পারভীন সুলতানা'র গল্প : মিরপুর রোড কিংবা ধানসিঁড়ি নদী

-- সাইন্সল্যাবের উলটো দিকের দখল করা সার সার ফুটপাতের দোকান গুলোর একটায় মোহাম্মদ মস্তুফা নতুন এবং পুরনো নেটের পর্দা বিক্রি করে । যেহেতু ফুটপাতের দোকান সেহেতু দোকানের মালিক মস্তুফা কি-না এটা সাব্যস্ত করা কঠিন। এ বিষয়ে স্বয়ং মস্তফারও পরিষ্কার ধারণা নাই । যে কোন সময় পুলিশের খবরদারি, যখন তখন চাঁদাবাজ বড়ভাইদের ‘তোলা' আদায় । মন মাফিক না হলে দোকান বন্ধ করার হুমকি । সরকার বদলের সময়ও হকারমুক্ত ফুটপাত এবং হকারদের পুনর্বাসনের অঙ্গিকার...। এইসব মারপ্যাঁচে মস্তুফা বোঝে কী করে যে, আসলেই নেটের নতুন ও পুরাতন পর্দা বিক্রির দোকানটা তার। এতো সব গিরিঙ্গির কথা বাদ দিলেও মস্তুফার যে ফুটপাতে বসে পর্দা বেচতে ভাললাগে তা নয়।

মোহাম্মদ মস্তফার শৈশব কেটেছে একটা থানা শহরে। তবে একেবারে নিরীহ বলা যায় না জায়গাটাকে। এখানে আছে পাইলট স্কুল, মোঘল আমলে তৈরি সুজাবাদ কেল্লা, অনেক গুলো তাঁত কল্‌ মেয়েদের জুনিয়র হাইস্কুল, ছেলেদের জন্য আলাদা হাইস্কুল, পোস্ট অফিস, বড় খেলার মাঠ এমন কী থিয়েটার নাটক করার পাকা একটা স্টেজ পর্যন্ত। স্টিমার ঘাট না থাকলেও লঞ্চ ঘাট আছে । ঝালকাঠি, বরিশালের কাছাকাছি মোহাম্মদ মস্তুফাদের থানা শহরটির নাম রাজাপুর। না পাহাড়, না বনভূমি, না খা খা রোদের মাটি ফাটা উজান কিংবা নদীর রস নিংড়ানো চর। বরং চারদিকে নদীর ঘেরা টোপে ঢাকা তাজা আর নিরেট সবুজ দ্বীপ যেন একটা। মস্তুফাদের চার পাশে নদী। সকালে নদী, দুপু্রে, নদী বিকেলে নদী , ঘুম রাতের মিহি অন্ধকারেও নদী। এমন মায়া ভরা জল আর সবুজের সাথে বেড়ে ওঠা মন কী ফুটপাতে বসে হকারগিরি করায় বসে! হোক তা নেটের পর্দা বিক্রি,গার্মেন্টস এর শার্ট , পেন্ট, টাওয়েল, বেডকভার চাই কী ঝক ঝকে নকল পাথরের নেকলেস বা ইয়ারিং !

ভারি বর্ষণে মিরপুর রোডের দীর্ঘ কালো রাস্তাটা যখন পানিতে ভরে যায় তখন রাস্তাটাকে মাঝে মাঝে নদী বলে ভ্রম হয় মস্তুফার। তবে সত্যিকারের নদী তাকে টানে , টানে রাজাপুর হাফবিল্ডিং ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী মেহেরের প্রেম, ছেলের কোমল স্নেহ উপচানো ‘বাবা’ ডাক । বউ বাচ্চাকে ঢাকা শহরে রাখার সামর্থ্য নেই মস্তুফার । এসব আটপৌরে কথা নাহয় থাক-ই ।

ফুটপাত হলেও মস্তুফার নেটের পর্দার দোকানটা দৃষ্টিনন্দন। সাদা, হলুদ, বেগুনি, গোলাপি রঙের ফিনফিনে পর্দা গুলো এমন ভাবে সাজিয়ে রাখে মস্তুফা যেন এগুলো এক একটা মিহিন মসলিন খণ্ড ! উঁচু মাচান ঘিরে বাঁধা খুঁটির চারদিকে মোটা দড়ি টানিয়ে তিন পাশেই পর্দা গুলো ঝুলিয়ে রেখেছে সে। খুঁটি গুলো ও সাদা, গোলাপি নেটে মুড়িয়ে দিয়েছে। দোকানের মাল আনতে চিটাগাং পোর্টে যেতে হয় তাকে। বিদেশি সাহেব মেমদের ব্যবহার করা পুরনো, আধা পুরনো নেটের পর্দা গুলো দেখতে প্রায় নতুনের মতোই। কারুকাজময়, শোভন , আকর্ষণীয়। দেখলেই বোঝা যায় নিতান্তই শখের জিনিস। সূক্ষ্ণ নকশাদার বয়ন। ফিনফিনে , পেলব পর্দা গুলো মোটেও আব্রুর জন্য নয় , স্রেফ সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এ গুলোর ব্যবহার। নতুনের মতো দেখতে হলেও কোন না কোন খুঁতের জন্য বাতিল হয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে ফুটপাতের পণ্য হয়ে উঠেছে ।

রাজাপুর পাইলট স্কুলের ছাত্র মস্তুফা মোটামুটি ভালোভাবেই ম্যাট্রিক পাশ করেছিল। তবে, লেখা পড়ায় মন লাগায়নি সে। পাঁচ ভাই বোনের সংসারে মস্তুফা বড়। বড় হলেও সমঝদার নয়। মস্তুফার রক্তের সাথে মিশে আছে নদী। নদী আর জলের টানে নিমগ্ন থাকতো সে। লঞ্চ ঘাটের ব্রিজের ওপর বসে নদীর ওপাড়ের বৃষ্টি শেষের আকাশে রংধনু দেখা, মাঝিদের গান শোনা , নানা কিসিমের নাও দেখা ! সময় পেলেই মস্তুফা ভাবে, আহা,কী রঙিলা দিন ছিল সেসব ! কখনো নৌকা বাইচের দুর্মর নেশায় , কখনো বিষখালি , সুগন্ধা , ধানসিঁড়ির রূপের টানে দিনের পর দিন কাটাত সে ।

সকাল ১০টা/ ১১টায় মস্তুফা বিরস বদনে দোকানের প্যাঁচ খোলে। রাতে দোকান বন্ধ করার আগে ফুটপাতের দোকানিরা মোটা পলিথিনে পণ্য গুলো ঢেকে রাখে। এর পর নাইলন দড়ির হাজার প্যাঁচে বেঁধে রাখে। এই ওদের দোকান বন্ধ। না লাগে তালা, না চাবি। তালা চাবি ছাড়া দোকান গুলো সারা রাত ফুটপাতে বেওয়ারিশ মানুষ গুলোর সাথে পলিথিনের কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমায়। অবশ্য রাত ভর নাইটগার্ড পাহারা দেয়। পুলিশও টহল দেয়। এ নিরাপত্তা কাঁচা পয়সা খরচ করে কিনতে হয়। বরং দিনের বেলা হকারদের সুবিধা বেশি। আলো হাওয়ার কমতি নেই। এ জন্য পয়সা দিতে হয় না। দুটোই ফ্রি। বিচরণরত সাবলীল বাতাস টিচার্স ট্রেনিং কলেজের হোস্টেল হতে বা ঢাকা কলেজের বৃক্ষ ঘেরা ক্যাম্পাস টপকে আপন আনন্দে ফুটপাত ভ্রমণ শেষে সাইন্সল্যাবের দিকে ধাবমান হয়। হাওয়ার দাপটে মস্তুফার ক্লিপ আটকানো পর্দাগুলো পাখির মত উড়াল দিতে চাইলেও ছাড়ান পায় না। বাতাসের যোগসাজশে উড়তে থাকা ফিনফিনে পর্দা গুলো তখন আর স্রেফ পর্দা থাকেনা । মস্তুফার চোখে তখন হয়ে ওঠে ‘ধানসিঁড়ি ‘ অথবা সুগন্ধা কিংবা নলবুনিয়া নদীর রূপোলী স্রোত। বাতাসের প্ররোচনায় উড়তে থাকা পর্দা তার নকশাদার মিহি যাদুতে শৌখিন ক্রেতাকে মুগ্ধ করে। এতো কিছুর পরও মোহাম্মদ মস্তুফার দোকানদারি করতে ভাললাগে না । ঐ যে মাথার ভেতর নদী আর নৌকা বাইচের নেশা ঢুকে আছে !

নৌকা বাইচটা প্রথম শুরু হয় বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে শখে শখে । কিন্তু শখের বাইচে জিতে রক্তে মাতম ধরে গেল। এতে পড়া লেখা শিঁকায় ওঠে। শুধু লেখা পড়াই নয় ছেলের কাণ্ড কারখানায় বাবাও নাখোশ হয়ে ওঠে । শেষে জমি জিরাত বেচে ছেলেকে পাঠিয়ে দেয় তেলের দেশে। তবে, নদীর সাথে যার দোস্তি তার মন কী মরুভূমির খেজুর সারির সাথে সমঝোতা করে ! বছর খানেকের মধ্যে মস্তুফা সৌদি থেকে ফেরে আসে। ফেরে এলেও নদী তাকে কোন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। তার পর স্রোতের শ্যাওলার মতো ঢাকায় এসে সে সাইন্সল্যাবের ফুটপাতে আটকে যায় ।

গিজগিজানো দোকান গুলো ‘প্রিয়াঙ্গন’ মার্কেটের ফুটপাত থেকে আরম্ভ হয়ে গাউছিয়া, নিউমার্কেটের ফুটপাত কামড়ে আছে। ব্রা, প্যান্টি থেকে শুরু করে শার্ট, প্যাণ্ট, বেড কভার, পিলো কভার, স্যান্ডেল জুতা এমন কী তেলাপোকা মারার ঔষুধ পর্যন্ত পাওয়া জায়। মস্তুফার দোকানটাই বরং এর মধ্যে ব্যতিক্রম। দীর্ঘ দোকানের সারিতে একমাত্র মস্তুফাই নেটের নতুন ও পুরনো পর্দা বিক্রি করে। শুধু পণ্যের ধরনেই নয় ধান্দাবাজ দোকানিদের মধ্যে অর মনও সুরেলা ।

দুপুরে কাস্টমার বিহীন দোকানের উঁচু টুলে বসে ঝিমায় মস্তুফা। নীল ক্ষেতের মাস কাভারি মেস থেকে আনা ভাত খেয়ে ঘুম ঘুম পায়। অলস মগজে সুর আসে। মনে গান গুমরায়। কিন্তু কোথায় গায় সে? বুকের ভেতর স্তুপ স্তুপ সুরের ভার নিয়ে মস্তুফা গোঙায়। বাইরে গনগনে। ভর দুপুরের রোদে দোকানপাট প্রায় ক্রেতা শূন্য। সুর মনের ভেতর আকুলি বিকুলি করতে থাকলে মস্তুফা আজ তাকে আশকারাই দেয়। নৌকা বাইচের সময় সেই ছিল মূল গায়েন। গলায় ফুলের মালা পরে গলইয়ে নেচেনেচে গান গাইত। অন্যেরা বৈঠা মারতে মারতে ধুয়া তুলত ওর সাথে । অনেক দিন পর মস্তুফার গলায় সুর ওঠে-- 
হারে... অ...রে আইজ দেখি তর বদন কালা
ও মা জননী কে দিয়াছে রাঙ্গা ফুলের মালা ?
ওরে মায়ে দিল চাউল, ডাউল বাপে দিল হাঁড়ী
রসই কইরা খাইয়ো তুমি হলকা জাইল্লার বাড়ি
ও মা জননী কে দিয়াছে রাঙ্গা ফুলের মালা ?

মস্তুফার মিঠা সুর পাশের টি শার্টের দোকান টপকে মজা, গেঞ্জি আর ঝোলানো লেডিস ব্যাগের ফিতা গলে ছায়ানীড়ের শর্মা ও ভাজা মুরগির মশলার গন্ধে সেঁধিয়ে যায় । মস্তুফার গান শুনে পাঞ্জাবি বিক্রেতা রুস্তম আ-উ করে- অ মনু , গান শুনি পরাণ মুর জুরাইল রে !

ইট পাথরের শহরেও বর্ষা আসে, কদম ফোটে। এবার ঢাকায় বর্ষা আসে আটঘাট বেঁধে। বৃষ্টি বৃষ্টি ! বিরামহীন বর্ষণ। তবু মিরপুর রোডের পথে বাস, প্রাইভেট কার , সি এন জি, টেম্পো আর নানা কিসিমের যানবাহনের চলাচলের বিরাম নাই। বিপদ হয় কেবল হকারদের। ভারি বৃষ্টিতে পলিথিনের প্যাঁচ মেরে দোকান বন্ধ করে রাখা ছাড়া উপায় নাই। তবু এরা দোকান খোলার আশায় রোজ আসে। প্রিয়াঙ্গন, লাটিমী শপিং মলের নিচে অপেক্ষা করে বৃষ্টি থামার আশায়। নীল পলিথিনে মোড়ানো দোকান গুলো নিরীহ ভঙ্গিতে ভিজতেই থাকে। হাজার প্যাঁচে বাঁধা ভেতরের পণ্য গুলোকে বৃষ্টি কিন্তু স্পর্শ করতেও পারে না ।
 
সকালে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ১০টার দিকে রোগাটে একটা রোদ ওঠার চেষ্টা করতে না করতেই শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি । দোকান খুলবে কী খুলবে না এই নিয়ে দোকানিরা যখন দ্বিধাগ্রস্থ , তখনি মীমাংসার সরব ঘোষণা দিয়ে মুষল ধারায় বৃষ্টি নামে। আবার ঘোর বর্ষণ। বৃষ্টির ষড়যন্ত্রে অন্যেরা যখন অতিষ্ঠ মস্তুফা তখন ছাতা মাথায় দিয়ে চা খেতে চলে যায় ঢাকা কলেজের ফুটপাতে। এখানে গলির ভেতর এক দোকানে দারুণ চা হয়। বৃষ্টিতে আপাততো সে মোটা পলিথিন টানানো কেরোসিন কাঠের চেয়ার, টেবিল বিক্রির দোকানে আশ্রয় নেয়। ধুম বৃষ্টির কারণে দোকানদার সম্ভবত আসার সুযোগ পায়নি। কেরোসিন কাঠের চেয়ারে বসে থাকে মস্তুফা। বৃষ্টির গানে ঘুম নেমে আসতে চায় চোখে। কিন্তু কিসের ঘুম! বিস্মিত মস্তুফা দেখে আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে মিরপুর রোডের দীর্ঘ রাস্তা জল থই থই। কালো হিড়হিড়ে জলে স্ফীত হতে হতে রাস্তাটা নদী হয়ে উঠলো ওর চোখের সামনে। শুধু যে রাস্তা, তা নয়। ঢাকা কলেজের ফুটপাতের নার্সারির গাছ গুলোও শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দিব্যি সেই টলমলানো জলে নিজেদের ছায়া রচনা করে বর্ষার জলে ভিজতে থাকে। এই মাত্র রচিত হওয়া নদীর দু তীরেই হিজল, আশশেওড়া , হোগলা আর নল খাগড়ার ঘন বুনট। আসল খেলাটা শুরু হয় একটু পরে । জলে সপাসপ বৈঠার বারি মেরে ছুটে আসছে অনেক দৌড়ের নাও ! একেকটা নৌকা কমসে কম আশি নব্বই হাত লম্বা। প্রত্যেক নৌকার গলুইয়ে বাইচের মাতুব্বর গলায় লাল গামছা ঝুলিয়ে , কেউ কেউ ফুলের মালা দুলিয়ে নাচের তালে তালে গান গাইছে । বৈঠার তালে তালে মাঝিরাও তার সাথে ধুয়া তোলে-

চলো চলো নাও হেইও হেইও
আল্লা আল্লা বলি নাও খুলোরে সগলি, আরে হেইও... হেইও ............।

ক্রমশ ফুঁসে ওঠা জলে মিরপুর রোড বিশাল বিস্তৃত নদী হয়ে ওঠে। নদীটাকে এক নজরেই চিনে ফেলে
মস্তুফা। ‘ধানসিঁড়ি’। শ’য়ে শ’য়ে ছুটে আসছে বাইচের নাও । নৌকা গুলো তীরের বেগে ছুটছে। একটা
নৌকা আর একটাকে অতিক্রম করার সময় তুমুল হুল্লোড় আর চিৎকার উঠছে । নাওয়ের দু’ পাশে বসে
মাল্লারা সারি বেঁধে বসে কেউ দার টানছে , কেউ ঠিকারা , কেউ কাসর বাজাচ্ছে । তালে তালে নৌকা এগোয় , তার সাথে চলে গান - 

বদর বদর কহো মাঝি গাজির নাম লও
আলস্যই কইরো না মাল্লা জলদি নাও চালাও

এক এক করে এগিয়ে যাচ্ছে সব বাইচের নৌকা । উদয়গিরি , নাগফণী, মহলগিরি , উদয়গিরি , শঙ্খচূড় , সিংহমুখি , চন্দ্রপাল , পদ্মমুখী ।
 
এতোসব কাণ্ডের পর মোহাম্মদ মস্তুফা কী আর স্রেফ নেটের নতুন ও পুরাতন পর্দা বিক্রেতা হয়ে বসে থাকতে পারে! এরপর বসে থাকা কেরোসিন কাঠের চেয়ারটাও যখন বিশাল এক শঙ্খচূড় নৌকা হয়ে ওঠে তখন মস্তুফা আর পারে না। গাজি পীরকে স্মরণ করে উঠে পড়ে শঙ্খচূড়ের সিঁদুর রাঙ্গা গলুইয়ে। নৌকা ভর্তি মাঝি আর মাল্লা। তালে তালে এগুতে থাকে নাও। জলের তরল শরীরে সপাসপ শব্দ ওঠে। অন্য নৌকার সাথে পাল্লা দিয়ে তীরের বেগে ছুটে চলে মস্তুফার বাইচের নাও। অনেক দিন পরে মোহাম্মদ মস্তুফার ঠোঁটে গান ওঠে –

ওরে জাইল্লার মাথায় জাল ও দড়ি আমার মাথায় ডুরি
কেমনে তুলুম শাপলা শালুক আমি ভাইবা মরি
আমার সই-এ মুখ ফিরাইবে মন করিবে কালা
ওরে মা জননী কে দিবেগো আমার গলায় রাঙ্গা ফুলের মালা...।

অনেক বছর পর মোহাম্মদ মস্তুফা ধানসিঁড়ির তরল জলরাশিকে শুনিয়ে সুললিত গলায় গান গাইতেই থাকে.........।

লেখক পরিচিতি
পারভীন সুলতানা
অধ্যাপক। গল্পকার। কবি।
ঢাকায় থাকেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. শেকড় ছেড়ে আসা এক মানুষের গল্প। নদী,জল, ছায়ার হাতছানি সুন্দর ফুটে উঠেছে। মস্তুফার হোম সিকনেস আমাকেও আচ্ছন্ন করল।

    উত্তরমুছুন