শিল্পের চেয়ে জীবন অনেক বড়। শিল্পীর দায়িত্ব হলো জীবনের এই মহত্বকে খুঁজে বের করা এবং শিল্পের মধ্যে দিয়ে তাকে প্রকাশ করা। এ-ই সত্য।
যারা লিখতেছেন বা লিখবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য এই কথা বলে গেছেন টলস্টয়। এই কথা মনে রেখে লিখুন। এলেবেলে লিখে লাভ নেই।
একজন চিত্রশিল্পীর আঁকেন রঙ দিয়ে। দক্ষতার সঙ্গে রঙের ব্যবহার ছাড়া ছবি হয় না। একজন গায়ক সুরের সর্বোত্তম ব্যবহার করেই গান করেন। একজন কথাশিল্পীর লেখার মাধ্যম হলো শব্দ। শব্দের নাড়ি নক্ষত্র তিনি জানবেন। শব্দ তার বশীভূত হয়ে জীবনের আলোকিত-অনালোকিত মহৎ সত্যকে প্রকাশ করবে। যার শব্দে মতি নেই, তিনি অলেখক।
আমাদের দরকার লেখক। এই লেখক দেশ ও কালের সীমা অতিক্রম করতে জানেন। কালোত্তর হয়ে তিনি যাত্রা করা করেন বৈশ্বিক পটে।
বাংলা গল্প পড়ুন। পড়ুন বিশ্বের গল্প।
------------------------------------------------------------------------------------------------
একটি গল্প কী করে ভালো হয়ে ওঠে তার কয়েকটি সহজ পরিমাপ আছে। যেমন--
১. গল্পটি স্পষ্ট হবে। তার একটি নির্দিষ্টি কেন্দ্রবিন্দু (focus point) থাকবে। এই বিন্দু লক্ষ করে গল্পটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে।
২. গল্পের ভাব বা আইডিয়া হবে সতেজ এবং মৌলিক।
৩. গল্পের বিষয় বা টপিকের দিকে খুব মনোযোগী থকবেন গল্পকার। কোনোভাবেই এই বিষয়ের বাইরে যাওয়া যাবে না। গেলে গল্পটি ঝুলে পড়বে। খুব সহজেই গল্পটির প্রধান ভাব বা আইডিয়াকে বলা যাবে। তো তো করার প্রয়োজন হবে না।
৪. গল্পটি পাঠকের মনোযোগী সম্পূর্ণভাবে ধরে রাখতে পারবে। একবার পড়তে শুরু করলে তা শেষ না করে উঠতে পারবে না।


ব্রিজের ধারের বৃদ্ধ
অনুবাদ: হাসান আজিজুল হক
অসামান্য গল্পকার হাসান আজিজুল হক দীর্ঘদিন লিখেছেন শুধু ছোটো গল্প। বহু বছর পরে লিখতে শুরু করলেন উপন্যাস। প্রথম উপন্যাস--অগ্নিবলাকা সবাইকে চমকে দিল।
এখন শুরু করেছেন অনুবাদ গল্প। গল্পপাঠের জন্য মোজাফফর হোসেন হাসান আজিজুল হকের একতি অনুবাদ গল্প দিয়েছেন। বিস্তারিত>>

মূল : নাতালি সারোত :
অনুবাদ : আলম খোরশেদ

ফজল হাসান অনুদিত দুটি ইরানী গল্প
মূল: ফারাহনাজ আব্বাসী
মূল: তাহেরেহ্ আলাভি

আমেরিকান গল্প
মূল : ট্রুম্যান ক্যাপোট
অনুবাদ : অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

দীপেন ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক উপন্যাস
অদিতার আঁধার : একাদশ পর্ব
লোহিতক নেতা অশির হল চাঁদে হারিয়ে যাওয়া সেনভা - বিষাণ ও অদিতার সন্তান। আর সেনভাকে (অশিরকে) চাঁদে অপহরণ করেছিল প্রফেসর রাস্ত্রো - বিষাণের শিক্ষাগুরু। রাস্ত্রো ও বিষাণ - দুজনের গবেষণাই মস্তিষ্ক কপি করাকে সফল করে, কিন্তু এই পদ্ধতিকে প্রণয়ন করার ব্যাপারে দুজনের মতভেদ হয়। এরপর রাস্ত্রোকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। এই পর্বে রয়েছে দুহাজার বছর ধরে পৃথিবী কী ধরণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে তারই এক খতিয়ান। পৃথিবীর বুকে এখন সমুদ্রের উচ্ছাস, ডুবে গেছে বড় সব প্রাচীন শহর - ঢাকা, কলকাতা, সাংহাই, বুয়েনস আইরেস, মায়ামি, নিউ ইয়র্ক, ভেনিস, লন্ডন। বিস্তারিত>>

মোজাফফর হোসেন
বাংলাসাহিত্যের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হকের নানা গল্প উপন্যাসে জলেশ্বরী গ্রামের কথা এসেছে বারবার। প্রকৃতপক্ষে রংপুরের কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পাড়ে এই নামে কোনো গ্রামের অস্তিত্ব নেই। এটা সৈয়দ শামসুল হকের কল্পনার গ্রাম হলেও সাহিত্যের মানচিত্রে জলেশ্বরী ভীষণ বাস্তব হয়ে আবির্ভুত হয়েছে। সৈয়দ হকের গল্প-উপন্যাস-নাটক যারা পড়েছেন তাদের কাছে এই শহরের বাসিন্দারাও অচেনা নয়।
বিশ্বসাহিত্যে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, আর কে নারায়ণ, উইলিয়াম ফকনার, স্টিফেন কিং, উইলিয়াম গোল্ডিং, জেকে রাউলিং, কার্ট ভনগার্ট প্রমুখ কথাসাহিত্যিকেরও এই ধরনের কল্পিত গ্রাম বা নগর রয়েছে। এর আলোকে সৈয়দ শামসুল হকের জলেশ্বরী নিয়ে লিখেছেন মোজাফফর হোসেন। বিস্তারিত>>

রিজিয়া রহমান
বাংলাদেশের প্রখ্যাত গল্পকার বলেছেন নিজের গল্পের কথা। নিজের পড়া গল্পের কথা। দেশের গল্পের কথা। বিদেশের গল্পের কথা। বলেছেন একাল, সেকাল ও আগামীকালের গল্পের কথা। বিস্তারিত>>

অমর মিত্র'র গল্প : অকালসন্ধ্যা
বুধন তার লোক পাঠিয়ে শাসিয়ে গেছে এই একটু আগে। আজ দুপুর থেকে মেঘ মেঘ ভাব। সন্ধ্যা ঘনিয়েছে সময়ের আগেই। বাপি বিকেল থেকেই ব্যালকনিতে। অনেকদিন বাদে শহরতলীকে দেখছিল দোতলার ব্যালকনিতে বসে। চারদিক কেমন দমচাপা, থমথমে, বাতাস নেই একটুও। বিস্তারিত>>

নাসরিন জাহানের গল্প : অন্যরকম
মাঝখানে বাতি।
তার ওপাশে আমার মেয়ের মুখ কখনো স্পষ্ট, কখনো তামাটে, আবার কখনো জলের মতো, সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি এই প্রথম ওকে পরিপূর্ণ চোখে দেখি। ঠাঠা নিস্তব্ধতায় আমার আবিষ্কার করতে অদ্ভুত লাগে, এই রকম জোয়ান হয়ে ওঠা একজন নারীকে আমি একদিন আমার ওই খুদে তলপেটে ধারণ করেছিলাম। দরজায় খটখট শব্দ হয়। তার পরপরই প্রচণ্ড তিক্ততায় আমার মেয়ের কণ্ঠস্বর কেঁপে ওঠে, এই বিংশ শতাব্দীতে কেউ হারিকেন জ্বালায় ? বিস্তারিত>>

এই সময়ের লেখকদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশিষ্ট নাম অরিন্দম বসু। প্রায় দু-দশক ধরে সাহিত্যচর্চা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি উপন্যাসও। এই তরুণ লেখকের অভিজ্ঞতার পরিধি বেশ বড়। বস্তুত তাঁর গল্প-উপন্যাসের বিষয়ের পরিধিও কিছু কম নয়। বক্তব্য এবং বলার ভঙ্গি সাহিত্যিক অরিন্দম বসুকে প্রথম থেকেই আলাদা করে চিনিয়ে দিয়েছে। তাঁর লেখার বিষয় হয়ে উঠে আসে ছাপোষা, অসহায়, ম্লান, নিরীহ মানুষ, তাদের স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ-বিপন্নতা-বিষাদ। তাঁর লেখায় প্রকৃতি-পরিবেশও বড় মরমী। প্রবহমান জীবন, প্রবহমান সময় অদ্ভুত এক মেজাজে মূর্ত হয়ে ওঠে অরিন্দমের গল্পে-উপন্যাসে।
উপন্যাস --খেলাঘর, মহাজাতক, একটি প্রজাপতির জন্ম, তিন্তিড়ীনগরের উপাখ্যান, মি. ডিগবাজি, অমল গুপ্তর গুপ্তজীবন, শ্রীশ্রীখেয়ালখুশি, আবাসভূমি। গল্পগ্রন্থ ---পাখিসব, বসে আঁকো, নির্বাচিত পঁচিশ, রংকলের মাঠে। ছোটদের বই---মারকোপোলোর বন্ধু। ভ্রমণ কাহিনি--পূর্ণ পথের ধুলোয়।
উপন্যাস --খেলাঘর, মহাজাতক, একটি প্রজাপতির জন্ম, তিন্তিড়ীনগরের উপাখ্যান, মি. ডিগবাজি, অমল গুপ্তর গুপ্তজীবন, শ্রীশ্রীখেয়ালখুশি, আবাসভূমি। গল্পগ্রন্থ ---পাখিসব, বসে আঁকো, নির্বাচিত পঁচিশ, রংকলের মাঠে। ছোটদের বই---মারকোপোলোর বন্ধু। ভ্রমণ কাহিনি--পূর্ণ পথের ধুলোয়।
অরিন্দম বসুকে নিয়ে গল্পপাঠের বিশেষ আয়োজন--
অরিন্দম বসুর নিজের উপন্যাস নিয়ে কথা--

গল্পপাঠ আড্ডা ২ :
রিমি মুৎসুদ্দির সঙ্গে কথাসাহিত্যিক রুমা মোদক ও সাদিয়া মাহজামীন ইমাম
ছোটোগল্পের সংজ্ঞা নিয়ে বিশ্ব সাহিত্যের একাডেমিক ডিসকোর্সে একটা ক্রাইসিস রয়েছে। ছোটোগল্পে ওপেন এণ্ডেড টেকস্ট কিরকম হওয়া উচিত? একরৈখিক গদ্যেরই বা দিশা কি? সামাজিক রাজনৈতিক চেতনার বিভিন্ন দিগন্তে ছোটোগল্পের উদ্ভাসিত হওয়া কি একান্ত প্রয়োজনীয়? এইসব নানাবিধ বিষয় নিয়ে গল্পকারের আড্ডার দ্বিতীয় পর্বে আমার সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার রুমা মোদক এবং তরুণ গল্পকার সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম। বিস্তারিত>>


সেই সব কথা যা লুসিকে বলা হয়নি
মানুষটার কোনো আকাশ নেই। চারচালা টিনের একটা ছাদ। তার গায়ে একটা জোরালো আলো লাগানো। ওইটুকুই। হ্যাঁ আলোর তারতম্য অবশ্য আছে। আলোটা নেভে প্রতিদিন নিয়ম করে। খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে কিছুটা দিনের আলো, সেও জলে ভিজে স্পর্শ করে মানুষটার শরীর। আর মানুষটা সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা একটাই কাজ করে যায়। একটা বড় লাল রঙের ধাতব গোল জিনিস দু’হাত দিয়ে তোলে মাথার উপর। আবার নামায়। আবার তোলে আবার নামায়। এই কাজ। এই কাজেও ছুটি আছে। যখন লোডশেডিং হয়। কিংবা যখন লুসি সুইচ অফ করে। বিস্তারিত>>

বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য'এর গল্প : ইজিচেয়ার
রাস্তার ধারে বসে লোকটি একমনে সিগারেট টানছিল৷ রাস্তাটি ফাঁকা৷ যতদূর দেখা যায় , ততদূর পর্যন্ত একটি মানুষও চোখে পড়ে না৷ সম্ভবত , বহু দিন এই রাস্তায় কোনও মানুষ আসেনি৷ একটি সাইকেলও নয়৷ দীর্ঘকাল ধরে তৃন্তিহীন লণ্ডভণ্ড চালানোর পর অপার নিঃসঙ্গতা ধুলো বেয়ে নেমে চলে এসেছে যেন এখানে৷ এই রাস্তাটিতে৷ পিচের রাস্তা৷ তকতকে৷ মৃত্যু ফিরে গিয়েছে বোধ হয় এই রাস্তা দিয়ে৷ কেবল , মৃতেরা আর ফেরেনি৷ একটানা ঘন্টা বাজানোর শব্দ কোথা থেকে ছিঁড়ে এসে রাস্তাটিতে পড়ছিল এই একটু আগে পর্যন্ত৷ বিস্তারিত>>>
রুমা মোদকের গল্প : জিঘাংসা
তখন ঈশান কোণ ছেয়ে গেছে কালো মেঘে, গাছের ডালে ডালে তখন কেবল হালকা বাতাসের দাপাদাপি শুরু হয়েছে। পৌছেনি উন্মত্ততায়, দাঁড়কাকগুলো তীব্রস্বরে চেঁচায় আর লাফায় এ গাছ থেকে ও গাছে, তখন খান বাড়িতে কামলা, মুনীশ, ঝিদের হঠাৎ হুড়োহুড়ি পড়ে যায়, বিস্তীর্ণ উঠোনজুড়ে মেলে দেয়া আধ শুকনো ধানগুলো গোলায় তুলতে, তুমুল হাত চালায় তারা আর ঘন ঘন দেখে আকাশের চেহারা। আকাশের চেহারাটা অপরিচিত নয়, তবু বিজ্ঞ চোখ বিশ্বাস করে না এই আকাশকে, তছনছ করে দিতে পারে নিমিষে, আবার সুবোধ বালকের মতো হয়ে যেতে পারে সমস্ত মেঘ উড়িয়ে দিয়ে। বিস্তারিত>>
ইশরাত তানিয়া'র গল্প : মদ এক স্বর্ণাভ শিশির
সীমান্ত চেকপোস্টে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আমি। তুমি হয়তো ভাবছ, নিঃসঙ্গ যে মানুষটি আনমনে ডান হাত দিয়ে গালের বাঁ দিকটা চুলকালো সে কে হতে পারে? এই এক অভেদ্য সমস্যা মুক্ত বাজার অর্থনীতির। ব্যবসা, উৎপাদন, শিল্প কারখানা সবই চলবে সর্বোচ্চ লাভের ভিত্তিতে। কোন লাভের আশায় এক মুঠো মাটি পকেটে পুরলাম তা নিজেও জানি না।
যেমন তুমি ঠিক জানো না, কেন পড়ছ যা আমি লিখছি। পড়ছ, মানে একেকটি শব্দে আমাকে আশ্রয় দিচ্ছ। কালো কালো অক্ষর মিলে নির্মিত হয়ে উঠছি আমি। বিস্তারিত>>

কল্যাণী রমা'র ধারাবাহিক আখ্যান :
দমবন্ধ -- প্রথম পর্ব
ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের বাসায় বারান্দার অনেকটা অংশ ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘুম ভাংছে আমাদের মোরগের কোঁকর কোঁ শব্দে। ব্যাপার কি? দাদুভাই ভাবছে পরিবারের সকলের ফ্রেশ মুরগীর ডিম খাওয়া দরকার। অনেকগুলো মুরগী বারান্দার উপর ঘোরাফেরা করছে। ভুষি খাচ্ছে। মাঝে মাঝে কোথা থেকে যেন শামুক, ঝিনুক আসছে। তারা তাও খাচ্ছে। ঝিনুকের ভিতরের প্রাণটা আমার তখনই দেখা। চামচ দিয়ে কুঁড়ে ঝিনুকের ভিতরটা খেতে দেওয়া হচ্ছে। আর খোলসটা গুঁড়ো করে ভুষির সাথে মিশিয়ে। বিস্তারিত>>

--‘কখন আপনি থেকে তুমি বলবেন বলেন তো? আমার তো তুমি বলার জন্য দম বের হয়ে যাচ্ছে। ‘’
হাসির একটা দাঁত বের করা ইমো দিলো বিপাশা।
--‘ইশ কি বানিয়ে কথা বলে, হাঁটুর বয়সীগুলো দেদারসে তুমি বলছে । ‘’
--‘’সত্যি, মেয়েদের সাথে কথা বলতে এমনিতেই আমার খুব অস্বস্তি আর তুমি বলতে তো আরো। বছরখানেক পরে বলবো। ‘’ বিস্তারিত>>

ইকবাল তাজওলী'র গল্প :
একটি পারিবারিক গল্প
কুয়ো থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে মণিদি গোসল করছে। খোদার তিরিশটা দিন মণিদি গোসল করে স্কুলে যায়। গত দুদিন থেকে উত্তরে হিমেল হাওয়া জাকিয়ে বসলেও মণিদি গোসল করা বন্ধ করেনি। গোসল করেই তবে স্কুলে যাচ্ছে।
আমার আর ছোড়দির বার্ষিক পরীক্ষা আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিস্তারিত>>

নীহারুল ইসলামের গল্প : কাফেরের বাপ
গিয়াসসাহেব ইফতার সেরে সবে মাগরিবের নামাজে দাড়িয়েছেন, দুঃসংবাদটা তখনই এল। এমন একটা সংবাদ যে আসবে তা তিনি আগে থাকতেই জানতেন। তাই নামাজ থেকে আর সরে দাঁড়ালেন না। ছোট ছেলে রেহানের হাতে মোবাইল ফোনটা ফিরিয়ে দিয়ে খোদার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলেন। দিনরাত মিলিয়ে রোজ যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সমর্পণ করে আসছেন, তেমনি। যদিও আজ পর্যন্ত খোদার কাছে নিজের জন্যে কখনও কিছু চান না। কিন্তু আজ এই মা গরিবের ওয়াক্তে কিছু চাইবেন। বিস্তারিত>>
মেহেদী উল্লাহ'র গল্প :
সাবস্ক্রাইবার অব সালমন দ্য ব্রাউনফিশ
সর্বশেষ আমি তাঁকে একটা গায়ে-হলুদে নাচতে দেখেছিলাম। গ্রামের প্রতিবেশি মহিলারা সে সময় গীত গাইছিল,‘রুমা সুন্দরী কালিতারা, ঘুরাই ঘুরাই রং লাগাই...।’ রুমা নামের মেয়েটিকে সামনে বসিয়ে তাঁর অঙ্গভঙ্গিমার সঙ্গে মিলিয়ে সুর তুলে চলেছেন পাঁচ-ছয় মহিলা। বিস্তারিত >>

সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত'র গল্প : পুরুষকার
রূপাঞ্জনা’কে প্রথম দেখি এক বর্ষার দুপুরে। ঠিক দুপুরও না, বেলা চারটে বাজে তখন । আর শ্রাবণের এই মাঝামাঝি দিনগুলোয় মেঘের পেছনে সূর্য ডোবার আগেই কেমন যেন ঘোর লাগা সন্ধ্যে নেমে আসে। ঘরের বাইরে বেরোলে একরকম কিন্তু বাড়িতে থাকলে এরকম দিনে মনখারাপ করা কোনো নস্টালজিয়া এসে চেপে ধরে। আমার মতো কাঠখোট্টা মানুষও কেমন মিইয়ে পড়ে। বিস্তারিত>>
---------------------------------------------------------------
---------------------------------------------------------------
তাপস রায় ও সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত অভিনীত শ্রুতি নাটক--
রচনা : কাজল সুর


তুহিন দাস'এর গল্প : ইরাকী মেয়ের চুলের কাঁটা
আমি প্রতিদিন খুঁজে পেতাম চুলের কাঁটা এখানে আসার পরে। ঘর কুড়োতে গিয়ে খাটের নিচে, আমার আগে যে ইরাকী মেয়েটি থেকে গেছে এখানে তার অস্তিত্বের অংশ এখনও লেগে গেছে। আমি কিছুদিন হল প্রবাসে এসেছি। এসে, আমার পাড়ায় বিকেলবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে অথবা পার্কে যখন পড়শিরা কুকুর নিয়ে খেলা করে তখন তারা জানতে চেয়েছে আমি কোথায় থাকি; ঠিকানা বললে তখন তারা বলেছে ইরাকী মেয়েটির কথা--যার চুলের কাঁটা আমি প্রায় খুঁজে পাই। বিস্তারিত>>

শিপা সুলতানার গল্প : রাজবংশ
যাইতে যাইতে আর কয়জন বাকি রইলা...
মনমতো পরিবেশ পেলেই বুড়া মিনমিন করে দিনেশের কানের কাছে।
-দেখো কাকা... কয়জন আর সবরে এক করবায় না, মিজাজ ঠিক থাকেনা আমার কইলাম...
বুড়া তবু উ উ করতে থাকে। ছুকড়ার সাথে কথায় পারে না সে। হারামজাদা বুঝেনা যে কথা দিয়া দিন যায়না, কোনো কিছু দিয়েই যায়না, ভাত ছাড়া। বিস্তারিত>>
রিমি মুৎসুদ্দি'র গল্প :
একটা মৃত্যু ও কয়েকটা পতাকা
রিমি মুৎসুদ্দি পেশায় সাংবাদিক এবং শিক্ষক। সাংবাদিক হিসেবে তিনি অনেক ঘটনাকে খুব কাছ থেকে দেখেন। সাংবাদিক্সুলভ দৃষ্টিতে তা প্রকাশ করেন। ফলে তাঁর গল্প হয়ে ওঠে জার্নালিস্টিক।
রিমি মুৎসুদ্দি এই ধরনের খবরের ঘটনা নিয়ে সিরিজ লেখা শুরু করেছেন। গল্পপাঠে তার প্রথম লেখাটি প্রকাশিত হলো। বিস্তারিত>>


সাদিয়া সুলতানার গল্প : যে জীবন তার না
এবার নাসরিনের একটু লজ্জাই লাগে। মেয়েটা বোতলের মুখ চাটতে চাটতে খুনখুন করে কাঁদছে। এক ফোঁটা জুস ঠোঁটে লাগতেই চকাস চকাস আওয়াজে বারবার জিহ্বা চোষে রিনা। মেয়ের কথা ভুলে গিয়ে এক ঢোকে জুসটুকু খানিক আগে গলায় ঢেলেছে নাসরিন। বিস্তারিত>>

আহমেদ খান হীরক'এর গল্প :
যে তিনটি খুনের পর
তখনও তেমন সকাল হয় নি। তবু তুমি একটা উঁচু ছাদের ওপর থেকে সূর্যটাকে দেখলে। সুষম বৃত্তাকার বেলুনের মতো, যেন বাতাসে বাতাসে ঠাঁসা। আর তুমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে, আরও দূরে একটা জীবনানন্দ দাশের চিল উড়তে দেখে ভাবলে ওটা শকুন কিনা।
আর এরকম দ্বন্দ্বের ভেতর, তুমি নয়তলা থেকে লাফ দিলে। নিচে। যেখানে তখনও জেগে ওঠে নাই পৃথিবীর ঘুম। বিস্তারিত>>

মোহছেনা ঝর্ণা'র গল্প :
রাতগুলো নিঃসঙ্গ ছিল

মোহছেনা ঝর্ণা'র গল্প :
রাতগুলো নিঃসঙ্গ ছিল
শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য কিংবা এরপরেও চরম মূল্য দিয়ে নারীকে বুঝতে হয় সে নারী! প্রিয় পাঠক, একজন নারীর চোখেই দেখুন কিংবা পড়ুন ~ খুব চেনা, খুব সাধারণ কিংবা খুবই ভয়ঙ্কর কোনো গল্পে গাঁথা, একজন নারী'র জীবন...
মোহছেনা ঝর্ণা'র গল্প "রাতগুলো নিঃসঙ্গ ছিল"------

প্রতিদানের আশায় কারোর জন্য কিছু করা উচিত না| বোধহয় আমরা তা করিও না...| আর তাছাড়া, 'সত্যিকারার্থেই কিছু করা'র প্রতিদান সেভাবে দেওয়াও যায় না!
তবু কখনো বুঝি বা, কিছু 'প্রতিদান' প্রাকৃতিক নিয়মেই 'জন্মের ঋণ' শোধের মতোই সামনে ভাসে| কেউ দেখি, কেউ বা দেখি না!
পড়ুন সাত্যকি দত্তের "বৃক্ষ".....বিস্তারিত>>
0 মন্তব্যসমূহ