্তানদের নাস্তা পরিবেশন করছে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত একটা মুখোম-ল নিয়ে। তার ছেলেমেয়েরা জানতে চাইল কোন সমস্যা হয়েছে কিনা উত্তরে সে বলে: ‘আমি জানি না, কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে গ্রামে সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটতে চলেছে।’

তারা মায়ের কথাটা হেসেই উড়িয়ে দিল এবং বলল এটা তার বুড়ো হওয়া মনের বিভ্রম, এটা ¯্রফে সময় পার হলেই দূর হয়ে যাবে। ছেলেটি বিলিয়ার্ড খেলতে যায়, এবং যে সময়ে সে একটি বলে তাক করলো, তার প্রতিপক্ষ বলে ওঠে,‘ আমি এক পোসো বাজি ধরলাম তুমি এই শটটা পেরে উঠবে না।’ প্রত্যেককে হেসে ওঠে, সেও হাসে, সে শটটা খেলে এবং সফল হয় না। সে তার প্রতিপক্ষকে এক পেসো দেয়, যে জিজ্ঞাসা করে:‘আজ হলো কী তোমার? এটা তো সহজেই পারার কথা তোমার।’ সে বলে,‘তা ছিল। কিন্তু আমি একটা বিষয় নিয়ে চিন্তায় আছি। আজকে সকালে মা বলল গ্রামে সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।’ সবাই তার কথা শুনে হেসে ওঠে। এবং যে ছেলেটি এক পেসো বাজি জিতেছে সে তার বাড়িতে যায়, যেখানে সে তার মা এবং তার এক কাজিন বা ভাতিঝির দেখা পায়, বা কেনো নারী আত্মীয়ের। পেসো পেয়ে সে খুশিতে বলে,‘আমি দামাসো থেকে এক পেসো জিতেছি খুব সহজেই, কারণ সে একটা বোকা।’ ‘ সে বোকা কী কারণে?’ সে বলে:‘ ওহহো কী বলবো, সে একবারে সহজ একটা শট খেলতে পারলো না, কারণ তার নাকি চিন্তা হচ্ছিল যে, তার মা আজ সকালে এমন এক আইডিয়া নিয়ে তার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে যে, আজকে গ্রামে নাকি ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে।’

ছেলেটির মা বলে: ‘ছিঃ! বুড়ো মানুষের আশঙ্কা নিয়ে ঠাট্টা করতে নেই, কারণ মাজে মাঝে তাদের কথা ফলেও যায়।’ কথাটা মাংস কিনতে বেরিয়ে পড়ার আগে তার আত্মীয়ার কানে আসে। সে মাংস-বিক্রেতাকে বলে,‘ আমাকে এক পাউন্ড মাংস দাও,’ এবং যে-সময় লোকটি মাংস কাটছে, সে এর সঙ্গে যোগ করে,‘ ভালো হয় দু পাউন্ড দাও, কারণ গ্রামের লোকেরা বলাবলি করছে গ্রামে সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটতে পারে এবং এর জন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকা ভালো।’ কসাই মহিলাটিকে মাংস দেয়, ঠিক তখন আরেকটি মহিলা আসে এক পাউন্ড মাংস কিনতে, কসাই তাকে বলে: ‘দু পাউন্ড নিন, কারণ যারা আজ মাংস কিনতে আসছে আর বলছে যে, গ্রামে সাংঘাতিক কিছু ঘটতে যাচ্ছে, সেজন্য তারা আগে থাকতে সাবধান হয়ে উঠেছে এবং সেইমতোই জিনিসপত্র কিনছে।’

তখন বয়স্ক মহিলা উত্তরে বলে:‘আমার অনেকগুলি ছেলেমেয়ে; ভালো হয় আমাকে চার পাউন্ড দিন।’ মহিলাটি তার চার পাউন্ড নিলো এবং এ থেকে একটা দীর্ঘ ছোটগল্প লিখতে হলে, আমি বলব মাত্র আধঘণ্টার ভেতরে ওই কসাইয়ের সব মাংস সেদিন বিক্রি হয়ে যায়, সে আরেকটা গোরু জবাই করে, সমস্তটাই বিক্রির জন্য ওই গুজবটা সে আরো ছড়াতে থাকে। সেই মুহূর্তটি আসে যখন গ্রামের সবাই কোনো একটা কিছু ঘটার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সমস্ত কাজকর্মে তাল কেটে যায়, হঠাৎ করে সেদিন দুপুর দুটোর দিকে, যেমনটা গরম ছিল সবসময়ের মতো তখন, কেউ একজন বলে: ‘খেয়াল করেছো আজ কত গরম?’ ‘কিন্তু এই গ্রামে তো সব সময়ই এমনই গরম পড়ে। সেখানে এতটাই গরম পড়ে যে সে গ্রামের সব গানবাজানার লোক যাদের কোনো বাদ্যযন্ত্র ঠিকঠাক করতে হবে সে কাজটি তারা কোনো ছায়ার ভেতরে করে, কারণ যদি তারা রোদে কাজটি করে তো ওইসব বাদ্যযন্ত্রের বারোটা বেজে যাবে। ‘এখনও,’ এক ব্যক্তি বলে,‘দিনের এই সময়ে এতটা গরম তো আগে পড়েনি।’ হ্যাঁ, কিন্তু এখন যতটা গরম ততটা তো নয়।’ এবং কোনো রকমের সতর্কতা ছাড়া, সে সময় একটা ছোট্ট পাখি এসে নেমেছিল সেই ঊষর গ্রামে, সেই ঊষর ময়দানে, এবং খবরটি ছড়িয়ে পড়ে: ‘মাঠে একটি ছোট্ট পাখি এসেছে।’ শুনে প্রত্যেকেই সেই ময়দানে যায় এবং তারা সেই ছোট্ট পাখিটিকে দেখে ভয় পায়।

‘কিন্তু বন্ধুরা আমার, এখানে তো সব সময়ই ছোট্ট পাখি উড়ে এসে নামে।’ ‘তা নামে, কিন্তু দিনের ঠিক এই সময়ে তো নামে না।’ সেই মুহূর্তে এমন একটা শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীর ভেতর তারা সবাই গ্রাম ছেড়ে যেতে ভেতরে ভেতরে পাগল হয়ে ওঠে, কিন্তু তাদের কারো কোনো সাহস ছিল না গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার।‘ ঠিক আছে, আমি হলাম আসল বাপের ব্যাটা।’ তাদের ভেতরে একজন চেঁচিয়ে ওঠে,‘ আর আমি যাচ্ছি এখান থেকে।’ সে তার আসবাবগুলি, তার ছেলেমেয়েদের, তার পোষা পশুপাখি, সবগুলিকে একটা এক্কাগাড়িতে তোলে, এবং সদর রাস্তা দিয়ে গ্রাম পার হতে থাকে, যেখানে দাঁড়িয়ে হতভাগা গ্রামবাসীরা তার সেই চলে যাওয়া দৃশ্যটা দেখতে থাকে। তারা ততক্ষণ এটা দেখতে থাকে যে মুহূর্তে একজন বলে ওঠে,‘যদি ওর সাহস থাকে চলে যাওয়ার তো সেটা আমাদের সবারই আছে। আমরাও তো চলে যেতে পারি চাইলে।’ এবং শাব্দিকভাবেই তারা গ্রামটা শূন্য করে চলে যেতে শুরু করে। তারা তাদের সব কিছু, গবাদিপশুপাখি, একেবারে সবকিছু নিয়ে যায়। এবং গ্রাম পরিত্যাগ করার শেষ দলটির একজন বলে,‘আমাদের বাড়িতে কোনো দুর্ভাগ্য ঘটতে দিতে পারি না।’ এবং তখন সে তার বাড়িটিতে আগুন দেয়। তার দেখাদেখি অন্যরাও তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। তারা পালিয়ে যেতে থাকে ঠিক যেমনটা যুদ্ধের সময় আতঙ্কে লোকজন গণহারে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকে, এবং এই সময়ে তাদের ভেতরে থাকা নেই মহিলাটি প্রথম আশঙ্কার কথা বলেছিল সে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে আর বলে:‘ আমি আগেই বলেছিলাম সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছিল, আর তোমরা তখন ঠাট্টা করেছিলে, বলেছিলে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, আমি পাগল হয়ে গেছি।’



কারাকাস, ভেনেজুয়েলা, ৩ মে, ১৯৭০




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ