দোয়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প : ঘরে ফেরার গান

ঘরের কোণে মাথা নিচু করে বসে আছে কুটুস। মাঝে-মাঝে বাবা-মার দিকে দেখছে আবার মাথাটা নামিয়ে নিচ্ছে। কুটুসকে মাথা নামাতে দেখে রে-রে করে তেড়ে এল মনীষা। দুহাতে ছেলেকে ঝাঁকিয়ে বলল, “মাথা নিচু করছিস কেন? সকলের সামনে যখন আমার মাথাটা হেঁট হল, তখন লজ্জা হয়নি?”

তথাগত বলল, “কী করছো কী? ছেলেটা তো ভয়ে আধমরা হয়ে আছে। তুমি কিন্ত বেশি বাড়াবাড়ি করছো বিষয়টা নিয়ে।”


“সংসারের কোনও ব্যাপারেই তো থাক না। ছেলে কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে...খবর রাখ?”

“না রাখি না, কারণ আমায় মুখে রক্ত তুলে টাকা রোজগার করতে হয়। আর সেইজন্যই...”

“তোরা কী সারারাত ঝগড়া করবি খোকা?” মনোরমা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে।

“আপনি খেয়ে নিয়ে শুয়ে পড়ুন মা।আমাদের রাত হবে।”

“দুধের শিশুটা মুখে কিছু দেয়নি আর আমি খাব?”

তথাগত বলল “মা প্লিজ যাও এখন।” মনোরমার মুখ কালো হয়ে গেল। তিনি নীরবে চলে গেলেন। শাশুড়ি চলে যেতেই দুম করে দরজাটা বন্ধ করল মনীষা। তারপর গলাটা চড়িয়ে বলল, “তোমার মা বোধহয় এ জন্মে নক করে আসার ম্যানার্সটা শিখবেন না!”


II২II

তথাগত দত্ত, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মনীষা দত্ত, গৃহবধূ। কুটুস ওরফে কন্দর্প দত্তের স্কুল ভর্তির ফর্মে এটাই লেখা ছিল। কলকাতার নামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। সঙ্গে আবার একটা ‘ইন্টারন্যাশন্যাল’ তকমাও আছে। কলকাতার তাবড় সেলেবদের ছেলেমেয়েরা পড়ে সেখানে। কুটুসকে ভর্তি করতেও কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। অফিসের এক কেষ্টবিষ্টুকে ধরা, স্থানীয় কাউন্সিলরের চিঠি এবং স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে মোটা রকমের অর্থের বিনিময়ে এই স্কুলে পড়ার বিরল সম্মান পেয়েছে কুটুস।

প্রতি শুক্রবার কুটুসের স্কুলে গল্প বলার ক্লাস হয়। সেখানেই বিপত্তি ঘটল। ছুটির পরেই প্রধানা শিক্ষিকা ডেকে পাঠালেন মনীষাকে। এমনিতেই প্রাসাদপম স্কুলবাড়িটা দেখলেই পেট গুড়গুড় করে মনীষার! দারোয়ান থেকে মালি পর্যন্ত সকলেই চোস্ত ইংরিজি বলে। মনীষা নিজেও এককালে ইংরিজি মাধ্যমের ছাত্রী ছিল। তবু কিসের যে হীনমন্ন্যতা কে জানে! দুরুদুরু বুকে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করার পর ডাক এল। মিসেস লালওয়ানির বিশাল বপুর সামনে এসে ধুকপুকানি আরো বেড়ে গেল। চশমাটা একটু ঠিক করে মিসেস লালওয়ানি বললেন, “প্লিজ বি সিটেড।”

প্রিন্সিপাল কিছু বলার আগেই মনীষা নিজেই হরবরিয়ে বলল, “আমার ছেলে কিন্ত খুব শান্ত, মানে বাড়িতেও...” মনীষাকে মাঝপথে থামিয়ে প্রিন্সিপাল বললেন, “আমরা জানি হি ইজ আ নাইস বয়। বাট আজ যেটা ঘটেছে... ওয়েট আমি ওদের ক্লাস টীচারকে ডাকছি।”

“কী করেছে কুটুস? ভাবছিল মনীষা। কোনও সহপাঠীকে মেরেছে? নাকি অশ্লীল কোনও...আজকাল তো বাচ্চারা ছোট থেকেই...দুরছাই! ভদ্রমহিলাই বা এত ভণিতা করছেন কেন?”

ভাবনার ফাঁকেই কুটুসের ক্লাস টীচার শ্রীপর্ণা গুপ্ত ঢুকলেন। তিনি কোনও ভণিতা না করেই সরাসরি মনীষাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “শুক্রবারের গল্প বলার ক্লাসটার বিষয়ে আপনি জানেন?” মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল মনীষা। “আপনার কী মনে হয়, ক্লাসটা আমরা কেন করাই?” আচমকা এই প্রশ্নের কোনও উত্তর খুঁজে পেল না মনীষা। উত্তরের আশায় শ্রীপর্ণার দিকেই তাকিয়ে রইল। “ক্লাসটা আমরা এইজন্যই করাই মিসেস দত্ত যাতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে রিডিং হ্যাবিট গ্রো করে, তাদের মধ্যে একটা ওভার অল ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। তার মানে তো এই নয় যে একজন যা খুশি গল্প বলবে আর আমরা সেগুলো...”

“কী বলেছে ও?”

“রাবিশ, যত রাজ্যের ভুলভাল তাও আবার বাংলায়!...রাক্ষস...খোক্কোস... ...কোনও মাথামুণ্ডু নেই!”

মনীষার দুচোখের কোণে তখন জল টলটল করছে। ধরা গলায় বলল, “কিন্ত এগুলো তো রূপকথা...”

“রূপকথারও তো একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকে! আপনার কোনও ধারণা আছে এই স্কুলে যারা পড়াশোনা করে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী?”

অনেকক্ষণ পর মিসেস লালওয়ানি মুখ খুললেন। “আমরা আপনাকে দোষ দিচ্ছি না। বাংলা বলা আমাদের এখানে...! বাকি পেরেন্টসরা আমাদের কাছে জবাব চাইলে, স্কুলের সম্মান কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।” লজ্জায়, অপমানে, রাগে মনীষা তখন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক কিছু বললেন মিসেস লালওয়ানি। সেগুলো কানে ঢুকল না মনীষার।

মুখ লাল করে স্কুলের বাইরে যখন এল তখন বেলা প্রায় দুটো। গনগনে রোদ্দুর গায়ের চামড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যসময় ছাতা ছাড়া এক পাও চলে না মনীষা। আজ রোদের মধ্যেই ট্যাঙস-ট্যাঙস করে হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে এল। বাসে বসার জায়গা পেতেই হাবিজাবি চিন্তার জাল মস্তিষ্কে জায়গা নিল। “রূপকথার গল্প তাও আবার বাংলায়, কে শেখাল কুটুসকে? তবে কী তার অনুপস্থিতিতে মনোরমাই...” ভাবনার জাল ছিঁড়ে গেল অকস্মাত। স্টপেজ এসে গেছে তার।


II৩II

দশবার ছেলেকে খোঁচানোর পর, কুটুস বলল, সে টিভিতে কিছুটা দেখেছে আর বাকিটা তার মনগড়া!মনোরমা ধীর কন্ঠে বললেন, “এখন ছেড়ে দাও না বৌমা, পরে না হয় বুঝিয়ে...” মনোরমার এই অতি সাধারণ কথাতেই আগুনে ঘি পড়ল। “আপনি চুপ করুন।” ঝাঁঝিয়ে উঠল মনীষা। “ছেলে আমার, তার ভালো মন্দটাও আমিই দেখব।” বলেই শাশুড়ির সামনে দিয়েই ছেলেকে হিড়হিড় করে টেনে ঘরে নিয়ে গেল।

রাতে শোয়ার পর তথাগত বলল, “মাকে এতগুলো কথা না বললেই পারতে।” চোখের উপর হাত রেখে শুয়েছিল মনীষা। পুতুলের মত টপাঙ করে লাফিয়ে উঠে বলল, “না পারতাম না। এতই যখন দরদ, সকালে ফোনটা আসার পর নিজেই কেন গেলেন না নাতির গুণকীর্তন শুনতে?”

অন্য রবিবার কুটুসের বাড়িতে একটা ঝলমলে পরিবেশ থাকে। আজ বিষন্ন একটা আলোয় ছেয়ে ছিল আনাচ-কানাচ। চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া গাছটা দেখছিল তথাগত।

“তোর কী আজ কোনও কাজ আছে খোকা?” চমকে পিছন ফিরে দেখল মনোরমা। মুখটা খুব শান্ত, চোখ দুটো ভাষাহীন।

“না...সেরকম কিছু তো...কেন?”

“আমাকে একটু অনুর বাড়ি দিয়ে আসবি?”

অনু অর্থাত্‍ অনুপমা, মনোরমার একমাত্র অবিবাহিতা বোন। বাপের বাড়ি বলতে বাগবাজারে ওই বোনের বাড়িটুকুই আছে। রান্নাঘর থেকে তিরের মত ছিটকে বারান্দায় এল মনীষা। “আপনাকে এমন কিছু বলা হয়নি, যার জন্য সাতসকালে বোনের বাড়ি ছুটতে হবে!”

মনোরমা নিশ্চল রইলেন কিছুখন। তারপর নিজেই একটা ট্যাক্সি ডেকে বাগবাজার চলে গেলেন।

মনোরমা চলে যেতেই মনীষার সব রাগ গিয়ে পড়ল তথাগতর উপর। রান্নাঘরে একাই গজরাতে লাগল সে।হঠাত্‍ ঝনঝন করে ফোনটা বেজে উঠল। জুলজুল চোখে মাকে দেখছিল কুটুস। মনীষা খেঁকিয়ে উঠল, “হাঁ করে কী দেখছো? ফোনটা ধর। আর ইংরিজিতে কথা বলবে!”

“হুজ স্পিকিং?” কচি কন্ঠের উত্তরে ওপার থেকে একজন বলল, “এটা কী তথাগত দত্তর বাড়ি?”

“ইয়েস।”

“ওকে বলো ডাকু গণ্ডারিয়া ফোন করেছে!” আচমকা এই বিকট নামে হকচকিয়ে গেল কুটুস। দৌড়ে গিয়ে বাবাকে বলতেই তথাগতর চোখ কপালে উঠে গেল। সেও দৌড়ে গিয়ে ফোনটা ধরল।“নীল...তুই নীল তো রে?”

“হ্যাঁরে শালা। নীল নাতো কী হলুদ? ফোন কী তোর ছেলে ধরেছিল?”

“হ্যাঁরে।”

“কী সাহেব বাচ্চা বানিয়েছ মামা, পুরো ঘেঁটে লাট!”

“বাজে কথা রাখ। আমার বাচ্চা সাহেব হলেই দোষ আর নিজে যে একখানা আস্ত মেম আমদানি করেছিস তার বেলা?”

“তুই না মাইরি একটা ইয়ে! মেম হোক আর যাই হোক, বউ বউই...আদ্যপান্ত ভয়ংকর!”

হেসে ফেলল তথাগত। বহু বছর বিদেশে থেকেও একটুও পাল্টায়নি নীল। সামনের সপ্তাহে তাদের সপরিবারে নেমনতন্ন করতেই এই ফোনালাপ। ছাত্রজীবনের আরো কিছু স্মৃতি রোমন্থন করে ফোন রাখার আগে নীল একবার মনোরমার কথা জানতে চাইল। “মা পুজোয় বসেছে রে...” বলার সময় গলাটা একটু কেঁপে গেল তথাগতর।

ফোন রাখতেই মনীষা প্রায় লাফিয়ে পড়ল তথাগতর উপর। “নীল মানে সেই তোমার আমেরিকার বন্ধু না? সে হঠাত্‍ মার্কিন স্বর্গ ছেড়ে এখানে?”

“চলে এসেছে। বলল আর নাকি ওখানে ভালো লাগছে না। সামনের রোববার নেমনতন্ন করেছে আমাদের।”

মনীষা আদুরে গলায় বলল, “আমি কিন্ত সেদিন শর্ট ড্রেসটা পরব।”

“শুধু শর্ট জামায় তো হবে না মামনি। ওর বউ খাঁটি আমেরিকান। গ্রামারটা একটু ঝালিয়ে নিও।” চোখ টিপে বলল তথাগত। ঘরের পরিবেশ হালকা হচ্ছে ক্রমশ। কুটুস এতখন চুপ করে ছিল। এবার বলল, “ডাকু গণ্ডারিয়া কে?” রাতের বাদানুবাদ ভুলে হোহো করে হেসে উঠল মনীষা আর তথাগত।


II৪II

নীলের বাড়ি খুঁজতে অসুবিধে হল না। দরজা খুলল ওর স্ত্রী ইভা। শাড়ী পরে দিব্যি ম্যানেজ করছে। ভাঙা বাংলায় আলাপ জমিয়ে কুটুসকে কোলে তুলে সে সারা বাড়ি মাত করে বলে উঠল, “নীল দে হ্যাভ কাম। টোমার চোটবেলার বন্দু!” ডলপুতুলের মত এক মেয়ের হাত ধরে নীল এসে জড়িয়ে ধরল তথাগতকে। মনীষা আর ইভা গেল পাশের ঘরে মেয়েলি জমায়েত করতে। নীল আর তথাগত বসল বারান্দায়। কুটুসের গাল টিপে নীল বলল, “এই তবে সেই ছোট সাহেব? আমি কে বলত?” কুটুস বাবার দিকে তাকাল। “আমি হচ্ছি ডাকু গণ্ডারিয়া!” ডলপুতুল মেয়েটা সন্দিহান চোখে কুটুসকে দেখছিল। এবার গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এসে বলল, “আই অ্যাম সুভাষিণী, আর ও হচ্ছে আমার বাবা!”

তথাগত বলল, “ তোর দেশে ফেরার কেসটা কী?”

“আর কেস, কেস পুরো জন্ডিস মামা। ইভা একজন পেশাদারী ফটোগ্রাফার। কাজের সূত্রে একবার কলকাতায় এসেছিল। ব্যাস! সেই যে এল, তারপর তার আর ওদেশে মন লাগে না। সে একদম বিবাগী অবস্থা! মেমসাহেবের জেদ বলে কথা, মাথা না ঝুঁকিয়ে পারলুম না রে!ভালই হল একদিকে বল? তোকে আবার ফিরে পেলুম। কতদিন আর অন্যের গোলামি করব...তাছাড়া মেয়েটাও তার ‘বাপের’ বাড়ি চিনুক একটু!”

খাওয়াদাওয়ার পর আড্ডার আসর বসল।ইভা তার সদ্য তোলা কলকাতার ছবিগুলো দেখাল।সুভাষিণী আর কুটুস দুজনে ছড়া শোনাল। নীল কিছু বস্তাপচা জোকস শুনিয়ে হঠাত্‍ তথাগতকে প্রশ্ন করল, “বাবলু তুই এখনো আবৃত্তি করিস?” মনীষার ভ্রু কুঁচকে গেল। “আবৃত্তি? ও আবৃত্তি করত নাকি?”

“বলেন কী ম্যাডাম? নাকি মানে? আলবাত করত। ওর নেকু-নেকু আবৃত্তি শুনে কত মেয়েই তো...আপনি জানেন না?”

ইভা বলল, “ট্যাগোরের পোয়েট্রি শোনাও প্লিজ...” সুভাষিণী পর্যন্ত বলল, “রাইমসটা শুনিয়ে দাও আঙ্কল, আমি তোমায় পেস্টের বড়া খাওয়াব!” নীল ফিসফিস করে বলল, “পোস্ত আর পেস্ট গুলিয়ে ফেলেছে!” তথাগতর অস্বস্তি হচ্ছিল। অনেকদিনের অনভ্যেস। শেষে মনীষাও মৃদু কন্ঠে বলল, “বল না একটা...বলছে সবাই...”

তথাগত উঠে দাঁড়িয়ে টাইটা আলগা করে উদাত্ত কন্ঠে শুরু করল, “আমারি চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ/চুনি উঠল রাঙা হয়ে...” শেষে সবাই যখন হাততালি দিচ্ছে, মনীষার মাথাটা আবার হেঁট হয়ে গেছে, ঠিক সেদিনের মত!

বাড়ি ফেরার সময় দুজনেই ট্যাক্সিতে চুপচাপ বসে ছিল।কুটুস ঘুমিয়ে পড়েছে। “একটু দাঁড়াবেন তো দাদা” তথাগত বলল ড্রাইভারকে। পার্সটা বের করে একটা বড় বইয়ের দোকানে ঢুকল তথাগত। মিনিট পাঁচেক পর হাতে একটা মোড়ক নিয়ে বেরিয়ে এল।“কুটুসের জন্য একটা ঠাকুরমার ঝুলি কিনলাম।” ট্যাক্সি আবার চলতে লাগল। “কটা বাজে গো?” মনীষা জানতে চাইল।

“সাড়ে নয়। কেন?”

“একবার বাগবাজার হয়ে গেলে হত না?”

“হঠাত্‍?”

“ঠাকুমা না থাকলে ঠাকুরমার ঝুলি কে পড়ে শোনাবে কুটুসকে?”

বৃষ্টি নামল আচমকা। গুঁড়ো-গুঁড়ো বৃষ্টি কণা মুখে মেখে মনীষা বলল, “অনেক দেরি হয়ে গেল তাই না?”

স্ত্রীর হাতের উপর আলতো করে হাতটা রাখল তথাগত। “নাহ, দেরি হয়নি। পৌঁছে যাব ঠিক।”


ছুটির দিনে শহরের নিঝুম পথ ধরে ট্যাক্সি তখন বাগবাজারের দিকে.....।


লেখক পরিচিতি
দোয়েল বন্দ্যোপাধ্যায়
কোলকাতা।

গল্পকার। সাংবাদিক। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. সম্প্রতি 'রামধনু' নামে একটা বাংলা ছবি দেখতে-দেখতে এই গল্পটাই মনের মধ্যে ফুলে ফেঁপে উঠছিল। আজ আপনার কলমে তা সাকার হতে দেখলাম।

    ভারী সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন। গতি যেমন দুর্বার, বক্তব্য পরিবেশনেও ঝরঝরে গরম ভাত। সরাসরি বার্তা পেশ। খুব ভাল লাগল। এমন ফুটফুটে গল্প আরও পাবার আশা রইল আপনার কাছ থেকে।

    ভাল জিনিসের গায়ে একটু কাজল না ছোঁয়ালে যেন ঠিক মানায় না। তাই বলি, "দারোয়ান থেকে মালি পর্যন্ত"-টা বড্ড সীমিত লাগল। আর, তথাগত যদি পার্সের বদলে ওয়ালেট নিয়ে দোকানে ঢুকতেন তবে বোধহয় মন্দ হত না। :-)

    উত্তরমুছুন