জয়ন্ত দের গল্প : আমাদের ছোট নদী



একটা মানুষের একেকরকম সমস্যা। সমস্যা শুধু তো আর সমস্যায় থেমে থাকে না। একটা সময় চতুর্দিকে দৌড়োদৌড়ি করে, বুকের ভেতর দপ দপ, মাথার ভেতর ঢক ঢক করে, তখন সেটা টেনশন হয়ে যায়। টেনশন বড় ডেঞ্জারাস ব্যাপার।

মাধব এই সার কথা বুঝেছে। সমস্যা ওরও আছে বিস্তর। তবু ও কোনও ব্যাপারেই টেনশন করে না। যা হচ্ছে হোক। সে পাশ ফিরে শোয়। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে হাঁটে।

অথচ মাধবের বউ মালতীর এক একটা সমস্যা, তার সঙ্গে জুড়ে এক গলা টেনশন। তার প্রথম সমস্যা ছিল মাধবকে নিয়ে। মাধবের রোজগারপাতি তেমন যুৎসই নয়। রোজগার বাড়াতে হবে। বিয়ের আগে থেকেই মালতী পই পই করে মাধবকে এ কথা বলেছে। আর প্রতিবারেরই মাধব বাধ্য ছেলের মতো ঘাড় নেড়েছে। পাখি-পড়ার মতো করে মালতী বলেছে, “আমি কী বললাম?’

মাধব মুখস্ত বলেছে -- সৎপথে থেকে ইনকাম বাড়াতে হবে।

মালতী তখন বুঝেছিল তার হবু বর তার কথা ঠিক ঠিক বুঝেছে। আর শুধু বোঝেনি কথাটার মধ্যে ‘সৎপথে থেকে’ জুড়েও দিয়েছে। তখনই মাধব আরও বলেছে, ‘বুঝলে তোমার বাক্যির সঙ্গে সৎপথে কথাটা জুড়ে দিলাম। এতে সমস্যা থাকল না। টেনশন ফ্রি!’

বোঝাবুঝির পালা শেষে মালতী মাধবের গলায় মালা দিয়েছিল। কিন্তু মালা শুকোবার আগেই মালতী বুঝল, মাধব সৎপথে থাকবে, কিন্তু রোজগার বাড়াবে না।

মালতীও ছাড়নেওয়ালা মেয়ে নয়। সে তার মায়ের কাছ থেকে শিখে এসেছে—প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে হয়। সে তার দিদিমার কাছ থেকে বরকে জব্দ করার মন্ত্র শিখে এসেছে। তার দিদিমা ফিসফিস করে তাকে বলে দিয়েছে, কোনও বেগড়বাই দেখলেই মিনসেকে বিছানায় তুলবি না। দু চারদিন হামলাতে না পারলেই দেখবি ঢিঢ হয়ে গেছে। বিয়ের সপ্তাহখানেক কাটার পর মালতী মাধবকে বলল, “সংসার হয়েছে, আগে মা আর ছেলে ছিলে এখন আমি এসেছি।’

মাধব লক্ষ্মীছেলের মতো ঘাড় নাড়ে। মালতী বলে, 'এরপর চারজন হবে।'

মাধব বলে, ‘তারপর পাঁচজন হব। আমরা দুজন আমাদের দুটি।’

মালতী হাসে। হাসি সম্মতির লক্ষণ। বলে, ‘তাহলে ইনকাম তো বাড়াতে হবে।’

‘সৎপথে।’

মালতী বলল, ‘একসপ্তাহ হতে চলল তুমি কাজে বেরুচ্ছ না। এমন করলে ইনকাম বাড়বে কী করে?’

মাধব মিঠেমিঠে হাসল, বলল, 'নতুন বউ ছেড়ে যেতে মন চাইছে না।’

মাধবের কথায় মালতী গলে যাচ্ছিল। কিন্তু গলতে গলতেও নিজেকে ঠেকাল। বলল, ‘ঠিক আছে সাতদিন হয়েছে, আর তিনদিন হলে দশ হবে। তুমি দশদিন সাধ আহ্লাদ করো। একাদশী থেকে কাজে বের হবে।’

কিন্তু দশ থেকে এগারো, বারো, তেরোদিন মাধব তার বউকে ছেড়ে কাজে যাওয়ার নাম করল না। জমানােয় টাকায় হাত পড়ে গেছে। মাধবের মা টিপ্পনি কেটে বলল, ‘ও ওর বাপের ধারা পেয়েছে। নতুন বউ নিয়ে এখন কম খেলবে! এরপর পেটে টান পড়লে লাঠালাঠি লাগবে। আমাকে তো পিটিয়ে কাছছাড়া করাতে হয়েছিল। দিন রাত চোখের সামনে এই বকবকম কার ভালো লাগে। যাই, আমি মেয়ের বাড়ি যাই। দিন পনেরো কাটিয়ে আসে।’

শাশুড়ির কথা শুনে মালতীর লজ্জায় মাথা কাটা গেল। ছিঃ! ছিঃ!

মা চলে যেতেই। মাধব মুচকি হাসল, বলল, ‘সৎপথে থেকেও ইনকাম তো বাড়ল। সংসার থেকে একজন কমল।’ তখন মালতী প্রথম ঝটকা দিল। বলল, “ধুত্তোরি অনেক খেলেছ, এবার আব্বুলিশ দাও। খেলা বন্ধ রাখো। নতুন বউ পুরনো হয়ে গেছে। তুমি আগে কাজে যাও।’

প্রায় গলা ধাক্কা খেয়ে দিন পনেরো পর মাধব কাজে বেরুল। তারও দিন পনেরো পর মাধবের মা ফিরে এল। ভরা সংসার রোজগার বাড়ল না।

মাস তিনেক কাটার পর মালতী তার দিদিমার মন্ত্র অ্যাপ্লাই করল। ঠিক করল মিনসেকে থুড়ি মাধবকে আর বিছানায় উঠতে দেবে না। ইনকাম বাড়িয়ে মাধবকে বিছানায় উঠতে হবে। মাধবের ঠাই হল পাশের ছোট তক্তপােশে। তবে তাতেও মাধবের হ্যাৎক্যাৎ নেই। সে সেখানে শুনে নাক ডাকাল। আর এখানে এত বড় খাটে মালতী হাহুতাশ করল। শুন্য শুন্য লাগে! শেষে মাধবকে খাটে টেনে এনে নিয়ে এল, অচিরেই তিনজন হল।

তিনজন!

মালতীর টেনশন বাড়ল। অথচ মাধবের রোজগার বাড়ল না। তবে মাধব সৎপথে থাকল। ওর টেনশন নেই। তবে সমস্যা আছে।

মাধবের মেয়ে হল। মেয়ে দেখে মাধব খুশি। কেন না মেয়ে মানেই লক্ষ্মী!

কিন্তু মালতীর আবার টেনশন শুরু হল। মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। এক কাঁড়ি টাকা লাগবে।

তবে মেয়ের পয়ে মাধবের আয় বেড়ে গেল। ওর কাজ ছিল ছোটখাট পুকুরের পাইলিং করা। মস্ত হাতুড়ি লোহার তারের কপি কলে বাঁধা, সেটা বড় বড় শাল বল্লা মাথার ওপর ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে মাটিতে গেঁথে দেওয়া। তারপর তার গায়ে পিচের টিন মারো। মেরে পাড় বাঁধাও। যাতে মাটি না সরে। ধস না নামে।

একদিন হঠাৎই মাধব বেশ বড় এক পুকুরের পাইলিং-এর কন্ট্রাক্ট পেল। গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি কাজ। এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তা বিশুবাবুর হাত পড়ল তার মাথায়।

মাধবের মনে হল সে বেশ ছিল। এত বড় কাজ মানেই নানা সমস্যা। সে করবে কি না ভাবছিল। কিন্তু মালতী বলল, ‘থমকালে চলবে না, করো।’

মাধব বলল, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ মনে নানা দুনম্বরি। আমার রোজগারের টাকা অন্য লোকে খাবে। আমার দরকার নেই সরকারি কাজে।’

বউ বলল, “তুমি লাইনে ঢােকো ইনকাম বাড়াতে হবে।”

মাধব বলল, “ওদের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে। টাকার বিল আটকে থাকবে—ও অনেক ঝামেলা।”

বউ বলল, ‘সবাই করে খাচ্ছে—তুমি পিছিয়ে থাকবে কেন—'।

মাধব ব্যাজার মুখে লাইনে ঢুকল। আর মালতীর খুব টেনশন হল—মাধব পারবে তো সবদিক ম্যানেজ করতে?

পঞ্চায়েত কর্তা বিশুবাবু বলল, “মাধব তুই আমাদের চেনাজানা লোক। তোর থেকে কমিশন চাইব না। তুই এক কাজ করিস তোর গুনতি থেকে চারটে খুঁটি আমাকে দিস। আমি গোয়াল ঘরে খুঁটি দেব।'

মাধব গোঁজ মেরে মনে মনে ভাবল ছাই দেব। চারটে খুঁটির কত দাম! লাভের গুড় সে পিপড়েকে খাওয়াবে না। মাধব কথায় কথায় সে কথা মালতীকে বলল। মালতী বুঝল তার টেনশন শেষ। বিশুবাবু মাধবকে নিজের লোক বানাচ্ছে। সে বলল, “আরে বোকা লোক, তুমি পকেট থেকে চারটে খুঁটি বিশুবাবুকে দেবে কেন? পাইলিং-এর খুঁটি থেকেই চারটে ওকে দাও। আর চারটে আমাদের জন্যে আনো। মাছের তেলে মাছ ভাজো।”

মাধব বলল, “তাহলে কাজে যে ফাঁকি হবে। পাইলিং-এ ত্রুটি থেকে যাবে।”

মালতী বলল, “অত বড় কাজ কেউ বুঝবে না। বিশুবাবু খুঁটি না পেলে কাজে খুঁত ধরবে। বিলের টাকা আটকে যাবে।”

মাধব পঞ্চায়েত কর্তা বিশুবাবুকে চারটে খুঁটি দিল কিন্তু বাড়ির জন্যে চারটে আনল না। অত অসৎ পথে সে যেতে পারবে না। সে দুটি আনল। তবে কাজটা সে করেও ফেলল যথাসময়ে। আর যথাসময়ে করার জন্য তার বেশ সুনাম হল। মাধব হল কাজের লোক। তাকে ভরসা করা যায়। বিলের টাকাও পেয়ে গেল।

এবার সে একটা দিঘির পাড়ের পাইলিং-এর কাজ পেল। সরকারি কাজ।।

পঞ্চায়েত কর্তা বিশুবাবু বলল, “মাধব তুই আমার নিজের লোক। তোর থেকে কমিশন চাইব না। তুই আমাকে দশটা খুঁটির দাম ধরে দিস।

দশটা! বিশুবাবু তো ডাকাত! দশটা খুঁটির দাম দিলে, তার লাভ কী থাকবে? সব টাকাই তো এই বিশুবাবু খেয়ে যাবে!

মাধব ভাবল, ধুর শালা রইল তোর সরকারি কাজ! থাকল ঝোলা, চলল ভোলা!

মাধব বাড়ি ফিরে মালতীকে বলল, “দশটার দাম বিশুবাবু চাইছেন। মগের মুল্লুক! আমি করব না ওই কাজ।”

মাধবের গোঁ দেখে মালতী প্রথমে টেনশনে পড়ে যাচ্ছিল। পরে মাথা খাটিয়ে বলল, 'নো প্রবলেম। তুমি পনেরোটা খুঁটি কম কেন। তার দশটার দাম বিশুবাবু পাবে আর পাঁচটার দাম আমাকে দেবে। সােজা হিসেব।

মাধবের মাথায় হাত, ‘পনেরোটা হিসেব থেকে কম মানে পাইলিং-এ গলতি থেকে যাবে। মালতী অভয় দিল, গলতি বুঝতে বুঝতে দশ বছর। তখন তুমি কোথায়?

এবার মাধব পঞ্চায়েত কর্তা বিশুবাবু ও বউয়ের কথা শুনল পনেরোটা খুটি কিনল না। সেই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিল।

দিঘির পাইলিং-এর কাজ শেষ হল সময়ের আগেই। মাধবের ডবল সুনাম হল। বউয়ের নতুন কানপাশা হল। সুনামের সঙ্গে মাধবের পয়সাও হচ্ছে। পয়সা হলে বন্ধু বান্ধব হবে। মাধবের বন্ধু গোপাল বলল, ‘সারা জীবন পয়সাই রোজগার করবি, একটু আমোদ আহ্লাদ কর।'

মাধব গোপালের সঙ্গে বসে কষা মাংস দিয়ে বিলাতি খেল। বেশ ভালো লাগল। খাওয়া শুরু করার পর পর জর্দা দেওয়া পান খেয়ে বাড়ি ঢুকত। কিন্তু একদিন জর্দার গন্ধ টপকে মাধব মালতীর হাতে ধরা পড়ে গেল। সারা বাড়িতে সে এক দক্ষযজ্ঞ কান্ড। ওদিকে মালতীর সে কী টেনশন। কে তার এই সর্বনাশ করছে? তল্লাশি চালিয়ে মালতী নাম পেল গোপালের। সে গোপালের গুষ্টির তুষ্টি করল। তবে তার টেনশন কাটল না।

কদিন পরে মাধব এসে গোপালকে বলল, 'সরি।’

গোপাল বলল, “আরে আমি কিছু মনে করিনি। তুই আজ খেয়ে যা। গিয়ে বিশুবাবুর নাম বল। দেখবি এবার কিছু হবে না।’

মাধব তাই করল। এবং সত্যি সত্যি মালতী তাকে কিছু বলল না। উলটে রাতে একটু বাড়তি সােহাগ করল, বলল, ‘বিশুবাবুকে বলো একটা বড় কাজ দিতে।’

সত্যি সত্যি মাধব একটা বড় কাজ পেলো। ব্রিজ তৈরির আগে নদীর পারের পাইলিং করার কন্ট্রাক্ট। ব্রিজের প্রতিটি পিলারকে ঘিরে পাইলিং। সে এক দারুণ ঝকমারি কাজ। এই ব্রিজ তৈরি হলে ভোঁ করে শহরে। অনেক রাস্তা কমে যাবে। শহর হবে যাওয়াআসা হবে জলভাত।

মাধব দিন রাত জেগে নদীর পাড়ে পড়ে থাকল। বড় কাজ। অনেক টাকা। চারদিকে দিতে থুতে হবে অনেক। পঞ্চায়েতবাবু শুধু নন, খোদ পার্টি ওপর মহল, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, গুন্ডা মস্তান, পাড়ার ক্লাব -- কে না খাবে। সবাইকে খাওয়াল মাধব।

সবাইকে খাওয়াচ্ছে মাধব। গিফট করছে। মাধবকেও মস্তান লেপা একটা গিফট করল। তার নাম লতিকা। বলল, মাধবদা শরীরটার যত্ন নিন। আর লতিকাকে বলল, 'দাদাকে দেখিস।’ ব্যাস। মাধবের শরীরের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব নিল লতিকা। লতিকা তরুণী। সুন্দরী। মালতীর মতো ওর সবর্দা টেনশন করা মুখ নয়। ওর মুখে সবসময় আলো। সবসময় গান। মিষ্টি মিষ্টি কথা। শরীরের আঁকেবাঁকে কী নাচ! একদিন মাধব লতিকাকে ‘আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে --’ শুনিয়েছিল। লতিকা তাতেও নেচেছে। তবে মেয়েটার মাঝে মাঝে বড্ড ঠোট ফোলাননো অভিমান!

মাধব গলে গেলে। লতিকা সামান্য একটা নাকছাবিতে কত খুশি। মাধব বুঝল মালতীর কাছের গেলেই তার যত টেনশন। আর লতিকা হল যাবতীয় টেনশন থেকে মুক্তি।

কিন্তু কীভাবে যেন মালতী লতিকার কথা জেনে গেল।

সে কী কান্নাকাটি। সারা বাড়িতে তোল মাটি ঘোল হল। মাধব মালতীকে খুব ভোলালো। ওর শাঁখা সিঁদুরের দিব্যি গেলে বলল, “ওই রাক্ষুসীর কাছে আর যাবে না। ওই ডাইনির মুখ দর্শন করবে না।”

মালতী ওকে সোহাগে আদরে ভরিয়ে দিল। এবং মাধব-মালতীর বড় মেয়ের কোলে ভাই এল। ছেলের অন্নপ্রাশনে মাধব ঢেলে খাওয়াল।

মালতী ভাবল -- মাধবের একটা গেঁট ছিল, নে ডবল গিঁট দিয়ে দিল।

মালতী বলল, 'সংসার বড় হয়েছে এবার দোতলা করো। তোমার নদী আর ছোট নেই।”

মাধবের দোতলা হল। তবে সে বাড়িতে তার রোজ থাকা হয় না। কেন না তাকে কাজ ধরতে বেরুতে হয়। কখনও চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে। কখনও পঞ্চায়েতকর্তা বিশুবাবুর সঙ্গে। কখনও পার্টির নেতা যোগেন মল্লিকের সঙ্গে। কখনও মস্তান লেপাভাইয়ের সঙ্গে।

এখন হুশ করে ব্রিজ পার হয়ে তারা সোজা গিয়ে পড়ে শহরে। সেখানে কোনও টেনশন নেই। না, সেখানে লতিকা নেই ঠিক কথা। তবে সুইটি আছে। বিউটি আছে। টিভিতে মুখ দেখানো ঈশানী, দেবযানীরা আছে।

ওদিক শহর মানেই মালতীর টেনশন থেকে মুক্তি। অতদূরের কথা ব্রিজ পেরিয়ে তার কানে আসবে না। পাঁচ পাবলিক হবে না। যা আসবে তা হল নতুন কাজের খবর। টাকার গন্ধ। কিন্তু প্রতিবারই আমাদের ছোট নদীর ওপর ব্রিজ পারাপার হওয়ার সময় মাধবের বেশ টেনশন হয়। ব্রিজের পাইলিং এ বড্ড গলতি থেকে গেছে। ছিঃ! ছিঃ! খুব কমা কাজ হয়েছে। মস্ত ফাকিবাজি। কোনওদিন যদি গভীর থেকে মাটি টান দেয় আর ছোট নদী সৎ পথে না থাকে, তবে? মাধবের বড্ড টেনশন হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ