কামাল রাহমানের গল্প : উঁইপোকা

চোখে দেখে না ওরা। এই দেখতে না পারাটায় একটুও আক্ষেপ নেই ওদের। অন্ধকার জগতে থেকেও ওরা বোঝে এই আলোময় বিশ্বটা। ওরা জানে এক জ্ঞাতি ভাই আছে ওদের। পিঁপড়ে। ওদেরই এক গোত্রের কারো কারো আবার পাখা গজায়। আরো আলোর খোঁজে বেরিয়ে পড়ে ওরা তখন। আর এই আলোই মৃত্যু ডেকে আনে ওদের।

আকাশ ভরা আলো নিয়ে আসে শরতের এক øিগ্ধ ও কোমল দিন। পিঁপড়ের মতো পরিশ্রমীদের কেউ কেউ ভাবে তখন বিজ্ঞান নিয়ে। উঁইপোকার মতো অলস কানাই বাবুরা লিখতে বসে কবিতা। আর মাছির মতো হাজারটা চোখ নিয়ে দার্শনিকেরা ভেবে কূল পায় না দেখবে কোন দিকটা!


এক ফাঁকে কালো একটা পিঁপড়ে খুব একা হয়ে পড়ে। দল বেঁধে চলা অভ্যেস। তাই এত বেশি মনমরা হয়ে উঠে যে জলে ঝাঁপ দেয়ার কথা ভাবতে থাকে। কিছুটা সাঁতরে ও জলে ডুবিয়ে হয়তো শরীরটা চাঙা হবে। আবার ভেতরের যন্ত্রণাটাও ঠাণ্ডা হবে। কিন্তু যে-দিনটা যন্ত্রণার সে-দিন এ পৃথিবীতে সে জল পাবে কোথায়! হাঁটতে হাঁটতে দেখে মাটির উঁচু একটা ঢিবি। পায়ে পায়ে ওটার উপরে উঠে যাওয়ার কথা ভাবে। আশে-পাশে কোনো জল আছে কিনা খুঁজে দেখবে ওখানে দাঁড়িয়ে।

পিলপিল পায়ে ওখানে উঠে মাথার এন্টেনাটা চারদিকে ঘুরিয়ে নেয় একবার। কোনো জল নেই আশেপাশে। হতাশায় এক ফোঁটা কেঁদে ফেলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু একা একা কেঁদেও বা কী লাভ? কেউ তো দেখছে না। ক্লান্ত পায়ে মাটির কাছে নেমে এসে দেখে ওদের এক জ্ঞাতি ভাই ঢিবি ছেড়ে বাইরে এসে পড়ে রয়েছে। জিজ্ঞেস করে ওকে--

কিরে ভাই, ঢিবির বাইরে যে?

কী করব, হুড়মুড় করে একটা দিক ভেঙ্গে পড়ল কেমন করে জানি।

কেমন করে ঢিবি বানাস তোরা, এভাবে ভেঙ্গে পড়ে!

কী আর করি ভাই, মাটির প্রাণী আমরা, যেমন পারি তেমন বানাই।

থাক থাক। বল, কেমন আছিস?

বুঝি নাই!

একটু ভেবে নেয় পিঁপড়েটি। জ্ঞানীজনের মতো সময় নেয় আরো কিছুটা। তারপর নিজে নিজে মাথা দোলায়। তাই তো, ভালো না মন্দ, ওরা বুঝবে কী করে! বলে--

হেঁটে হেঁটে ক্ষুধা লেগে গেছে আমার। তা, কি খেয়ে বাঁচিসরে তোরা ভাই?

কিছু খেতে হয় না আমাদের। মাটি খাই, মাটি হাগি।

বলিস কি! ঘরবাড়ি নেই তোদের?

মাটিই তো ঘর আমাদের, দেখছিস না?

হুঁ . . .

ভাবনায় পড়ে আবার পিঁপড়েটি। মাটি খায়, মাটি হাগে, মাটির ঘরে থাকে! এই মাটিময় বিশ্বে ওদের জীবনটা কোথায়! একটু থেমে থেমে আবার জিজ্ঞেস করে--

তোদের ইয়ে টিয়ে . . . মানে . . . বুঝলি না, তোদের জন্ম-টন্মটা . . . মানে তোদের বাবা-মায়েরা . . . কীভাবে . . . আর এগোতে না পেরে খুঁক করে এক ছটাক কেশে ফেলে পিঁপড়েটি।

ও বুঝেছি, বুঝেছি। তোরা হয়তো বুদ্ধিমান। তাই এসব নিয়ে মাথা ঘামাস। ওসব ঝামেলা আমাদের নেই। রানিমা আছে আমাদের। কার সঙ্গে কি করে সেই জানে। তারপর এক সময় ডিম পাড়ে কোটি কোটি। আর পিলপিল করে ডিম ফুটে বেরিয়ে আসি আমরা।

আর মাটি খাস, মাটি হাগোস।

এবার একটু রগড় করে উঁইপোকাটি--

খেয়ে দেখবি নাকি একটু আমাদের হাগু?

শালা।

মজা আছে।

রাগ করতে যেয়েও রাগ করে না পিঁপড়েটি। বলে--

দেখরে ভাই, মনটা আজ এমনিতেই খারাপ, মেজাজটাও খারাপ করে দিসনে।

ওদুটোর কোনোটাই নেই আমাদের। বুঝিই না ওসব। তবে শুনেছি তোদের মেজাজ খারাপ হলে নাকি মানুষদেরও কামড়ে দিস?

তা হয়তো দেই বটে, কখনো কখনো। কিন্তু ওরা তো একেবারে পায়ে পিষে মেরে ফেলে আমাদের।

আহা রে!

থাক, দুঃখ করতে হবে না।

চুপ করে থাকে পিঁপড়েটি। উঁই পোকাটির ভেতর কিছুটা জানার উৎসাহ জেগেছে পিঁপড়ের সান্নিধ্যে এসে। জিজ্ঞেস করে--

মানুষেরা কেমন রে?

তোদের তো চোখ নেই। বোঝাব কেমন করে?

আমাদের তো কিছুই নেই। তোরাই বোঝা, তোদের তো সব আছে।

একটু ভেবে বলে পিঁপড়ে--

ওরা দেখতে কেমন তা তো বুঝবি না। আমরাও যে খুব বুঝি, তাও না। তবে ওরা খুব বোকা।

বলিস কি?

হ্যাঁ।

কেন বল দেখি?

এত বুদ্ধি নিয়েও নিজেরা নিজেদের মেরে-কেটে শেষ করে ফেলে ওরা।

হায় হায়।

সত্যি।

পিঁপড়ের কিছু কিছু এরই মধ্যে সংক্রমিত হতে শুরু করেছে উঁইপোকাটির ভেতর। জিজ্ঞেস করে--

ওরা কি খায় রে?

মাটি ছাড়া সবই খায়। তার চেয়ে বরং জিজ্ঞেস কর, কি খায় না ওরা। গাছ লতা পাতা, প্রাণী, কীট পতঙ্গ, ফল ফুল সবই খায়। এক মাত্র ওরাই পৃথিবীর তিনটা স্তর জল মাটি ও বাতাসের সব কটা থেকেই কিছু না কিছু খায়।

অবাক তো!

তারপরও ওদের ক্ষুধা মেটে না।

কত বড় পেট রে ওদের?

খিলখিলিয়ে হেসে উঠে উঁইপোকাটি।

আরো শুনবি? আরো অবাক হবি।

এরিমধ্যে ঝুপ করে বৃষ্টি নামে। পিঁপড়ে জিজ্ঞেস করে--

এই, তোর ঘরটা গলে যাবে না তো?

গেলেই বা কি, মাটি গলে মাটিই তো হবে।

পিঁপড়েটা তখন বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য একটা পাতার নিচে আশ্রয় নেয়। বৃষ্টি থেমে গেলে পিঁপড়েটার মন ও শরীর দুটোই ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তখন উঁইপোকার কথা আর মনে থাকে না। হেঁটে ফিরে যায় সঙ্গীসাথীদের খোঁজে।

পরদিন আবার বন্ধুর কথা মনে পড়ে পিঁপড়েটির। খুঁজে খুঁজে ঐ উঁইঢিবিটার কছে এসে ডাকতে শুরু করে, ‘উঁই বন্ধু, উঁই বন্ধু।’ কিন্তু অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কারো সাড়া না পেয়ে রাগে গজগজ করে নিচে আসার জন্য পা বাড়ায়।

শালা উঁইয়ের জাত। মাটি খায় মাটি হাগে। কি বুঝবে ওরা বন্ধুত্বের মূল্য।

এমন সময় দেখে একটা উঁই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে ঢিবির বাইরে। কাছে গেলে একটু নড়েচড়ে উঠে ওটা। পিঁপড়ে জিজ্ঞেস করে--

কি রে ভাই, আমার উঁইবন্ধুটি নাকি?

এবার সচল হয় উঁইপোকাটি।

হ্যাঁ রে ভাই। তোমার উঁইবন্ধু। কিন্তু আমি তো জাত হারিয়ে ফেলেছি। আমার জ্ঞাতিভাইয়েরা বাতিল করে দিয়েছে আমাকে। গতকাল তোমার সঙ্গে কথা বলার পর আমার ভেতর ভাবনা না কিসের যেন সংক্রমণ হয়েছে। এখন আর নিজের কাজ করতে পারছি না। শুধু ভাবনা আসে ঘুরে ফিরে। সে-সবও আবার ছন্দ মিলিয়ে।

ওরকম কেন হবে? তা, ভাবলে কি আর কাজ করা যায় না?

না। ওসব অভ্যেস তো আমাদের নেই। যাকগে, ছেড়ে দাও ওগুলো। একটু পড়েই হয়তো মাটি হয়ে যাব। জ্ঞানীজন তুমি। তোমার কথা বল।

আমার কথা আর বলব কী। ছোট্ট এক পিঁপড়ে। মানুষদের কথা শুনতে চেয়েছিলে কাল। ওদেরটা বলি?

বল বল।

উৎসাহ দেয় উঁইপোকাটি।

তোমার সঙ্গে গল্প করে ঘরে ফিরছিলাম কাল। বিকট এক শব্দ শুনে ঘাবড়ে যাই হঠাৎ। তারপর দেখি অনেক মানুষ মারামারি শুরু করেছে। পালিয়ে এক দিকে সরে আসি। ওদের মহাকাণ্ডটা শেষ হলে আস্তে আস্তে কাছে যেয়ে দেখি বেশুমার মরে পড়ে রয়েছে অনেক মানুষ। রক্ত ভেসে যাচ্ছে চারদিকে। নোনা গন্ধে ছুটে গেলাম। আর যেই না চুমুক দিয়েছি অমনি মাথা ঘুরে বেহুঁশ হয়ে পড়ি। তারপর জ্ঞান ফিরে এলে ধীরে ধীরে ঘরের পথে এগিয়ে যাই। ওখানে যেয়ে শুনি অনেকেরই এ অবস্থা। পরে জানতে পারি যে কী সব খেয়ে মানুষগুলোই নাকি এখন বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। ঐ থেকে প্রতিজ্ঞা করেছি যা কিছুই খাই না কেন, মানুষ আর না ভাই।

যাকগে বন্ধু, ওসব বালাই আমাদের নেই।

আরেকটা শুনবি?

এরিমধ্যে আলো কিছুটা কমে এসেছে। এক দল মানুষ এসে উঁইঢিবিটার উপর একটা মশাল গুঁজে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে একটা ধ্বস নেমে আসে নিচের দিকে। পিঁপড়েটা জিজ্ঞেস করে--

কি হল রে ভাই?

ও কিছু না। আমাদের দলের কতগুলো মাটি হল আবার।

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পিঁপড়েটা বলে--

ঘরে যাই রে ভাই, অন্ধকার হয়ে এল।

ওটা আবার কি?

কেন, আলোর কথা বলিনি তোকে কাল?

ও হ্যাঁ, বলেছিলি।

ওদের কথা শেষ হতে না হতেই মশালটায় আলো জ্বালায় এক লোক। পিঁপড়েটা বলে--

এই আলো জ্বেলেছে রে। আরো কিছুক্ষণ থাকতে পারব বন্ধু।

খুশি হয় উঁইপোকাটি। বলে--

একটু বুঝিয়ে বল না বন্ধু, আলোটা কেমন?

আরে এই আলোই জগতের আসল। আলো নাই তো কিছুই নাই।

আমাদের তো আলো অন্ধকার বলে কিছু নাই। তাহলে আমরাও কি নাই?

একটু খটকায় পড়ে পিঁপড়েটা। এমন ভাবনা ওর মাথায় এল কি করে? এটা তো যুক্তির কথা। বলে--

বিষয়টা কি বন্ধু, ভাবনার জগতটা দেখি তোমারও তৈরি হতে শুরু করেছে।

হ্যাঁ বন্ধু, তোমার সঙ্গে বন্ধুত্বের পর থেকেই ওটা শুরু হয়েছে। থামাতে পারছি না আর। এজন্যই তো আমার সঙ্গীরা পরিত্যাগ করেছে আমাকে।

যাকগে ওসব, আলো হল, যখন জগতটা দেখা যায়, যা দিয়ে দেখা যায়। যত বেশি আলো, তত বেশি জগত। এই আলোটাকে বেশি বোঝে যারা, বুদ্ধি তত বেশি ওদের।

এজন্যই কি মানুষের এত বুদ্ধি?

কিছুটা তো তাই। তবে পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই অন্ধকারে থাকতে চায়।

বুঝিনি।

ওটা বোঝার দরকার নেই তোমার।

থাক তাহলে।

তবু একটু ধারণা দেই তোমাকে, জিজ্ঞেস করেছ যখন। একবার এদেশের এক রাজা বিদেশের অনুসরণে দিনের আলো কিছুটা বেশি পাওয়ার জন্য ঘড়ির কাটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিয়েছিল, তাতে সবাই হৈ-চৈ করে আবার আগের জায়গায় নিয়ে গেছে ওটা।

এত কিছু জান কীভাবে তুমি, বন্ধু!

মানুষদের কাছাকাছি থেকে।

ও আচ্ছা।

বাদ দাও ওসব। আরেকটা সুখবর দেই তোমাকে।

বল।

গত রাতে আমার দুটো পাখা গজিয়েছে। এখন উড়তে পারি আমি।

ওটা আবার কি?

বাতাসে ভেসে বেড়ানো।

বাতাস কি?

দূর বন্ধু, তোমার সঙ্গে কথায় জড়ানো আরেক ঝক্কি। যাই এখন একটু আলোর চারপাশে ঘুরে আসি।

একা একা আবার মনমরা হয়ে পড়ে উঁইপোকাটি।


শরতের শেষ সন্ধ্যা এক অপরূপ স্নিগ্ধতা নিয়ে এসেছে প্রকৃতিতে। কবি ও কাশফুলে ছেয়ে আছে বাংলার সুনীল ও স্বচ্ছ দিগন্তরেখা। মধুজ্যোৎস্না নিয়ে দ্বাদশী চাঁদ দেখা দিয়েছে আকাশটাকে আরো নীল করে তুলতে। মাদকতাময় এমন অলস ও অবসন্ন আঁচল ছেড়ে কষ্টকর বিজ্ঞানের জীবন কে আর বেছে নেবে! উঁইপোকাদেরই বরং আদর্শ আবাস হতে পারে এখানটা।

বেশ একটা ফুরফুরে মন নিয়ে আবার ফিরে আসে পিঁপড়েটি। বন্ধুকে বলে--

আহা, এই আলোর জগতটা যে কী সুন্দর! আর দুটো পাখা থাকলে তো কথাই নেই। আমার ইচ্ছে হচ্ছে একেবারে আলোর মাঝখানটায় যেয়ে পৌঁছি। কিন্তু ওখানটায় খুব বেশি গরম রে ভাই।

তোমার সঙ্গে কথা বলে আমারও যে এখন অনেক কিছু ইচ্ছে হচ্ছে বন্ধু।

তাহলে যাই আবার। আলোর মাঝখানটা একবার ঘুরে আসি। তারপর জানাব তোমাকে।


মানুষের দাপাদাপিতে মাটির নিচে থাকা ঝিঁঝিঁ পোকারাও স্তব্ধ হয়ে পড়ে এক সময়। এ যেন একচ্ছত্র ওদেরই জগত। অন্য কোনো প্রাণীর কোনো অধিকারই নেই এখানে।


অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকে উঁইপোকাটি। কিন্তু ওর নতুন বন্ধু আর ফিরে আসে না। এদিকে ওর সংক্রমিত ভাবনার ছোট্ট জগতটা কাবু করে তুলেছে ওকে। ভাবনাগুলো ধরে রাখার জন্য মস্তিষ্কের প্রাথমিক বিন্যাস ওগুলোকে ছন্দে সাজিয়ে রাখতে অনুপ্রাণিত করে ওকে। কোটি কোটি কবিতার চরণ জন্ম নেয় নিউরোণ কোষের ভেতর। কিন্তু হায়, উঁইপোকার জীবনই বা আর কতটুকু। এক সময় ভুলে যায় সব কিছু। তারপর আবার ঐ মাটি হয়ে যায়। মাটি হয়ে জন্মাবে নিশ্চয় আরো অনেকবার। কিন্তু মনের ভেতর থেকে যায় পিঁপড়ে হয়ে জন্মানোর এক অদম্য ও অক্ষম বাসনা।


লেখক পরিচিতি
কামাল রাহমান

আট দশকের গোড়া থেকেই সাহিত্যচর্চা করছেন। তার ক্ষেত্র মূলত কথাশিল্প। কবিতা অনুবাদও করছেন। ছোটকাগজ সম্পাদনার সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বাস্তবকে একেবারে কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখতে চান। তার লেখায় রাজ্যনীতিরাজনীতিসমকালীন বাস্তবতা উঠে আসে। তার দুটি গল্পগ্রন্থ আর তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
উপন্যাস :
১. তাজতন্দুরি,   বইমেলা ২০১১,   মাওলা ব্রাদার্সঢাকা;
২. ঝুমপাহাড়,    বইমেলা ২০১২,   রোদেলা প্রকাশনীঢাকা
৩. অন্য আলো,  বইমেলা ২০১৩,   প্রকৃতি প্রকাশনীঢাকা
গল্পগ্রন্থ :  
১. শীতের আপেল ও কমলা,  বইমেলা ২০১২,  ধ্রবপদ প্রকাশনীঢাকা
২. স্টোনহেঞ্জ,  বইমেলা ২০১৩,  ধ্রবপদ প্রকাশনীঢাকা
সম্পাদক : ১৪০০
সম্পাদক (২টি সংখ্যার) : কালধারা



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ