আমরা একসঙ্গে লাইব্রেরির
পাশে এক চিলে কোটায় ছিলাম তিন বছর। আগের বারোটি বছর তিনি একা একা এ ঘরেই
ছিলেন। আমাকে পেয়ে খুব সহজে আপন করে নেন, সব কথা আজ বার বার মনে পড়ছে, কেন
পড়ছে কোন ক্রমেই বুঝতে পারছিনা। এগুলো মনে করে এখন কী হবে? কিন্তু মন তো
মানে না - মানানো যায় না। আচ্ছা, স্যার কী আমার কথা শোনেননি- উনি তো
আমাকে দেখতে এলেন না। মনে হয়- একটি বিশাল স্টেশনের নির্জন কামরায় একা একা
বসে ভাবছি- এই সময়টা বুঝি এমনই। ওই, চেয়ারটি কি এখনো খালি পড়ে আছে? ওই
চেয়ারে প্রতিদিন আমি বসতাম । ওই চেয়ারে আর কেউ আর বসবে না, ওটি আমার চেয়ার-
আমি নেই তো কে বসবে, কেউ বসবে না। অনেক দিন ধরে একমাত্র আমিই ওই চেয়ারে
বসেছি; আমি না থাকলে এটি খালি থেকেছে। আচ্ছা, এখানে কি কেউ আছেন ওই কাঠের
চেয়ারটা যিনি আমাকে এনে দেবেন। হেডমাষ্টারের সঙ্গে কোন কথা বলতে ইচ্ছে করে
না। ধান্ধাবাজ, জোচ্চোর কোথাকার।
সাদিক সৈয়দ হেডমাস্টারকে বিশ্বাস করে না।
অদ্ভুত
এক অচেনা শক্তি টগবগ করছে সারা গায়ে - কমনরুমের কোণার টেবিলটির তৃতীয়
চেয়ারটির কথা বলছি । সেটিও হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো। চেয়ারটির ওপর কোন
তোয়োলে নেই- ছিল না কখনো। তেমন আহা মরি কিছু নয় - কাঁঠাল কাঠের পুরনো
চেয়ার- হাতল দুটো ও পেছনের কাঁধাটা ঘামে ময়লায় চিটচিটে থাকতো সারা বছর। ওটি
আমার চেয়ার, খুব প্রিয়, এই চেয়ারের এক সময় হরলাল স্যার বসতেন। তিনি
প্রমোশন নিয়ে চলে যাবার সময় ওটি আমাকে দিয়ে যান। এই চেয়ারের সম্মানটা বেশ
আলাদা। এটি স্কুলের পুরাতন মাস্টারগণ জানেন। হরলাল স্যারের চেয়ারেই বসে
সাদিক সৈয়দ। প্রাক্তন ছাত্রদের যাঁরা আজ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল
ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছেন- তাঁদের মনে আছে। অনেকে আসেন- তাঁরা স্কুলের
রেজাল্টের কথা বলেন, গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টের কথা বলেন। হরলাল স্যারকে
স্মরণ করেন- তাঁর কাঁঠাল গাছের চেয়ারের কথা বলেন। স্যার এই স্কুলে আমাকেই
একটু বেশি পছন্দ করতেন, ভালোবাসতেন। তিনিই আমাকে মিউজিক টিচার হিসেবে
এখানে নিয়োগ দিয়েছিলেন। স্যার শিল্পের ভক্ত-সমঝদার ছিলেন; ডি এল রায় আর
অতুল প্রসাদের গানগুলো শুনলে তাঁর চোখ জোড়া ভিজে যেতো। কখনো কখনো চোখের জল
গড়িয়ে পড়তো গণ্ড বেয়ে।চারদিকে গুমোট অন্ধকার। চোখ দুটো ভারি বাটখারার
মত সেঁটে আছে ধড়ের সঙ্গে অনড় পাথরপিণ্ড যেন। অকষ্মাৎ আজ আমার মনের দরজা
জানালার সব কপাট খুলে গেল- সকালেও যা ভাবিনি। কোন বিষয় মনে পড়ার সঙ্গে
সঙ্গে স্নায়ুবিক প্রক্রিয়ার অমিত শক্তিতে ছবি পর ছবি ভেসে উঠছে সামনের
আলৌকিক টেলিভিশনে, স্মৃতিই এর রিমোট কন্ট্রোল, মুহূর্তের ভেতর শত শত
চ্যানেলে অসংখ্য চলমান ছবি। দেখছি আর ভাবছি। এই আমি সবার হৃদয়ের স্মৃতি,
বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের কাছে এক অসামাজিক ব্যর্থ মানুষ, যে সময়
বোঝেনি, সুযোগ খোঁজেনি, দামি গাড়ি, সুরম্য প্রাসাদ, পদ-পদবি আর খ্যাতির কোন
তোয়াক্কা করেনি। আমি আজ অন্য ভুবনে- সবাইকে দেখছি অশরীরী আত্মার অপার
মহিমায়। ক্লাসরুমগুলো, লম্বা লম্বা বারান্দাগুলো, জানালার পাশে
দাঁড়িয়ে থাকা দেবদারু মেহগনির সারি সারি গাছ - এখনো আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।
ওই যে আমাদের কমনরুমের সামনে নারকেল গাছ দুটোর বাড়তি বুড়োমরা পাতা, যেগুলো
শুকিয়ে গেছে কয়েক মাস আগে, এখনো অথচ ঝুলে আছে, থোরের শুকনো বাকল-সাকল ; যা
আগামীকাল কালুর পরিস্কার করার কথা - ওটা কালুমিয়ার মনে থাকবে কি-না - এ
নিয়ে জেগে থাকা সন্দেহটুকু বুকের ভেতর ক্ষণে ক্ষণে বেড়েই চলছে। শরীরের সাদা উর্দি মনটা ফুরফুরে করে দিচ্ছে - এক অচেনা পবিত্র অনুভবে ।বার
বার সুরা ইখলাস পড়ার চেষ্টা করছি, দরুদ শরিফ পড়ার চেষ্টা করছি, দোয়ায়ে
ইউনুস পড়ার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। এখানে কোন ইবাদত বন্দেগির, দোয়া
দরুদ পড়ার নিয়ম নাই। সওয়াল-জওয়াবে কী বললো; কী বলবো না তা বুঝতে
পারছিনা। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ Ñ জানাজা শেষে হুজুর ডানে- বামে মুখ ঘোরালেন; দুইদিকে সালাম
জানালেন। মুসল্লিরাও হুজুরের মত ডানে-বামে ঘাড় ফিরিয়ে সালাম দিলেন। কাকে
দিলেন কেন দিলেন কেউ তা ভাবে না। হয়তো ফেরেশতাদের দিলেন। এখন এখানে কয়জন
ফেরেশতা আছে তা কেউ জানে না। এদের দেখা যায় না, কীভাবে জানবে। কিন্তু আমি
জানি, আমি আমার আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবদের দেখছি, অন্যান্য সবাইকেও
দেখছি; ফেরেশতাদের দেখছি। হায় হুজুর, আজও যথারীতি জিজ্ঞেস করলেন Ñ লোকটি
কেমন ছিলেন ? ভালো ছিলেন, খুব ভালো ছিলেনÑ সকলের সমস্বরে উত্তর। আজও আমি
চুপ থাকতাম। আমার মন কখনো এ সবে সায় দেয়নি। আমি বুঝি না জানাজার মাঠে
কারো চরিত্রের সনদ দিলে কোন গোনাহ কীভাবে মাফ হয়ে যায় । আজাব আসান হয়।আজ আমি নীরব নিস্তব্ধÑতন্দ্রানিদ্রার মাঝামাঝি অচেতন। ২.বিশাল
অডিটরিয়াম, পুরোপুরি ফাঁকা, কোন ছাত্রছাত্রী নেই, কয়েক বছর ধরে এটিই এখন
চল হয়ে গেছে, মঞ্চে সভাপতি অতিথিদের নিয়ে বসে আছেন। সভাপতির চেয়ারটি বেশ
উঁচু, বড়োসড়োÑ দামি তোয়ালে দিয়ে ঢাকা। পেছনে ঝুলছে শোক দিবসের কালো রঙের
ডিজিটাল ব্যানার, সবার বুকে কালো ব্যাচ। সামনে বিশ-বাইশজন অনিচ্ছুক শ্রোতা,
একটু পর পর কথা বলছে, খবরের কাগজ পড়ছে, মুঠোফোনে ফেসবুকে ঘুরছে, হাই
তুলছে, কারো আকর্ষণ অনুরাগ নেই, সবাই সব কিছু ভুলে গেছে। কিন্তু আমি কোন
কিছু ভুলতে পারছি না, পারিনি। বুকের ভেতর দগদগে দাগটা এখনো খুনঝরা কাটা
মাংশপি-ের মতো জ্বলছে। এটি একটি মঞ্চ নাটক ছাড়া তেমন কিছু নয়।সক্রিয়
ক্যামেরাম্যান - ক্লিক ক্লিক ক্লিক শব্দ হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। ছবিগুলো খুব
দরকার, অন্যকিছু নয়। আলোচনা-মূল্যায়ন গৌণ। কাগজটি আগে থেকে তৈরি থাকে- যা
কিছুক্ষণ পরেই বিভিন্ন মিডিয়ায় চলে যাবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি। ক্যাম্পাসে
হাজার দুয়েক ছাত্রছাত্রী নিজেদের মত ব্যস্ত, কেউ বারান্দায় দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে গালগল্প করছে, কেউ বা নানা জাতের গাছের ঘন ছায়ার নিচে, কেউ কেউ
বিভিন্ন ক্লাস রুমে। কয়েকজন ছাত্রী শিউলিতলায় ঝরা ফুলগুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে
খবরের কাগজের ওপর রাখছে; আজ রঙ্গনফুলের গাছগুলো ফুল ফুলে ভরে আছে-
ডালে-পাতায় যেন ছোপ ছোপ রক্তের দলা। ওদিকে চোখ পড়লেই আমার মনটা গভীর বিষাদে
ভরে ওঠে।কুরআন, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ শেষে বক্তারা আলোচনা করে যাচ্ছেন।
সবাই বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম বলে আলোচনা শুরু করছেন । আমি ভাবছি আর
ঘামছি। আমি জানি- যাঁর স্মরণে-সম্মানে এ শোক সভা তিনি কখনো বিসমিল্লাাহ
বলে কোন ভাষণ শুরু করেননি। মঞ্চে উপবিষ্ট অমুসলিম অতিথিরা বেশ নীরব- তাঁরা
এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না। আজ অনেকেই অ্যাবসেন্ট। কয়েকজন মুখ গোমড়া করে
বসে আছে। পেছনের সারির এক কোণায় বসে বসে এসব হিবিজিবি ভাবছি। অকারণে
ভাবাভাবির কাজটা আমার সারা জনমের। সভা শেষ প্রায়। আমার বক্তব্য দেয়ারও
সুযোগ নেই। থাকবে কি করে আমি তো সৈয়দ বংশের কলঙ্ক - গান পাগল মাুনষ; দেশের
কথা বলে , মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মানি লোকদের হেয় করাই নাকি আমার প্রধান
কাজ। মাথার চুলগুলো কাশফুলের মতো সাদাÑ নামাজ দোয়া নেই, মসজিদ-মাদ্রাসায়
কখনো পা দিই না। আমাকে ছেলে বুড়ো পছন্দ করবে কী করে। মনে পড়ে- যখন আলিয়া
মাদ্রাসায় পড়তাম হামদ-নাত গাইতে গাইতে সঙ্গীতের ভালোবাসায় জড়িয়ে যাই।কেউ
কেউ বলে- সাদিক মিয়া ঠোঁট কাটা; হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেয়া তাঁর স্বভাব। মোটা
বুদ্ধি - মেপে কথা বলতে জানে না, সুবিধা-অসুবিধা বোঝে না। খামোখা হক কথা
বলে, বিপদ ডেকে আনে। চার পাঁচ জন বক্তা আলোচনা করলেন - ওরা
হেডমাস্টারের আপন মানুষ। সবাই সুবিধেভোগী মাস্টার। কেউ কেউ শহিদদের বিদেহী
আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন। কিন্তু কাদের হাতে কীভাবে কে কে শহিদ হলেন
কেউ বললেন না। ভালোবাসার স্পর্শহীন ফাঁকাবুলি - দায়সারা কথার ফুলঝুরি আমার ভালো লাগে না। প্রধান
অতিথির পালা। বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম। একটু নরম সুরে আলোচনা শুরু
করলেন। ‘ইতিহাস খুবই নির্মম। প্রতিটি ব্যক্তি যাঁর জায়গা তিনিই পেয়ে যাবেন
-তা ঘোষণা করেছিলেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি কখনো বলেন নাই তিনি স্বাধীনতার
ঘোষক।’- এইটুকু বলে একবার সভাপতির দিকে তাকালেন। তাঁর চোখ জোড়া বন্ধ- অতি
উঁচু চেয়ারে বসে বসে তিনি ঝিমুচ্ছেন আর ঘুমুচ্ছেন। এটি তাঁর খুব শখের চেয়ার
- অফিসরুমে এ চেয়ারেই তিনি বসেন। কোন অনুষ্ঠান হলে অডিটরিয়ামে বা খেলার
মাঠে এটি নিয়ে যেতে হয়। নইলে নাখোশ হন। এক গ্লাস পানি মুখে ঢেলে ঢোক গিলেন
এবং আবার বললেন- ‘নিয়তির নির্মম পরিহাস পঁচাত্তুরের এই দিনে বঙ্গবন্ধু
অপঘাতে (!) মৃত্যু বরণ করেন।’‘না না এটি পরিকল্পিত হত্যাকা-- কোন
অপঘাত বা দুর্ঘটনা নয়। এ কথা আমি মানি না। এটি নির্জলা মিথ্যাচার।
মিথ্যাবাদী - মিছাখোর কোথাকার।’-বুকের তীব্র ব্যথায় পেছনের চেয়ারে ঢলে
পড়ি। ইমার্জেন্সির ডাক্তারগণ আমার নাড়ি দেখছেন। বুকের ওপর দুই হাত
রেখে জোরে জোরে চাপ দিচ্ছেন ; ধীরে ধীরে বিমর্ষ হয়ে পড়ছেন। একজন জানতে
চাইলেন - কী ব্যাপার স্যারের কী হয়েছিল? পদ্মপুকুর পাড়া কবরস্থান -
শাকের, রবিউল ও মাস্টার তাহের তখনো কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। শাকের কোন
ভাবে মানতে পারে না মাস্টার আর বেঁচে নেই। সাদিক সৈয়দ তো ট্রলির ওপর ঘুমিয়ে
আছেন। ৩.ঘুম ভেঙ্গে গেল, আড়মোড়া ভেঙ্গে হাই তুলি, একটু
ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাই, এই অন্ধকার প্রকোষ্টের ভেতর আলো-জোছনার এক মায়াবী
খেলায় নিজেকে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করি। দূর থেকে এক অপূর্ব সুর যেন ভেসে
আসছে। এটি কি কোন নদীর কুলকুল ধ্বনি না কোন সঙ্গীতের কোমল ধারা ? এক অচেনা
আনন্দে মনটা নেচে উঠছে, সেই কাঁঠাল কাঠের চেয়ারে বসে আছি, চোখে মুখে
তৃপ্তির আবেশ; আমি অভিভূত হয়ে পড়ি, চেয়ারটি বেশ ঝকঝকে যেন এখনই বার্নিশ করা
। একটু পরে মুনকির-নকিরের মুখোমুখি হবো, আমি তৈরি হতে চেষ্টা করছি - আমি
সাদিক সৈয়দ, আমি মুসলমান, আমি বাঙালি ... ...। হঠাৎ কয়েকটি আওয়াজ তিনি
শুনতে পাই; কেউ যেন জানতে চাইলেন - স্যার, আপনি কেমন আছেন ? আপনার এই
মৃত্যুর জন্য কে দায়ী ? আমি উত্তর দেবারর আগেই অন্যজন তাঁকে থামিয়ে দেন -
না, এসব প্রয়োজন নেই, আপনি রেস্ট নিন। এগুলো আমাদের ডেইলি রিপোর্টে আছে।
কয়েকজন মানুষ হাউমাউ করে কাঁদছে; তীব্র আর্তনাদ। কণ্ঠগুলো বেশ পরিচিত মনে হলো। আস্তে আস্তে ঘরের আলো বাড়তে থাকে। হ্যাঁ, তারা পরিচিত। একটু দূরে কয়েকজন বন্দি পড়ে আছে। চোহারাগুলো দেখা যাচ্ছে না। শক্ত দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া বাঁধা। হাতগুলো পেছনে ঘোরানো কব্জি বরাবর শক্ত রশির মরা গিটে। মাথামুণ্ডু থেতলানো - শরীর থেকে বেয়ে আসছে লাল রক্তের ধারা।
কয়েকজন মানুষ হাউমাউ করে কাঁদছে; তীব্র আর্তনাদ। কণ্ঠগুলো বেশ পরিচিত মনে হলো। আস্তে আস্তে ঘরের আলো বাড়তে থাকে। হ্যাঁ, তারা পরিচিত। একটু দূরে কয়েকজন বন্দি পড়ে আছে। চোহারাগুলো দেখা যাচ্ছে না। শক্ত দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া বাঁধা। হাতগুলো পেছনে ঘোরানো কব্জি বরাবর শক্ত রশির মরা গিটে। মাথামুণ্ডু থেতলানো - শরীর থেকে বেয়ে আসছে লাল রক্তের ধারা।

লেখক পরিচিতি
মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ
১আগস্ট ১৯৬৭ সাল-হোয়ানক,মহেশখালী, কক্সবাজার। নব্বই দশকে লেখালেখির সূচনা- দীর্ঘ বিরতির পর ২০১২ সালে দ্বিতীয় পর্বে প্রত্যাবর্তন । মূলত কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধের পাশাপাশি শিশু সাহিত্য রচনায় অনুরক্ত।
গবেষণার বিষয়- নদীকেন্দ্রিক উপন্যাসে বাঙালির জীবন। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল, ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, সংবাদসহ চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী, পূর্বকোণ, পূর্বদেশে তাঁর বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৪ সালের বই মেলায় বেরুচ্ছে দুটো বই-১. কাব্যগ্রন্থ- মায়াবী রোদের ডানা (শুদ্ধস্বর-ঢাকা) ২. শিশুতোষ গল্প- চড়ুইভাতির লালটিপ (শৈলী- চট্টগ্রাম)।
গবেষণাপত্রঃ নদীকেন্দ্রিক উপন্যাসে বাঙালির জীবন।
শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত।
0 মন্তব্যসমূহ