মোমিনুল আজমের গল্প | সিনেমার শেষ দৃশ্য

আমি তাকে জিনাত বলেই ডাকি, যদিও তার নাম জিনাতুলা রোজারিয়া। সে এটি মেনে নিয়েছে এবং এটি নিয়ে তার বেশ কৌতুহলও আছে। লাঞ্চ ব্রেকে একদিন সে বলেছিলো--তোমার প্রথম গার্লফ্রেন্ডের নাম কী জিনাত ছিলো? আমি তাকে জিনাত আমানের কথা বলি। কৈশোর এবং যৌবনের প্রারম্ভে রঙিন স্বপ্নের ডালপালা তাকে ঘিরে যে বিস্তৃতি লাভ করেছিলো সে কথা রসিয়ে রসিয়ে বলি। তার বেশ কিছু ছবি অনেকবার করে দেখেছি এটা বলতেও ভুলিনা। জিনাত আমান সম্পর্কে সে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে। পরের সপ্তাহে তাকে 'কুরবাণী' ছবি নেট থেকে নামিয়ে সিডি করে দিতে হয়েছে। দেখে পরের দিন আহামরি কোন মন্তব্য করেনি, শুধু বলেছিলো--নট ব্যাড।


জিনাতুলা রোজারিয়া মেক্সিকোর মেয়ে। ইউরোপ, আমেরিকা বা এদেশের বেশিরভাগ মেয়ে যেমন ধবধবে সাদা, হলুদ ছাড়া রান্না করা রুই মাছের যেমন রং, তেমনটি নয়। উজ্বল শ্যামলা বলতে যেমনটি বুঝি ঠিক তার চেয়ে একটু ফর্সাই হবে হয়তো। উচ্চতাও লিকলিকে তালগাছ গড়নের জিরো ফিগারের নয়। মেয়েদের উচ্চতার বিষয়টি উঠলে ও প্রায়ই বলে-- এশিয়ার মেয়েদের গডপরতা উচ্চতা আমার, তুমি মনে হয় তা মানবে। আমারও তাই মনে হয়। জিনাতের উচ্চতা কতো তা জিজ্ঞেস করা অভদ্রতা, তবে অনুমান করে বলতে পারি পাঁচ ফুট চার - পাঁচ ইঞ্চির মধ্যেই হবে। জিরো ফিগার করতে গিয়ে অনেকে যেমন কমনীয়তা হারিয়ে ফেলে, চিবুক এবং গলার হাড়গুলি বেমানানভাবে বেরিয়ে পড়ে রুক্ষ প্রকৃতির মতো, জিনাতকে দেখলে তেমনটি মনে হয় না। বরঞ্চ ভালো খাবারের প্রতি তার দুর্বার আকর্ষণ আছে। ক্যাফেটেরিয়ার ভেন্ডিং মেশিনে প্রতিদিন সে একবার উঁকি দেবে। নতুন কোন আইটেম যদি থাকে বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার ফেলে সে দিব্যি সেটা সাবাড করে। চিজ বা বাটারে ভরপুর হলেও সেটি ফেলবে না। যে কারণে তার চামড়ার নীচে একটা চিকচিকে ভাব সবসময়ই থাকে। বয়স হলে এটি মেদ হবে কী না, তা নিয়ে সে কখনও ভাবে না। সে বলে, খাবার এবং সময় যখন যেটা সামনে আসে, তাকে ভোগ এবং উপভোগ করা বুদ্ধিমানের কাজ।

মেক্সিকান মেয়েদের চেহারা অনেকটা আমাদের উপমহাদেশের মেয়েদের মতো। জিনাত আমানের চেহারায় যেমন প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের মিশেলে তৈরি ঠিক তেমনি জিনাতুলা রোজারিয়ার কিছুটা চাপা রঙের সাথে আছে ইউরোপ আমেরিকার মিশেল। সে কারনেই হয়তো তাকে আপন মনে হয়। ভাবতে ইচ্ছে করে আমাদের পূর্বপুরুষের সাথে এদের কোন যোগসুত্র থাকতে পারে। দম বন্ধ করা কাজের মাঝে যে টুকটাক কথা হয় সেটি তার সাথেই। লাঞ্চ ব্রেকে সে যদি ক্যাফেটেরিয়ায় আগে আসে তাহলে তার সামনের সিটে লাঞ্চ ব্যাগটি রেখে দিয়ে অপেক্ষায় থাকে কিংবা আমি আগে আসলে ঠিক এমনটি না করলেও ক্যাফেটেরিয়ার দরজার দিকে চোখটা থাকে, ঢোকার সাথে সাথে দৃষ্টি বিনিময়ের পর সে এসে বসে পাশে বা সামনে। মুলত এটুকুই। কাজের শেষে ফোনে বা নেটে ওর সাথে দু'তিন বারের বেশি কথা হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তবে সামারের সময়টা ভিন্ন। তখন অফিস শেষে অনেক সময়। সূর্য ডুবে অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে নয়টা সাড়ে নয়টা বেজে যায়। শেষ বিকেলের সময়টা টিম হর্টনের দুই কাপ কফি হাতে হয়তো কাটিয়ে দেই। পার্কের বেঞ্চ এ পাশাপাশি বসে শিশুদের উচ্ছাস দেখি। সে সময়ে জিনাতকে কিছুটা আনমনা মনে হয়। জিনাতের সাথে পাবেও গিয়েছি কয়েকবার। সামারের এই পাবগুলো উত্তেজনায় এতো ভরপুর থাকে যে অল্প সময়েই মাথা ধরে যায়। অফিসের সব পার্টির আয়োজন হয় এ সময়েই।

অফিসের পার্টিতে ওর সাথে দেখা হয়। সে তখন থাকে আনন্দ উচ্ছাসে ভরপুর। জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করতে যা বোঝায় সে তাই করে এ সময়টায়। পোষাকে এতোটাই খোলামেলা যে সরাসরি তার দিকে তাকানো যায় না। প্রচুর ড্রিঙ্ক করার কারণে সে থাকে অনেকটা বেশামাল। তখন সে পার্টির এই কোলাহলের মাঝেও অনেক কথা বলে। অনেকটা চাপা স্বভাবের কারণে সে সাধারণত ব্যক্তিগত বিষয় এডিয়ে চলে। কিন্তু এসব পার্টিতে অবচেতন মনে যা বলে ফেলে, তা শুনে আমি অবাক হই । মাঝে মাঝে কিছু কথা বলে ঝরঝর করে কেঁদে দেয়। যাদের জীবন দু:খ কষ্টে ভরপুর, মাদকের তাড়না যে তাদেরকে কাঁদায় সেটি দেখেছি ছাত্র জীবনে। আমাদের পাশের রুমের বড় ভাই, মাঝরাতে টেবিলে মাথা রেখে হুহু করে কাঁদতেন। আমরা পরীক্ষার আগে পড়া ছেড়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে সে কান্না শুনতাম। পার্টির কোলাহল আর হালকা আলোর মাঝে জিনাতের কিছু কথা শোনা যায়, কিছু শোনা যায় না। তার বিষাদ মাখা মুখটাও ভালো করে দেখা হয় না। পরের দিন অফিসে একদম স্বাভাবিক। ব্রেকের সময় দুষ্টমি ভরা চোখে হয়তো বলে-- গতরাতে আমি কী অস্বাভাবিক কিছু বলেছি? ' তেমন কিছু না ' বলে হয়তো আমি অন্যদিকে কথা ঘোরাই কিন্তু তার ভিতরের কষ্টের কথা সবসময়ই জানতে ইচ্ছে করে, তা সরাসরি জিজ্ঞেস করতেও পারি না। জিনাতও তেমন করে কিছু বলে না আবার কৌতুহলটাও বাদ দিতে পারি না।

ইউ এস এ, মেক্সিকোর সাথে এদেশের সম্পর্কটা বোনের মতো। পার্থক্য ইউ এস এ আপন বোন আর মেক্সিকো সৎ বোন। আপন বোন একারণেই বলা-- দেশ ভিন্ন হলেও ইউ এস ডলার দিয়ে যে কোন দোকান থেকে সদাই পাতি কেনা যায়, ব্যাঙ্কে গিয়ে তা বদলানোর প্রয়োজন পড়ে না। এদেশে খাদ্যদ্রব্যের সমস্ত রসদ আসে মেক্সিকো থেকে আর প্রযুক্তির রসদ আসে ইউ এস এ থেকে। তাদের জন্য শিথিল সীমান্ত। এ সুযোগে অনেকেই এসে কাজ করে, পরে স্থায়ী হয়ে যায় এখানে। জিনাতুলা রোজারিয়া এসেছিলো কাজ করতে। এখন সে এটিকেই তার দেশ হিসেবে নিয়েছে।

পরিচয়ের শুরুতে কেউ একজন বলেছিলো জিনাত তার পিছনের জীবনকে ভুলতে একই প্রতিষ্ঠানের এ অফিসে ট্রান্সফার নিয়ে এসেছে কিন্তু জিনাত বলে ভিন্ন কথা। ছোট পুকুরের বড় মাছ হয়ে লাভ কী। বড় পুকুরের বড় মাছ না হতে পারি, মাঝারি বা ছোট মাছ হয়ে থাকাও সম্মানের, অন্তত নিজেকে কুলীন সম্প্রদায়ের ভাবতে পারা যায়। এ নিয়ে তার সাথে আমার চিন্তার ব্যবধানটা বড় হয়ে দেখা দেয় লাঞ্চ বিতর্কের সময়। বিতর্কে সে যখন পরাস্ত হয় হয় অবস্থা তখন সে বলে বসে, তাহলে তুমি এসেছো কেন? এর কোন জবাব না দিয়ে স্যান্ডউইচের মোডকটা খুব যত্ন সহকারে খুলতে থাকি যেন ওর ভেতর থেকে মহামুল্যবান কোন প্রত্নসামগ্রি বেরিয়ে আসবে। নিজেকে তখন অসহায় মনে হয়। মা, মাটি আর মানুষের জন্য মন কাঁদে।

ওর সাথে ঘনিষ্টতা দিন দিন বাড়তে থাকে। বিদেশ বিভুঁইয়ে তখন আর সময়টা জৌলুসহীন মনে হয় না। আগে কারো সাথে কথা বলতে ইতস্তত করতাম, এখন অবলীলায় কথা বলি জিনাতের সাথে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সেসব কথা মনে হয় হৃদয় ছোঁয়া, আন্তরিকতায় ভরা। বিপদে আপদেও একে অপরকে সাহায্য করি। একদিন কাজের সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে জিনাত। অফিস থেকে ৯১১ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। এমারজেন্সি মেডিকেল সার্ভিসের লোকজনের সাথে কারো যাওয়ার প্রয়োজন নেই কিন্তু আমি যাই, কেন গিয়েছি নিজেও জানি না। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছিলাম জিনাতের চোখের কোনে কৃতজ্ঞতার চিকচিকে জলের ফোঁটা, যা হাত তুলে সামলাতে গিয়ে অসাবধানতায় কব্জির স্যালাইনের সুঁচ খুলে ফেলে। এসব নিয়ে অফিসে মাঝে মাঝে আলোচনা হয়। প্রেম বিরহের সম্পর্ক যে দেশকাল ভেদে মুখরোচক তা বুঝতে বাকী থাকে না। এ ঘটনার পরের দিন পাশের ডেস্কের ইরিত্রিয়ার কালো মেয়েটি বলে-- আই থিঙ্ক ইউ হ্যাব অ্যা ডিপ রিলেশন উইথ জিনাতুলা। তার এ ভুল ভাঙ্গাতে যাই না। জিনাতের সাথে সম্পর্কের এ যায়গাটুকু এখনও অস্পষ্ট, তবে আমরা ভালো বন্ধু এটুকু কেউই অস্বীকার করি না।

এবার শীতের শুরুতে মেক্সিকো অফিসের নতুন সফটওয়ারের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়ে যায়। এ অফিস থেকে যেমনটি মাঝে মাঝেই যায় ইউ এস এবং মেক্সিকোতে। আগের দিন সকালে গিয়ে পরেরদিন বিকেলে ফেরা। চার ঘণ্টার ফ্লাই সময়ে এটি কোন সমস্যা হয় না। দলের সাথে জিনাতের নাম দেখে খুশি হয়েছিলাম। তার চেয়ে বড় কথা জিনাত তার বাবা মার সাথে দেখা করে আসতে পারবে।

প্রায় বছরখানেক হয়ে গেল, জিনাত তার দেশে গিয়েছে এমনটি শুনিনি। অনেক আলাপই হয়। দেশের কথা, বাবা মার কথা সে কখনও বলে না। ব্যক্তিগত বিষয় মনে করে আমিও তা জানতে চাই না। তবে এতটুকু জেনেছি, মেক্সিকো সিটিতেই তার বাবা মা থাকেন। বাবা মার সাথে তার সম্পর্কটা শিথিল বলেই মনে হয়। মাঝে মাঝে আমাদের সংস্কৃতিতে বাবা মার অবস্থান কতটা উপরে তা বোঝানোর চেষ্টা করি। সে তখন বলে- 'আমাদের এখানেও ঠিক একই অবস্থা তাদের।' তাহলে তোমার বাবা মার সাথে সম্পর্কের ভিতটা এতো অগভীর কেন, এমন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় না, কারণ সে সময়ে তার মুখ দেখেই বোঝা যায় এর পিছনে গভীর কোন বিষাদের ছায়া আছে।

আমরা যখন মেক্সিকো সিটিতে পৌঁছি, তখন পুরো বরফের শহর মেক্সিকো। দেখে মনে হয় পুরো শহর জুড়ে কেউ রেশমের সাদা চাদর বিছিয়ে দিয়েছে। শ্বেত ভল্লুকের দেশের সাথে এর পার্থক্য--এখানে শীতে বরফ হয়ে থাকে পাথরের মতো, রোদ ধুলোবালি পড়ে মাঝে মাঝে তা ব্লাক আইসে পরিণত হয়, যার উপর দিয়ে গাড়ী কিংবা পায়ে হেঁটে চলা বিপদজনক। কিন্তু মেক্সিকোর বরফ পেঁজো তুলার মতো, দেশে শিমুল ফুটে যেমন তুলা ঝরে পড়ে ঠিক তেমনি, মাত্রা একটু বেশি, অবিরাম পড়তে থাকে। রাস্তায় চলন্ত গাড়ীর পিছনে ধুলোর মতো তা উড়তে থাকে।

একদিনের কর্মসুচি তাই পৌঁছার পর থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ততায় কেটে গেল। ডিনার সেরে একেবারে হোটেলে এসে পৌঁছেছি। ভেবেছিলাম জিনাত যাবে ওর বাড়িতে। আমাকে অবাক করে দিয়ে সবার সাথে সে হোটেলেই উঠল। হোটেলে আসার পথে অনেকটা বিষণ্ন মনে হলো তাকে। এসব ট্যুরে যা হয়, অনেকে মাতিয়ে রাখে সারাটা সময়। অন্যান্য ট্যুরে জিনাতই তা করেছে, কিন্তু এ ট্যুরে সে গম্ভীর। মনে হলো আষাঢ়ের জমাট বাঁধা মেঘ, বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে চায় কিন্তু পড়েনা।

পরের দিন সকালে হোটেলের ব্রেকফার্ষ্ট রুমে জিনাতের সাথে দেখা। ফোলা ফোলা চোখে বিষাদের ছায়া। বুঝতে পারি সারারাত অনিদ্রায় কেটেছে তার। অনধিকার চর্চা করেই বলি--বাবা মার সাথে দেখা করার কথা। সে কিছুক্ষণ নির্বাক থেকে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়। ব্রেকফার্ষ্ট রুম থেকেই ফোন করে। এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে তাদের সাথে দেখা করে যাবে।

দিনের তেমন কোন কর্মসুচি ছিলো না। মেক্সিকো অফিসের সিইও আমাদের ব্রিফ করবেন। সেটি সারতে সারতে বিকেল তিনটা। সন্ধ্যা ছয়টায় ফিরতি ফ্লাইট। সবাই মাইক্রোবাসে যাবে এয়ারপোর্টে। কী মনে করে জিনাত আমাকে তার ট্যাক্সিতে নিয়ে নিল। হোটেল থেকে বিশ মিনিটে পৌঁছে গেলাম শহরতলীর একটি বাডীতে। বোঝা যায় সবুজে ঢাকা থাকে এ বাড়ীটি। শীতের শুরুতে পাতা ঝড়ে গাছপালাগুলো কঙ্কালসার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুক্ষ প্রকৃতির কাছাকাছি যেতেই জিনাতের মাঝে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করলাম, কিছুটা অস্বাভাবিক সে। ট্যাক্সি দাঁড়াবে না সোজা চলে যাবে তা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছে। দুর থেকে দেখলাম পাঁ ছয় বছরের ফুটফুটে একটা মেয়ে মাঝ বয়সি একজন লোকের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পিছনে বয়ষ্ক একজন পুরুষ ও মহিলা । আমার বুঝতে বাকী রইলো না তারা জিনাতের বাবা মা। কথামতো ট্যাক্সি ড্রাইভওয়েতে থামতেই মাঝ বয়সি লোকটির হাত থেকে ছুটে পেঁজো তুলোর মতো বরফ উডিয়ে আগাগোডা পিঙ্ক জ্যাকেটে মোড়ানো দেবশিশুর মতো মেয়েটি দৌঁড়ে এলো। জিনাত ট্যাক্সির দরজা খুলে সেখানেই বসে পড়লো। দুহাত উঁচু করে 'মম' বলে চিৎকার দিয়ে মেয়েটি ঝাঁপিয়ে পডলো জিনাতের বুকে।

সিনেমার শেষ দৃশ্যের মতো আমি ট্যাক্সিতে নির্বাক বসে ফোঁপানো কান্না আর কাপড়ের খসখস শব্দ শুনতে থাকলাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ