রিমি মুৎসুদ্দি'র গল্প : সাড়ে ছ’টার ক্যানিং লোকাল


অন্ধকার রাস্তায় চলন্ত গাড়ীর আলো রাস্তাটাকে পিচ্ছিল করে দিচ্ছে। এগুলো বেশীরভাগই ট্যুরিস্ট গাড়ী। শীতকালেই যত ট্যুরিস্টদের আনাগোনা। সোঁদরবনের রাজার দেশে রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে শহরের মানুষের এখন নিত্য যাতায়াত। হুশ করে চলে যাওয়া গাড়ীগুলোর চলন্ত আলোয় তরুবালার চোখ ধাঁধিয়ে যায়। দ্রুত সে এগিয়ে যায় বাসন্তী হাইওয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে। ভোর পাঁচটার ট্রেকার ধরতে না পারলে সাড়ে সাতটার ক্যানিং লোকাল মিস হয়ে যাবে।



হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে তরুবালা বুঝতে পারে আজ সারাশরীরের সঙ্গে তার পা’দুখানিও বড় বেইমানি করছে। সেই অন্ধকার থাকতে বেরিয়েছে। এখনও অর্ধেক রাস্তাও এসে পৌঁছাতে পারে নি। অথচ পৌনে পাঁচটা বাজে। আজ তার কাজে যাওয়ার মনই নেই। কাল সারারাত ধরেই ছেলেটার গা গরম। কিছুই খেতে পারছে না। বারদুয়েক বমিও হয়েছে। রাতজেগে সে ছেলের মাথায় জলপটি দিয়েছে। সকালবেলা তো ছাড়তেই চাইছিল না মা’কে। তরুবালার সবেধন নীলমণি ওই একটাই ছেলে সুবল। মাত্র বছর আটেক বয়স। এতটুকু বাচ্চা শরীর খারাপের সময় মায়ের সঙ্গ তো চাইবেই।

তার যে কোন উপায় নেই আজ। কাজের বাড়ির বৌদির অফিসে কি একটা জরুরী কাজ আছে। এ মাসে দুদিন কামাই আগেই হয়ে গিয়েছে। সেবার তো এমন জ্বর হয়েছিল যে বিছানা ছেড়ে টানা দুদিন উঠতেই পারে নি। বৌদি স্পষ্ট বলে দিয়েছে, এ মাসে আর কোন কামাই করলে সেন্টারে ফোন করে লোক বদলে দিতে বলবে।

দ্রুত এলোমেলো পা ফেলতে গিয়ে গাড়ী চাপা পড়ে বুঝি সে। বাসস্ট্যাণ্ডে পৌঁছে দেখে ট্রেকারটা প্রায় ছেড়ে যাচ্ছিল আর কি! চায়ের দোকানের বিশু তরুবালাকে দৌড়ে আসতে দেখে দাঁড় করায়। সাড়ে ছ’টার ক্যানিং লোকাল ট্রেনের লেডিজ কামরায় উঠে এইবার শান্তি পায় সে। একমুহুর্তের জন্য তরুবালার নিজেকে ভারমুক্ত মনে হয়।

বাসন্তী থেকে আসে কৃষ্ণা। গড়িয়ায় এক বাড়ীতে আয়ার কাজ করে সে। এই ক্যানিং লোকালেই গতমাসে আলাপ হয়েছিল। স্বামী মারা গিয়েছে সদ্য। খুব অভাব, কাজের খোঁজেই সে বাড়ী থেকে বেড়িয়েছিল। তরুবালা সেদিন তাকে নিজের সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কথা বলে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কৃষ্ণা রোজ তরুবালার জন্য বসার জায়গা রেখে দেয়।

আজও জানলার ধারের সীটে বসেছে সে। শীতকাল তাই রক্ষে। গরমকাল হলে রোদের তেজে এতক্ষণে ভাজা ভাজা হয়ে যেতে হত। বন্ধ জানলার ফাঁক দিয়েও ঠাণ্ডা বাতাস একেবারে হাড়ে কামড় বসাচ্ছে। শরীর, মন দুটোই বড় দুর্বল তার। চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। ঘুমে ঢুলে পড়ছিল সে। কৃষ্ণার ডাকে ঘুম ভাঙল তার।

‘বলি, ও দিদি, ঘুমোলে নাকি?’ বন্ধ হয়ে যাওয়া চোখের পাতা কোনক্রমে খুলে মাথা নাড়ে তরুবালা। কৃষ্ণা বলে চলে, ‘বাড়িটা এবার পাল্টাতে হবে, দিদি। বড় খিটমিট করে।’

আবারও চোখ বন্ধ করেই তরুবালা উত্তর দেয়, ‘সবই এক। মানিয়ে গুছিয়ে নে না।’

‘আরে না গো, আমি তো মানিয়েই নিয়েছি। বুড়োটার উপর কেমন যেন মায়াও পড়ে গেছে। তবে ছেলের বউটা!’

কৃষ্ণাকে মাঝপথেই থামিয়ে দেয় সে, ‘আঃ! ছাড় তো! সারাদিনটাই কাজের বাড়িতে কেটে যায়। এইটুকু সময়ে আর ভাল লাগে না কাজের বাড়ির বকবকানি।’

কৃষ্ণা থামে না। অনর্গল কথা বলে যায়। কখনও চম্পাহাটির মেয়ে রেজিনার গল্প বলে কখনও বা নিজের কথাই বলে চলেছে। তরুবালা ভালো করে লক্ষ করে কৃষ্ণা আজ গলায় একটা মোটা পুঁতির মালা পরেছে। বড় বেশী উছ্বল সে। স্বামী মারা গিয়েছে প্রায় একবছর হতে চলল। চম্পাহাটির সবজি বিক্রেতা করিম রেজার সঙ্গে ওর ভাবভালোবাসা রয়েছে। করিমের ঘরে আবার বিবি রয়েছে। বিয়ে হয়ত তাদের কখনই হবে না।

নিজের হাজারও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে অন্যের কথা শুনতে ভালই লাগে তরুবালার। অন্যের যন্ত্রণা শুনলে কিছুটা নিজের কথা ভুলেও থাকাও যায়। আবার ভালও লাগে এইভেবে যে সে একা নয়, তার মত দুঃখ, কষ্ট, অভাব আরো অনেকেরই সঙ্গী।

সাড়ে ছ’টার ক্যানিং লোকালে প্রতিটা স্টেশনেই ভিড় বাড়তে থাকে। এই ভিড়ের সকলেরই গন্তব্য কাজের বাড়ি। কেউ নেমে যাবে সোনারপুর, কেউ যাদবপুর কেউ বা গড়িয়া। এই সামান্য সময়টুকু ঘিরে কত হাসি ঠাট্টা, গল্প, ঝগড়ায় সুখ দুঃখ ভাগ হয়ে যায় উদায়স্ত পরিশ্রম করা সকল সহযাত্রীদের মধ্যে। সাড়ে ছ’টার ক্যানিং মিস হয়ে গেলে যেমন অনেকেই সময়মত কাজে পৌঁছাতে পারবে না, সেরকমই সারাদিনের কর্মময় জীবন থেকে নিজেদের জন্য বাঁচিয়ে রাখা কিছুটা সময়ও যেন হারিয়ে যাবে সেই দিনের পাতা থেকে।

সোনারপুর পৌঁছে তরুবালা দেখে অটোর স্ট্রাইক। বহু কষ্টে কাজের বাড়ী পৌঁছালেও যথারীতি লেট। বাড়ীতে ঢুকতে না ঢুকতেই বৌদির মুখ ব্যাজার। তরুবালাকে শুনিয়েই দাদাকে বলছে, ‘সেন্টারে একটু ফোন করো তো! সবসময় আমরাই সুবিধা অসুবিধা দেখব। আমাদেরও তো অসুবিধা আছে।’

সুবিধা অসুবিধা বলতে গতমাসে মাইনের কিছু টাকা আগাম নেওয়ার কথাটাই বলছে বৌদি, তা সে বেশ বুঝতে পারে। এ মাসেও তো আগাম কিছু টাকার দরকার। ছেলেটার জ্বর। ডাক্তার ওষুধ খরচা তো আছেই। কিভাবে বলবে শুধু বুঝতে পারে না সে।

‘আমাকে ঠাণ্ডা জল দাও। জল খাব।’ বোতলটা ফ্রিজ থেকে বার করে টেবিলে রাখার সঙ্গে সঙ্গেই দিয়া ঢকঢক করে ঠাণ্ডা জল গলায় ঢেলে ফেলল। ভোরের দিকে ঠাণ্ডা হাওয়া ছাড়া এখন শীতকাল বোঝার উপায় নেই। তবুও এই দুপুরবেলা স্কুল থেকে ফিরেই ছোট্ট মেয়ে দিয়ার ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল খাওয়া দেখে তরুবালার বুক কেঁপে উঠল। জ্বর না আসে মেয়েটার। এ’কদিনেই মেয়েটার উপর মায়া পড়ে গিয়েছে। তার সুবলের থেকে বছর দুয়েকের ছোটই হবে দিয়া। দুজনের মধ্যে জমিন আশমান ফারাক। দিয়া উছ্বল চনমনে। আর ওর ছেলে প্রায়ই অসুখে ভোগে। রোগা, শান্ত, মুখ দিয়ে কথাই সরে না। দিয়া অনর্গল কথা বলে চলে। দিয়াকে সে মোটেও হিংসা করে না। শুধু চায় তার ছেলেটাও একটু ভালভাবে বড় হোক। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? ছোট ছোট চাওয়া, ইচ্ছেগুলো শুধু টুপ করে পড়া চোখের জলের মতই মিলিয়ে যায়।

প্রচুর বায়নাক্কার পর দুপুরের খাওয়া শেষ করেছে দিয়া। এইবার তার ফলের রস খাওয়ার কথা। ফলের রস প্রতিদিনই একচুমুক দিয়ে মুখচোখ কুঁচকে ফেলে দেয় সে। বাকীটা তরুবালাই চুমুক দিয়ে শেষ করে। এখনও পর্যন্ত তরুবালার সময় হয় নি একটু দাদার মোবাইলে ফোন করে ছেলের খোঁজ নেয়। ওর মা রয়েছে বাড়ীতে। পাশের বাড়ীতে দাদাবৌদিও রয়েছে। দাদার দোকানঘর বাড়ির মধ্যেই। তা’ও শরীর খারাপের সময় ছেলেটার মায়ের সঙ্গ না-পাওয়ার অভাব কি মেটে?

এবাড়ির বৌদি অবশ্য তরুবালাকে কুঁড়ের হদ্দ মনে করে। বৌদির কথা অনুযায়ী, সারাদিন ওর কোন কাজই নেই। শুধু পাখার তলায় বসে টিভি দেখা ছাড়া। টিভি যে সে একটু আধটু দেখে না, তা নয়। দুপুরবেলা বাচ্চাটা ঘুমোলে তারও একটু ঝিম ভাব আসে। সেই কোন অন্ধকার থাকতে উঠে রওনা দেয়। রাতে ঘুমের মধ্যেও সাড়ে ছ’টার ক্যানিং লোকাল তার মাথার মধ্যে ঘোরে। একদিন ট্রেন ধরতে না পারার মানে একদিনের রোজগার নষ্ট। সেন্টারের লোক হওয়ার জন্য তার মাইনে দিনমজুরের মত দিন হিসাবে।

ঘুম অবশ্য আসে না তার। রাজ্যের ভাবনারা মাথায় ভর করে আসে এইসময়ে। মনে পড়ে যায় মানুষটার কথা। দুকেজি চাল ধার করে এনে নামিয়ে রেখে মানুষটা বলেছিল, ‘ভাত বসা। শহর থেকে সাহেবরা এয়েছে। নাজিম মিয়াঁ অর্ডার দিয়েছে, ক’খান কাঁকড়া নামিয়ে দিয়ে আসি গে।’ মা বনবিবির নাম স্মরণ করে দুহাত তুলে প্রণাম করে তরুবালা বলেছিল, ‘সাবধানে ফিরো!’ বউয়ের গালে আর ঠোঁটে হাত ছুঁয়ে সে বলেছিল, ‘রাখে বনবিবি মারে কে? আমারে বাঘে নেবে না, তোর ভয় নেই।’ বড় শেয়ালের নামটা শুনেই কেঁপে উঠেছিল সে। এই ভরদুপুরে নামটা না নিলেই বোধহয় ভাল করত মানুষটা।

আজও সেই ‘আঠারো ভাটির দেশ’, খাড়ি-জঙ্গলের কথা মনে পড়লে বুকের ভেতরটা খালি হয়ে যায়। এই শীতে ছ’বছর হতে চলল। অমন জোয়ান মানুষটার দেহটা যখন নিয়ে এসেছিল তখন একেবারে ন্যাতা হয়ে গেছে। ঘাড়ে দুটো ফুটো আর ঈষৎ খোলা চোখ, স্বামীর সেই মরা মুখটাই মনে আছে তরুবালার।

বাদাবন, হোগলার জঙ্গল ছেড়ে সে এসেছে প্রায় বছর পাঁচেক হতে চলল। তবু এখনও মনে হয় উঠোনে দাঁড়িয়ে এই বুঝি হাঁক পাড়বে মানুষটা, ‘কই গো পাত পাড়ো, ডিঙা ভাসাইতে হইব যে!’

বাতিল হয়ে যাওয়া নৌকাডুবির স্মৃতি নিয়ে ভাঙাচোরা নৌকার মতই ভাসতে ভাসতে সে গিয়েছিল মাতলার তীরে ক্যানিং ঘাটে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোতলা দফতরে। কাঁচ ঢাকা টেবিলের ও পারে কলম ঠুকছেন বন কর্তা, ‘সময় তো একটু লাগবেই ভাই, খোঁজখবর না করে ক্ষতিপূরণটা দেব কী করে!’ জোয়ার-ভাটা ঠেলে নদী উজিয়ে দ্বীপের ঘাটে আসতে মাস গড়িয়ে ভাদুরে মেঘ এসে পড়ল আকাশে। তত দিনে বাঘে টানা মানুষটার স্মৃতি আর অভাব দুইয়ের মিশেলেই তরুবালা জেরবার। সঙ্গে বছর তিনেকের ছেলে। ক্যানিং থেকে দাদা এসে বললে, ‘তুই এই বাদাবন ছেড়ে চল দিকিনি আমার সঙ্গে। না, আমি তোরে খাওয়াতে পারব না। তবে কাজ জুটিয়ে দিতে পারি। সোনারপুরের দিকে প্রচুর আয়া সেন্টার হয়েছে। গতর খাটাতে পারলে খাওয়ার অভাব হবে না।’ সেই হোগলার জঙ্গল ছেড়ে, দক্ষিণ রায়ের সাম্রাজ্যের পাট চুকিয়ে তরুবালার ডাঙায় পা রাখা।

এইসব কথা মনে পড়লে তরুবালার ভেতরটা দুমড়ে মুচরে যেতে থাকে। সে তাড়াতাড়ি টিভি চালিয়ে দেয়। এইসব স্মৃতি পুড়ে তো সোনা মেলে না, শুধুই ছাই পড়ে থাকে। এর থেকে সুখের বিজ্ঞাপন দেওয়া টিভি সিরিয়ালগুলোই ভাল।

ছেলের জ্বরটা বেড়েছে। একেবারে নেতিয়ে রয়েছে। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই তরুবালার মন অস্থির হয়ে আছে। বাড়ী যাওয়ার জন্য ছটফট করছে সে। বৌদিরও আজ আসতে দেরী হচ্ছে। টি ভি সিরিয়ালে এক স্বামী তার দুটো বউ, প্রথম বউকে চরিত্রহীন বলে গালাগাল দিচ্ছে। এসব কোন কিছুই তার আজ ভাল লাগছে না। বারবার অস্থির চোখ ঘড়ির কাঁটায় চলে যাচ্ছে।

বৌদির একটু দেরী হওয়ায় সে বিন্দুমাত্র ক্ষোভ প্রকাশ না করে বহু কষ্টে আগাম কিছু টাকা ধার চাইল। সঙ্গে সঙ্গে বৌদির মেজাজ তিরিক্ষে। ‘টাকা কি গাছে ফলে? সবসময়ে ঘরে টাকা থাকে নাকি? টাকা জমাতে কবে শিখবে? প্রতি মাসেই তো তোমার আগাম টাকার প্রয়োজন হচ্ছে?’ অনর্গল আরো অনেক কথা বৌদি বলেই চলেছে।

শরীর মন দুটোই অবসন্ন। মেজাজ শান্ত রেখেছে সে। একবার মনে করল কাজটা বুঝি ছেড়ে দেয়। অন্য কোথাও এর থেকে কি আর ভাল হবে? তাই কোন মতে সে বলে, ‘ছেলেটার শরীর খারাপ বৌদি। কাল রাতভর জ্বর। দাদাকে দুপুরে ফোন করেছিলাম। ধুম জ্বর। একেবারে নেতা হয়ে রয়েছে ছেলেটা।’

‘তা জ্বর হবে না তো কি? বাচ্চাকে জন্ম দিলেই হয় না, যত্ন করতে জানতে হয়।’ বৌদির এইকথার কোন উত্তর দেয় না সে। একে কী করে বোঝাবে যত্ন করার সামর্থ্য থাকলে ছেলের শরীর খারাপে সে এখানে পড়ে থাকত না।

টাকা না দিলেও বৌদি জ্বরের ওষুধ একপাতা দিয়ে দেয়। ফোনে একবার ছেলের খোঁজ নিতেও বলে। তরুবালা আর ফোন করে না, সোজা বাড়ির জন্য রওনা হয়।

অটো স্ট্রাইক তাই হেঁটেই স্টেশনে যাচ্ছে সে। এমনিতে হেঁটেই স্টেশনে যায় সে। দুটো পয়সা বাঁচে তার। আজ শরীর একেবারে অবসন্ন। ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, কোনমতে পা টেনে হাঁটছে সে। অসুস্থ ছেলেটার গভীর শোকভরা চোখ, মৃত স্বামীর ফ্যাকাশে মুখখানা যেন বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। মনটায় বড় কু ডাকছে। ওই একরত্তি ছেলেটাই তো তার সব। বেঁচে থাকার ভরসা।

ভাবনাটাকে দূর করতে সে নিজেকে প্রবোধ দেয়। দ্রুত পা চালাতে হবে। কাল আবার সাড়ে ছ’টার ক্যানিং ধরতে হবে। আরও কত তরুবালাদের মত ভাসতে ভাসতে তাকেও ডাঙায় উঠে আসতে হবে। ঝুপঝাপ বৈঠা মারতে মারতেই পার হতে হবে এই বিশাল নদী।

...........................................................
একটি বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ