রোদরিগো উরকিওলা ফ্লোরেস'এর গল্প : কানা গলিগুলো

অনুবাদ : জয়া চৌধুরী

সেসব পারদের মত ভারী দিনগুলোতে, ত্বকের নিচে, যখন নিরন্তর বৃষ্টি পড়েই চলত, মেয়েটার অন্দরে জন্ম নিয়েছিল, বৃষ্টি। নিঃশব্দ এক উপস্থিতির অবিশ্বাস্য শারীরিক অনুভূতি ছিল সেটা। কেবলমাত্র একটি ঝড় থেকেই উৎপন্ন ক্রোধে ঐক্যবদ্ধ কাঁপুনির পাহাড় হয়ে ওঠার মত দেখাচ্ছিল তা। তবুও সেই ভেতরের বৃষ্টিটা অসম ঠান্ডা ঝড়ের মত ছিল না। হ্যাঁ ঠান্ডার একটা তিরতিরে স্রোত রক্তমাখা কানা গলি দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছিল। যে বৃষ্টি মাখা শীতলতাটা এগোচ্ছিল, ওটাই ফিরে আসছিল, আর আবার ধেয়ে যাচ্ছিল এমন ভাবে যেন ওটা ফুঁসে ওঠা, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঝরে পড়া বৃষ্টির কারণে উপচে পড়া নদী নয়। আর একবার ভাল করে বলা যাক যেন ওটা শীতলই ছিল না।
ক্লান্তি আর হালকা হয়ে যাওয়া মাথার কাছে নতি স্বীকার করে মেয়েটা। মনের জোরে এই অনুভূতিটাকে তাড়ানোর জন্য জোর করে চোখ বুজতে চাইল। কিন্তু পারল না। কিচ্ছু করে উঠতে পারল না। ভেতরকার বৃষ্টিটা নাছোড় থেকে গেল একটি হত্যাকান্ডের সামনে, মুছে গেল না। আর বাইরে জানলাগুলো ক্রমাগত আছড়ে পড়া বৃষ্টি ফোঁটার আঘাতে জর্জরিত হতে থাকল। অবর্ণনীয় ব্যাপারটা মিলিয়ে যেতে চাইছিল না। বৃষ্টির পাশাপাশি পা মিলিয়ে ভাবনায় হুমকি দিচ্ছিল এই বলে- “ যে সময়টার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছি সেটা এখন এসে উপস্থিত হয়েছে, সময়ের সময়, আমার সময়... বলে উঠল- আমার নামটা এত ভারী যে আমার পিঠ এটা বইতে আর প্রতিবাদ করে না। কোনদিন এটা ভেঙে দু টুকরো হয়ে যাবে... ভাবতে থাকল- আমাকে ভুলতেই হবে ওর কথা। বোজা চোখের তলায় ছবি সরে সরে যাচ্ছিল। পোপের নির্লজ্জ মাতাল মেয়ে। ব্যাপারটা মেনে নিতে মায়ের কবর আর বেদনার মোমবাতিরা দেরী করছিল । সবচেয়ে প্রিয় ভাইকে বিদায় জানানো, বড় ভাই, যে নাকি পৃথিবীর মাটি চিরকালের মত ছেড়ে যাচ্ছিল, যাকে আমি দেখেছি কোনো ভাবে আমেরিকার বুকে টিকে আছে। ওরা তাকে পছন্দ করত। না হাবভাব নয় যেগুলো করবার পরে মেয়েটা ভাবছিল খুব সেন্সুয়াস হচ্ছে, কিন্তু আয়নায় সেগুলোকে বরং ভয়ংকর লাগছিল “ যেন বোবা ঢেকুরগুলোর চরে বেড়ানো”। তার বন্ধুহীন জীবন, যেসব বন্ধুদের সঙ্গে নিজের জীবন ভাগ করে নেওয়া , বেড়া ডিঙিয়ে তার জন্য ফুল নিয়ে আসবে এমন কোন প্রেমিকহীন জীবন, যে কোন বেড়া। হাল ছেড়ে দেওয়া চোখের পাতা দুটো খুলল, যা কোন অশরীরী অভেদ্য প্রায় কাল্পনিক শত্রুর কাছেও কখনও হার মানে নি। যতক্ষণে সে গায়ে একটা কালো উলের বোনা সোয়েটার চাপাল তার ফুল ফুল ছাপের পোশাকের ওপর ততক্ষণ ভেতরে বরফ শীতল ঠান্ডা রক্ত বয়ে যাচ্ছিল, প্রতি মুহূর্তে আগের চেয়ে আরো বেশি ভয়ংকর ভাবে। 

মুষলধার বৃষ্টি থামছিল না। হ্যারিকেন ঝড় দক্ষিণ থেকে উত্তরে ধেয়ে আসছিল আর মেয়েটি আবার সেই শুকনো কান্না কাঁদতে চায় নি। না না কিছুতেই না। 

একজন কী করে একবারও, কিংবা কখনই নিজের নাম ভুলে যেতে পারে? প্রশ্নটা মনে উঠল। খাটের নিচ থেকে তার স্যুটকেস বের করতে করতে তখন “ঘুরে বেড়ানো” উত্তরটাও আপনাআপনি এলো তার মনে। স্যুটকেসের ভেতরে তার একগাদা, ঝকঝকে ডিজাইনের, না পরা কাপড়চোপড় । নতুন কোন সনাক্তকরণের চিহ্নও নেই তার মধ্যে। মেয়েটি হাসল, তবে তা খুশীতে বা উদবেগেও নয়। বৃষ্টি পড়েই চলছিল, কিন্তু একটু আগেও যেমন জোরে পড়ছিল ততটাও নয়, যেমন কয়েক মিনিট আগেও পড়ছিল ঠিক তেমনই। বৃষ্টিটা মনে হচ্ছে কমে এসেছিল। পিঠ বেয়ে ঠান্ডা ঘামের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছিল। হাসি বন্ধ করে দিল। স্যুটকেসটা টানল। ডানহাতে সেটাকে ধরে আয়নায় তাকাল- “আমায় সুন্দর দেখাচ্ছে” নিজেই বলে উঠল, যদিও ভালো করেই জানত সেটা সত্যি নয়। 

স্টেশনের ট্রেনটার কথা ভাবল। “এক দুই তিন চার ব্লক দূরেই হবে সেটা” মেঝেয় ফেলে রাখল স্যুটকেসটাকে। এখন আর আয়নায় মুখ দেখতে চাইছল না। “কার মাথায় এসেছিল রেল স্টেশন আমার এত কাছে তৈরী করতে?”- তিক্ত মনে হাসল মেয়েটি। মতলব আঁটতে লাগল কীকরে বের হবে যাতে তার বেরোনো কেউ টের না পায়। বড়জোর কুকুরটা টের পাবে, বিশেষত ওই রকম বুড়ো কুকুরের মত কোন কুকুর- “যে বুঝতে পারে তার কি বোঝা উচিৎ?”

শোবার ঘরের দরজাটা খুলে নিঃশব্দে পা বাড়াল যাতে অনাবশ্যক আওয়াজ না হয়। গোড়ালিতে ভর দিয়ে হাঁটতে লাগল এমনভাবে যেন সেটা মাঝরাত আর সে একজন সুযোগসন্ধানী চোর। মেয়েটি যখন সিঁড়ি টপকে টপকে নামছিল ততক্ষণে ঘড়িতে বিকেল চারটের ঘন্টা বেজে যাচ্ছিল ঢং ঢং করে। বাড়িতে কেউ ছিল না, তার মনে হল সবাই শান্ত হয়ে আছে। মনে হচ্ছিল যেন পুরো দুনিয়া তো বটেই মহাজাগতিক গ্রহ তারারাও তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়ে পরিবেশ তৈরী করে দিচ্ছে। ঢোকার দরজাটা ঠেলে সে বেরোল যাকে সে এখন বাইরে বেরোবার কাজে লাগাচ্ছে। বেরোবার পরে ফিরে তাকাল সে দরজাটার দিকে, একবার ভেতরে আবার ঘুরে বাইরে ঠেলে এল ও আবার ঘুরে ভেতর মুখে দুলল। সে মনে মনে বলল- “ বাবা আসি, আসি মার প্রেতাত্মা, আসি রে আমেলিয়া , আমার আদরের বোনটা , আসছি এলিজাবেথ।” ঠান্ডায় সে কেশে উঠল।একটা তিরতিরে বৃষ্টির ছাঁট এসে তার চুলগুলোকে ভিজিয়ে দিল। “ আজ থেকে আমি অন্য মানুষ হব, আগের চেয়ে অনেক আলাদা।। হেঁচে উঠল সে ...। খুব খুশী আমি ...আবার সন্দেহ এল মনে... সত্যিই সুখী হবো তো?” 

পেছন থেকে শুনতে পাওয়া যায় এমন খুব বড় একটা আওয়াজের ওপর সূর্যের একটা ছটা ছুঁড়ে দিল। কিপটে নয় সে আলো। মেয়েটা ভয় পেল। আবার জোর কদমে রূঢ় ভাবে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। সে দৌড়তে শুরু করল যেন কোন খারাপ জায়গা থেকে পালাচ্ছে। রাগে দৌড়তে লাগল সে হাসতে হাসতেও দৌড়তে লাগল, নুনের মত মধুর মত, নুন আর মধু যেন মিলে মিশে আছে এমনি ভাবে সে দৌড়তে লাগল। “কোথায় পৌঁছব আমি?” প্রশ্ন করল নিজেকে। “ এমন জায়গায় পৌঁছব যে জায়গাটা আমার।” আর উত্তর টা তার নিজের কাছেই এত মনের মত লাগল, এত দৃঢ় প্রত্যয়ী করে তুলল যে আরো একবার সে ভুলে গেল সেই ভয়ংকর বিষয়টা— সামনে তার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।

রেলস্টেশন শুনশান ছিল। হয়ত বৃষ্টির কারণে লোকজন যারা সাধারণত জড় হয়ে গুলতানি করে তারা বের হয় নি বাইরে যেখান থেকে এমনিতে বের হয়ে আসে। মনে হয় মেয়েটি ছাড়া গোটা শহরের আর কেউ বেরোয় নি। এমন বৃষ্টির দিনে বেড়াবার কথা ভাবেই নি। স্টেশনে ঢুকলো সে। নাছোড় বৃষ্টিটা যখন তার সঙ্গ ছাড়ল তখন মেয়েটি দেখল সে পুরো ভিজে চুপসে গেছে। উলের কালো সোয়েটারটা স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি ভারী লাগছে। তার ফুলছাপ জামা থেকে চুইয়ে পড়ছে হালকা জলের ফোঁটা। ওর চুলগুলো ঠান্ডা। ওর ত্বক। ওর ত্বকের নিচের ত্বক। ওয়ালেট থেকে কিছু টাকা বের করল যেগুলো স্যুটকেসের ভেতরে ছিল, তা দিয়ে টিকিটও কেনা সারল। কোন স্টেশনে নামবার জন্য কিনল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় ওর কাছে। কিন্তু মনে হতে লাগল যে টিকিট থাকা মানে পকেটে স্বাধীনতা থাকা। চিঠি হল জীবনের দাস। কিছু একটা তাকে কালা করে দিচ্ছিল। সেটা কিন্তু বাইরে যে বৃষ্টি পড়ছে কিংবা ভেতরকার বৃষ্টি পড়ছে সেসব কোনটাই নয়। বরং স্যুটকেসের ওপরে ঢাকা নতুন আলখাল্লার মত দৃষ্টি তার। দীর্ঘশ্বাস পড়ল তার। 

জায়গাটা থেকে কয়েক পা দূরে যেখান থেকে টিকিট কেটেছিল সেখানে দেখতে পেল কামরায় ঢোকার দরজাটাকে। সেখানে দশ জনের কম ছিল না অপেক্ষারত মানুষের সংখ্যা। তিনটে খেলা করা বাচ্চা, এক মাফলারে মুখ ঢাকা বৃদ্ধ, একজন মেকআপ না করা মহিলা যিনি একদৃষ্টে বাচ্চাদের একজনের দিকে চেয়েছিলেন, জনা পাঁচেক সিরিয়াস এবং বোবা গোমড়ামুখো লোক। কমার্শিয়াল পত্রিকায় চাকরি করা একজন তার হাত নামাল। ওরা কি আমার মত এত সৌভাগ্যবান হবে? মনে প্রশ্ন জেগে উঠল মেয়েটির। ওদের কি জানা থাকবে এই মিষ্টি মুক্তির কথা? কখনো কখনো অন্য কাউকে চেনার জন্য কি পুরোনো নাম সে মুছে দেবে? যা যা বলছিল ছিল সে সব কিছু নিয়েই সন্দেহে দুলছিল সে। 

নির্দিষ্ট সময়ের পনের মিনিট কেটে গেল কিন্তু দরজা খুলল না। মেয়েটির মনে ভয় ফিরে এল। সেই আগ্রাসী ভয়ংকর দোলাচলের বিভ্রম তার মনে অনিশ্চিত অবস্থা এনে দিল। স্টেশনের ঘড়ির দিকে তাকাল, দাঁত দিয়ে কিছু চিবোতে থাকল, সেটা এমন কিছু যা সে নিজেও শুনতে পেল না। “সবাই আমার দিকে চেয়ে আছে” এক মুহূর্ত পরেই বলেই উঠল। ভেজা জামা থেকে ওঠা সোঁদা গন্ধটা টের পেল। বাইরে এখনো বৃষ্টি পড়ছিল। না জেনেই নিজেকে ওর নগ্ন মনে হতে লাগল। জলের মধ্যে তার নগ্নতার গন্ধ ছিল। ভুলে গেছিল যে ওর চারপাশে যারা ঘিরে আছে তাদের বয়স দশের বেশি নয়। তার স্থির বিশ্বাস হল যে সে বহু লোকের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে আর সবার ফোলা ফোলা চোখ তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখছে। অদৃশ্য নগ্নতায় তার নিজেকে খুব ছোট, সামান্য ও অকেজো লাগছিল। 

“চিৎকার করতে পারতে চাই” ... তার দাঁতগুলো ঠকঠক করছিল ... চিৎকার করে উঠল...”আমার দিকে চেয়ে থাকা ছাড়ুন”। কিন্তু কাউকে সে একথা বলে নি আর কেউই তার কথার উত্তরও দেয় নি। 

ভেতরে ঢোকবার দরজাটা খুলে গেল। আর দশজন লোকই সিঁড়ি বেয়ে ট্রেনে উঠে গেল, শুধু সে নিজে ছাড়া। ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। মহাশূন্যের একটি জায়গার একটি বিন্দুতে চোখ স্থির হয়ে গেল তার। 

এলিজাবেথ রিবেরা?—কালেক্টর জিজ্ঞেস করলেন। 

কয়েক মিনিট কেটে গেল , এবং কোন উত্তরই খুঁজে পেল না সে। 

এলিসাবেথ রিবেরা সাঞ্চেজ?—শান্ত ভাবে কথাটা আবার জিজ্ঞেস করলেন। 

চিনি না তাকে- মেয়েটি বলল।

ওর জন্য আমাদের তাহলে অপেক্ষা করতে হবে।—কালেক্টর গজগজ করতে করতে একথা বললেন। 

মেয়েটি হাঁটু গেঁড়ে বসে রইল। ধোঁয়ার গন্ধ তার সব কিছু ভেদ করেই আসছিল,...এতক্ষণে ভেতরের হাড় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে তা। বাইরে বৃষ্টি অঝোরে ঝরেই চলেছে। ট্রেন আরো দীর্ঘ পনের মিনিট পরে ছাড়ল। রেডিয়োতে এলিজাবেথ রিভেরা স্যাঞ্চেজ এর নাম ঘোষণা হচ্ছিল বারবার, কিন্তু সে কারো সামনে ধরা না দেবার সিদ্ধান্ত নিল। 

কামরার দরজাটা বন্ধ করল সে। আর ট্রেন কচ্ছপের গতিতে চলা শুরু করল। এলিজাবেথ ভাবছিল গরম চকোলেটের কাপে চুমুক দেবার কথা। পোশাক বদলাতে গিয়ে, মনে হল সেগুলো বোধহয় স্যুটকেস থেকেই বের করে আনা। সে দাঁড়িয়ে রইল কিভাবে ট্রেনটা দূরে অনির্দিষ্ট কোন গন্তব্যে যেতে লাগল। ততক্ষণে চাকায় একঘেয়ে ঘষার আওয়াজ শোনা যাচ্হিল আর তার নাম অক্লান্ত ভাবে বলেই চলছিল এমন ভাষায় যা কেবল মেয়েটিই বুঝবে। “আমি এখানে”—বলে উঠল। একটুও না দৌড়েই মেয়েটি ধীরেধীরে ফিরে এল বাড়ির পথে।

ততক্ষণে বাইরে বৃষ্টি থেমে গেছিল। 


লেখক পরিচিতি
রোদরিগো উরকিওলা ফ্লোরেস : তরুণ এই লেখকের জন্ম ১৯৮৬ সালে বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ শহরে। এখন থাকেনও তিনি ওখানেই। তাঁর প্রথম বই “ইউভিয়া দে পিয়েদ্রা” বা “পাথরের বৃষ্টি” আলফাগেররা পুরষ্কার এ বিশেষ উল্লেখিত উপন্যাস হয়। এর পরে ২০০৮ সালে গল্পগ্রন্থ “এভা ই লস এস্পেখোস” বা এভা ও আয়নারা গ্রন্থটি এবং ২০১১ সালে নাটক “এল ব্লকেও” বা “অবরোধ এর জন্য প্রেমিও দে এস্ক্রিতুরা দ্রামাতিকা আদোলফো কোস্তা দু রেইস পুরষ্কার পান। “ইনভিজিবলে” ও “লা কাইদা” গল্পগ্রন্থদুটি ফ্রান্স তামাইও পুরষ্কারের শেষ পর্বে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই বহু পুরষ্কারে সম্মানিত হচ্ছে তাঁর অসংখ্য গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাসগুলি। খুলিও কোরতাসার পুরষ্কার পেয়েছেন সদ্য। বলিভিয়ার বুম পরবর্তী যুগের অগ্রগণ্য সাহিত্যিক বলা হচ্ছে এঁকে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. �� চমতকার লাগল অনুবাদ। আক্ষরিক হয়েও নিজস্ব মাত্রাবহ।
    গল্পটি ঘটনাহীন আত্মবিশ্লেষণধর্মী। আমার ব্যক্তিগত পছন্দের।
    শ্রাবণী দাশগুপ্ত।

    উত্তরমুছুন