ওকে আমার দারুণ লাগে। ওর সঙ্গে আমার দেখা নদীর ধারে। আমি তখন ভাসছি আর ভাসছি। ও দাঁড়িয়েছিল কূলের ধারে। বোধহয় ভাবছিল নিজে ও ভাসবে কিনা। ও আমার থেকে ঠিক এক যুগের বড়। আর তাই ই হয়ত আমার ভাল লাগে আর ও। ও অনায়াসে আমাকে বলে,”তুই “। আমি “আপনি “। দুজনের ই কথার আদরে লুকিয়ে থাকে নিরুচ্চারিত “তুমি “টা, ও আপাত শান্ত, উদাস- গভীর দুটো চোখ আর গোঁফের দুষ্টুমিতে লুকিয়ে রাখে চঞ্চলতার সমুদ্র। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই শরীরটা একটু ভারী, কিন্তু লম্বা, টান টান। ঝটিতে উঠে দাঁড়ালে আমি একটা হার্ট বিট মিস করি।
আমি ওকে সুযোগ পেলেই দুচোখ ভরে দেখি। পুরুষ রূপও যে এত মায়াবী হতে পারে কে জানত ! শুধু দেখি ই না, একটু আধটু বিরক্ত ও করি, দুষ্টুমি করি। ওর শান্ত , উদাস, খানিকটা বিষণ্ণ চোখদুটো যখন চঞ্চল হয়ে ওঠে, কাতর হয়ে ওঠে, তখন দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।আমি আমার একা একা বেঁচে থাকার যাবতীয় বিলাসিতায় ওকে ও জড়িয়ে নিয়েছি। আর তাতেই আমার জলপথ হয়ে উঠেছে মধুর। আমি দুচোখ ভরে দেখি, চারিদিকে কী গভীর জল আর জল। আমার সেই স্রোতে দুবে থাকতে ইচ্ছে করে আদ্যন্ত। আমার মনে পড়ে যায় রূপকথার কাঞ্চনমালার কথা। জলে নেমে স্নান করতে নেমেছিল সেই নারী, তার ও হয়ত এমন অবগাহনে আনন্দ ছিল। সেও হয়ত সেই সময় ভুলে থাকতে চেয়েছিল সব দুঃখ, ভুলতে চেয়েছিল তাকে ভুলে গেছে তার স্বামী, বিস্মরণের গহ্বরে হারিয়ে গেছে তার ভালবাসা। আর তখন ই, সেই সুযোগে এসেছিল কাঁকনমালা দাসী। হাতের চুড়ি দিয়ে রানি তাকে কিনেছিল, তাই সে কাঁকণমালা। কিন্তু স্নান সেরে উঠে রানি দেখেছিল দাসী হয়ে গেছে রানি তারই পোশাক পরে। বাড়িতে এসে দেখল রানি, তার সংসার হয়ে গেল দাসীর। …আমি ও একদিন ঘুম ভেঙে উঠে দেখলাম যে সংসারটাকে আমার ভাবতাম, সেটা কোন দিন ই আমার ছিলনা। আমার আর নেই ও। লিপস্টিক কিনে, শাড়ি কিনে, ফ্রিজ বদলে কিছুদিন নিজেকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলাম। তাতে দুচোখ আরও ভারী হয়ে উঠল। তারপর একদিন সব ছেড়ে দিলাম। দেখলাম, কাঁকণমালার অভাব নেই। পুরুষের মা-বোন-দিদি-বান্ধবী সবাই প্রস্তুত অন্যের সংসার দখল নিতে। ব্যথাতুর হয়ে আমি দেখলাম, কিচ্ছু বোঝা গেলনা, কে আসল, কে নকল। বা কে নকল, কে ই বা আসল।
আমি কানের দুল খুললাম, হাতের বালা খুললাম। তারপর ডুব দিলাম নদীতে। আমার অশ্রু মিশে গেল স্রোতে। তখনই ওকে দেখলাম। দীর্ঘ পদক্ষেপে সে এগিয়ে এল আমার দিকে। আরও কেউ যে আসেনি তা নয়, কেউ বা আমার চুল ছিঁড়েছে, কেউ বস্ত্র। ওর মত মাথায় হাত দিয়ে কেউ বলেনি, “আয় “। আমি সব বাধা ছিন্ন করে চঞ্চল হয়ে উঠলাম। সে আমাকে আকাশ দেখালো, দেখালো সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার, দেখালো “কনে দেখা আলো”, আমি জল থেকে উঠে দাঁড়ালাম, আর আমার সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়া শরীর নিয়ে জড়িয়ে ধরলাম ওকে। আমার চুল থেকে জল পড়ল ওর গায়ে আর ভিজে গেল ওর জামা। আর আমি দেখলাম, ও মৃদু হাসল। বলল, না বলল না, আমি শুনলাম “ ছেলেমানুষ “। ওর চোখ বলল, ঠোঁট বলল না। আমার মনে পড়ে গেল, ছোটবেলায় আমার দাদাই আমাকে বলত, “ ছেলেমানুষ “। তারপর তো আর কেউ বলেনি, বাকি সকলে কেবলই বিচার করেছে,......আমি অনায়াস নিশ্চিন্তে ওর চোখে ডুব দিলাম।
একদম সীমানায় এসে ও আমার হাত ধরে ওঠাল। তারপর বাইক স্টার্ট দিল। আমি আমার দীর্ঘ লম্বা চুল খুলে, কোমরে লাল আঁচল গুঁজে তার পিছনে চেপে বসলাম। ধুলোর ঝড় তুলে আমরা পাড়ি দিলাম এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, এক শহর থেকে অন্য শহর, এক জীবন থেকে অন্য জীবনে ও কি? তারপর সেই বাইক এসে থামল এক গৃহপ্রান্তে। আমাকে নামতে দিয়ে নিজে নামল আর বলল, “আমার বাড়ি “।
আমি চমকে উঠলাম। এতো আমি চাইনি। ওর সত্যিকারের গৃহকোণ আমি দেখব না , দেখতে চাইনা। ও যে আমার ঘরে আমার সঙ্গে কল্পবাস করে নিত্য। ও যে আমাকে রোজ ঘুম থেকে ওঠায়, --বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজার চলে যায়,তাতে সকলের মাছ থাকলেও আমার জন্য স্পেশাল হাঁসের ডিম থাকে। অফিস যাওয়ার আগে আমার নাইটি কেনার টাকা দিয়ে যায়। সন্ধ্যাবেলায় ফিরেই আড্ডা দিতে বেরিয়ে যায়। আর অনেক রাত্রে আমি ঘুম চোখে দরজা খুললে…।
বদলে আমি একটা সবুজ পর্দাওলা ড্রয়ইরুমে বসি। দেওয়ালে যামিনী রায়, …একটু পুরোনো স্টাইলের সোফা, …ট্র্যাডিশনাল আর সুন্দর মেহগিনি কাঠের আলমারি। রান্নাঘর থেকে ঘুগনি বানানোর গন্ধ। আমি হিংসে হিংসে চোখে টেবিলের রবীন্দ্র রচনাবলী দেখি। বুঝতে পারি, এ হচ্ছে সেই মায়া সংসার, যেখানে প্রতি রবিবার মাংস হয়, ……সন্ধ্যেবেলা রবীন্দ্রসংগীত বাজে, দুর্গাপুজোর একমাস আগে পুজোর বাজার হয়, বছরে দুবার বেড়ানো, বইমেলায় তিনদিন যাওয়া, ……আমি বুঝতে পারি, আমি সেই বিপজনক সংসারে এসে পৌঁছেছি , যার লোভে আমি একদিন গলায় মালা পরে সং সেজেছিলাম।
তারপর তিনি আসেন। গৃহকর্ত্রী। প্লেট ভর্তি মিষ্টি, ট্রেতে সাজানো চা। তার পরণে ঘন নীল হাউসকোট, ছোট করে কাটা চুলে স্পা-এর চমক। ম্যাজেন্টা লিপগ্লস। আমাকে দেখে তার ঠোঁট অভ্যস্ত আর মাপা পথে প্রসারিত হয়। আমি দেখি তিনি হাসছেন না। চেষ্টা করছেন, লড়াই করছেন, কিন্তু হাসছেন না। যাবতীয় প্রসাধনের আড়ালে তাঁর ওষ্ঠ ক্লান্ত, ত্বক বিবর্ণ। আর দুচোখে মেনোপজের অসহায়তা। বাইরের সব আবরণ আর আভরণ প্রলেপের মত ঝুলছে তার চারপাশে।
আমি দ্রুত উঠে দাঁড়াই। চোখাচোখি হয় তাঁর সঙ্গে আমার। আমি চিনতে পেরেছি। একটা ভয়ের স্রোত বয়ে গেল আমার শিরদাঁড়া দিয়ে। আমি গুটিয়ে নিলাম রক্ত রঙের আঁচল, আমার ভিজে যাওয়া চুল। মাথা নীচু করে ফেললাম সত্যিকারের রানিকে দেখে। দেখলাম কাঞ্চনমালার বয়স তাঁকে ক্লান্ত করে দিয়েছে। আমি পিছু হটতে লাগলাম একপা, একপা করে। দৌঁড়, দৌঁড়, দৌঁড়। সে যেন কোনভাবেই আমাকে চিনতে না পারে কাঁকনমালা বলে,……একটা হাতের কাঁকণের বিনিময়ে যে এসে কেড়ে নিয়েছিল অন্যের সংসার।
আমি আবার নদীর কূলে। আমি আবার কাঁদি আর কাঁদি। ভাবি, আবার দেখা হবে তাঁর সঙ্গে। তবে এবার আর মধ্যিখান দিয়ে বয়ে যাবেনা এক যুগ, ……এবার আর আমার আর তাঁর মাঝখানে মুচকি হাসবেনা কোনো কাঞ্চ্নমালা-কাঁকণমালার গল্প।
আমি ওকে সুযোগ পেলেই দুচোখ ভরে দেখি। পুরুষ রূপও যে এত মায়াবী হতে পারে কে জানত ! শুধু দেখি ই না, একটু আধটু বিরক্ত ও করি, দুষ্টুমি করি। ওর শান্ত , উদাস, খানিকটা বিষণ্ণ চোখদুটো যখন চঞ্চল হয়ে ওঠে, কাতর হয়ে ওঠে, তখন দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।আমি আমার একা একা বেঁচে থাকার যাবতীয় বিলাসিতায় ওকে ও জড়িয়ে নিয়েছি। আর তাতেই আমার জলপথ হয়ে উঠেছে মধুর। আমি দুচোখ ভরে দেখি, চারিদিকে কী গভীর জল আর জল। আমার সেই স্রোতে দুবে থাকতে ইচ্ছে করে আদ্যন্ত। আমার মনে পড়ে যায় রূপকথার কাঞ্চনমালার কথা। জলে নেমে স্নান করতে নেমেছিল সেই নারী, তার ও হয়ত এমন অবগাহনে আনন্দ ছিল। সেও হয়ত সেই সময় ভুলে থাকতে চেয়েছিল সব দুঃখ, ভুলতে চেয়েছিল তাকে ভুলে গেছে তার স্বামী, বিস্মরণের গহ্বরে হারিয়ে গেছে তার ভালবাসা। আর তখন ই, সেই সুযোগে এসেছিল কাঁকনমালা দাসী। হাতের চুড়ি দিয়ে রানি তাকে কিনেছিল, তাই সে কাঁকণমালা। কিন্তু স্নান সেরে উঠে রানি দেখেছিল দাসী হয়ে গেছে রানি তারই পোশাক পরে। বাড়িতে এসে দেখল রানি, তার সংসার হয়ে গেল দাসীর। …আমি ও একদিন ঘুম ভেঙে উঠে দেখলাম যে সংসারটাকে আমার ভাবতাম, সেটা কোন দিন ই আমার ছিলনা। আমার আর নেই ও। লিপস্টিক কিনে, শাড়ি কিনে, ফ্রিজ বদলে কিছুদিন নিজেকে ঘুম পাড়িয়ে রাখলাম। তাতে দুচোখ আরও ভারী হয়ে উঠল। তারপর একদিন সব ছেড়ে দিলাম। দেখলাম, কাঁকণমালার অভাব নেই। পুরুষের মা-বোন-দিদি-বান্ধবী সবাই প্রস্তুত অন্যের সংসার দখল নিতে। ব্যথাতুর হয়ে আমি দেখলাম, কিচ্ছু বোঝা গেলনা, কে আসল, কে নকল। বা কে নকল, কে ই বা আসল।
আমি কানের দুল খুললাম, হাতের বালা খুললাম। তারপর ডুব দিলাম নদীতে। আমার অশ্রু মিশে গেল স্রোতে। তখনই ওকে দেখলাম। দীর্ঘ পদক্ষেপে সে এগিয়ে এল আমার দিকে। আরও কেউ যে আসেনি তা নয়, কেউ বা আমার চুল ছিঁড়েছে, কেউ বস্ত্র। ওর মত মাথায় হাত দিয়ে কেউ বলেনি, “আয় “। আমি সব বাধা ছিন্ন করে চঞ্চল হয়ে উঠলাম। সে আমাকে আকাশ দেখালো, দেখালো সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার, দেখালো “কনে দেখা আলো”, আমি জল থেকে উঠে দাঁড়ালাম, আর আমার সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়া শরীর নিয়ে জড়িয়ে ধরলাম ওকে। আমার চুল থেকে জল পড়ল ওর গায়ে আর ভিজে গেল ওর জামা। আর আমি দেখলাম, ও মৃদু হাসল। বলল, না বলল না, আমি শুনলাম “ ছেলেমানুষ “। ওর চোখ বলল, ঠোঁট বলল না। আমার মনে পড়ে গেল, ছোটবেলায় আমার দাদাই আমাকে বলত, “ ছেলেমানুষ “। তারপর তো আর কেউ বলেনি, বাকি সকলে কেবলই বিচার করেছে,......আমি অনায়াস নিশ্চিন্তে ওর চোখে ডুব দিলাম।
একদম সীমানায় এসে ও আমার হাত ধরে ওঠাল। তারপর বাইক স্টার্ট দিল। আমি আমার দীর্ঘ লম্বা চুল খুলে, কোমরে লাল আঁচল গুঁজে তার পিছনে চেপে বসলাম। ধুলোর ঝড় তুলে আমরা পাড়ি দিলাম এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, এক শহর থেকে অন্য শহর, এক জীবন থেকে অন্য জীবনে ও কি? তারপর সেই বাইক এসে থামল এক গৃহপ্রান্তে। আমাকে নামতে দিয়ে নিজে নামল আর বলল, “আমার বাড়ি “।
আমি চমকে উঠলাম। এতো আমি চাইনি। ওর সত্যিকারের গৃহকোণ আমি দেখব না , দেখতে চাইনা। ও যে আমার ঘরে আমার সঙ্গে কল্পবাস করে নিত্য। ও যে আমাকে রোজ ঘুম থেকে ওঠায়, --বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজার চলে যায়,তাতে সকলের মাছ থাকলেও আমার জন্য স্পেশাল হাঁসের ডিম থাকে। অফিস যাওয়ার আগে আমার নাইটি কেনার টাকা দিয়ে যায়। সন্ধ্যাবেলায় ফিরেই আড্ডা দিতে বেরিয়ে যায়। আর অনেক রাত্রে আমি ঘুম চোখে দরজা খুললে…।
বদলে আমি একটা সবুজ পর্দাওলা ড্রয়ইরুমে বসি। দেওয়ালে যামিনী রায়, …একটু পুরোনো স্টাইলের সোফা, …ট্র্যাডিশনাল আর সুন্দর মেহগিনি কাঠের আলমারি। রান্নাঘর থেকে ঘুগনি বানানোর গন্ধ। আমি হিংসে হিংসে চোখে টেবিলের রবীন্দ্র রচনাবলী দেখি। বুঝতে পারি, এ হচ্ছে সেই মায়া সংসার, যেখানে প্রতি রবিবার মাংস হয়, ……সন্ধ্যেবেলা রবীন্দ্রসংগীত বাজে, দুর্গাপুজোর একমাস আগে পুজোর বাজার হয়, বছরে দুবার বেড়ানো, বইমেলায় তিনদিন যাওয়া, ……আমি বুঝতে পারি, আমি সেই বিপজনক সংসারে এসে পৌঁছেছি , যার লোভে আমি একদিন গলায় মালা পরে সং সেজেছিলাম।
তারপর তিনি আসেন। গৃহকর্ত্রী। প্লেট ভর্তি মিষ্টি, ট্রেতে সাজানো চা। তার পরণে ঘন নীল হাউসকোট, ছোট করে কাটা চুলে স্পা-এর চমক। ম্যাজেন্টা লিপগ্লস। আমাকে দেখে তার ঠোঁট অভ্যস্ত আর মাপা পথে প্রসারিত হয়। আমি দেখি তিনি হাসছেন না। চেষ্টা করছেন, লড়াই করছেন, কিন্তু হাসছেন না। যাবতীয় প্রসাধনের আড়ালে তাঁর ওষ্ঠ ক্লান্ত, ত্বক বিবর্ণ। আর দুচোখে মেনোপজের অসহায়তা। বাইরের সব আবরণ আর আভরণ প্রলেপের মত ঝুলছে তার চারপাশে।
আমি দ্রুত উঠে দাঁড়াই। চোখাচোখি হয় তাঁর সঙ্গে আমার। আমি চিনতে পেরেছি। একটা ভয়ের স্রোত বয়ে গেল আমার শিরদাঁড়া দিয়ে। আমি গুটিয়ে নিলাম রক্ত রঙের আঁচল, আমার ভিজে যাওয়া চুল। মাথা নীচু করে ফেললাম সত্যিকারের রানিকে দেখে। দেখলাম কাঞ্চনমালার বয়স তাঁকে ক্লান্ত করে দিয়েছে। আমি পিছু হটতে লাগলাম একপা, একপা করে। দৌঁড়, দৌঁড়, দৌঁড়। সে যেন কোনভাবেই আমাকে চিনতে না পারে কাঁকনমালা বলে,……একটা হাতের কাঁকণের বিনিময়ে যে এসে কেড়ে নিয়েছিল অন্যের সংসার।
আমি আবার নদীর কূলে। আমি আবার কাঁদি আর কাঁদি। ভাবি, আবার দেখা হবে তাঁর সঙ্গে। তবে এবার আর মধ্যিখান দিয়ে বয়ে যাবেনা এক যুগ, ……এবার আর আমার আর তাঁর মাঝখানে মুচকি হাসবেনা কোনো কাঞ্চ্নমালা-কাঁকণমালার গল্প।
0 মন্তব্যসমূহ