রিমি মুৎসুদ্দি'র গল্প : ব্ল্যাক জ্যাকেট

-আমার ব্ল্যাক জ্যাকেটটা পাচ্ছি না। সেই কবে থেকে বলছি তোমায়। আর এখন কুফ্রিতে বরফ পড়ছে। ওই জ্যাকেটটাই শীত আটকানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। 

-এই নীলটা নাও। এটাও কিন্তু খুব ভারী হবে। 

-আশ্চর্য! হোক না। কিন্তু কালো জ্যাকেটটা কি বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেল? আর ওটাই সবথেকে দামী ও ভারী ছিল। কী যে করো সারাদিন বাড়িতে? 

-আমি সারাদিন বাড়িতে থাকি? কলেজে যাই না? আর ফিরে… 

-প্লিজ মনীষা। এইসব শুনতে চাই না। আমার মতো কর্পোরেটের ঘানি টানতে হয় না তোমায়। আর যা কিছুই করো না কেন, কালো জ্যাকেটটা উধাও কী করে হল তা তোমারই তো খোঁজা উচিত। তোমার চোখের সামনে দিয়ে কি কাজের মেয়ে নিয়ে গেছে? 

-না দেখে কাজের মেয়েকে দোষারোপ করা যায় না। করা উচিতও নয়। আমি দেখছি আরও একবার। 

-আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাড়িতে তুমি আমি ছাড়া কাজের মেয়ে আসে। আর তোমার উপস্থিতিতেই। তাহলে কী করে হারাল? এই জ্যাকেটটা কেনার পর একদিনও পড়িনি আমি। জানো তুমি। 

-জানি। জানি বলেই উত্তর নেই। আমি আরেকটা ব্ল্যাক জ্যাকেট কিনে আনব নাহয়। 

-কিনে আনবে? কিন্তু কেন? হারাল কেন? সেই খোঁজ নেবে না? 

-উফফ! একটা জ্যাকেট নিয়ে অত কথা ভাল লাগছে না। আমি কিনে আনবোই। 

-কাল ভোরেই তো রওনা দিচ্ছি। তাহলে কিনে আনলেও এই ট্যুরে তো কাজে লাগছে না আমার! 

-আচ্ছা। ভুল মানুষ মাত্রেই হয়। একটা জ্যাকেটের জন্য অত কথা ভাল লাগছে না। 

-এটা কিন্তু জোর করে এড়িয়ে যাচ্ছ তুমি। ভাল লাগছে না আবার কী? আমার হার্ড আর্ণড মানি। আর তাছাড়া, উবে গেল কী করে একটা জিনিষ? এর জবাব তো চাইবোই। 

-আমি জানিনা। তুমি নিজে কেন নিজের জিনিষের খেয়াল রাখো নি? 

-আমি খেয়াল রাখব? আমি তো আলমারিতেই তুলে রেখেছিলাম। আর কী আলাদা করে খেয়াল রাখব? 

-উফফ মাথা যন্ত্রণা করছে এবার। এক জ্যাকেটের কথা আর ভাল লাগছে না। 

-আচ্ছা সরি। কিন্তু এ যে দোষ না করেও আমাকেই সরি বলতে হচ্ছে। এইজন্যই সংসার ভাল লাগে না। 

-আমারও। আগেই বলেছিলাম। এ পথ সবার নয়। তবুও তুমি চাইলে 

-তোমার কি এখনও আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে? তাহলে সে পথও তোমার খোলা। কাল বেড়াতে যেতে হবে না। 

-না যাব। 

-তোমার ইচ্ছে। কিন্তু একটু দায়িত্বশীলতা কি তোমার কাছে আশা করতে পারি না? 

-আবার? আমি বলছি তো খুঁজব। না পেলে কিনে আনব আরেকটা একইরকম। 

-বাহ! তাহলেই সব ঠিক থাকবে বলছ? এক এক করে সব জিনিষ হারাক আর তুমি কিনে আনো। আবার হারাক। আবার কিনো? 

-স্যারকাজম ছাড়ো। খুঁজে না পেলে কী করব? 

-খোঁজো নি তুমি। কাজের মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করেছ? 

-না। ও নেয়নি। 

-তবুও একবার জিজ্ঞেস কোরো। হাত পা হয়ে উবে তো যায়নি! তুমি নিজেও কাউকে দিতে পারো। সেটুকু বললেও হত। আর কিছুই জানতে চাইব না। 

-জানতে তুমি চাইতেই পারো। যা জিজ্ঞেস করবে তার উত্তর অবশ্যই পাবে। যদি আমার জানা থাকে। 

-আমার কিছু জানার নেই। নতুন কিনে আনা জ্যাকেটটা পাচ্ছি না। তাই বলেছি। কিছু আর বলতে হবে না তোমায়। নতুন জ্যাকেট কিনে আনতেও হবে না। 

-আনতে আমায় হবেই। তোমার জন্য নয়। আবার তোমারই জন্য হয়ত। 

-কী যে বলে চলেছ? বুঝতে পারছি না কিছুই। 

-আচ্ছা। আমরা কি এখন জ্যাকেট ছেড়ে অন্যবিষয়ে কথা বলতে পারি? 

-মাথায় হাত দিয়ে ওভাবে বসে আছ? তোমার কি মাথা ধরেছে খুব? থাক আমার জ্যাকেটে প্রয়োজন নেই। তুমি রেস্ট নাও মনীষা। 

-দীপ, বিশ্বাস করো, আমার নিজের নিজেকেই খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। কেন যে আমি? 

-থাক মনীষা। যা হারিয়েছে তাকে নিয়ে আর ভাবার প্রয়োজন নেই। 

-হারানো কিছু নিয়ে আমি ভাবিও না আজকাল। তবুও কখনও জবাব দেওয়ার দায় থাকে। আমাদের দুজনেরই। 

-হারানো বলতে কি দিশাহীন কোনও পথের কথা বলছ? যে পথে পরিণতি নেই, যে পথে একটি ‘অতি’ শব্দ জুড়ে সবকিছুকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়? সেই পথ হারিয়েছ বলে আজ রিগ্রেট করছ? 

-দীপ! তুমি চুপ করো। এ নিয়ে তোমার সাথে তর্ক করতে চাই না। শুধু তুমি কেন কারোর সাথেই তর্ক করতে চাই না আর। বিপ্লব শব্দটা সবাই বুঝবে এই আশা অতিবড় অপটিমিস্ট বিপ্লবীও করে না। তবে জেনে রেখো প্রকৃত বিপ্লবী মানেই আশাবাদী, তারাই স্বপ্ন দেখে যারা আশা করে। 

-এই ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। দুজনেই দুজনের বিপরীত মতকে শ্রদ্ধা করি আমরা। তবুও বলতে বাধ্য হচ্ছি দুহাতে রক্ত মেখে আশা বা স্বপ্ন দেখাকে সমর্থন করতে পারি না। কখনওই। কোনও পরিস্থিতিতেই। 

-পরিস্থিতি কি আদৌ কখনও সেরকম হয়েছে? অন্তত তোমার জীবনে? কখনও কি একটা শান্ত দুপুরে পোড়া ভাতের গন্ধ পেয়েছ? কখনও কি আদৌ কোনো পোড়া গন্ধ গেছে তোমার নাকে? 

-মনীষা তুমি আবার উত্তেজিত হচ্ছ। আমি তো বললামই থাক। বাদ দাও। 

-বাদ তুমি দাওনি দীপ। দিলে অতি শব্দটায় তোমার সমস্যাগুলো বলতে না আজ। 

-তুমি আবার হয়ত ভুল করছ। ছেড়ে যাওয়ার জন্য কোনো অভিযোগই যথেষ্ট নয়। কাছে আসতেই বরং অনুযোগ অভিযোগ প্রয়োজন হয়। কালকের ট্যুর ক্যানসেল করছি। 

-একটা অশান্তি না করলে তোমার হয় না? ট্যুর ক্যানসেল করবে কেন? আমরা কাল বেড়াতে যাচ্ছি। ব্যস। 

-তুমি যখন গ্যাসে চা বসিয়ে ভুলে যাও, হয়ত ল্যাপটপে মগ্ন থাকো, আমি পোড়া চা চিনি দুধের গন্ধ পাই। কতদিন ভাত খেতে গিয়ে একটাও পোড়া ভাত থালায় না পেয়েও ভাত পোড়া গন্ধ পেতাম। বুঝতাম মা ওপর থেকে না পুড়ে যাওয়া ভাতই দিয়েছে আমাকে আর দিদিকে। মা কখন খেত জানতাম না। হয়ত পোড়া ভাতটুকু মা নিজেই খেত। 

-আমি বুঝি দীপ। মায়ের স্ট্রাগলটা বুঝি। বুঝি কিভাবে ইচ্ছে করে তোমার বাবাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করে মানসিক স্থিতি নাড়িয়ে শেষপর্যন্ত তাঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল একটা গোটা সিস্টেম। 

-সিস্টেম কখনওই পুরোপুরি সঠিক হয় না। কিন্তু বাবার আত্মহত্যা যেমন মেনে নিতে পারিনি। সেদিন তোমাকে ইন্টারোগেশন রুমে সুরিন্দরদের হিউমিলিয়েট করাও মেনে নিতে পারিনি। মেনে নিতে পারিনি বলেই পুলিশের চাকরিটাও ছেড়ে দিয়েছি। তোমাকে বিয়ে করব ভেবে নয়। অথচ যে পথকে তুমি মনে মনে সঠিক মনে করো তা তখনও সমর্থন করিনি মনীষা। তবুও তোমার ওপর আক্রমণ যেন ইচ্ছাকৃত ভিক্টিমাইজ করা মনে করেছিলাম। এখনও নিজের বিশ্বাসেই স্থির। 

-এগুলো আমি জানি। পুরোটাই। সেদিন তুমিই আমাকে বাধ্য করেছিলে টারমেটলা থেকে দিল্লি ফিরে যেতে। বলেছিলে, ‘ম্যাডাম পৃথিবীর কোথাওই কেউ সুরক্ষিত নয়। দিল্লিতে বা এখানে কোথাওই আপনার সুরক্ষার ভার আমার ওপর নেই। কিন্তু এখানে যতদিন আছেন আপনার সত্যিই কোনো ভয় নেই। তবে আইনের পথে আমাকে চলতেই হবে। আপনি দিল্লি ফিরে গেলে হয়ত জীবনের অনেক অপ্রিয় কাজের মধ্যে অন্তত একটা করতে হবে না।’ তোমার কথাগুলো মনে আছে সবই। 

-শুধু আমার অপ্রিয় কাজ নয়। আমি তোমাকে তোমার পড়াশুনা রিসার্চ শেষ করতে বলেছিলাম। বলেছিলাম, অস্ত্র তো আপনার মগজ, আপনার গবেষণা। এনথ্রোপলিজির যে বিষয়টা নিয়ে আপনি কাজ করছেন সেটা প্লিজ শেষ করুন। এই কাজটাও তো একটা বিপ্লব।’ 

-মনে আছে দীপ। কিন্তু কাজটা শেষ করে বিপ্লব কী করেছি বলতে পারো? হয়ত চারটে সেমিনারে বিদেশ গেছি। পোস্ট ডক করেছি। কলেজে চাকরি পেয়েছি। হেড অফ দ্যা ডিপার্টমেন্ট হয়েছি। এটুকুই। টারমেটালার পোড়া জঙ্গলগুলোয় আর চাইলেও কি কেউ প্রাণভরে বুনো গন্ধ নিতে পারবে? মহুয়ার ফুল চুষতে সারারাত প্রায় না ঘুমিয়েও ভোরের আলো ফোটার আগে আর কে যাবে জঙ্গলে? 

-ওটা তো বক্সাইটের খনি। আর দেশের সব সাবসয়েল প্রপার্টি রাইট তো রাষ্ট্রের হাতে। রাষ্ট্র তার সেই রাইট বিক্রি করেছে বহুজাতিক সংস্থাকে। ওরা চাইলেও কীকরেই বা আটকাতো? তার চেয়ে তোমার ট্রাইবাল ল্যাঙ্গগোয়েজের ওপর রিসার্চের কারণে দেশে বিদেশে কয়েকজন স্কলার অন্তত হারিয়ে যাওয়া আমাদের দেশজ শব্দগুলো জানতে পারল। তাছাড়া, এই হারিয়ে যাওয়ার বিশ্লেষণে তুমি তো পুরো ছবিটাই তুলে ধরেছ। 

-পুরো ছবি? হাসালে দীপ! গতবছর সিডিনিতে হিউম্যান রাইট কনফারেন্সে বাংলাদেশের একজন অধ্যাপক ডেটা দিয়ে ম্যাথামেটিক্যালি প্রামাণ করলেন, আগামী দশবছরের মধ্যে মহুয়া গাছ যাস্ট একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে শুধু। পরবর্তী প্রজন্ম দেখতেই পাবে না মহুয়া ফুল। তোমার কি মনে হয় এভাবে সেমিনারে আলোচনা করে পারবে কিছু বাঁচাতে? 

-জানি না। ক্লান্ত লাগে। তোমার মহুয়া ফুলের কথা শুনলে আরও বেশী। 

-জানি। কিন্তু তুমি জানো দীপ? সেদিন একটা জংলী পোকার কামড়ে আমার ধুম জ্বর এসেছিল। আমার কোনও জ্ঞানই ছিল না। অভীক আমাকে ভালবাসত কিনা জানিনা আমি? কিন্তু তোমার ওর কথা মনে পড়লে ক্লান্ত লাগে কেন আমি বুঝি। অথচ বুঝি না অভীকের গ্রেপ্তার হওয়াটা কি প্রিপ্ল্যানড? 

-কী বলতে চাইছ মনীষা? আমি? আমি পরিকল্পনা করে তোমার ডাক্তার প্রেমিককে এরেস্ট করিয়েছি? 

-সেইরাতে পুলিশের রেইড হতে পারে। অভীকের যাতে বিপদ নাহয় বধুয়া ওকে নিয়ে এসেছিল আমার কাছে। আর আমার জ্বর দেখে বধুয়া বলল, মহুয়ার তেল এনে দিই দিদি। আপনার হাতটা যেভাবে পোড়ার মতো ঘা হয়ে গেছে, এই পোকা কামড়ালে এরকমই ঘা হয় আর খুব জ্বর আসে। আমার ভাইটা তো এরকমই তিনদিনের জ্বরে মারা গেল। তবে আপনার ভয় নেই দিদি। আপনি ওষুধটা লাগান আজ রাতে। দাদা তো রইলই চিকিৎসার জন্য। কিন্তু আমাদের ওষুধেও একবার ভরসা করতে পারেন। বধুয়া চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দরজায় শব্দ হল। আমি ভাবলাম, বধুয়াই ফিরে এসেছে মহুয়ার তেল নিয়ে। না। পুলিশ। অভীককে হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে এরেস্ট করে নিয়ে গেল। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল ওর বিরুদ্ধে। অথচ পিটিশনগুলো তো আমি এপীল করেছিলাম। সামাজিক একতা মঞ্চের নামে প্রতিদিন বধুয়া মুনিয়া লছমীদের সামান্য ফসল থেকে শুরু করে পোষা মুরগী, চরম দারিদ্র্যের মধ্যেও সঞ্চিত সামান্যতম খোরাকটুকুও যেভাবে যখনতখন রেইডের নাম করে লুট করা হচ্ছিল তার বিরুদ্ধে। যুদ্ধ যদি করতেই হয় তাহলে নিরস্ত্র এই মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কেন? এইসব তো আমার লেখা বয়ান ছিল। অভীক শুধু হাঁসপাতালের সরকারি ডাক্তার হিসাবে আমার সাথে থাকত। ওর ভূমিকা শুধু একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনই ছিল। অথচ... 

-অথচ কী? আমি প্ল্যান করে ওকে গ্রেপ্তার করিয়েছি? ওর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা করিয়েছি? 

-না বলতে পারলে খুশী হতাম দীপ। 

-আর সরকারি চাকরি ছেড়ে দিল্লি এসেছি আমি প্ল্যান করে? তোমার আমার সুপারস্টোরে সব্জি কিনতে গিয়ে দেখা হওয়াও প্ল্যানড? তোমাকে পাওয়ার জন্য এই এতসব প্ল্যান করেছি আমি? এই তোমার কল্পনাশক্তি? 

-অভীক ছাড়া পেয়েছে দীপ। হারিয়ে যাওয়া সময়গুলোর ইতিহাস একদিন ও জানবেই। সেদিন আমাদের যেন মুখ লুকাতে না হয়। এটুকুই আমি আশা রাখি এখনও। আর ব্ল্যাক জ্যাকেটটা আমি লছমীর ছেলেকে দিয়েছি। সেদিন রান্না করতে এসে বলছিল ওর ছেলে জগদ্দলে সরকারি হাঁসপাতালে ময়লা সাফাইয়ের কাজ পেয়েছে। একটা এক কামরার ঘরও নিয়েছে। ছেলের কাছে যাবে বলছিল ও। তোমার পুরনো জ্যাকেট বা সোয়েটার চাইছিল ছেলের জন্য। লছমী ঝরণার কথা বলছিল, নদীর কথা বলছিল। ওর ছেলের কাছে শুনেছে। আমি ফেলে এসেছি সেসব। হয়ত তুমিও দীপ। হাতের সামনে তোমার ব্ল্যাক জ্যাকেটটা ছিল। এর‍্যেস্ট হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অভীক দুহাতে মুখ ঢেকে বসেছিল খাটের এককোণায়। ওর লম্বা শরীরটা যেন ঝুঁকে বেঁকে গেছে মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল ওর এই দুশ্চিন্তা যেন সত্যি না হয়। যেন জামিনে থাকাকালীনই সমস্ত অভিযোগ যে মিথ্যা আমরা প্রমাণ করে দিতে পারি। কিন্তু পারিনি তো। তোমার ব্ল্যাক জ্যাকেটটা আমি লছমীকে দিয়ে দিয়েছি। ওর ছেলের জন্য চাইছিল পুরনো একটা শীতপোষাক। আমি নতুনটাই দিলাম। নতুন স্বপনের ভোর কাউকে দিতে পারিনি এজীবনে। 

-ভালই করেছ। তবে ওটা তো খুব মোটা। অত শীত যে ওখানে পড়ে না! একেক জায়গায় একেকরকম শীত আর প্রতিটা নতুন ভোরই একে অপরের থেকে আলাদা মনীষা! 









একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ