একজন গল্পকার কখনোই বলেন না-- তার গল্পে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এটাই ঘটেছে। এটা ছাড়া অন্য কিছু ঘটেনি। ঘটতে পারে না। যদি এই রকম সিদ্ধান্তমূলক কিছু বলে থাকেন, তবে তার গল্পটি আসলে একটি অতি দুর্বল গল্প।
আমার সামনে যা ঘটেছে, যা ঘটতে দেখেছি-- যে ঘটনাটির চাক্ষুস সাক্ষী আমি, সেই ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্যি নাও হতে পারে। আজ যেটাকে সত্যি বলে মানছি-- কাল তা অন্য মুখে বা সংবাদপত্রের বিবরণী অনুসারে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকতে পারে যে, আমার দেখাটা ভুল ছিল। সেখানে অন্য কিছু ঘটেছিল। বা তারা যেটি বলেছে--তাদের সেই দেখার কারণে আমার দেখাকে ভুল প্রমাণিত করে সেটি সত্যি হয়ে উঠেছে, পরশুদিন তার ভিন্ন কোনো বিবরণী আসতে পারে। তাদেরটাও ভুল বলে প্রমাণিত হতে পারে। এমনকি এমনও ধারণা হতে পারে, সেদিন যা ঘটেছিল আমার সামনে, সেটা সেদিন সে সময়ে সে স্থানে সেইসব মানুষের দ্বারা আদৌ ঘটেনি। এ সকলই কোনো না কোনোভাবে বিভ্রম।
ফলে গল্পকার যা দেখেছেন, যা ভেবেছেন-- তাকে একমাত্র সত্যি বিবেচনা করে লেখার দ্বায়িত্ব তার নয়।তিনি শুধু নির্মোহভাবে তার পর্যবেক্ষণটা এমনভাবে বলবেন, যাতে পাঠক পাবেন ঘটনার নানা টুলস-- ইশারা ইঙ্গিত যাদেরকে ভিত্তি করে পাঠক নিজেই আরেকটি নতুন ঘটনাকে আবিষ্কার করবেন। কী ঘটেছিল-- কী ঘটতে পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পাঠকের রয়েছে। নানা পাঠকের কাছে কোনো আখ্যান নানারকম সত্যি হয়ে উঠবে। রচিত হবে একই আখ্যানের বহুস্বর। এটাই একালের গল্প।
রমাপদ চৌধুরীর গল্প : পোস্ট মরটেম
গল্প নিয়ে আলাপ :
রমাপদ চৌধুরীর পোস্ট মরটেম
আলোচক : অমর মিত্র

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের গল্প :
বড়মার অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া
জাদু বাস্তবতার জাদুকরের গল্প
আলোচক : লীনা দিলরুবা

গল্পপাঠের অন্যতম সম্পাদক মোমিনুল আজম গত ৯ এপ্রিল পিতৃহারা হয়েছেন। মোমিনুল আজমের সদ্য প্রয়াত বাবার প্রতি গল্পপাঠের শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল।
তিনি কিছুদিন আগে বাবার চশমা নামে একটি লেখা করেছিলেন। লেখাটি সরল ও সুষমাময়।
মোমিনুল আজমের স্মৃতিচারণ--আমার বাবার চশমা

তারাপদ রায় কবি। কবি বলেই তাঁর গদ্য ছিল সুষমাময়। গল্প লিখতেন পুরনো কোনো স্মৃতিখণ্ড নিয়ে। ছোটো ছোটো বাক্যে। আটপৌড়ে শব্দে। কোমল স্বরে।পড়তে গেলে আখ্যান ও কবিতার যৌথ স্বাদ পাওয়া যায়। পাঠক পাঠের আনন্দ পান। একটু বিষণ্নও হয়ে পড়েন। পরে টের পান--তারাপদ রায় বলছেন--আমাদের হারিয়ে যাওয়া পারিবারিক রূপকথা। এই রূপকথার কথক এখন কদাচিৎ মেলে।
তারাপদ রায়'এর গল্প : চাঁদ ধরার মন্ত্র

দুহাজার বছর পরে পৃথিবীতে আলাদা কোনো দেশ নেই। মানুষের মৃত্যু হলে তার কপি-করা মস্তিষ্ক পুনরায় দেহে বসানো হয়। প্রফেসর বিষাণের গবেষণা মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াকে সাফল্যমণ্ডিত করেছিল। কিন্তু লোহিতক সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে এই পদ্ধতি প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে। বিষাণ ও অদিতার দশ বছরের সন্তান সেনভা একশ বছর আগে হারিয়ে যায় চাঁদে। সেনভার কপি-করা মস্তিষ্ক ব্যবহার করে নতুন দেহে আর এক সেনভাকে সৃষ্টি করা হয়, কিন্তু সন্তান হিসেবে নতুন সেনভাকে পুরোপুরিভাবে বিষাণ ও অদিতা গ্রহণ করতে পারে না। এই পর্বে দুই গোয়েন্দার সঙ্গে বিষাণের কথোপকথনে লোহিতক নেতা অশিরের পরিচয় উন্মোচন ও চাঁদে সেনভার হারিয়ে যাবার রহস্যের সমাধান। বিস্তারিত>>
আগের পর্বগুলো পড়ার লিঙ্ক

নিহিত পাতাল
বাড়ি চিনতে কষ্ট হল না।
জয়নগরে ট্রেন প্রায় ফাঁকা। পরের স্টেশন মথুরাপুর। স্টেশনে নেমে রিকশা খুঁজল তুষার। যে দু’একটা ছিল তারা লোক তুলে ভোঁ। পেল না। একটা ভ্যানরিকশা এগিয়ে এল, জনা চারেক লোক বসে। - যাবেন বাবু?
তুষার ঘাড় ঘুরিয়ে ডাইনে বাঁয়ে দেখল। কেউ যেন দেখছে তাকে, মুখ টিপে হাসছে। শেষে কি এই ভ্যানরিকশা করে যেতে হবে? বিস্তারিত>>

লিডিয়া ডেভিস’র চারটি গল্প
অনুবাদ : দিলওয়ার হাসান

আইজাক বাশেভিস সিঙ্গারের 'আর্ট অব ফিকশন' সাক্ষাৎকার
সাক্ষাতকারী : হেরল্ড ফ্লেন্ডার
বাশেভিস সিঙ্গারের জন্ম পোল্যান্ডে, ওয়ারসো'র এক গ্রামে, ১৯০৪ সালে। বেড়ে উঠেছেন শহরের ঈদিশভাষী ইহুদি পাড়ায়। সবাই মনে করত তিনিও তার বাবার মতো ইহুদি আইনের শিক্ষক হবেন, কিন্তু বিশ বছর বয়সেই সিঙ্গার ধর্ম বিষয়ক জ্ঞানচর্চা বাদ দিয়ে লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি ঈডিশ লিটারারি ম্যাগাজিনে প্রুফ রিডারের কাজ নেন, পুস্তক-পর্যালোচনা করতে শুরু করেন আর প্রকাশ করেন তার গল্পগুলো। ১৯৩৫ সালে পার্শ্ববর্তী জার্মানির নাৎসি আক্রমন যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করে, সিঙ্গার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক ঈদিসভাষী পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ নেন। ১৯৪০-এ সিঙ্গার এক জার্মান-ইহুদি উদ্বাস্তু নারীকে বিয়ে করেন।
যদিও বাশেভিস সিঙ্গারের বেশ কিছু উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, স্মৃতিকথা আর প্রবন্ধের বই বেরিয়েছে, তবু গল্পলেখক হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। ১৯৭৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান এই ঈডিশভাষী লেখক। জীবন শেষ হয় ১৯৯১-এ, ফ্লোরিডায়। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হচ্ছে- 'দ্য মেজিশিয়ান অব লুবলিন, স্নেভ, এনিমি : এ লাভ স্টোরি, দ্য ফ্যামিলি মস্কাট, দ্য পেনিট্যান্টস', দ্য ডেথ অব মেথুসেলা অ্যান্ড আদার স্টোরিজ, শোশা, লাভ এন্ড এক্সাইল, দ্য লাস্ট ডেমোন, দ্য স্পিনোজা অব মার্কেট স্ট্রিট, গিম্পেল দ্য ফুল এন্ড আদার স্টোরিজ, এলোন ইন দি ইস্ট ফরেস্ট, ফ্রেন্ড অব কাফকা। বিস্তারিত>>


বুদ্ধদেব বসুর সাক্ষাৎকার
মৌলিনাথ নামে বুদ্ধদেব বসুর অসামান্য একটি উপন্যাস আছে। তার ভাব, ভাষ্য ও ভাষার ছন্দোময়তা-সুষমা সতর্ক পাঠককে মুগ্ধ করে। এই উপন্যাসকে ভর করে লেখালেখির নানা কৌশল ও ভাবনা নিয়ে স্বয়ং বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও লোথার লুৎসো।
বিশ্বমানের এ সাক্ষাৎকারটি বাংলা ভাষায় অভূতপূর্ব। সব লেখক ও পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য। বিস্তারিত>>


দেবেশ রায়ের প্রবন্ধ
উপন্যাসের নতুন ধরণের খোঁজে
প্রবীণ কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায় শুধু লেখেন না, লেখার নতুন রীতি নিয়েও ভাবেন। তিনি সার্থক ডকুফিকশনেরও পায়োনিয়ার। তিনি বর্তমান বাংলা উপন্যাস নিয়ে সন্তুষ্ট নন। মনে করেন, পশ্চিমা রীতিতে যে বাংলা উপন্যাস লেখা হচ্ছে সেটা আমাদের নিজস্ব বলে কিছু থাকছে না। আমাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত পাচালী, কথকতার যে গল্প বলার রীতি রয়েছে, যা কথকের মুখে প্রতিবারই নতুন নতুন অর্থ প্রদান করে, সেই রীতিতেই আমাদের উপন্যাস লেখা প্রয়োজন। তিনি আশা করেন, সেই নতুন ঔপন্যাসিক আসবেন। বিস্তারিত>>

প্রবন্ধ
চিরন্তন সরকার


সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত'র গল্প
মেঘ বৃষ্টি রোদ
আমি আর পাঁচটা মেয়ের থেকে একটু আলাদা। মেয়ে অবশ্য আর বলা উচিত না, পুরোদস্তুর মহিলা। মেয়ে এবার সরস্বতী-পুজোয় শাড়ি পরে ইস্কুলে গেল, অবাক হয়ে দেখছিলাম আমি। ও অধৈর্য হয়ে বলে –‘কি হল মা, আঁচলে পিনটা লাগিয়ে দাও’। আর আমি সেই কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল এ তো আমার মেয়ে নয় এটা তো আসলে আমি। বিস্তারিত>>

গল্পপাঠের আড্ডা
বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য ও মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় রিমি মুৎসুদ্দি
ছোটগল্পে লেখক প্রকৃত দ্রষ্টা। তিনি তাঁর সময়ে ও সীমানায় আবদ্ধ থাকেন না। লেখকের ইতিহাস বোধ, জীবনের প্রতি সংবেদনশীলতা, পর্যবেক্ষণ এইসবেরই শৈল্পিক প্রতিফলন পাওয়া যায় তাঁর রচনায়। এই সময়ের দুই তরুণ লেখক বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য ও মোজাফফর হোসেন বাংলা ছোটগল্পে সেই প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের তরুণ লেখক মোজাফফর হোসেন মনে করেন আজকের বাংলা সাহিত্যে ‘কথ্যভাষায় বেশি জোর দিতে গিয়ে সাহিত্য-ভাষার যে সৌন্দর্য সেটি কমে যাচ্ছে সমসাময়িক গদ্যসাহিত্য থেকে।’ বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য তাঁর গল্পে মানুষের বিপন্নতার পোর্টেট আঁকেন। যে বিপন্নতা আবার পাঠকের মনে এক বিষণ্ণ প্রশান্তি এনে দেয়। সম্প্রতি এই দুই গল্পকারেরই বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের প্রকাশিত বই নিয়ে, বইয়ের গল্প নিয়ে, লেখার বিষয়, শৈলী, পাঠক প্রতিক্রিয়া, লেখকের নিজস্ব প্রতিক্রিয়া, এ সময়ের সহলেখকদের লেখালেখি, ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে এঁদের দুজনের সাথে গল্পকারের আড্ডা সঞ্চালনা করেছেন রিমি মুৎসুদ্দি। বিস্তারিত>>

আহমেদ খান হীরকএর গল্প
আমরা মানে আমি আর মিজানের বউ
শেষপর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম যে আমরা ছাদে যাবো।দ
এরকম একটা সিদ্ধান্তে আসার আগে এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে লম্বা সময় কথা হয়েছিলো। প্লাবন বলেছিলো হুট করে এই ধরনের একটা গুরুতর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। ফলে আমরা কিছুদিন সময় দিয়েছিলাম নিজেদেরকে আর ভেবেছিলাম আমরা যা করতে যাচ্ছি তার সত্যি সত্যি প্রয়োজন আছে কিনা! বিস্তারিত>>

সাদিক হোসেন'এর গল্প :
হায়দার আলি যা কিছু হতে পারত
হায়দার আলি যা কিছু হতে পারত। কিন্তু এখন অতগুলো স্কুল বাচ্চার সামনে দাঁড়িয়ে তার নিজেকে কেমন অদ্ভুত মনে হল।
প্রেয়ার সবে শেষ হয়েছে। অন্যদিন হলে বাচ্চারা এই সময় ক্লাসরুমে ঢোকবার জন্য হুড়োহুড়ি বাঁধিয়ে দিত। তবে আজকের দিনটা অন্যরকম। হেডস্যার হায়দারকে পাশে দাঁড় করিয়ে বক্তৃয়া দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন।্রর
হায়দার আর কী করে। এইসময় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকাটাই নিয়ম। তাকে যতটা অসহায় লাগবে, হেডস্যারের বক্তৃতা ততটাই জোরালো শোনাবে। বিস্তারিত>>

‘রক্তমূলে বিচ্ছেদ’র সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম :
গল্পের পাল বংশীয় শিল্পী
আলোচক : অলাত এহসান
সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমামের গল্প : গোর
সিন্দুক কবরের ভেতরটা আটঁসাট। দূর থেকে শরির বাঁকিয়ে উঁকি দিয়েই ঘাবড়ে গিয়েছেন ফয়েজ আহমদ। নতুন কবর। বৃষ্টিতে নীচ থেকে পানি উঠছে দেখে কেমন শিরশিরে অনুভূতি শিড়দাঁড়া দিয়ে নামলো অথবা আটকে রইলো বুকে। মাত্র কয়েক হাত দৈর্ঘ্য-প্রস্থ অথচ তাকালে মনে হয়, ভেতরের চারকোনা বরফের মতো অন্ধকারটা পৃথিবীর অন্যপাশ অব্দি পৌঁছে গেছে। আশেপাশের দু-একদিন বয়সি কবরগুলো সদ্য মা হওয়া নারীর তলপেটের মতো ফুলে আবার চুপসে বসছে পানিতে। বিস্তারিত
সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমামের গল্প : গোর
সিন্দুক কবরের ভেতরটা আটঁসাট। দূর থেকে শরির বাঁকিয়ে উঁকি দিয়েই ঘাবড়ে গিয়েছেন ফয়েজ আহমদ। নতুন কবর। বৃষ্টিতে নীচ থেকে পানি উঠছে দেখে কেমন শিরশিরে অনুভূতি শিড়দাঁড়া দিয়ে নামলো অথবা আটকে রইলো বুকে। মাত্র কয়েক হাত দৈর্ঘ্য-প্রস্থ অথচ তাকালে মনে হয়, ভেতরের চারকোনা বরফের মতো অন্ধকারটা পৃথিবীর অন্যপাশ অব্দি পৌঁছে গেছে। আশেপাশের দু-একদিন বয়সি কবরগুলো সদ্য মা হওয়া নারীর তলপেটের মতো ফুলে আবার চুপসে বসছে পানিতে। বিস্তারিত

রিমি মুৎসুদ্দি'র গল্প :
সাড়ে ছ’টার ক্যানিং লোকাল
অন্ধকার রাস্তায় চলন্ত গাড়ীর আলো রাস্তাটাকে পিচ্ছিল করে দিচ্ছে। এগুলো বেশীরভাগই ট্যুরিস্ট গাড়ী। শীতকালেই যত ট্যুরিস্টদের আনাগোনা। সোঁদরবনের রাজার দেশে রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে শহরের মানুষের এখন নিত্য যাতায়াত। হুশ করে চলে যাওয়া গাড়ীগুলোর চলন্ত আলোয় তরুবালার চোখ ধাঁধিয়ে যায়। দ্রুত সে এগিয়ে যায় বাসন্তী হাইওয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে। বিস্তারিত>>

মুরাদুল ইসলামের গল্প :
গরু ও মানুষের বিবরণ
সেই সময়ের গল্পটা আপনাদের আজ বলা প্রয়োজন, কারণ আজ হয়ত সেই সময়ের চেয়ে পূর্বের বা পরের একটা সময়, যখন আপনি এই গল্পটা পড়ছেন, এটিকে আপনার ভুল বুঝার যথেষ্ট অবকাশ আছে, কারণ লিখিত বক্তব্য লিখিতই এবং তা যেসব বক্তব্য তৈরি করে ক্ষেত্রবিশেষে তা এতই স্বাধীন হয়ে যায় যে সৃষ্টিকর্তার প্রয়োগ করা অর্থের বাইরে গিয়ে নিজে নিজেই নানা অর্থ তৈরি করে, নানা বিভ্রান্তি ছড়ায়;
বিস্তারিত>>
রুমা মোদকের গল্প :
ভালো থেকো ফুল...
যদিও সেদিন টুকটুকির কারণে বখাটেরা আমাকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিয়েছিলো তবুও তৃতীয়বারের মতো যেদিন টুকটুকি পালালো আর শহরময় ঢি ঢি পড়ে গেলো, আমি কিন্তু ওর উপরে মোটেও রাগ করতে পারলাম না। কেননা সেদিন সন্ধ্যায় ওর মুখে যে অপার্থিব হাসিটি দেখেছিলাম, সেটি ছিল তার অপরূপ সৌন্দর্যের চেয়েও অধিকতর ঝলমল।কেননা তার দু মাস তিন দিন আগে আমি টুকটুকিকে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়েছিলাম, ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল ভালো থেকো। বিস্তারিত>>

সাধন দাস'এর গল্প :
যেহেতু রান্নাঘরের খোলা বারান্দাকে কোনো অভিযোগ করা চলে না। ভোরের উঠোনে বাইরে যাওয়ার পথে চোখ বাঁধার প্রশ্নও ওঠে না। তাই লবধনদাদাকে লুঙিতে গিঁট বেঁধে, কাছা মেরেই ঘুমুতে হতো। মেয়েদের লজ্জা নিবারণের আর কোনো উপায় ছিলো না। গায়ে ঢাকা দেওয়ার যে চাদরখানা, সেও পর্দায় পর্দায় ছেঁড়া, ফুটোফাটাতে ভর্তি। বিস্তারিত>>

ইরানী গল্প : পরিযায়ী পাখি
মূল: সিমিন দানেশ্বর
অনুবাদক : ফজল হাসান
ইরানের প্রথিতযশা উপন্যাসিক,গল্পকার এবং অনুবাদক সিমিন দানেশ্বর ১৯২১ সালে সিরাজ শহরে জন্মগ্রহণ করেন ।
তার প্রথম ছোটগল্প সংকলন (‘দ্য ক্যোয়েনশড্ ফায়্যার’) ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়, যা কোনো ইরানি নারী লেখকের সর্বপ্রথম গল্প সংকলন । এছাড়া ‘এ সিটি লাইক প্যারাডাইস’ (১৯৬১),‘টু হুম শ্যাল আই গ্রীট’ (১৯৮০) এবং ‘সূত্রা অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ (১৯৯৪) তার অন্য ছোটগল্প সংকলন । তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকে উপজীব্য করে আধুনিক ইরানের সামাজিক পরিস্থিতি নির্ভর তার প্রথম উপন্যাস ‘সাউশুন’ (১৯৬৯),যা ইরানি কোনো নারী লেখকের প্রথম উপন্যাস,ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে বহুল প্রচারিত এবং বিক্রিত উপন্যাসের মর্যাদা লাভ করেছে । তিনি ২০১২ সালের ৮ মার্চ তেহরানে ইন্তেকাল করেন। বিস্তারিত>>

সাগরিকা রায়'এর গল্প :
বার্মিংহাম থেকে দিল্লি । তারপর কলকাতা । দীর্ঘ আকাশপথ কখনই দীর্ঘ বলে মনে হলনা । পঁচিশ বছরে অন্তত কুড়ি বার যাতায়াত করেছে , তবু ভাল লাগে । যেন কোন অদৃশ্য সুতোতে ঝুলে ঝুলে এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে নেমে পড়া ! বাহান্ন বছরের অমিত্র এখনও যেন সেভাবেই পাশের বাড়ির সুকোমলের সঙ্গে টারজান টারজান খেলে । একা । একা । বিস্তারিত>>
বিস্তারিত>>

জয়দীপ দে
আমার সফরসঙ্গী দুই জন। দুইজনই নিজেস্ব বিবেচনায় তারা খুবই বুদ্ধিমান এবং তাদের হিন্দি ভাষায় ব্যুৎপত্তি অসাধারণ। তাই আমি নিশ্চিন্ত ও নির্ভার। হিন্দি ভাষায় ক অক্ষর গোমাংস আমি নির্ভয়ে তাই মহাভারতের পথে হেঁটে বেড়াচ্ছি। এই দুই অসাধারণ ভাষাজ্ঞ সফরসঙ্গীর মধ্যে একজন আমার মাতৃদেবী। তিনি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে দুই চারট্টি ‘যায়া’ ‘খায়া’ ঢুকিয়ে দুর্দান্ত এক উপভাষার জন্ম দিয়েছেন। যে ভাষাটি তার ধারণা হিন্দির চেয়েও উচ্চমার্গের ও সর্বজনবোধ্য। বিস্তারিত>>

বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্যের গল্প
কলকাতা থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। কখনও গ্রামটির অবস্থান বদলে যায়। কখনও গ্রামটি নিজের জায়গায় থাকেও না। থাকলে, হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠলে ঘন্টা দুয়েক বাদে তার প্রকৃতি মাঠ-ক্ষেত-জলাজমি নিয়ে চৌকো করে ভেসে ওঠে জানলায়। ট্রেনের বাবুরা খবরের কাগজ পড়তে পড়তে হঠাৎ মুখ তুলে দেখেন, মাঠে মাচান করে চাষ হচ্ছে শশার। বিস্তারিত>>

সোমেন বসুর গল্প :
শৈবাল,
গ্যাঞ্জেস রোপ কারখানার নাম শুনেছিস? দড়ি কারখানা। সরকারি। এখন নেই। ছিল এক কালে। সরকারি দড়ি শব্দবন্ধটা কেমন শিহরণ জাগায় না? সরকারি জিনিসপত্র বাঁধাছাঁদা হয় আর, বেয়াদব কি দেশদ্রোহীদের লটকে দেওয়া হয়। তখন তাতে একটা মোমের পরত পড়ে। যাতে যার গলায় বসবে তার একটা মসৃণতার অনুভূতি আসে। প্রিয়া বা প্রিয়র বাহুডোরের মতো। বিস্তারিত>>
0 মন্তব্যসমূহ