মূল: গুলজার
অনুবাদ: ফজল হাসান
আমি জানি না দরশান সিং এখনো কেন পাগল হয়ে যায়নি । বাড়িতে তার বাবা মারা গেছে, গুরুদওয়ারার ধ্বংসস্তুপের মাঝে তার মা হারিয়ে গেছে এবং শাহনি যমজ ছেলের জন্ম দিয়েছে । সে রীতিমতো দোটানায় পড়ে গেছে । সে বুঝতে পারেনি আসলে তার হাসা উচিত, নাকি কাঁদা উচিত । ভাগ্য তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে – এক হাতে দিয়ে অন্য হাতে নিয়ে যায় ।
লোকজন শুনেছে, স্বাধীনতা আসছে । কিন্তু তারা জানে না কখন এসে লায়ালপুরে পৌঁছুবে । হিন্দু এবং শিখরা গোপনে গুরুদওয়ারাতে এসে জড়ো হতে শুরু করেছে । দিন-রাত শাহনি প্রচণ্ড প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিল । সেটি ছিল সম্ভাব্য সন্তানের জন্য তার প্রথম ঘরে থাকা ।
দরশান সিং দাঙ্গার সর্বশেষ খবর নিয়ে আসতো । বাপাজি তার মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করতেন এবং সবসময় বলতেন, ‘কোন কিছুই হবে না, বাছা । কিছুই ঘটবে না । হিন্দু বা শিখদের কোন বাড়িতে কী আক্রমণ হয়েছে ?’
‘কিন্তু বাপাজি, গুরুদওয়ারায় আক্রমণ হয়েছিল। কী, হয়নি ? দুবার আগুন লাগিয়েছিল ।’
‘এবং তারপরও তোমরা সবাই এসে এখানে জড়ো হয়েছ !’
বাপাজির এধরনের কথা দরশান সিংকে সবসময় নিস্তব্ধ করে দেয় । যাহোক, অনবরত লোকজন নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে গুরুদওয়ারায় গিয়ে আশ্রয় নেয় ।
‘মানুষ যখন একসঙ্গে থাকে, তখন তারা অধিক নিরাপত্তা বোধ করে, বাপাজি । আমাদের এলাকায় আলাদা কোনো হিন্দু বা শিখ নেই । এখানে আমরা সবাই একা ।’
দশ কিংবা পনেরো দিন আগে, তারা শুনেছে যে কোনো এক রাতে বাপাজি উঠানে পড়ে গিয়েছিলেন । তারা শুরুতেই শুনেছে । গুরুদওয়ারার দিক থেকে অস্পষ্ট আওয়াজে স্লোগ্যান শোনা যাচ্ছিল – ‘জয় বলে সো নিহাল’ [ঈশ্বরের নাম জপকারীদের মঙ্গল হোক] । সেই সব স্লোগ্যানের আওয়াজ বাপাজিকে জাগিয়ে তোলে এবং তিনি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ছাদে গমন করেছিলেন । সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় তাঁর পা ফসকে যায় এবং উঠানের মেঝের উপর শোয়ানো কুঠারের সঙ্গে তাঁর মাথা ধাক্কা লাগে ।
কোনরকমে তারা বাপাজির কাজ সম্পন্ন করে । তারপর তারা তাদের মূল্যবান মাল-সামাল বালিশের খোলসের ভেতর ভরে । তাদের মধ্য থেকে তিনজন গুরুদওয়ারাতে গিয়ে আশ্রয় নেয় । সেখানে ত্রাস লাঘব করার জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন উপস্থিত হয়েছে । তাই তারা খানিকটা নিরাপদ অনুভব করে । এখন তার মধ্য আর কোন ভয় নেই ।
দরশান সিং বললো, ‘আমরা আর একা নই । এবং যেকোন পরিস্থিতিতে ‘ওয়াহেগুরু’ [প্রশংসিত প্রভু] আমাদের সঙ্গে আছে ।’
সারাদিন একদল স্বেচ্ছাসেবক যুবক কাজে ব্যস্ত ছিল । বাড়ি থেকে আসার সময় লোকজন সঙ্গে করে আটা, ডাল এবং ঘি নিয়ে আসে । দিন-রাত বারোয়ারী রান্নঘর খোলা ছিল । কিন্তু কতদিন তারা সেখানে বসবাস করতে পারবে ? প্রশ্নটা সবাইকে অস্বস্তিতে রেখেছিল । লোকজন আশা করেছিল যে, সরকার শীঘ্রই তাদের জন্য সাহায্য পাঠাবে ।
‘কোন সরকার ?’ কোনো একজন জিজ্ঞাসা করে । ‘বৃটিশ তো চলে গেছে ।’
‘পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সরকার গঠন করা হয়নি।’
‘আমি শুনেছি সৈনিকেরা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এবং অভিবাসীদের সীমান্ত পারাপার করার জন্য সাহায্য করছে ।’
‘অভিবাসী ? তারা কারা ?’
‘শরণার্থী ।’
‘আমি আগে কখনো শব্দটি শুনিনি ।’
দুটি কিংবা তিনটি পরিবারের লোকজন মানসিক চাপ সহ্য করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে ।
‘আমরা স্টেশনে যাবো । শুনেছি ট্রেন নাকি পুনরায় চলাচল শুরু করেছে । আর কতদিন এখানে থাকা সম্ভব ?’
‘আমাদের সাহসী হতে হবে । ‘ওয়াহেগুরু’ [প্রশংসিত প্রভু] কাঁধে করে আমাদের নিয়ে যাবেন না, যাবেন কী?’
তাদের মধ্যে একজন চিৎকার করে বললো, ‘নানক নাম যাহাজো হ্যায়, জো চাঁহে সো উথারে পার’ [গুরু নানকের হাজার নাম আছে, যারা বিশ্বাস করে, তারাই অন্য পাড়ে পৌঁছুবে] ।’
কয়েকজন চলে যাওয়ার জন্য জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায় । তবে পুনরায় ভরে যাবে যখন অন্য লোকজন বহির্বিশ্বের খবর নিয়ে আসবে ।
‘স্টেশনের কাছে তাবু টাঙিয়ে বিশাল শিবির বানানো হয়েছে ।’
‘অনাহারে কিছু মানুষ মৃত্যু পথযাত্রী এবং কিছু লোক ভুড়িভোজনে একই দিকে যাচ্ছে । এছাড়া মহামারীও শুরু হয়েছে ।’
‘পাঁচ দিন আগে এদিক দিয়ে একটা ট্রেন চলে গেছে । ট্রেনের ভেতর তিল ধারনেরও জায়গা ছিল না । ছাদের উপর লোকজন গিজগিজ করেছে ।’
দিনটি ছিল সংক্রান্তির । সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত গুরুদওয়ারায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । সেই শুভময় দিনে শাহনি যমজ ছেলে জন্ম দিয়েছে । একটি শিশু ছিল খুবই দূর্বল । ওর বেঁচে থাকার আশা ছিল ক্ষীণ । কিন্তু শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শাহনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ।
সেই রাতে কেউ একজন ঘোষণা করেছে, ‘শরণার্থীদের জন্য একটা বিশেষ ট্রেন এসেছে । চলো, যাই ।
গুরুদওয়ারা থেকে বিশাল বহর যাত্রা করে । দরশান সিং সেই বহরের সঙ্গে যোগ দেয় । যদিও শাহনি প্রচণ্ড দূর্বল, তবুও শিশু ছেলে দুটির কথা ভেবে সে যেতে রাজি হয় । কিন্তু দরশান সিংয়ের মা যেতে রাজি হয়নি।
‘আমি পরে আসবো, বাছা । আমি পরবর্তী বহরের সঙ্গে রওনা হবো। তুমি তোমার সন্তান এবং বউয়ের দেখভাল করো ।’
মায়ের সঙ্গে দরশান সিংয়ের বাক-বিতণ্ডা হয় । ‘গ্রান্থি’ [শিখ সম্প্রদায়ের পুরোহিত] দরশান সিংয়ের মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে । তারপর স্বেচ্ছাসেবকরা এসে দরশান সিংকে সান্ত্বনা দেয় এবং বলে, ‘আপনার পক্ষে সম্ভব হলে তাকে ছেড়ে দিন, সরদারজি । এক একজন করে আমরা সবাই সীমানায় গিয়ে পৌঁছুবো । আমরা তাকে নিয়ে যাবো ।’
অন্যদের সঙ্গে দরশান সিং চলে যায় । সে বাচ্চা দুটিকে একটা নড়বড়ে ঝুড়ির মধ্যে রাখে । তারপর সতর্কতার সঙ্গে সে মাথার উপর ঝুড়ি তুলে নেয়, যেন তার পরিবারের সমস্ত ধন-দৌলত সেই ঝুড়ির মধ্যে জমা আছে ।
স্টেশনে ট্রেন অপেক্ষা করছিল । কিন্তু কোথাও কোন ফাঁকা জায়গা ছিল না । মনে হচ্ছিল কম্পার্টমেন্টের ছাদে লোকজন ঘাসের মতো গজিয়ে উঠেছে ।
লোকজন সদ্য ভূমিষ্ট শিশুদের এবং তাদের ক্লান্ত-অবসন্ন মাকে দেখতে পেয়ে সমবেদনা প্রকাশ করে এবং তাদের জন্য ছাদের উপর জায়গা করে দেয় ।
প্রায় দশ ঘন্টা পরে ট্রেন চলতে শুরু করে । সন্ধ্যার আকাশ ছিল লাল বর্ণের, রক্ত এবং আগুনের মতো । শাহনির উরজ শুকনো । তারপরও সে প্রতিটি বাচ্চাকে পর্যায়ক্রমে দুগ্ধ পান করানোর চেষ্টা করেছে । নোংরা দুটি কাপড়ে পেঁচানো বাচ্চা দুটিকে দেখে মনে হয়েছে যেন ময়লার স্তুপ থেকে তুলে আনা হয়েছে ।
সারারাত ট্রেন চলেছে । কয়েক ঘন্টা পরে দরশান সিংহ দেখে তখনো একটা শিশু হাত-পা নাড়ছে এবং মাঝে মাঝে কান্না করছে, কিন্তু অন্য শিশুটি নিথর । যখন সে পেঁচানো নিথর শিশুর গায়ে হাত রাখে, তখন সে বুঝতে পারে শিশুর দেহ ঠাণ্ডা এবং কয়েক ঘন্টা আগেই মারা গেছে ।
দরশান সিংহ চিৎকার করে কাঁদতে থাকে । ততক্ষণে চতুর্দিকের লোকজন ঘটনা বুঝে গেছে । তারা শাহনির কাছ থেকে মৃত শিশুটিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু শাহনি পাথরের মূর্তির মতো স্থবির এবং মৃত শিশুটিকে বুকের সঙ্গে শক্ত করে চেপে ধরে রাখে ।
‘না, সে তার ভাইকে ছাড়া বুকের দুধ পান করবে না ।’
লোকজন শাহনিকে বোঝানোর চেষ্টা করে । কিন্তু কিছুতেই সে মৃত ছেলেকে ছেড়ে দিতে চায় না ।
ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় ট্রেন থামে এবং পুনরায় যাত্রা শুরু করে ।
রাতের অন্ধকারে লোকজন তাদের অবস্থান অনুমান করার চেষ্টা করে ।
‘আমরা খাইরাবাদ অতিক্রম করেছি ।’
‘আমি নিশ্চিত যে, জায়গাটা গুজরানওয়ালা ।’
‘আমাদের আরো এক ঘন্টা যেতে হবে । লাহোরের পরই আমরা হিন্দুস্তানে পৌঁছুবো ।’
অনেকটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কয়েকজন চিৎকার করে স্লোগ্যান শুরু করে:
‘হর-হর মহাদেব !’ [ভগবান শিবের গৌরব]
‘জো বলে সো নিহাল !’ [ঈশ্বরের নাম জপকারীদের মঙ্গল হোক]
যেই মুহূর্তে ট্রেন ব্রিজের উপর পৌঁছে, তখনই জনতার মাঝে উত্তেজনার ঢেউ বয়ে যায় ।
‘আমরা রাভি নদীতে পৌঁছেছি ।’
‘এই সেই রাভি নদী । আমরা লাহোরে পৌঁছে গেছি ।’
সেই বিভ্রান্তির সময় কেউ একজন দরশান সিংয়ের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো, ‘সরদারজি, মৃত শিশুটিকে নদীতে ফেলে দিন । ওর মঙ্গল হবে । মৃত শিশুটিকে কেন বহন করে অন্য পাড়ে নিয়ে যাবেন ?’
দরশান সিং বউয়ের কাছ থেকে সাবধানে ঝুড়িটি তুলে নেয় । তারপর সে চটজলদি ঝুড়ি থেকে নোংরা কাপড়ে পেঁচানো মৃত শিশুটি বের করে এবং ‘ওয়াহেগুরু’-র [প্রশংসিত প্রভু] নাম উচ্চারণ করে রাভি নদীতে ছুঁড়ে ফেলে ।
অন্ধকারে দরশান সিং শিশুর কান্নার অস্পষ্ট শব্দ শুনতে পায় । সে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে স্ত্রীর দিকে তাকায় । তার স্ত্রী মৃত শিশুটিকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে আছে । সেই সময় সমস্বরে চিৎকারের শব্দ ঘূর্ণিঝড় হয়ে অনুরণিত হতে থাকে:
‘ওয়াগাহ্ ! ওয়াগাহ্ !
‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ ।’
[পাদটীকা: ওয়াগাহ্ পাকিস্তানের লাহোর থেকে ২৯ কিলোমিটার এবং ভারতের অমৃতসর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীমান্ত শহর । যদিও মূল গল্পে পাদটীকা নেই, কিন্তু বাংলা ভাষাভাষি পাঠকের সুবিধার্থে পাদটীকা দেয়া হলো – অনুবাদক ।]
লেখক পরিচিতি: ভারতের প্রথিতযশা গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি, ছোটগল্প লেখক এবং ঔপন্যাসিক গুলজার । তাঁর আসল নাম সাম্পুরাণ সিং কারলা । তৎকালীন অখন্ড ভারতের পাঞ্জাব (বর্তমানে পাকিস্তানে) প্রদেশের ঝিলাম জেলার দিনা শহরে তিনি ১৯৩৪ সালের ১৮ আগষ্ট জন্ম গ্রহণ করেন । মূলত: হিন্দি, উর্দু এবং পাঞ্জাবি ভাষায় সাহিত্য রচনা করলেও ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় লেখালেখি করেন । ‘টু’ তাঁর একমাত্র উপন্যাস, যা ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পরে শরণার্থীদের করুণ কাহিনী নিয়ে রচিত । তিনি তিনটি কাব্যগ্রন্থ এবং দু’টি ছোটগল্প সংকলন রচনা করেন । ‘রাভি পার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ (১৯৯৭) এবং ‘হাফ এ রুপি স্টোরিজ’ (২০১৩) ইংরেজিতে প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন । তবে ‘রাভি পার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ থেকে চারটি গল্প নিয়ে ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়েছে ‘সীমা অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ । কাব্যিক ভাষায় চরিত্র চিত্রণের, বিশেষ করে শব্দ প্রয়োগের, জন্য তাঁকে ‘মাষ্টার ওয়ার্ডস্মীথ’ বা ‘শব্দ কারিগর’ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় ।
গুলজারের কর্মজীবন শুরু হয়েছে সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে । পরবর্তীতে তিনি গীতিকার, চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করেন । গীতিকার হিসাবে তিনি ২০০৪ সালে ‘পদ্ম ভূষণ’ (মর্যাদা এবং সম্মানের দিক থেকে ভারতের তৃতীয় অসামরিক পুরস্কার) এবং ২০০২ সালে ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ পুরস্কার অর্জণ করেন । এছাড়া তিনি ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারসহ একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন । হলিউডের বিখ্যাত ‘স্লামডগ মিলিনিয়র’ চলচ্চিত্রের গান ‘জয় হো’ সঙ্গীত রচনার জন্য তিনি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অর্জণ করেন । তিনি ২০১৩ সালের এপ্রিলে আসাম ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলার হিসাবে নিযুক্ত হন । তিনি ১৯৭৩ সালে বলিউডের বিখ্যাত নায়িকা রাখীর সঙ্গে ‘সাত পাকে বাঁধা’ পড়েন ।
গল্পসূত্র: ‘রাভি নদী পেরিয়ে’ গল্পটি গুলজারের ইংরেজিতে অনূদিত ‘রাভি পার’ (অ্যাক্রস দ্য রাভি বা ক্রসিং দ্য রাভি) গল্পের অনুবাদ । হিন্দী থেকে গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন অলক ভাল্লা । গল্পটি লেখকের ‘রাভি পার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ ছোটগল্প সংকলন থেকে নেয়া ।
0 মন্তব্যসমূহ