সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্প : গর্ত

আফসানার বিয়েটা হলো বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে, লাল-নীল মরিচবাতি দিয়ে গেট আর রাস্তার পাশের গাছপালা রাঙিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে, দু-তিন গ্রামের মানুষকে পোলাও-কোর্মা খাইয়ে। কুতুবপুরে আফসানাদের বাড়ির চুন-সুরকির পুরোনো দালানের বারান্দায় বসে তার মাক্ষিচুষ দাদা কলিম চৌধুরী আলবেলায় তামাক খেতে খেতে আঙুলে হিসাব কষলেন, লাখ তিনেক টাকা তো নিশ্চয় বেরিয়ে গেল ছেলেটার।
অথচ পাত্র আর এমন কী, ঢাকা শহরের এক ব্যাংকের অফিসার, যার নিবাস দুই ভাই এক বোন আর বাবা-মার সঙ্গে ইস্কাটনের এক পুরোনো ফ্ল্যাটে। বিয়েটা তার পছন্দ হয় নি, তবে ইস্কাটন থেকে তার জন্য আদ্দিরের পাঞ্জাবি, এন্ডির চাদর আর উলের সোয়েটার পাঠানোয় একেবারে ফেলে দিতে পারেননি বরবংশকে। 

কলিম চৌধুরী তার যৌবনে এক সিনেমায় ছবি বিশ্বাসকে দেখে এতই অভিভূত হয়ে পড়েন যে, বনেদি এক জমিদারের পার্ট করা তার চরিত্রকে আদর্শ মানতে শুরু করেন—কেন, কেউ জানে না। তার সম্বল ছিল চুন-সুরকির পুরোনো ওই একতলা বাড়ি আর তার বাবার রেখে যাওয়া রুপার কাজ করা আলবোলাটি। আফসানার বাবা ময়মনসিংহের কোর্টে ওকালতি করেন, আফসানা সেখানে থেকেই পড়াশোনা করেছে। কলিম চৌধুরী বছরের সারাটা সময় ওই ভাঙা দালানে ছবিবিশ্বাসময় সময় কাটান, কল্পনায় নিজেকে আশি বছরের অতীতে ভাসিয়ে। তার বাস্তবটা পেছনে পড়ে থাকে, যে বাস্তব আসলেই কঠিন—বহুমূত্র, বদহজম, বাতের ব্যথায় কাতর। একটা লোক যার নাম বদি, তার দেখাশোনা করে, যার স্ত্রী আর তিন ছেলেমেয়ে মিলে যেটুকু ঢেউ তোলে কলিম চৌধুরীর নির্জনতায়। বদির ১৩-১৪ বছরের মেয়ে মিনা তার হুকার আগুন ঠিক রাখে, পায়ে তেল মালিশ করে দেয় সকালে-বিকালে, মাঝেমধ্যে পিঠ চুলকে দেয় এবং গ্যাসের চাপ বাড়লে, পেটটা মালিশ করে। এতে কলিম চৌধুরীর ঘুম পায়, কিন্তু একই সঙ্গে তার লোলচর্ম, জরজর শরীরের গভীরে কোথাও একটা সুখের মতো অনুভূতিও হয়। মেয়েটার জন্য তার মায়া হয়; তার আশঙ্কাও হয়, কবে কার হাতে পড়ে মেয়েটার না জানি কী হয়; সে জন্য খুব শক্ত হাতে তিনি তাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। মিনার জীবনের সবটাই তার দখলে, তিনি তাকে বাতাস নে বললে সে বাতাস নেয়, জেগে থাক বললে জেগে থাকে, স্বপ্ন দেখ বললে স্বপ্ন দেখে। তিনি জানেন এভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে মেয়েটা গর্তে পড়ে যেতে পারে। তিনি আরও জানেন, মিনার মতো মেয়েদের জন্য গর্ত খুঁড়ে বসে থাকে নানা মহাজন। মিনারও কি একটা সায় আছে এই নিয়ন্ত্রণে ? কে জানে। তবে মিনা তার সেবা করে, করতে হয় বলে। কিন্তু তার হাত আর আঙুলে তো সব সময় থাকে একটা উদ্বেগের তাড়া, তার ঠোট থাকে চাপা, চোয়াল শক্ত, যেন সে এক মরমর সাপের সঙ্গে অন্ধকারে গর্তে আটকা পড়েছে, এখুনি তাকে বেরোতে হবে। তার পরও সেবা শেষে চলে যাওয়ার সময় লোকটার জন্য কেন জানি করুণা হয় মিনার। যেমন করুণা হয়েছিল একবার শিং উচিয়ে তেড়ে আসা এক বুনো ষাঁড়কে কাদার গর্তে পড়ে যেতে দেখে। বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো ওই ষাঁড়ের চোখে একসময় মিনা পানি দেখেছিল। অবাক! পেট মালিশের পর কলিম চৌধুরীর পিঁচুটি লেপা চোখেও সে দু-একবার পানি দেখেছে। 

বিয়ের পর যখন বরযাত্রী ফিরে যাচ্ছে, রাত দশটার দিকে, কলিম চৌধুরী হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বসলেন, আফসানার সঙ্গে মিনা যাবে ঢাকায়, চৌধুরী বংশে এটিই নিয়ম। আফসানা এই ঘোষণা শুনে অবাক হলো, তার বাবাও; তারা বিরক্তও হলেন। 

নিয়ম না ঘোড়ার ডিম, এর আগে এখানে কবে বিয়ে হয়েছে? কিন্তু বুড়ো পুরুষসিংহ বলে কথা। তার ঘোষণা বৃথা যেতে পারে না। তা ছাড়া ঢুলু ঢুলু চোখের মিনাওতো উত্তেজনায় লাফালাফি শুরু করেছে। মিনার কাছে এই যাত্রা কল্পনার একটা দরজা খুলে দিল, যা দিয়ে সে চমকের পৃথিবীটাতে পা রাখতে পারবে। 

যে চমকের পৃথিবীটা কলিম চৌধুরীর পা-পেট মালিশ করতে করতে সে টিভিতে দেখেছে। 

(যে রঙিন টিভিটা কলিম চৌধুরীর স্ত্রী দেহরক্ষার এক বছর আগে কিনিয়েছিলেন, পক্ষাঘাতে নিশ্চল, বিছানাবন্দী তার জীবনে কিছুটা আলো ছড়াতে) । 

হেমন্তের রাত। এরকম রাতে শীত আসে পরিচিত ভদ্ৰ মেহমানের মতো। সেই মেহমানের হাত ধরে সকলে গাড়িতে-মাইক্রোতে উঠে বসল, গন্তব্য ঢাকার ইস্কাটনের ২২/৩/এ দিলু রোডের ফ্ল্যাটে।। 

গন্তব্যে যখন পৌছাল দলটি, রাত বাজে দুটা। প্রচুর সাড়াশব্দ করে, ধুপধাপ সিড়ি ভেঙে তিনতলার ফ্ল্যাটে পৌছে কিছুক্ষণ অনিশ্চিত কিন্তু প্রগল্‌ভ সময় কাটল সবার। খামখা হাহা হাসল কেউ কেউ, এ ওকে উচ্ছ্বসিত গলায় ডাকল, প্রয়োজনের বেশি কথা বলল, আফসানার শাশুড়ি বিছানা নিলেন, শ্বশুর সবার ওপর কর্তৃত্ব দেখালেন; কাউকে তিনি বিছানায় পাঠালেন, কাউকে সোফায়, কাউকে কার্পেটে। তারপর তিনিও স্ত্রীর সান্নিধ্যে গেলেন। আধা ঘণ্টা-চল্লিশ মিনিট পর মোটামুটি শান্ত হলো ফ্ল্যাট, শুধু বাথরুম দুটিতে ফ্ল্যাশ টানার ক্রমাগত শব্দ ছাড়া। এসব ফ্ল্যাশের একটি মিনাও টেনেছে, কাজের বুয়া কলি বেগমের হাত-পা ধরে। আফসানা অবশ্য একেবারে শুরুতেই তার বাসর বিছানায় গেছে, তাকে আশ্বস্ত করেছে তার বর, যে চশমা খুলে, চোখে একটা ঝিলিক তুলে, আফসানাকে একটা আদিম বাণী দিয়েছে, যার অর্থ, “আসছি, তৈরি থেকো!' কিন্তু ঘর শান্ত হতে শুরু করলে এবং পাশের ঘরে কারও একজনের সঙ্গে বরের দু-একটি দ্রুত বাক্যবিনিময় শুনতে শুনতে, হঠাৎ আফসানার মনে পড়ল মিনার কথা। মিনা কোথায়? এসেছে তো ? তার হঠাৎ উদ্বেগ হলো। বিছানা থেকে নামতেও গেল দেখার জন্য মিনা কোথায়, কিন্তু মুখে স্বৰ্গহাসি মেলে বর এসে ঢুকল। নামছ কেন?' সে জিজ্ঞেস করল। আফসানা মিনার কথা বললে হাসিটা আরও চওড়া করে বর বলল, 'ডোন্ট ওরি'। খাওয়ার ঘরে ওর থাকার ব্যবস্থা করেছি। বুয়া তার টেক কেয়ার করছে।' 

আফসানা শান্তি পেল। তার কৃতজ্ঞতাও হলো বরের প্রতি। সে-ও মুখে স্বৰ্গহাসি মেলে হাত বাড়িয়ে তাকে আদিম টানল। বর বুঝল আফসানা তৈরি। সে আফসানাকে... 

যাহোক। 

অন্ধকার ঘরে শুয়ে শুয়ে মিনার হঠাৎ মনে হলো, চমকের পৃথিবীটা তাহলে কি কুতুবপুরের মতোই গুমোট গন্ধ আর তেলাপোকায় ভরা? শক্ত মেঝেতে একটা কম্বল পেতে শুয়েছে সে, চোখের সামনে অনেকগুলো চেয়ারের পা, চিপসের খালি প্যাকেট, টিস্যু কাগজ, বিস্কিটের গুড়া। চারদিকে তিন দিন আগে রান্না করা ডালের পচা গন্ধ। একটা ফ্রিজ আতঙ্কিত শব্দ করছে, তার পেট উপচে পড়ছে খাদ্যসামগ্রীতে। মিনার হঠাৎ নিঃসঙ্গ লাগল। এই টেবিল-চেয়ার আকীর্ণ ঘরটিতে আর কেউ নেই। এখানে আলোও নেই। তার কষ্ট হলো। এই খুপরি আর অন্ধকার তো তার কুতুবপুরের অভিজ্ঞতাতেও নেই। তাহলে? কলি বুয়া তাকে এখানে বিছানা পেতে দিয়েছে। তার আগে কলি একজনকে ডেকে অনেকগুলো বাক্স এখান থেকে নিয়ে যেতে বলেছে, যে বাক্সগুলো এসেছে কুতুবপুর থেকে। বুয়া বলেছে, 'আবুল মিয়া, এগুলো নিয়া যাও। যত্নে রাখবা। একটাও খুলবা না।' লোকটা বিরক্তি নিয়ে বাক্স সরিয়েছে; মিনার দিকেও বিরক্তি নিয়ে তাকিয়েছে—মিনার কারণেই যেহেতু রাত প্রায় তিনটায় তার বাক্সবহন। কিন্তু দেখতে দেখতে হঠাৎ তার চোখও নেচেছে। সেই নাচন মিনার। ভেতরে শিরশির একটা ভয় জাগিয়েছে। কিন্তু অন্ধকার ঘরে শুয়ে সে তা ভুলেও যাচ্ছে, তার ভয় এখন ঘুরতে থাকা দু-তিন তেলাপোকা নিয়ে। 

ঘুমিয়েও গিয়েছিল মিনা, কিন্তু একসময় সে বুঝল, কুতুবপুরের বুনো ষাঁড়টা গর্ত থেকে উঠে তাকে শিং দিয়ে গুঁতো দিচ্ছে অথবা শক্ত এক হাতে তাকে জাপটে ধরেছে, অন্য হাতে মুখ চেপে ধরেছে। অবাক, ষাড়ের তো হাত থাকে না, তাহলে? | মিনা বুঝল, আবুল তাকে নির্জন কোথাও নিয়ে যাবে। খাওয়ার ঘরের পাশে একটা বারান্দা, তার পাশে অন্ধকার একটা ঘর। তারপর আরেকটা। সেই ঘরে তাকে নিয়ে ঢুকল আবুল। মিনা হাত-পা যতটা পারল আছড়াল। কিন্তু তার সর্বনাশ করেছে কলি বুয়া থেকে চেয়ে নেওয়া দ্বিতীয় কম্বলটা। প্রথমটা গায়ের নিচে পাতা, দ্বিতীয়টা দিয়ে গা জড়ানো। কম্বল দিয়ে জড়ানো মিনাকে তুলে এনেছে আবুল, মিনার হাতপা বাঁধা ওই কম্বলের প্যাচে। 

আবুলের বিছানায় বোটকা গন্ধ। দেয়ালের দিকে একটা মশারি গুটিয়ে রাখা, তার পেছনে জানালায় নাইলনের পর্দা। এখানে-সেখানে বাক্স। ফ্যাকাশে পর্দা ঠেলে। রাস্তার হালকা আলো ঢুকেছে। তাতে সে বুঝতে পেরেছে, এই ঘরটায় কোনো দয়ামায়া নেই; এখানে আবুল ঘুমায়, যেমন ঘুমায় ওই ষাঁড়টা, কুতুবপুরের বনেবাদাড়ে। একটা নেহাত জৈবিক প্রয়োজনে রাতটা পার করা। এই ঘরের সঙ্গে কারও স্বপ্ন অথবা ভালো লাগার কোনো সম্পর্ক নেই। যেটুকু সম্পর্ক, তা যেন সর্বনাশের সঙ্গে। | আবুল মিনাকে বিছানায় শুইয়ে তার গা থেকে কম্বল সরায়, তবে কম্বলটা পুরো সরে না। আবুলের বালিশে সিগারেটের গন্ধ, ঘরে এখনো শেষ সিগারেটের ধোঁয়া জমে আছে। আবুল তার বালিশ ঢেকে রাখা উৎকট গন্ধের গামছা দিয়ে মিনার মুখ বেঁধে ফেলে। হিসহিস করে বলে, 'আমি যা করার করমু, তুই কিছু করতে পারবি না। কাম শেষ হলে ঘুমাইতে যাইবি। আমি এই বাড়ির লোক, তুই কেউমেউ করলেও তোর কথা কেউ শুনব না।' 

মিনার মনে পড়ল, কলিম চৌধুরীও তাকে একদিন বলেছিলেন, 'আমি এই বাড়ির মালিক। আমি যা বলব, করবি, না হলে পথে বসবি। নে, এখন পেট মালিশ করে দে।' 

দয়ামায়াহীন ঘরে এত দুর্বিপাকেও হাসি পেল মিনার। কোথায় ওই বেচারা বুড়া, আর কোথায় এই ষন্ডা ষাঁড়। তবে বুড়াকে সে ধন্যবাদ দিতে ভুলল না, যেহেতু জীবনের একটা নির্মম পাঠ খুব সহজ করে তাকে তিনি শিখিয়ে দিয়েছেন, শেখানোর কোনো আয়োজন না করেই। পাঠটি এই : “হয় গর্তে পড়, নয় গর্তে ফেল।' বুড়াকে সে যেকো্নো সময় গর্তে ফেলতে পারে, যেহেতু তার শক্তি নাই, তনাই নাই; তবে ফেলবে না, তাকে করুণা করে বলে। তা ছাড়া মিনার কোনো অনিষ্ট তো তিনি চান না,শুধু তার এক শ ভাগ মালিকানা দাবি করা ছাড়া। কিন্তু গর্তটা যে আছে, দুই রকমের গর্ত, বস্তুত, তা তো তিনিই তাকে বুঝিয়েছেন। 

মিনা আবার হাসল। তার এবার হাসার দুটি কারণ; প্রথমত, আবুল তাকে বলেছে, তার বুদ্ধিসুদ্ধি নাই, তার পক্ষে আবুলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো একটা ট্রেনের সামনে একটা টেম্পো দাঁড়ানোর মত। দ্বিতীয়ত, মিনা তার পিঠের নিচে শক্ত ছোট কিছুর অস্তিত্ব টের পেয়ে হাত ঘুরিয়ে সেটি নিয়েছে। লাইটার। তার মা লাইটারের খুব ভক্ত। কী সুন্দর, টিপা দিলেই আগুন। কিন্তু কিনবেন যে, পয়সা কোথায়। 

বুদ্ধিসুদ্ধিহীন মিনা একটা অঙ্ক কষল। এই ঘরে আগুন লাগলে আবুলের কী। বলার থাকবে ? সে কি বলবে সবাইকে, সিগারেট থেকে আগুন লেগেছে ? হা হা। সে কি ইহজীবনে বলতে পারবে, মিনা আগুন লাগিয়েছে ? আর যদি আগুনে কুতুবপুর থেকে আসা সুন্দর সুন্দর বাক্সগুলো পুড়ে যায়? বাড়ির কর্তাকে সে দেখেছে। একটা ভয়ানক ট্রেন। তার সামনে দাড়াবে টেম্পা আবুল ? 

একটা বিরাট গর্ত অপেক্ষা করছে কামুক আবুলের জন্য, মিনা ভাবল। আস্তে করে কম্বলটা দলা পাকাল মিনা। হাতে নিল। আবুল তার ওপর উপুড় হয়েছে, যদিও তাকে চেপে ধরেনি এখনো। আস্তে সরে যেতে যেতে মিনা বলল, ‘প্যান্ট পরেন ক্যান ? লুঙ্গি পরতে পারেন না ? 

আবুল চমকে গেল। এ কী মেয়ে! দারুণ মেয়ে তো! আবুল হাসল। তার মনে পড়ল, মিনাকে দেখে যখন তার ভেতরে কাম জাগে, প্যান্ট ছেড়ে লুঙ্গিটা পরতেও সে ভুলে গিয়েছিল। এই তো লক্ষ্মী মাইয়া,' সে বলল এবং উপুড় হয়েই প্যান্ট খুলে মাথার ওপর রাখল। একসময় মিনার অস্তিত্ব টের না পেয়ে যখন সে চিত হলো, দেখল, সারা মশারিতে আগুন। যাকে বলে দাউ দাউ। পর্দায়, বিছানায় আগুন। | বুদ্ধিসুদ্ধিহীন মেয়েটি ডানে-বায়ে কোথাও নেই। মেয়েটার কম্বলটাও নেই। এখন সে উঠে প্যান্ট পরবে, না আগুন নেভাবে, না মিনার তালাশে যাবে ? 

মিনাকে দেখে কলিম চৌধুরী খুব খুশি হলেন। বললেন, 'হুক্কায় আরাম নাই, মিনা, খালি টিকি নিভে যায়। আর পিঠটা এই তিন দিন ধরে ম্যাজম্যাজ, পেটটাও ফুলে ঢোল। আয়।' 

মিনা বলল, 'আপনার হুঁক্কার টিক্কা নিভ্যা গেলে অহন থাইক্যা লাইটার দিয়া। জ্বালামু।' 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. হাসিও পেলো শেষটায়। চমৎকার গল্প। গল্পে গল্প আছে। যদিও একটু তাড়াহুড়ো ছিল বর্ণনায়।

    উত্তরমুছুন