ব্রাজিলের গল্প : গোপন সুখ

মূলঃ ক্লারিস লিসপেক্তর
অনুবাদঃ ফজল হাসান 

মেয়েটি ছিল স্থূল, বেঁটে, গায়ের চামড়ায় ঈষৎ হলদে ফুটকি-চিহ্ন এবং মাথা ভর্তি কোঁকড়ানো লালচে চুল । তার বুক ছিল বিশাল, অথচ আমাদের সবার বুক ছিল সমতল এবং আকর্ষণহীন । তারপরেও সে ক্যারামেল চকলেট খেতে খেতে ব্লাউজের দু’পাশের পকেটের ভেতর আলগা কাপড় ঢুকিয়ে তার বুক উন্নত করতো । কিন্তু প্রতিটি ছেলেমেয়ের মনের ভেতর বই পড়ার যে ধরনের স্বপ্ন থাকে, তারও তাই ছিল । তার বাবা ছিলেন একটা বইয়ের দোকানের মালিক ।

মেয়েটি তার বাবার বইয়ের দোকানের তেমন একটা সুযোগ-সুবিধা নিত না । ফলে আমাদের সম্ভাবনা ছিল অত্যন্ত ক্ষীণ । আমাদের জন্মদিনে শুধু একটা সস্তা বই উপহার দেওয়ার পরিবর্তে সে তার বাবার দোকান থেকে একটা করে সুন্দর ছবির পোষ্টকার্ড দিত । আমরা যে শহরে বসবাস করতাম, সেই রেসিফি শহরের নান্দনিক দৃশ্যের ছবি পোষ্টকার্ডের একপাশে থাকতো । অন্য পাশে মেয়েটি সুন্দর হাতের লেখায় বিভিন্ন মন্তব্য লিখতো, যেমন ‘জন্ম তারিখ’ এবং কোনো ‘মধুর স্মৃতি’ ।

কিন্তু মেয়েটির নির্মমতার নজির ছিল সত্যি অতুলনীয় । সে ছিল নিখাদ হিংসুটে এবং শব্দ করে ক্যারামেল চকলেট খেত । আমি বুঝিনি, কেমন করে এই মেয়েটি আমাদের ঘৃণা করতো ? অথচ আমরা দেখতে ছিলাম অত্যন্ত সুন্দরী, ঋজু, দীর্ঘাঙ্গী এবং আমাদের চুল ছিল মসৃণ । কেন জানি আমার সঙ্গে সব সময় সে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর আচরণ করতো । কিন্তু আমার বই পড়ার তীব্র আকাঙ্খার জন্য আমি তার সমস্ত হেনস্তা আর অপমান চোখ বুঁজে সহ্য করতাম এবং যেসব বই সে পড়েনি, সেসব বই ধার চাইতে আমি বারবার তার কাছে যেতাম ।

তারপর একদিন মাহেন্দ্রক্ষণ আসার পূর্ব মুহূ্র্ত পর্য্যন্ত মেয়েটি আমার ওপর চীনাদের মতো অত্যাচার শুরু করে । অলৌকিক কোনো ঘটনার মতো হঠাৎ সে আমাকে বলেছে যে, তার কাছে মন্তিয়েরো লোবাতোর লেখা ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চারস্ অফ লিটল নোজ’ বই আছে । 

বইটা বেশ মোটা ছিল । হায় ঈশ্বর, অনায়াসে এই বইয়ের ভেতর আকন্ঠ ডুবে দিন কাটানো যায় । কিন্তু বইটা আমার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল । সে বলেছিল, আমি যেন পরদিন তাদের বাড়িতে গিয়ে বইটি সংগ্রহ করি । 

এ কথা শোনার পর থেকে আমার চোখেমুখে খুশির জোয়ার বয়ে গিয়েছিল । আমার মনে হয়েছিল, আমি যেন বাস্তবে নেই । কল্পনার সমুদ্রে আমি হাত-পা ছড়িয়ে দিয়ে মহা আনন্দে ভাসছিলাম এবং সেই সময় হালকা ঢেউয়ের তালে তালে এদিক-ওদিক দুলছিলাম ।

পরদিন আমি মেয়েটির বাড়িতে যাই । সত্যি কথা বলতে কি, আমি এক রকম দৌঁড়ে গিয়েছিলাম । আমাদের মতো তারা অ্যাপার্টমেন্টে থাকতো না, বরং তারা আলাদা বাড়িতে বাস করতো । সে আমাকে বাড়ির ভেতর ঢুকতে বলেনি । আমার চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বলেছে, বইটি অন্য আরেকজনকে পড়ার জন্য ধার দিয়েছে এবং বইটি সংগ্রহ করতে আমি যেন আবার পরদিন যাই । একরাশ নিরাশা নিয়ে আমি মাথা নিচু করে ধীর পায়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকি । কিন্তু একটু পরেই পুনরায় আশা এসে মনের পুরোটা দখল করে নেয় এবং আমি রাস্তার ওপর রীতিমতো লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটতে শুরু করি । এই প্রথম রেসিফির রাস্তায় আমার অদ্ভুত ধরনের হাঁটার ভঙ্গি । এবার আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাইনি । হয়তো পরদিন বইটি হাতে পাওয়ার খুশি আমাকে ঠিকমতো হাঁটতে সাহায্য করেছে । একসময় আগামিকাল আসবে এবং আগামির দিনগুলো আমার সারা জীবনে পাথেয় হয়ে থাকবে । আমার জন্য তামাম দুনিয়ার সমস্ত ভালোবাসা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে । আমি মহা খুশিতে লাফিয়ে লাফিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি এবং এমনকি একবারও পড়ে যাইনি । 

কিন্তু অনেক কিছুই সহজে পাওয়া যায় না । বইয়ের দোকানের মালিকের মেয়ের পরিকল্পনা ছিল গোপন এবং শয়তানিতে ভরা । পরদিন আমি হাসি মুখে ওদের বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়াই । আমার হৃদপিন্ডের ভেতর হাতুরী পেটার শব্দ হচ্ছিল । ভেতর থেকে ওর নিস্পৃহ কন্ঠস্বর ভেসে আসেঃ বই এখনও ফেরত আসেনি এবং আমি যেন পুনরায় পরদিন যাই । বুকের ভেতর ধুকপুকানির সঙ্গে আমি আপনমনে ভাবতে থাকি আমার জীবনে ‘পরদিন’ নাটক কত বার মঞ্চায়িত হবে ।

এবং ‘পরদিন’ নাটক চলতে থাকে । কিন্তু কত দিন ? আমি জানতাম না । মেয়েটি জানতো, ওটা ছিল অনির্দিষ্ট কালের জন্য, বিশেষ করে যতদিন পর্য্যন্ত তার স্থূল দেহ থেকে খিটখিটে মেজাজ তাড়িত না হয় । আমি ধারনা করা শুরু করি, যা আমার স্বভাব । আমি বুঝতে পেরেছি যে, আসলে আমার কষ্ট সে দেখতে চায় । যাহোক, আসলে আমি ধারনা করা ছেড়ে দিয়ে কখনও কখনও সহজ ভাবে গ্রহণ করতে চেষ্টা করি । কেউ যদি ইচ্ছা করে আমাকে কষ্ট দিতে চায়, কষ্ট দিক । 

আর কতদিন ? প্রতিদিন আমি ওদের বাড়িতে গিয়েছি, একদিনও বাদ যায়নি । মাঝে মাঝে অজুহাতের ভঙ্গিতে আমাকে বলেছেঃ হ্যাঁ, গতকালই বইটা হাতে পেয়েছি । কিন্তু তুমি আজ সকালে আসোনি । বই নিতে একজন এসেছিল এবং আমি তাকে পড়তে দিয়েছি । আমার চোখের নিচে কখনই ক্লান্তির কোনো গোল কালো চিহ্ন ছিল না, কিন্তু এখন আমার চোখের নিচে কালিমা পড়েছে ।

একদিন ওদের বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়ানোর পরপরই অন্দরমহল থেকে ওর খিস্তি-খেউড় শুনতে পেলাম । একসময় ওর মা বেরিয়ে আসেন । প্রতিদিন মেয়ের এ ধরনের ব্যবহার দেখে তিনি হয়তো অসন্তুষ্ট । যাহোক, তিনি আমাদের দু’জনকে ডেকে ঘটনার আদ্যপান্ত জানতে চাইলেন । আমাদের মাঝখানে মৌনতা এসে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় । একসময় কথার স্রোতে মৌনতার বাঁধ ভেঙে যায় । যদিও আমাদের কথাবার্তায় তেমন কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না, তবুও প্রতিবার আগুন্তুকের কথা বুঝতে মহিলার অসুবিধা হচ্ছিল । অবশেষে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং মেয়ের দিকে মুখ করে ঘুরে দাঁড়ান । তার চোখেমুখে পরম বিস্ময়ঃ ‘কিন্তু বই তো কখনই বাড়ির বাইরে যায়নি এবং তুমি একবারও পড়তে চাওনি ।’ 

ঘটনার বিস্তারিত জানার বিষয়টি মহিলার জন্য হয়তো খারাপ কিছু ছিল না । তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় ছিল, তিনি জঘন্য একটা মেয়ের মা । মহিলা চুপ করে থেকে আমাদের পর্যবেক্ষণ করছিলেন । তার একপাশে উচ্ছৃঙ্খল ও বিপদগামী অচেনা মেয়ে এবং অন্যদিকে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সোনালি চুলের মেয়েটি, যার চোখেমুখে লেগে আছে ক্লান্তি এবং রেসিফির রাস্তার সমস্ত ধূলোবালি । 

অবশেষে মহিলা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জড়ো করে মেয়ের উদ্দেশ্যে বেশ গম্ভীর, কিন্তু শান্ত গলায় বললেনঃ ‘এই মুহূর্তে তুমি বইটি ওকে দাও ।’ তারপর তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ ‘এবং যতদিন খুশি, বইটি তুমি তোমার কাছে রাখতে পারো । তুমি কি বুঝতে পেরেছ ?’

সেই মুহূর্তে মহিলার কথাগুলো ‘যতদিন খুশি বইটি আমি রাখতে পারি’ আমার কাছে ছিল রীতিমতো অকল্পনীয়, এমনকি অনাকাঙ্খিতও । কেননা ছেলে-বুড়ো নির্বিশেষে কেউ এমন ধরনের চাওয়া চাইতে সাহস পাবে না । 

কেমন করে আমি পরবর্তী ঘটনাসমূহ বর্ণনা করবো ? আমি বিস্মিত, বিমূঢ় এবং কিভাবে আমি মেয়েটির হাত থেকে বইটি তুলে নিয়েছি । মনে হয় না বইটি নেওয়ার সময় আমি কিছু বলেছিলাম । অবশেষে আমি বই পেয়েছি । না, বই পাওয়ার জন্য আমি খুশিতে ডগমগ করতে করতে বাড়ি ফিরে আসিনি । আমি ধীর পায়ে চলে এসেছি । আমি জানি, ভারি বইটি আমাকে দু’হাতে শক্ত করে ধরে বুকের সঙ্গে চেপে রাখতে হবে । সেই সময় বাড়ি ফেরার সময় নিয়ে আমি মোটেও উদ্বিঘ্ন ছিলাম না । তবে আমার বুকের ভেতর ধড়ফর করছিল এবং হৃদপিন্ড বিষণ্ন লাগছিল । 

বাড়ি পৌঁছেই আমি সঙ্গে সঙ্গে বই পড়া শুরু করিনি । আমি এমন ভাব করি যেন বইটি আমার কাছে নেই । কেননা পরে যখন বই পড়া শুরু করবো, তখন যেন বই পাওয়ার আনন্দটা পুনরায় উপভোগ করতে পারি । যাহোক, কয়েক ঘন্টা পরে আমি বই খুলি । কিছুটা অংশ পড়ার পর আমি পুনরায় বই বন্ধ করে রাখি এবং অন্য ঘরে যাই । রুটিতে মাখন মেখে খাওয়াটাও বাদ দিই । আমার ভাবটা এমন যেন বইটি কোথায় রেখেছি, আমি তা জানি না । তারপর বইটি খুঁজে নিই এবং মুহূর্তের জন্য পৃষ্ঠা মেলে ধরি । মহা আনন্দের এই গোপন খেলার উদ্ভাবন আমি নিজে করেছি । আনন্দ আমার কাছে সব সময়ই গোপন । বিষয়টি এমন যেন আমি ইতিমধ্যে সেই আনন্দের ঘ্রাণ পেয়েছি । কেমন করে আমি সেই ঘ্রাণ থেকে আলাদা হবো ! আমি তারই মাঝে আছি । আমার ভেতরে অহংকার এবং লাজুকতা বিরাজ করছিল । সেই সময় আমি ছিলাম একজন মার্জিত রুচির সম্রাজ্ঞী । 

আমি মাঝে মাঝে দোলনায় চড়ি । তখন বই না পড়ে একধরনের নিষ্কলুষ মোহে আবিষ্ট হয়ে কোলের ওপর খোলা বই উল্টো করে বিছিয়ে রেখে আপনমনে দোল খাই । 

আমি আর বই পড়ুয়া বালিকা নই; আমি একজন নারী এবং তার প্রেমিকা ।



লেখক পরিচিতিঃ বিংশ শতাব্দীর পর্তুগীজ ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসাবে পরিচিত এবং ফ্রাঞ্জ কাফকার পরবর্তী উল্লেখযোগ্য ইহুদী লেখক হিসাবে স্বীকৃত ব্রাজিলের নারী সাহিত্যিক ক্লারিস লিসপেক্তর । তার পোশাকী নাম খায়া পিঙ্খাশোভনা লিসপেক্তর । তিনি ছিলেন একাধারে গল্পকার, ঔপন্যাসিক, অনুবাদক, সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম লেখক । তিনি ১৯২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চল এলাকার চেচেলনিক শহরে লিথুনিয়ার এক সম্ভ্রান্ত ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি দু’বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ব্রাজিলের অভিবাসী হন এবং রিও ডি জেনিরোতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন । সেই সময় তাঁর মায়ের আত্মীয়-স্বজন ব্রাজিলে বসবাস করতেন । মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সময় ব্রাজিলের সুন্দরী রমণী হিসাবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে । প্রথম ছোটগল্প ‘দ্য ট্রাম্প’ ১৯৪০ সালে প্রকাশনার পরপরই তাঁর পিতা পরলোকগমন করেন । মাত্র তেইশ বছর বয়সে, অর্থাৎ ১৯৪৩ সালে, তিনি প্রথম উপন্যাস ‘নিয়ার টু দ্য ওয়াইল্ড হার্ট’ প্রকাশ করেন, যা ভাষার দিক থেকে ছিল অনন্য । পরের বছর তিনি এই উপন্যাসের জন্য ব্রাজিলের সম্মানিত ‘গ্রাসা আরানহা’ পুরস্কার অর্জণ করেন । একই বছর তিনি একজন ক্যাথলিক খ্রীষ্টানকে বিয়ে করেন, যা সেই সময়ে ব্রাজিলে অকল্পনীয় ছিল । তার প্রথম উপন্যাস ‘নিয়ার টু দ্য ওয়াইল্ড হার্ট’ প্রকাশের পর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সমাজ, চাকুরী, এমনকি দেশ ছেড়ে কূটনৈতিক স্বামীর সঙ্গে প্রথমে ইতালীতে এবং পরে সুইজারল্যান্ডে গমন করেন । ১৯৬১ সালে প্রকাশিত ‘অ্যাপেল ইন দ্য ডার্ক’ উপন্যাসের জন্য তিনি ‘কারমেন ডোলোরিস বারবোসা’ পুরস্কার লাভ করেন । ‘ফ্যামিলী টাইজ’, ‘দ্য পেশান অ্যাকোর্ডিং টু জি এইস’, ‘দ্য ফরেন লিজিয়ন’, ‘এগুয়া ভিভা’ এবং ‘দ্য আওয়ার অফ দ্য স্টার’ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস । ‘কোভার্ট জয়’, ‘দ্য স্ট্রিম অফ লাইফ’ এবং ‘হোয়্যার ওয়্যার ইউ অ্যাট নাইট’ তার ছোটগল্প সংকলন । তিনি ছোটদের জন্য একাধিক গ্রন্থ রচনা করেন । এছাড়া তাঁর মৃত্যুর পরে সংবাদপত্রের কলাম নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘দ্য ডিসকোভারি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ । তিনি এডগার এলান পো এবং অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা পর্তুগীজ ভাষায় অনুবাদ করেন । তাঁকে ‘নারী চেকভ’ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় । তিনি ১৯৭৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ওভারিয়ান ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে রিও ডি জেনিরোর ইহুদী কবরস্থানে দাফন করা হয় ।



গল্পসূত্রঃ ‘গোপন সুখ’ ক্লারিস লিসপেক্তরের ইংরেজিতে অনূদিত ‘ক্ল্যানডেসটিন্ হ্যাপিনেস’ গল্পের অনুবাদ । পর্তুগীজ ভাষায় গল্পটি ১৯৭১ সালে প্রকাশিত লেখিকার ‘ফ্যালিসিড ক্ল্যানডেসতিনা’ ছোটগল্প সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন রেচেল ক্ল্যান । গল্পটি ২০১৩ সালে (বসন্ত সংখ্যা) ‘বম্ব’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় ।brajiler


অনুবাদক
ফজল হাসান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ